Tag: swadeshi

  • Utkarsh Entrepreneurship: “উদ্যোক্তা হওয়ার মধ্যেই রয়েছে ভারতের গ্লোবাল লিডার হওয়ার যাত্রার চাবিকাঠি”, বললেন সঞ্জীব সান্যাল

    Utkarsh Entrepreneurship: “উদ্যোক্তা হওয়ার মধ্যেই রয়েছে ভারতের গ্লোবাল লিডার হওয়ার যাত্রার চাবিকাঠি”, বললেন সঞ্জীব সান্যাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উদ্যোক্তা হওয়ার মধ্যেই রয়েছে ভারতের অর্থনৈতিক উত্থান এবং গ্লোবাল লিডার হওয়ার যাত্রার চাবিকাঠি।” কথাগুলি বললেন সঞ্জীব সান্যাল, ভারত সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা। ১৩ সেপ্টেম্বর উৎকর্ষ এন্টারপ্রেনারশিপ কনক্লেভ ২০২৫-এর উদ্বোধনী সেশনে ভাষণ দেন তিনি। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা (Swadeshi Path) হয়েছিল ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টারে। স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ, লঘু উদ্যোগ ভারতী এবং অন্যান্য সামাজিক সংগঠনের সহযোগিতায় হয়েছে অনুষ্ঠান (Utkarsh Entrepreneurship)। স্বাবলম্বী ভারত অভিযানের অধীনে আয়োজন করা হয়েছিল এই অনুষ্ঠানের।

    বেকার সমস্যার সমাধান (Utkarsh Entrepreneurship)

    পশ্চিমবঙ্গজুড়ে ৪০০-এরও বেশি উদ্যোক্তাদের এই সভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় সান্যাল ভারতীয় যুব সমাজের মধ্যে বেকার সমস্যার সমাধান এবং টেকসই জাতীয় উন্নয়ন চালানোর ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের ভূমিকার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “যদি এমন কোনও হাতিয়ার থাকে যা দেশের অর্থনীতির উন্নতি করতে পারে এবং ভারতকে একটি বৈশ্বিক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে, তবে তা হল উদ্যোক্তাবৃত্তি।” তিনি বলেন, “সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংস্থাগুলিকেও এই ইকোসিস্টেমকে আরও মজবুত করতে কাজ করে যেতে হবে।” স্বাবলম্বী ভারত অভিযান (দক্ষিণ বঙ্গ প্রদেশ)-এর সমন্বয়ক বটেশ্বর জানা উদ্যোগটির বিস্তারিত দিকটি তুলে ধরেন। তিনি দাবি করেন, স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ চার বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে উদ্যোগপ্রণোদনা বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সম্মেলনে ১৮০-এরও বেশি উদ্যোক্তাকে তাঁদের অবদান ও সাফল্যের জন্য সম্মানিত করা হয়।

    উদ্যোক্তাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার নির্দেশ

    উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন ডঃ ধনপত রাম আগরওয়াল (সারা ভারত সহ-সমন্বয়ক, স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ), প্রফেসর সুমন চক্রবর্তী (পরিচালক, আইআইটি খড়গপুর), ডঃ অরবিন্দ চৌবে (পরিচালক, এনআইটি দুর্গাপুর)। উপস্থিত ছিলেন এমএসএমই এবং এনএসআইসির প্রতিনিধিরা। তাঁরা উদ্যোক্তাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং ভবিষ্যত বৃদ্ধির সুযোগ নির্ধারণ বিষয়ে নির্দেশ দেন। প্রযুক্তিগত অধিবেশনে এমএসএমই, এনএসআইসি, সিডবিআই, এসবিআই, পাঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাংক, ব্যাংক অফ মহারাষ্ট্র, সেন্ট্রাল ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া এবং কানাড়া ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের পরিকল্পনা উপস্থাপন করে, যেগুলি উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শের মাধ্যমে সাহায্য করতে প্রস্তুত (Utkarsh Entrepreneurship)।

