Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু  

    Suvendu Adhikari: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিকুঞ্জের সামনে অশান্তি পাকাচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (TMCP)! রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বাড়ির সামনে জমায়েত করছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের হাতে লাল গোলাপ ও গ্রিটিংস কার্ড। কার্ডে লেখা, ‘গেট ওয়েল সুন…!’ ঘটনার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। চাইলেন সিবিআই (CBI) তদন্তও।

    ঘটনার সূত্রপাত…

    ঘটনার সূত্রপাত দিন দুই আগে। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) একটি ট্যুইট প্রসঙ্গে তৃণমূলের (TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, শুভেন্দু মানসিকভাবে সুস্থ নেই। তাঁর আরোগ্য কামনা করে চিঠি পাঠানো হবে। সেই কর্মসূচির নাম হবে গেট ওয়েল সুন। কুণালের এই মন্তব্যের পর থেকেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা- কর্মী-সমর্থকরা দলে দলে ভিড় করতে থাকেন শুভেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের সামনে।

    ঘটনা প্রসঙ্গে একটি ট্যুইট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। লেখেন, মমতার পুলিশ পাঁচ পয়সার মতো দু মুখো ও অপদার্থ। এক দিকে চাকরিপ্রার্থীরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে এক কিলোমিটার আগে তাঁদের আটকে, অমানবিকভাবে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে। অন্য দিকে যখন আমার বাড়ির সামনে গুন্ডারা গন্ডগোল বাঁধায়, তখন তাদের নেতৃত্ব দেয় সেই পুলিশই। আমি বেরিয়ে যাওয়ার পর তারা বাড়ির সামনে গিয়েছিল। এটা জেনেই যে, ওই সময় বাড়িতে আমার ৮৪ বছরের বৃদ্ধ বাবা শিশির অধিকারী ও ৭৫ বছরের বৃদ্ধা মা গায়ত্রী অধিকারী আছেন। ওদের উদ্দেশ্য ছিল, বাড়ির বাইরে অশ্রাব্য স্লোগান দিয়ে আমার বৃদ্ধ বাবা-মাকে বিরক্ত করা।

    আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কাঁথির বাড়ি থেকে বের হন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এর কিছুক্ষণ পরেই গ্রিটিংস কার্ড ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে শুভেন্দুর বাড়ির সামনে ভিড় করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন কয়েকজন। ঘণ্টাখানেক পর পুলিশই তাঁদের কাছ থেকে শুভেন্দুকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গ্রিটিংস কার্ড নেয়।

    এদিন হাইকোর্টে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী জানান, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান। অথচ তাঁর বাড়ির সামনে গিয়ে জমায়েত করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, অশালীন মন্তব্য করা হচ্ছে। এতে তাঁর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর পিছনে কোনও বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বাড়ির সামনে জমায়েত অবৈধ, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বাড়ির সামনে জমায়েত অবৈধ, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বাড়ির সামনে জমায়েত অবৈধ। শুভেন্দুর কাঁথির বাড়ি শান্তিকুঞ্জের সামনে মিছিলও করতে পারবে না তৃণমূল (TMC)। মিছিল যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। বুধবার সাফ জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

    শান্তিকুঞ্জের সামনে অশান্তি…

    গত দু দিন ধরে শান্তিকুঞ্জের সামনে অশান্তি পাকাচ্ছে তৃণমূল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বাড়ির সামনে জমায়েত করছেন তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের হাতে লাল গোলাপ ও গ্রিটিংস কার্ড। কার্ডে লেখা, ‘গেট ওয়েল সুন…!’ ঘটনার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। চান সিবিআই তদন্তও। বুধবার হয় ওই মামলার শুনানি।

