Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: “কান টানলেই মাথা আসবে…”, কার দিকে ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

    Suvendu Adhikari: “কান টানলেই মাথা আসবে…”, কার দিকে ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকে (Teachers Recruitment scam) স্বাধীনতার পর দেশের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি হিসেবে উল্লেখ করে রাজ্য সরকারের (Mamata govt) তীব্র সমালোচনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী।

    বুধবার এসএসসি দুর্নীতি (SSC scam) মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) ডেকে পাঠায় সিবিআই। এই প্রেক্ষিতে রাজভবনের সামনে থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি (BJP) বিধায়ক।  তিনি বলেন, কত বড় দুর্নীতি হয়েছে, তা দিনের আলোর মতো এখন পরিস্কার। দুর্নীতির মূলে আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কার সুপারিশে পার্থ চট্টোপাধ্যায় হাজার হাজার প্রার্থীকে চাকরি দিয়েছেন, তা এবার তাঁকে জানাতে হবে। 

    আরও পড়ুন: নিজাম প্যালেসে সাড়ে তিন-ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে

    এদিন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikary) মেয়ের বেআইনি নিয়োগ নিয়ে তোপ দাগেন শুভেন্দু। জানান, মেয়ের চাকরি-সহ তিন শর্তে ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন পরেশ অধিকারী। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘পরেশ অধিকারী যোগদানের সময়ে তিনটি শর্ত রেখেছিলেন। প্রথম, সমস্ত নিয়ম ভেঙে তাঁর মেয়েকে চাকরি দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, তাঁকে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করতে হবে। তৃতীয়ত, চ্যাংড়াবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান করতে হচ্ছে তাঁকে।’’

    শুভেন্দুর মতে, কোনও আদর্শগত কারণে তিনি তৃণমূলে যোগ দেননি। দেওয়া-নেওয়ার শর্তের ভিত্তিতে তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়া। তাঁর আরও দাবি, ‘‘বিনিময়ের ভিত্তিতে পরেশের এই যোগদান তৃণমূলনেত্রীর নির্দেশ ছাড়া হয়নি। নিয়মের বাইরে গিয়ে পরেশের মেয়েকে নিয়োগ মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হয়েছে। সেতুবন্ধনের কাজটি করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।’’

    আরও পড়ুন: কলকাতা না এসে মেয়েকে নিয়ে নামলেন বর্ধমান স্টেশনে, হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী

     

  • Suvendu Thanks Yogi: “বাংলার দিদি এসেছিলেন…”, ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ যোগীর, কী বললেন তিনি?

    Suvendu Thanks Yogi: “বাংলার দিদি এসেছিলেন…”, ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ যোগীর, কী বললেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় (UP Assembly) চাঁচাছোলা ভাষায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার তথা মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi)। উত্তরপ্রদেশে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শুক্রবার বিধানসভার ভাষণে যোগী বলেন, “উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের সময় সমাজবাদী পার্টিকে সমর্থন করতে বাংলা থেকে এক দিদি এসেছিলেন। বাংলায় ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস হয়েছে ১২,০০০। বাংলায় ২৯৪টি আসনের মধ্যে ১৪২টি আসনে হিংসার ঘটনা ঘটে। বাংলার জনসংখ্যা উত্তরপ্রদেশের জনসংখ্যার অর্ধেক। উত্তরপ্রদেশে ভোট চলাকালীন ও ভোট পরবর্তী কোনও হিংসা হয়নি।”  

    অখিলেশ যাদবকেও (Akhilesh Yadav) এদিন একহাত নেন যোগী। তিনি বলেন, “ডাবল ইঞ্জিন সরকারের সাফল্য মেনে নিতে অস্বীকার করছে অখিলেশ যাদবের দল। বিজেপির জয়ও অস্বীকার করছে। তারা জিতলে সব ঠিক আছে। কিন্তু বিজেপি জিতলে ইভিএমে (EVM) কিছু ত্রুটি আছে। এটা আসলে মানুষের অপমান।”

    যোগীর এদিনের মমতাকে কটাক্ষ করার ঘটনায় খুশি এরাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu)। ট্যুইট করে যোগীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। শুভেন্দু লেখেন, “যোগী আদিত্যনাথকে বাংলার ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের নির্মম চিত্র তুলে ধরার জন্য আমি অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাই।”

    [tw]


    [/tw]
     
