Tag: Suvendu Adhiakri

Suvendu Adhiakri

  • Suvendu Adhiakri: “অমলেন্দুর মুখের ভাষাই প্রমাণ করে হিন্দুদের কি চোখে দেখেন মমতা!” তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhiakri: “অমলেন্দুর মুখের ভাষাই প্রমাণ করে হিন্দুদের কি চোখে দেখেন মমতা!” তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের নামটাই যথেষ্ট! কারণ কালীপুজোয় কাকদ্বীপে যারা কালীমায়ের মূর্তি ভেঙেছে তাদের গ্রেফতার না করে মাথা ভাঙা মূর্তিটিকেই প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এদিকে শনিবার জগদ্ধাত্রী পুজোয় ভাসানের দিন আগত ভক্তদের কৃষ্ণনগর (Krishnagar) কোতোয়ালি থানার আইসিকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে শোনা গেল। আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস আগত ভক্ত ও দর্শনার্থীদের হুমকি দিয়ে বলেন, “মাটিতে ফেলে কেলাবো, দেখে নেব এক একটাকে।” এটাই কি পুলিশের আসল চরিত্র? পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhiakri) ও সুকান্ত মজুমদার।লাখ লাখ মানুষের জনসমাগম (Suvendu Adhiakri)

    শনিবার কৃষ্ণনগরের (Krishnagar) ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জন চলছিল। একাধিক ক্লাব ও বারোয়ারীর ঠাকুর রাজবাড়ি থেকে কদমতলা গঙ্গারঘাটে নিয়ে গিয়ে প্রতিমা নিরঞ্জন চলছিল। ঠাকুরের ভাসানকে ঘিরে রাজপথে লাখ লাখ মানুষের সমাগম হয়েছিল। জেলা এবং আশপাশের জেলা থেকে প্রচুর ভক্ত, দর্শনার্থী এবং পর্যটকরা এসেছিলেন। কিন্তু এদিন এই প্রতিমা ভাসানোকে ঘিরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সমস্ত হিন্দু দর্শনার্থী এবং ভক্তদের উদ্দেশ্যে আচমকা লাঠিচার্জ করতে শুরু করে নদিয়া পুলিশ। এই সময়ই কোতোয়ালি থানার আইসিকে গালিগালাজ করতে শোনা যায়, হুমকিও দেন। ব্যাপক মারধরও করা হয়। পরে শুরু হয়ে যায় নির্বিচারে লাঠিচার্জ। পুলিশে লাঠির ঘায়ে গুরুতর জখম হন বেশ কিছু মহিলা এবং তরুণী।

    অসহযোগী পুলিশ!

    এই অভব্য এবং অসৌজন্যমূলক আচরণকে ঘিরে মমতা সরকারের পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী সুকান্ত মজুমাদার। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “কৃষ্ণনগরের (Krishnagar) ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পুজোয় নবমীর রাত থেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাখ লাখ ভক্তের সমাগম হয়েছে। উৎসব মুখর হিন্দু জনতাকে পুজোর আনন্দ দিতে সবরকম পরিস্থিতিতে পুলিশের সহযোগী মনোভাবের পরিচয় দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু পুলিশ পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করে মানুষের ওপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করেছে।”

    হিন্দুদের কি চোখে দেখে মমতা?

    মমতার পুলিশ প্রশাসনকে তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhiakri)। তিনি বলেন, “কৃষ্ণনগরে (Krishnagar) জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনের মূহুর্তে হিন্দুদের ওপর অন্যায় নির্যাতন চালানোর সময় কোতোয়ালি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসের মুখের ভাষা থেকেই বোঝা যায় যে হিন্দুদের কি চোখে দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ প্রশাসন! কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার অমরনাথ কে বিসর্জনের জন্যে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নাগরিক সুরক্ষার আশ্বাস দিলেও পুলিশ ব্যর্থ। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে জনগণকে লাঠি পেটা করেছে মমতার পুলিশ। অমরনাথ কে এবং অমলেন্দু বিশ্বাস দু’জনেরই অদক্ষতা প্রমাণিত ও এদের রেকর্ড হল প্রাতিষ্ঠানিক তোলাবাজি। জনগণের স্বার্থের চেয়ে নিজদের স্বার্থ তাঁদের কাছে অনেক বেশি অগ্রাধিকার পায়। এই ভাষায় মানুষকে অপমান করার অধিকার এঁদের কে দিয়েছে?

  • NIA: রামনবমী কাণ্ডে তদন্তভার এনআইএ-র হাতে যেতেই মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দু-সুকান্তর

    NIA: রামনবমী কাণ্ডে তদন্তভার এনআইএ-র হাতে যেতেই মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দু-সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যে রামনবমীর শোভাযাত্রায় একের পর এক হামলা ও পরবর্তী হিংসার ঘটনার তদন্তভার NIA-র হাতে যেতেই একযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করল বিজেপি। এদিন আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ট্যুইট করে রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হিংসার জন্য মমতাকে আক্রমণ করেন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাজ্যে রামনবমীর মিছিলে হামলায় NIA তদন্তের দাবিতে দায়ের মামলায় হার হয় রাজ্যের। আদালতের নির্দেশ ২ সপ্তাহের মধ্যে হাওড়া, রিষড়া, ডালখোলাসহ রামনবমীর মিছিলে সমস্ত হামলার ঘটনার তদন্তের নথি NIA-র হাতে তুলে দিতে হবে রাজ্যকে।

    কী লিখলেন শুভেন্দু অধিকারী?

    শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে রামনবমীর মিছিলে হামলা ও উপদ্রবের NIA তদন্তের নির্দেশ দিয়ে ভারতীয় সংবিধানের অভিভাবক জনমানসে ফের আস্থা ফিরিয়েছেন। তথ্য গোপন করতে ও NIA তদন্ত এড়াতে রাজ্য সরকারের চালাকি কলকাতা হাইকোর্ট আরও একবার ধরে ফেলেছে। আমি কলকাতা হাইকোর্টের এই ঐতিহাসিক নির্দেশকে স্বাগত জানাই। জয় শ্রী রাম।

    কী লিখলেন সুকান্ত মজুমদার?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার NIA তদন্তের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন। সুকান্ত হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে রামনবমীতে ঘটে যাওয়া হিংসার ঘটনাগুলির তদন্তের দায়িত্ব NIA-এর হাতে দেওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই৷ ওই হিংসার ঘটনাগুলি পূর্বপরিকল্পিত। তৃণমূল সরকার তাতে উস্কানি দিয়েছিল।’’ রামনবমীকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সুকান্ত।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share