Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Javed Akhtar: বাম থেকে তৃণমূল, মৌলবাদের কাছে অসহায় দুই সরকারই! একটা তাড়ায় তসলিমাকে, অপরটা ঢুকতে দেয় না জাভেদকে

    Javed Akhtar: বাম থেকে তৃণমূল, মৌলবাদের কাছে অসহায় দুই সরকারই! একটা তাড়ায় তসলিমাকে, অপরটা ঢুকতে দেয় না জাভেদকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৌলবাদীদের সামনে আত্মসমর্পণ মমতা সরকারের। জাভেদ আখতারের (Javed Akhtar) সরকারি অনুষ্ঠান বাতিল করতে বাধ্য হল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই ঘটনায় ফের একবার প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্যে কি সত্যিই ধর্মনিরপেক্ষতা বলে কোনও জিনিস আছে? একসময় মৌলবাদীদের ও সাম্প্রদায়িক শক্তির সামনে মাথা নত করত রাজ্যের তথাকথিত ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ বামফ্রন্টের সরকার—সে চিত্র আমরা দেখেছি। ২০০৭ সালে মৌলবাদীদের চাপের মুখে পড়ে কিভাবে তসলিমা নাসরিনকে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়তে হয়েছিল, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এই বামেরা সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রোখার ডাক দিত, কিন্তু ২০০৭ সালে অসহায়ভাবে মৌলবাদীদের কাছে আত্মসমর্পণ করে সেই বামফ্রন্ট কার্যত তাড়িয়ে দেয় তসলিমা নাসরিনকে। সেই হিংসায় নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় প্রয়াত তৃণমূল নেতা ইদ্রিশ আলিকে। এতদিনে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে। ১৮ বছর আগের সেই ঘটনা আরেকবার মনে করিয়ে দিচ্ছে—পশ্চিমবঙ্গে শাসনব্যবস্থায় বামফ্রন্ট থেকে তৃণমূল এলেও মৌলবাদীদের সামনে আত্মসমর্পণের ক্ষেত্রে দুই দলের মধ্যে কোনো পার্থক্য নজরে পড়ছে না।

    মৌলবাদীদের হুমকি, বন্ধ জাভেদ আখতারের অনুষ্ঠান

    গত সোমবার কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ উর্দু একাডেমির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল খ্যাতনামা কবি তথা গীতিকার জাভেদ আখতারের। কিন্তু তাঁকে সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেওয়া যাবে না—এই হুমকি দেয় কয়েকটি কট্টরপন্থী ইসলামিক সংগঠন। আর সেই মৌলবাদী সংগঠনগুলির চাপের কাছে মাথা নোয়াতে হয় রাজ্য সরকারকে, এবং শেষ পর্যন্ত সেই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয় (Javed Akhtar)।

    মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    এই বিষয়টি নিয়ে (Javed Akhtar) সরব হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। কলকাতায় জাভেদ আখতারের অনুষ্ঠান বাতিল প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘‘এই রাজ্য সরকার কট্টরপন্থী। এরা সুরাবরর্দীর অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এটা বারবার প্রমাণিত, ভোটব্যাঙ্ক-ধর্মীয় পরিচিতি ইত্যাদি দেখে হয়। বাংলা, বাঙালি নিয়ে যা চলছে, বিধানসভাতেও যে প্রস্তাব আসবে, এটা কাদের জন্য? যারা আকাশকে আসমান বলে, মাকে আম্মা বলে, বাবাকে আব্বা বলে, জলকে পানি বলে। এই সরকার নামেই তৃণমূল কংগ্রেস, কার্যত মুসলিম লিগ-২।’’

    জাভেদের অনুষ্ঠানের আগে হুমকি দেয় মৌলবাদী সংগঠনগুলি

    জানা যাচ্ছে, জাভেদ আখতারকে (Javed Akhtar) আমন্ত্রণ জানানোর খবর প্রকাশ্যে আসতেই কয়েকটি ইসলামিক সংগঠন তীব্র প্রতিবাদ জানায়, যার মধ্যে অন্যতম ছিল ‘জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ’। এ ছাড়াও ‘ওয়াহাবি ফাউন্ডেশন’ নামের একটি মৌলবাদী সংগঠনও এই অনুষ্ঠানের বিরোধিতায় শামিল ছিল। এদের সবার দাবি ছিল, জাভেদ আখতার নাকি ইসলাম-বিরোধী কথা বলেন, তাই তার মতো একজন ব্যক্তিকে বাংলার কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেওয়া উচিত নয়। এই বক্তব্যের সাথে তারা রীতিমতো ‘ফতোয়া’ জারি করে। ফলে পশ্চিমবঙ্গ উর্দু একাডেমি চাপে পড়ে সেই অনুষ্ঠান স্থগিত করে দেয়।

    তসলিমাকে তাড়ানোর সময় যে হিংসাত্মক আন্দোলন হয়েছিল, তেমনটা করার হুমকি

    প্রসঙ্গত, মৌলবাদী সংগঠনগুলি এই অনুষ্ঠানে জাভেদ আখতারের যোগদান হলে ২০০৭ সালের তসলিমা নাসরিনকে তাড়ানোর সময় যে হিংসাত্মক আন্দোলন হয়েছিল, তেমনই পরিস্থিতির হুমকি দেয়। জানা যাচ্ছে, ‘উর্দু ইন হিন্দি সিনেমা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল পশ্চিমবঙ্গ উর্দু একাডেমি। সেখানে হিন্দি সিনেমায় উর্দু ভাষার ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা হতো। গান, কবিতা ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মসূচিরও পরিকল্পনা ছিল। সেখানেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এই খ্যাতনামা কবিকে। তবে এই অনুষ্ঠান রুখে দিল মৌলবাদীরা।

    তোষণের চূড়ান্ত পরিণতি হলেই কি এমনটা হয়? প্রশ্ন সুকান্তর

    এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা ড. সুকান্ত মজুমদার বলেন— “এই পরিণতি কি তখনই হয়, যখন তোষণের কোনও সীমা থাকে না? মৌলবাদীদের কথাই কি চূড়ান্ত হয়ে দাঁড়ায়? এ প্রশ্নের উত্তর একমাত্র একজনই দিতে পারেন—পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” তিনি আরও বলেন, ‘ন্যাশনাল মুশায়রা’ নামের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল পশ্চিমবঙ্গ উর্দু একাডেমি (Urdu Academy), যা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের অধীনস্থ। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন সাহিত্যে একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত, পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ সম্মাননায় ভূষিত বিখ্যাত কবি জাভেদ আখতার। মৌলবাদীদের লাগাতার চাপে শেষ পর্যন্ত এই অনুষ্ঠান বাতিল করতে হয়। এমনকি রাজ্য সরকারের উপর চরম চাপ তৈরি করা হয়েছিল, যেন জাভেদ আখতার বাংলায় ঢুকতেই না পারেন। এই ঘটনার আসল সত্য প্রকাশ্যে আনতে পারেন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