    এদিন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী আদালতে জানান, ভাসবাসার নাম করে ফুল নিয়ে গিয়ে বাড়ির সামনে কর্মসূচি করা হচ্ছে। তখনই শুভেন্দুর আইনজীবীকে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, হতে পারে আপনাকে তাঁরা ভালবাসে। শুভেন্দুর আইনজীবী পাল্টা বলেন, ফুল নিয়ে গিয়ে অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ করাকে কি ভালবাসা বলে? তখনই রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, তাহলে বেশি ভালবাসবেন না। মধুমেহ (ডায়বেটিস) হয়ে যেতে পারে। এর পরই আদালত নির্দেশ দেয়, বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনে জমায়েত করা যাবে না। এ রকম জমায়েত যাতে না হয়, তা কাঁথি থানাকে নিশ্চিত করতে বলবেন পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার। আগামী শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানি হবে।

    আরও পড়ুন: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বাড়ির সামনে জমায়েত না করার নির্দেশের পাশাপাশি রাজ্যের কাছে এই ঘটনা সম্পর্কে রিপোর্টও তলব করা হয়। বিচারপতি জানান, নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল, তার রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে।

    প্রসঙ্গত, এই ঘটনার সূত্রপাত দিন তিনেক আগে। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) একটি ট্যুইট প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, শুভেন্দু মানসিকভাবে সুস্থ নেই। তাঁর আরোগ্য কামনা করে চিঠি পাঠানো হবে। সেই কর্মসূচির নাম হবে গেট ওয়েল সুন। কুণালের এই মন্তব্যের পর থেকেই তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা দলে দলে ভিড় করতে থাকেন শুভেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের সামনে। পাকাতে থাকেন অশান্তি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পেও দুর্নীতি! এমন অভিযোগ আগেই করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর এবারে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১০০ দিনের কাজে রাজ্য সরকার কারচুপি করে টাকা নয়ছয় করেছে, এমনটা অভিযোগ এনে আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। আর এবারে সরাসরি কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছে গিয়েছেন ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা তছরুপ করার অভিযোগ এনে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

    ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতি

    রাজ্যে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে, এমন অভিযোগ আগেই উঠেছিল। আর এই নিয়ে অনেক সমালোচনারও সৃষ্টি হয়েছিল। আর এই নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি দাবি করেছেন যে, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র থেকে যে টাকা রাজ্য সরকারকে দেওয়া হয়, সেই টাকা নিয়ে নয়ছয় করেছে রাজ্য সরকার। কোনও কাজ না দিয়েই অন্য জায়গায় টাকা খরচ করার পর দুর্নীতি লুকোতে মানুষকে ভুল শংসাপত্র দিয়েছে মমতা ব্যানার্জির সরকার। আর এমনটাই জানানো হয়েছে নরেন্দ্র মোদিকে পাঠানো চিঠিতে।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্যের জের, প্রতিবাদে পথে জনজাতি সমাজ

    জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    এই ইস্যুতে এবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, তথ্যে কারচুপি করা হচ্ছে। টেন্ডার না হওয়া তথ্য তুলে ধরে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এলাকায় প্রকৃত জনসংখ্যার থেকে বেশি সংখ্যক জব কার্ড হোল্ডার রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

    তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দেওয়ার আর্জি

    মামলা দায়ের করার পাশাপাশি বিষয়টির তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আর্জিও করেছেন তিনি (Suvendu Adhikari)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে বলে সম্ভাবনা রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্য প্রশাসনের! শুভেন্দুকে সভার অনুমতি আদালতের 

  • Suvendu Adhikari: ডেঙ্গি ইস্যুতে বিজেপির বিক্ষোভে তপ্ত বিধানসভা, মশারি বিলি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ডেঙ্গি ইস্যুতে বিজেপির বিক্ষোভে তপ্ত বিধানসভা, মশারি বিলি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি (Dengue) ইস্যুতে বিজেপি (BJP) বিধায়কদের বিক্ষোভের জেরে তপ্ত বিধানসভা। পদ্ম শিবিরের আনা মুলতুবি প্রস্তাব গৃহীত না হওয়ায় মঙ্গলবার বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভা চত্বরে তাঁরা মশারি ও মশার মডেল নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। বিধানসভার বাইরে পথ চলতি মানুষদের মশারিও বিলি করা হয় বিজেপির তরফে। এদিন বাইরে বেরিয়ে বাসে বাসে মশারি বিলি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পদ্ম শিবিরের অন্য বিধায়করাও।

    দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ডেঙ্গি…

    কিছুদিন আগে পর্যন্তও রাজ্যে চোখ রাঙিয়েছিল করোনা। করোনা পিছু হঠতেই এবার কলকাতায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ডেঙ্গি। কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে ডেঙ্গি রোধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে পথে নামে বিজেপি। ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত রোধে রাজ্য সরকার ব্যর্থ, এই অভিযোগ তুলে এদিন বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনেন শিলিগুড়ির বিধায়ক বিজেপির শঙ্কর ঘোষ। বিজেপি বিধায়করা জানান, রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনাও করতে চান তাঁরা। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, মুলতুবি প্রস্তাব গৃহীত হলে বিধানসভায় আলোচনায় অংশ নেবেন বিজেপি বিধায়কররা। তবে সে প্রস্তাব নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার অনুমতি দেননি অধ্যক্ষ। এরই প্রতিবাদে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা।

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, আমাদের মুলতুবি প্রস্তাব পড়তে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে কোনও আলোচনা করতে দেওয়া হয়নি। আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে অধ্যক্ষকে জানিয়েছিলাম যে বিধানসভায় তো স্বাস্থ্যমন্ত্রী বা স্বাস্থ্য দফতরের কেউ আসেন না। তাই আমাদের অনুরোধ ছিল, রাজ্য সরকারের কোনও মন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে জানান, এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি পরিস্থিতির মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার বিরোধী পক্ষের কোনও বক্তব্য শুনতে নারাজ। শুভেন্দু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এতদিন পর সোমবার একটি রিভিউ মিটিং ডাকেন। আজ অধ্যক্ষ আমাদের বললেন মুলতুবি প্রস্তাব বিধানসভায় পড়তে পারাই যথেষ্ট। তাই আমরা বিক্ষোভ দেখাই।

    আরও পড়ুন: ‘কয়লা পাচারের হাজার কোটি টাকা গিয়েছে…’, কাকে নিশানা করলেন শুভেন্দু?

    বিধানসভা চত্বরে একপ্রস্ত বিক্ষোভ দেখানোর পর শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), মনোজ টিগ্গা, অগ্নিমিত্রা পাল সহ একাধিক বিজেপি বিধায়ক বিধানসভা লাগোয়া রাস্তায় ডেঙ্গি ইস্যুতে রাজ্য সরকারের ভূমিকার প্রতিবাদ করেন। প্রতীকী মশা নিয়ে, মশারির মধ্যে ঢুকে প্রতিবাদ করেন তাঁরা। বিলি করেন মশারিও। এদিকে, সোমবার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের এলাকা চেতলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। ডেঙ্গি পরিস্থিতির মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপও দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি! আদালতে ফের সরব শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি! আদালতে ফের সরব শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে আদালতে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বারবার অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি। এই নিয়ে আদালতে মামলাও দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা।

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্য প্রশাসনের! শুভেন্দুকে সভার অনুমতি আদালতের 

    কী অভিযোগ

    কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের রিপোর্ট তুলে ধরে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতির হদিশ মিলেছে। তাঁর দাবি,’কয়েকটি ক্ষেত্রে জেলাশাসক ও বিডিও-র এফআইআরের সুপারিশ কার্যকর করা হয়নি। বহু ব্লকে জনসংখ্যার তুলনায় জবকার্ড বেশি রয়েছে।’ বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ব্যক্তিরও জবকার্ড রয়েছে, অভিযোগ বিরোধী নেতার। ২০১১ থেকে ২০২২ এর মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ জবকার্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ হাইকোর্টে অতিরিক্ত হলফনামা পেশ করেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্যের জের, প্রতিবাদে পথে জনজাতি সমাজ

