Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: “কোন মতলব নিয়ে এই মামলা?” নিয়োগ দুর্নীতিতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা খারিজ হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: “কোন মতলব নিয়ে এই মামলা?” নিয়োগ দুর্নীতিতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা খারিজ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০৯ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রাথমিকে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে এবারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নাম টানা হল। তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহার একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ টেনে মামলা করা হয়। তবে এই মামলাকে ভিত্তিহীন বলে সরাসরি খারিজ করে দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। বর্তমানে জেলে রয়েছেন একাধিক মন্ত্রী-নেতা। তবে শুধুমাত্র নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নয়, আরও এমন মামলায় যেমন- গরু পাচার মামলা, কয়লা পাচার ইত্যাদিতে নাম উঠে এসেছে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের। আর এসব নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু দুর্নীতিতে তাঁর নামই টেনে আনা হল। তবে বিচারপতির মামলা খারিজে স্বস্তি পেলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কী মামলা আনা হয়েছিল?

    অভিযোগ ওঠে, ২০০৯ সাল অর্থাৎ বাম আমলে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল, তার পরীক্ষা হয় ২০১২ সালে, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর। সেই সময় নিয়োগ বোর্ডে শুভেন্দু অধিকারী ছিলেন বলে সম্প্রতি দাবি করেছেন কেশপুরের তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহা। তিনি দাবি করেন, সেই সময় কীভাবে চাকরি হয়েছে, তা তিনি খুব ভাল করেই জানেন। শিউলির সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই একটি মামলা হয় হাইকোর্টে। শুক্রবার ছিল সেই মামলার শুনানি। আর এদিন সেই মামলায় কোনও প্রমাণ না থাকায় সরাসরি খারিজ করে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: এবার ডায়মন্ড হারবারে শুভেন্দুকে সভা করার অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    বিচারপতি কী বললেন?

    এই মামলার শুনানিতে প্রথমেই বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় মামলাকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি প্রশ্ন করেন, “তৃতীয় ব্যক্তির করা দাবির ভিত্তিতে এই মামলার ভিত্তি কী? কেউ যদি বঞ্চিত হয়েছেন বলে মনে করেন, তবে তিনি আদালতে এলেন না কেন? ভিডিও দেখে হঠাৎ মনে হয়েছে বিচার চাই? কোন মতলব নিয়ে এই মামলা?”

    এরপরেই মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, “পূর্ব মেদিনীপুরের পরিস্থিতি মামলা করার মত ছিল না। তাই মামলা করতে দেরি হয়েছে।”

    এই যুক্তি না শুনে বিচারপতি ফের প্রশ্ন করেন, “প্রার্থীরা ২০০৯ সাল থেকে বঞ্চিত। এতদিনে শিউলি সাহার ভিডিও পাওয়া গেল বলে অভিযোগ করতে এলেন কেন?” ১৩ বছর পর কেন মামলা দায়ের হল? এত দিন কেন হাইকোর্টে আসেননি চাকরিপ্রার্থীরা?

    তাই বিচারপতির দাবি, যেখানে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের কোনও অভিযোগ নেই, সেখানে ১৩ বছর পরে একটা ভিডিও নিয়ে এসে এভাবে অভিযোগ করা যায় না। ফলে এতে কোনও প্রমাণ না থাকায় ভিত্তিহীন বলেই মামলা খারিজ করেন তিনি।

  • Suvendu Adhikari: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম পাল্টে ‘আবাস প্লাস’! ফের মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম পাল্টে ‘আবাস প্লাস’! ফের মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আসার পরেও ৮ মাস পর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PM Awas Yojana) রাজ্যকে ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ কেন্দ্র। কিন্তু এরপরও ফের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে নাম বদলের অভিযোগ আনলেন রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এর আগেও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। এই প্রকল্পের ফের নাম পরিবর্তনের বিস্ফোরক দাবি করে এবারে সোশ্যাল মিডিয়া ট্যুইটারে সরব হলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

    আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ শুভেন্দুর…

    তিনি (Suvendu Adhikari) এক পোস্টার শেয়ার করেছেন, যেখান দেখা যাচ্ছে, প্রকল্পের নতুন নামকরণ করা হয়েছে – “আবাস প্লাস প্রকল্প”। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, এবারে প্রকল্পে “প্রধানমন্ত্রী” আর “বাংলা” দুই শব্দই বাদ। আর সেখানে যাচ্ছে লেখা আবাস প্লাস প্রকল্প। সঙ্গে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ছবিও। শুধু এখানেই থেমে নেই তিনি, তিনি এই পোস্টারের সঙ্গে একাধিক শর্তের কথা উল্লেখ করে লিখেছেন,