  • Suvendu Adhikari: “ক্ষমতার লোভে সেনাকেও অপমান করতে ছাড়ছেন না মমতা”, বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড হয়ে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “ক্ষমতার লোভে সেনাকেও অপমান করতে ছাড়ছেন না মমতা”, বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড হয়ে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিযোগ, দেশের সেনাবাহিনীকে অপমান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় ফের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়। বিধানসভায় অধিবেশন চলাকালীন ভারতীয় সেনা সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মন্তব্যে আপত্তি তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ব্রাত্যের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন তিনি। একে একে তাঁর সঙ্গে যোগ দেন অন্য বিজেপি বিধায়কেরা। অধিবেশনে হইহট্টগোল শুরু হয়। বার বার সতর্ক করার পরেও পরিস্থিতি না বদলানোয় শুভেন্দুকে এই অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই অধিবেশনকক্ষ থেকে বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়কেরা।

    সেনা-র বিরোধিতায় মমতা

    ধর্মতলায় (Dharmatala) তৃণমূলের ভাষা আন্দোলনের মঞ্চ সরানো নিয়ে শাসক শিবিরের (TMC) নিশানায় পড়েছে সেনাবাহিনী (Indian Army)। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দাবি করেন, বিজেপির (BJP) কথাতেই এ কাজ করেছে সেনা। তাঁর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই শোরগোল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এই বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। বাংলাভাষীদের ভিনরাজ্যে হেনস্থার প্রতিবাদে ধর্মতলায় মঞ্চ গড়েছিল তৃণমূল (TMC)। কিন্তু সেনাবাহিনী এসে সেই মঞ্চ সরাতে বলে। তাঁদের যুক্তি ছিল, ওই জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে এভাবে মঞ্চ বাঁধা যাবে না। ঘটনার পরই ওই স্থানে ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শুধু তাই নয়, সেনাকে ব্যবহার করে বিজেপি এই কাজ করিয়েছে বলেও তোপ দাগেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর মঙ্গলবার সেই প্রসঙ্গই ওঠে বিধানসভায়।

    সেনাকে অসম্মান ব্রাত্য বসুর

    এদিন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “গতকাল সেনাবাহিনী যেভাবে বাংলা ভাষার মঞ্চ ভেঙে দিয়েছে, সেটা ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ পাকিস্তান আর্মি যেভাবে খুন করেছিল, তার মতোই।” বিজেপিকে বাংলা বিরোধী বলে সরব হন আর এক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এরপরই উত্তাপ বাড়ে। সরব হন বিজেপি বিধায়করা। ‘ইন্ডিয়ান আর্মি জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন শুভেন্দু। বিজেপির ওয়াক আউট করে বেরিয়ে যায়। এরপর শুভেন্দুকে এই অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করেন বিমান। অর্থাৎ, চলতি অধিবেশনে বাকি দিনগুলিতেও আলোচনায় যোগ দিতে পারবেন না বিরোধী দলনেতা। বাইরে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আমাকে আবারও সাসপেন্ড করা হয়েছে। সেনার হয়ে বলার জন্য সাসপেন্ড হতে হয়েছে। আমি সেনার জন্য গর্ব অনুভব করি।”

    সেনার যুক্তি

    সোমবার ওই মঞ্চ ভাঙার ক্ষেত্রে সেনার যুক্তি ছিল, অনুমোদনের সময়কাল পেরিয়ে গিয়েছে, তারপরও বাঁধা ছিল মঞ্চ। এরপর অনুমতি পেতে গেলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলতে হবে বলেও জানিয়েছিল সেনা। তবে মমতার বক্তব্য, আসলে এই কাজ সেনার নয়, বিজেপি সেনাকে কাজে লাগিয়ে মঞ্চ খুলিয়েছে। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ভারতীয় সেনা তৃণমূলের মঞ্চ ভেঙেছে। এর বিরুদ্ধে বিধানসবার ভিতর সরব হয় বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্ধ হয়ে গেছেন, সে কারণে এখন ভারতীয় সেনাকেও অপমান করতে ছাড়ছেন না। এই ইস্যুতে তাঁর পদত্যাগেরও দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কটাক্ষ – একটুও লজ্জা অবশিষ্ট থাকলে এখন পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত।

    শুভেন্দুর দাবি

    মঙ্গলবার বিধানসভা থেকে সাসপেন্ডের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অভিযোগ করেন, “অধিবেশন চলাকালীন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দেশের সেনাবাহিনীকে অপমান করেন। বাংলাদেশের সামরিক অভ্যুত্থানের সঙ্গে ভারতীয় সেনার তুলনা টানেন। তারই প্রতিবাদে বিধানসভার ভিতরে ইন্ডিয়ান আর্মি জিন্দাবাদ স্লোগান তুলি। স্পিকারের কাছে অনুরোধ করি, যাতে ভারতীয় সেনাকে নিয়ে যা শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন তা যেন বক্তব্যের অংশ থেকে বাদ দেওয়া হয়।” শুভেন্দুর দাবি, তাঁদের তরফে বিধানসভায় এই দাবি করা হলেও তাতে মান্যতা দেননি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের কথা মোতাবেক নির্দেশ দেন তিনি। শুভেন্দুর কথায়, “তারপরই আমাকে সাসপেন্ড করা হয়। তবে এটা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। আমাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আমি গর্বিত। সেনাবাহিনীর অপমান আমি সহ্য করব না। তারা আমাদের দেশের গর্ব। সীমান্ত রক্ষা করে। তাদের অপমান করেছেন অরূপ বিশ্বাস। ব্রাত্য বসু বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভয়ে জওয়ানরা কাল পালিয়েছিলেন। এটা অপমান। ভারতীয় সেনা কারোর ভয়ে পালায় না। এটা দেশের অপমান। এটা বরদাস্ত করব না।”

  • Indian Army: তাঁকে দেখে ছুটে পালাচ্ছিল দুশো সেনা, বিতর্কিত মন্তব্য মমতার, পাকিস্তানে পাঠানোর প্রস্তাব বিজেপির

