Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Siuri Sealdah New Train: চালু হয়ে গেল সিউড়ি-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস, জনতার মুখে জগন্নাথ-স্তুতি

    Siuri Sealdah New Train: চালু হয়ে গেল সিউড়ি-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস, জনতার মুখে জগন্নাথ-স্তুতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতীক্ষার প্রহর গোণা শেষ হল সিউড়িবাসীর (Inhabitants of Siuri)। রবিবারের শুভক্ষণে চালু হয়ে গেল সিউড়ি-শিয়ালদহ এক্সপ্রেসের (Siuri Sealdah Express)। এই ট্রেনে চড়েই খুব কম সময়ে সিউড়ি (Siuri) থেকে পৌঁছে যাওয়া যাবে কলকাতার (Kolkata) প্রাণকেন্দ্রে। তাই ট্রেনযাত্রার সূচনা হতেই সিউড়িতে শুরু হয়ে গেল উৎসব।

    এই উৎসবের নান্দীমুখ হয়েছিল আগেই। কিছুদিন আগেই রেলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ৩১ জুলাই উদ্বোধন হবে সিউড়ি-শিয়ালদহ এক্সপ্রেসের। তার পরেই একটু একটু করে ডানা মেলতে শুরু করেছিল সিউড়িবাসীর স্বপ্ন। সেই স্বপ্নই পূরণ হল রবিবার।

    সিউড়ি থেকে কলকাতা যাত্রার একটা দুরন্ত গতির ট্রেনের দাবি সিউড়িবাসীর দীর্ঘদিনের। সেই দাবি পূরণে ব্যর্থ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। উদাসীনতার অভিযোগও উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সিউড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হন প্রাক্তন সাংবাদিক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। ভোটের প্রচারে বেরিয়ে জনতার নাড়ি বোঝেন। ভোটে অবশ্য হেরে যান সিউড়ির ভূমিপুত্র জগন্নাথ। জনতা তাঁকে চাইলে কী হবে, শাসক দলের ভোট মেশিনারির কাছে পরাস্ত হন তিনি। তা সত্ত্বেও সিউড়িবাসীর স্বপ্ন পূরণে উদ্যোগী হন জগন্নাথ। কথা বলেন রেলমন্ত্রীর সঙ্গে। আশ্বাস নিয়ে তবেই ফেরেন দিল্লি থেকে। সেই খবর আগেই মাধ্যম জানিয়ে দিয়েছে পাঠকদের। সিউড়িবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত সেই স্বপ্নই পূরণ হল এদিন।

    আরও পড়ুন : রবিবার থেকেই সিউড়ি-শিয়ালদহ নতুন ট্রেন

    রবিরার দুপুরে সিউড়ি ছিল আক্ষরিক অর্থেই উৎসবের মেজাজে। রঙিন বেলুন, ঢাক ও ব্যান্ড পার্টি সহযোগে বিজেপি কর্মীরা তরুণ তুর্কি নেতা জগন্নাথকে সঙ্গে নিয়ে যান সিউড়ি স্টেশনে। সেখানে তার পরে পরেই চলে আসেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। এদিন মেমু এক্সপ্রেসের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু, জগন্নাথ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, বীরভূম এগোবে জগন্নাথের মতো তরুণ নেতার হাত ধরে। প্রকৃত শান্তিনিকেতন তৈরি হবে এখানে। ট্রেন চালু হওয়ায় যারপরনাই খুশি জগন্নাথ। বলেন, যা করার কথা ছিল বিধায়ক, সাংসদের, তাঁরা তা করেননি। আমি হেরে গিয়েও সিড়ড়িবাসীর দাবি পূরণ করার স্বপ্ন দেখা ছাড়িনি। সেই স্বপ্নই পূরণ হল এদিন। সিউড়িবাসীর স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগল ৭৫ বছর!    

