Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • C V Ananda Bose: নতুন রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নিলেন সি ভি আনন্দ বোস

    C V Ananda Bose: নতুন রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নিলেন সি ভি আনন্দ বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নিলেন সি ভি আনন্দ বোস। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। শপথবাক্য পাঠে বাংলার মানুষের ভালো-মন্দের দেখভালের প্রতিশ্রুতি দিলেন নয়া রাজ্যপাল। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ রাজভবনে হয় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়,পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীও। তবে সংঘাতের আবহে রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বসার জন্য আসনবিন্যাস নিয়ে আপত্তি জানিয়ে এদিন সকালে ট্যুইটও করেন তিনি। নয়া রাজ্যপালের সময় অনুযায়ী, তিনি পরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে আসার কথা জানান।

    রসগোল্লা উপহার

    আগের রাজ্যপালের সঙ্গে সম্পর্ক মোটেও ভালো ছিল না রাজ্যের।  সিভি আনন্দ বোসের পূর্বসূরি জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল থাকাকালীন নবান্ন ও রাজভবনের সংঘাত প্রায় রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে এবারের নয়া রাজ্যপালের সঙ্গে সম্পর্ক সুমধুর করতে বদ্ধ পরিকর রাজ্য। তাই শপথ গ্রহণের দিন সকাল সকাল এক হাড়ি রসগোল্লা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের নয়া ফার্স্ট সিটিজেনকে বিশেষ উপহার পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী। সি ভি আনন্দ বোসের জন্য নীল হাঁড়িতে ১০০টি রসোগোল্লা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী। নতুন রাজ্যপালের সঙ্গে প্রথম দিন থেকেই তিক্ততা ভুলে মিষ্টি সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছে নবান্ন। এমনটাই মনে করছে প্রশাসনিক মহল। এ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মিষ্টি খাইয়ে লাভ নেই, তাঁর যোগ্যতা-অভিজ্ঞতাকে যেন কাজে লাগায় রাজ্য সরকার’। তিনি আরও বলেন,“আমরা চাইব এরকম একজন বিদ্বান, দূরদর্শী মানুষকে আমরা রাজ্যপাল হিসাবে পেয়েছি, তার যোগ্যতা-অভিজ্ঞতা, সেটা যেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার কাজে লাগায় ।” 

    আরও পড়ুন: সাংসদ ও বিধায়কেরা শাসক শিবির ছেড়ে বিজেপিতে আসতে চাইছেন! দাবি মহাগুরু মিঠুনের

    কালীঘাট মন্দির দর্শন

    শপথগ্রহণের আগের দিন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালীঘাটে গিয়ে মায়ের দর্শনও করেন নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান তিনি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ কালীঘাটে আসেন সি ভি আনন্দ বোস। প্রথমে কালীঘাট প্রসাদের দোকানগুলির সামনে দেখা যায় তাঁকে। তারপর মায়ের পুজো দেন। মায়ের পুজো দেওয়া পর গোটা মন্দির চত্বর ঘুরে দেখেন। পুরোহিতদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ সময় কাটান,মন্দিরের ইতিহাস নিয়ে কথা বলেন । বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন কালীঘাট মন্দিরে। তবে মায়ের আরতির আগেই সেখান থেকে বেরিয়ে যান রাজ্যপাল। ৭১ বছর বয়সি মালয়ালি, অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার আনন্দ বোসের প্রশাসক হিসেবে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সচিব হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। রাজ্যের মুখ্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। মেঘালয় সরকারের উপদেষ্টা পদেও তিনি কাজ করেছিলেন। সূত্রের খবর, শীঘ্রই আনন্দ বোস দিল্লিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ-পর্ব সেরে আসবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: বিধানসভা ভোটের পর ২৬টি মিথ্যা মামলা! নিজের বই ‘১৯৫৬’ প্রকাশ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বিধানসভা ভোটের পর ২৬টি মিথ্যা মামলা! নিজের বই ‘১৯৫৬’ প্রকাশ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষণা ছিল আগেই। সেই মতোই মঙ্গলবার নিজের লেখা বই প্রকাশ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বইয়ের নামও আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি, ‘১৯৫৬’। মঙ্গলবার তিন ভাষায় প্রকাশিত হল সেই বই। শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘‘এই প্রথম একই কেন্দ্র থেকে জয়ী ও পরাজিত প্রার্থী রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।

    বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ করা হচ্ছে, সেই অভিযোগ তুলে এ বার পুস্তিকা বার করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর জয়ের ব্যবধান ছিল ১৯৫৬, সেটাই বইয়ের শিরোনাম। মামলার তথ্য দিয়ে এবং নানা জায়গায় বিরোধী দলনেতাকে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগের ছবি-সহ ঘটনা উল্লেখ করে তিন ভাষায় লেখা ওই পুস্তিকা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতাকে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু।

    বইপ্রকাশের পর বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “রাজ্যের গণতন্ত্র কেমন? আমি ১৯৫৬ নামে তিন ভাষায় একটি বই প্রকাশ করেছি। আমাকে কীভাবে দিনের পর দিন আটকানো হয়েছে তার ছবি দিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ৫ মে-র পর থেকে ২৬টি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।  ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে আমি উপস্থিত ছিলাম না। আমার বিরুদ্ধে আগে কোনও মামলা ছিল না। সব হয়েছে ৫ মে’র পরে। যেগুলো হাইকোর্ট গিয়েছে, সেগুলি তুলে ধরেছি।” আগেই বইপ্রকাশের কথা বলে শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata) তাঁকে যে উপহারগুলি দিয়েছেন, সেগুলি পুস্তক আকারে তিনি প্রকাশ করবেন। 

    কী বলেছেন শুভেন্দু? 

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “৫-৭ বছরের পুরনো মামলাও রয়েছে। এমনকি হেয়ার স্ট্রিট থানাতেও আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি ছাড়াও বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এবং অন্যান্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে পাঠাব এই বই।” এই বইয়ে তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলাগুলির কথা তুলে ধরেছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু স্মৃতিচারণ করে  বলেন, “প্রায় দশটির বেশি জায়গায় রাস্তায় শয়ে শয়ে পুলিশ দিয়ে আটকানো হয়েছে, সেই ছবিগুলি আমি দিয়েছি। আমি কয়েকটি ছবি দিতে পেরেছি। অত ছাপানোর আর্থিক ক্ষমতা আমার নেই।”

    আরও পড়ুন: ডিএলএডের প্রশ্ন ফাঁস, ‘বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে’ দাবি পর্ষদ সভাপতির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: ‘ডিসেম্বর সিনড্রোম’! ভয় পেয়েই কি বিরোধী দলনেতাকে নিজের ঘরে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    Suvendu Adhikari: ‘ডিসেম্বর সিনড্রোম’! ভয় পেয়েই কি বিরোধী দলনেতাকে নিজের ঘরে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) চায়ের নেমতন্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)! তার পরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। বিরোধীদের প্রশ্ন, ‘ডিসেম্বর সিনড্রোমে’র ভয়েই কি বিরোধী দলনেতাকে নিজের ঘরে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    শুভেন্দুকে চা খেতে ডেকেছিলাম…

    বুধবার শপথ নিয়েছেন নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট ‘অপমানজনক’ হওয়ায় ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে তৃণমূলে যাওয়া দুই দলবদলু বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এবং কৃষ্ণকল্যাণীর সঙ্গে এক পঙক্তিতে বসতে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এর পর আজ, শুক্রবার বিধানসভায় সাক্ষাৎ হয় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেন্দুর। মমতাই চায়ের নেমতন্ন করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। পরে তিনি বলেন, শুভেন্দুকে চা খেতে ডেকেছিলাম। আর শুভেন্দুর দাবি, চা খাওয়া হয়নি। এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের চা খেতে বলেছিলেন। কিন্তু বিধানসভায় অধিবেশন চলায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদেরও ব্যস্ততার কারণে চা খাওয়া হয়নি। প্রসঙ্গত, এদিন শুভেন্দুর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়েছিলেন বিধায়ক বিজেপির অশোক লাহিড়ি, অগ্নিমিত্রা পল ও মনোজ টিগ্গা।