    Indian Army: তাঁকে দেখে ছুটে পালাচ্ছিল দুশো সেনা, বিতর্কিত মন্তব্য মমতার, পাকিস্তানে পাঠানোর প্রস্তাব বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সরাসরি সেনাবাহিনীর বিরোধিতায় নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Indian Army)। শুধু তাই নয়, ধর্মতলায় মঞ্চ খোলা ইস্যুতে তিনি দাবি করেছেন, প্রায় ২০০ জন সেনা সদস্য নাকি তাঁকে দেখে ছুটে পালিয়েছিলেন। দেশের সেনাবাহিনী সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে ছড়িয়ে পড়েছে তীব্র বিতর্ক। মমতার (Mamata Banerjee) মন্তব্যে স্তম্ভিত কমবেশি সব মহলই। তিনি আরও বলেন, বিজেপির নির্দেশেই সেনাবাহিনী এই কাজ করছে। তাঁর এই মন্তব্যে রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতিতে শুরু হয়েছে আলোড়ন। বিরোধী দল বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেছে। তাঁকে পাকিস্তানে পাঠানোর প্রস্তাবও দিয়েছে তারা। অন্যদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকেও দেওয়া হয়েছে স্পষ্ট বিবৃতি। অনেকেই বলছেন, দেশের সেনাবাহিনী আমাদের সুরক্ষা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে ভারতীয় সেনা যেভাবে পাকিস্তানকে জবাব দিয়েছে, তা গোটা দেশের গর্ব। সেই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে একজন সাংবিধানিক পদে থাকা মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্য কি মানায়?

    মঞ্চ খোলা ইস্যুতে সেনার বিবৃতি (Indian Army)

    ভারতীয় সেনা (Indian Army) মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগেই তাঁদের মঞ্চ সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা কর্ণপাত করেনি উদ্যোক্তারা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘ভারতের মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে ভারতীয় সেনাবাহিনী (স্থানীয় সামরিক কর্তৃপক্ষ, কলকাতা) ময়দান এলাকায় দুই দিনের জন্য অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছে। ৩ দিনের বেশি অনুষ্ঠানের জন্য ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে অনুমতি নিতে হবে। অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য ২ দিনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তবে মঞ্চটি প্রায় এক মাস ধরে স্থাপন করা হয়েছে, অস্থায়ী কাঠামো অপসারণের জন্য আয়োজকদের কাছে বেশ কয়েকবার অনুস্মারক পাঠানো হয়েছে কিন্তু এটি অপসারণ করা হয়নি। এরপর কলকাতা পুলিশকে অবহিত করা হয় এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী কাঠামোটি সরিয়ে ফেলেছে।’’

    পাকিস্তানে পাঠানোর প্রস্তাব বিজেপির

    অন্যদিকে, সেনাবাহিনীকে (Indian Army) এভাবে অপমান করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি মন্তব্য করেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেত্রীকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত।” সুকান্ত এই ইস্য়ুতে বলেন, ‘‘দিদি ভারতে কী করছেন? ওঁর পাকিস্তানে গিয়ে আসিফ মুনিরকে সাহায্য করা উচিত। ভারতীয় সেনা যদি দিদিকে দেখে দৌড়ায়, তাহলে ওঁর প্রয়োজন এখানে নেই, ওঁকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত। দিদির অপব্যবহার হচ্ছে।’’

    দেশের সেনাবাহিনীকে চরম অপমান করেছেন, বললেন শুভেন্দু

    অন্যদিকে, এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজের ফেসবুক পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে অপমান করেছেন। আমরা সবাই জানতাম, আপনি একজন জাতীয়তাবাদ-বিরোধী। তবে যেভাবে আপনি বলেছেন, ‘ময়দানে পৌঁছানোর পর ২০০ জন সাহসী সেনা সদস্য পালিয়ে গেছেন আপনাকে দেখে’, এটা শুধু একটি বড় মিথ্যেই নয়—বরং দেশের সেনাবাহিনীর প্রতি চরম অপমান। যে সেনাবাহিনীর সাহস ও আত্মত্যাগের কোনও তুলনা হয় না, যাঁরা আমাদের সীমান্ত রক্ষা করেন এবং সংকটের সময় আমাদের সুরক্ষা দেন, তাঁদের নিয়ে এমন মিথ্যা প্রচার করা লজ্জাজনক।”

    ক্ষমতার লোভে অন্ধ মমতা

    শুভেন্দু আরও বলেন, “ময়দানে তৃণমূলের অস্থায়ী কাঠামো এক মাস ধরে অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল করে রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনী (Indian Army) বারবার তা সরানোর কথা বললেও তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের ‘উদ্যোক্তা’র পরিচয় দিয়ে কখনোই সেই কাঠামো সরায়নি। তাই মুখ্যমন্ত্রী এখন নিজের মুখ রক্ষার জন্য মিথ্যা গল্প বানাচ্ছেন। এটা নিছক নির্লজ্জতা। ক্ষমতার লোভ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এতটাই অন্ধ করে দিয়েছে যে তিনি দেশের জওয়ানদের অসম্মান করছেন। এটা শুধু সেনাবাহিনীর নয়, প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের অপমান। মুখ্যমন্ত্রীর এমন অপমানজনক মন্তব্য দেশের বীরত্ব ও আত্মত্যাগকে অবমূল্যায়ন করছে।”

    ২০০-র মতো সেনা আমাকে দেখে ছুটে পালাচ্ছিল

    প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির কাছে তৃণমূলের মঞ্চ খুলতে শুরু করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। মঞ্চের ত্রিপল, বাঁশ ইত্যাদি খুলে সরিয়ে ফেলা হয়। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করেন। মুখ্যমন্ত্রী দিন বলেন, ‘‘বিজেপির কথায় চলছে সেনাবাহিনী। সেনাকে দিয়ে কাজ করালে দেশটা কোথায় যাবে? সেনাবাহিনীর অপব্যবহার করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ২০০-র মতো সেনা আমাকে দেখে ছুটে পালাচ্ছিল। যখন বিজেপি থাকবে না তখন পালাবে কোথায়? আমরা শনি-রবিবার কর্মসূচি করি। আমরা টাকাও দিয়েছি। আপত্তি থাকলে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে পারত। রাজনৈতিক স্বার্থে সেনাবাহিনীর অপব্যবহার হচ্ছে। আমি এই ঘটনার তীব্রভাবে নিন্দা জানাচ্ছি।’’

