Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: এটি আর্থিক তছরুপের সহজ পন্থা, ফের ডিয়ার লটারি নিয়ে সরব শুভেন্দু  

    Suvendu Adhikari: এটি আর্থিক তছরুপের সহজ পন্থা, ফের ডিয়ার লটারি নিয়ে সরব শুভেন্দু  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে রমরমিয়ে চলছে ডিয়ার লটারির (Dear Lottery) কারবার! এই লটারি সংস্থার বিরুদ্ধে আরও একবার সুর চড়ালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, এই লটারি সংস্থার সঙ্গে ভাইপো এবং তৃণমূলের (TMC) সম্পর্ক রয়েছে। এটি আর্থিক তছরুপের সহজ পন্থা বলেও মনে করেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)দাবি, অন্য সব লটারি সংস্থাকে কোণঠাসা করে দিয়ে কেবলমাত্র একটি সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার বদলে সুবিধা নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসও। তিনি জানান, পুরস্কারের আশায় লটারি কিনতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। একাধিক ট্যুইট-বার্তায় তৃণমূলকে বিঁধেছেন শুভেন্দু। একটি ট্যুইটে তিনি বলেন, আমি বরাবর বলে আসছি যে ডিয়ার (ভাইপো) লটারি ও তৃণমূলের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। এটি আর্থিক তছরুপের একটি সহজ পন্থা।

    ওই লটারি সংস্থার পুরস্কার মূল্য এক কোটি টাকা। একবার সেই টাকা পেয়েছিলেন বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডল। সম্প্রতি পেয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্তর স্ত্রী। তাকে কটাক্ষ করে ট্যুইট-বাণে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, সাধারণ মানুষ টিকিট কেনেন। আর বাম্পার পুরস্কার জেতেন তৃণমূল নেতারা। প্রথমে জ্যাকপট জিতলেন অনুব্রত মণ্ডল এবং এখন তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্তর স্ত্রী জিতলেন এক কোটি টাকা। প্রকৃতপক্ষে গত বছর আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজিকে এনিয়ে চিঠি লিখেছিলাম। প্রায়ই আমি এনিয়ে সরবও হয়েছি।  

    অত্যন্ত সুচারুভাবে লটারি ব্যবসার নামে রাজ্যের দরিদ্র মানুষকে ঠকিয়ে তৃণমূল নেতারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করছেন বলেও অভিযোগ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। অন্য একটি ট্যুইট-বাণে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লেখেন, এই উদ্বেগজনক ইস্যুটি নিয়ে আমি অনেক দিন ধরেই আওয়াজ তুলছি। পশ্চিমবঙ্গের দরিদ্র মানুষকে লটারির পুরস্কারের নামে সহজে মোটা টাকা পাওয়ার লোভ দেখানো হচ্ছে। তাঁরা সহজেই তাঁদের কষ্টার্জিত টাকা খরচ করে এই সব লটারির টিকিট কাটছেন। আর সেই টাকায় লাভবান হচ্ছেন তৃণমূল নেতারা।

    আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে পিএফআই যোগসূত্র ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Suvendu Adhikari: ‘‘যে হাত দিয়ে চড় মেরেছেন, সেই হাত দিয়েই…’’ কাকে হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ‘‘যে হাত দিয়ে চড় মেরেছেন, সেই হাত দিয়েই…’’ কাকে হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের শাসকদলের তোষণকারী পুলিশদের কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রকাশ্য সভা থেকে পুলিশের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন তিনি। একহাত নিলেন শাসকদল তৃণমূলকেও (TMC)। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) সুতাহাটায় (Sutahata) সভা করেন শুভেন্দু। এদিন পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যে হাত দিয়ে সত্যব্রত দাসকে চড় মেরেছেন। সেই দুটি হাত দিয়ে সত্যব্রত দাসের পা ধরাতে যদি না পারি, তাহলে আমার নাম শুভেন্দু অধিকারী নয়।’

