Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Ustad Rashid Khan: পুলিশি হেনস্থার শিকার উস্তাদ রশিদ খান, শিল্পীর পাশে রয়েছেন শুভেন্দু

    Ustad Rashid Khan: পুলিশি হেনস্থার শিকার উস্তাদ রশিদ খান, শিল্পীর পাশে রয়েছেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশি হেনস্থার শিকার ধ্রুপদী গায়ক উস্তাদ রশিদ খান (Ustad Rashid Khan)। অভিযোগের তির কলকাতা পুলিশের দিকে। গাড়ি আটকে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠল  পুলিশের বিরুদ্ধে। এমনই অভিযোগ করেছে সঙ্গীত শিল্পীর পরিবার। পরিবারের দাবি, চালকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে গাড়ি তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কলকাতার প্রগতি ময়দান থানায়। চালক গ্রেফতারির খবর শুনে সেখানে প্রথমে যান রশিদ খানের স্ত্রী ও কন্যা। পরবর্তীতে গাড়ির মালিক হিসেবে রশিদ খানকেও ডেকে পাঠানো হয়। কেন গাড়িটি আটক করা হল? সেটাও পুলিশ পরিস্কার করেনি বলে অভিযোগ।  

    বুধবার ভোরে এই ঘটনাটি ঘটে। রশিদ খানের (Ustad Rashid Khan) স্ত্রী অভিযোগ করেন, থানায় তাদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করা হয়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

    কী ঘটে? 

    শিল্পীর স্ত্রী জানান, মঙ্গলবার রাতে গানের অনুষ্ঠান সেরে বাড়ি ফেরেন রশিদ খান (Ustad Rashid Khan)। এরপর তাঁর এক সহ শিল্পীকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিল গাড়িটি। গাড়িতে ছিলেন রশিদ খানের এক ম্যানেজার। অভিযোগ, বেলেঘাটা ক্রসিং-এর কাছে গাড়ি দাঁড় করিয়ে নাকা চেকিং হয়। সেই সময় ওই ম্যানেজারের কাছে ২০০০ টাকা ‘ঘুষ’ চাওয়া হয়। তিনি দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে ‘কেস’ দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর চালককে ডেকে চেক করে বলা হয় তিনি মদ্যপ। চালককে গ্রেফতার করে গাড়ি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

    যদিও চালকের দাবি, তিনি মদ্যপ ছিলেন না। পুলিশের হাতে থাকা মেসিনে পরীক্ষার পর তাঁকে এনআরএস নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও কোনও পরীক্ষা না করেই ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। 

    ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একটি ট্যুইট করে তিনি বলেন, “ভোর ৪ টেয় উস্তাদ রশিদ খানকে (Ustad Rashid Khan) থানায় ডেকে পাঠানো হয়। পদ্মবিভূষণ প্রাপ্ত শিল্পীর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, আমি তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”

     

    বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, “প্রথমে বেলেঘাটা ট্র্যাফিক গার্ডের আধিকারিকরা তাঁর গাড়ি থামিয়ে চালকের কাছ থেকে ঘুষ চেয়েছিল অন্যথায় তারা মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর মিথ্যা অভিযোগ চাপানোর হুমকি দেয়। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা গাড়িটি প্রগতি ময়দান থানায় নিয়ে গিয়ে তাকে আটক করে। সেলিব্রেটিরা (Ustad Rashid Khan) যদি এমন হয়রানির শিকার হন তাহলে বাংলার সাধারণ মানুষের দুর্দশার কথা ভাবুন।” তিনিও এই রকম অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Suvendu Adhikari: অভিষেকের সভার জবাবে একুশে কাঁথিতেই পাল্টা সভা শুভেন্দুর?

