Tag: Suvendu on SIR

  • Suvendu on SIR: ‘‘জিহাদে মদত দিচ্ছে তৃণমূল, এরা আমাদের রেশন খাচ্ছে’’, রাজ্যে এসআইআর সফল করার ডাক শুভেন্দুর

    Suvendu on SIR: ‘‘জিহাদে মদত দিচ্ছে তৃণমূল, এরা আমাদের রেশন খাচ্ছে’’, রাজ্যে এসআইআর সফল করার ডাক শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং এসআইআর নিয়ে ফের একবার রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) বিঁধলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর কথায়, তৃণমূল আদতে কোনও দলই নয়। অবৈধ ভোটাররা তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক। জিহাদে মদত দিচ্ছে তৃণমূল। তাই এই দলটাকে ছেড়ে এসেছেন তিনি। মথুরাপুরে (Mathurapur) বিজেপির সভায় উপস্থিত হয়ে এমনই দাবি করেন শুভেন্দু (Suvendu on SIR)। একই সঙ্গে রাজ্যবাসীর কাছে এসআইআর সফল করার আহ্বান জানান।

    তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক

    সীমান্তে গত কয়েকদিন ধরে ভিড় দেখা যাচ্ছে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের। এসআইআর শুরু হওয়ার পর একে একে অনেকেই বাংলাদেশ ফিরে যাচ্ছেন। সেই আবহে এদিন মন্দিরবাজারের সভা থেকে এসআইআর সফল করার ডাক দেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু (Suvendu on SIR) বলেন, “অবৈধ রেশন কার্ড, অবৈধ ভোটার তালিকায় নাম উঠেছে। কয়েকদিন আগে আমি বলেছিলাম, গর্তে কার্বোলিক অ্যাসিড ঢেলে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পিলপিল করে সাপেরা বেরিয়ে আসছে। এই সন্দেশখালিতে দেখুন, শাহজাহান জেলের ভিতরে থেকে…কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা জেল…মোবাইল ফোন ব্যবহার করে মাছ-মাংস খেয়ে…ওখান থেকে ফোনে ফোনে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নির্দেশ দিচ্ছেন, বিএলওকে কী ভাষা! আজ, এসআইআর সফল করুন আপনারা। কী হিন্দু, কী ভারতীয় মুসলিম একযোগে এসআইআর সফল করুন। নইলে এরা আমাদের রেশন খাচ্ছে। খাদ্য জিহাদ।” বিজেপি আগে থেকেই দাবি করে আসছে যে, এসআইআর হলে মৃত এবং ভুয়ো ভোটারের নাম বাদ যাবে যা আদতে তৃণমূল ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে কাজে লাগিয়েছে।

    খাদ্য-জিহাদ, ল্যান্ড জিহাদ

    মথুরাপুরে (Mathurapur) বিজেপির সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu on SIR)। সেই সভামঞ্চ থেকেই তিনি বলেন, এক সময় তৃণমূল দলকে ছুড়ে ফেলে এসেছেন তিনি। এটা কোনও দলই নয়! শুভেন্দুর কথায়, ”আমি যদি সেদিন নন্দীগ্রামের মানুষকে নিয়ে লড়াই না করতাম তাহলে দিদি থেকে দিদিমা হয়ে যেতেন। মুখ্যমন্ত্রী হতে হত না।” স্পষ্টত এই মন্তব্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিশানা করেছেন তিনি। শুভেন্দুর কথায়, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং রোহিঙ্গারা ঢুকে ন্যায্যদের রেশন ছিনিয়ে নিচ্ছে। এটাই খাদ্য জিহাদ (Food Jihad)। তারা পরপর জমি দখল করে নিচ্ছে, ল্যান্ড জিহাদ। বিধায়কের বক্তব্য, এইভাবে চলতে থাকলে গোটা রাজ্যটাই (West Bengal) এদের দখলে চলে যাবে। তাই সকলের উচিত, একজোট হয়ে এসআইআর-কে সমর্থন করা এবং তৃণমূল সরকারের অবসান ঘটাতে সাহায্য করা।

  • SIR in Bengal: সাত দিনের সময়সীমা! এসআইআর প্রস্তুতি শেষ করতেই হবে ১৫ তারিখের মধ্যে জানাল কমিশন

    SIR in Bengal: সাত দিনের সময়সীমা! এসআইআর প্রস্তুতি শেষ করতেই হবে ১৫ তারিখের মধ্যে জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত দিনের মধ্যে বাংলায় ‘স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন’ বা বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (SIR in Bengal) সহ যাবতীয় নির্বাচনী প্রস্তুতি সেরে ফেলার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। বুধবার রাজ্যের (West Bengal) সব জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এমনই কড়া বার্তা দেয় কমিশনের প্রতিনিধি দল। ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতীর নেতৃত্বে এদিন বৈঠকও হয়। আর সেই বৈঠকে যে ইঙ্গিত মিলেছে, তাতে ১৫ অক্টোবরের পরই বাংলায় এসআইআর (SIR) হতে পারে। এই আবহে বুধবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন রাজ্যে এসআইআর হলে চার ধরনের নাম বাদ পড়তে পারে।