    পয়লা আগস্ট থেকে প্রতিদিন ভোর ৫টা ২০-তে এই মেমু এক্সপ্রেস ছাড়বে সিউড়ি থেকে। পথে ট্রেনটি দাঁড়াবে পাণ্ডবেশ্বর, অন্ডাল, দুর্গাপুর, পানাগড়, বর্ধমান, ব্যান্ডেল এবং নৈহাটিতে। শিয়ালদহ পৌঁছবে সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে। স্বাভাবিকভাবেই বিরাট সুবিধা হবে অফিস যাত্রীদের। বিকেলে ফের শিয়ালদহ থেকে ট্রেনটি ছাড়বে ৫টা ২৫ মিনিটে। সিউড়ি পৌঁছবে রাত ৯টা ৩২এ। ফলে ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দিনের দিন কলকাতায় কাজ সেরে ফের ঘরে ফেরার সুযোগ এবার সিউড়িবাসীর হাতের মুঠোয়। তাই সিউড়িবাসীর মুখে এখন কেবলই জগন্নাথ-স্তুতি।

    আরও পড়ুন : টাকা আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়, তিন সত্যি পার্থর!

  • Suvendu Sukanta: হাওড়ায় যেতে কেন বাধা? সুকান্ত-শুভেন্দুকে মামলায় অনুমতি হাইকোর্টের

    Suvendu Sukanta: হাওড়ায় যেতে কেন বাধা? সুকান্ত-শুভেন্দুকে মামলায় অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া (Howrah) ঢোকার চেষ্টা করলে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে (BJP State President) গ্রেফতার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে (Leader of Opposition) বাধা কেন দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। 

    রাজ্যের পুলিশ, প্রশাসন ও সরকারের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu) এবং বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)৷ বিষয়টি নিয়ে মামলার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই নেতা৷ কলকাতা হাইকোর্ট তাঁদের সেই আবেদন মেনে নিয়ে মামলা রুজু করার অনুমতি দিয়েছে৷

    পয়গম্বরকে (Prophet Row) নিয়ে বিজেপির নিলম্বিত জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মার আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে গত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা (Howrah Violence)৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শুক্রবার থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল হাওড়ায়। সোমবার তা পুনরায় চালু করা হয়। উলুবেড়িয়া সহ বেশ কিছু এলাকায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। 

    আরও পড়ুন: “দিদিমনি অবসর নিলেও আচার্য হতে পারবেন না”, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে বিজেপি-র কার্যালয় ভাঙচুর ও কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে৷ তারপরই হাওড়া যাওয়ার উদ্যোগ নেন শুভেন্দু ও সুকান্ত৷ কিন্তু, তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ৷ শনিবার সেই পার্টি অফিসে যেতে চেয়েছিলেন সুকান্ত। কিন্তু, তাঁদের আটকে দেওয়া হয়।

    নিউ টাউনের বাড়িতে বেরোতেই পুলিশ আটকায় সুকান্ত মজুমদারকে। কিন্তু পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই গাড়ি করে রওনা দেন হাওড়ার উদ্দেশে। কিন্তু মাঝ পথেই তাঁর গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। তখন পায়ে হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে।

    অন্যদিকে, রবিবার একইভাবে কাঁথি থেকে হাওড়ায় যেতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু পুলিশ হাওড়ায় যেতে দেয়নি তাঁকেও। নন্দীগ্রামে দীর্ঘক্ষণ পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হওয়ার পর শুভেন্দু হাওড়া না গিয়ে কলকাতায় এসে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন শুভেন্দু। একই সঙ্গে তাঁকে ‘বেআইনি ভাবে’ হাওড়া যাওয়ায় বাধা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ ত্রিবেদীকেও চিঠি দেন শুভেন্দু। 

    আরও পড়ুন: বেথুয়াডহরি স্টেশনে ভাঙচুর বিক্ষোভকারীদের, প্রতিবাদে ৭২-ঘণ্টা ব্যবসা বন‍্‍ধ

    শুভেন্দু আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, হাওড়ায় ঢুকতে তাঁকে বাধা দেওয়া হলে, তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন। এই দুই ঘটনায় পুলিশের অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার অনুমতি চান সুকান্ত-শুভেন্দু। সোমবার, তাঁদের সেই আবেদন মঞ্জুর করে উচ্চ আদালত।

  • JP Nadda: দুদিনের সফরে রাজ্যে জেপি নাড্ডা, আজ কোথায় কী কী কর্মসূচি?