    Suvendu Adhikari: অভিষেকের সভার জবাবে একুশে কাঁথিতেই পাল্টা সভা শুভেন্দুর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত শনিবারই শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দুর্গ কাঁথিতে সভা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের কাছেই প্রভাত কুমার কলেজের মাঠে হয়েছিল সেই সভা। এবার সেই একই মাঠে সভা করতে চলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ২১ ডিসেম্বর কাঁথিতে সভা করতে পারেন শুভেন্দু। জানা গিয়েছে, এখনও সভা করার অনুমতি মেলেনি প্রশাসনের তরফ থেকে, তাই এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেই রেখেছে গেরুয়া শিবির। 

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার থেকেও বেশি মানুষ টানতে মরিয়া রাজ্য বিজেপি। ধারণা করা হচ্ছে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভায় ২ লক্ষেরও বেশি মানুষের সমাবেশ হতে পারে। সভার অনুমতি পেলেই বিজেপির তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।

    আরও পড়ুন: এসএসসি-তে ২১ হাজার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ হাজার ওএমআর শিটে বিকৃতি! আদালতে দাবি সিটের

    কেন এই সভা?  

    গত শনিবার দুই হাই ভোল্টেজ সভায় উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) গড় কাঁথিতে সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, উল্টোদিকে অভিষেকের লোকসভা ক্ষেত্র ডায়মন্ডহারবারে সভা করেন শুভেন্দু। দুই সভার সুই মঞ্চ থেকে নাম না করে একে অপরের দিকে নিশানা দাগেন দুই হেভি ওয়েট নেতা। 

    বিজেপি সূত্রে খবর, এবার কাঁথি থেকেই অভিষেকের অভিযোগ এবং কটাক্ষের পাল্টা জবাব দেবেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)৷ সম্ভবত আগামী ২১ ডিসেম্বর কাঁথিতে পাল্টা সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী৷ বিজেপির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই প্রশাসনের কাছে সভা করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, কাঁথি কলেজ মাঠ অথবা কাঁথি রেল স্টেশন সংলগ্ন ময়দানে সভার পরিকল্পনা নিয়েছে গেরুয়া শিবির। 

    কাঁথির সভা থেকে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন অভিষেক। সরাসরি করেছেন দুর্নীতির অভিযোগ৷ অভিষেক দাবি করেন, তমলুক এবং কাঁথিতে লোকসভা উপনির্বাচন হলে তৃণমূলই জিতবে৷ তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী’- এই পন্থা নিয়ে চলছে বিজেপি। বিশেষত অভিষেকের তোলা অভিযোগের জবাব না দিলে বার্তা যেতে পারে বলেই মত গেরুয়া শিবিরের৷ অভিষেক এবং শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) এই মৌখিক যুদ্ধ নতুন নয়৷ অতীতেও একজনের সভার পাল্টা সভা করেছেন অন্য নেতা৷ পরস্পরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগও এনেছেন তাঁরা৷ এবার কাঁথির সভা থেকে শুভেন্দু অভিষেককে কী জবাব দেন, এখন তাই দেখার পালা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: আজ, অভিষেকের গড়ে শুভেন্দুর সভা! ৪০ হাজার লোকের জমায়েতের আশা

    Suvendu Adhikari: আজ, অভিষেকের গড়ে শুভেন্দুর সভা! ৪০ হাজার লোকের জমায়েতের আশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour) সভা করতে চলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিজেপি সূত্রে খবর, ৪০ হাজার লোকের জমায়েত হবে।

    সভার তোড়জোড়

    আজ, দুপুর ১টায় অভিষেকের কেন্দ্রে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) জনসভা। ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour) এই সভা ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল, অভিযোগ বিজেপির (BJP)। তৃণমূলকে সাহায্য করছে রাজ্য পুলিশ-প্রশাসন। লাইট হাউস মাঠ থেকে চেয়ার সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, বলে দাবি বিজেপির। যদিও এ ব্যাপারে এখনও পুলিশ-প্রশাসনের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। জোর করে মঞ্চ খুলে দেওয়ার চেষ্টা, চেয়ার ছোড়াছুড়ি থেকে বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। কাঠগড়ায় তৃণমূল! বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘটনার ভিডিও ট্যুইট করে অভিযোগ করেন, হাইকোর্ট তাঁর সভায় অনুমতি দেওয়ার পরও, তা বানচালের চেষ্টা করছে লুম্পেনবাহিনী!