    পূর্ব মেদিনীপুরে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দল

    পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফরে রয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দল। কমিশনের নজরে তিন জেলা-পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া। কোলাঘাট অডিটোরিয়ামে তিন জেলার আধিকারিক ও ৫০০ বিএলও-কে নিয়ে বৈঠক করবেন ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী। বেলা দুটো থেকে বৈঠক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বৃহস্পতিবার, প্রথমে জেলাশাসক ও ইআরও-দের সঙ্গে বৈঠক হবে। পরে বিএলআরও-দের সঙ্গে বৈঠক হবে। অত্য়ন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, বাঁকুড়া। কারণ এই জেলায় ২০০২-এর ভোটার তালিকার সঙ্গে ২০২৫ সালের ভোটার তালিকায় বিস্তর ফারাক রয়েছে। অর্থাৎ, যাঁদের ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল, তাঁদের অনেকেই ২০২৫ সালের ভোটার তালিকায় নাম খুঁজে পাচ্ছেন না। এরকম একাধিক জেলার ক্ষেত্রে এই অভিযোগ উঠলেও, বাঁকুড়ার ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা অত্যন্ত বেশি। যে রিজিয়নগুলোতে বেশি অভিযোগ উঠছে, তাতেই সব থেকে বেশি নজর দিচ্ছে কমিশনের প্রতিনিধি দল।

    এসআইআর প্রক্রিয়াকে স্বাগত শুভেন্দুর

    এসআইআর প্রক্রিয়াটিকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি মনে করেন, এই প্রক্রিয়া গণতন্ত্রের স্বার্থে অপরিহার্য। শুভেন্দুর কথায়, ভোটার তালিকা থেকে শুধুমাত্র চার ধরনের নাম বাদ যাওয়ার কথা। মৃত ভোটার, ডাবল বা ট্রিপল এন্ট্রি, ভুয়ো ভোটার এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। বিশেষত রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের নাম বাদ যাবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস, এই প্রক্রিয়া চলার ফলে কোনও ভারতীয় নাগরিক, তিনি যে ধর্ম বা সম্প্রদায়েরই হোন না কেন, তাঁর নাম বাদ যাবে না। বিহারের প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু উল্লেখ করেন, সেখানে ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাতিল হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, যদি এই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়, তবে এক কোটিরও বেশি মৃত, ভুয়ো এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর নাম তালিকা থেকে বাদ পড়বে। শুভেন্দু বলেন, “মৃত ভোটারের নাম বা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নাম ভোটার তালিকায় থাকা গণতন্ত্রের পক্ষে সমীচীন নয়। একটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও ত্রুটিমুক্ত করার প্রথম ধাপই হল ভোটার তালিকা সংশোধন করা এবং তাকে ত্রুটিমুক্ত করা।”

    এসআইআর নিয়ে সতর্ক কমিশন

    মঙ্গলবার রাতেই দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের উচ্চপর্যায়ের দল। তাতে রয়েছেন উপ-নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী, তথ্যপ্রযুক্তি শাখার ডিরেক্টর জেনারেল সীমা খান্না, কমিশনের সচিব এসবি যোশী এবং উপ-সচিব অভিনব আগরওয়াল। বুধবার সকালে তাঁদের নেতৃত্বেই হয় রাজ্যের জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক। কমিশন সূত্রের খবর, এদিন একে একে সমস্ত জেলার প্রস্তুতির খতিয়ান চাওয়া হয়। কোথায় কতটা কাজ এগিয়েছে, সরেজমিনে সেই ছবি দেখা হয়। এদিনের বৈঠকে বিহারের উদাহরণ টেনে কড়া বার্তা দিয়েছেন জ্ঞানেশ ভারতী। কমিশনের তরফে জানানো হয়, বিহারে দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাংলাতেও যদি কেউ গাফিলতি করেন, তা হলে রেহাই নেই।

    কীভাবে হবে কাজ তা-ও স্পষ্ট করল কমিশন

    কমিশনের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে সমস্ত প্রস্তুতি। সময়মতো বিজ্ঞপ্তি জারি ও ফর্ম বিতরণে যেন কোনও গাফিলতি না হয়, তা-ও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই অন্তত ৩০ শতাংশ ফর্ম ছাপানোর কাজ শেষ করতে হবে। প্রতিটি জেলার নিজস্ব পরিকাঠামো ব্যবহার করে সেই ছাপার কাজ করতে হবে। বিহারের মতো এক জায়গা থেকে ফর্ম পাঠানোর পথে হাঁটবে না কমিশন। রাজ্যে এই মুহূর্তে প্রায় ৭.৬৫ কোটি ভোটার। তাঁদের জন্য ছাপাতে হবে অন্তত ১৫ কোটিরও বেশি আবেদনপত্র। প্রতিটি ভোটারের জন্য দু’টি করে ফর্ম-একটি ভোটারের হাতে থাকবে, অন্যটি সংগ্রহ করে আনবেন বিএলও। দিল্লি থেকে সফট কপি পাঠানোর পরই ফর্ম ছাপার কাজ শুরু হবে। তার পর সেই ফর্ম বিলি করা হবে বুথ লেভেল অফিসারদের (BLO) হাতে। এরপর বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেগুলি পৌঁছে দেবেন তাঁরাই। ভারতীয় সংবিধানের ৩২৪ থেকে ৩২৯ ধারার কথা উল্লেখ করে শুভেন্দু জানান, নির্বাচন কমিশন একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থা, যা বাবাসাহেব আম্বেদকর তৈরি করে গিয়েছেন। তাই কোনও শাসক বা বিরোধী নেতার কথায় নির্বাচন কমিশন চলবে না, কমিশন চলবে সংবিধানের নিয়ম মেনে। শুভেন্দুর কথায়, “একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ভোটার তালিকাই হল গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় স্তম্ভ।”

LinkedIn
Share