    যোগী এদিন পরিসংখ্যান দিয়ে দাবি করেন, “বাংলায় ১৪২টি আসনে হিংসার ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ২৫ হাজার বুথ প্রভাবিত হয়েছে। রাজনৈতিক হিংসার কারণে বিজেপির প্রায় দশ হাজার কর্মী শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। খুন হয়েছেন ৭৫ জন।” এর পরেই উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তুলনা টেনে বলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “উত্তরপ্রদেশের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা অর্ধেক। রাজ্যের  লোকসংখ্যা বেশি হওয়া সত্ত্বেও উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের আগে ও পরে কোনও হিংসার ঘটেনি। এই হল সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলার উদাহরণ।”  

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূলের ভোট পরবর্তী হিংসা প্রসঙ্গে সরব হয়েছিল বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। মামলাও হয় তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। মামলাটি এখন বিচারাধীন। তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে সিবিআই। এদিন সেই প্রসঙ্গই বিধানসভায় তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আক্রমণ শানালেন যোগী আদিত্যনাথ।  

     

  • Mahua Moitra: মহুয়ার ‘কালী’ মন্তব্যের জের, এফআইআর দায়ের, পথে বিজেপি, সমালোচনার ঝড়

    Mahua Moitra: মহুয়ার ‘কালী’ মন্তব্যের জের, এফআইআর দায়ের, পথে বিজেপি, সমালোচনার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিতর্কিত মন্তব্যের জের। গোটা দেশে প্রবলভাবে সমালোচিত তৃণমূলের (Trinamool) সাংসদ (MP) মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। মঙ্গলবার মা কালীকে (Smoking Kali Controversy) নিয়ে একটি বিবৃতি দেন সাংসদ। কিন্তু সেই মন্তব্যের দায় নেয়নি দল। অভিমান হয়েছে মহুয়ার। দলকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আনফলো করেছেন তিনি। এবার মহুয়ার বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ৫৬ টি এফআইআর দায়ের হল। রবীন্দ্র সরোবর থানা থেকে শুরু করে বউবাজার থানা প্রতিটি জায়গাতেই মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন: ‘স্মোকিং কালী’ বিতর্ক, হাত ছাড়ল দল, তৃণমূলকে আনফলো মহুয়ার  

    দেবী কালী নিয়ে মন্তব্যের জেরে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি ৷ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র কালীকে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করেছেন, এই অভিযোগে অবিলম্বে তাঁর গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছে বিজেপি ৷ এই নিয়ে বউবাজার থানায় ডেপুটেশন দিয়েছে বিজেপির মহিলা মোর্চা।

    সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে আজ বিজেপির তরফে বউবাজার থানায় ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয় । পাশাপাশি মোট ৫৬ টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। লালবাজার সূত্রের খবর, সেই সময় সংশ্লিষ্ট থানার ওসি না থাকায়, আজ বিকেলে বিজেপির তরফে জানানো অভিযোগগুলির নম্বর তাদের দেওয়া হবে। এ দিন বিজেপির মহিলা মোর্চার নেতৃত্বে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ মহিলা মোর্চার সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তী। কালী নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য মহুয়া মৈত্রকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি করেছেন বিজেপির মহিলা কর্মীরা৷ এ দিন বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রেসিডেন্ট তনুজা চক্রবর্তী জানান, “আমরা গোটা রাজ্যজুড়েই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করব।”

    লীনা মণিমেকলাইয়ের একটি তথ্যচিত্র ‘কালী’র পোস্টার নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এতে মা কালীকে সিগারেট খেতে দেখা গিয়েছে। এই পোস্টারে দেবী কালীর হাতে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের একটি রঙিন পতাকাও দেখা যায়। এই পোস্টার বিতর্কের মাঝেই মহুয়া বলেন, “আমার কাছে মা কালী মাংসভোজী, মদ পান করা একজন দেবী।” মহুয়ার এই মন্তব্যের পরেই তাঁর পাশ থেকে সরে যায় তৃণমূল। সামাজিক মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে বলে,  মন্তব্যের দায় দলের নয়। এই ঘটনার পরেই তৃণমূলের অফিসিয়াল হ্যান্ডেল ট্যুইটারে আনফলো করেন মহুয়া। 

    মহুয়ার মন্তব্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিক্রিয়া, “সবসময় হিন্দু ধর্মকে অপমান করে তৃণমূল। আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব। নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে আমাদের সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। আশা করি এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পদক্ষেপ নেবেন।”       

    বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই প্রসঙ্গে বলেছেন, মহুয়া মৈত্রের মন্তব্য থেকে তৃণমূল দায় এড়াতে পারে না। তৃণমূল যদি সমর্থন না করে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। মহুয়াকে সাসপেন্ড করা উচিত দল থেকে।