    JP Nadda: দুদিনের সফরে রাজ্যে জেপি নাড্ডা, আজ কোথায় কী কী কর্মসূচি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী দু’দিনের সফরে বঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি (BJP National President) জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। মঙ্গলবার রাতে কলকাতায় পৌঁছোন তিনি। বুধবার তাঁর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। 

    দলীয় সূত্রের খবর, প্রথমে চুঁচুড়ায় ঋষি অরবিন্দের (Sri Aurobindo) স্মৃতিবিজড়িত বন্দেমাতরম ভবনে যাবেন নাড্ডা (Nadda)। এরপর তিনি চন্দননগরে রাসবিহারী বসু রিসার্চ ইনস্টিটিউটে যাবেন। সেখান থেকে কলকাতায় ফিরে ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে (National Library) রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকে (state working committee) যোগ দেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। 

    বৃহস্পতিবার সকালে তিনি যাবেন বেলুড় মঠে (Belur Math)। দুপুরে সায়েন্স সিটিতে (Science City) রাজ্যের সমস্ত মণ্ডল সভাপতিদের নিয়ে সম্মেলনে যোগ দেবেন নাড্ডা। এরপর বিকেলে কলামন্দিরে (Kala Mandir) কলকাতার বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। আগামীকাল সন্ধ্যায় বিমানে দিল্লি ফিরবেন নাড্ডা।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দমদমে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Netaji Subhas International airport) নাড্ডাকে স্বাগত জানান বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব (West Bengal BJP)। নাড্ডার বিমান কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণের অনেক আগে থেকেই বিমানবন্দর চত্বরে ভিড় জমান দলীয় কর্মী সমর্থকরা। দলীয় পতাকা ফুল ঢাক ঢোল নিয়ে তাঁরা স্বাগত জানাতে হাজির হন।

    রাত নটার কিছু পরে তাঁর বিশেষ বিমান অবতরণ করে কলকাতা বিমানবন্দরে। জেপি নাড্ডা বিমানবন্দর থেকে বাইরে বের হতেই উৎসবের চেহারা নেয় এলাকা। পুষ্পবৃষ্টি, স্লোগানে তখন গমগম করে বিমানবন্দর। সেখানেই তাঁকে অভ্যর্থনা জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ বঙ্গ বিজেপি (BJP Bengal) নেতৃত্বরা। 

    রাতেই নিউটাউনের বেসরকারি হোটেলে নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), অমিত মালব্য (Amit Malviya), লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee), অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul) সহ বিজেপির (BJP) একাধিক নেতা-নেত্রী।

    আরও পড়ুন: কাশী-মথুরা নিয়ে কী ভাবছে বিজেপি? স্পষ্ট করলেন নাড্ডা

  • Howrah Violence: সুকান্তর পর শুভেন্দু! এবার হাওড়া যাওয়ার পথে বিরোধী দলনেতাকে আটকাল পুলিশ!

    Howrah Violence: সুকান্তর পর শুভেন্দু! এবার হাওড়া যাওয়ার পথে বিরোধী দলনেতাকে আটকাল পুলিশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সভাপতির পর এবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। হাওড়া (Howrah) যাওয়ার পথে সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) আটক করে গ্রেফতার করার পর এবার শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারীর পথ আটকাল মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। 

    [tw]


    [/tw]

    গত তিনদিনের হিংসায় হাওড়ায় ভাঙা হয়েছে বিজেপির (BJP) দুটি কার্যালয়। মারধর করা হয়েছে বিজেপি কর্মীদের। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী ও ভাঙা পার্টি অফিস দেখতেই হাওড়া যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পথেই তাঁকে আটকানো হয়। তমলুকের নিমতৌড়িতে রাধামণি মোড়ে শুভেন্দু অধিকারীকে আটকায় পুলিশ। বাধা দেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। 

    আরও পড়ুন: হাওড়া যাওয়ার পথে গ্রেফতার সুকান্ত, রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ বিজেপির

    বিরোধী দলনেতার হাওড়া যাওয়া আটকাতে গতকাল রাত থেকে অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে রাজ্যের পুলিশ। মধ্যরাত থেকেই বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয় শুভেন্দু অধিকারীর কাঁথির বাড়ির সামনে। রাতারাতি শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি ঘিরে ফেলে রাজ্য পুলিশ। যাতে কেউ আস্তে যেতে না পারেন তার জন্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনে বসানো হয় ব্যারিকেড। বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনীকে। এক কথায় শুভেন্দু অধিকারীর কাঁথির বাড়ির সামনে পুলিশের ছিল ‘সাজো সাজো রব’। এদিন সকাল হতেই দেখা যায় গোটা বাড়ি কার্যত ঘিরে ফেলেছে রাজ্য পুলিশ। মোতায়েন রাজ্য পুলিশের বিশেষ বাহিনী। 