    বহু দিনের অভিযোগ

    বাংলায়(Bengal) ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে(100 Days Work Project) দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে ভুরি ভুরি, এমন অভিযোগ বঙ্গ বিজেপির নেতাদের। তাঁদের সেই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দফায় দফায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে মোদি সরকার(Modi Government)। সেই প্রতিনিধিদল নানা জায়গায় ঘুরে বেশ কিছু ক্ষেত্রে গরমিল খুঁজে পান। সেই সম্পর্কে তাঁরা রিপোর্টও পাঠান কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে। সেখান থেকে আবার চিঠি আসে নবান্নে(Nabanna)। যেখানে যেখানে গরমিল হয়েছে ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রে সেই সব জায়গায় পদক্ষেপ করুক রাজ্য সরকার, এমনটাই ছিল কেন্দ্রের চিঠিতে। ১০০ দিনের কাজে রাজ্য সরকার কারচুপি করে টাকা নয়ছয় করেছে, এমনটা অভিযোগ এনে আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি লিখেছিলেন বিরোধী দলনেতা। তারপর কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছে যান তিনি। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা তছরুপ করার অভিযোগ এনে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন শুভেন্দু অধিকারী। এই মর্মে আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন ছিল সেই মামলার শুনানি। পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: রবিবার সরকারি অফিসে চলছে গোপনে জমির পাট্টা বিতরণ? বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রবিবার সরকারি অফিসে চলছে গোপনে জমির পাট্টা বিতরণ? বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই একাধিক প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে গেছে রাজ্যজুড়ে। আর এবার তাকে ঘিরেই রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে এক বড়সড় অভিযোগ আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্যুইট করে তিনি বিস্ফোরক অভিযোগ এনে লেখেন, রবিবার ছুটির দিনে রাতের অন্ধকারে সরকারি অফিস খোলা। এর আগেও ছুটির দিনে রাতের অন্ধকারে সরকারি অফিস খোলা থাকা নিয়ে শুভেন্দুকে একাধিক অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে। আর এবারও একই দাবিতে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)।

    ট্যুইট করে কী লিখলেন?

    তিনি (Suvendu Adhikari) গতকাল ট্যুইট করে লিখেছেন, “রবিবার, ছুটির দিনের সন্ধ্যায়, রাজ্য সরকারের নির্দেশে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ভোটারদের প্রলুব্ধ করার জন্য লুকিয়ে জমির পাট্টা বিতরণ করতে রাজ্য জুড়ে বিএলআরও অফিসগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে।” তিনি অফিস খোলা থাকার ভিডিও পোস্ট করে আরও লিখেছেন, “অতি দ্রুততার সঙ্গে, গোপনে জমিগুলির পাট্টা সংক্রান্ত নথিপত্র প্রস্তুত করার উদ্দেশে কোনওরকম সমীক্ষা, মাঠ খসড়া, জরিপ ছাড়াই জমিগুলির কাগজপত্র তৈরি করা হচ্ছে। এই সকল জমির মধ্যে শ্মশান, কবরস্থান, চা বাগান, বনভূমি, সমাধিস্থল, জনজাতিদের স্বতন্ত্র ব্যবহার্য জমি ইত্যাদি রয়েছে। কারোর সম্পত্তি অথবা ব্যবহারের অধিকার কেড়ে নিয়ে অন্য কাউকে এভাবে দেওয়া যায় না। এটাই ক্ষমতার অপব্যবহার। এর ফলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে।” 

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের বরাদ্দ পেলেও জুটছে না খাবার, মানসিক রোগীদের পরিষেবার উন্নতি নেই রাজ্যে

    তিনি (Suvendu Adhikari) রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করে প্রশ্ন করেছেন, ‘এত তাড়া কিসের? কেন এত লুকোচুরি? ছুটির দিন, রাতের অন্ধকারে এই বিশেষ কাজ করে কিসের বিনিময়ে, কাদের সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে?” তাই তিনি সবাইকে সজাগ থাকার জন্য অনুরোধ করছেন। আর এধরণের চক্রান্ত থেকে দূরে থাকতে স্থানীয় ভাবে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য বলেছেন।   