    কৃষ্ণনগরের সাংসদ এদিন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেন। বিপদ বুঝে নিজের মতামত থেকে সরে এসে একটি ট্যুইট করে লেখেন, ‘আমি কালীর উপাসক। কোনও কিছুতে ভয় পাই না।’ ট্যুইটে মহুয়া আরও লেখেন, ‘জয় মা কালী! যে দেবীকে বাঙালি পুজো করে, সেই দেবী নির্ভীক এবং শান্ত।’  

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

    সাংসদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে ভোপালেও। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান মহুয়ার মন্তব্যে আপত্তি তোলার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেছেন, “মহুয়া মৈত্রের বক্তব্যে হিন্দু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে এবং হিন্দু দেব-দেবীর অবমাননা কোনও ভাবেই সহ্য করা হবে না।” এরপরই ভোপাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫এ ধারায় মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। এফআইআর নথিভুক্ত হওয়ার খবর জানান ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডেপুটি কমিশনার শৈলেন্দ্র চৌহান।   

    মহুয়ার এই দুর্দিনে তিনি কাছে পাননি বন্ধু দল কংগ্রেসকেও। কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি (Avishek Singhvi) সাংসদের এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন।    

  • Suvendu at BJP Rally: “তৃণমূল জমানায় বাংলায় বর্বরোচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে”, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu at BJP Rally: “তৃণমূল জমানায় বাংলায় বর্বরোচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে”, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালের ২ মে-র পর বাংলায় যে ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাস (Post poll violence) দেখা গিয়েছিল, তা অন্য কোনও ভোটে হয়নি। এমনটাই জানালেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Opposition leader) বললেন, তৃণমূল (TMC) জমানায় বাংলায় (West Bengal) বর্বরোচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। 

    ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের (2021 Assembly elections) পর রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসার বর্ষপূর্তিতে পথে নেমেছিল বিজেপি। ভোটের পরে বিজেপি কর্মীদের ওপর যে অত্যাচার চালানো হয়েছিল এবং গণতন্ত্র লুঠ করা হয়েছিল তার প্রতিবাদে আজ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংকল্প মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত মিছিল। মিছিলে সামিল সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী। 

    এরপর রানী রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের মঞ্চ থেকে নিজের বক্তব্য রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, বাংলায় বর্তমানে বর্বরোচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে। ২০২১ সালের ২ মে-র পরে ভোট পরবর্তী যে সন্ত্রাস দেখা গিয়েছিল তা আর কোনও নির্বাচনের পরে দেখা যায়নি।

    শুভেন্দুর মতে, ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনায় একাধিক বিজেপি কর্মীদের আক্রান্ত হতে হয়েছে। সেই সময় বিজেপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় ১২ হাজার এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল । তাঁর প্রশ্ন, শিখ দাঙ্গার ১৫ বছর পর অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতার যদি জেল হতে পারে তাহলে ভোট সন্ত্রাসের অভিযোগে অভিযুক্তদের জেল কেন হবে না?

    আসন্ন অমিত শাহর রাজ্য সফর প্রসঙ্গেও বলেছেন শুভেন্দু। বললেন, বাংলায় আসছেন অমিত শাহ, বাংলাকে ভয়মুক্ত করবেন। ২১৩ আসনে জিতেও শান্তিতে নেই তৃণমূল কংগ্রেস। পাশে থাকতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ‍বাধ্য করাবে বঙ্গ বিজেপি।

    পাশাপাশি, আগামী ৮ মে নন্দীগ্রামে (Nandigram) বিশেষ কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও ঘোষণা করলেন বিজেপি বিধায়ক। বললেন, ৮ মে নন্দীগ্রামে স্বৈরাচারী শাসকের পরাজয়ের বর্ষপূর্তি পালন করা হবে। ১১ মে দেউচা পাঁচামি (Deucha Pachami) যাব, সঙ্গে থাকবেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)।

     

  • Suvendu Attacks Partha: এসএসসির দুর্নীতির টাকায় স্ত্রীর নামে ঝাঁ চকচকে স্কুল করেছেন পার্থ! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Attacks Partha: এসএসসির দুর্নীতির টাকায় স্ত্রীর নামে ঝাঁ চকচকে স্কুল করেছেন পার্থ! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসির দুর্নীতির (SSC scam) টাকায় প্রয়াত স্ত্রীর নামে ঝাঁ চকচকে বেসরকারি স্কুল করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তৃণমূলের (TMC) পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এমনই অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu)। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় ওই স্কুল রয়েছে, দাবি শুভেন্দুর। বিরোধী দলনেতার দাবি, সুরম্য এই স্কুলের চেয়ারম্যান পার্থর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য।