  • SSC: নেতা-নেত্রী থেকে বিধায়কের বউমা! এসএসসির দাগি তালিকায় তৃণমূলের রমরমা

    SSC: নেতা-নেত্রী থেকে বিধায়কের বউমা! এসএসসির দাগি তালিকায় তৃণমূলের রমরমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি দাগি প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করতে বাধ্য হয় তৃণমূল সরকার (Trinamool Congress)। তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই স্পষ্ট হয়ে যায়, তা একপ্রকার দখল করে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কে নেই সেই তালিকায়! বিধায়কের পুত্রবধূ থেকে শুরু করে নেতা-নেত্রীদের আত্মীয়। যেমন ধরুন, বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের পুত্রবধূ শম্পা ঘোষ রয়েছেন তালিকার ১২৬৯ নম্বরে। একইভাবে ‘অযোগ্য’ তালিকায় (SSC) নাম আছে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কুহেলি ঘোষের। তাঁর নাম রয়েছে ৬৪৭ নম্বরে। তালিকার পাতা উল্টাতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ— রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলার চিত্র একই রকম। সব জায়গাতেই তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের নাম উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছে বিজেপি।

    বিজেপির আক্রমণ (SSC)

    এই ইস্যুতে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘একটা চাকরিও কোনও নির্বাচিত সরকার অবৈধভাবে দিতে পারে না। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার গোটা ভারতবর্ষের সামনে অবৈধভাবে চাকরি দিয়েছে। আজ যাঁরা দাগি বলে চিহ্নিত হলেন, তাঁদের থেকেও মহাদাগি হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।’’ শুভেন্দুর আরও দাবি, ‘‘এই দাগিদের মধ্যে ৯০ শতাংশ টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, আর ১০ শতাংশ নেতা-মন্ত্রীদের সুপারিশে পিছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করেছেন। কারও গয়নাগাটি, কারও জমি বিক্রি হয়েছে, আবার কারও গরু-বাছুর পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে চাকরি পাওয়ার জন্য (SSC)।’’ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের পাল্টা খোঁচা, ‘‘অযোগ্যরা এবার তালিকা প্রকাশ করুন, কোন কোন তৃণমূল নেতাকে কত টাকা দিয়েছেন।’’

    তালিকায় তৃণমূলের রমরমা (SSC)

    এসএসসি-র ‘অযোগ্য’ তালিকায় একের পর এক তৃণমূল (Trinamool Congress) ঘনিষ্ঠদের নাম উঠে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যে। তালিকার ১৩৬০ নম্বরে আছেন শতাব্দী বিশ্বাস, যিনি নিউ বারাকপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান স্বপ্না বিশ্বাসের কন্যা। অযোগ্য তালিকায় নাম উঠেছে হুগলির খানাকুলের তৃণমূল নেতা এবং জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য বিভাস মালিক এবং তাঁর স্ত্রী সন্তোষী মালিকের। তাঁদের নাম যথাক্রমে ৩১৬ ও ১৩৩২ নম্বরে। হুগলি জেলা পরিষদের প্রাক্তন শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শাহিনা সুলতানা, এবং খানাকুল-১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সহ-সভাপতি নইমুল হক ওরফে রাঙার স্ত্রী নমিতা আদককেও ‘দাগি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এসএসসি। বারাসাত ১ ব্লক সভাপতি মহম্মদ ইশা হক সর্দারের ছেলে মহম্মদ নাজিবুল্লা রয়েছেন তালিকার ৭৯১ নম্বরে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা ব্লকের ১০ নম্বর জলচক অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি অজয় মাঝি আছেন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকদের তালিকার ৩৯ নম্বরে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী রয়েছেন তালিকার ১০৪ নম্বরে। চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের কন্যা রোশনারা বেগমকেও চিহ্নিত করা হয়েছে ‘অযোগ্য’ হিসেবে। তালিকায় নাম রয়েছে কবিতা বর্মণের, যিনি ২০১৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি ছিলেন। মালদার মোথাবাড়ির তৃণমূল নেতা সামসুদ্দিন আহমেদের নামও রয়েছে এই তালিকায়। নাম রয়েছে হিঙ্গলগঞ্জের যোগেশগঞ্জ এলাকার তৃণমূল নেত্রী সন্ধ্যা মণ্ডলের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘জন্ম হারের চেয়ে আড়াই গুণ বেশি ভোটার রাজ্যে, কারচুপিতেই জেতে তৃণমূল’’, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘জন্ম হারের চেয়ে আড়াই গুণ বেশি ভোটার রাজ্যে, কারচুপিতেই জেতে তৃণমূল’’, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকায় বছরের পর বছর কারচুপি করেই জিতে আসছে তৃণমূল (Trinamool), সাংবাদিক সম্মেলনে এভাবেই শাসক দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একই সঙ্গে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) এই রাজ্যে কতটা জরুরি, তাও সাংবাদিক বৈঠকে তুলে ধরেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। অন্যদিকে, সংবিধান সংশোধন নিয়ে দেশজুড়ে হৈ-চৈ শুরু করেছে বিরোধী শিবির। এদিন ইন্ডি জোটকে একহাত নিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল পর্যালোচনার জন্য যে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠিত হয়েছে, তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে বেশ কিছু দুর্নীতিবাজ রাজবংশ। কারণ তারা বুঝতে পেরেছে এর প্রধান প্রভাব পড়বে ইন্ডি জোটের ওপরেই। এদিন শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ভোটার তালিকায় গ্রোথ আর বার্থ রেট—এই দু’টোকে তুলনা করে দেখা গিয়েছে, জন্মের তুলনায় আড়াই গুণ বেশি ভোটার রয়েছে এই রাজ্যে।’’

    প্রসঙ্গ এসআইআর

    সাংবাদিক বৈঠকে এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘এসআইআর করতে হবে, এসআইআর হওয়া উচিত আর হবেও। এটা নতুন কিছু নয়। শেষ জনগণনা ২০১১-তে হয়েছিল। ভোটারের জন্ম-মৃত্যু-হার তুলনা করতে হবে। শেষ ১০ বছরে জন্মগ্রহণের তুলনায় আড়াই শতাংশেরও বেশি নাম রয়েছে ভোটার তালিকায়। ভোটার তালিকার গ্রোথ আর বার্থ রেটের গ্রোথ, দুটো তুলনা করে দেখা গিয়েছে জন্মের তুলনায় আড়াইগুণ বেশি ভোটার রয়েছে। এরা কারা? এরা মৃত ভোটার, ফেক ভোটার, বাংলাদেশি মুসলমান, যারা জন্মেছেন চট্টগ্রামে, সিলেটে, রঙপুরে, লালমনির হাটে। মমতা ব্যানার্জির সৌজন্যে বেড়া টপকে (Trinamool) ঢুকে এখানে ভোটার তালিকায় নাম তুলে ফেলেছে। সেই জন্যই জন্মসংখ্যা আর ভোটারের সংখ্যার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে আকাশ-পাতাল পার্থক্য আছে।’’

