Tag: Sushila

  • PM Modi: সুশীলা কার্কির সঙ্গে কথা মোদির, নেপালের পাশে থাকার আশ্বাস ভারতের

    PM Modi: সুশীলা কার্কির সঙ্গে কথা মোদির, নেপালের পাশে থাকার আশ্বাস ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান সুশীলা কার্কির (Sushila Karki) সঙ্গে বৃহস্পতিবার কথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রীর মতে, এই আলোচনা আন্তরিক এবং গঠনমূলক। ফোনালাপের সময় প্রধানমন্ত্রী নেপালে সাম্প্রতিক মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় গভীর সমবেদনাও জানান। প্রতিবেশী দেশটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ভারতের সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে নেপালের পাশে থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী ফের একবার সুশীলাকে ভারতের প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দেন। ১৯ সেপ্টেম্বর নেপালের জাতীয় দিবস উপলক্ষে কার্কি ও নেপালের জনগণকে শুভেচ্ছাও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    পরে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী মিসেস সুশীলা কার্কির সঙ্গে আন্তরিক কথোপকথন হয়েছে। সাম্প্রতিক মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় গভীর সমবেদনা জানিয়েছি এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তাঁর প্রচেষ্টায় ভারতের দৃঢ় সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছি। এছাড়া, আগামীকাল নেপালের জাতীয় দিবস উপলক্ষে তাঁকে এবং নেপালের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি।” প্রসঙ্গত, গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কর্মভার গ্রহণের জন্য কার্কিকে অভিনন্দন জানান এবং তাঁর নিয়োগকে ‘নারী ক্ষমতায়নে’র এক উজ্জ্বল উদাহরণ আখ্যা দেন। মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, “ভারত ও নেপাল যৌথ ইতিহাস, বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক বন্ধনে আবদ্ধ ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং পালাবদলের সময় নয়াদিল্লি প্রতিবেশী দেশের মানুষের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে।” তিনি বলেছিলেন, “আমি ১৪০ কোটি ভারতীয়ের পক্ষ থেকে কার্কিকে অভিনন্দন জানাতে চাই। আমি নিশ্চিত যে তিনি নেপালে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির পথ সুগম করবেন (PM Modi)।”

    নেপালের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী

    সুশীলা কার্কি নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। তিনিই প্রথম মহিলা, যিনি নেপালের শীর্ষ আদালতের ওই পদে বসেছিলেন। অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ায় তিনিই হলেন নেপালের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রীও। প্রধানমন্ত্রী পদে তাঁর নিয়োগের কয়েকদিনের মধ্যেই নেপালে অবসান ঘটেছে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার। এই অনিশ্চিয়তার সৃষ্টি হয়েছিল সারা দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে হওয়া জেন জেডের আন্দোলনের জেরে, কেপি শর্মা অলি পদত্যাগে বাধ্য হওয়ার পর (Sushila Karki)।

    নেপালের রাষ্ট্রপতি, শীর্ষ সামরিক কর্তারা এবং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী যুব আন্দোলনকারীদের বৈঠকের পর কার্কিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মনোনীত করা হয়। রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাওডেল বলেন, “অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী কার্কির নেতৃত্বে গঠিত নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছ’মাসের মধ্যে নতুন সংসদীয় নির্বাচনের আয়োজন করবে (PM Modi)।”

  • Sushila Karki: “মানুষের সেবা করতেই দায়িত্ব নিয়েছি, ক্ষমতায় টিকে থাকতে নয়”, নেপালের প্রধানমন্ত্রী হয়েই বললেন কার্কি

    Sushila Karki: “মানুষের সেবা করতেই দায়িত্ব নিয়েছি, ক্ষমতায় টিকে থাকতে নয়”, নেপালের প্রধানমন্ত্রী হয়েই বললেন কার্কি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মানুষের সেবা করতেই দায়িত্ব নিয়েছি আমি ও আমার সহযোগীরা, ক্ষমতায় টিকে থাকতে নয়।” রবিবার নেপালের (Nepal) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে এমনই বললেন সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি (Sushila Karki)। এদিনই তিনি জাতির উদ্দেশে প্রথম ভাষণ দেন। বলেন, “যুব সমাজের আন্দোলনে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের শহিদের মর্যাদা দেওয়া হবে।” তিনি জানান, সময় পেরিয়ে গেলে মানুষের সমর্থন ছাড়া তিনি গদি আঁকড়ে বসে থাকবেন না। এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন সুশীলা। কাঠমাণ্ডুর সিংহ দরবার হল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। আন্দোলনের সময় গণরোষের আঁচে পুড়ে গিয়েছে ওই ভবনের সিংহভাগ অংশ। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দফতরকেই আপাতত প্রধানমন্ত্রীর দফতর করা হয়েছে। এদিন সেখানে বসেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন সুশীলা।