    “ মাননীয় যশস্বী প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিজির স্বপ্নের প্রকল্প – প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) বাস্তবায়িত করতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক উদ্যত হন একটাই মহৎ উদ্দেশ্যে; যাতে গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী সব গরীব ও প্রান্তিক মানুষের মাথার ওপর পাকা ছাদের ব্যবস্থা করে দেওয়া যায়।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ২০২৪ সালের মার্চ মাস অবধি সারা দেশে এই প্রকল্পে মোট ২ কোটি ৯৫ লক্ষ বাড়ি নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন। উক্ত প্রকল্পের অধীনে ইতিপূর্বে রাজ্য সরকারকে নতুন লক্ষ্যমাত্রা অনুমোদন করা হয়নি কারণ এই প্রকল্প  রূপায়ণের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন অভিযোগ ও অসন্তোষজনক তথ্য জমা পড়ে এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রকল্পের নাম বদলে “বাংলা আবাস যোজনা” করা হয়।

    পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককে আশ্বস্ত করেছেন যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রালয়ের নির্দেশাবলী ও পরামর্শ অনুযায়ী রাজ্য জুড়ে প্রকল্পের সরকারি নাম তথা “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)” ও লোগো প্রদর্শিত হবে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক তাই পশ্চিমবঙ্গকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য ১১,৩৬,৪৮৮ টি বাড়ি নির্মাণ করার অনুমোদন প্রদান করেছেন ও এই জন্যে ৮২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন।

    তবে বেশ কয়েকটি নিয়ম ও শর্ত মেনে চলতে হবে রাজ্য সরকারকে-

    ১) সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মূল বৈশিষ্ট্য হল প্রকল্পের নাম ও লোগো। তাই প্রকল্পের আসল নাম; “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)” ও লোগো, জনগণকে অবগত করানোর জন্য প্রকল্পের তথ্য সহ সাইনবোর্ডে প্রদর্শন করতে হবে। কেন্দ্রীয় গাইডলাইন অনুসারে এই প্রকল্পের মাধ্যমে নির্মিত প্রতিটি বাড়িতেই তা লাগাতে হবে। অন্য কোনো নাম, লোগো বা ব্রান্ডিং এই সকল বাড়িতে লাগানো যাবে না।

    ২) রাজ্য সরকার সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের যেন নির্দেশ জারি করেন, যে শুধুমাত্র সরকারি নিয়ম মেনে “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)” প্রকল্পের যথাযথ রূপায়ণ করতে হবে এবং পার্মানেন্ট ওয়েটিং লিস্ট এর মধ্যে থেকেই উপভোক্তাদের নাম নির্বাচন/চয়ন করতে হবে। গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের ভবনগুলোতে পার্মানেন্ট ওয়েটিং লিস্টে থাকা উপভোক্তাদের নামের তালিকা টাঙানো থাকবে, কোনোরকম কোন বিচ্যুতি ঘটলে তা সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। শুধুমাত্র গরীব ও দুঃস্থদের জন্য এই প্রকল্প। চার চাকা গাড়ির মালিক অথবা বাড়িতে ‘এয়ার কন্ডিশনার’ মেশিন রয়েছে তাদের জন্য এই প্রকল্প নয়। অথবা আগে থেকেই পাকা বাড়ি রয়েছে কিন্তু বাড়তি জমি খালি পড়ে রয়েছে, তাই সখ করে বানিয়ে ফেলবো, তারাও যেনো এই প্রকল্পের উপভক্তাদের তালিকায় না আসে।

    ৩) প্রকল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শর্তাবলী হল যে এই প্রকল্পের অন্ততপক্ষে ৬০% উপভক্তা যেন তপশীলি জাতি ও উপজাতি জনগোষ্ঠীর ব্যক্তিরা হন।

    ৪) যেহেতু ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে, তাই ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে উপভোক্তাদের বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দিতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব প্রথম কিস্তির টাকা উপভোক্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করতে হবে।

    ৫) বাড়ির অনুমোদন এবং বাড়ি বানানোর জন্য অর্থ প্রদান করা, নির্দিষ্ট সময় মেনে করতে হবে। যদি রাজ্য সরকার উপভোক্তাদের নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বাড়ির অনুমোদন দিতে এবং প্রথম কিস্তির টাকা ছাড়তে ব্যর্থ হয়, কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া বাড়ি নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা প্রত্যাহার করে নেবে।

    ৬)”প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)” প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত “সিঙ্গেল নোডাল অ্যাকাউন্ট” এ কেন্দ্র ও রাজ্যের আনুপাতিক হারের অর্থ যথাযথ সময়মতো একসাথে ট্রেজারি থেকে জমা দিতে হবে।

    ৭) কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের গাইড লাইন অনুযায়ী Area Officers Mobile অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন আধিকারিকদের দিয়ে যথাযথ ভাবে পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করাতে হবে।