    গত লোকসভা ভোটে রিগিংয়ের প্রমাণ রয়েছে

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন আরও বলেছেন, ‘‘চব্বিশের নির্বাচনে ওরা (তৃণমূল) যা করেছে সেটাও দেখাব। চার ঘন্টা ক্যামেরা বন্ধ রেখেছিল। সকালে ৮টা থেকে ১০টা ও বিকেল ৪টে থেকে ৬টা পর্যন্ত ক্যামেরা বন্ধ রাখা হয়েছিল। আমার কাছে পুরো তথ্য আছে। এক্সপোজ করব। ৮০,৫০০ বুথের মধ্যে ৩৫ হাজার বুথে রিগিং হয়েছিল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এটা আমি ধরিনি। টেলিকম বিভাগ থেকে যাকে বসানো হয়েছিল তিনি ধরেছেন। আইপ্যাক-এর মনোনীত ভাড়া করা এজেন্সি শোকজের উত্তর দিচ্ছে না। সিঙ্গল বেঞ্চে গিয়েছিল হেরেছে। ডিভিশন বেঞ্চে মামলা ঝুলে আছে। তবে এবারে দু’নম্বরি করতে দেব না।’’

  • Suvendu Adhikari: ‘‘কান টেনেছেন, এবার মাথাও টানতে হবে’’, জীবনকৃষ্ণ ইস্যুতে মন্তব্য শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘কান টেনেছেন, এবার মাথাও টানতে হবে’’, জীবনকৃষ্ণ ইস্যুতে মন্তব্য শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। এনিয়েই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) মন্তব্য, ‘‘কান টেনেছেন ঠিক আছে, এবার মাথাও টানতে হবে।’’ সোমবারই তৃণমূল বিধায়ককে ৬ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। আগামী শনিবার ফের আদালতে তোলা হবে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণকে। এদিন ইডি-র আইনজীবী দাবি করেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে ধৃতের স্ত্রী, বাবার অ্যাকাউন্টে। অন্যদিকে, অভিযুক্ত বলছেন, বাবা গিফট করেছেন। স্ত্রী বলছেন, চাকরি করে আয় করা টাকা। এসবই মিথ্যা বলে দাবি করেন ইডির আইনজীবী।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    জীবনকৃষ্ণর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন বলেন, ‘‘জীবনকৃষ্ণ সাহা ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ভাইপো, মানিক ভট্টাচার্যদের বড় এজেন্ট। বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলার তালিকা তৈরি করা, টাকা তোলা এবং একটা অংশ রাখা… এইসব কাজটাই করতেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। আমি অনেকবারই বলেছি জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jibankrishna Saha) কাছে পড়ে থাকলে শুধু হবে না। কারণ জীবনকৃষ্ণ সাহা কান্দি, নবগ্রাম,খড়গ্রামের বিধায়কদের দিয়ে সেইসব এলাকা থেকে টাকা তোলা এবং সেই সব এলাকায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বন্দোবস্তটা করেছেন। কান টেনেছেন ঠিক আছে, এবার মাথাকেও টানতে হবে।’’

    আজকেও কীভাবে পালাচ্ছিল, সবাই দেখেছে

    তিনি আরও বলেন, ‘‘এর আগে পাঁচিলে ঝোলা, পুকুরে মোবাইল ফেলা, পাম্প মেশিন বসিয়ে জল তোলা। আজকেও কীভাবে পালাচ্ছিল। সবাই দেখেছে। শাসকদল যখন বলছে রাজনীতি করছে, তখন শাসকদলের একটাও বলা উচিত ছিল যে কেন জীবনকৃষ্ণ সাহা ছুটে পালাতে গেলেন? তিনি যদি নিরাপরাধ হয়ে থাকেন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে থাকেন,তাহলে ফেস করা উচিত। কেন তিনি মোবাইল পুকুরে ফেললেন? প্রথমে তো অস্বীকার করছিলেন। তিনি যে অপরাধী সেটা আজ সবার সামনে প্রমাণ করে দিয়েছেন । শুধু ইডির কাছে নয়, ওটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে।’’

    এর আগে এদের যখন গ্রেফতার করা হয় তখন কিন্তু কোন নির্বাচন ছিল না

    বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) কথায়, ‘‘এর আগে এদের যখন গ্রেফতার করা হয় তখন কিন্তু কোন নির্বাচন ছিল না। মূলত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই সেই গ্রেফতারি হয়েছিল। এমনকি চোর সরকার সেই গ্রেফতারি এড়াতে সুপ্রিম কোর্টে পর্যন্ত গিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়নি। এই দুর্নীতি তদন্ত সরাসরি হাইকোর্টের মনিটরিং-এ হচ্ছে। হাইকোর্ট একটি সিট বানিয়ে দিয়েছিল। এমনকি এই তদন্তের কে নেতৃত্ব দেবেন সেটাও সিবিআই হাতে ছিল না। সিবিআই কে তিনটের নাম জমা দিতে বলেছিল হাইকোর্ট। তার মধ্যে থেকেই একজনকে বেছে নেওয়া হয়।’’

  • Suvendu Adhikari: ‘জানেন কীভাবে ৭ লক্ষ ভোটে জিতেছিলেন অভিষেক?’ বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘জানেন কীভাবে ৭ লক্ষ ভোটে জিতেছিলেন অভিষেক?’ বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নিশানায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে ৭ লক্ষেরও বেশি ভোটে জয় পেয়েছিলেন অভিষেক। তাঁর এই ভোটের ব্যবধান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর বিস্ফোরক অভিযোগ, ৯০০ বেশি বুথে ইভিএম-এ টেপ লাগানো ছিল। প্রতি বুথে ৮ জন করে পোলিং এজেন্ট, আর বাইরে জাহাঙ্গির বাহিনী। ভোট না দিলে দেওয়া হয়েছিল মারধরের হুমকিও।