    এদিন ছিল সংবিধান দিবস। সেই উপলক্ষেই বক্তৃতা দিচ্ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। কিন্তু শুভেন্দুর বক্তব্য শুরু হতে না হতেই তৃণমূল বিধায়কদের বসার জায়গা থেকে গোলমাল শুরু হয়। কানে আসতেই রুখে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেউ বাধা দেবে না। সবাই চুপ করে থাক। কোনও কোনও তৃণমূল বিধায়ক টিকা-টিপ্পনীও কাটতে শুরু করেছিলেন। মমতা তাঁদেরও কড়া ভাষায় কথা বলতে নিষেধ করেন। সঙ্গে সঙ্গেই থেমে যায় গোলমাল। নির্বিঘ্নে বক্তৃতা শেষ করেন শুভেন্দু। তার পরেই আসে চায়ের নেমতন্ন। নেমতন্ন রক্ষা করতে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে যান বিরোধী দলনেতা।

    আরও পড়ুন: এনআইএ কাজ করছে দেশদ্রোহীরা সাবধান! শাসক দলকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মমতা-শুভেন্দুর এই সাক্ষাৎকার পর্ব জন্ম দিয়েছে একাধিক জল্পনার। নন্দীগ্রামে ১৯৫৬ ভোটে মমতাকে হারিয়েছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তার পর থেকে দু জনের সম্পর্ক আক্ষরিক অর্থেই অহি-নকুলের। সম্প্রতি শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, এই ডিসেম্বরেই পড়ে যাবে তৃণমূল সরকার। তিনি এও জানিয়েছিলেন, জোর করে সরকার ফেলবেন না তাঁরা। সরকার পড়ে যাবে আপনা থেকেই। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই মোদির ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা। সেই একই কারণে শুভেন্দুকে করতে হচ্ছে চায়ের নেমতন্ন। তাঁকে সম্বোধন করতে হচ্ছে ‘ভাই’ বলে!

    একেই বলে ‘ডিসেম্বর সিনড্রোম’!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: এনআইএ কাজ করছে দেশদ্রোহীরা সাবধান! শাসক দলকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: এনআইএ কাজ করছে দেশদ্রোহীরা সাবধান! শাসক দলকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খেজুরিতে এখনও জীবিত আছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ, দেশদ্রোহীরা সাবধান। বৃহস্পতিবার ‘হার্মাদ মুক্ত দিবস’ উপলক্ষে মিছিলে যোগ দিয়ে শাসকদলকে  হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ইডি ও সিবিআই-এর মতো সংস্থা রাজ্যে একাধিক মামলার তদন্ত করছে। এবার এনআইএ-এর কথা শোনালেন শুভেন্দু।

    হার্মাদ মুক্ত দিবস পালন

    প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ২৪ নভেম্বর, খেজুরি থেকে সিপিএমকে ‘উৎখাত’ করেছিল তৃণমূল। সেই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তার পর থেকেই প্রতি বছর এই দিনে খেজুরিতে ‘হার্মাদ মুক্ত দিবস’ পালন করেন শুভেন্দু। তবে এখন বাংলায় বিজেপির মুখ তিনি। এদিন তৃণমূলকে আক্রমণ করতে গিয়ে বাম আমলের প্রসঙ্গও টেনে আনেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, একসময় বামপন্থীরা যা করেছিল, তাতে তিনি না থাকলে তৃণমূল শেষ হয়ে যেত। শুভেন্দু আরও বলেন, ‘বামপন্থীরা খারাপ নয়। এখন লজ্জা লাগে আমার। সেদিনকার বামপন্থীদের হার্মাদ বলতাম!’ তৃণমূলের নেতারা তাঁদের ছাপিয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল স্কুল সার্ভিস কমিশন! এবার কি সুপ্রিম দুয়ারে যাবে রাজ্য সরকার?