    [tw]


    [/tw]

    ঠিক একইভাবে শনিবারও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে আটকাতে ব্যবস্থা নিয়েছিল বিধাননগর পুলিশ। তবে, গতকালের মতো বিনা নোটিশে, মুখের কথায় আটকানো নয়। শুভেন্দু অধিকারীকে রীতিমতো নোটিশ পাঠায় কাঁথি থানা। আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসের সই করা সেই নোটিশে বলা হয়, “বাইরে পরিস্থিতি ভালো নয়, তাই হাওড়ায় যেতে পারবেন না বিরোধী দলনেতা। নোটিশে আরও বলা হয়েছে, হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় ইতোমধ্যেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যেন ১৪৪ ধারা ভাঙার চেষ্টা না করেন।

    শুভেন্দুর হাওড়া যাওয়া আটকানো নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন অমিত মালব্য (Amit Malviya)। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, ‘সুকান্ত মজুমদারকে আটকের পর শুভেন্দুকে আটকানোর চেষ্টা। শুভেন্দু অধিকারী যাতে হাওড়ায় যেতে না পারেন, সেই ব্যবস্থা করছে। বিক্ষোভকারীদের নয়, বিজেপিকে আটকানোই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মূল লক্ষ্য। রাজ্য সরকারকে ট্যুইটে নিশানা বিজেপি নেতা অমিত মালব্যের। এদিকে, গতকাল তাঁকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে এদিন মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: “আপনার পাপের ফলে ভুগতে হচ্ছে জনগণকে”, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    গত তিনদিন ধরে হাওড়ায় (Howrah violence) দুস্কৃতী তাণ্ডবে বেসামাল প্রশাসন। শুক্রবার ভাঙচুর চালানো হয় হাওড়া গ্রামীণ এলাকায়। ভাঙা হয় পাঁচলায় বিজেপির কার্যালয়। আগুন ধরিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা। শনিবার হামলা চলে হাওড়ার রঘুদেবপুর অঞ্চলে। এখানেও টার্গেট বিজেপির আরেক কার্যালয়। যথেচ্ছ তাণ্ডব চালায় উন্মত্ত উশৃঙ্খল বাহিনী। পুলিশের চোখের সামনে পুরো ঘটনা ঘটলেও বাধা দেওয়ার কোনও চেষ্টাই করেনি হাওড়া পুলিশ। গতকালই “কর্তব্যে গাফিলতির” কারণে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে হাওড়ার দুই পুলিশকর্তাকে।

    যদিও আজ সকালেই পুলিশকর্তাদের সরিয়ে দেওয়াকে কটাক্ষ করেছেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলিপ ঘোষ। খড়গপুরে চা-চক্রের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, পুলিশ কর্তাদের সরিয়ে দেওয়া ‘স্রেফ আইওয়াশ’। তিনি বলেন, “যারা অশান্তি করছে, মুখ্যমন্ত্রী তাদের আটকাতে পারছেন না বরং উসকে দিচ্ছে। তিন দিন ধরে বাস বন্ধ হচ্ছে, জাতীয় সড়কে অবরোধ হচ্ছে, ট্রেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দেশের সমস্ত প্রান্তে একদিনের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও এরাজ্যে করা যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, “পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে হেরো মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক স্বার্থে দাঙ্গাকারীদের ব্যবহার করছে।” 

     

     

  • Suvendu Attacks Mamata: রেলের টাকায় তৈরি সেতু উদ্বোধনে রেলই ব্রাত্য! মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Attacks Mamata: রেলের টাকায় তৈরি সেতু উদ্বোধনে রেলই ব্রাত্য! মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিংহভাগ টাকা খরচ করেছে রেল (railways)। অথচ হুগলির (Hooghly) কামারকুণ্ডুর ফ্লাইওভার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি রেলের কোনও কর্তাব্যক্তি। রেলের কোনও প্রতিনিধি ছাড়াই এদিন সিঙ্গুর (singur) থেকে ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। একাধিক ট্যুইট করে মমতাকে (Mamata) আক্রমণ শানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী।