    ৮) কোনোরকম দুর্নীতি বা আর্থিক লেনদেনের ব্যাপারে যেনো রাজ্যে, “জিরো টলারেন্স” নীতি গ্রহণ করে। সমস্ত জেলার সিনিয়ার অফিসার ও ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে ‘স্পেশাল টিম’ গঠন করতে হবে, যাতে এই ধরনের অভিযোগ উঠলে তা যথাযথ ভাবে যাচাই করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

    ৯) প্রতিটি ব্লক/গ্রাম পঞ্চায়েতের উপভোক্তাদের, তাঁদের অধিকার সম্বন্ধে সচেতন করাতে “উপভোক্তা সচেতনতা শিবির” অনুষ্ঠিত করতে হবে।

    ১০) রাজ্য সরকার যেন নির্দেশ জারি করে যে, অন্তত পক্ষে ১৫% নির্মিত বাড়ি ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরের আধিকারিকদের দিয়ে এবং নূন্যতম ২% বাড়ি জেলা শাসক এর দফতরের সিনিয়র আধিকারিকদের দিয়ে যথাযথ পরিদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। এর থেকে সুনিশ্চিত করা যাবে যে বাড়ি গুলো নিয়ম মেনে তৈরি হচ্ছে।

    ১১) প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) -এর বাস্তবায়নের জন্য যে কাঠামো কেন্দ্রীয় সরকার তৈরি করেছেন তা রাজ্য সরকারকে বিচক্ষণতার সাথে মেনে চলতে হবে ও সঠিক সময়ে নির্মিত বাড়ি গুলির সামাজিক নিরীক্ষণ করতে হবে।

    ১২) রাজ্যের সমস্ত জেলা, ব্লক ও গ্রাম পঞ্চয়েত গুলিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী জারি করতে হবে যাতে AwasSoft এর ব্যবহার বিধি অনুসারে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে যত জলদি সম্ভব এই বাড়ি গুলি অনুমোদন করতে হবে এবং সময়মত বাড়িগুলোর নির্মাণ কার্য শেষ করতে হবে অর্থাৎ ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে। ত্রৈমাসিক সময়কালীন লক্ষ্যমাত্রা স্থির করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কর্ম পরিকল্পনা বানিয়ে বাড়িগুলোর নির্মাণ কার্য শেষ করতে যাতে ১০০% লক্ষ্য পূরণ করা যায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে।

    আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে এই রাজ্য সরকার, বিশেষ করে নিচুতলার আধিকারিক ও গ্রাম স্তরের তৃণমূলের নেতারা এত নিয়মের বেড়া জালের মধ্যে আটকে থাকবেন না, কারণ এরা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুঠ করতে সিদ্ধহস্ত ও অভ্যস্ত।

    ইতিমধ্যেই আমার এই আশঙ্কার প্রতিফলন চোখে পড়ছে। নিম্ন প্রকাশিত পোস্টারটি শাসকদলের নিযুক্ত একটি কর্পোরেট সংস্থার মাধ্যমে বিতরণ ও প্রচার করানো হচ্ছে, যেখানে প্রকল্পের নতুন নামকরণ করা হয়েছে – “আবাস প্লাস প্রকল্প” !!!

    তাই আমি সকল সচেতন নাগরিক ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) প্রকল্পের উপভোক্তাদের আহ্বান জানাই যে নিজেরাই সতর্ক থাকুন। কোনওরকম বেচাল অথবা নিয়ম বহির্ভূত কাজ চোখে পড়লে তথ্য প্রমাণ (যতটা জোগাড় করতে পারেন) সহ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের এই ইমেল আইডিগুলিতে অভিযোগগুলো ইমেল মারফত পাঠান:-min-mopr@gov.inofficeministerahdf@gmail.comআপনারা আমার ইমেল আইডি তেও ইমেল পাঠাতে পারেন। আমার ইমেল আইডি হলো :-adhikarisuvenduwb1@gmail.com আপনাদের পাঠানো অভিযোগ সঠিক জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমার রইল।”

  • Suvendu Adhikari: মানতে হবে একগুচ্ছ শর্ত, শুভেন্দু-গড়ে অভিষেকের সভাকে অনুমতি আদালতের

    Suvendu Adhikari: মানতে হবে একগুচ্ছ শর্ত, শুভেন্দু-গড়ে অভিষেকের সভাকে অনুমতি আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সভা করতে পারবেন তবে মানতে হবে একগুচ্ছ শর্ত। কাঁথিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা নিয়ে এমনই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। কাঁথিতে তৃণমূল কংগ্রেসের সভা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর করা মামলায় তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