    কী বললেন শুভেন্দু

    বৃহস্পতিবার খেজুরিতে বিশাল মিছিল করে বিজেপি। তারপরই সভা থেকে শাসক দলকে বার্তা দেন তিনি। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন বলেন, ‘আমি ১ তারিখে খেজুরিতে আসছি। বুঝিয়ে দেব শুভেন্দু কে? আরে এনআইএ তো সবে শুরু করেছে কাজ। সমর মণ্ডল অপেক্ষা করুন, সবে তো ১২টা বাজে, এখনও তো সূর্য ডোবেনি।’ সম্প্রতি এখানে বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, ‘‘খেজুরিতে কে এক জন শেখ ইয়াসিন ঘোলাবাড়ের বিজেপি কর্মী সুরজকে মেরেছে। মাননীয় ইয়াসিনবাবু, আপনার যা যা ওষুধ লাগবে ডাক্তারবাবু সব জানে। আমি এই দায়িত্বটা নিলাম।’’ গত ৩ জানুয়ারি পশ্চিম ভাঙনমারি গ্রামে কঙ্কন করণ নামে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তার জেরে মৃত্যু হয় অনুপ দাস নামে এক তৃণমূল কর্মীর। বেশ কয়েক জন জখম হন। বোমা বাঁধতে গিয়েই এই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু। এর পর স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক তা নিয়ে এনআইএ তদন্তের দাবি তোলেন। তিনি বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে লিখিত আবেদনও করেন। এর পর ওই বিস্ফোরণ-কাণ্ডের তদন্তভার নেয় এনআইএ। ওই ঘটনায় জনকা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সমরশঙ্কর মণ্ডল-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। বৃহস্পতিবার শুভেন্দুর বক্তব্যে উঠে এসেছে সেই প্রসঙ্গই।

  • Suvendu Adhikari:  সৌজন্য সাক্ষাত! রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালকে রিপোর্ট দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: সৌজন্য সাক্ষাত! রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালকে রিপোর্ট দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনে নতুন রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পরে আলাদাভাবে নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের  সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়ার পর ইংরেজিতে লেখা একটি গীতা তাঁকে উপহার দেন শুভেন্দু। রাজ্যপালও তাঁর নিজের লেখা একটি হিন্দি বই শুভেন্দুকে উপহার দেন। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষেই ডিসেম্বর রহস্যের উন্মোচন করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ডিসেম্বরে রাজ্যের সবচেয়ে বড় চোর ধরা পড়বে। 

    রাজ্যপালকে রিপোর্ট

    বুধবার বিকেলে রাজভবনে আনন্দ বোসের হাতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি রিপোর্ট তুলে দেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, “পশ্চিমবঙ্গে শাসকের আইন চলে, আইনের শাসন চলে না।” রাজ্যের সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে রাজ্যপালকে বোঝানোর জন্যই এই রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয়েছে। শুভেন্দু বলেন, “ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে বইটি প্রকাশ করেছে, সেই বইটি তাঁর অনুমতি নিয়ে তাঁকে উপহার দিয়েছি। উনি এসেছেন সংবিধানকে রক্ষা করার জন্য। যাতে সরকার ফর দা পার্টি, বাই দা পার্টি, অব দা পার্টি না চলে… যাতে সরকার ফর দা পিপল, বাই দা পিপল, অব দা পিপল চলে… জাতীয় মানবাধিকার কমিশন পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে যা বলে গিয়েছে, তা প্রথমদিন রাজ্যপালের কাছে বিরোধী দলনেতা হিসেবে তুলে দেওয়া আমার দায়িত্ব ছিল। বিরোধী দলনেতার পদকে আমি সম্মান করি। তার দায়িত্বটাও বুঝি। সেটাই পালন করেছি।” রাজ্যপাল সংবিধানকে রক্ষা করবেন। সংবিধানের যে চারটি স্তম্ভ রয়েছে – বিধানসভা, আমলা, বিচারব্যবস্থা ও সংবাদমাধ্যম যাতে আক্রান্ত না হয় তা উনি দেখবেন বলে আশাপ্রকাশ করেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: রাজ্যপালের শপথ অনুষ্ঠানে গরহাজির শুভেন্দু-সুকান্তরা, কেন?

    ডিসেম্বর তত্ত্ব

    গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে মাসখানেক আগে থেকেই বারবার ডিসেম্বর তত্ত্বের কথা উঠে এসেছে। অনেকেই বলছেন সরকার বদলাবে। অনেকে বলছেন অপেক্ষা করুন, কী হবে দেখাই যাবে। তবে এদিন নয়া রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর ডিসেম্বরে কী হতে চলেছে তা পরিষ্কার করে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “ডিসেম্বরে রাজ্যের সবথেকে বড় চোর ধরা পড়বে। বিধায়ক ভাঙিয়ে নয়, ভোটে জিতে সরকার গড়বে বিজেপি।” তবে রাজ্যের সবথেকে বড় চোর কে সে প্রসঙ্গে খোলসা করে কিছু বলেননি শুভেন্দু। তাঁর কথায়, সময় হলেই সবাই সব কিছু দেখতে পাবে। সত্যি সামনে আসবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘অপেক্ষা করুন, ছবি আসছে, সব সামনে আসবে!’’ শুভেন্দুর নিশানায় কে?