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ

    এর আগেও শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) শাসকদলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন যে, সরকারের ৮০ শতাংশ লোকই নাকি তৃণমূল কে রাজ্য থেকে সরাতে তাঁকে সাহায্য করছেন। তাঁদের বক্তব্য যে, “এই সরকারকে সরান, আর পারছি না।” এছাড়াও শুভেন্দু গত শুক্রবার আরও এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনে বলেন যে, কয়লা পাচার কাণ্ডে যুক্ত আছেন রাজনৈতিক প্রভাবশালীরাও। ২৪০০ কোটি টাকা কয়লা কাণ্ডে কেলেঙ্কারির হদিশ মিলেছে। এর মধ্যে ১ হাজার কোটি টাকা গিয়েছে এক রাজনৈতিক প্রভাবশালীর কাছে। আর সেই প্রভাবশালীই এ রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করেন। এই সব অভিযোগের পরে শাসক দলের বিরুদ্ধে পাট্টা বিতরণের এমন অভিযোগ আনায় ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য জুড়ে।

  • Mamata Banerjee: কেন্দ্রের টাকায় খয়রাতি, ‘দোষ’ ঢাকতে একশো দিনের প্রকল্প নিয়ে কী বললেন মমতা?

    Mamata Banerjee: কেন্দ্রের টাকায় খয়রাতি, ‘দোষ’ ঢাকতে একশো দিনের প্রকল্প নিয়ে কী বললেন মমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার বলেছিলেন কেন্দ্রের টাকায় বয়েই গেছে! আর ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই ভোল বদল মুখ্যমন্ত্রীর। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়িতে বিরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ভাবগম্ভীর ওই সরকারি অনুষ্ঠানেই তিনি বলেন, টাকা পেতে কি পায়ে ধরতে হবে? কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগও আনেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, রাজ্যকে প্রাপ্য টাকাই দেওয়া হচ্ছে না।

    খয়রাতির সূত্রপাত…

    রাজ্যের কুর্সি দখল করতে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নানা প্রতিশ্রুতি দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এর একটি হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। অভিযোগ, এই ভাণ্ডারে টাকা দিতে নানা প্রকল্পে দেওয়া কেন্দ্রের টাকা খরচ করা হচ্ছে। তার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একশো দিনের কাজের মতো বিভিন্ন প্রকল্প। তার পরেও প্রতিটি জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে চলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, জিএসটির নামে রাজ্য থেকে টাকা তুলছে কেন্দ্র। যদিও রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না।

    এদিনের অনুষ্ঠানের আগাগোড়াই কেন্দ্রকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেন্দ্র সরকার মানুষের পকেট কেটে টাকা নিয়ে যাচ্ছে। মানুষকে বঞ্চনা করছে। আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যকে প্রাপ্য টাকাই দিচ্ছে না। একশো দিনের কাজের টাকা বাধ্যতামূলক। মমতা বলেন, আমি গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এসেছি। এবার কি পায়ে ধরতে হবে? আমাদের টাকা আমাদের দিতে হবে, নইলে গদি ছাড়তে হবে।

    কেন্দ্র গ্রামীণ রাস্তা তৈরির টাকা দিচ্ছে না বলেও এদিন অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, গ্রামীণ রাস্তা তৈরির টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আমরাও তো বন্ধ করে দিতে পারি। এর পরেই স্বভাবসুলভ ভঙ্গীতে মমতা বলেন, কেন তোমায় জিএসটি দেব? একশো দিনের টাকা ফিরিয়ে দাও, নইলে গদি ছেড়ে দাও। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমার টাকা তুলে নিয়ে যাবে, আর আমাকে টাকা দেবে না, এটা হয় না। এটা মানুষকে প্রতারিত করা। তিনি বলেন, তাও আমার মনের জোর আছে। এটা কি জমিদারির টাকা? এটা মানুষের টাকা। তাঁর দাবি, একশো দিনের টাকা দিতে হবে।