    কামারকুণ্ডুর এই ফ্লাইওভারটির দাবি দীর্ঘদিনের। ফ্লাইওভার চালু হয়ে গেলে কমবেশি উপকৃত হবেন গোটা হুগলি জেলার মানুষ। দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম পবিত্র তীর্থ তারকেশ্বর যাওয়াও হবে সুগম। শুক্রবার দূরনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে এই প্রকল্পেরই উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন : দু’বছর পর ফের চালু হল ভারত-বাংলাদেশ রেল পরিষেবা

    এদিন ট্যুইট বার্তায় শুভেন্দু (suvendu) বলেন, এই বিজ্ঞাপনে যে ফ্লাইওভারটি দেখতে পাচ্ছেন, তা মোটা টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল। খরচের পরিমাণ ৪৪.৮৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে রেল দিয়েছে ১৩.৩৫ কোটি টাকা। সম পরিমাণ টাকা দিয়েছে ভারত (India) সরকারের সংস্থা ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডর কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডও। আর রাজ্য দিয়েছে ১৮.১৬ কোটি টাকা। সিংহভাগ টাকা খরচ করেও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি রেলের কোনও কর্তাব্যক্তিকে।

    [tw]


    [/tw]

    শুভেন্দু বলেন, “আজ সিঙ্গুর থেকে একতরফা ও অনৈতিকভাবে সেতুর উদ্বোধন করছেন। উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য একা লাইমলাইট হগ করার লোভে তিনি সুবিধাজনকভাবে ফেডেরাল কাঠামো উপেক্ষা করেছেন।” তিনি আরও বলেন, “মাননীয় রেলমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোর সৌজন্যটুকুও দেখাননি মমতা। আমন্ত্রণ জানানো হয়নি কেন্দ্রীয় সরকারের অন্য কোনও প্রতিনিধিকেও।”

    আরও পড়ুন : শিয়রে রাজ্যসভা ভোট, বিধায়কদের ‘লুকিয়ে’ রাখছে আতঙ্কিত কংগ্রেস?

    স্থানীয় জনগণের দাবির প্রতি রেল যে উদাসীন নয়, তাও জানিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “পূর্ব রেল ইতিমধ্যেই স্থানীয় জনসাধারণের চাহিদার কথা মাথায় রেখে তাঁদের সুবিধার জন্য একই জায়গায় একটি সাবওয়ে নির্মাণ করছে। এই সাবওয়েটি মানুষের নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দেবে এবং কামারকুন্ডু স্টেশনে যাত্রীদের প্রবেশাধিকারও দেবে।”

    এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন শুভেন্দু। ট্যুইট বার্তায় বলেন, “যিনি সর্বদা আপনার চেয়ে পবিত্র দেখানোর চেষ্টা করেন এবং দেশের ‘ফেডেরাল স্ট্রাকচার’ সমুন্নত রাখার বিষয়ে প্রচার করেন, তিনি সেই একই ব্যক্তি যিনি ফেডারেল কো-অপারেটিভনেসকে শ্বাসরোধ করতে পিছপা হন না, যখন এটি তাঁর উপকারে আসে।আপনাকে ধিক! আপনি সিএম-চিফ ম্যানিপুলেটর।”

    [tw]


    [/tw]

    রেলকে বাদ দিয়ে রেলের প্রকল্পের উদ্বোধনের অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই প্রথম নয়। অধীর চৌধুরী যখন রেল প্রতিমন্ত্রী ছিলেন, তখনও একবার আগেভাগে মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। পরে ফের রেলের সেই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন অধীর।

     

  • Coal Scam: কয়লা পাচার কাণ্ডে ফের তলব মলয় ঘটককে! ইডির সমন বাঘমুণ্ডির তৃণমূল বিধায়ককেও

    Coal Scam: কয়লা পাচার কাণ্ডে ফের তলব মলয় ঘটককে! ইডির সমন বাঘমুণ্ডির তৃণমূল বিধায়ককেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal scam case) ফের রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে (Moloy Ghatak) তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এই নিয়ে চতুর্থবার তাঁকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একই সঙ্গে তলব করা হয়েছে পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোকেও (Sushanta Mahato)। তাঁদেরকে শুক্রবার সকাল ১১টায় দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