    Suvendu Adhikari: ‘‘অপেক্ষা করুন, ছবি আসছে, সব সামনে আসবে!’’ শুভেন্দুর নিশানায় কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারদা-তদন্ত পুরনো হয়নি। অপেক্ষা করুন ছবিটা সামনে আসবে। নাম না করে ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একের পর এক দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেন বিজেপি নেতা। সারদার ছবি বিক্রির টাকা নিয়ে প্রশ্নও তুললেন শুভেন্দু অধিকারী।

    সারদা প্রসঙ্গে শুভেন্দু

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে তৃণমূলের মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্য, নিয়োগ কেলেঙ্কারি ও পাচার কাণ্ডের বিরুদ্ধে রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার ডাকে সোমবার কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল হয়। পরে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলের সভায় শুভেন্দু বলেন,সারদা মামলা ও ছবি বিক্রির প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, “এই তো সবে সকাল। ছবি কেনাটা তো আসছে। সুদীপ্ত সেন, গৌতম কুণ্ডুরা কার ছবি কিনেছিলেন? লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির? ভেবেছিলেন সারদা পুরনো হয়ে গিয়েছে। অপেক্ষা করুন। ছবি আসছে। সব সামনে আসবে।” ফের তথ্য ফাঁসের হুঁশিয়ারিও দেন শুভেন্দু। পাশাপাশি এদিন চাকরিপ্রার্থীদের হয়েও সুর চড়ান তিনি। ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রীকে বারবার বলতে শোনা গিয়েছিল, ”ছবি বিক্রির টাকায় আমি দল চালাব।” কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা ছবির মূল্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন চিত্রকলা বিশেষজ্ঞরা। এবার তাই নিয়ে তৃণমূল শিবিরকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু।  তিনি বলেন, ”সারদাকাণ্ড নিয়ে ফের এগোবে ইডি। সারদাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত রজত মজুমদারের ২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছেন গোয়েন্দারা। শুক্রবারও গভীর রাত পর্যন্ত জেরা করা হয়েছে তাঁকে।”

    আরও পড়ুন: রাজ্যে সরকারের পতন আসন্ন! ফের ডিসেম্বর ডেডলাইনের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    সারদা-মন্তব্যে সমালোচনা

    মা সারদা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে চলতি বছরের জুনে উলুবেড়িয়া উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক চিকিৎসক নির্মল মাঝি-র মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মা সারদার কথা টেনে বিতর্ক বাঁধিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। তারই প্রেক্ষিতে নির্মলের নাম না করে কড়া সমালোচনা করেছিল রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন কর্তৃপক্ষ। কেন সারদা মায়ের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনা? ব্যাখ্যা চেয়েছিল মিশন কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে সোমবার নির্মল মাঝিকেও আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘তোলামূলের সংস্কৃতি কী? বলছে মা সারদা নাকি জন্মেছেন কালীঘাটে (Kalighat)’? মহুয়া মৈত্রকে আলট্রা মডার্ন-অতিশিক্ষিত তৃণমূলের জনপ্রিয় সাংসদ হিসেবে ব্যাখ্যা করে, তাঁর সাম্প্রতিক বিতর্কিত কালী মন্তব্যের কথাও তুলে ধরেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, “এই কথা যদি উত্তর প্রদেশে বা রাজস্থানে বলতেন, দোকানে আলকাতরা থাকত না। আজ এদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: ‘কয়লা পাচারের হাজার কোটি টাকা গিয়েছে…’, কাকে নিশানা করলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ‘কয়লা পাচারের হাজার কোটি টাকা গিয়েছে…’, কাকে নিশানা করলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচারকাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, কয়লা পাচারের হাজার কোটি টাকা গিয়েছে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কাছে। তবে কার কাছে সে টাকা গিয়েছে, তাঁর নাম নিলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর নিশানায় কে, তাও খোলসা করলেন না নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিধায়ক।