    আরও পড়ুন : নথি নষ্টের আশঙ্কায় “সিল” এসএসসি দফতর, নিরাপত্তায় সিআরপিএফ, মধ্যরাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    এসএসসিকাণ্ডে বিপাকে রাজ্য সরকার। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিজাম প্যালেসে ডেকে জেরা করেছেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। তৃণমূল সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকেও (Paresh Adhikary) বার কয়েক জেরা করেছেন তাঁরা। অবৈধভাবে স্কুল শিক্ষকের চাকরি পাওয়ায় পরেশের কন্যা অঙ্কিতাকে (Ankita Adhikary) বরখাস্তও করেছে আদালত। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, এসএসসির দুর্নীতির টাকায় আখের গুছিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।

    [tw]


    [/tw]

    শুভেন্দুর দাবি, পার্থর ওই স্কুলে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা দেওয়া হয়। সবুজের মাঝে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার সমস্ত পরিকাঠামো এই স্কুলে রয়েছে। স্কুল নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭০ কোটিরও বেশি টাকা। ট্যুইটে শুভেন্দু লেখেন, পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় সম্প্রতি গড়ে উঠেছে বিসিএম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। সবুজের মাঝে অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যে ভরা এই স্কুল বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদান করছে।

    আরও পড়ুন : শান্তিপ্রসাদ সিনহা সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের সিবিআইয়ের

    অন্য একটি ট্যুইটে শুভেন্দু লেখেন, বিসিএস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের উদ্বোধন করেছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করার পিছনে গভীর আগ্রহ দেখিয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। আর একটি ট্যুইটে শুভেন্দু জানান, কাকতালীয়ভাবে বিসিএস বাবলি চ্যাটার্জি মেমোরিয়ালের সংক্ষিপ্ত রূপ। যা তাঁর স্ত্রীর নামের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। এই প্রকল্পে ৭০ কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এই তাজমহল (Taj Mahal) স্বরূপ স্কুলের নির্মাণ কার্যের সময় বেশ কিছু স্থান পরিদর্শন করেছিলেন।

    [tw]<bloc


    kquote class=”twitter-tweet”>

    The swanky BCM International School has been recently developed at Pingla; Paschim Medinipur. The school is offering world class infrastructure with plush interiors, lush green landscaping and what not besides imparting education.

    Don’t get confused. This is not an advertorial.

    — Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) May 22, 2022

    [/tw]

    এর পরেই শুভেন্দুর কটাক্ষ-ট্যুইট, স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Teachers recruitment scam) তহবিল কোথায় হারিয়ে গিয়েছে? তাঁরা জানেন কোথা থেকে শুরু করতে হবে? কল্যাণময় ভট্টাচার্য এই স্কুলের চেয়ারম্যান, প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি। তিনি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাতা। তাঁর কাকা কৃষ্ণপ্রসাদ অধিকারী স্কুলের দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালনা করেন।

     

  • BJP Rally Kolkata: দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপি যুব মোর্চার অভিযানে ধুন্ধুমার, মিছিল রুখতে ব্যারিকেড-জলকামান পুলিশের

    BJP Rally Kolkata: দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপি যুব মোর্চার অভিযানে ধুন্ধুমার, মিছিল রুখতে ব্যারিকেড-জলকামান পুলিশের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) যুব মোর্চার (BJP Youth wing) বিকাশ ভবন (Bikash Bhawan) অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার সল্টলেকের (Salt Lake) করুণাময়ী। স্কুল সার্ভিস কমিশনে (SSC) শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির (Teachers recruitment scam) প্রতিবাদে পথে নেমেছিল বিজেপি। কর্মসংস্থানের দাবি তুলে এবং পুলিস নিয়োগ-সহ একাধিক সরকারি চাকরির পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এদিন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল।

    প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের (heatwave) মধ্যেও মঙ্গলবার দলের যুব মোর্চার তরফে বিকাশ ভবন অভিযান শুরু হয়। কলকাতা ও সল্টলেকের বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের  পাশাপাশি লাগোয়া জেলাগুলি থেকেও বিজেপির বহু কর্মী এসে ভিড় জমিয়েছিলেন করুণাময়ী চত্বরে। 

    [tw]


    [/tw]

    বিজেপির মিছিলে যোগ দেন যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি (BJP Youth national President) তেজস্বী সূর্য (Tejasvi Surya), মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ছিলেন দলীয় নেত্রী তথা মহিলা বিজেপির রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।

    বিকাশ ভবনের আগেই যুব মোর্চা কর্মীদের মিছিল ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ। প্রচুর সংখ্যক পুলিশ বিকাশ ভবনের আশপাশে মোতায়েন করা হয়েছিল। যুব মোর্চা কর্মীরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশের তুমুল বচসা শুরু হয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। সেই সময়ই আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ।

