Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকই ‘কয়লা ভাইপো’? মেনে নিচ্ছে তৃণমূল?

    Abhishek Banerjee: অভিষেকই ‘কয়লা ভাইপো’? মেনে নিচ্ছে তৃণমূল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) একটি ট্যুইট নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।

    বিষয়টা ঠিক কী? রবিবার বিকেলে ট্যুইটারে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘বিরাট নিরাপত্তা বলয়ে তাজ বেঙ্গলে “কয়লা ভাইপোর” ছেলের জন্মদিন পালন হবে। সেই উপলক্ষে নিরাপত্তা আঁটোসাটো করা হয়েছে। ৫০০-র বেশি পুলিশকর্মী মোতায়েন হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে বম্ব স্কোয়াড ও ডগ স্কোয়াড। বসেছে মেটাল ডিটেক্টর।’

    নন্দীগ্রামের বিধায়কের কটাক্ষ, ‘এই নিরাপত্তার আয়োজনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও নির্দেশ জারি করা হয়নি। ‘মমতা পুলিশের’ এক অফিসার জামালকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থার আয়োজন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। লেডি কিম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা উত্তর কোরিয়ার আসল কিম জং উনের পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন। আভিজাত্য ও বিলাসে অনেক সময় তাকে ছাপিয়েও যাচ্ছেন।’

    ট্যুইটে কোথাও কোনও ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়নি। শুধুমাত্র কোনও এক তথাকথিত “কয়লা ভাইপোর” ছেলের জন্মদিন পালন হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু। অথচ, বিরোধী দলনেতার ট্যুইটের পরই, তৃণমূল যুব ও তৃণমূল ছাত্র শাখা সংগঠনের পক্ষ থেকে কর্মসূচি নেওয়া হয়, সোমবার (আজ) থেকে শুভেন্দু অধিকারীর মানসিক সুস্থতা কামনা করে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাবে তারা। থাকবে গোলাপ ফুল, গ্রিটিংস কার্ডও। পাশাপাশি থাকবে একটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ছবি। আর সেই কার্ডেই লেখা থাকবে ‘গেট ওয়েল সুন’ বার্তা। 

    এখন তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস কী করে ধরে নিল যে তাদের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই (Abhishek Banerjee) আসলে “কয়লা ভাইপো”? এটা কি তাহলে স্বীকারোক্তি? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, একটা সম্ভাবনা হতে পারে যে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা এমন চাপে আছেন যে মাথা কাজ করছে না। তাঁদের মতে, এই বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়া উচিত ছিল, কিন্তু তা না করে, বিতর্ক উসকে দিলেন তৃণমূল নেতারা। ঠিক যেন— ঠাকুরঘরে কে, আমি তো কলা খাইনি !!!

    কেউ যদি এই ঘোষণায় মনে করা হয়ে থাকে যে এই বার্তা পাঠানোর মধ্য দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে হয়তো রাজ্য রাজনীতিতে ‘মুন্নাভাই’ খ্যাত গান্ধীগিরির আমদানি হবে এবং বিগত কয়েক মাসের কুকথার রাজনীতির অবসান হবে, তাহলে সেই ভুল আজ ভেঙে গেছে। যে সকল যুবকরা আজ সকালে শান্তিকুঞ্জের (শুভেন্দুর বাসভবন) সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন, তাঁরা অন্তত গান্ধীগিরির ধার ধারেননি। গেরিলা কায়দায় পুলিশের অবরোধ ভেঙে শান্তিকুঞ্জে আক্রমণ করাই তাঁদের লক্ষ্য ছিল।

    রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, আসলে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির বিতর্কিত মন্তব্যে তৃণমূল এখন ব্যাকফুটে। তাই নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়ে নজর অন্যদিকে ঘোরাতে চাইছে। তাই অভিষেককে “কয়লা ভাইপো” স্বীকৃতি দিতে তৃণমূল দল দ্বিধাবোধ করেননি। অভিষেকের গায়ে কয়লার কালি মাখিয়ে যদি অখিল গিরির জ্বালানো কয়লার উনুনের আঁচ কমানো যায়।