    ইডি এবং সিবিআই…

    কয়লাপাচারকাণ্ডের মূল পৌঁছতে তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই। তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এনিয়ে জেরাও করেছে তারা। অভিযান চালানো হয়েছে তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে। কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তৃণমূলের সওকত মোল্লাকেও। এঁদের প্রত্যেকেরই দাবি, কয়লা পাচারের সঙ্গে এঁদের কোনও যোগ নেই। কেবল রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে একাজ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এহেন আবহে বিস্ফোরক দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার।

    শুক্রবার ইডির দেওয়া চার্জশিটের প্রিন্ট আউট বলে দাবি করা কিছু কাগজ দেখিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, কয়লা দুর্নীতির সঙ্গে একটা বড় চক্র যুক্ত। তাতে রাজনৈতিক প্রভাবশালীও যুক্ত রয়েছে। আয়কর হানায় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার যে দু্র্নীতির হদিশ মিলেছে, তার মধ্যে এক হাজার কোটি টাকা গিয়েছে এক রাজনৈতিক প্রভাবশালীর কাছে। যিনি পুলিশ ও প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করেন।

    আরও পড়ুন: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    স্ব-বক্তব্যের দাবির সমর্থনে শুভেন্দু  (Suvendu Adhikari) এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত গুরুপদ মাজিকে দেওয়া ইডির দুশো পাতার চার্জশিরের কয়েকটি পাতার নম্বর উল্লেখ করে বলেন, এই চার্জশিটের কপি এখন জনসমক্ষে রয়েছে। আপনারা একটু কষ্ট করে দেখে নিন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, কয়লা দুর্নীতির সঙ্গে একটা বড় চক্র যুক্ত রয়েছে। তাতে যুক্ত রয়েছে রাজনৈতিক প্রভাবশালী লোকেরা। ১২ ডিসেম্বর মামলা সুপ্রিম কোর্টে নির্দিষ্ট হয়েছে। তাই আমি ডিটেলস তথ্য প্রমাণ আপনাদের কাছে বলছি না। তিনি বলেন, এই মামলার মূল লাভবান, হাজার কোটি টাকা গেছে, তাঁর লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানিতে গেছে। মামলা সুপ্রিম কোর্টে আছে ১২ ডিসেম্বর। এদিন তৃণমূলের জেলবন্দি নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও একহাত নেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বলেন, যাঁরা লুঠেরাদের সমর্থন করেন, তাদের কাছ থেকে আমরা শিখব না।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Suvendu Adhikari: বিধানসভার সচিবের নিয়োগ ইচ্ছে করে করছে না রাজ্য সরকার, দাবি শুভেন্দু অধিকারীর

    Suvendu Adhikari: বিধানসভার সচিবের নিয়োগ ইচ্ছে করে করছে না রাজ্য সরকার, দাবি শুভেন্দু অধিকারীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় প্রথমবার ঘটল এমন ঘটনা। আর যে ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তবে কী এমন ঘটল? জানা গিয়েছে, রাজ্য বিধানসভার এক অনুষ্ঠানে এই প্রথম কোনও বিরোধী দলনেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে এমনটাই দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এর পাশাপাশি তিনি আজ রাজ্য সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিধানসভা সচিবের নিয়োগ নিয়েও। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিধানসভার সচিবের নিয়োগে বাধা দিচ্ছে রাজ্য সরকার।

    বিধানসভা সচিব নিয়োগের দাবিতে সরব হলেন শুভেন্দু

    আজ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সাংবাদিক বৈঠক করে ফের রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন। আগেও একাধিক বিষয়ে শাসকদলের বিভিন্ন দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি। আর এবার তিনি অভিযোগ করেছেন যে, বিধানসভা সচিব পদে স্থায়ী নিয়োগ করছে না রাজ্য সরকার। এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চাইলেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি বিরোধীদের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে এমন করছে রাজ্য সরকার।

