Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামের ১৭টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২টি বিজেপির! বিস্ফোরক ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামের ১৭টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২টি বিজেপির! বিস্ফোরক ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রাম থেকে বড় ভবিষ্যৎবাণী করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ( Suvendu Adhikari )। রবিবার নন্দীগ্রামের (Nandigram) সভা থেকে আগামী পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হুঙ্কার দিলেন সেখানকার ভূমিপুত্র। তিনি বলেন, ‘১৭টি পঞ্চায়েতের (Panchayat) মধ্যে ১২টি বিজেপির ঝুলিতে যাবে। ১৭টির মধ্যে ১২টি পঞ্চায়েতের প্রধান হবে বিজেপির। আর বাকি পাঁচটির প্রধান কে হবেন, সেটিও বিজেপির সদস্যরাই ঠিক করবেন।’ না! এখানেই থেমে থাকেননি বিরোধী দলনেতা। তিনি আরও জানান,২টি পঞ্চায়েত সমিতিও বিজেপির ঝুলিতে যাবে। 

    কুণালকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    রবিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যখন গোকুলনগরে, তখন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জনসংযোগ সারলেন সোনাচূড়ায় ! আর তাঁদের চ্যালেঞ্জ আর পাল্টা চ্যালেঞ্জ ঘিরেই ফের তেতে উঠল নন্দীগ্রামের মাটি। নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে ৩৬০০ বুথ কর্মীকে নিয়ে পঞ্চায়েতের প্রস্তুতি বৈঠক করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় পূর্ব নির্ধারিত জনসংযোগ কর্মসূচি – চাটাই বৈঠকে যোগ দেন কুণাল ঘোষ। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, সম্প্রতি কুণাল ঘোষের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেওয়া, নেতা ও কর্মীদের একাংশ ফের বিজেপিতে ফিরে যান শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, যত চাটাই সভা হবে, দলে ততই ছাঁটাই হবে।

    আরও পড়ুন: আজ হাজরায় শুভেন্দুর মেগা সমাবেশ! কাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক বিরোধী দলনেতার

    গাড়ি নয় বাইকে করে প্রচার করুন

    পঞ্চায়েতের প্রতিটি বুথকে বিজেপির দুর্গ করে তুলতে হবে, এই বার্তা দিয়ে এদিনের সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দু ঘোষণা করেন যে, পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গ্রামে গ্রামে গাড়ি করে নয়, পঞ্চায়েত ভোটে বাইক ও টোটো চড়ে ঘুরবেন তিনি। কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় যদি প্রকৃত গরীব মানুষজন বাড়ি না পেয়ে  শাসক দল ঘনিষ্ঠরা বাড়ি পান তাহলে প্রতিবাদ হবে’। বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী ১৯ ডিসেম্বর দিল্লিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে সঙ্গে নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী  পঞ্চায়েতে শাসক দলের বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে  আলোচনা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: আজ হাজরায় শুভেন্দুর মেগা সমাবেশ! কী খোলসা করবেন? তুমুল জল্পনা

    Suvendu Adhikari: আজ হাজরায় শুভেন্দুর মেগা সমাবেশ! কী খোলসা করবেন? তুমুল জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বর ধামাকার নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১২, ১৪ এবং ২১ ডিসেম্বর রাজ্যে ‘পালাবদলের’ দিন। আজ, সোমবার তার শুরু। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় হাজরায় সভা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। 

    সুকান্ত-শুভেন্দু পাশাপাশি

    এদিন কেন্দ্রীয় নেতাদের বাদ দিয়েই বিজেপি তৃণমূলের খাস তালুক হাজরায় মেগা সমাবেশের আয়োজন করেছেন যা রাজ্য বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জ। এই সভায় দশ হাজার জমায়েতের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। উত্তর কলকাতার জমায়েত হবে ম্যাডক্স স্কোয়ারে। দক্ষিণ কলকাতা জেলার কর্মীরা সরাসরি হাজরা মোড়ে আসবেন। আর দক্ষিণ ২৪পরগনা থেকে যাঁরা আসবেন তাঁরা দক্ষিণ শহরতলির কোথাও জমায়েত হবে বলে জানা গিয়েছে।