    আরও পড়ুন: অখিল গিরির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    তবে আজ ১৪ নভেম্বর, শিশু দিবস। এইদিনেই জন্মছিলেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু। রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়াও বাচ্চাদের প্রিয় মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে এই দিনটি শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়। নেহরুর কোটে সবসময় গোঁজা থাকত একটি তাজা গোলাপ ফুল। সেই দিনই তৃণমূল গোলাপ ফুল পাঠাচ্ছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। এখন দেখা যাক শুভেন্দু গোলাপের কাঁটায় বিদ্ধ হন নাকি পাল্টা বিদ্ধ করেন শাসক দলের কুশীলবদের!

  • TET Scam: টেট উত্তীর্ণদের তালিকায় মমতা-অভিষেক-শুভেন্দুর নাম! কী বললেন পর্ষদ সভাপতি?

    TET Scam: টেট উত্তীর্ণদের তালিকায় মমতা-অভিষেক-শুভেন্দুর নাম! কী বললেন পর্ষদ সভাপতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪-এর টেট উত্তীর্ণদের তালিকা নিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি (TET Scam)। টেট উত্তীর্ণদের তালিকায় রয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নাম থেকে শুরু করে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নাম পর্যন্ত। টেট পরীক্ষা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তীও! এ কি অবাক কাণ্ড! টেট তালিকার অদ্ভুত ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও একই নামের অন্য কেউ থাকতেই পারে, তবে এভাবে হেভিওয়েট রাজনীতিবিদদের নাম চাকরিপ্রার্থী হিসেবে প্রকাশিত হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে।

    ২০১৪-এর টেট উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ

    উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১১ নভেম্বর, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ২০১৪-র চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে (TET Scam)। নাম রয়েছে প্রায় এক লক্ষ ২৫ হাজার পরীক্ষার্থীর। আর এই তালিকাতেই নাম রয়েছে মমতা ব্যানার্জির। এমনকি এই বিষয়টি নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণও করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: টেট চাকরিপ্রার্থীকে কামড়-কাণ্ডে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা

    শুধু তাই নয়, ঘটনাচক্রে চাকরিপ্রার্থীদের সেই তালিকায় রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, সুজন চক্রবর্তী এবং অমিত শাহের নাম (TET Scam)। জানা গিয়েছে, ২০১৪-এর টেট পাশ করাদের তালিকায় নাম থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত নম্বর দেখানো হয়েছে ৯২, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত নম্বর ৯৮, শুভেন্দু অধিকারী পেয়েছেন ১০০, সুজন চক্রবর্তী পেয়েছেন ৯৯ নম্বর,  দিলীপ ঘোষের প্রাপ্ত নম্বর ৮৪। আর এরপরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। বিষয়টি কাকতালীয় নাকি কেউ ইচ্ছা করেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তা নিয়েই শুরু জোর চর্চা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল।

    পর্ষদ সভাপতি কী বললেন?

    প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছে বলে আশঙ্কা করেছেন সভাপতি গৌতম পাল (TET Scam)। তিনি বলেন, “কেউ হয়ত নিজেদের তৈরি করা তালিকা ঢুকিয়ে দিয়েছে।”  তিনি আরও জানিয়েছেন, টেট পরীক্ষার্থীদের নাম কোনওভাবে হুবহু মিলেও যেতে পারে। তবে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গৌতম পাল। ফলে এই অবাক কাণ্ড নিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • BJP: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিলের মন্তব্যের জের, বিজেপির আন্দোলনে উত্তাল রাজ্য

    BJP: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিলের মন্তব্যের জের, বিজেপির আন্দোলনে উত্তাল রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ জেস্ক: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri)। তার প্রতিবাদে পথে নামল বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের প্রতিবাদ আন্দোলনে উত্তাল গোটা রাজ্য। শনিবার অখিলের গ্রেফতারি ও মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণের দাবিতে কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউয়ে মিছিল করেন গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীরা। অখিলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে নন্দীগ্রাম (Nandigram) থানায়। কোথাও কোথাও রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভও দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। অখিলের বিরুদ্ধে জাতীয় মহিলা কমিশনে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ।  