    কী বলল আদালত

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তাঁর পরিবারের সদস্যদের হেনস্থা করার উদ্দেশ্যেই আগামী শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বাড়ির ১০০ মিটারের মধ্যে কাঁথি প্রভাতকুমার কলেজের মাঠে সভা করছে তৃণমূল। এ বিষয়ে স্থানীয় থানা এবং পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি বলে আদালতে অভিযোগ করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। কিন্তু অভিষেকের সভায় নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি মান্থা। তিনি জানান, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সভা আটকানো যায় না। তবে সভা বা সমাবেশের নামে কারও ব্যক্তি স্বাধীনতা যাতে খর্ব না হয় তা-ও নজরে রাখা প্রয়োজন। তিনি বলেন, “আইন মেনে করতে হবে সভা। বাড়ির সামনে কোনও জটলা নয়। শব্দবিধি মেনে মাইকের ব্যবহার। সভায় যাওয়ার পথে কোনও অবাঞ্ছিত জমায়েত বাড়িতে ঢুকতে পারবে না। শুভেন্দু এবং তাঁর বাবা শিশির অধিকারীর অনুমতি ছাড়া কেউ শান্তিকুঞ্জের বাড়িতে প্রবেশ করতে না পারেন তা সুনিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। নির্দেশ মানা হয়েছে কি না স্থানীয় থানা এবং জেলার পুলিশ সুপারকে আগামী মঙ্গলবার পরবর্তী শুনানি দিন আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে।”

    আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮৩ ভুয়ো নিয়োগের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    এদিন আদালতে শুভেন্দুর আইনজীবী সৌম্য মজুমদার জানান, তৃণমূলের মহিলা বাহিনী বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগের একটি কর্মসূচি নিয়েছে। তাঁরা বাড়িতে গিয়ে দেখা করতে পারেন।রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, শিশির অধিকারী এখনও তৃণমূলের সাংসদ। ফলে দলের কোনও কর্মসূচি নিয়ে কেউ কি বাড়িতে যেতে পারে না? জবাবে বিচারপতি জানান, সে ক্ষেত্রে শান্তিকুঞ্জে প্রবেশের জন্য শিশির অধিকারীর অনুমতি প্রয়োজন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • CAA: রাজ্যে সিএএ কার্যকর হবেই, হুঙ্কার শুভেন্দু-মিঠুন-নিশীথের

    CAA: রাজ্যে সিএএ কার্যকর হবেই, হুঙ্কার শুভেন্দু-মিঠুন-নিশীথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ফলে রাজ্যজুড়ে প্রচার করছে গেরুয়া শিবির। পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে বীরভূমে পৌঁছে গিয়েছেন ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী। প্রচারে বেরিয়ে গেরুয়া শিবির ফের সিএএ (CAA) ইস্যু নিয়ে সুর চড়িয়েছেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি গতকাল মহাগুরুকেও সিএএ নিয়ে সরব হতে দেখা গেল। সিএএ পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশেই লাগু হবে বলে হুঙ্কার দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। শুধু নিশীথ নন, এক কথা বার বার শোনা গিয়েছে আরও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কথায়, যাঁর অন্যতম হলেন শান্তনু ঠাকুর।

    কী বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

    শনিবার শুভেন্দু অধিকারী ভোটের প্রচারে পৌঁছে গিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার মতুয়া অধ্যুষিত ঠাকুরনগরে। সেখানে গিয়ে তিনিও সিএএ (CAA) নিয়ে বলেন যে, রাজ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হবেই। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে বললেন, “সাহস থাকলে সিএএ চালু করা আটকান।” তিনি সভায় মতুয়াদের উদ্দেশে বলেন, “মতুয়া সম্প্রদায়ের সদস্যদেরও নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। মতুয়ারা হলেন রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সম্প্রদায়, যাঁরা বিজেপি এবং তৃণমূল দুই শিবিরে বিভক্ত।” তিনি দাবি করেন, এই আইন কারোরই নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না। আর এরপরেই একই কথা রবিবার বলতে শোনা গেল মিঠুন চক্রবর্তীকেও।

    আরও পড়ুন:‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও

    পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গিয়ে কী বললেন মহাগুরু?

    তিনি গতকাল বলেন, ‘দেখি না, কে আপনাকে তাড়ায়! যদি হয়, আমি দাঁড়াব আপনার পাশে’। ভোটের মুখে তিনি রাজ্যবাসীকে এই বলেই আশ্বস্ত করলেন। তাঁর আক্ষেপ, ‘৭৫ বছর ধরে মুসলিম ভাইবোনদের এটাই বোঝানো হচ্ছে যে, তোমাদের বের করে দেবে! মুসলিম ভাইবোনদের কোনও উন্নতি হল না, সবাইকে ভয়েই রেখে দিলেন’। তিনি আরও দাবি করেছেন, রাজ্য সরকার সিএএ (CAA) নিয়ে জনগণকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। যাদের কাছে রিয়েল ভোটার কার্ড, আধার কার্ড আছে, তাঁদের কাউকেই এ দেশ থেকে তাড়ানো হবে না। এটাই তাঁদের ঘর, এর মালিকানা তাঁদের। তিনি আরও দাবি করেছেন, পঞ্চায়েত ভোটে যদি ফেয়ার ইলেকশন হয় তো গ্যারান্টি বিজেপি আসছে।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদেরও একই কথা…