    হটুগঞ্জের ঘটনার প্রতিবাদে সভা

    ৩ ডিসেম্বর, ডায়মন্ড হারবারে শুভেন্দুর সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে, হটুগঞ্জে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার প্রতিবাদেই আজ মমতার এলাকায় সভা করবেন শুভেন্দু-সুকান্ত। আগামীকাল হাজরা মোড়ে পাল্টা সভা করবে তৃণমূল। এদিন হাজরার জনসভায় মঞ্চে পাশাপাশি দেখা যাবে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। ভোটের বাংলায় দুই শীর্ষ নেতার ভোকাল টনিকের অপেক্ষায় এখন রাজ্যের গেরুয়া শিবির। তবে শুধু পদ্মশিবিরই নয়, হাজরার সভায় বাড়তি নজর শাসক দলেরও। শুভেন্দুর সভা নিয়ে প্রথমে আইনি জটিলতা থাকলেও বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট জানায় হাজরায় ১২ ডিসেম্বর ও কাঁথিতে ২১ ডিসেম্বর শুভেন্দু সভা করতে পারবেন। তবে মেনে চলতে হবে শব্দবিধি। 

    ডিসেম্বর হুঁশিয়ারি

    গত কয়েকমাস ধরেই, বারে বারে ডিসেম্বর নিয়ে নতুন নতুন সব হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ফলে ডিসেম্বর নিয়ে কৌতুহলের পারদও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে! আর এবার তো সরাসরি তারিখও বলে দিয়েছেন তিনি! এই আবহে এই দিনটির দিকে তাকিয়ে ছিলেন সকলেই। এদিকে, আজই ৩ দিনের মেঘালয় সফরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Mamata)। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে মেঘালয় ও ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। গত ২ বছর ধরে ত্রিপুরায় সাংগঠনিক শক্তি বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। এবার তাদের লক্ষ্য মেঘালয়।

    আরও পড়ুন: বর্ধমান স্টেশনে রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে উদ্ধার ২ কোটি টাকার সোনা, গ্রেফতার ২

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • BJP Bengal: দিল্লিতে বঙ্গ সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসছে বিজেপি, কেন জানেন?

    BJP Bengal: দিল্লিতে বঙ্গ সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসছে বিজেপি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার পরের বছর মহারণ। লোকসভা নির্বাচন। জোড়া নির্বাচনে যাতে রেকর্ড ফল করা যায়, তাই দিল্লিতে (Delhi) সাংগঠনিক বৈঠক ডাকল বিজেপি (BJP)। ১৯ ডিসেম্বর বাংলা থেকে নির্বাচিত সব বিজেপি সাংসদকে নিয়ে দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের দিল্লির বাড়িতে হবে ওই বৈঠক। বঙ্গ বিজেপির (BJP Bengal) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও থাকবেন ওই বৈঠকে। থাকবেন রাজ্যের পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল, আশা লাকরা এবং অমিত মালব্যও।

    বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু যে আগামী সপ্তাহেই দিল্লি যেতে পারেন, সে খবর আগেই শোনা গিয়েছে। সেখানে তিনি বৈঠকে বসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। কেবল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নন, দিন কয়েক পর তিনি সাক্ষাৎ করতে পারেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গেও। রাজনৈতিক মহলের মতে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে শুভেন্দুর এই পর পর বৈঠক যথেষ্ঠ তাৎপর্য পূর্ণ।

    সুকান্ত-শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি…

    তৃণমূলকে ডিসেম্বর মাস নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেছিলেন, ১২, ১৪ আর ২১ ডিসেম্বর এই তিনটে দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ। এই সময়সীমার মধ্যেই দিল্লিতে বৈঠকে বসছে বঙ্গ বিজেপি (BJP Bengal)। তাই সেখানে কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। নভেম্বরেই শুভেন্দু ঘোষণা করেছিলেন, ডিসেম্বরে বড়সড় কিছু ঘটতে চলেছে। যার ধাক্কায় সরকার টলমল হয়ে যাবে। শুভেন্দুর পরে পরে সুকান্তও হুঁশিয়ারি দেন, ডিসেম্বরের ঠান্ডায় এই সরকার ঠক ঠক করে কাঁপবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতার এই জোড়া হুঁশিয়ারির জেরে রাজ্য সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে দানা বাঁধে জল্পনা। যদিও রাজ্যের নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার জল্পনা খারিজ করে দিয়েছিলেন সুকান্ত, শুভেন্দুরা। শুভেন্দু এও বলেছিলেন, ডিসেম্বরে বড় ডাকাত ধরা পড়বে।

    নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে লেজেগোবরে অবস্থা মমতা সরকারের। এই অবস্থায় বঙ্গ বিজেপির (BJP Bengal) একাধিক নেতা হাজির দিল্লির দরবারে। সূত্রের খবর, সরকার ফেলে দেওয়ার চেয়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলকে ছুটিয়ে মারতে চান বিজেপি নেতৃত্ব।

     

     

  • Suvendu Adhikari: ‘তাড়াতে হবে না, চোদ্দ তলা থেকে নিজেই পালাবে’, মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘তাড়াতে হবে না, চোদ্দ তলা থেকে নিজেই পালাবে’, মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরে কী ঘটতে চলেছে রাজ্যে? এখন এ নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে। সম্প্রতি নতুন করে ডিসেম্বরের তিনটি তারিখ উল্লেখ করে সেই জল্পনা উস্কে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবার ‘ডি’ দিয়ে ডিএ-ডিসেম্বর যোগসূত্র তুলে ধরলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “ডি দিয়ে ডিএ, ডি দিয়ে ডিসেম্বর। ডিসেম্বর মাসে যদি ডিএ-র অর্ডারটা হয়ে যায়… হবে তো বটেই। তাহলে তো হরিবোল। তাহলে আর কাউকে তাড়াতে হবে না, ১৪ তলা থেকে নিজেই পালাবে। ২৩ হাজার কোটি টাকা এক মাসে দিতে হবে।” 

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “এই পশ্চিমবঙ্গে ভিখারি সরকার চলছে। আমি ১১ হাজার টাকা চাঁদা দিয়েছি ট্রাফিক পুলিশকে। নিয়ে যান। ডিএ তো আপনাদের দিচ্ছে না। লাগলে আরও দেব, কোনও চিন্তা করার কারণে নেই। দেউলিয়া সরকার। এবার তো আইসিডিএস কর্মীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্ধেক টাকা ঢুকেছে। খোঁজ নিয়ে দেখবেন দিদি-বোনদের কাছে। বলছে, একসঙ্গে দিতে পারিনি।” 

    আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুর উপকূলে আছড়ে পড়েছে মন্দৌস, দুর্যোগের কবলে চেন্নাই

    কী বলেন শুভেন্দু? 

    প্রধানমন্ত্রী কৃষক ফসল যোজনা নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) রাজ্য সরকারের দিকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন,”কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্প নাম বদল করে বাংলার নাম করেছে। সেগুলি এখন মোছা হচ্ছে। ডিভিসি জল ছাড়ে। সেই জল গড়াতে গড়াতে শেষে কংসাবতী দিয়ে পাঁশকুড়া, তমলুক, ময়না ওদিকে পটাশপুর, ভগবানপুর ভাসিয়ে বঙ্গোপসাগরে যায়। এই আবহে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা চালু করেছেন। এই বিমা যোজনাতে ভারত সরকার দায়বদ্ধ। কৃষকদের প্রিমিয়াম দিতে হয় না। এই ভিখারি সরকার ইন্টারেস্ট সাবসিডিতে রাজ্যের ভাগ দিতে পারেনি বলে আমার কৃষক লোকেরা সুবিধা পাচ্ছে না।”

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “এই বিমার ৬০ শতাংশ টাকা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। বাকি ৪০ শতাংশ টাকা দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু যেই ২০১৯ সালে বিজেপি রাজ্যে ১৮টি লোকসভা আসনে জিতে গেল, তারপর থেকে আর ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি। আমফানের জন্য ইউনিট প্রতি ৬০০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছিল, কোন কৃষক পেয়েছেন? গরু মারা যাওয়ায় দিল্লি ৩০ হাজার টাকা করে দিয়েছিল, কে পেয়েছেন? মুখ্যমন্ত্রী এখানে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা বন্ধ করে দিয়েছেন।” আবাস যোজনা নিয়েও রাজ্য সরকারকে এক হাত নেন শুভেন্দু। বলেন, “মোদিজি ৩৭৫০ কোটি টাকা দিয়েছেন, কিন্তু ঘর আপনারা কেউ পাননি।”

    ডিসেম্বর রহস্য এখনও উন্মোচন করেননি শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে বলেছিলেন, “চলতি মাসেই আমি এখানে বিজয়া করতে আসব।” এর আগে দাবি করেছেন, “ডিসেম্বর মাসে রাজ্য়ের সব থেকে বড় চোর ধরা পড়বে।” জল্পনা আরও বাড়িয়ে শুক্রবার দাবি করেছেন, ডিসেম্বর মাসের ১২, ১৪ এবং ২১ তারিখ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। ১২ তারিখ কী হয়, এখন তারই অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তিতে শুভেন্দু, জানুন কারণ