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য (Sushila Karki)

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমি এবং আমার দল এখানে ক্ষমতার স্বাদ নিতে আসিনি। আমরা ছ’মাসের বেশি পদে থাকব না। নতুন পার্লামেন্টকে দায়িত্ব দিয়ে দেব। আপনাদের সমর্থন ছাড়া থাকব না।” নেপাল পুনর্গঠনের ডাকও দেন সুশীলা। বলেন, “নেপালকে আবার গড়ে তোলার জন্য সব অংশীদারের এগিয়ে আসা উচিত। আমরা হাল ছাড়ব না। আমাদের দেশকে পুনরুদ্ধার করতে এক সঙ্গে কাজ করব।” তিনি (Sushila Karki) বলেন, “আমাদের জেন জেড প্রজন্মের সঙ্গে খাপ খাইয়ে কাজ করতে হবে। এরা যা দাবি করছে, তা হল দুর্নীতির সমাপ্তি, সুশাসন ও অর্থনৈতিক সমতা। আপনাকে এবং আমাকে এই লক্ষ্য পূরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হবে।”

    নেপালে সাধারণ নির্বাচন

    জানা গিয়েছে, নেপালে সাধারণ নির্বাচন হবে আগামী বছরের ৫ মার্চ। প্রসঙ্গত, নেপালের ক্ষমতায় ছিল কেপি শর্মা অলির নেতৃত্বাধীন সরকার। সেই সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সোচ্চার হন আম নেপালবাসী। পথে নামে জনতা। এদের নেতৃত্ব দেয় জেন জেড। এদিন বেলা ১১টা নাগাদ নিজের দফতরে আসেন সুশীলা। তার পরেই দেন জাতির উদ্দেশে ভাষণ। জেন জেডের তরফে বলা হয়েছে, “আমাদের মূল দাবি ছিল দুর্নীতিমুক্ত নেপাল। সুশীলা কার্কির (Sushila Karki) নেতৃত্বে নয়া আইন আসুক। দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা (Nepal) হোক। আমাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হোক।”

  • Sushila Karki: নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিচ্ছেন সুশীলা কার্কি!

    Sushila Karki: নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিচ্ছেন সুশীলা কার্কি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপালের (Nepal) অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি (Sushila Karki)। সেনাবাহিনীর সঙ্গে জেন জেড-এর প্রতিনিধিদের একাধিক বৈঠক শেষে শিলমোহর পড়ে সুসীলার নামে। তার পরেই ঠিক হয় আজ, শুক্রবার রাতেই শপথ নেবেন তিনি। প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেলের কাছে নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার কথা সুশীলার।

    ভেঙে দেওয়া হল সংসদ (Sushila Karki)

    এদিন জেন জেড ঘোষণা করেছে, তারা সুশীলার নেতৃত্ব মেনে নিতে রাজি। তবে কয়েকটি শর্তও আরোপ করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি হল সংসদ ভেঙে দেওয়া। সেই মতো এদিন সন্ধ্যায়ই ভেঙে দেওয়া হয় সংসদ। জেন জেড গ্রুপের তরফে সাংবাদিক বৈঠকে বলা হয়, “উই নেপালি গ্রুপ নিশ্চিত করছি যে আমরা বৃহত্তর সহমতে আসতে পেরেছি।” গ্রুপের প্রেসিডেন্ট সুদান গুরুং জানান, সংসদ ভেঙে দেওয়া তাঁদের প্রধান দাবিগুলির মধ্যে একটি। তার পরেই পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য এগনো যেতে পারে। সুশীলা প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিলে নেপালে রচিত হবে ইতিহাস। প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী পাবে বুদ্ধের দেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে সুশীলা ছাড়াও ঘোরাফেরা করছিল আরও চারজনের নাম। এঁরা হলেন কাঠমাণ্ডুর মেয়র বলেন্দ্র শাহ, ধারানের মেয়র হরকা সামপাং, প্রাক্তন সাংবাদিক রবি লামিছানে এবং নেপালের বিদ্যুৎ দফতরের অধিকর্তা কুলমান ঘিসিং।