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া বাংলায় ভোট হওয়াই উচিত নয়! পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক সুর সুকান্ত-শুভেন্দুর

    সম্প্রতি, পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সত্যব্রত দাসের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে করেছিলেন সুতাহাটার বর্ষীয়ান শিক্ষক ও তৃণমূল নেতা কমলেশ চক্রবর্তী। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সুতাহাটা থানার পুলিশ গ্রেফতার করে সত্যব্রত দাসকে। সত্যব্রতকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সেই প্রসঙ্গেই এদিন এই মন্তব্য করেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, এক ব্যক্তির মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ জনপ্রিয়, পরোপকারী ব্যক্তিত্ব তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর সত্যব্রত ওরফে স্বপন দাসকে গ্রেফতার করেছে। সত্যব্রত এলাকায় শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।

    আরও পড়ুন: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে চার্জশিট সিবিআইয়ের! জানেন তালিকায় রয়েছেন কারা?

    এদিন তৃণমূলকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, “এই সরকারের সঙ্গে মানুষ নেই। আছে পুলিশ বাবা। তবে পুলিশ বাবাও এদের বাঁচাতে পারবে না।” প্রসঙ্গত, সত্যব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ, হলদিয়া পৌরসভা এলাকায় ভুয়ো কাজের নথি দেখিয়ে টাকা তোলা হয়। এই ঘটনায় সিট গঠন করে তদন্ত শুরু হয়। ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় সত্যব্রতকে। হলদিয়ার প্রাক্তন কাউন্সিলরকে গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, “পুলিশ যে কী করছে তা আমরা জানি। সিবিআই-এর পাল্টা সিআইডিকে দিয়ে আমাদেরকে হেনস্থা করার চেষ্টা। কেউ অন্যায় করলে তা বিচার করার জন্য তো আদালত আছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Panchayat Election: কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া বাংলায় ভোট হওয়াই উচিত নয়! পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক সুর সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Panchayat Election: কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া বাংলায় ভোট হওয়াই উচিত নয়! পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক সুর সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট (Bengal Panchayat Polls) হোক কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Forces) উপস্থিতিতে। রাজ্য পুলিশ (West Bengal Police) দিয়ে ভোট করানোর চেষ্টা হলে আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu)। একই সুর শোনা গিয়েছে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও  বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) গলাতেও। সম্ভবত আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসের মধ্যেই রাজ্যে অনুষ্ঠিত হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তার প্রস্তুতিও। তার আগেই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তুলল পদ্ম শিবির।

    আরও পড়ুন: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে চার্জশিট সিবিআইয়ের! জানেন তালিকায় রয়েছেন কারা?

    শুভেন্দু বলেন, “পঞ্চায়েত ভোট যদি রাজ্য পুলিশ দিয়ে করার উদ্যোগ নেওয়া হয় তাহলে আমরা তার প্রতিবাদ করব। আদালতে দ্বারস্থও হব। বিগত পুর নির্বাচনগুলোতে রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করিয়ে কী হয়েছে তা সবাই দেখেছে। বিষয়টি আদালতেরও নজরে রয়েছে। পুরসভার ভোটে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ভোট লুঠ করে ক্ষমতায় এসেছে। তাই আমাদের দাবি,কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানেই শান্তিপূর্ণ ও অবাধ পঞ্চায়েত ভোট করা হোক।” এর আগে একই দাবি জানিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, “সব বুথে লড়াই হবে। আদালতে লড়াই হবে। রাজনীতির ময়দানেও লড়াই হবে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার যা পরিস্থিতি তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া বাংলায় কোনও ভোট হওয়াই উচিৎ নয়। ফলাফল ফ্যাক্টর নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অশান্তি ও  হিংসা আটকানোর লক্ষ্যেই পঞ্চায়েত ভোটে সেন্ট্রাল ফোর্সের প্রয়োজন রয়েছে।”