    ইডি সূত্রে খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য সামনে রেখেই তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক এবং মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একাধিক সাক্ষীর বয়ানে মলয় ঘটকের নাম উঠে এসেছে। মলয় ঘটককে আগেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তিনবার। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তথ্য মিলছে না। তিনি কিছু গোপন করছেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাই আবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: চেকপোস্টে আটকে কয়লা, “ভাইপো ভ্যাটে”র অপেক্ষায়? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথি যাচাই করতে গিয়ে সুশান্ত মাহাতোরও নাম মিলেছে। এমনকী অনুপ মাজি তথা লালার দফতরে হানা দিয়ে যে নথি মেলে সেখানে পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির বিধায়কের নাম রয়েছে। এই কারণে তাঁকেও তলব করা হয়। প্রয়োজনে সুশান্ত মাহাতো এবং মলয় ঘটককে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করা হতে পারে। সুশান্ত মাহাতো পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির বিধায়ক। আর লালার বাড়ি এবং কর্মস্থল ওই এলাকায়। সেখানে একাধিক খনি রয়েছে। সুতরাং একটা যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাই জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চান তাঁরা। 

    গতবছর ১৬ সেপ্টম্বর পুরুলিয়ায় এক সাংগঠনিক সভায় গিয়েও সুশান্তর কয়লা কাণ্ডে জড়িত থাকা নিয়ে সরব হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এমনকী গত ১১ জুন  পুরুলিয়ার বলরামপুরে জনসভা করতে গিয়েও বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, কয়লা পাচারকাণ্ডে সুশান্তর যোগ আছে। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ সত্যি কিনা, তা ইডির জেরার পরেই বোঝা যাবে। তবে, যা রটে,তার কিছুটা তো বটে, অভিমত রাজনৈতিক মহলে।

  • Suvendu Letter to Modi: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামবদল করছে রাজ্য! প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Letter to Modi: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামবদল করছে রাজ্য! প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Mamata government) জারি করা নির্দেশিকায় কেন্দ্রের প্রকল্পের (central projects) নাম বদল করে দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের নামে। শাসকদলের (TMC) ‘নির্দেশে’ এই কাজ করছেন খোদ জেলাশাসক (District Magistrate)। এই মর্মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi) চিঠি লিখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu)। 

    নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, কেন্দ্রের অন্তত ৩টি প্রকল্পের নাম রাজ্যের নামে বদল করেছেন উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) জেলাশাসক তথা কালেক্টর অরবিন্দ কুমার মীনা (Arvind Kumar Mina)। শুভেন্দুর অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দলের নির্দেশেই এই কাজ করছেন কেন্দ্রীয় ক্যাডারের আধিকারিক। 

    প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে শুভেন্দু লেখেন, এই আমলার কাজ একজন আইএএস অফিসারের কর্তব্যের পরিপন্থী। চিঠিতে শুভেন্দু উল্লেখ করেন, কীভাবে কেন্দ্রের তিন প্রকল্প — প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা ও স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের নাম বদল করে যথাক্রমে বাংলা আবাস যোজনা, বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা ও মিশন নির্মল বাংলা রাখা হয়েছে।

    রাজ্য সরকারের যে নির্দেশিকায় এই নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, টুইটারে (Twitter) তার ছবি প্রকাশ করেন শুভেন্দু। সেখানে তিনি লেখেন, উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসকের এই নির্দেশিকা দেখে আমি বিস্মিত। কার কথায় তিনি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল করলেন? না কি তিনি নিজের ইচ্ছেতে এই কাজ করেছেন? একজন কেন্দ্রীয় ক্যাডারের অফিসারের থেকে এটা আশা করা যায় না। 

    পরে, প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠির সঙ্গেও সরকারি নির্দেশিকার একটি কপিও পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। পরে মোদিকে পাঠানো চিঠির প্রতিলিপিও সামাজিক মাধ্য়মে (social media) প্রকাশ করেন শুভেন্দু। সেখানেও তিনি জেলাশাসকের বিরুদ্ধে রাজ্যের শাসক দলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ তোলেন। ওই আমলার (IAS) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। 

     

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর অফিসে পুলিশ কেন? রাজ্যের রিপোর্ট চাইলেন ধনখড়

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর অফিসে পুলিশ কেন? রাজ্যের রিপোর্ট চাইলেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কার্যালয়ে হানা পুলিশের। পুলিশি হানার কারণ জানতে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। ঘটনার নিন্দায় সরব বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।