    গেরুয়া শিবিরের তরফে জানানো হয়েছে, আদালতের নির্দেশ মতো, শব্দবিধি মেনে, সাধারণ মানুষের অসুবিধা না করেই সভার প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যেই মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। জমায়েত হতেও শুরু করেছে সকাল থেকে। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বিজেপি জানাচ্ছে, তাদের লক্ষ্য ৪০ হাজার মানুষ জড়ো করা। তবে তাদের অভিযোগ, শাসকদলের তরফে ভয় দেখানো হচ্ছে সাধারণ বিজেপি কর্মী এবং সমর্থকদের। বিজেপির দাবি, শাসক শিবিরের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে সভায় জড়ো হবেন ৬টি বিধানসভা এলাকার মানুষ।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের সভার আগে কাঁথিতে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ, হত ৩

    স্বতঃস্ফূর্ত জনজোয়ারকে কিছুতেই ঠেকানো যাবে না বলে মন্তব্য করেন ডায়মন্ডহারবারে বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি সুফল ঘাঁটু। তিনি বলেন, ‘‘শুভেন্দুর সভা শুনে প্রথম থেকেই তাতে বাধা দিয়েছে শাসক দল। তাদের ইন্ধনে পুলিশ প্রশাসন জায়গা দিচ্ছিল না। তার পরেও আমরা জায়গা পেয়েছি। আইনি লড়াইয়ের পর হাইকোর্টের নির্দেশে লাইট হাউসের মাঠে সভা করতে পারছি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘শনিবার ফলতা, বজবজ, মহেশতলা, সাতগাছিয়া, মেটিয়াব্রুজ-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের সভায় আসবেন মানুষ। এ ছাড়া মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন অংশ থেকেও লাইট হাউসের মাঠে জড়ো হবেন আমাদের কর্মী-সমর্থকেরা।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘১২, ১৪, ২১… খেয়াল রাখুন, দেখুন কী হয়’’, নিশানায় রাজ্য! কীসের ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

    Suvendu Adhikari: ‘‘১২, ১৪, ২১… খেয়াল রাখুন, দেখুন কী হয়’’, নিশানায় রাজ্য! কীসের ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহুদিন ধরেই ডিসেম্বর ডেড লাইনের কথা শোনা যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের মধ্যে।  এরই মাঝে এবার ডিসেম্বরের তিনটি তারিখের উল্লেখ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বার্তা, ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজাম প্যালেসে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “১২, ১৪, ২১… খেয়াল রাখুন। দেখুন কী হয়। এই তিনটে দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েট এন্ড ওয়াচ।” যদিও এর থেকে বেশি কিছুই আর বলতে চাননি তিনি। তবে শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্য ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা। 

    কী হতে পারে এই তিন দিন

    ১২ ডিসেম্বর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে করা আবেদনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার শুনানির কথা। ওই দিনই আবার হাজরায় সভা করবেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। ১৪ ডিসেম্বর দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রত (মণ্ডল) মামলার শুনানি আছে। ২১ ডিসেম্বর আবার কাথিঁতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা করে যাওয়ার মাঠে সভা করার কথা শুভেন্দুর। ওই তিন দিন রাজ্য রাজনীতিতে কী ঘটনা ঘটে সেই দিকে তাকিয়ে রাজ্যবাসী।

    আরও পড়ুন: হাজরা ও কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীকে সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই নয়াদিল্লি যেতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসার সম্ভাবনা তাঁর। সব ঠিক থাকলে ১৩ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে অমিত শাহের মুখোমুখি বৈঠকে বসতে পারেন শুভেন্দু। এই সফরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, এদিনই কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় স্বস্তি পেয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে করা সব FIR-এর উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশে আপাতত হাইকোর্টে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ। তবে CBI তদন্ত করবে কি না পরে সিদ্ধান্ত জানাবে হাইকোর্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: হাজরা ও কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীকে সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    Suvendu Adhikari: হাজরা ও কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীকে সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনের আপত্তিতে কিছু হল না। কাঁথি ও হাজরায় সভা করতে পারবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, আগামী ১২ ডিসেম্বর কলকাতার হাজরা এবং ২১ ডিসেম্বর কাঁথিতে সভা করতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী। অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।

    শুভেন্দুকে সভা করার অনুমতি আদালতের

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পাড়ায় গিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ঘরের মাঠ থেকেই সেই চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে চান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফলে শুভেন্দুর কাঁথির সভাকে অভিষেকের কাঁথির সভার ‘পাল্টা জবাব’ বলেই দাবি করা হচ্ছে। তাই এবার কাঁথিতেই সভা করবেন শুভেন্দু। আর এতে আইনি জটিলতা যা ছিল তা সব কেটে গেল। ২১ ডিসেম্বরের সেই সভার প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে৷