    আরও পড়ুন: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    কেন্দ্রের পাশাপাশি এদিন মমতা (Mamata Banerjee) একহাত নেন বিজেপিকেও। তিনি বলেন, কিছু বিরোধী দল বাংলার উন্নয়ন চায় না, বিসর্জন চায়। তারা দিল্লিকে লিখে পাঠায় বাংলাকে টাকা দেবে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এরকম চলতে থাকলে একদিন আমি তীর-ধনুক নিয়ে, ধামসা মাদল নিয়ে রাস্তায় নামতে বলব। আমি আপনাদের সঙ্গে থাকব। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা রাজ্য সরকার খয়রাতিতে খরচ করছে বলে অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এনিয়ে তিনিই একাধিকবার চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রকে। নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী কি নিশানা করলেন তাঁকেই?

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: আজ বাঁকুড়ায় সভা শুভেন্দুর, আদালতের নির্দেশে নিরাপত্তায় সিআরপিএফ

    Suvendu Adhikari: আজ বাঁকুড়ায় সভা শুভেন্দুর, আদালতের নির্দেশে নিরাপত্তায় সিআরপিএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য প্রশসানের অনুমতি না মিললেও হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে আজ, মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারীর সভা হচ্ছে বাঁকুড়ার রাইপুরে। আদালতের নির্দেশেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে রাইপুরে সভা করবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। । প্রথমে শুধুমাত্র সভার কথা বলা হলেও পরে কর্মসূচীতে বদল আনা হয়েছে। সভার আগে হবে মিছিলও।

    আজকের কর্মসূচি

    হাই কোর্টের অনুমতি পাওয়ার পর আজ, মঙ্গলবার বেলা  ২ টোয় শুভেন্দু অধিকারী বাঁকুড়ায় রাইপুরের থানা গোড়া বাস স্ট্যান্ডে যাবেন। সেখান থেকে দলের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে মিছিলে হাঁটবেন তিনি। মিছিল করে তিনি যাবেন দেড় কিলোমিটার দূরে রাইপুর ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে। মিছিলে হাঁটার পথে রাস্তায় থাকা পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু ও সিধু কানহুর মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন তিনি। ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে মিছিল শেষ করে তিনি দলীয় সভা করবেন।  বিজেপির তরফে স্বাধীনতা সংগ্রামী আদিবাসী নেতা বিরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাইপুরে ওই সভার আয়োজন করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে করুচিকর মন্তব্য, অখিল গিরির পদত্যাগের দাবিতে রাজভবন অভিযান শুভেন্দুদের

    আদালতের নির্দেশ

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভায় পুলিশের সঙ্গে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সোমবার এমনই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। পুলিশের দাবি, অন্যত্র গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা জনিত ডিউটি থাকার কারণে ওই নির্দিষ্ট দিনে বিজেপির সভার জন্য প্রয়োজনীয় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা সম্ভব নয়। তার উপর রাইপুর থানা মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা ভুক্ত হওয়ায় পর্যাপ্ত বাহিনী মোতায়েন ছাড়া সভার জন্য ছাড়পত্র দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সভার জন্য অন্য কোনও দিন এবং জায়গা ঠিক করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এরপরই, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, বাঁকুড়ার রাইপুরে ওই সভায় পুলিশ কম থাকলে সিআরপিএফ নিরাপত্তা দেবে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। কত বাহিনী প্রয়োজন রাইপুর থানার সঙ্গে কথা বলে সিআরপিএফ-কে তা ঠিক করতে হবে। রাজ্যের বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও আজ থাকছেন ঝাড়গ্রামে। জেলার গোপীবল্লভপুরে সভা করবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এছাড়া আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় সভা করার পাশাপাশি তফসিলি উপজাতি সমাজের কোনও পরিবারের সঙ্গে এদিন মধ্যাহ্নভোজও সারতে পারেন তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্য, অখিল গিরির পদত্যাগের দাবিতে রাজভবন অভিযান শুভেন্দুদের

    Suvendu Adhikari: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্য, অখিল গিরির পদত্যাগের দাবিতে রাজভবন অভিযান শুভেন্দুদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্যের জের। রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরির (Akhil Giri) পদত্যাগ চেয়ে রাজভবন অভিযান করল বিজেপি। সোমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বাকি বিজেপি বিধায়করা রাজ্যপাল লা গণেশনের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে যান। সেখান থেকে সাংবাদিকদের শুভেন্দু বলেন, “দ্রুত অখিল গিরির পদত্যাগের নির্দেশ দিতে হবে। না হলে আগামী বিধানসভা অধিবেশনে প্রতিবাদ জোরাল হবে।”

    কী বলেন শুভেন্দু?