    কীভাবে ভোট হয়েছিল, বললেন শুভেন্দু

    সম্প্রতি এক সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দু বলেন, “তিনি নাকি সাত লক্ষ ভোটে জিতেছেন। জানেন, ৯০০-র বেশি বুথে সেলোটেপ লাগানো ছিল। ৮ জন করে পোলিং এজেন্ট জাহাঙ্গির বাহিনীর। আপনি যদি গিয়ে ভিতর থেকে চিৎকার করেন, যে আমি পদ্মফুল বা অন্য কোনও প্রতীক খুঁজে পাচ্ছি না, তাহলে আপনি যখন বুথ থেকে বেরোবেন, তখনই মারবে। আবার যদি নাও টেপেন, শব্দ না হয়, তাও মারবে। এই করে সাত লক্ষ ভোটে জিতেছে।” শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) এই অভিযোগ নিছক রাজনৈতিক আক্রমণ নয়, বরং এর মধ্যেই তিনি তুলে ধরেছেন ভোটব্যবস্থার উপর আস্থার সংকট। তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট, ভোটারদের স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকারকে নষ্ট করে গোপনে কারচুপি চালানো হয়েছিল। অভিষেককে বিঁধে শুভেন্দু বলেছেন,“টাকা ছাড়া কিছু বোঝে না। কয়লা খায়, বালি খায়, গরু পাচার করে, দেশি মদের প্রতি বোতল থেকে আড়াই টাকা করে তোলে, ডিয়ার লটারি ওর ব্যবসা। ওই ৭ লাখ ১৫ হাজার ভোটে জিতেছে? প্রমাণ করে দেব ডায়মন্ড হারবারে কী কায়দায় ভোট হয়েছিল, কী কায়দায় লুট হয়েছিল?”

    সাজানো কারচুপির ফল

    উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে ডায়মন্ড হারবারে রেকর্ড সাত লক্ষ ১০ হাজার ভোটে জিতেছেন অভিষেক। আর এই জয়ের ব্যবধান নিয়েই সরব বিজেপি। কিছুদিন আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিয়ে বিস্ফোরক এই একই অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর। তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ করেছিলেন, ডায়মন্ডহারবারে কয়েক লক্ষ ভুয়ো ভোটার রয়েছে। এরপরই অবশ্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Suvendu-Abhishek) প্রতিনিধি পেনড্রাইভে তথ্য নিয়ে অনুরাগ ঠাকুরের বাড়িতে পৌঁছন। শুভেন্দু এদিন বলেন, “ডায়মন্ড হারবারে সোমেন মিত্র অনেক বড় নেতা ছিলেন, তিনি ৭০ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। অনেক বড় নেতা আবু হাসনাত খান, তিনি ৫০ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। অনেক বড় নেতা শমীক লাহিড়ি, তিনি ৯০ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। অনেক বড় নেতা বামপন্থী অমল দত্ত, তিনিও সামান্য ভোটে জিতেছিলেন।” অভিষেকের এই জয় কোনওভাবেই স্বাভাবিক নয়, বরং সুচারুভাবে সাজানো কারচুপির ফল।

  • Sukanta Majumdar: মেডিক্যালে ভর্তি বন্ধের বিজ্ঞপ্তি রাজ্যের, বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতেই এই সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: মেডিক্যালে ভর্তি বন্ধের বিজ্ঞপ্তি রাজ্যের, বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতেই এই সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যে এমবিবিএস-এর প্রথম বর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়া (West Bengal)। একই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ডেন্টালে ভর্তি। এ নিয়ে সামনে এসেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার বিজ্ঞপ্তি। জানা যাচ্ছে, ওবিসি জটের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। নিজের সামাজিক মাধ্যমে সুকান্তবাবু লিখেছেন, রাজ্যে মেডিক্যালে ভর্তির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। হঠাৎ করেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার একটি ‘জরুরি বিজ্ঞপ্ত’রি করে অনির্দিষ্টকালের জন্য মেডিক্যাল-ডেন্টাল কাউন্সেলিং ও ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে রাজ্যের হাজার হাজার মেডিক্যালপ্রার্থী ও তাঁদের অভিভাবকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের প্রশ্ন (Sukanta Majumdar), রাজনীতির জন্য এক নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে তুষ্ট করতেই কি কাউন্সেলিং বন্ধ করে দেওয়া হল? সংরক্ষণের নামে কোনও বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা পাইয়ে দিতে কি এই পদক্ষেপ? তাঁর কটাক্ষ, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে পরীক্ষায় সফল ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ কার্যত অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

    মমতা সরকারকে আক্রমণ শুভেন্দুর (West Bengal)

    সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ এবং জয়েন্ট ফল না প্রকাশ করার ইস্যুতে রাজ্যকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে তিনি বলেন, এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যবসা চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী! যত সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়বে, তত মমতার ঘনিষ্ঠদের প্রাইভেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাড়বে, ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠবে।” তাঁর দাবি, এইভাবে ১ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করার সুযোগ দিচ্ছে তৃণমূল সরকার। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের কথায়, জাতীয় ওবিসি (OBC) তালিকার বাইরে থাকা ৭৬টি মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ভোটব্যাঙ্কের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই তালিকায় ঢোকাতে চায়। একই সঙ্গে ভর্তি প্রক্রিয়াতেও যাতে এরা বঞ্চিত না হয়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলত, সকল পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ জলাঞ্জলির পথে।

    উদ্বেগ বাড়ছে অভিভাবক এবং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে (Sukanta Majumdar)

    প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের এমন বিজ্ঞপ্তির ফলে উদ্বেগ বাড়ছে অভিভাবক এবং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। কতদিন এভাবে চলবে, এনিয়েও উঠছে প্রশ্ন, এবং তাদের বছর নষ্ট হবে কিনা, সে আশঙ্কাও করছেন তাঁরা। তবে এখনও পর্যন্ত কী কারণে স্বাস্থ্য ভবন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা অবশ্য স্পষ্ট করে বলা হয়নি। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, সপ্তাহখানেক আগেই এমবিবিএস ও বিডিএস (বিডিএস মানে ডেন্টাল)-এর কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের কাজ রবিবার রাতেই মিটে গিয়েছিল। বুধবারেই এর ফল প্রকাশের কথা ছিল, অর্থাৎ ২০ অগাস্ট। জানা যাচ্ছে, এ রাজ্যে পাঁচ হাজারের বেশি আসন রয়েছে, যেখানে পছন্দের ভিত্তিতে নাম দাখিলের হিসেবে যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন ইতিমধ্যে ১১ হাজার পড়ুয়া। কিন্তু এর ঠিক পরেই স্থগিত করে দেওয়া হয় কাউন্সেলিং।

    অনেক মেধাবী পড়ুয়া রাজ্যের বাইরে পা বাড়াবেন?