     

    [tw]


    [/tw]

     

    নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ নেতা মেঘনাদ পাল। তাঁর স্ত্রী মহুয়া ভুয়ো সার্টিফিকেট দিয়ে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের পদে নিয়োগ পেয়েছেন, এমন এক অভিযোগ তুলে তমলুক কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এসডিপিও-র নেতৃত্বে এক বিশাল পুলিশ বাহিনী এদিন নন্দীগ্রামে মহুয়ার বাড়িতে যায়। সেখানে তাঁকে না পেয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কার্যালয়ে হানা দেয়। অভিযোগ, আগাম কোনও খবর না দিয়ে শুভেন্দুর কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে এসডিপিও-র নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী।

    ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ শুভেন্দু। বিধায়কের কার্যালয়ে পুলিশ আসা নিয়ে রাজ্যপালের কাছে নালিশ করেছেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মুখ্যসচিবের কাছে গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। ট্যুইটে রাজ্যপাল লেখেন, বিরোধী দলনেতার নন্দীগ্রামের কার্যালয়ে পুলিশ হানা দিয়েছে। বিষয়টি উদ্বেগের। তাই আমি মুখ্যসচিবের কাছে এনিয়ে জবাব চেয়েছি। 

    [tw]


    [/tw]

    রাজ্যপালকে জানানোর পাশাপাশি শুভেন্দু নিজেও একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, তাঁর বিধায়ক কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে পুলিশ। ভিডিও পোস্ট করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, “কোনও পূর্ব সূচনা না দিয়ে কোনও সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই এবং ম্যাজিস্ট্রেটের অনুপস্থিতিতে আচমকা আচমকা মমতা পুলিশ (পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ) আমার নন্দীগ্রামের বিধায়ক কার্যালয়ে অনধিকার প্রবেশ করে। মমতা সরকারের পুলিশের এই জঘন্য অপব্যবহার বিরোধী দলনেতার প্রতি এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের প্রমাণ।”

    [tw]


    [/tw]

    পদ মর্যাদায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা একজন পূর্ণমন্ত্রীর সমান। তাই ঘটনাটি বাড়তি মাত্রা পেয়েছে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar)। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রের ইতিহাসের লজ্জাজনক দিন। আমরা এমন একটা রাজ্যে বাস করি, যেখানে সাংবিধানিক পদ মর্যাদা সম্পন্ন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মহাশয়ের কার্যালয় পর্যন্ত পুলিশ পাঠাতে বাকি রাখল না পশ্চিমবঙ্গের শাসক। এই ঘটনা এক প্রকাশ গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন অপরাধ দমন কম, বিরোধী দমন করতেই বেশি তৎপর।এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

    আরও পড়ুন : শুভেন্দুকে নিয়ে সৌরভের বাড়িতে ‘শাহি’ভোজ অমিতের, কী ছিল মেনুতে?

     

     

     

  • Suvendu Adhikari: অফিসে পুলিশি হানা কেন? বিহিত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: অফিসে পুলিশি হানা কেন? বিহিত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগাম কোনও নোটিস ছাড়াই পুলিশ কেন হানা দিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নন্দীগ্রামের (Nandigram) অফিসে? সোমবারই তা জানতে চেয়ে মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। মঙ্গলবার বেলা ১২টা পর্যন্তও সেই রিপোর্ট জমা পড়েনি। এবার সেই একই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta high court) মামলা দায়ের করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। বিনা নোটিসে তাঁর অফিসে কেন পুলিশি হানা? প্রশ্ন তুলে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা করেছেন শুভেন্দু। মঙ্গলবার তাঁকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। বৃহস্পতিবার হবে এই মামলার শুনানি।

    শুভেন্দুর অফিসে পুলিশ কেন? রাজ্যের রিপোর্ট চাইলেন ধনকড়

    পদমর্যাদায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমান। তাঁর অফিসে হানা দিতে গেলে আগাম নোটিশ জারি প্রয়োজন। অথচ রবিবার সন্ধে নাগাদ আচমকাই নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেই সময় কার্যালয়ে ছিলেন না বিরোধী দলনেতা। কার্যালয়ে থাকা লোকজন বাধা দিলেও, পুলিশ তল্লাশি চালায় বলে অভিযোগ। খবর পেয়েই ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দু। ট্যুইটে তাঁর অভিযোগ, আগাম নোটিস, সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই তল্লাশি চালিয়েছে পুলিস। একে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। 