    অখিলের বেফাঁস মন্তব্য…

    নভেম্বরের ১০ তারিখে নন্দীগ্রামের গোকুলনগর শহিদ মঞ্চে শহিদ দিবস পালনের আয়োজন করে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা ওই মঞ্চে আগুন লাগিয়ে দেয়। অভিযোগের আঙুল ওঠে বিজেপির (BJP) দিকে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনার প্রতিবাদে এলাকায় সভার আয়োজন করে তৃণমূল। ওই সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে অখিল বলেন, আমরা রূপ বিচার করি না। রাষ্ট্রপতির পদকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার (শুভেন্দু অধিকারী) রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা? অখিলের এই মন্তব্যের জেরে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় রাজ্যজুড়ে। পথে নামে বিজেপি। অখিলের গ্রেফতারি ও মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণের দাবিতে তামাম রাজ্যে আন্দোলন শুরু করেছে পদ্ম শিবির। নন্দীগ্রাম থানায় অখিলের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টেন্ডার দুর্নীতি! রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দুর

    এদিকে, অখিলের বিরুদ্ধে জাতীয় মহিলা কমিশনে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি (BJP) নেতা সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতিকে অপমান করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিল গিরির মন্তব্য গণতন্ত্রের অপমান। ১৪০ কোটি জনগণকে অপমান করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী। এই জঘন্য মন্তব্যের জন্য অবিলম্বে অখিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। বিধায়ক পদ থেকে অপসারিত করতে সুপারিশ করুন। অখিলের গ্রেফতারির দাবিও জানান তিনি।

    অখিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউয়ে মিছিল করেন গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীরা। জেলায় জেলায় বিক্ষোভে শামিল হন বিজেপি (BJP) কর্মী-সমর্থকরা। পোড়ানো হয় কুশপুত্তলিকা। অখিলের মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন সে কারণে মন্ত্রীকে অবিলম্বে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে গ্রেফতার করা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাজ না করেন, তাহলে মন্ত্রী অখিল গিরিকে গ্রেফতার করাবে বিজেপি। তিনি বলেন, জেলায় জেলায় প্রতিবাদ আন্দোলনের নির্দেশ দিয়েছি। আদিবাসীরাও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবে। এফআইআর করবে। সুকান্ত বলেন, তৃণমূল এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বেশ কিছু নেতা পচা ডিমের মতো দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছেন। যতদিন এই তৃণমূল সরকারে থাকবে, ততদিন পচা ডিমের দুর্গন্ধ ছড়াবে। মানুষ ভুল থেকে শিক্ষা নেয়, কিন্তু তৃণমূল তা করে না। এদিকে, অখিলকে অপসারণ এবং সাক্ষাতের সময় চেয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Akhil Giri: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য অখিল গিরির, তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির

    Akhil Giri: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য অখিল গিরির, তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি রাজ্যের মন্ত্রী। যাঁকে আক্রমণ করে বসলেন তিনি দেশের প্রথম নাগরিক। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। যিনি তাঁর দিকে ছুঁড়ে দিলেন কুকথার ছররা, তিনি আর কেউ নন, রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri)। দেশের রাষ্ট্রপতিকে অপমান করায় বেজায় চটেছে রাজ্যের বাসিন্দাদের সিংহভাগ অংশ। তৃণমূল নেতার বেফাঁস মন্তব্যে হতবাক রাজ্যের শিক্ষিত সমাজ। আর কাঁথির এই তৃণমূল নেতার পদত্যাগের দাবিতে পথে নামছে বিজেপি।   

    জানা গিয়েছে, নভেম্বরের ১০ তারিখে নন্দীগ্রামের গোকুলনগর শহিদ মঞ্চে শহিদ দিবস পালনের আয়োজন করে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা ওই মঞ্চে আগুন লাগিয়ে দেয়। অভিযোগের আঙুল ওঠে বিজেপির দিকে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনার প্রতিবাদে এলাকায় সভার আয়োজন করে তৃণমূল (TMC)। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজা, অখিল গিরি, সৌমেন মহাপাত্র সহ তৃণমূলের অন্য নেতারা।

    কী বললেন অখিল?