    এর ফলে একেবারে অনিশ্চয়তা শুরু হয় ১১ হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে। মেডিকেল পড়ুয়াদের ভর্তি থেকে শুরু করে বার্ষিক যে পরীক্ষা—সেটা সমস্তটাই সারাদেশের এনএমসির একটি গাইডলাইন মেনে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে পিছিয়ে যাচ্ছেন পড়ুয়ারা। এর জন্য দায়ী স্বাস্থ্য ভবন, কারণ গোটা দেশের সঙ্গে অন্যান্য রাজ্যগুলির তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে বাংলার মেডিক্যাল পড়ুয়ারা। ভর্তি প্রক্রিয়াতে অচলাবস্থা। এই আবহে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অনেক মেধাবী পড়ুয়া রাজ্যের বাইরে পা বাড়াবেন, এবং রাজ্যের বাইরে কোনও জায়গায় তারা ভর্তি হবেন। অন্যদিকে জয়েন্টের ফল কবে প্রকাশ হবে? সে প্রশ্নেরও উত্তর মিলছে না। কারণ, ওবিসি জটিলতা এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে পুরোটাই এখন অন্ধকারে চলছে।

  • Suvendu Adhikari: জয়েন্টের ফল কেন বেরোচ্ছে না? মমতাকে ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: জয়েন্টের ফল কেন বেরোচ্ছে না? মমতাকে ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষার চার মাস পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও বেরোয়নি রাজ্য জয়েন্টের ফল। আদালতে মামলা চলছে। সোমবার বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করার পথে হাঁটছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার (Mamata Banerjee Govt)। সোমবার রাজভবনের (Rajbhavan) বাইরে থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে কার্যত এমনটাই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা। ইচ্ছে করে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ রেখে বেসরকারি জায়গায় প্রক্রিয়া চালু রাখা হয়েছে। আদতে এমন কাজ করে বাংলার পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, দাবি শুভেন্দুর।

    ৫ লক্ষ ছাত্র ছাত্রীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত

    রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাত করে রাজভবনের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপালের কাছে বিজেপির ১৫ জন বিধায়ক এসেছিলাম আমরা। বিধায়কদের যারা শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত তাঁরা আজ এসেছিলেন। ছাত্রছাত্রী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান সবটাই বাংলায় বিপন্ন। রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর যা করছে এধরনের শিক্ষা বিপর্যয় স্বাধীনতার পর দেশে হয়নি। বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার উপর চলছে রাজ্য। তিন মাস আগে বাংলায় উচ্চ মাধ্যমিক এর রেজাল্ট বেরিয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর ভর্তির প্রক্রিয়া সরকারি প্রতিষ্ঠানে এখনও শুরু হয়নি। জয়েন্ট এন্ট্রান্সের রেজাল্ট এখনও প্রকাশ পায়নি। জয়েন্ট এন্ট্রান্সের পর ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ হয়ে ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে অন্য রাজ্যে। এই ঘটনায় রাজ্যের ৫ লক্ষ ছাত্র ছাত্রীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত।’’

    ১ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করার সুযোগ

    এতদিন আইনি জটিলতা থাকলেও সম্প্রতি জয়েন্টের ফলপ্রকাশে বাধা নেই বলেই জানায় আদালত। তারপরও সেই ফল প্রকাশ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিজেপি। কেন জয়েন্টের ফলপ্রকাশ হচ্ছে না, এর দুটি কারণ ব্যাখ্যা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি বিধায়কের কথায়, জাতীয় ওবিসি (OBC) তালিকার বাইরে থাকা ৭৬টি মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ভোটব্যাঙ্কের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই তালিকায় ঢোকাতে চায়। একই সঙ্গে ভর্তি প্রক্রিয়াতেও যাতে এরা বঞ্চিত না হয়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলত, সকল পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ জলাঞ্জলির পথে। এই প্রসঙ্গে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু আরও বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘‘বিগত কয়েক বছরে চিটফান্ড (Chitfund) উঠে গেছে ইডি-সিবিআইয়ের চাপে। তাই এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যবসা চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী! যত সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়বে, তত মমতার ঘনিষ্ঠদের প্রাইভেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাড়বে, ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠবে।’’ তাঁর দাবি, এইভাবে ১ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করার সুযোগ দিচ্ছে তৃণমূল সরকার।

    রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি

    শুভেন্দু বলেন, ‘‘এব্যাপারে আমরা রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছি। বিকাশ ভবনে গেলে মেরে তুলে দেবে। নবান্ন তো যেতেই দেবে না। তাই আমরা রাজ্যপালের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছি। আমরা অনুরোধ করেছি এব্যাপারে রাজ্যপাল আমাদের যেন রিপোর্ট দেন যে রাজ্য কী করল।’’ মুখ্যমন্ত্রীকে (Suvendu Attacks Mamata) হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু জানান, এই সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা সমাধান না হলে সামনের সপ্তাহে সবাইকে নিয়ে বিকাশ ভবনের সামনে ধর্নায় বসবেন। কারা থাকবে এই ধর্নায় তাও স্পষ্ট করেছেন শুভেন্দু। জানিয়েছেন, বিজেপি বিধায়করা তো থাকবেনই, একই সঙ্গে অভিভাবক, শিক্ষাবিদদের নিয়ে ধর্না কর্মসূচি করা হবে। আর এক্ষেত্রেও যদি পুলিশি অনুমতি না মেলে তাহলে হাইকোর্টে যাওয়ার কথাও বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

  • Suvendu Adhikari: সাংবাদিক বৈঠকের আগে পুলিশ-ঘরণীদের প্রশিক্ষণ! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সাংবাদিক বৈঠকের আগে পুলিশ-ঘরণীদের প্রশিক্ষণ! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্তব্যরত পুলিশের স্ত্রী-রা আইন অনুযায়ী সাংবাদিক বৈঠক করতে পারে না। হুঁশিয়ারি দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি নজিরবিহীনভাবে পুলিশের কয়েকজন ঘরণী সাংবাদিক বৈঠক করেন প্রেস ক্লাবে। তাঁদের দাবি ছিল কেন পুলিশের বাড়ির মেয়ে-বৌদের হেনস্থা করা হয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানান তাঁরা। এই ঘটনার এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই এবার সাংবাদিক বৈঠক করলেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, আগে থেকেই এই মহিলাদের ‘ট্রেনিং’ দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। এই পরিকল্পিত সাংবাদিক বৈঠকের আগের ঘটনার ছবি ও ভিডিও দেখান বিরোধী দলনেতা।