    মূল অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সতীশ কুমার (সমগ্র ভারত সংগঠক, স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ) বলেন, “বিশ্ব এখন ভারতকে ‘তৃতীয় পথ’ হিসেবে দেখছে, যা শান্তি ও টেকসইয়ের ভিত্তিতে নির্মিত। স্বদেশি জিনিসপত্র ব্যবহার ভারতের উত্থানের পথ প্রশস্ত করার একটি শক্তিশালী মাধ্যম। যদি ভারতীয়রা দেশীয় পণ্য ব্যবহার শুরু করেন এবং বিদেশি পণ্যের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনেন, তাহলে ভারত (Swadeshi Path) একটি গ্লোবাল অর্থনৈতিক মহাশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে, এটা দূর ভবিষ্যতের কথা নয়।” তিনি বলেন, “বিশ্বায়ন যখন শক্তি হারাচ্ছে, তখন আত্মনির্ভরতা ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা নতুন বিশ্বব্যবস্থার সংজ্ঞা নির্ধারণ করবে (Utkarsh Entrepreneurship)।”

  • Trump Tariffs: ট্রাম্পের শুল্ক-সংঘাতের জের, দেশজুড়ে ডাক মার্কিন পণ্য বয়কটের

    Trump Tariffs: ট্রাম্পের শুল্ক-সংঘাতের জের, দেশজুড়ে ডাক মার্কিন পণ্য বয়কটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক (Trump Tariffs) আরোপ করার পর থেকে গোটা ভারতে ছড়িয়ে পড়েছে প্রবল আমেরিকা- বিরোধী মনোভাব। রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর এই শুল্ক চাপানো হয়েছে, যা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ শুল্ক। এর ফলে পেপসি, কোকাকোলা, সাবওয়ে, কেএফসি এবং ম্যাকডোনাল্ডসের মতো মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানিগুলিকে বর্জন করার আওয়াজ উঠেছে ভারতে (Swadeshi Heat)।

    মার্কিন পণ্য বর্জনের ডাক (Trump Tariffs)

    যোগগুরু বাবা রামদেব ভারতীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, ট্রাম্পের এই শুল্কের জবাবে যেন তাঁরা সব মার্কিন পণ্য বর্জন করেন। তিনি বলেন, “একজনও ভারতীয়কে পেপসি, কোকাকোলা, সাবওয়ে, কেএফসি বা ম্যাকডোনাল্ডসের কাউন্টারে দেখা যাবে না। ব্যাপক বর্জন হওয়া উচিত।”  তিনি বলেন, “যদি এমনটা হয়, তাহলে আমেরিকায় তীব্র বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।” বিশ্বের অন্যান্য অংশে যেমন ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং কানাডায় ইতিমধ্যেই আমেরিকা-বিরোধী বয়কট চলছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ১.৫ বিলিয়ন জনসংখ্যার দেশ ভারত যদি মার্কিন কোম্পানিগুলিকে বয়কট করে, তবে তা বিপুল ক্ষতি এবং গুরুতর চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ভারতীয়দের “স্বদেশি” বা দেশীয় পণ্য কেনা ও ব্যবহার করার আহ্বান জানান।

    বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি

    তিনি বলেন, “যে কেউ ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি করতে চায় — যে কোনও রাজনৈতিক দল, যে কোনও নেতা — তাদের উচিত দেশের স্বার্থে কথা বলা এবং জনগণের মধ্যে এই বোধ জাগানো যে তাদের ‘স্বদেশি’ পণ্য কেনার সংকল্প নিতে হবে। আমরা যখন কিছু কেনার সিদ্ধান্ত নেব, তখন একটি মাত্র মানদণ্ড থাকা উচিত। আমরা সেই জিনিস কিনব, যা একজন ভারতীয় শ্রম দিয়ে তৈরি করেছেন। যা ভারতের মানুষ তৈরি করেছেন, ভারতের মানুষের দক্ষতা দিয়ে, ভারতের মানুষের ঘামের বিনিময়ে, সেটিই আমাদের কাছে ‘স্বদেশি’ (Trump Tariffs)। আমাদের ‘ভোকাল ফর লোকাল’ মন্ত্র গ্রহণ করতেই হবে।” ট্রাম্পকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “বিশ্বে এখন অর্থনৈতিক স্বার্থপরতার রাজনীতি চলছে এবং প্রত্যেকে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতেই ব্যস্ত (Swadeshi Heat)।”

    ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ

    প্রসঙ্গত, ৬ অগাস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ফের একবার অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপায়। করা হয় জরিমানাও। ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে ট্রাম্প লেখেন, “ভারত শুধু বিপুল পরিমাণে রুশ তেল কিনছে তাই নয়, বরং সেই তেলের একটি বড় অংশ খোলা বাজারে বিক্রি করে বিপুল মুনাফাও করছে।” তিনি বলেন, “রাশিয়ার যুদ্ধাস্ত্র ইউক্রেনে কত মানুষকে হত্যা করছে, সে ব্যাপারে ভারতের কোনও পরোয়া নেই। এই কারণে আমি আমেরিকায় ভারত যে শুল্ক দেয়, তা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াচ্ছি।” উচ্চবাচ্য না করে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দেয়, আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত অন্যায্য, অযৌক্তিক এবং অমূলক। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

    ম্যাকডোনাল্ডস পরিচালনা

    আপ পার্টির সাংসদ অশোক কুমার মিত্তল ট্রাম্পকে একটি খোলা চিঠি লিখে ৭ আগস্ট ১৯০৫ সালের স্বদেশি আন্দোলনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “যদি আজ ১৪৬ কোটি ভারতীয় সেই চেতনা জাগিয়ে তোলে এবং মার্কিন ব্যবসার ওপর কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে, তবে এর প্রভাব ভারতের থেকে অনেক বেশি ভয়াবহ হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে (Trump Tariffs)।” ওয়েস্টলাইফ ফুডওয়ার্ল্ড লিমিটেড, যা পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতে ম্যাকডোনাল্ডস পরিচালনা করে, ২০২৪ অর্থবর্ষে ২,৩৯০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি (Swadeshi Heat)।

    ভারতের অবস্থান

    এদিকে, পেপসিকো ইন্ডিয়া ২০২৪ অর্থবর্ষে ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকার রাজস্ব অর্জন করেছে। ভারতের অবস্থান পেপসিকোর জন্য বৈশ্বিকভাবে শীর্ষ ১৫টি বাজারের মধ্যে। গত তিন বছরে পেপসিকো ভারতের বাজারে সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। কিছুদিন আগেই আমেদাবাদের একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আত্মনির্ভরতাই উন্নত রাষ্ট্র হওয়ার একমাত্র পথ। আমাদের প্রতিদিনের জীবনে বিদেশি পণ্য কেন দরকার হবে? নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সবই দেশীয় সংস্থা উৎপাদন করে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের গ্রামে গ্রামে প্রচার করতে হবে যে, যদি বিদেশি পণ্য বিক্রি না করলে আর্থিক ক্ষতিও হয়, জাতীয় স্বার্থে বিদেশি পণ্য বয়কট করতে হবে। কেউ যেমন বিদেশি পণ্য ক্রয় করব না, তেমন বিক্রিও করবে না।” তিনি বলেন (Swadeshi Heat), “গণপতির মূর্তি পর্যন্ত বিদেশ থেকে আসছে। তাও আবার সেই গণপতির চোখ অর্ধনিমীলিত। ক্ষুদ্র চোখ। এটা কেন হবে (Trump Tariffs)?”