    এদিনের সভা মঞ্চে উঠেই রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri) নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দেন মন্ত্রী মশাই। এর পরেই অখিলকে বলতে শোনা যায়, আমরা রূপ বিচার করি না। রাষ্ট্রপতির পদকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার (শুভেন্দু অধিকারী) রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা? অখিলের এই মন্তব্যের জেরে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় রাজ্যজুড়ে। বিজেপির দাবি, রূপ নিয়ে কটাক্ষ করে দেশের প্রথম নাগরিককে অপমান করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি।

    রাজ্য বিজেপির তরফে ট্যুইট করে বলা হয়েছে, অখিল (Akhil Giri) রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজার সামনে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। আমাদের রাষ্ট্রপতি একজন আদিবাসী। এখান থেকেই বোঝা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল আদিবাসী বিরোধী। বিজেপি নেতা অমিত মালব্য বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই আদিবাসী বিরোধী। তাঁর মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্য সেটাই প্রমাণ। রাষ্ট্রপতিকে অপমান করেন মমতার মন্ত্রী। কেন তিনি এবং তাঁর সরকার আদিবাসীদের এত ঘৃণা করেন?

    আরও পড়ুন: বিধানসভা উপনির্বাচনে ৪ আসনে জয়ী বিজেপি, কংগ্রেসের অবস্থান জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর চিঠি! রাতারাতি ৬টি মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধন বাতিল রাজ্যের

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর চিঠি! রাতারাতি ৬টি মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধন বাতিল রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর চিঠির পরই রাতারাতি জলপাইগুড়ি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল-সহ রাজ্যের ছ’টি মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করল রাজ্য সরকার। শুভেন্দুর অভিযোগ, কেন্দ্রের টাকায় রাজ্যে তৈরি হওয়া ছয়টি নতুন মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে না জানিয়ে একাই করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা সম্পূর্ণ একতরফা সিদ্ধান্ত।

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানেও ছিলেন টেট-চাকরিপ্রার্থীকে কামড় দেওয়া পুলিশকর্মী! কী বললেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    কেন্দ্রের টাকায় তৈরি রাজ্যে ৬টি মেডিক্যাল কলেজ উদ্বোধন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও লিখেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট বার্তায় সে কথা জানান তিনি। চিঠিতে নতুন মেডিক্যাল কলেজগুলি মূলত কেন্দ্রের স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া অর্থে তৈরি হয়েছে বলে জানান তিনি। রাজ্য সরকার ‘চক্রান্ত’ করে আগে সেগুলির উদ্বোধন করছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন,”এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোর মতো সৌজন্যবোধও দেখাননি মুখ্যমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর প্রতি তাঁর কোনও সম্মান নেই।” ট্যুইটে এই সংক্রান্ত একটি প্রচার বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু।