    তিনি সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, রাজ্য বিধানসভার সচিব পদে নিয়োগ করে হাইকোর্ট। সেই পদে ২ মাস আগে ভাস্কর ভট্টাচার্যের নাম সুপারিশ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তর। কিন্তু আজও ভাস্করবাবুকে নিয়োগ দেয়নি রাজ্য। তিনি আরও বলেন, বিধানসভায় কোনও পক্ষপাতিত্ব হলেই বিরোধীরা অভিযোগ জানাতে পারে সচিবের কাছে। কিন্তু এই সচিবের পদেই নিয়োগ করা হচ্ছে না। তাই তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি প্রধান বিচারপতির কাছে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবেদন করবেন (Suvendu Adhikari)।

    বিধানসভার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বিরোধী দলনেতাকে…

    আবার আজ তিনি বিধানসভার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না পাওয়ার জন্য তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন (Suvendu Adhikari)। বিধানসভার চত্বরে আগামী শুক্রবার একটি নতুন ভবনের উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে। সেটি উদ্বোধন করবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার ওই নতুন ভবনে থাকবে মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি। ভবনটির নাম মিলেনিয়াম বিল্ডিং। শুক্রবার দুপুর দেড়টা নাগাদ ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান রয়েছে। আর এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই ডাকা হয়নি রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। রাজ্য বিধানসভার সব অনুষ্ঠানেই কার্ডে বিরোধী দলনেতার নাম থাকার রীতি রয়েছে, তবে এবারে এই তৃণমূল সরকার সেই রীতি লঙ্ঘন করায় ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। তিনি দাবি করেন, বিধানসভায় এই ঘটনা প্রথমবার ঘটল।

    অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পত্রে যে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) নাম নেই, সেই বিষয়ে প্রথমে জানায় বিজেপি পরিষদীয় দলের সদস্যরা। প্রথমত তাঁরাই দাবি করেন, ওই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে নাম নেই শুভেন্দুর। তারপর এই বিষয়ে শুভেন্দুকে জানানো হলে তিনি সাংবাদিকদের এই কথা বলেন। আবার এদিন বিজেপি বিধায়করা জানিয়েছেন, আমন্ত্রণপত্রে শুভেন্দুর নাম না থাকায় ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না তাঁদের দাবি, রীতি অনুযায়ী বিধানসভার কোনও অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে নাম থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, পরিষদীয় মন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতার। এ ক্ষেত্রে আমন্ত্রণপত্রে শুধু মাত্র নাম রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ও স্পিকারের।

  • CV Ananda Bose: বুধে শপথ, কলকাতায় এলেন বাংলার নয়া রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: বুধে শপথ, কলকাতায় এলেন বাংলার নয়া রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার রাজ্যের স্থায়ী রাজ্যপাল (Governor) হিসেবে শপথ নেবেন তিনি। তার একদিন আগে মঙ্গলবার কলকাতায় পৌঁছলেন বাংলার নয়া রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, শশী পাঁজা, রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং রাজ্যের ডিজিপি ও পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। বিমানবন্দরেই নয়া রাজ্যপালকে দেওয়া হয় গার্ড অফ অনারও।

    দিন কয়েক আগে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে প্রকাশ করা হয়েছিল সি ভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) নিয়োগ সংক্রান্ত চিঠি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষরিত সেই চিঠিতে লেখা ছিল, সি ভি আনন্দ বোসকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ করা হল। তিনি যে দিন থেকে দায়িত্ব নেবেন, সেই দিন থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর হবে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ রাজ্যপালের বিমান অবতরণ করে। গার্ড অফ অনার সহ স্বাগত পর্ব শেষ হওয়ার পর বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে করে রওনা দেন বাংলার নয়া রাজ্যপাল।

    সি ভি আনন্দ বোস…

    পদবি বোস হলেও বাংলার নয়া রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বাঙালি নন। কথা প্রসঙ্গে তিনি জানান, নেতাজির প্রতি ভালবাসা ও শ্রদ্ধার কারণে বোস পদবি ব্যবহার করেন তিনি ও তাঁর পরিবার। বাংলার রাজ্যপাল পদে নিযুক্ত হওয়ার আগে মেঘালয় সরকারের উপদেষ্টা পদে ছিলেন প্রাক্তন এই আইএএস। তারও আগে ছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সচিব। কেরল সরকারের বিভিন্ন দফতরের প্রধান সচিব হিসেবেও পালন করেছেন নানা দায়িত্ব। বাংলার নয়া রাজ্যপাল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে মোট পুরস্কার পেয়েছেন ২৯টি। বিভিন্ন ভাষায় লিখেছেন ৪০টি বই। এর মধ্যে কয়েকটি তো আবার বেস্টসেলারও। সুবক্তা হিসেবে পরিচিতিও রয়েছে বাংলার নয়া রাজ্যপালের।