    সিএএ (CAA) নিয়ে ফের বলতে শোনা গেল নিশীথ প্রামাণিক ও শান্তনু ঠাকুরকে। অনেক আগেই নিশীথ প্রামাণিককে সিএএ নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে। ফের তিনি ভোটের মুখে একই সুর চড়িয়েছেন। খুব শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গ-সহ সারা দেশে সিএএ কার্যকর হবে। কেউ আটকাতে পারবে না। হুঙ্কার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের। তিনি আরও বলেন, ‘কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য এই আইন নয়।’ আবার সিএএ নিয়ে বলেছেন শান্তনু ঠাকুরও। তিনি দাবি করেন, রাজ্য সরকার সিএএ নিয়ে সমাজের মানুষদের ভুল বার্তা দিচ্ছে। সিএএ তাঁদের অধিকার। সংবিধানে যখন সেটা পাশ হয়ে গেছে, তখন কারও অধিকার নেই এভাবে প্রকাশ্যে সেই সংবিধানের বিরুদ্ধে কথা বলা। এই একই দাবি নিয়ে বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মেঘাওয়াল। ঠাকুরনগরে এসে মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পাশাপাশি এখন  রাজ্য বিজেপি নেতা ও বিধায়কদের মুখেও একই দাবি শোনা যাচ্ছে বার বার।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যপালের শপথ অনুষ্ঠানে গরহাজির শুভেন্দু-সুকান্তরা, কেন?

    Suvendu Adhikari: রাজ্যপালের শপথ অনুষ্ঠানে গরহাজির শুভেন্দু-সুকান্তরা, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তবে পছন্দ হয়নি সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট। তাই নয়া রাজ্যপালের (Governor) শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না শুভেন্দু। ওই অনুষ্ঠানে বসার ব্যবস্থা হয়েছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের নির্দেশে। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar)।  

    নেপথ্য কাহিনি…

    প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেওয়ার পর অস্থায়ী রাজ্যপালের পদে বসেন লা গণেশন। সেবার আমন্ত্রণই জানানো হয়নি শুভেন্দুকে। মঙ্গলবার বিধানসভায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, রাজ্য সরকারের তরফে অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গণেশনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। দেখা যাক, এবার আমন্ত্রণ পাই কিনা। এরই কিছুক্ষণের মধ্যেই বিরোধী দলনেতার কাছে পৌঁছয় রাজভবনে নয়া রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র। এই অনুষ্ঠানেই যাচ্ছেন না শুভেন্দু। কেন যাচ্ছেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা? এর উত্তর শুভেন্দু দিয়েছেন ট্যুইট বার্তায়। নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি শুভেন্দু লিখেছেন সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের নির্দেশে। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তথ্য সংস্কৃতি দফতর। এই দফতরের কাজকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)) ‘অসাংস্কৃতিক আচরণ’ বলে উল্লেখ করেছেন। কারণ, শুভেন্দুর বসার ব্যবস্থা হয়েছে দুই দলবদলু কৃষ্ণ কল্যাণী এবং বিশ্বজিৎ দাসের পাশে। কৃষ্ণ এবং বিশ্বজিৎ দুজনেই বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে রাজনীতির ঘোলা জলে মাছ ধরতে ভিড়েছেন তৃণমূলে গিয়ে। তাঁদের বিরুদ্ধে দলবিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এই দুই দলবদলুর পাশে বসার আসন হওয়ায় ক্ষুব্ধ শুভেন্দু। রাজ্য সরকারের এই আচরণকে ‘অসৌজন্যের রাজনীতি’ বলে অন্য একটি ট্যুইটে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, ১৯৫৬ ভোটে নন্দীগ্রামে হেরে যাওয়া এখনও দুঃস্বপ্নের মতো তাড়া করে বেড়াচ্ছে ‘কম্পার্টমেন্টাল’ মুখ্যমন্ত্রীকে। তাই হিংসা করে তিনি এভাবে সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট করেছেন। শুভেন্দুর মতে, বাংলা অ্যাকাডেমি পুরস্কারের বদলে তাঁকে (মুখ্যমন্ত্রীকে) দেওয়া উচিত প্রতিহিংসাপরায়ণ পুরস্কার। মুখ্যমন্ত্রীকে হতভাগ্য রাজনীতিবিদ বলেও উল্লেখ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এর পরেই শুভেন্দু লিখেছেন, আমার পক্ষে এই অনুষ্ঠানে যাওয়া সম্ভব নয়। রাজ্যপাল যদি তাঁকে আলাদা করে সময় দেন, এবং সেটা যদি আজই হয়, তাহলে ভাল হয় বলেও জানান শুভেন্দু। কোন প্রটোকল মেনে বিশ্বজিৎ দাস ও কৃষ্ণকল্যাণীকে রাজভবনে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে? প্রশ্ন শুভেন্দুর। এদিকে, শুভেন্দুকে দুই দলবদলুর পাশে ঠাঁই দেওয়া হলেও, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সাংসদ হলেও তাঁকে আসন দেওয়া হয়েছে তৃণমূল সাংসদের পিছনে। তাই অনুষ্ঠানে যাননি তিনি।  