    আরও পড়ুন:উপলক্ষ কালীপুজো, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর, লেক কালী বাড়িতে ভক্ত সমাগম

    সুকান্ত ও শুভেন্দুর সঙ্গে সহমত জানিয়ে  বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও বলেন, “এ রাজ্যে কোনও নির্বাচনই অবাধ ও  শান্তিপূর্ণ  করতে দেয় না শাসকদল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। অবাধ নির্বাচন হলে তৃণমূল জিততে পারবে না। তাই আমাদের দাবি, আগামী পঞ্চায়েত ভোট রাজ্য পুলিশ নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই করানোর ব্যবস্থা করা হোক।” বেশ কিছু ক্ষেত্রে মতের অমিল থাকলেও এ বিষয়ে একমত রাজ্য বিজেপির অন্যতম তিন নেতা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ডিসেম্বরেই পতন হচ্ছে তৃণমূল সরকারের? কী বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ডিসেম্বরেই পতন হচ্ছে তৃণমূল সরকারের? কী বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বর মাসেই এই সরকার ল্যাম্পপোস্ট হয়ে যাবে। রবিবার যাদবপুরের বিজয়গড়ে কালীপুজোর উদ্বোধন করতে এসে এমনটাই বললেন বিরোধে দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বর্তমান রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ” কালীপুজোয় মায়ের কাছে অনুরোধ করব ২০২৩ সালে যেন আমরা চোরমুক্ত বাংলা দেখতে পাই। দেখুন না কী হয়! ডিসেম্বর মাসেই এই সরকার ল্যাম্পপোস্ট হয়ে যাবে।” শুভেন্দুর এই দাবিকে ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, ডিসেম্বর মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আর্থিক দেউলিয়া সরকার ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে আর ঋণ নিতে পারবে না রাজ্য সরকার। যা আর্থিক সংকট ডেকে আনতে পারে। তখন এই সরকারকে ফেলা অনেকটাই সহজ হবে।

    আরও পড়ুন: দেশের সুরক্ষা যাদের কাঁধে, প্রথা মেনে তাঁদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করতে কার্গিলে মোদি 

    শুভেন্দু আরও বলেন, “ডিসেম্বর মাসের পরে এই সরকারটা সরকার হিসেবে থাকবে না। মর্নিং শোজ দ্যা ডে। দেখতে পাচ্ছেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ বঞ্চিত প্রার্থীরা করুণাময়ীর সামনে লাগাতার অবস্থান করছেন। সরকার চলে গিয়েছে কোর্টে। ১৪৪ ধারা জারি করতে কোর্টে যেতে হয়েছে। এই সরকার দুর্বল সরকার। যে সরকারে কোনও ক্ষমতা থাকে না সে কোর্টে চলে যায়। ডিসেম্বরের আগেই এই সরকার দুর্বল সরকারে পরিণত হয়ে গিয়েছে।”

    আরও এক বিস্ফোরক দাবি করে বিরোধী দলনেতা বলেন, “পুলিশের পাশাপাশি আন্দোলন ভাঙতে সরকারকে ভাঙড়- ক্যানিং থেকে ক্যাডারও আনতে হয়েছিল মেধাবী যুবক যুবতীদের আন্দোলন ভাঙতে। নিরস্ত্র অবস্থায় শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছিল ওরা। তাদের বল পূর্বক আন্দোলন ভাঙা হয়েছে।”

    এদিকে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের (Birbhum Politics) দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। আর সেই ফাঁকেই ভাঙছে বীরভূম তৃণমূল। কেষ্টর জেলে যাওয়ার পরই দুর্বল হচ্ছে তৃণমূলের বীরভূমের দুর্গ? পরপর দু’দিন জেলার তৃণমুল নেতাদের কার্যকলাপে এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেল।