    এদিন বিরোধী দলনেতা বলেন, “একজন মাতৃসমা মহিলার প্রতি কদর্য ভাষায় কী করে কথা বলতে পারেন? ৭২ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি ওই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এখনও বরখাস্ত করা হয়নি অখিল গিরিকে। আমরা শনিবার থেকে রাজ্যপালকে মেইল করে বাধ্য হয়ে প্রায় ৫০ জন বিজেপি বিধায়ক এখানে এলাম। আজ রাজভবনে এসে আমরা লিখিতভাবে একটা দাবি জানালাম। এটা আমাদের আবেদন নয়। আমাদের দাবি। মুখ্যমন্ত্রী যখন কিছু করেননি, সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যপালের অধিকার আছে, উনি পদক্ষেপ নিতে পারেন। ইম্ফল, চেন্নাই বা দিল্লি যেখানেই থাকুন, মুখ্যমন্ত্রীকে বলুন যেন মন্ত্রিসভার রাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্যাক করেন। একজন রাষ্ট্রপতিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নিতেই হবে। লিখিতভাবে জানিয়ে এসেছি। এটা না করলে বিজেপি, সামাজিক সংগঠন, সংবেদনশীল নাগরিক প্রত্য়েকে প্রতিবাদ করবে। বিধানসভার আগামী অধিবেশনের আগে যদি এই মন্ত্রী বরখাস্ত না হন, বিজেপির বিধায়করা শিষ্টাচার মেনে জোরাল প্রতিবাদ বিধানসভার ভিতরেও করবে। এটাও আমরা জানাতে চাই।”

    আরও পড়ুন: রাজস্থানে নতুন রেল লাইনে বিস্ফোরণ, তদন্তে এনআইএ

    উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই, নন্দীগ্রামে এক অনুষ্ঠানে দেশের রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে অখিল গিরি বলেন, “বলে দেখতে ভালো নয়। কী রূপসী! কী দেখতে ভালো! আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে বাবা?” আর এই মন্তব্যের পরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানায় বিজেপি।

    এরপরেই, ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এক প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অখিল যে কথা রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে বলেছে তা ঠিক হয়নি। ও অন্যায় করেছে। আমি দলের পক্ষ থেকে ও সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইছি। দলের তরফ থেকে অখিলের মন্তব্যের নিন্দা করা হয়েছে। তাঁকে সতর্কও করা হয়েছে। শুধু রং দিয়ে সৌন্দর্য্য বিচার করা যায় না। বর্তমান রাষ্ট্রপতিকে আমি খুবই সম্মান ও মর্যাদা করি। তিনি খুবই ভালো ও মধুর স্বভাবের মহিলা, তাঁকে খুবই পছন্দ করি আমি।”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকই ‘কয়লা ভাইপো’? মেনে নিচ্ছে তৃণমূল?

    Abhishek Banerjee: অভিষেকই ‘কয়লা ভাইপো’? মেনে নিচ্ছে তৃণমূল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) একটি ট্যুইট নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।

    বিষয়টা ঠিক কী? রবিবার বিকেলে ট্যুইটারে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘বিরাট নিরাপত্তা বলয়ে তাজ বেঙ্গলে “কয়লা ভাইপোর” ছেলের জন্মদিন পালন হবে। সেই উপলক্ষে নিরাপত্তা আঁটোসাটো করা হয়েছে। ৫০০-র বেশি পুলিশকর্মী মোতায়েন হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে বম্ব স্কোয়াড ও ডগ স্কোয়াড। বসেছে মেটাল ডিটেক্টর।’