    Suvendu Adhikari: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তিতে শুভেন্দু, জানুন কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে স্বস্তি পেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামের বিধায়কের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব এফআইআরে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিভিন্ন ঘটনায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে মোট ২৬টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। সেগুলির সবগুলির ওপরই স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। সেখানেই স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি মান্থা। গুজরাটের ক্ষমতায় ফের ফিরতে চলেছে বিজেপি। তা নিয়ে উৎসাহের অন্ত ছিল না রাজ্য বিজেপিতে। তার ওপর শুভেন্দুর এই খবরে দৃশ্যতই খুশির হাওয়া বঙ্গ বিজেপিতে।

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক…

    রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বদলের জেরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। যদিও শেষ হাসি হাসেন শুভেন্দুই। ১৯৫৬ ভোটে তিনি পরাস্ত করেন তৃণমূল নেত্রীকে। বিজেপির একাংশের অভিযোগ, তার পর থেকে নানা ঘটনায় জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে শুভেন্দুর নাম। দায়ের হয়েছে একাধিক এফআইআর। 

    আরও পড়ুন: পুলিশি হেনস্থার শিকার উস্তাদ রশিদ খান, শিল্পীর পাশে রয়েছেন শুভেন্দু

    এরই বিহিত চাইতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। আদালতে তাঁর আবেদন, হয় এফআইআরগুলি খারিজ করে দেওয়া হোক, নয়তো অভিযোগের তদন্ত করুক সিবিআই। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, শুভেন্দু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি মানুষের ভোটে নির্বাচিত। পুলিশ নিজে অথবা অন্য কারও নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনে জনগণের প্রতি বিরোধী দলেনতার (Suvendu Adhikari) কর্তব্য স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে। শুভেন্দুকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল আদালত। তার পরেও শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এত এফআইআর দায়ের হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি মান্থা। শুধু তাই নয়, রাজ্যের কাছে এ বিষয়ে হলফনামাও তলব করেছে হাইকোর্ট। ছ সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে হবে সেই হলফনামা। রাজ্যের কাছ থেকে ওই হলফনামা পাওয়ার পরেই আদালত সিদ্ধান্ত নেবে অন্য কোনও সংস্থার হাতে এই মামলাগুলির তদন্তের ভার দেওয়া হবে কিনা। আদালতের এই নির্দেশে স্বস্তিতে শুভেন্দু শিবিরও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ভূপতিনগর কাণ্ডে এনআইএ-র তদন্তের দাবিতে অমিত শাহকে চিঠি শুভেন্দুুর

    Suvendu Adhikari: ভূপতিনগর কাণ্ডে এনআইএ-র তদন্তের দাবিতে অমিত শাহকে চিঠি শুভেন্দুুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় এর আগেই এনআইএ তদন্তের দাবি করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু এবারে তিনি এই বিষয়ে জানিয়ে সরাসরি চিঠি লিখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। চিঠিতে তিনি রাজ্যের একের পর এক বিস্ফোরণের কথা তুলে ধরেছেন। এমনকি চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজ্যে শুধু বোমা নয়, বন্দুক, গুলিও মজুত করা হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, ভূপতিনগর কাণ্ডে সরকারের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করা হয়েছে। ফলে তিনি ভূপতিনগরের বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে এনআইএ-র তদন্ত চেয়ে অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন।

    ভূপতিনগরের বোমা বিস্ফোরণ

    শনিবার শাসকদলের সর্বভারতীয় সাধারণ-সম্পাদকের সভার আগেই বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর। বিস্ফোরণে তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না-সহ তিনজনের মৃত্যু হয়। আহত আরও দুই। তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে উড়ে গেছে গোটা বাড়িটাই। আর এই নিয়েই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতর।

    সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, আর তার আগেই শুরু হয়েছে রাজ্যের একাধিক জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ। ফলে এই নিয়ে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। এই ঘটনায় এনআইএ-র দাবি করা হয়েছে ও অমিত শাহকে এই বিষয়ে চিঠিও লিখেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    আরও পড়ুন: ভাঙড়ে বোমা কারখানার হদিশ, তৃণমূল না আইএসএফ কারা বানাত?