    প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি

    রাজ্য সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছিল, ১৪ নভেম্বর বেলা ১টায় কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে মমতা জলপাইগুড়ি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ-সহ রাজ্যের ছ’টি নতুন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পঠনপাঠনের শুভারম্ভ করবেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছিল, এই ছ’টি নতুন মেডিক্যাল কলেজের প্রতিটিতে ১০০ জন ছাত্রছাত্রী এমবিবিএস পড়ার সুযোগ পাবেন। এর ফলে রাজ্যে আরও ৬০০টি এমবিবিএস আসন বাড়বে। এই প্রকল্পের নির্মাণে খরচ হয়েছিল  ১৫৫৬.৫৭ কোটি টাকা। মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধন-সহ তাতে মোট তিনটি নতুন প্রকল্পের সূচনা করারও উল্লেখ ছিল। অন্য দু’টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে টেলি মেন্টাল হেল্‌থ পরিষেবা ও পার্বত্য অঞ্চলে ১৬ স্লাইসের সিটি স্ক্যান মেশিনের উদ্বোধন। তবে এই দুই প্রকল্পের সঙ্গে জলপাইগুড়ি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি কলেজ-কর্তৃপক্ষের।  কিন্তু আচমকাই ওই কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে বলে কলেজ সূত্রের খবর। তবে কর্মসূচি বাতিল হল কেন, কলেজ-কর্তৃপক্ষ তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যের নতুন মেডিক্যাল কলেজগুলি উদ্বোধন করবেন বলে আগে থেকেই কর্মসূচি নির্দিষ্ট আছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নবান্ন অভিযানেও ছিলেন টেট-চাকরিপ্রার্থীকে কামড় দেওয়া পুলিশকর্মী! কী বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: নবান্ন অভিযানেও ছিলেন টেট-চাকরিপ্রার্থীকে কামড় দেওয়া পুলিশকর্মী! কী বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট-বিক্ষোভের দিনে যে পুলিশকর্মী চাকরিপ্রার্থীকে কামড়েছেন, তাঁকে নবান্ন অভিযানের (Nabanna March) দিনও পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। চাকরি চেয়ে আন্দোলনে নেমে, প্রার্থীদের কারও কপালে জুটেছে পুলিশের কামড়। কেউ খেয়েছেন পুলিশের ঘুষি। বুধবার আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে পুলিশ যে ব্যবহার করেছে, তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। সেই প্রেক্ষিতেই রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন বিরোধী দলনেতা।

    আরও পড়ুন: ‘‘যে হাত দিয়ে চড় মেরেছেন, সেই হাত দিয়েই…’’ কাকে হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কথায়, ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন মহিলা পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছিলেন তিনি। সে দিনের ছবি আর বুধবার চাকরিপ্রার্থীদের পুলিশের কামড়ের ছবি পাশাপাশি দিয়ে, বিরোধী দলনেতা ট্যুইটারে লিখেছেন, “নবান্ন অভিযানের দিন মমতা পুলিশের নতুন হিংস্র ও নিষ্ঠুর রেজিমেন্টের প্রমীলা বাহিনীকে কোন অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছিল, তা আজ বোঝা গেল।” শুভেন্দুর দাবি, “দুর্নীতিতে অভিযুক্ত আকাশ মাঘারিয়া একটা মহিলা টিম করেছে। এই টিমটার আমি নাম দিয়েছি মহিলা পুলিশের হিংসাশ্রয়ী রেজিমেন্ট। এই রেজিমেন্টে আমি এর আগে একজনকে বলেছিলাম, মারিয়া বলে, তিনি নবান্ন অভিযানের দিন আমার এখানে কাঁধে তিনটে ব্লো মেরেছিলেন। সেদিনকে আমি ডোন্ট টাচ মাই বডি বলতে তো অনেকরকম ব্যঙ্গ তিরস্কার করেছেন ভাইপো অ্যান্ড কোম্পানি। সেদিন তো এই বেবি তামাংকে পাঠিয়েছিলেন আমার হাত কামড়াতে। আমি হাতটা কামড়ানোর সুযোগ দিইনি। কালকে তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।” তিনি বলেন, কলেজের গেট থেকে তিনি উঠে এসেছেন, তাই সেদিনকার পরিস্থিতি তিনি আগে থেকেই আঁচ করে নিতে পেরেছিলেন। 

    নন্দীগ্রামের চটি-পুলিশ প্রসঙ্গ

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) অভিযোগ করেন, গুণ্ডাদের দিয়ে রাজ্যে গণতান্ত্রিক আন্দোন দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাম আমলে নন্দীগ্রামের চটি পুলিশের কথা বলেন। আর এরা কোন পুলিশ। জোঁড়াসাকোয় রবীন্দ্র ভারতীর ক্যাম্পাসে হেরিটেজ আইন ভেঙে ইউনিয়ন রুম করেছে তৃণমূলের কর্মী পরিষদ। এব্যাপারে সরকারকে জানানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন সেখানকার উপাচার্য। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন,”মুখ্যমন্ত্রী কান দিয়ে দেখেন। আর রবীন্দ্রনাথের ছবি সরিয়ে তাঁর এবং ভাইপোর ছবি বসানো হয়েছে, তাতে তো তিনি (মমতা) খুশি!” চলচ্চিত্র উৎসবে উত্তম কুমার কিংবা সত্যজিৎ রায়ের ছবি না থাকলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সেখানে থাকে বলেও মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা।