    শুভেন্দু অধিকারীর সম্প্রতি পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তিনি সিউড়ির বামণী কালীমন্দিরে পুজো দিচ্ছেন। কিন্তু সেই ভিডিও নজর কেড়েছেন দুই তৃণমূল কাউন্সিলর। ভিডিওতে যে দুই তৃণমূল নেতাকে শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা গিয়েছে, তাঁদের একজন সিউড়ির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় এবং অন্যজন হলেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কুন্দন দে। ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “পশ্চিমবঙ্গ, না কি হিটলারের জার্মানি?” টেট উত্তীর্ণদের উপর পুলিশের বলপ্রয়োগে ট্যুইট শুভেন্দু অধিকারীর

    Suvendu Adhikari: “পশ্চিমবঙ্গ, না কি হিটলারের জার্মানি?” টেট উত্তীর্ণদের উপর পুলিশের বলপ্রয়োগে ট্যুইট শুভেন্দু অধিকারীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করুণাময়ীতে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীদের পুলিশ অভিযান চালিয়ে তুলে দেওয়ার ঘটনার কড়া নিন্দা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইটারে তিনি লিখলেন, “পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি ভয়াবহ। সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরের সামনে ২০১৪ টেট উত্তীর্ণরা যে বৈধভাবে অবস্থান-বিক্ষোভ চালাচ্ছিল, তাঁদের ওপর নির্মমভাবে অত্যাচার চালিয়ে জোর করে তুলে দিয়েছে মমতার পুলিশ। এটা পশ্চিমবঙ্গ, না কি, হিটলারের জার্মানি?”

    এর আগে, ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি ও চাকরি চুরির অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করেন। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে এক কর্মসূচি থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এসবের সমাধান একটাই। নবান্নর ১৪ তলা থেকে ওনাকে সরাতে হবে। তাহলেই পশ্চিমবঙ্গে কাজের সুযোগ বাড়বে, শিল্প আসবে, বানিজ্যের পরিবেশ তৈরি হবে, সিন্ডিকেটরাজ-সাদা খাতায় চাকরি বন্ধ হবে।”

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে কুরুক্ষেত্র করুণাময়ী, জোর করে টেট উত্তীর্ণদের তুলল পুলিশ

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট প্রার্থীদের ওপর হঠাৎ করেই অভিযান চালায় পুলিশ। কুরুক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয় করুণাময়ীতে। রীতিমতো বলপ্রয়োগ করে সরিয়ে দেওয়া হয় চাকরিপ্রার্থীদের। মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষ টেনে-হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আন্দোলনকারীদের মধ্যে বহু মহিলাও ছিলেন৷ তাই তাঁদের সরানোর জন্য মহিলা পুলিশও নিয়ে আসা হয়েছিল৷ কান্নায় ভেঙে পড়েন আন্দোলনকারীরা।  

    অনেককে নিয়ে যাওয়া হয় টানতে টানতে৷ তিন দিন ধরে অনশনে থাকা চাকরিপ্রার্থীরা এই ধস্তাধস্তির মধ্যে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ কেউ কেউ সংজ্ঞা হারান৷ বেশ কয়েক জন চোট পান বলেও অভিযোগ। আন্দোলনকারীদের তিনটি প্রিজন ভ্য়ানে তোলা হয়। অসুস্থ এক আন্দোলনকারীকে তোলা হয় অ্যাম্বুল্যান্সে। ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের অভিযোগ, তাঁদের ৩ জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ভোররাতে আটক চাকরিপ্রার্থীদের পুলিশ বাসে করে এনে শিয়ালদা ও হাওড়া স্টেশন চত্বরে ছেড়ে দেয়।

    আরও পড়ুন: বিরোধী শিবির এগোতেই রিটার্নিং অফিসার ‘বিরতি’ নিলেন, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে 

     

  • Suvendu Adhikari: “পুলিশও তৃণমূলকে বাঁচাতে পারবে না”, বিজয়া সম্মিলনী থেকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর

    Suvendu Adhikari: “পুলিশও তৃণমূলকে বাঁচাতে পারবে না”, বিজয়া সম্মিলনী থেকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পুলিশও তৃণমূলকে বাঁচাতে পারবে না।” বুধবার কাঁথিতে (Kanthi) বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে গিয়ে এবার পুলিশ ও শাসক দলকে একহাত নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঞ্চ থেকে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানালেন, “ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই হবে।” এদিন কাঁথিতে সাংগঠনিক জেলা বিজেপির উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি মঞ্চে উঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে তোপ দাগলেন শাসকদল ও রাজ্য পুলিশকে।

    রাজ্য পুলিশকে তিনি (Suvendu Adhikari) এদিন ‘মমতার পুলিশ’, ‘চটি চাটা পুলিশ’ ও ‘দলদাস’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, “পুলিশ, মমতার পুলিশ। চটি চাটা পুলিশ। দলদাসে পরিণত হওয়া পুলিশ। তারাই ঠিকা নিয়েছে, তারাই দায়িত্ব নিয়েছে, এই তোলামূল নামক পার্টি টাকে টিকিয়ে রাখার বা বাঁচিয়ে রাখার। কিন্তু তারা আর বাঁচিয়ে রাখতে পারবে না। আমরা কার্যত গুছিয়ে নিয়ে এসেছি। আর কিছুদিনের মধ্যেই বুঝতে পারবেন, এদের অবস্থাটা কী হবে। লড়াই করুন। সিপিএমকে কী করে উৎখাত করেছি, আমি জানি। একেও কী করে উৎখাত করতে হয় আমি জানি। শুধু সঙ্গে থাকুন।”  

    আরও পড়ুন: অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার! মোমিনপুর-কাণ্ডের সমস্ত নথি কলকাতা পুলিশের থেকে চাইল এনআইএ

    ফলে মঞ্চ থেকেই তিনি (Suvendu Adhikari) তৃণমূল কংগ্রেসের ভবিষ্যতবাণী করেছেন ও তাদের বিদায় খুব শীঘ্রই হতে চলেছে, এবিষয়ে বলেন। তিনি এদিন অনুষ্ঠানের যোগ দেওয়ার পর থেকই সুর চড়িয়েছেন শাসক দলের বিরুদ্ধে। তিনি আরও বলেন, “আমরা উপরের চোরগুলোকে ধরার চেষ্টা করছি। আপনারা নিচ তলার চোর গুলোকে তাড়ানোর চেষ্টা করুন।” আবারা এদিন পরিবারতন্ত্র নিয়েও তিনি কটাক্ষ করেন কংগ্রেস ও তৃণমূলকে।

    অন্যদিকে এদিন আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়েও এখনই হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তার দায়িত্বে যদি রাজ্য পুলিশ থাকে, তবে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও তিনি জানিয়েছেন৷ পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেছেন, ”এখন থেকেই বুথকে দুর্গে পরিণত করতে হবে। লড়াই করতে হবে, ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই হবে। এতটুকু ছেড়ে দেওয়ার জায়গা নেই। আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে সম্মিলনের মধ্যে দিয়ে প্রতিটি গ্রামাঞ্চলের জনগণের পাশে থেকে কাজ করতে হবে। কার্যকর্তাদের এই বিষয়ে দায়িত্ব নিতে হবে।”