    এরপরই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (BJP State President)। সুকান্ত মজুমদার বলেন,  কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে বহু পরীক্ষার্থী চাকরি পেয়েছেন। নবান্নের ১৪ তলায় বসে প্যানেল তৈরি করা হয়েছে। পুলিস-সিআইডি সবটা জেনেও চুপ করে বসেছিল। কোর্টের নির্দেশে সিবিআই ঘটনার তদন্ত করছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চের দয়ায় ‘বেঁচে’ রয়েছেন বলেও কটাক্ষ করেন সুকান্ত।

    [tw]


    [/tw]

    অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Pal) নিশানা করেন মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, “একটা মিথ্যা কথা ঢাকতে গিয়ে উনি আর একটা মিথ্যা কথা বলছেন। এবার বললেন, ৪০ লক্ষ চাকরি হয়েছে! কোথায় চাকরি? শ্বেতপত্র বার করুন। আমরা খুশি হব। চাকরি কেউ পাচ্ছে না। যারা যোগ্য, তারা ওই গাঁধীমূর্তির পাদদেশে অনশন করছে। আর যারা অযোগ্য, তারা টিএমসির সাপোর্টার, পিছনের দরজা দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার মাধ্যমে চাকরি পাচ্ছে। এটা চলতে পারে না।”

     

  • Suvendu Adhikari: ‘ছাপ্পাশ্রী’ পুরস্কার দেওয়া হোক, আচার্য বিল নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘ছাপ্পাশ্রী’ পুরস্কার দেওয়া হোক, আচার্য বিল নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আচার্য বিলের (University Amendment Bill) ভোট গণনায় বিভ্রান্তি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata) ‘ছাপ্পাশ্রী’ বলে তীব্র আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী  (Suvendu)।  একটি ট্যুইটে শুভেন্দু লেখেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাপ্পাশ্রী পুরস্কার দেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়। শুধুমাত্র সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কারই তাঁর প্রতিভার জন্যে যথেষ্ট নয়।”

    [tw]


    [/tw]

    রাজ্যপাল নন, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্যের পদে বসাতে সোমবারই বিধানসভায় পাশ করানো হয় ‘আচার্য বিল’। সোমবার রাজ্য বিধানসভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর বিল এনেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই বিলের বিরুদ্ধে ভোটের দাবি তোলে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। ভোট গণনার পর দেখা যায়, বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৮২টি ও বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৪০টি। এতেই চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় বিজেপি বিধায়কদের। তাঁদের প্রশ্ন ছিল, বিজেপির ৫৭ বিধায়ক বিলের বিপক্ষে ভোট দিলেও কেন ৪০টি ভোট বিপক্ষের বলে জানানো হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: অবহেলার ছাপ?

    এরপর সোমবার আচার্য বিলের ভোট গণনার ক্ষেত্রে ভুল হয়েছিল তা কার্যত স্বীকার করে নেয় রাজ্য সরকার। ভোট গণনার ক্ষেত্রে ভুল হয়েছিল, মঙ্গলবার বিধানসভা অধিবেশনের শুরুতে একথা স্বীকার করে নেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিভাগীয় তদন্ত হবে বলেও জানান তিনি। এদিন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভোটের ফল গণনার ক্ষেত্রে ভুল হয়েছিল। এমন ভুল আর হবে না বলেই আশা করছি। তবে কেন এই ভুল হল এর বিভাগীয় তদন্ত হবে।”  

    আরও পড়ুন: “দিদিমনি অবসর নিলেও আচার্য হতে পারবেন না”, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    এরপরেই আরও একটি ট্যুইট করে মমতাকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। তিনি লেখেন,”মানুষ মাত্রেই ভুল হয়। কিন্তু সেই ভুল ইচ্ছাকৃত হতে তা ভুল বলে বিবেচিত হয় না। ১১ বছর সরকার চালিয়েও বিধানসভায় ভোট প্রক্রিয়া উন্নত করতে ব্যর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বাইরের সব বিধানসভাতেই ইলেক্ট্রনিক ভোটিং প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা আছে।”   

    [tw]


    [/tw]

    একই বিষয়ে বিমান বন্দ্যোপধ্যায়কে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির আরেক বিধায়ক অশোক লাহিড়ীও (Ashok Lahiri)। বিধানসভায় সোমবার আচার্য বিলের ভোট গণনায় ভুলের প্রসঙ্গটি তুলে তিনি বলেন, “কালকের ঘটনায় খুব কষ্ট পেয়েছি। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। অনেকে বলেছেন যে, এটা ষড়যন্ত্র। আমি বিশ্বাস করিনি। লোকসভা বা বিধানসভায় ভোট হয়। কিন্তু এমন হয় না। অবহেলা হয় না।” 

    এরপরেই ভুল স্বীকার করেন স্পিকার। তাঁর প্রতিক্রিয়ায় অর্থনীতিবিদ বিধায়ক বলেন, “আপনিই আমাদের নেতা। তাই আপনার নির্দেশ শিরোধার্য। আপনি থাকতে এটা কী করে হল? অবহেলা বা অনিচ্ছাকৃত ভুল বললে চলবে না।” 

  • Dilip Ghosh at Suvendu House: কাঁথিতে অধিকারীদের ‘শান্তিকুঞ্জে’ দিলীপ ঘোষ, কী কথা হল?