    একাধিক অভিযোগ চিঠিতে

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) চার পাতার চিঠিতে উঠে এসেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। তিনি চিঠিতে লিখেছেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে বোমা, বারুদ, অস্ত্র মজুত করা হচ্ছে। তাই ভূপতিনগরের বিস্ফোরণে এনআইএ-র তদন্তের পাশাপাশি তিনি রাজ্যে বোমা, অস্ত্র মজুতের বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।

    এরপর তিনি (Suvendu Adhikari) মন্তব্য করেছেন যে, রাজ্য বোমা তৈরির ‘কুটির শিল্পে’ পরিণত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের একটি ভাষণের উল্লেখ করেছেন। চিঠিতে উদ্ধৃতি তুলে দিয়ে তিনি দেখিয়েছেন, ওই ভাষণে সাংসদ সৌগত রায় বোমা তৈরির ফর্মুলা বলছেন। এছাড়াও তিনি চিঠিতে অভিযোগ করেছেন যে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসকদল রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। রাজ্য জুড়ে একাধিক বিস্ফোরণের কথাও উল্লেখ করেছেন চিঠিতে।

    শুভেন্দু লিখেছেন, এই ধরনের বিস্ফোরক পদার্থ দেশের সুরক্ষার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক। ফলে ভূপতিনগরের বিস্ফোরণে এনআইএ-র তদন্তের পাশাপাশি, রাজ্যের পরিস্থিতিকে নজরে রেখেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

  • Suvendu Adhikari: পুড়ল বাইক, বাস ভাঙচুর, পথ অবরোধ তৃণমূলের, শুভেন্দুর সভা ভন্ডুলের অভিযোগ

    Suvendu Adhikari: পুড়ল বাইক, বাস ভাঙচুর, পথ অবরোধ তৃণমূলের, শুভেন্দুর সভা ভন্ডুলের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভা বানচালের চেষ্টা তৃণমূলের (TMC)! শনিবার শুভেন্দুর সভার আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় পথ অবরোধ করে তৃণমূল। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে অবরোধ করা হয় রাস্তা। যদিও বিজেপির অভিযোগ, গেরুয়া কর্মী-সমর্থকরা যাতে শুভেন্দুর সভায় যোগ দিতে না পারেন, তাই সভা ভন্ডুলের চেষ্টা রাজ্যের শাসক দলের।   

    তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন…

    তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংসদ এলাকা ডায়মন্ড হারবারে সভা করতে না দেওয়ার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। আদালতের নির্দেশের পরেও তাঁর সভা বানচালের চেষ্টার অভিযোগে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন শুভেন্দু। তিনি ঘোষণা করেছিলেন, সভা করবেনই। ট্যুইটারে অভিষেককে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু। লিখেছেন, পারলে ঠেকাও।

    এদিন সকালে মথুরাপুরের লালপুরে প্রথমে রাস্তা অবরোধ করে তৃণমূল। এর পর শুরু হয় কুলপির শ্যামবসুর চক এবং হটুগঞ্জে। টায়ার পুড়িয়ে জায়গায় জায়গায় চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন। লালপুরে অবরোধ চলে ঘণ্টাখানেক। অবরোধের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক। হয় তীব্র যানজট।

    কেবল পথ অবরোধেই থেমে থাকেননি অবরোধকারীরা। একটি বাসে করে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভাস্থলের দিকে আসছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। আচমকাই সেই বাস লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট। ভাঙচুর চালানো হয় যাত্রিবাহী ওই বাসে। ইটের ঘায়ে ভেঙে যায় বাসের কাচ। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই একাজ করেছে।

    আরও পড়ুন: “শীতবস্ত্র বিলির কথাই ছিল না সেদিন”, ‘প্রমাণ’ দিয়ে মমতাকে মিথ্যেবাদী বললেন শুভেন্দু

    এদিন সব চেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটে হটুগঞ্জ এলাকায়। এখানে সকালে পথ অবরোধ করে তৃণমূল। প্রতিবাদ করে বিজেপি। এনিয়ে দু পক্ষে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। আচমকাই বদলে যায় পরিস্থিতি। শুরু হয় দোকানপাট ভাঙচুর। ভাঙচুর চালানো হয় দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি গাড়িতেও। আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বাইক। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূল পার্টি অফিসেও। এলাকায় বোমাবাজি হয় বলেও অভিযোগ।