    আরও পড়ুন: ভাঙল অতীতের সব রেকর্ড, গুজরাটে ইতিহাস সৃষ্টি বিজেপির

    কাঁথি ও হাজরা এই দুই জায়গায় সভা করার অনুমতি পাওয়া যায়নি প্রশাসন থেকে। ফলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এরপর বৃহস্পতিবারের শুনানিতে অবশেষে সেই অনুমতি দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। তবে এতে কিছু শর্ত ও বিধিনিষেধ মানতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। আদালত থেকে বলা হয়েছে, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে, শব্দবিধি মেনে সভা করতে হবে এমনকি সভার পর সভাস্থল পরিস্কার করে দিতে হবে বলে নির্দেশে জানানো হয়েছে।

    উল্লেখ্য, গত ৩ ডিসেম্বর কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বাড়ির কাছে সভা করেছিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেককে জবাব দিতে সেদিনই পাল্টা সভা করেছিলেন শুভেন্দুও। ডায়মন্ড হারবারে সভা করেছিলেন তিনি। কিন্তু এবারে কাঁথিতে দাঁড়িয়েই অভিষেককে কড়া জবাব দিতে চান বিজেপি নেতা। কাঁথি শহরের যে মাঠে অভিষেক বক্তব্য রেখেছিলেন, সেই প্রভাত কুমার কলেজের মাঠেই আগামী ২১ ডিসেম্বর সভা করতে চলেছে বিজেপি। প্রধান বক্তা শুভেন্দু অধিকারী। ফলে আজ আদালতের থেকে অনুমতি পাওয়াার পর কাঁথি সভার প্রস্তুতি নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে কাঁথির সভার আগে ১২ ডিসেম্বর কলকাতার হাজরাতে সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Nisith Pramanik: “তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে তৃণমূল সরকার”, বললেন নিশীথ প্রামাণিক

    Nisith Pramanik: “তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে তৃণমূল সরকার”, বললেন নিশীথ প্রামাণিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিস্ফোরক দাবি করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। তিনি দাবি করেছেন ৪০-৪৫ জন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন বিজেপির সঙ্গে। রবিবার নাটাবাড়িতে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন তিনি (Nisith Pramanik)।

    বিগত কয়েকমাস থেকেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ আরও অনেকেই তৃণমূল সরকারের পতনের কথা উল্লেখ করেছেন। বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, ডিসেম্বরেই ধামাকা হতে চলেছে। আর এবারে নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) বক্তব্যেও একই কথা শোনা গেল।

    আরও পড়ুন: মিথ্যা মামলা! হাইকোর্টে স্বস্তি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের

    নাটাবাড়িতে দলীয় সভায় আর কী বললেন নিশীথ?

    রবিবার নাটাবাড়িতে দলীয় সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করেন তিনি (Nisith Pramanik)। তিনি বলেন, “আমি দায়িত্ব নিয়ে বলে যাচ্ছি, সারা রাজ্যের যা অবস্থা, এবং তৃণমূল কংগ্রেসের যা অবস্থা, তৃণমূল কংগ্রেসের বহু বিধায়ক, নেতা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাসের ঘরের মত তৃণমূল কংগ্রেস দাঁড়িয়ে রয়েছে। যে কোনও সময় ওই তাসের ঘরটা ভেঙে যাবে।”

    তিনি (Nisith Pramanik) আরও বলেছেন, “তৃণমূলের ৪০-৪৫ জন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদ এখন মিউজিকাল চেয়ার হয়ে গিয়েছে। কার কাছে থাকবে সেটা নিয়ে দলের কর্মীরাই চিন্তায় রয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচন আসতেই তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল চরমে উঠেছে। এই অবস্থায় যারা তৃণমূলের হয়ে টিকিট পাবেন না বলে বিজেপিতে চলে আসবে ভাবছেন, তারা পঞ্চায়েতে টিকিট পাবেন ভেবে থাকলে ভুল করছেন।”  ফলে নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) এই বিস্ফোরক দাবি ফের শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