    আরও পড়ুন : নবান্ন অভিযানে গিয়ে ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেফতার, হাইকোর্টের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘লেডি কিমের শাসনকাল ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস’’, কামড়কাণ্ডে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘লেডি কিমের শাসনকাল ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস’’, কামড়কাণ্ডে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল এক বিরল ঘটনার সাক্ষী হল শহর কলকাতা। চাকরির ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের কামড় খেলেন এক চাকরিপ্রার্থী। নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। আর এর মাঝেই চাকরির দাবিতে বুধবার আন্দোলনে নামেন কয়েকশ চাকরিপ্রার্থী। আর সেই নিয়েই উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যামাক স্ট্রিট। চাকরির দাবিতে কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে যান আন্দোলনকারীরা। আন্দোলন থামাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। আর সেই আন্দোলন থামাতে গিয়েই এক আন্দোলনকারী মহিলার হাতে কামড়ে দিলেন এক মহিলা পুলিশ কর্মী। সংবাদমাধ্যমে ক্যামেরাবন্দি হল সেই ভিডিও।  

    আরও পড়ুন: তিন বছর আগে এদিনই রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় শীর্ষ আদালত! জেনে নিন দ্বন্দ্বের শুরু থেকে শেষ

    শুভেন্দুর কটাক্ষ 

    এই কামড়কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা ট্যুইটারে (Twitter) লিখেছেন, “এই হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পুলিশ। এক্সাইড মোড়ে একজন শিক্ষিত, বেকার, যোগ্য, ইচ্ছাকৃত এবং বেআইনিভাবে বঞ্চিত শিক্ষকতার চাকরিপ্রার্থীকে কামড়াচ্ছে। লেডি কিমের শাসনকাল ইতিহাসে নৃশংস ঘটনা।”

     



    ঠিক কী হয়েছিল?

    ক্যামেরায় ধরা পড়ে এই নৃশংস ঘটনা। দেখা যায়, ক্যামাক স্ট্রিটের সামনে বিক্ষোভে অভিযুক্ত মহিলা কনস্টেবল ছুটে যাচ্ছে। সোজা গিয়েই এক মহিলার হাতে বসালেন কামড়। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে যান সকলেই। ওই মহিলা পুলিশ সরে যেতেই ক্যামেরায় ধরা পড়ে চাকরিপ্রার্থী ওই মহিলার হাতে কামড়ের দাগ।

    পরবর্তীতে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত পুলিশকর্মী দাবি করেন, তিনি কামড়াননি, আন্দোলনকারীকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। যদিও ক্যামেরার ছবি বলছে অন্য কথা। প্রসঙ্গত, পরবর্তীতে আক্রান্ত মহিলার বিরুদ্ধেই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়। পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     
     
  • Suvendu Adhikari: রাজ্য সরকারের ‘অদক্ষতায়’ বাড়ছে ডেঙ্গি, উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্য সরকারের ‘অদক্ষতায়’ বাড়ছে ডেঙ্গি, উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি (Dengue Situation in West Bengal) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী  মনসুখ মাণ্ডব্যকে (Mansukh Mandaviya) চিঠি পাঠালেন তিনি ৷ ট্যুইটারে নিজেই সেকথা জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। 

     

    সোমবার নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে সেই চিঠির ছবি পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ৷ লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অদক্ষতার জন্যই রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে ৷ আমি সম্মানীয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ মনসুখ মাণ্ডব্যজিকে এই বিষয়ে একটি চিঠি লিখে পাঠিয়েছি ৷ রাজ্য সরকারকে দিশা দেখানোর জন্য এবং আমজনতার সুবিধার্থে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর আবেদন জানিয়েছি ৷”

    আরও পড়ুন: ‘দুধ দিলে ক্ষীর পাবে, কিন্তু…’, কাকে এমন হুঁশিয়ারি দিলেন সুকান্ত, জানেন?