    Dilip Ghosh at Suvendu House: কাঁথিতে অধিকারীদের ‘শান্তিকুঞ্জে’ দিলীপ ঘোষ, কী কথা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। শুক্রবার কাঁথি আদালতে যান দিলীপ। সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা হয় তমলুকের সাংসদ তৃণমূলের দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। তার পরেই বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে নিয়ে কাঁথিতে দিব্যেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জে ফেরেন দুজনে। সেখানেই দিলীপ সারেন দ্বিপ্রাহরিক আহার।

    তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে মতানৈক্যের জেরে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু। পরে বিজেপিতে যোগ না দিলেও, কাঁথিতে বিজেপি নেতা অমিত শাহের সভায় উপস্থিত ছিলেন শান্তিকুঞ্জের গৃহকর্তা বর্ষীয়ান সাংসদ তৃণমূলের শিশির অধিকারী। এরপরেই শান্তিকুঞ্জে একাসনে বসত করে বিজেপি-তৃণমূল। কারণ শুভেন্দুর এক ভাই দিব্যেন্দু এখনও তৃণমূলেই রয়েছেন। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে তিনি জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের টিকিটে।

    শুভেন্দুর তৃণমূল-ত্যাগ এবং তৎপরবর্তীকালে অমিত শাহের সভায় শিশিরের হাজিরা- এই জোড়া কারণে অধিকারী পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তৃণমূলের। যার জেরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা রাজনীতিতে এক প্রকার কোণঠাসা হয়েই রয়েছেন দিব্যেন্দু-শিশির।

    এই আবহে এদিন কাঁথি আদালতে দিব্যেন্দুর সঙ্গে দেখা হয় দিলীপের। সৌজন্য সাক্ষাতের পরে দুজনে যান শান্তিকুঞ্জে। বিজেপি নেতার শান্তিকুঞ্জে আগমন প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা দিব্যেন্দু বলেন, কেউ যদি বাড়িতে যান তাঁকে যা আপ্যায়ণ করা হয়, দিলীপ ঘোষকেও তাই করা হবে। সৌজন্যের খাতিরে বাড়ি যেতে চাইলে, তাঁকে কি কেউ না বলতে পারে। তাঁর যুক্তি, বাম আমলে সিপিএমের উঁচুতলার নেতারা যেতেন শান্তিকুঞ্জে। তৃণমূলের আমলেও বহু কংগ্রেস নেতা এসেছেন তাঁদের বাড়িতে।

    কেন কাঁথি আদালতে গিয়েছিলেন দিলীপ? জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে অমিত শাহের সভাস্থলে গন্ডগোল সংক্রান্ত একটি মামলায় হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন তিনি। ২০০১ সালের একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে এদিন ওই আদালতেই গিয়েছিলেন দিব্যেন্দুও। সেখানেই দেখা হয় দুই মেরুর দুই রাজনীতিবিদের। কাঁথি আদালতে হাজিরার কারণ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, দু’বছর আগে কাঁথিতে অমিত শাহজির সভার পর তৃণমূলের গুণ্ডারা আমাদের উপর হামলা চালায়। কিন্তু তাদের কিছু না বলে পুলিশ আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। এবং বন্দুক রাখা, বিস্ফোরক রাখা সহ ১১টি ফৌজদারি ধারায় মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। সেই মামলায় জামিন নিতে আজ কাঁথি আদালতে উপস্থিত ছিলাম।

     

  • Suvendu Adhikari in Deucha: নন্দীগ্রামের থেকেও বড় আন্দোলন হবে, দেউচায় হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর

    Suvendu Adhikari in Deucha: নন্দীগ্রামের থেকেও বড় আন্দোলন হবে, দেউচায় হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই বাড়ছে দেউচা-পাঁচামি (Deucha Pachami) জমি রক্ষা প্রতিরোধ আন্দোলন। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের (BGBS 2022) শুরুর দিনেই রাজ্য বিজেপির (BJP) জোড়া কর্মসূচির দিকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। সম্মেলনের সূচনার দিনে একদিকে হুগলির সিঙ্গুর (Singur) এবং অন্যদিকে বীরভূমের ডেউচায় (Deucha) একযোগে কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের মতে, শিল্পপতিদের কাছে রাজ্যে শিল্পের পরিবেশের প্রকৃত ছবি তুলে ধরতেই বিজেপির এই চেষ্টা। 