    আরও পড়ুন: এসএসসি-তে ২১ হাজার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ হাজার ওএমআর শিটে বিকৃতি! আদালতে দাবি সিটের

    গতকালের সভায় নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) ছাড়াও এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি রথীন্দ্রনাথ বোস, মাথাভাঙ্গার বিধায়ক সুশীল বর্মন, রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা সভাপতি আলি হোসেন, তুফানগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক মালতি রাভা-রায় সহ বিজেপি নেতৃত্ব। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Suvendu Adhikari: “শীতবস্ত্র বিলির কথাই ছিল না সেদিন”, ‘প্রমাণ’ দিয়ে মমতাকে মিথ্যেবাদী বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “শীতবস্ত্র বিলির কথাই ছিল না সেদিন”, ‘প্রমাণ’ দিয়ে মমতাকে মিথ্যেবাদী বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার হিঙ্গলগঞ্জে সরকারি পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠানে শীতবস্ত্র না পেয়ে একেবারে হুলুস্থুলু কাণ্ড বেঁধে যায়। শীতবস্ত্র না থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এমনকি জেলা শাসক ও বিডিওকে তীব্র ভর্ত্‍‍সনা করেন তিনি। আর এই কাণ্ড নিয়েই এবারে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর সেদিনের সেই ঘটনা নিয়ে মমতা ব্যানার্জিকে ‘মিথ্যেবাদী’ বলে কটাক্ষ করলেন তিনি। শুভেন্দু ট্যুইট করে দাবি করেন, সেদিন শীতবস্ত্র বিতরণের কোনও কর্মসূচিই ছিল না। তিনি মিথ্যে কথা বলেছেন।

    ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন?

    গত মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনা সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমদিন হিঙ্গলগঞ্জে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তিনি। আর সেখানে তিনি ঘোষণা করেন ১৫ হাজার শীতবস্ত্র প্রদান করবেন। কিন্তু তা চাইতেই ঘটল আরেক কাণ্ড। সরকারি আধিকারিকরা জানান, শীতবস্ত্র সেখানে আনা হয়নি। আর তাতেই রেগে যান মুখ্যমন্ত্রী। শীতবস্ত্র কেন সেখানে আনা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এরপর তিনি জেলাশাসক ও বিডিওকে তীব্র ভর্ত্‍‍সনাও করেন। তিনি মঞ্চ থেকেই বলেন, “পুলিশ একটা অন্যায় করলে দোষটা পরে আমাদের ঘাড়ে। আমরা জানি না। সরকার একটা অন্যায় করলে, গালাগালি খাই আমি। অথচ আমি জানিই না। আমার কোনও দোষ নেই।”

    মমতাকে কটাক্ষ করে ট্যুইট শুভেন্দুর

    আর এরপরেই এই ঘটনাকে নিয়ে সরব হয়েছেন শুভেন্দু। কয়েকটি ট্যুইট করে একটি সরকারি নির্দেশিকার ছবি পোস্ট করেন। আর এটির অনুযায়ী স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হিঙ্গলগঞ্জের, হাসনাবাদের, মিনাখাঁর, সন্দেশখালি – i ও  সন্দেশখালি – ii এর বিডিও সাহেবদের যে জেলার গোডাউন (মালগুদাম) থেকে এই কম্বল ও শীতবস্ত্র গুলি ২৮ নভেম্বর সংগ্রহ করতে হবে এবং ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর নিজের ব্লকের মধ্যে অবস্থিত পঞ্চায়েতগুলিতে বসবাসকারী প্রান্তিক জনগণকে বিলি করতে হবে। আর এটিকে প্রমাণ হিসেবে ধরেই শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীকে এদিন নিশান করেন।

    এরপর তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সভা থেকে শীতবস্ত্র বিতরণের কোনও পরিকল্পনাই ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী আচমকা সিদ্ধান্ত বদল করায়, তার বলি হতে হয়েছে ডিএম, বিডিওকে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে নিজের গরিব দরদী ভাবমূর্তি তৈরি করার জন্যে মঞ্চে উনি নাটক করেছেন।” তিনি আরও দাবি করেন, সেদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি নাটক করছিলেন। এছাড়াও বিজেপি মমতাকে খুব শীঘ্রই বিরোধী নেত্রী করবেন বলেও এদিন কটাক্ষ করেন শুভেন্দু।

  • Suvendu Adhikari: কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন সুকান্ত-শুভেন্দু, কেন জানেন?  