    আরও পড়ুন: বুধবার থেকে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার শুরু মহাগুরুর! আজ, শহরে মিঠুন

    বাংলার নয়া রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে (CV Ananda Bose) স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, নতুন রাজ্যপালকে নিয়ে আমাদের অনেক আশা।ওঁর সম্পর্কে যা শুনেছি, তাতে মনে হয়, উনি দারুণ কাজ করবেন। প্রসঙ্গত, উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় নির্বাচিত হওয়ার পর বাংলার অস্থায়ী রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলেছিলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল লা গণেশন। এবার ফের স্থায়ী রাজ্যপাল পাচ্ছে বাংলা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যে সরকারের পতন আসন্ন! ফের ডিসেম্বর ডেডলাইনের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্যে সরকারের পতন আসন্ন! ফের ডিসেম্বর ডেডলাইনের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে খুব শীঘ্রই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পতন হবে। রাজ্যে সরকার ‘আর টিকবে না’ বলে আবারও হুমকি দিলেন বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়,’দেখতে থাকুন, মহারাষ্ট্রের পর ঝাড়খণ্ড, ঝাড়খণ্ডের পর পশ্চিমবঙ্গ। দেখতে থাকুন।’ ফের ডিসেম্বর ডেডলাইনের উপরই জোড় দিলেন বিজেপি নেতা। শিক্ষক নিয়োগ, কর্মী নিয়োগ থেকে শুরু করে কয়লা পাচার, গরু পাচার হরেক দুর্নীতিতে জর্জরিত তৃণমূল সরকার। তাই এই সরকারের আয়ু আর বেশি দিন নেই বলেই অভিমত, শুভেন্দুর।

    আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি! আদালতে ফের সরব শুভেন্দু

    কী বললেন শুভেন্দু

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে তৃণমূলের মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্য, নিয়োগ কেলেঙ্কারি ও পাচার কাণ্ডের বিরুদ্ধে রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার ডাকে সোমবার কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল হয়। পরে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলের সভায় শুভেন্দু বলেন, “মানুষ সব দেখছে। এই সরকার আর টিকবে না। মহারাষ্ট্র,ঝাড়খণ্ডের পরই পশ্চিমবঙ্গ। আপনারা শুধু অপেক্ষা করুন আর দেখতে থাকুন।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম সরাসরি না করে তাঁর দাবি, “শুধু ভাতিজা (ভাইপো) নয়, বুয়াকেও (পিসি) ভেতরে (জেলে) যেতে হবে।” শুভেন্দুর আরও দাবি, “রাজ্যের একাধিক শিল্পপতি, সুদীপ্ত সেন, গৌতম কুণ্ডুরা কেন বাংলার লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির ছবি কিনেছে সব সামনে আসবে। অপেক্ষা করুন।” 

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্যের জের, প্রতিবাদে পথে জনজাতি সমাজ

    সুকান্তর নিশানা

    এদিন মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, মোর্চার সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তী প্রমুখ। লকেটের অভিযোগ, “মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে প্রতিদিন রাজ্যে নারী নির্যাতন বাড়ছে। নারীরা সুরক্ষিত নন।” অখিলের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। সুকান্ত বলেন, “ডিসেম্বরে যত ঠান্ডা পড়বে ততই কাঁপুনি বাড়বে তৃণমূলের। গোটা মন্ত্রিসভা জেলের ভেতরে থাকবে।” বেশ কয়েক মাস ধরেই বারবার ডিসেম্বর-ডেডলাইনের কথা শোনা যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের গলায়! গত  অগাস্ট মাসেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন,’ছ’মাস তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে না৷ তার আগেই ডিসেম্বরের মধ্যে ঝাপ গুটিয়ে যাবে তৃণমূলের’। গত সেপ্টেম্বরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষও বলেন, ‘ভোট এখন নেই, হয়তো ডিসেম্বরের বিধানসভা ভোটটা  হয়ে যেতে পারে’। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share