    কলকাতায় যখন সম্মেলনে উদ্বোধন করছে রাজ্য প্রশাসন, ঠিক সেই সময়ে বীরভূমের দেউচায় দাঁড়িয়ে বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সিন্ডিকেট ইস্যুতে রাজ্য প্রশাসনকে তুলোধনা করার পাশাপাশি রাজ্যে শিল্প বিমুখতা নিয়েও সরব ছিলেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, ‘এই রাজ্যে শুধুমাত্র চপ শিল্পই হবেই।’ এখানেই শেষ করেননি শুভেন্দু, তিনি আরও বলেন, ‘তবে চপ ব্যবসায়ীরাও তিন দিনের বেশি দোকান খুলতে পারবে না। কারণ তাঁদের তৃণমূলের সম্মেলনে যেতে হবে।’

    দেউচা-পাঁচামি (Deucha-Pachami) কয়লা খনি (coal mine)  প্রকল্প নিয়ে ক্রমশই জটিলতা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় আদিবাসীরা কোনও মূল্যেই কয়লা খনির জন্য জমি দিতে নারাজ। পাল্টা তাঁরা বনভূমি রক্ষার কথা বলছেন। এই এলাকার আদিবাসী মানুষ অরাজনৈতিক মঞ্চ তৈরি করে আন্দোলনে নেমেছে। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও। শুভেন্দুবাবুর অভিযোগ, দেউচায় আদিবাসীদের বেআইনিভাবে উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে নষ্ট করার জন্য এটা পুলিশ এবং তৃণমূলের চাল। কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদীর শক্তি নেই এখানে। স্থানীয় মানুষ আন্দোলন করছেন। তাঁরা কোথাও মঞ্চ বেঁধে করছে। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ব্যানারে তাঁরা আন্দোলন করছেন ৷

    তবে, যেখানে কয়লাখনি প্রকল্প হওয়ার কথা সেখানে যাননি শুভেন্দুবাবু। বদলে কাছেই জামবনি এলাকায় গিয়ে আদিবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে বসে তাঁদের সব অভিযোগ তিনি শোনেন ৷ তিনি জানান, অরাজনৈতিক আন্দোলন মঞ্চে রাজনীতির রং লাগুক তা চাননা তিনি। আন্দোলনকারীরা তাঁদের মতো অরাজনৈতিক মঞ্চে আন্দোলন করছেন। বিজেপি তাদের মতো নিজেদের মঞ্চে আন্দোলন করছে। 

    শুভেন্দুবাবু মনে করিয়ে দিলেন, পাঁচামি এলাকার ভূমি রক্ষা আন্দোলনকারীদের জন্য তাঁর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আন্দোলনকারীদের পাশে বিজেপি আছে, পরেও থাকবে ৷ আন্দোলনকারীরা যদি ডাকেন তাহলে তিনি নিশ্চিয় যাবেন। দেউচা প্রকল্প যে কোনওভাবেই হওয়ার নয়, তা বুঝিয়ে দেন বিরোধী দলনেতা। বললেন, “কোনও উচ্ছেদ করা চলবে না। ক্লোজড চ্য়াপ্টার, ক্লোজড চ্য়াপ্টার, ক্লোজড চ্য়াপ্টার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মাথা থেকে দেউচা ঝেড়ে ফেলে দিক।”

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই এলাকায় কমপক্ষে ২০টি গ্রামে ৪৩১৪টি বাড়িতে ২১ হাজারেরও বেশি মানুষের বাস। এই অঞ্চলে অধিকাংশ গ্রাম আদিবাসী প্রভাবিত। তাই জমি অধিগ্রহণের জন্য রাজ্য প্রশাসন প্যাকেজ ঘোষণা করলেও আদিবাসীদের একটা বড় অংশ জমি দিতে নারাজ। ইতিমধ্য়ে প্রতিবাদে নেমেছেন সেখানকার আদিবাসীরা। তাঁদের দাবি, “খোলামুখ কয়লা খনি প্রকল্প চাই না।” হাতে তীর-ধনুক নিয়ে জেলা শাসককে এলাকায় ঢুকতে বাঁধা দেন আদিবাসীরা।  সরকারি পাট্টা ও চেক বিতরণ করে জমি অধিগ্রহণের জন্য গিয়েছিলেন বীরভূম জেলাশাসক, পুলিশ সুপার-সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা। তবে সে কাজ সারা যায়নি। কারণ তাঁরা আদিবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। ফলে ফিরে আসতে হয় তাঁদের।  