    Suvendu Adhikari: কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন সুকান্ত-শুভেন্দু, কেন জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে বুধবার। এদিনই রাজ্যের বকেয়া টাকা মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে ফোন করে দ্রুত টাকা মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এদিকে, এরই মধ্যে ১৯ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য সময় চেয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। অধিবেশন চলায় দিল্লিতে রয়েছেন সুকান্তও। এহেন আবহে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চলেছেন সুকান্ত। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, মনরেগার প্রকৃত শ্রমিকরা টাকা পান, এটা তাঁদের কাম্য। তবে কোনওভাবেই সেই টাকা যেন তৃণমূল নেতাদের পকেটে না যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে।

    টাকা বন্ধের কারণ…

    খরচের হিসেব না দেওয়ায় রাজ্যকে একশো দিনের কাজের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল কেন্দ্র। যার জেরে ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে মমতা সরকার। টাকার অভাবে গ্রামাঞ্চলে মুখ থুবড়ে পড়ে একশো দিনের কাজ প্রকল্প। অথচ সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। চাপে পড়ে যায় তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, হিসাব না মেটালে টাকা দেওয়া হবে না। টাকা চেয়ে কেন্দ্রের কাছে বারংবার আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতেও কাজ হয়নি। উল্টে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কেন্দ্রের টাকার ধার ধারেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: মোদি-ম্যাজিকে ভর করে টানা সপ্তমবার গুজরাট দখলের পথে বিজেপি

    একশো দিনের প্রকল্পে টাকা না পেয়ে এতদিন কেন্দ্রকে নিশানা করছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন টাকা পাওয়ার খবর পেয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। মমতা বলেন, আর্থিক বছর দু মাস বাকি থাকতে টাকা দিলে, সেটা কোনও কাজে আসে না। বলবে, আমরা টাকা দিয়েছি, ওরা কাজ করতে পারেনি। তাঁর প্রশ্ন, কীভাবে হবে? বরাত দিতে সময় লাগে না? কাজ তৈরি করতে সময় লাগে না? মমতা বলেন, সঠিক সময়ে টাকা দেওয়া দরকার। এটা তো এক ধরনের চালাকি! আর্থিক বছরের শেষে কিছু দিয়ে দাও। যেন ভিক্ষা দিচ্ছে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ‘শান্তিকুঞ্জে’র অদূরে অভিষেকের সভা, কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনী

    Abhishek Banerjee: ‘শান্তিকুঞ্জে’র অদূরে অভিষেকের সভা, কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতির রণাঙ্গনে হাইভোল্টেজ শনিবার! এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে সভা করবেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এই কাঁথি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) খাসতালুক। আবার এদিনই অভিষেকের সাংসদ এলাকা ডায়মন্ড হারবারে জনসভা করবেন শুভেন্দু। এদিন কাঁথিতে অভিষেক যে সভা করবেন, সেই সভাস্থল থেকে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’ একশো মিটার দূরে।

    কলকাতা হাইকোর্ট…

    অভিষেকের সভা ঘিরে শান্তিকুঞ্জে যাতে অশান্তির আঁচ না লাগে সে ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার কে. অমরনাথ জানান, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা চলাকালীন কাঁথির শান্তিকুঞ্জে জোরদার নিরাপত্তা বজায় থাকবে। অভিষেকের সভা হবে কাঁথির প্রভাত কুমার কলেজ মাঠে। সভার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার ওই মাঠে আসেন পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, হাইকোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী সুরক্ষার পাশাপাশি শান্তিকুঞ্জের শব্দবিধির বিষয়টিও নজরে রাখা হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যুব নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে অভিষেক কী বার্তা দেন, তা জানতেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের সভার আগে কাঁথিতে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ, হত ৩