    প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিচ্ছেন সুশীলা কার্কি

    প্রসঙ্গত, যে জেন জেডের আন্দোলনের জেরে পালাবদল হল নেপালে, সেই আন্দোলনকারীদের মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে কাকে বেছে নেওয়া হবে, তা নিয়েই চলছিল দ্বন্দ্ব। সেই দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে দফায় দফায় হয়েছে আলোচনা (Sushila Karki)। রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন জেন জেডের এক প্রতিনিধি দলও। শেষমেশ সুশীলার নামেই পড়ে শিলমোহর। তার পরেই রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেন। শুরু হয়ে যায় নয়া প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের প্রস্তুতিও। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সংসদের স্পিকার এবং জাতীয় পরিষদের চেয়ারপার্সনকেও। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সব নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানদেরও।

    জেন জেডের আন্দোলনের জেরে পতন হয় কেপি শর্মা অলি সরকারের। দেশ ছেড়ে পালান তিনি। তার পরেই শুরু হয় নয়া অন্তর্বর্তী সরকারের (Nepal) প্রধানমন্ত্রীর খোঁজ। সেখানেই ‘জয়ী’ হন ‘ভারত-প্রেমী’ সুশীলা (Sushila Karki)।

  • Nepal Unrest: নেপালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হচ্ছেন ভারতে ‘বেড়ে ওঠা’ সুশীলা কার্কি!

    Nepal Unrest: নেপালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হচ্ছেন ভারতে ‘বেড়ে ওঠা’ সুশীলা কার্কি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেন জি-র আন্দোলনের জেরে দিন দুয়েক ধরে অশান্ত হয়ে উঠেছিল ভারতের পড়শি দেশ নেপাল (Nepal Unrest)। ব্যাপক আন্দোলনের জেরে পতন হয় কেপি শর্মা অলি সরকারের। দেশে শান্তি ফেরাতে ক্ষমতার রাশ নেয় সে দেশের সেনাবাহিনী। এর পরেই পরিস্থিতি থিতু হয়। এহেন নেপালেরই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হতে চলেছেন সুশীলা কার্কি (Sushila Karki)। তিনি নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। তাঁকেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে বেছে নিয়েছেন জেন জেড আন্দোলনের নেতৃত্ব। সুশীলা জানান, ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক আরও ভালো করা হবে।

    ভারত-নেপাল সম্পর্কে চিড় (Nepal Unrest)

    নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ছিল মধুর। এই সম্পর্কে চিড় ধরে কমিউনিস্ট শাসক অলির শাসন কালে। ভারতের পরিবর্তে তিনি মাখোমাখো সম্পর্ক তৈরি করেন আর এক কমিউনিস্ট শাসিত দেশ চিনের সঙ্গে। যে চিনের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে বিপাকে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা-মলদ্বীপ এবং বাংলাদেশ, সেই বেজিংয়ের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন অলি। তার জেরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারত-নেপাল সম্পর্কের ফাটল চওড়া হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হচ্ছেন শুনে, সেই সম্পর্কই মেরামত করতে চান সুশীলা। বছর বাহাত্তরের সুশীলা নেপালের প্রথম মহিলা যিনি প্রধান বিচারপতির পদ অলঙ্কৃত করেছিলেন। ২০১৬ সালে তাঁকে প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ করেন নেপালের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি। তাঁর নাম সুপারিশ করেছিলেন সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অলি।