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাশনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দুবাবু জানিয়ে রাখলেন, দেউচায় নীল বিদ্রোহের মতো স্ফুলিঙ্গ ইতিমধ্যেই তিনি দেখেছেন। তিনি জানান, দেউচায় নন্দীগ্রামের থেকেও বড় আন্দোলন হবে। তিনি প্রতিমাসে সেখানে দুবার করে যাবেন। পাশাপাশি ৮ মে-র পরে সেখানে উচ্ছেদ বিরোধী পদযাত্রা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আগামী ১২ মে ডেউচা-পাঁচামি এলাকায় ৫ কিলোমিটার মিছিল করবেন তিনি। মিছিলে থাকবে ২০ হাজার লোক। 

    রাজ্য রাজনীতির ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম আন্দোলন। সিঙ্গুর বা নন্দীগ্রামের ক্ষেত্রেও আন্দোলনের শুরুটা ছিল অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকেই। পরে গিয়ে সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিভন্ন রাজনৈতিক দল দাঁড়িয়েছিল। সিঙ্গুরের ক্ষেত্রে ছিল কৃষি জমি রক্ষা কমিটি আর নন্দীগ্রামে ছিল ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। দেউচাতেও, দেখা যাচ্ছে সেই একই ধারা। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনের ফলে রাজ্যে বাম জমানার ভিত নড়িয়ে দিয়েছিল। পতন হয়েছিল বাম সরকারের। দেউচার আন্দোলনের ধারা কোন দিকে গড়ায়, তা অবশ্য সময়ই বলবে।

     

     

  • Summer Vacation: কেন্দ্রের টাকা মারতেই কি স্কুলে গরমের ছুটিবৃদ্ধি? তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Summer Vacation: কেন্দ্রের টাকা মারতেই কি স্কুলে গরমের ছুটিবৃদ্ধি? তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরমের ছুটি এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত ঘিরে তৈরি বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতে এবার ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা মমতা প্রশাসনের। রাজ্যে স্কুলের ছুটির মেয়াদ আরও ১১ দিন বাড়াল স্কুল শিক্ষা দফতর (West Bengal School Department)। স্কুল ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ১৫ জুন।  কিন্তু এখন স্কুলে গরমের ছুটির মেয়াদ আগামী ২৬ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

    প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি গরম ও আর্দ্রতার কারণে রাজ্যে একাধিক মৃত্যু। পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের। পড়ুয়াদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত বলে জানাল সরকার। অসহনীয় গরমে পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে এর আগে গ্রীষ্মের ছুটি এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। ১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত গরমের ছুটি দেওয়া হয়েছিল। নবান্নর (Nabanna) এই সিদ্ধান্ত ঘিরে প্রশ্ন উঠেছিল বিভিন্ন মহলে। 

    আরও পড়ুন: হয় ছুটি নয় অনলাইন, রাজ্যের চাপ বেসরকারি স্কুলগুলিকে, কটাক্ষ বিজেপির

    সেই ‘সমালোচনা’র রেশ কাটতে না কাটতেই ফের স্কুলে গরমের ছুটি নিয়ে দ্বিমত তৈরি হল। গরমের ছুটি বাড়ানো নিয়ে ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছে শিক্ষা দফতরের ভূমিকা। সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব হয়েছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ। তাঁদের মতে, এই সিদ্ধান্ত একেবারে ‘অযৌক্তিক’।

    শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, ‘এই তো বর্ষা এসে যাবে। দু’একদিনের মধ্যে বর্ষা এসে যাবে। এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। অতিমারী গেল, স্কুল এতদিন বন্ধ। অন্তত সপ্তাহে চারদিন খোলা থাক। নয়তো সপ্তাহে অন্তত তিনদিন খোলা থাক।’ একইভাবে, শিক্ষাবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি বলেন, এটা নিয়ে ভাববার সময় এসেছে। তাঁর মতে, করোনা কালে দুবছর পড়াশোনা হয়নি, তারপর আগেই গরমের ছুটি বেড়েছে। এরপর ছুটি বাড়ানো হলে পড়াশোনার অভ্যাসটাই চলে যাবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: পঁচিশে পাশ, পঁয়ত্রিশে বিজ্ঞানের পাঠ

    তবে, রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে অন্য সমীকরণ দেখছে বিজেপি (BJP)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Leader of Opposition) শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারীর দাবি, কেন্দ্রের টাকা মারতেই এই সিদ্ধান্ত তৃণমূল সরকারের। তিনি জানান, শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা মারতেই মমতার সরকারের এই সিদ্ধান্ত।

LinkedIn
Share