    শান্তিকুঞ্জের অদূরে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সভা নিয়ে দিন দুই আগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য ছিল, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শান্তিকুঞ্জ থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে সভা করছে তৃণমূল। এই শান্তিকুঞ্জেই বাস করেন শুভেন্দুর অশীতিপর বাবা-মা। সভাস্থল থেকে মহিলারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শান্তিকুঞ্জে ঢুকে পড়তে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এর পরেই আদালত নির্দেশ দেয়, শনিবার সভা চলাকালীন কেউ যেন শান্তিকুঞ্জে ঢুকে পড়তে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। শিশির অধিকারীর অনুমতি ছাড়া বাইরের কেউ যেন বাড়িতে ঢুকে না পড়ে, তাও দেখতে বলা হয়েছে পুলিশকে। শব্দবিধি মেনে যাতে সভা হয়, সেই দিকটিও নজরে রাখতে বলা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সভামঞ্চে প্রবেশের ক্ষেত্রে থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার বেষ্টনী। প্রথম স্তরে থাকবে রাজ্য পুলিশ। তার পর থাকবে ডিআইবি। শেষ স্তরে থাকবেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। এছাড়াও থাকছেন সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “কোন মতলব নিয়ে এই মামলা?” নিয়োগ দুর্নীতিতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা খারিজ হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: “কোন মতলব নিয়ে এই মামলা?” নিয়োগ দুর্নীতিতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা খারিজ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০৯ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রাথমিকে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে এবারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নাম টানা হল। তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহার একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ টেনে মামলা করা হয়। তবে এই মামলাকে ভিত্তিহীন বলে সরাসরি খারিজ করে দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। বর্তমানে জেলে রয়েছেন একাধিক মন্ত্রী-নেতা। তবে শুধুমাত্র নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নয়, আরও এমন মামলায় যেমন- গরু পাচার মামলা, কয়লা পাচার ইত্যাদিতে নাম উঠে এসেছে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের। আর এসব নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু দুর্নীতিতে তাঁর নামই টেনে আনা হল। তবে বিচারপতির মামলা খারিজে স্বস্তি পেলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কী মামলা আনা হয়েছিল?

    অভিযোগ ওঠে, ২০০৯ সাল অর্থাৎ বাম আমলে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল, তার পরীক্ষা হয় ২০১২ সালে, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর। সেই সময় নিয়োগ বোর্ডে শুভেন্দু অধিকারী ছিলেন বলে সম্প্রতি দাবি করেছেন কেশপুরের তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহা। তিনি দাবি করেন, সেই সময় কীভাবে চাকরি হয়েছে, তা তিনি খুব ভাল করেই জানেন। শিউলির সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই একটি মামলা হয় হাইকোর্টে। শুক্রবার ছিল সেই মামলার শুনানি। আর এদিন সেই মামলায় কোনও প্রমাণ না থাকায় সরাসরি খারিজ করে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: এবার ডায়মন্ড হারবারে শুভেন্দুকে সভা করার অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    বিচারপতি কী বললেন?

    এই মামলার শুনানিতে প্রথমেই বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় মামলাকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি প্রশ্ন করেন, “তৃতীয় ব্যক্তির করা দাবির ভিত্তিতে এই মামলার ভিত্তি কী? কেউ যদি বঞ্চিত হয়েছেন বলে মনে করেন, তবে তিনি আদালতে এলেন না কেন? ভিডিও দেখে হঠাৎ মনে হয়েছে বিচার চাই? কোন মতলব নিয়ে এই মামলা?”

    এরপরেই মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, “পূর্ব মেদিনীপুরের পরিস্থিতি মামলা করার মত ছিল না। তাই মামলা করতে দেরি হয়েছে।”

    এই যুক্তি না শুনে বিচারপতি ফের প্রশ্ন করেন, “প্রার্থীরা ২০০৯ সাল থেকে বঞ্চিত। এতদিনে শিউলি সাহার ভিডিও পাওয়া গেল বলে অভিযোগ করতে এলেন কেন?” ১৩ বছর পর কেন মামলা দায়ের হল? এত দিন কেন হাইকোর্টে আসেননি চাকরিপ্রার্থীরা?

    তাই বিচারপতির দাবি, যেখানে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের কোনও অভিযোগ নেই, সেখানে ১৩ বছর পরে একটা ভিডিও নিয়ে এসে এভাবে অভিযোগ করা যায় না। ফলে এতে কোনও প্রমাণ না থাকায় ভিত্তিহীন বলেই মামলা খারিজ করেন তিনি।

LinkedIn
Share