    এদিন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভাস্থলে যাচ্ছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। বাধা দেওয়া হয় তাঁকেও। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনিও। বিজেপির অভিযোগ, দলীয় কর্মী-সমর্থকরা যাতে শুভেন্দুর সভায় যেতে না পারেন, তাই একাজ করেছে তৃণমূল।

    ঘটনায় রাজ্যের শাসক দলকে একহাত নিয়েছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, যেখানে তৃণমূল একটু দুর্বল, সেখানে পুলিশ দিয়ে আমাদের কর্মীদের আটকানো হচ্ছে। অন্যত্র ওই কাজ করছে দুষ্কৃতীরা। শুভেন্দু বলেন, ভয় না পেলে এসব করবে কেন। আধ ঘণ্টার তো সভা করব। তিনি বলেন, চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘বোমা বাঁধছিলেন তৃণমূল নেতা’, ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘বোমা বাঁধছিলেন তৃণমূল নেতা’, ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারের দুই হাইভোল্টেজ সভার আগেই কেঁপে উঠল ভূপতিনগর। বিস্ফোরণে উড়ে গেল এক তৃণমূল নেতার বাড়ি। আজ একদিকে ডায়মন্ডহারবারে সভা করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), অন্যদিকে কাঁথিতে সভা করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    আর তার আগেই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে বহুদূর পর্যন্ত তা শোনা যায়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মৃত তিনজনই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: “যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে’, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় অবিলম্বে এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মৃতদের নাম রাজকুমার মান্না, তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে ট্যুইট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

    কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী?

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) ট্যুইটে লেখেন, “ভূপতিনগরে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২ জন আহত। ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের ঘটনা। তৃণমূল নেতা রাজকুমার মান্না বোমা তৈরি করছিল সেই সময় বিস্ফোরণ ঘটে। আমি NIA তদন্তের দাবি করছি।”

     

    শুক্রবার রাতেই বিস্ফোরণে ঝলসে যান ভূপতিনগরের তিন ব্যক্তি। ঝলসে যাওয়া দেহগুলো উদ্ধার হয় ওই তৃণমূল নেতার বাড়ির অদূরেই। রাজকুমারের স্ত্রী জানিয়েছেন, রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা মৃতদেহগুলি বের করে নিয়ে গিয়েছে। রাজকুমারের দুই ভাই বিশ্বজিৎ গায়েন ও লালুর মৃত্যু হয়েছে। এই বোমাগুলি কেন বাঁধা হচ্ছিল, আর কারা এর সঙ্গে যুক্ত ছিল, তা জানতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। পুরো এলাকা কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

               

  • Bengal Violence: অভিষেকের সভার আগে কাঁথিতে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ, হত ৩

    Bengal Violence: অভিষেকের সভার আগে কাঁথিতে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ, হত ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য রাজনীতিতে আবারও হিংসার ছবি স্পষ্ট। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভার ঠিক আগেই কাঁথিতে গভীর রাতে বিস্ফোরণ তৃণমূল নেতার বাড়িতে। এক তৃণমূল নেতা সহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ভূপতিনগর থানার পুলিশ। গুরুতর জখম দু’জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    কাঁথিতে বিস্ফোরণ

    শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ কাঁথির ভগবানপুর-২ ব্লকের ভূপতিনগর থানার অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাড়য়াবিলা গ্রামে এই বিস্ফোরণটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই বিস্ফোরণে নিহত তৃণমূল নেতার নাম রাজকুমার মান্না। এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতি হিসেবে রাজকুমার পরিচিত। এই ঘটনায় নিহত বাকি দু’জন দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েন। রাজকুমার এবং দেবকুমার সম্পর্কে দুই ভাই। আহতদের উদ্ধার করে পশ্চিম মেদিনীপুরে একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে থমথমে রয়েছে এলাকা।