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে হাজির করাতে হবে অনুদান পাওয়া ক্লাবগুলিকে, সরকারি নির্দেশে সরব শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে হাজির করাতে হবে অনুদান পাওয়া ক্লাবগুলিকে, সরকারি নির্দেশে সরব শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বোমা ফাটালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রীর (CM) বিজয়া সম্মিলনীতে যেসব ক্লাব ৬০ হাজার করে টাকা পেয়েছিল, তাদের ওই সম্মিলনীতে হাজির করাতে হবে বলে বিভিন্ন প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং জেলাশাসক (DM)! সরকারি একটি পদে বসে জেলাশাসক এমন নির্দেশ দিতে পারেন কিনা, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    বামেদের হঠিয়ে ২০১১ সালে রাজ্যের তখতে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন তৃণমূল (TMC) সরকার। তার পরেই একের পর এক অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে রাজ্য সরকারের নাম। রাজ্য সরকারের এহেন অনিয়মের অভিযোগে বারংবার সরব হয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার এরকমই একটি ন্যক্কারজনক ঘটনার কথা ট্যুইট করে জানালেন শুভেন্দু। ট্যুইটবার্তায় শুভেন্দু জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকরা তাঁদের অধস্তন এডিএম, এসডিও এবং বিডিওদের প্রতি এক নির্দেশিকা জারি করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, দুর্গাপুজো উপলক্ষে যেসব ক্লাবকে ৬০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে, ওই সব ক্লাবের সদস্যদের আগামিকাল শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে বাধ্যতামূলকভাবে হাজির করাতে হবে। সরকারি পদে বসে জেলাশাসকের মতো একজন পদাধিকারী এহেন নির্দেশ দিতে পারেন কিনা, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।

    তবে প্রশ্ন উঠলেই বা কী হবে? এমন নজির রয়েছে আরও। এবং তা তুলে ধরেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীই (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর ঘিরে সাজ সাজ রব। বিরোধী নেত্রী থাকার সময় উত্তরবঙ্গের একটি রিসর্টে গিয়েছিলেন তিনি। রিসর্টটি উত্তর ২৪ পরগনার মহেশতলার বিধায়ক তৃণমূলের দুলাল দাসের। ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি এই রিসর্ট সংস্কার করা হয়েছে সরকারি অর্থ ব্যয়ে। সাজানো হয়েছে রিসর্ট চত্বর। রিসর্টে যাওয়ার রাস্তাও ঢেলে সাজানো হয়েছে। শুভেন্দুর দাবি, এসবই হয়েছে সরকারি টাকা খরচ করে। মুখ্যমন্ত্রী যেতে পারেন ভেবে সরকারি টাকায় একটি বেসরকারি রিসর্ট সাজানো যায় কিনা, সে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। রিসর্ট বিতর্কের রেশ মেলানোর আগেই এবার জেলাশাসকদের বার্তা নিয়ে সরব হলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।   প্রসঙ্গত, এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীকে কর্পোরেট সম্মিলনী বলে কটাক্ষ করেছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেছিলেন, এই ধরনের কর্পোরেট সম্মিলনীর কোনও মূল্য সাধারণ মানুষের কাছে নেই। এই ধরনের সম্মিলনীতে সাধারণ মানুষ থাকে না। এখানে থাকে শুধু তোলামূল পার্টির সদস্য আর পুলিশ। 

    আরও পড়ুন: তিস্তায় রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার, ভিডিও শেয়ার করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: আশায় বুক বাঁধবেন না, টেট পরীক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়ে রাজ্য সরকারকে খোঁচা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: আশায় বুক বাঁধবেন না, টেট পরীক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়ে রাজ্য সরকারকে খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক টেট দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বেনজির আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ট্যুইট করে লিখলেন, “যাঁরা অনেক আশা করে শিক্ষক হওয়ার জন্য পরীক্ষায় বসার ফর্ম পূরণ করতে চলেছেন, তাঁদের জন্য এটি একটি বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ– পরীক্ষায় অবশ্যই অংশগ্রহণ করবেন, কিন্তু আশায় বুক বাঁধবেন না। এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের আমলে স্বচ্ছতা আশা করা আর পক্ষিরাজ ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হওয়া প্রায় সমান।” এখানেই থামেননি তিনি। ‘২০২২ টেট পরীক্ষার আবেদনপত্র’ বলে একটি ব্যাঙ্গাত্মক ফর্ম সেই ট্যুইটে জুড়েছেন তিনি।  

    আরও পড়ুন: ‘চাকরি দিক নয়ত লাশ তুলে নিয়ে যাক’, ৪৮ ঘণ্টা পেরোল টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলন


    আবেদনপত্রটিতে নাম, বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতার জায়গার পাশাপাশি লেখা রয়েছে ‘অযোগ্য প্রার্থী হলে নিজের মোবাইল নম্বর লিখুন’, পাশাপাশি নিজস্ব বুথের তৃণমূল নেতার নাম ও মোবাইল নম্বর লেখারও জায়গা রয়েছে। 

    একদম শেষে রয়েছে কিছু শর্তাবলী। শর্তাবলীর ভিতরে লেখা রয়েছে যে, পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসবেন তাঁদের অসীম ধৈর্য থাকতে হবে। কোথাও আবার পরামর্শ দিয়ে লেখা ঘুষের টাকা পরে তৃণমূল নেতার থেকে ফেরত চাইতে হলে টাকা দেওয়ার প্রমাণ গুছিয়ে রাখতে হবে। একই সঙ্গে যাঁদের বয়স উর্ধ্বসীমার কাছাকাছি রয়েছে তাঁদের আবেদন না করারই পরামর্শ দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। 

    প্রসঙ্গত, টেট দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এসএসসি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে জেলে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দিন কয়েক আগেই প্রাথমিক টেটে নিয়োগে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যও। এর মাঝেই টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ফের নেওয়া হবে টেট পরীক্ষা। গত ১৪ অক্টোবর থেকে অনলাইনে প্রাথমিকে চাকরির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এবার এই নিয়ে সরকারের দিকে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যে শীঘ্রই চালু হবে সিএএ! নাগরিক সংশোধনী বিল নিয়ে আশার আলো দেখালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: রাজ্যে শীঘ্রই চালু হবে সিএএ! নাগরিক সংশোধনী বিল নিয়ে আশার আলো দেখালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘নিশ্চিত থাকুন, খুবই শীঘ্রই আপনাদের স্বপ্নপূরণ হবে।’ বনগায় বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নাগরিক সংশোধনী বিল (CAA) নিয়ে আশার আলো দেখালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগেই দিল্লি গিয়েছিলাম। জানতে চেয়েছিলাম, কবে আমাদের রাজ্যে CAA চালু হবে। ইতিবাচক উত্তর পেয়েছি। আমার বিশ্বাস, সেই সময় খুব দেরি নেই।’ পাঞ্চায়েত ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যে বেজায় খুশি বনগাবাসী। কারণ, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস করা নিয়ে দীর্ঘদিন তারা আন্দোলন করেছেন।

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে হাজির করাতে হবে অনুদান পাওয়া ক্লাবগুলিকে, সরকারি নির্দেশে সরব শুভেন্দু

    যদিও এই আইন নিয়ে অতীতে কম বিতর্ক হয়নি। অনেকেরই মনে হচ্ছিল, ব্যাপারটি হয়তো লাল ফিতের ফাঁসে আটকে পড়েছে। কিন্তু রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কথা শুনে ফের আশায় বুক বেঁধেছেন অনেকেই। ঠাকুর নগরে এক জনসভায় খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) রাজ্যে সিএএ চালুর ব্যাপারে জোর সওয়াল করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, ‘আজ না হয় কাল সিএএ আইন রাজ্যে লাঘু হবেই। কেউ আটকাতে পারবে না। কারণ, কথা দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ। তাঁরা যখন কথা দেন, তা রাখেন। আমি মনে করি, শুধু  সিএএ নয়, অবিলম্ব রাজ্যে এনআরসিও চালু হওয়া দরকার। এমনকী, জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইন খুবই প্রয়োজন। তবে সবার আগে সিএএ চালুর ব্যবস্থা করছি আমরা। কারণ, এটা শান্তনু ঠাকুরের লড়াই, এই লড়াই বিধায়ক স্বপন মজুমদার, অশোক কীর্তনীয়া, সুব্রত ঠাকুর, অম্বিকায় রায়, অসীম সরকারদের। যা কোনওভাবইে বিফলে যাবে না। আমরা জয়ী হবই।’