     

    আরও পড়ুন: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত ভোটে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালতের পথে শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত ভোটে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালতের পথে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্লক প্রশাসনের থেকে বেশি সুযোগ পাচ্ছে তৃণমূল। এই অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ভোটের আগে পঞ্চায়েতের সর্বনিম্ন স্তরের পুনর্বিন্যাস ও আসন সংরক্ষণ নিয়ম মেনে হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠিও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাদের জবাব সন্তোষজনক নয় বলে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা। তাই এবার আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী।

    কী অভিযোগ শুভেন্দুর? 

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, আগামী পঞ্চায়েত ভোটের আগে আসন পুনর্বিন্যাস ও সংরক্ষণে অনিয়ম হয়েছে। পঞ্চায়েত স্তরে তপসিলি জাতি ও উপজাতি সংক্রান্ত তথ্যে গরমিল করার সুযোগ রয়েছে ব্লক প্রশাসনের। আর এই কাজ তারা করছে রাজ্যের শাসকদলকে সাহায্য করতে। এ নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠিও দিয়েছিলেন তিনি। তার প্রেক্ষিতে জবাবও দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাতেও সন্তুষ্ট নন বিরোধী দলনেতা।

    সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “একটি ট্যুইট করেছি। নির্বাচন কমিশনের ঠিক করে দেওয়া সংরক্ষণের নিয়ম মানা হয়নি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে চিঠি দিয়েছিলাম। আমায় জবাবি চিঠি দেওয়া হয়ছে। কিন্তু সেই জবাব সন্তোষজনক নয়। মুখ্যমন্ত্রী যেহেতু পঞ্চায়েত নির্বাচন দ্রুত করতে চায় তাই রোস্টার দ্রুততর করতে গিয়েই এই গরমিল। আমরা আইনি পথে যাব।”

     



     

    সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। আদালতেই জবাব দেবে বলে পাল্টা জানিয়েছে তারা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sisir Adhikari: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    Sisir Adhikari: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বেফাঁস মন্তব্য তৃণমূল নেতা অখিল গিরির (Akhil Giri)। দিন কয়েক আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী। সেবারও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) নিশানা করতে গিয়ে আক্রমণ করে বসেছিলেন রাষ্ট্রপতিকে। এবারও তাঁর তির গিয়ে লাগল ভুল নিশানায়। এদিন শুভেন্দুকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের এই বিধায়ক নিশানা করলেন অশীতিপর নেতা শিশির অধিকারিকে (Sisir Adhikari)। মুগবেড়িয়ার সভা থেকে শিশিরকে ‘নেংটি মন্ত্রী’ বলে আক্রমণ করেন অখিল। যার জেরে ফের একপ্রস্ত রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। একজন অশীতিপর নেতাকে এই ভাষায় আক্রমণ কতটা শোভনীয়, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

    অখিল উবাচ…

    এদিনের সভায় অখিল বলেন, এই বিশ্বের অষ্টম এবং নবম আশ্চর্য হল শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) আর দিব্যেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের সাংসদ। দিল্লি থেকে টাকা নিচ্ছে। কিন্তু ভিতরে ভিতরে তৃণমূলের ক্ষতি করে বিজেপি করছে। রাজ্যের এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, বুড়ো বয়সে ভীমরতি ধরেছে শিশির অধিকারীর। আগে নাতি-নাতনিকে নিয়ে ঘুরতেন। এখন ছেলের পাল্লায় পড়ে বাবাও মুখ্যমন্ত্রীকে গালাগাল করছে। তিনি বলেন, আমি স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বলে আমাকে হাফপ্যান্ট মন্ত্রী বলা হচ্ছে। তাহলে শিশির অধিকারী কেন্দ্রের কী মন্ত্রী ছিলেন? হাফপ্যান্টের ছোট যেটা হয়, তাকে তো নেংটি বলে। উনি কি তাহলের নেংটি মন্ত্রী ছিলেন?