    চিঠিতে বিরোধী দলনেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানিয়েছেন, রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যাও উদ্বেগজনক। রাজ্য প্রশাসন ডেঙ্গি আক্রান্ত এবং ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সঠিক পরিসংখ্যান দিচ্ছে না বলেও দাবি করেন বিরোধী নেতা। বিরোধী নেতার অভিযোগ, রাজ্য সরকার তথ্য গোপন করছে। 

    চিঠিতে শুভেন্দু জানান, রাজ্য সরকারের কোষাগারে এই পরিস্থিতি সামলানোর যথেষ্ট টাকা নেই। রাজ্য সরকারকে ‘দেউলিয়া’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। শুভেন্দু আরও লেখেন, কেন্দ্র সরকারের তরফে রাজ্যের স্বাস্থ্য খাতে যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, সেই টাকাও মাইনে দিতে খরচ করে ফেলেছে রাজ্য সরকার। তাই ড্রেন পরিষ্কার করার বা স্বাস্থ্য খাতে খরচ করার মতো টাকা সরকারের নেই। রাজ্য সরকারের ভাঁড়ার কার্যত শূন্য বলে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। 

    রাজ্যের ডেঙ্গি সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জন্যে স্বাস্থ্য দফতরের উদাসীনতাকেও দায়ী করেছেন তিনি। এমতাবস্থায় বিরোধী দলনেতা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে অনুরোধ করেন, যাতে রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্যে  কেন্দ্রের তরফ থেকে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল পাঠানো হয়। শুভেন্দুর বক্তব্য, রাজ্য ডেঙ্গি সংক্রান্ত সমস্ত পরিসংখ্যান কেন্দ্রের কাছ থেকেও গোপন করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘পশ্চিমবঙ্গে কেউ নিরাপদ নন’, নিশীথের কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘পশ্চিমবঙ্গে কেউ নিরাপদ নন’, নিশীথের কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে কেউ নিরাপদ নন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) কনভয়ে হামলার পর এই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপিশুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কয়লা ও গরু পাচার কেলেঙ্কারিতে (Cattle Smuggling Case) তৃণমূলের (TMC) একাধিক নেতার নাম জড়িয়ে যাওয়ায়ও রাজ্যকে একহাত নিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    নভেম্বরের তিন তারিখে কোচবিহারে হামলা হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের সিতাইয়ে। নিশীথের কনভয় যখন এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল, তখন একদল লোককে আচমকাই লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই এলাকায় জড়ো হতে দেখা যায়। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

    এই ঘটনায়ই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি (BJP)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা  শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কেউই নিরাপদ নন। এমন কী জনপ্রতিনিধিরাও। পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করে। টাকা তোলে। পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, দিল্লিতে গরু পাচার মামলা দায়ের করেছে ইডি। এতে অনেকে জড়িত। যদি প্রমাণিত হয়, তাঁদের তিহাড় জেলে পাঠানো হবে। বাংলায় যেসব সুযোগ-সুবিধা তাঁরা পান, তিহাড় জেলে তা মিলবে না। শুভেন্দুর তোপ, তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার  চোরেদের সরকার। এঁদের অনেকেই কয়লা ও গরু পাচার মামলা, পঞ্জি স্কিম এবং নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়িত।

    আরও পড়ুন: ‘‘যে হাত দিয়ে চড় মেরেছেন, সেই হাত দিয়েই…’’ কাকে হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু?

    রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথও। তিনি বলেন, যদি বাংলার সরকার কঠোর হত, তাহলে এই ঘটনা ঘটত না। তাঁর প্রশ্ন, কেন আমার কনভয় যাওয়ার রাস্তায় অত লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে? তিনি বলেন, আমরা (মন্ত্রীরা) পুলিশের বেঁধে দেওয়া রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করি। সেই রাস্তায় যেতে গিয়ে কেন আমাকে হুমকির মুখে পড়তে হবে? বিশেষত, যখন রাজ্য সরকারের পুলিশ আমার কনভয় যাওয়ার রাস্তা ছকে দিয়েছে!