    আরও পড়ুন: তিস্তায় রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার, ভিডিও শেয়ার করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    লোকসভা ও রাজ্যসভায় সিএএ আইন পাস হয়েছে। এবার সেটা প্রয়োগ হবে, বলে জানান শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘আমাদের রাজ্যে দিনের পর দিন অনুপ্রবেশ বাড়ছে। কাঁটা তারের বেড়া টপকে এসে অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের রেশন খাচ্ছে, জমি ছিনিয়ে নিচ্ছে, ভাগ বসাচ্ছে একশো দিনের কাজেও। আর বঞ্চিত হচ্ছে আমাদের ঘরের ছেলে-মেয়েরা। ভারতভূমিকে রক্ষা করার জন্য, পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করার জন্য নাগরিক পঞ্জি তৈরি ভীষণই জরুরি।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: তিস্তায় রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার, ভিডিও শেয়ার করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: তিস্তায় রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার, ভিডিও শেয়ার করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি টাকায় এক তৃণমূল বিধায়কের রিসর্ট সংস্কারের কাজ হচ্ছে। এমনই অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রী ওই রিসর্টে যেতে পারেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। এর পর আটচল্লিশ ঘণ্টাও কাটেনি, ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি পাচারের (Sand Smuggling) একটি ভিডিও শেয়ার করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কটাক্ষ, মুখ্যমন্ত্রী যখন পাহাড় সফরে তখন তাঁর উপস্থিতির মধ্যেই ওই জেলায় রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার।

    সোমবার উত্তরবঙ্গ (North Bengal) সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজয়া দশমীর দিন মালবাজারে মাল নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আচমকাই জলপাইগুড়ির ওই নদীতে চলে আসে হড়পা বান। বানের জলে ভেসে যান বেশ কয়েকজন। পরে উদ্ধার হয় তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের দেহ। এদিন উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে দশমীর দিনের ওই মর্মান্তিক ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী যখন ওই পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করে কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন করছেন, ঠিক তখনই উত্তরবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ নদী তিস্তা থেকে অবৈধভাবে বালি তোলার ভিডিও শেয়ার করলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

    ২ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের ভিডিওটি শেয়ার করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, তিস্তা থেকে অবৈধভাবে বালি তোলা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী যখন পাহাড় সফর করছেন, তখন তাঁর উপস্থিতির মধ্যেই জেলায় রমরমিয়ে চলছে অবৈধভাবে বালি পাচার। নন্দীগ্রামের বিধায়েকর অভিযোগ, তৃণমূল নেতাদের মদতেই চলছে বালি পাচার। পাচারের কাজ চলছে রাজগঞ্জ বিধানসভার পাহাড়পুর এলাকায়।

    আরও পড়ুন: ওরা হিন্দুদের তাড়াতে চায়! মোমিনপুর-কাণ্ডে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    রবিবারই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) অভিযোগ করেছিলেন, সরকারি ব্যয়ে উত্তরবঙ্গে একটি বেসরকারি রিসর্ট সংস্কার করা হচ্ছে। রিসর্টটি মহেশতলার বিধায়ক তৃণমূলের দুলাল দাসের। কেবল ওই রিসর্টটি নয়, তার আশপাশের এলাকা এবং রিসর্টে যাওয়ার রাস্তাও সংস্কার করা হচ্ছে সরকারি অর্থ ব্যয়ে। মুখ্যমন্ত্রী ওই রিসর্টে যেতে পারেন বলেও জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রী যখন বিরোধী নেত্রী ছিলেন, তখন একবার ওই রিসর্টে গিয়েছিলেন। সরকারি অর্থ ব্যয়ে কেন চলছে ব্যক্তিগত রিসর্ট সংস্কারের কাজ, সে প্রশ্নও তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share