    আরও পড়ুন: শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের জের! গোসাবায় ফের গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    শিশিরের (Sisir Adhikari) আগে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্যের জেরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন অখিল। একটি ভিডিও ফুটেজে তাঁকে বলতে শোনা যায়, বলে দেখতে ভাল নয়। কী রূপসী! কী দেখতে ভাল! আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে বাবা? রাজ্যের এক মন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের জেরে হইচই শুরু হয় রাজ্যজুড়ে। জেলায় জেলায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদে শামিল হয় বিজেপি। অখিলের গ্রেফতারি ও মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণের দাবিও জানায় পদ্ম শিবির। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পর্যন্ত বলতে হয়, রাষ্ট্রপতিকে অবমাননাকর মন্তব্য করা ঠিক হয়নি অখিলের। রাষ্ট্রপতিকে আমরা সম্মান করি। অন্যায় করেছে অখিল গিরি। অখিলের ওই মন্তব্যের রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগে ফের কুকথা রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রীর।

    কুকথায় পঞ্চমুখ অখিল!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Suvendu Adhikari: “রাজ্য মন্ত্রিসভার সবাই চোর, পুরো ক্যাবিনেটের গ্রেফতারি চাই”! বিধানসভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “রাজ্য মন্ত্রিসভার সবাই চোর, পুরো ক্যাবিনেটের গ্রেফতারি চাই”! বিধানসভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তাল বিধানসভা। গোটা ক্যাবিনেটের গ্রেফতারির দাবি তুললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন বিধানসভায় নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে আলোচনা এবং মুলতুবির প্রস্তাব দেয় বিজেপি। কিন্তু সেটা বিচারাধীন বিষয় বলে নাকচ করে দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরে বিধানসভায় শুরু হয় হট্টগোল। বিধানসভার ভিতরে স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময়ই রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন শুভেন্দু। 

    উত্তাল বিধানসভা 

    বেনামি আবেদন মামলা, ইস্যুতে তোলপাড় বিধানসভা। সোমবার এই নিয়ে বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তান আনেন তাঁরা। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তা খারিজ করে দেন। মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ার পরই ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। এদিন বিধানসভার বাইরে এসে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমরা আজকে একটা মুলতুবির প্রস্তাব দিয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে পুরো মন্ত্রিসভা অযোগ্যদের চাকরির সুপারিশ করে হাইকোর্টে পাঠিয়েছিল। মন্ত্রিসভার দায়বদ্ধতা থাকে বিধানসভার কাছে। আমাদের বলা হল বিচারাধীন বিষয়, পড়তে দেওয়া হবে না। আমি নিশ্চিত এটা বড় দুর্নীতি। একটা মন্ত্রিসভা মেধাদের বাদ দিয়ে অযোগ্যদের সুপারিশ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী সহ ৪০ জন মন্ত্রীর জেলে যাওয়া উচিত।” 

    আরও পড়ুন: জামিনের আবেদনই করলেন না, আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতেই কেষ্ট

    হাইকোর্টের কথা

    প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই বেনামি আবেদন মামলায় শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনের সওয়াল জবাবের সময়ে কড়া ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার হাইকোর্টে মণীশ জৈন সরাসরি জানিয়েছেন, এই শূন্যপদ তৈরি করার সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার। মন্ত্রিসভার বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “রাজ্য কেন বেআইনিভাবে নিযুক্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছে? গণতন্ত্র কি আদৌ সঠিক লোকের হাতে রয়েছে? সন্দেহ রয়েছে।”

    শুভেন্দুর দাবি

    হাইকোর্টের এই কথা তুলে ধরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) জানান, “মন্ত্রিসভা সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ। মুখ্যমন্ত্রী সহ মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট চেপে ধরেছে। এই অযোগ্যদের নিয়োগের সুপারিশ কারা করল? পুরো মন্ত্রিসভার গ্রেফতারি চাই।” শীতকালীন অধিবেশনের শুরু থেকেই একাধিক ইস্যুতে উত্তপ্ত থেকেছে রাজ্য বিধানসভা। এদিন মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ককে তোপ দেগে শুভেন্দু বলেন, “গতকাল মানিকচকের বিধায়ক প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন তাঁরা নাকি মহিলাদের বস্ত্রহরণ করেন। আগামিকাল মহিলা বিধায়করা এ বিষয়ে নিন্দা প্রস্তাব আনবেন।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Suvendu Adhikari: ‘‘মমতাকে গণতান্ত্রিকভাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব’’, চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘মমতাকে গণতান্ত্রিকভাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব’’, চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামে ওঁকে হারিয়েছি। গণতান্ত্রিক উপায়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (CM) বানাব। কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে যান শুভেন্দু। সেখানেই এই চ্যালেঞ্জ নেন তিনি।