    [tw]


    [/tw]

    সূত্রের খবর, শুভেন্দুর নির্বাচনী এজেন্ট মেঘনাদ পালের বাড়িতে প্রথমে হানা দেয় পুলিশ। তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগ ওঠায় পুলিশ হানা দেয়। সেখানে তাঁকে না পেয়ে পুলিশ তল্লাশি চালায় শুভেন্দুর নন্দীগ্রামের কার্যালয়ে। ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব করেন রাজ্যপাল। বিহিত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি বাজি ধরে শুভেন্দুকে। একদা বিশ্বস্ত সৈনিক শুভেন্দুর কাছে হাজার দুয়েক ভোটে ‘হেরে’ যান মমতা। শুভেন্দুর অভিযোগ, তার পর থেকেই নানাভাবে তাঁকে হেনস্থার চেষ্টা করছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার(opposition leader) দাবি, নন্দীগ্রামে তাঁর কার্যালয়ে হানা দেওয়া তৃণমূল নেত্রীরই ষড়যন্ত্রের অঙ্গ। সেই কারণেই সার্চ ওয়ারেন্ট এবং আগাম কোনও নোটিস ছাড়াই হানা দেওয়া হয়েছে তাঁর কার্যালয়ে।

    আরও পড়ুন : ‘১০০ দিনের কাজের টাকা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে’, তোপ সুকান্তর

     

     

  • Suvendu Letter To Modi: মমতার দাবি আদৌ সত্যি তো? খতিয়ে দেখে টাকা দিন, প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ শুভেন্দুর

    Suvendu Letter To Modi: মমতার দাবি আদৌ সত্যি তো? খতিয়ে দেখে টাকা দিন, প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PMAY) নাম বদলে রাজ্যের নামে প্রকল্প চালানো হচ্ছে। সঙ্গে ১০০ দিনের কাজেও (MNREGA) ব্যাপক দুর্নীতি করছে তৃণমূল (TMC)। এই মর্মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi) তিনপাতার চিঠি লিখলেন শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী। 

    বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া অর্থ দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদিকে লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (Pradhan Mantri Awas Yojana), ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। অনতিবিলম্বে যাতে সেই টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন মমতা।  পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী এ-ও দাবি করেছিলেন, এই অর্থ কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রাখার ফলে গ্রামীণ উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে।

    ঠিক ২ দিন পর, প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা চিঠি লিখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি অনুরোধ করলেন, টাকা দেওয়ার আগে সব দিক খতিয়ে দেখুক কেন্দ্র। শুভেন্দু জানালেন, রাজ্য সরকার যাতে সবরকম স্বচ্ছতা বজায় রাখে ও যাবতীয় প্রটোকল মেনে চলে, তা নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আধিকারিকদের চিঠিতে অনুরোধ করেছেন তিনি।

    [tw]


    [/tw]

    প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে শুভেন্দু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের (Pradhan Mantri Awas Yojana) নাম বদলে দিয়ে “বাংলা আবাস যোজনা” (Bangla Awas Yojana) বলে রাজ্য সরকার নিজেদের নামে চালাচ্ছে। এমনকি সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ছবি বসাচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু জানিয়েছেন, এহেন কাজ শুধু যে নীতিবিরুদ্ধ তাই নয়, যে কৃতিত্বের দাবিদার রাজ্য নয়, তার দাবিও করা হচ্ছে। 

    ১০০ দিনের কাজ নিয়েও রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নন্দীগ্রামের (Nandigram) এই বিধায়ক। শুভেন্দুর মতে, ১০০ দিনের কাজ অর্থাৎ মনরেগা প্রকল্পের যে টাকা বকেয়া বলে দাবি উঠছে, সেই কাজে শাসকদল তৃণমূলের অনেকে দুর্নীতিতে যুক্ত। কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে বেনিয়ম চলে। তাই সেই টাকা যাতে কেন্দ্রের তরফে ঠিকঠাক বণ্টন হয়, সেদিকেও প্রধানমন্ত্রীকে নজর দিক। চিঠিতে এই আবেদনও করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

LinkedIn
Share