    সুশীলা কার্কি

    আইনি যাত্রা শুরুর আগে সুশীলা ছিলেন শিক্ষিকা। সেই সময় থেকেই তাঁর একটা সাহসী, দক্ষ ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছিল। এ যাবৎকাল পর্যন্ত দুর্নীতির কোনও কালি লাগেনি তাঁর গায়ে। প্রত্যাশিতভাবেই জনমানসে জায়গা করে নেন এই প্রতিভাময়ী। ২০০৬ সালের সংবিধান খসড়া কমিটির সদস্য ছিলেন সুশীলা। ২০০৯ সালে তাঁকে নেপালের সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়। পরের বছরই স্থায়ী বিচারপতি পদে নিয়োগ করা হয় সুশীলাকে। ২০১৬ সালে দেশের শীর্ষ আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পান সুশীলা। পরে হন স্থায়ী প্রধান বিচারপতি। এই পদে থাকাকালীন বেশ কয়েকটি দুর্নীতি মামলায় কঠোর রায় দিয়েছিলেন সুশীলা। পুলিশে নিয়োগে অনিয়ম, দ্রুত বিচার আদালত প্রতিষ্ঠা (Nepal Unrest) এবং বেশ কয়েকটি হাই-প্রোফাইল দুর্নীতির মামলায় কড়া রায় দিয়েছিলেন তিনি। এহেন সুশীলার ঘাড়েই বর্তেছে নয়া নেপাল গঠনের কাজের ভার (Sushila Karki)।

    প্রতিনিধি নির্বাচন

    প্রসঙ্গত, বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন এবং দেশে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রতিনিধি নির্বাচন করতে অনলাইনে ভার্চুয়াল সভা করেন জেন-জি আন্দোলনকারীরা। বৈঠকে স্পষ্ট বলা হয়, জেন জি আন্দোলনকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও অরাজনৈতিক রাখতে হবে। তাই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করা হবে না। বর্তমানে সুশীলা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবং একজন নাগরিক কর্মী হিসেবে তাঁকেই এই ভূমিকার জন্য সব চেয়ে উপযুক্ত বলে মনে করেছে জেন জেড। তার পরেই ঘোষণা করা হয় (Nepal Unrest) তাঁর নাম।

    সুশীলার ভারত-যোগ

    সুশীলার সঙ্গে ভারতের যোগ বেশ পুরানো। তাঁর (Sushila Karki) পড়াশোনা ভারতেই, বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে। এখান থেকেই স্নাতক হয়েছিলেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি এই সময় শিখেছিলেন ভারতীয় নৃত্যও। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হয়েছিলেন সুশীলা। সেই সময়ের কথা, ভারতীয় বন্ধুদের কথা এবং তাঁর শিক্ষকদের কথা আজও সংরক্ষিত রয়েছে তাঁর মনের মণিকোঠায়। সংবাদ মাধ্যমকে সুশীলা জানান, এ সবের পাশাপাশি বেনারসের গঙ্গা নদীর কথাও তাঁর বেশ মনে পড়ে।

    কী বললেন সুশীলা?

    দীর্ঘদিন ভারতে কাটানোর পাশাপাশি কাশী বিশ্বনাথ ক্ষেত্রে বিচরণ করায় ভারতের প্রতি একটা আলাদা দুর্বলতা রয়েছে সুশীলার। জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কেও ভালো ধারণা রয়েছে তাঁর (Nepal Unrest)। সুশীলা বলেন, “অনেক দিন ধরেই আমরা ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করছি না। তবে আমরা এ নিয়ে কথা বলব। যখন কোনও একটা আন্তর্জাতিক বিষয় হয়, তখন দুই দেশের মধ্যে কিছু লোক এক সঙ্গে বসে একটা নীতি তৈরি করে। আমরাও তা-ই করব।” তিনি (Sushila Karki) জানান, ভারত সব সময়ই নেপালকে সাহায্য করেছে। কিছু ক্ষেত্রে বিরোধ থাকলেও, আগামী দিনে নেপাল আবারও ভারতের সাহায্য পাবে বলে আশাবাদী তিনি। তবে সরকারি ক্ষেত্রে সম্পর্কের বিষয়টি আলাদা বলেও মন্তব্য করেন সুশীলা। বলেন, “অবশ্য আমাদের দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে বরাবরই একটা ভালো সম্পর্ক রয়েছে।”

    এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার থেকেই নেপালে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধার কাজ শুরু হবে বলে খবর। যদিও সেখানে বসবাসরত ভারতীয়দের পূর্ণ নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সুশীলা। তিনি জানান, এখন দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে সেনা (Sushila Karki)। বিক্ষোভের সময় যে সব পরিবারের সদস্যরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবার যাতে সুবিচার পান, সেই ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানান (Nepal Unrest) সুশীলা।

LinkedIn
Share