    সিএএ…

    দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগে সিএএ নিয়ে সুর চড়াচ্ছে বিজেপি। এদিন বিজেপির ডাকে সিএএ (CAA) নিয়ে জনসমাবেশে যোগ দিতে ঠাকুরনগরে যান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এই ঠাকুরনগর মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রধান তীর্থক্ষেত্র। সেই ঠাকুরনগরে গিয়ে ঠাকুরবাড়িতে পুজো দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। পরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, যেমন কথা তেমন কাজ। সিএএ আইন পাশ হয়েছে। আপনারা দেখছেন সিএএ আইনে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা বলা হয়নি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, আপনারা শুভেন্দু অধিকারী, শান্তনু ঠাকুরের ওপর ভরসা রাখুন। সিএএ হবেই। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মুখে সিএএ-র আশ্বাস পেয়ে প্রবল হাততালি পড়ে সমাবেশে। বাংলায় ডবল ইঞ্জিন সরকার হবে বলেও এদিন জানিয়ে দেন শুভেন্দু।

    এদিনের সমাবেশে পুরানো একটি সভার প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, উনি (মুখ্যমন্ত্রী) কিছুদিন আগে বলেছিলেন, বাংলার টাকা আটকাতে বিরোধী দলনেতা চিঠি দেন। কাল (শুক্রবার) সে কথা গিলেছেন। স্নেহের ভাই বলে উল্লেখ করেছেন। শুভেন্দু বলেন, আসলে মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। এর পরেই নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। গণতান্ত্রিকভাবে হারিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব। ঠাকুরবাড়িতে দাঁড়িয়ে বলে গেলাম।

    আরও পড়ুন: ‘বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি’, রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    শুক্রবারই সৌজন্যের রাজনীতির সাক্ষী ছিল বিধানসভা। সংবিধান দিবস উপলক্ষে এদিন ভাষণ দিচ্ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। পরে তাঁকে চায়ের নেমতন্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, অশোক লাহিড়ি এবং মনোজ টিগ্গাকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, চা খাওয়া হয়নি। তাঁর ভাষায়, এটি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকার। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধরাশায়ী করেছিলেন শুভেন্দু। তার পর থেকে দুজনের মুখ দেখাদেখি এক প্রকার বন্ধই ছিল। শুক্রবার কেটেছিল জট। তবে শনিবার ফের শুভেন্দু স্পষ্ট করে দিলেন তাঁর অবস্থান। বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। গণতান্ত্রিকভাবে হারিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি করার অভিযোগে বার বার সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কেন্দ্র এবং রাজ্যের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত হলফনামা তলব করেছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।   

    কী বলেছেন শুভেন্দু? 

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) অভিযোগ করে বলেন, “কেন্দ্রের দেওয়া ১০০ দিনের কাজের টাকা দলের লোকদের পাইয়ে দিতে ভুয়ো জব কার্ড তৈরি করেছে তৃণমূল। ভুয়ো নথি বানিয়ে টাকা আত্মসাত্‍ করা হয়েছে।” গত ২১ নভেম্বর কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের রিপোর্ট তুলে ধরে শুভেন্দু দাবি করেন, ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতির হদিশ মিলেছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে জেলাশাসক ও বিডিওর এফআইআরের সুপারিশ কার্যকর করা হয়নি। বহু ব্লকে জনসংখ্যার তুলনায় বেশি জবকার্ড রয়েছে। এমনকি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ব্যক্তিরও জবকার্ড রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু।   

    প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়ে বলে, “একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে এর আগেও অভিযোগ উঠেছে। তার প্রেক্ষিতে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে কেন্দ্র ও রাজ্যের হলফনামা পেশ করতে হবে।” কেন্দ্রের আইনজীবী সওয়াল করে বলেন, “অভিযোগ গুরুতর, কেন্দ্রের টাকা তছরুপ করা সংবিধান বিরোধী।” রাজ্য সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলে, এই ধরনের মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

    অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল অশোক চক্রবর্তী এ বিষয়ে বলেন, “অভিযোগ গুরুতর। কেন্দ্রের টাকা যেভাবে ইচ্ছেমতো তছরুপ করা হয়েছে তা আইন বিরুদ্ধ। সংবিধানকে লঙ্ঘন করা হয়েছে।” অ্যাডভোকেট জেনারেলের পাল্টা দাবি, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা। মামলাকারী ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য। বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। এ ব্যাপারে আমরা হলফনামা দিয়ে সমস্ত বক্তব্য জানাতে চাই।” হলফনামা দেওয়ার জন্যে রাজ্যের আইনজীবী দুসপ্তাহের সময় চেয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: ফের জামিনের আবেদন খারিজ, কমপক্ষে আরও ১৪ দিন জেলেই থাকতে হবে পার্থ- সুবীরেশদের

    কী জানিয়েছে আদালত? 

    হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়ে রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেলকেও নিজের বক্তব্য জানাতে বলে। ২০ ডিসেম্বর ফের শুনানি হবে এই মামলার।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।                  

     

LinkedIn
Share