    রাজ্যপালের দ্বারস্থ

    সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “আইন অনুযায়ী পুলিকর্মীদের স্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করতে পারে না। আমরা মামলা করব। আমরা রাজ্যপালকে এটা জানিয়েছি। ওনাকে তদন্ত করতে বলেছি। এটা সার্ভিস রুলের অবমামনা। অফিসারদের স্ত্রীদের দিয়ে অভিযোগা কারনো হয়। মূলত আমাকেই টার্গেট করা হয়। বিরোাধী দলনেতা নিজে পুলিশকে অশালীন কথা বলছেন, এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে।” এরপর তিনি বলেন, “আজ সমস্ত পর্দা ফাঁস করব।” এরপর বলতে শুরু করেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, “কলকাতা পুলিশের কর্মরত অফিসারদের বাড়ির গৃহিণীদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাইরে দেখানো হয় পুলিশের স্ত্রীরা প্রতিবাদ করছেন। এই অনুষ্ঠান থেকে মূলত আমায় টার্গেট হয়েছে।”

    মানহানির মামলা করবেন শুভেন্দু

    শুভেন্দুর দাবি, কলকাতা পুলিশের শান্তনু সিনহা বিশ্বাস তিনি একটি সংগঠন তৈরি করেছেন। নাম ‘পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ আবাসিক মহিলা বৃন্দ ভবানী-ভবন’। কলকাতা পুলিশ ও ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ এই সংগঠন তৈরি করেছে। প্রেস ক্লাবে যাওয়ার আগে এদের জড়ো করা হয়েছিল পিটিএস অডিটোরিয়ামে। শুভেন্দু বলেন, “এদের ব্রিফ করেন শান্তনু, বিজিতেশ্বর রাউত। এই শান্তনু ও বিজিতেশ্বর দু’জনই প্রমোশন পেয়েছেন। তিনটে সরকারি বাস আনা হয়েছে। সরকারি কি না জানি না। রুট ২৩০। যে বাস ওসি আলিপুর এনেছে প্রেস ক্লাবে। কলকাতা পুলিশের একটি গাড়িও ব্যবহার হয়েছে। নম্বর-ডব্লুবি০৪জি৯৫৭১ ( WB04G9571)।” শুভেন্দু জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তাঁর উকিল আইনি নোটিস দিয়েছে। তিনদিন অতিবাহিত হয়েছে। এই সপ্তাহেই শুভেন্দু মানহানির মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।

    কারা ছিলেন ওই বৈঠকে

    এরপর যে যে পুলিশের স্ত্রীরা সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন তাঁদের নাম পরিচয় জানান শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ওই দিন উপস্থিত ছিলেন আতাউর রহমানের স্ত্রী সালমা সুলতানা। এই আতাউর রহমান বিজিএল এমটিএস ব্রিগেড হেডকোয়ার্টারে পোস্টেড। ওইদিন ছিলেন প্রিয়াঙ্কা চট্টোপাধ্যায় দে। যিনি কনস্টেবল সায়ন্ত দে-র স্ত্রী। এছাড়াও ছিলেন এএসআই অতনু বাজের স্ত্রী। এই বিষয়টি রাজ্যপালকেও জানিয়েছেন শুভেন্দু। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই কলকাতা প্রেস ক্লাবে পুলিশ কর্মীদের স্ত্রীরা একটি সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠক থেকে রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী তথা বিজেপিকে নিশানা করতে দেখা গিয়েছিল তাদের। পুলিশকর্মীদের স্ত্রীদের অভিযোগ ছিল, তাঁদের স্বামীদের প্রায়শই অশালীন ভাষায় কথা বলা থেকে শুরু করে হেনস্থা এমনকী জুতো দেখানোর মতো ঘটনা ঘটছে। এক্ষেত্রে পুলিশকর্মীদের স্ত্রীদের নিশানায় ছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি।

    মনোজ ভার্মাকে নিশানা শুভেন্দুর

    মিথ্যে মামলার অভিযোগ তোলার পাশাপাশি কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মাকে এদিন নিশানায় আনেন শুভেন্দু। সোমবার সল্টলেকে বিজেপির দফতরে সাংবাদিকদের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, “কলকাতার সিপি, একজন কুখ্যাত আইপিএস। গোটা জঙ্গলমহলে অত্যাচার করেছেন এই মনোজ ভার্মা…২০০৯, ‘১০,’১১-এর আগে পর্যন্ত। আদিবাসী ছেলেগুলিকে মাওবাদী তকমা দিয়ে তুলে এনে মারতেন। এই কুখ্যাত লোকটি সেদিন অভয়ার মায়ের উপর অত্যাচার করিয়েছেন।” শুভেন্দুর কথায়,  ৯ অগাস্ট আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের ডাকে ‘অরাজনৈতিক’ নবান্ন অভিযান হয়েছিল। যেখানে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিজেপির বিধায়ক, সাংসদ, যুবনেতা, মহিলা মোর্চার উপস্থিতি লক্ষ্য করার মতো ছিল। শুভেন্দুর অভিযোগ, “সাঁতরাগাছি পয়েন্টে কোনও বিশৃঙ্খলতার ঘটনা হয়নি, পুলিশ মিথ্যে মামলা দিয়েছে। হাওড়া ময়দানে অল্প বিস্তর হয়েছিল, পুলিশ জলকামান ব্যবহার করেছে। রানিগঞ্জ থেকে দুজনকে তুলে আনা হয়েছে, তাঁরা জামিনও পেয়েছেন।”

    কী করে ডিসি পদে শান্তনু সিনহা বিশ্বাস

    শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, শান্তনু সিনহা বিশ্বাসকে ডিসি করা হবে বলে ৮টা নতুন পোস্ট তৈরি করা হয়েছে। দেড় বছরে তিনবার প্রোমোশন করিয়ে কয়েকদিন আগেই ডিসি করা হয়েছে। তিনি জানান, বেআইনিভাবে এই কাজ করা হয়েছে। শীঘ্রই এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হলে এনিয়ে হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন শুভেন্দু। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি এও জানান, এই ইস্যু নিয়ে আজ বিকেলেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন তাঁরা।

LinkedIn
Share