    বিজেপির অভিযোগ

    এই ঘটনায় বিজেপির অভিযোগ, ভূপতিনগর থানার অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাড়ুয়াবিলা গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। তখনই অতর্কিতে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের মাত্রা এতটাই ছিল যে বাড়িটি উড়ে যায়। মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতা রাজকুমার মান্না সহ তিনজনের। গুরুত্বর জখম হয় আরও বেশ কয়েকজন। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার দোলুই বলেন, “তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিপত্তি হয়। তৃণমূল নেতা সহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি আরও আমরা খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।” ভগবানপুরে বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, “রাতের অন্ধকারে বোমা বাঁধতে গিয়েই এমন ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের উপস্থিতিতে মৃতদেহ গায়েব করার চক্রান্ত চলছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি না করে পশ্চিম মেদিনীপুরে নিয়ে যাচ্ছে। দু’জনের মৃত্যু নয় মৃতের সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করছি। পুলিশ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।” 

    এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেন, “যেখানেই তাকাই হয়, তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ। অথবা বিস্ফোরণের ঘটনায় তৃণমূল নেতার নাম। তারাই প্রধান, তারাই পঞ্চায়েত, তারাই বিধায়ক। তারাই সমাজবিরোধী। এদের থেকে এর বেশি কিছু আশা করা যায় না।” 

    আরও পড়ুন: মানতে হবে একগুচ্ছ শর্ত, শুভেন্দু-গড়ে অভিষেকের সভাকে অনুমতি আদালতের

    কাঁথিতেই অভিষেকের সভা

    আজ, শনিবার কাঁথিতেই সভা করতে যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ঠিক আগেই এই বিস্ফোরণ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিষেক যেখানে সভা করছেন, সেখান থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি খুব কাছে। তাই সভার আগে পুরো এলাকা পুলিশি নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে ফেলা হয়েছে। ঘিরে ফেলা হয়েছে শুভেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জও। তার আগেই এই বিস্ফোরণ কী ইঙ্গিত দিচ্ছে? প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মধ্যে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: এবার ডায়মন্ড হারবারে শুভেন্দুকে সভা করার অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    Suvendu Adhikari: এবার ডায়মন্ড হারবারে শুভেন্দুকে সভা করার অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) ডায়মন্ড হারবারে সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুভেন্দুর এই সভা হবে শনিবার। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা এই নির্দেশ দেন। এদিনই শুভেন্দুর খাসতালুক কাঁথিতে সভা করবেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    কলকাতা হাইকোর্ট…

    এদিনই অভিষেকের সাংসদ এলাকায় ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour) সভা করতে চেয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেই সভারই অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত অবশ্য এও জানিয়েছে, ডায়মন্ড হারবারের লাইট হাউসের মাঠে সভা করতে পারবেন শুভেন্দু। তবে সাধারণ মানুষের অসুবিধা না করে এবং শব্দ বিধি মেনেই সভা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, এদিন শুভেন্দু যে মাঠে সভা করবেন, সেখানেই জনসভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

    পুলিশ ও বন্দর কর্তৃপক্ষ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভার অনুমতি দিলেও, প্রশাসনের তরফে এ নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এর পরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। শুক্রবার আদালতের নির্দেশে কাটল অনিশ্চয়তার মেঘ। রায় গেল বিজেপির পক্ষেই। তাই এখন আর শুভেন্দুর সভা করায় কোনও জটিলতা রইল না।

    আরও পড়ুন: গুজরাটে ভোটদানের হার কম, ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি?

    কাঁথি শহরে রয়েছে প্রবীণ রাজনীতিবিদ শিশির অধিকারীর বাড়ির। নাম শান্তিকুঞ্জ। এই শান্তিকুঞ্জের ১০০ মিটার দূরে সভার আয়োজন করে তৃণমূল। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, শান্তি ভঙ্গ করতেই শান্তিকুঞ্জের অদূরে সভা করছে তৃণমূল। বিজেপির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ রায়ও বলেন, শান্তিকুঞ্জে বিরোধী দলনেতা থাকেন। মূলত তাঁকে বিব্রত করাই লক্ষ্য তৃণমূলের। তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের এই সভার সিদ্ধান্ত নিয়ে হাইকোর্টে একটি মামলাও দায়ের করেছিলেন শুভেন্দু। যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আর্জি খারিজ হয়ে যায় আদালতে। বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন, সব নিয়ম মেনে সভা করায় কোনও আপত্তি নেই আদালতের। এদিন প্রধান বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা রাজনৈতিক সভা সমাবেশ করার অনুমতি দিলেও সমর্থকরা যেন কোনও রকম ঝামেলার সৃষ্টি না করেন, পুলিশকে তা দেখার নির্দেশও দেন। অনুমতি ছাড়া শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ওই বাড়িতে যেন কেউ ঢুকতে না পারে, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share