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ওই জনতার হাতে লাঠির পাশাপাশি পাথরও ছিল। পুলিশের উপস্থিতিতেই তারা এগুলি নিয়ে জমায়েত হয়েছিল। তিনি বলেন, কোনও মন্ত্রী তাঁদের সামনে আক্রান্ত হবেন, আর বিজেপির কর্মীরা তা বসে বসে দেখবেন, তা হবে না। এলাকার পরিবেশ কেন বিষিয়ে তোলা হচ্ছে? প্রশ্ন নিশীথের।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নাকা চেকিংয়ের আওতায় পড়ুক মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ও! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: নাকা চেকিংয়ের আওতায় পড়ুক মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ও! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভিআইপি-দের গাড়িতে করে চলছে অস্ত্র পাচার। লেনদেন হচ্ছে টাকার। প্রশাসনিক বৈঠকে সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। পুলিশকে নাকা চেকিং বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে সমর্থন করেই পাল্টা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেলন, মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ও যেন নজরদারির আওতায় থাকে। জনগণের নিরাপত্তার জন্য সেই কনভয়ও যেন বাদ না পড়ে।

    ভিডিওগ্রাফি করে চেকিংয়ের দাবি শুভেন্দুর

    নন্দীগ্রামে, নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে এক  কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “একবার নয়, ১০০ বার চেকিং করতে পারে। শুধু চেকিং করাই নয়, ভিডিওগ্রাফি করে চেকিং করতে হবে। আর অবশ্যই এই নজরদারি প্রক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকেও রাখতে হবে। নাকা চেকিং চালু হলে নিয়ম সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। কারণ উনিও (মুখ্যমন্ত্রী) তো ভিআইপি।” উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নদিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বলেন, “ভিআইপি’দের গাড়িতে যেন অস্ত্র আমদানি না হয়। ভিআইপি’দের স্পেশাল প্রটোকশনের নাম করে অনেকে অস্ত্র ও নোট ক্যারি করে। তাই নাকা চেকিং বাড়াতে হবে। ” মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরে শুভেন্দু বলেন, ‘‘একবার নয়, পুলিশ একশো বার বিরোধী দলনেতার গাড়িতে তল্লাশি করতে পারে। তবে ভিডিয়োগ্রাফির মাধ্যমে আইপিসি এবং সিআরপিসি মেনেই তল্লাশি করতে হবে। আর পুলিশকে তৃণমূল বেতন দেয় না। তারা সরকারের টাকায় বেতন পান। তাই মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য হবে।’’ মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতার দাবি-পাল্টা দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক মহলে চাপান-উতোর শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানেও ছিলেন টেট-চাকরিপ্রার্থীকে কামড় দেওয়া পুলিশকর্মী! কী বললেন শুভেন্দু?

    মমতার দাবি, সুকান্তের অভিযোগ

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-এর দিকেও অভিযোগের আঙুল তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়,“একটা চক্রান্ত চলছে। স্পর্শকাতর জায়গাগুলো দেখে রাখুন। বিহার থেকে হাজার টাকায় অস্ত্র আসছে। ও-পার থেকে চলে আসছে। এখান-সেখান থেকে চলে আসছে। এগুলো সামলাতে হবে।” অশান্তির আশঙ্কা সম্পর্কে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্তের মন্তব্য, ‘‘উনি ভয় পেয়েছেন দেখে ভাল লাগছে। আমরা তো শুধু বলেছি ডিসেম্বরে ঠান্ডা পড়বে, ওঁর সরকার কাঁপবে। আর তো কিছু বলিনি। বাকি কথা তো উনিই বলছেন। বাংলার মানুষ ২ মে ২০২১ থেকে শান্তি দেখেছে। উনি কি সেই শান্তির কথা বলছেন? শ্মশানের শান্তি?’’ 

    আরও পড়ুন : নবান্ন অভিযানে গিয়ে ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেফতার, হাইকোর্টের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share