    নন্দীগ্রামের বিধায়কের কটাক্ষ, ‘এই নিরাপত্তার আয়োজনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও নির্দেশ জারি করা হয়নি। ‘মমতা পুলিশের’ এক অফিসার জামালকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থার আয়োজন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। লেডি কিম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা উত্তর কোরিয়ার আসল কিম জং উনের পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন। আভিজাত্য ও বিলাসে অনেক সময় তাকে ছাপিয়েও যাচ্ছেন।’

    ট্যুইটে কোথাও কোনও ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়নি। শুধুমাত্র কোনও এক তথাকথিত “কয়লা ভাইপোর” ছেলের জন্মদিন পালন হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু। অথচ, বিরোধী দলনেতার ট্যুইটের পরই, তৃণমূল যুব ও তৃণমূল ছাত্র শাখা সংগঠনের পক্ষ থেকে কর্মসূচি নেওয়া হয়, সোমবার (আজ) থেকে শুভেন্দু অধিকারীর মানসিক সুস্থতা কামনা করে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাবে তারা। থাকবে গোলাপ ফুল, গ্রিটিংস কার্ডও। পাশাপাশি থাকবে একটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ছবি। আর সেই কার্ডেই লেখা থাকবে ‘গেট ওয়েল সুন’ বার্তা। 

    এখন তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস কী করে ধরে নিল যে তাদের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই (Abhishek Banerjee) আসলে “কয়লা ভাইপো”? এটা কি তাহলে স্বীকারোক্তি? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, একটা সম্ভাবনা হতে পারে যে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা এমন চাপে আছেন যে মাথা কাজ করছে না। তাঁদের মতে, এই বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়া উচিত ছিল, কিন্তু তা না করে, বিতর্ক উসকে দিলেন তৃণমূল নেতারা। ঠিক যেন— ঠাকুরঘরে কে, আমি তো কলা খাইনি !!!

    কেউ যদি এই ঘোষণায় মনে করা হয়ে থাকে যে এই বার্তা পাঠানোর মধ্য দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে হয়তো রাজ্য রাজনীতিতে ‘মুন্নাভাই’ খ্যাত গান্ধীগিরির আমদানি হবে এবং বিগত কয়েক মাসের কুকথার রাজনীতির অবসান হবে, তাহলে সেই ভুল আজ ভেঙে গেছে। যে সকল যুবকরা আজ সকালে শান্তিকুঞ্জের (শুভেন্দুর বাসভবন) সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন, তাঁরা অন্তত গান্ধীগিরির ধার ধারেননি। গেরিলা কায়দায় পুলিশের অবরোধ ভেঙে শান্তিকুঞ্জে আক্রমণ করাই তাঁদের লক্ষ্য ছিল।

    রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, আসলে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির বিতর্কিত মন্তব্যে তৃণমূল এখন ব্যাকফুটে। তাই নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়ে নজর অন্যদিকে ঘোরাতে চাইছে। তাই অভিষেককে “কয়লা ভাইপো” স্বীকৃতি দিতে তৃণমূল দল দ্বিধাবোধ করেননি। অভিষেকের গায়ে কয়লার কালি মাখিয়ে যদি অখিল গিরির জ্বালানো কয়লার উনুনের আঁচ কমানো যায়।

    আরও পড়ুন: অখিল গিরির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    তবে আজ ১৪ নভেম্বর, শিশু দিবস। এইদিনেই জন্মছিলেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু। রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়াও বাচ্চাদের প্রিয় মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে এই দিনটি শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়। নেহরুর কোটে সবসময় গোঁজা থাকত একটি তাজা গোলাপ ফুল। সেই দিনই তৃণমূল গোলাপ ফুল পাঠাচ্ছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। এখন দেখা যাক শুভেন্দু গোলাপের কাঁটায় বিদ্ধ হন নাকি পাল্টা বিদ্ধ করেন শাসক দলের কুশীলবদের!

LinkedIn
Share