  • PM Modi: “কার টাকা, তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই, কিন্তু উৎপাদনে যেন আমার দেশের মানুষের ঘাম থাকে”, বললেন মোদি

    PM Modi: “কার টাকা, তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই, কিন্তু উৎপাদনে যেন আমার দেশের মানুষের ঘাম থাকে”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কার টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে – সেটা ডলার হোক কিংবা পাউন্ড, কালো টাকা হোক বা সাদা – তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। কিন্তু সেই টাকায় যে উৎপাদন হবে, তার ঘাম যেন আমার দেশের মানুষের হয়।” এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দেশবাসীকে স্বদেশি পণ্য কিনতে আগেও উদ্বুদ্ধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার ফের একবার গুজরাটের আমেদাবাদে প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভরতার চেতনার (US Tariffs) আহ্বান জানিয়ে নাগরিক ও ব্যবসায়ীদের দেশীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানান। এদিন হানসালপুরে মারুতি সুজুকির প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি ই-ভিটারা উদ্বোধনের পর বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বিশ্ব এখন এমন বৈদ্যুতিক গাড়ি চালাবে, যেগুলি তৈরি হবে ভারতে।” দেশবাসীকে স্বদেশি পণ্য কেনার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিনিয়োগ কারা করছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, আসল বিষয় হল, যে পরিশ্রম করে পণ্যটি তৈরি হচ্ছে, তা যেন ভারতীয়দের হয়।” এভাবে মারুতি সুজুকিও একটি স্বদেশি কোম্পানি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

    সুজুকি মোটরসের প্রতিশ্রুতি (PM Modi)

    সুজুকি মোটরস আগামী পাঁচ থেকে ছ’বছরে ভারতে ৭০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন সংস্থার প্রতিনিধি পরিচালক ও প্রেসিডেন্ট তোশিহিরো সুজুকি। তিনি বলেন, “গত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সুজুকি ভারতের চলাচলের যাত্রায় গর্বের সঙ্গে অংশীদার হয়েছে। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, ভারতের টেকসই সবুজ পরিবহণের দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করতে এবং বিকশিত ভারত (Viksit Bharat) নির্মাণে অবদান রাখতে।” এর ঠিক একদিন আগে সোমবার এই আমেদাবাদেই একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প উদ্বোধনের পর এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সবার উচিত মেড ইন্ডিয়া পণ্য কেনার মন্ত্র অনুসরণ করা।” তিনি (PM Modi) বলেন, “ব্যবসায়ীদের উচিত তাঁদের দোকান বা প্রতিষ্ঠানের বাইরে বড় বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া, যেখানে লেখা থাকবে যে তাঁরা শুধু স্বদেশি পণ্যই বিক্রি করেন।” এই অনুষ্ঠানে কংগ্রেসকেও নিশানা করতে ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের আমলে দেশকে অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল করে তোলা হয়েছিল শুধুমাত্র আমদানি কেলেঙ্কারিতে লিপ্ত হওয়ার জন্য (US Tariffs)।”

    মার্কিন শুল্কহারের চোখ রাঙানি

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য এল এমন একটা সময়ে, যখন আমেরিকা ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। উল্লেখ্য, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পাশাপাশি, রাশিয়ান তেলের অব্যাহত আমদানির কারণে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ জরিমানাও আরোপ করা হয়েছে, যা বুধবার ২৭ অগাস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (PM Modi) দুই দেশের মধ্যে আলোচনা বাস্তবায়িত না হওয়ার একটি কারণ হল, আমেরিকান দুগ্ধজাত পণ্য এবং জেনেটিক্যালি মডিফায়েড ফসল আমদানিকে ঘিরে দুই দেশের মতভেদ। এর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর কাছে কৃষকদের স্বার্থই সর্বাগ্রে। তিনি বলেন, “মোদির কাছে কৃষক, পশুপালক এবং ক্ষুদ্র শিল্পের স্বার্থই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ওপর চাপ বাড়তে পারে, কিন্তু আমরা সবটাই সহ্য করব (US Tariffs)।”

    অপারেশন সিঁদুর

    অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে (এই অভিযানে ভারত পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের নটি ঘাঁটিতে আঘাত হানে) প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত আর জঙ্গি ও তাদের প্রভুদের ছেড়ে কথা বলে না। অপারেশন সিঁদুর আমাদের সেনাদের বীরত্ব এবং সুদর্শন চক্রধারী মোহনের ভারতের দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। আজ আমরা জঙ্গি এবং তাদের প্রভুদের ছেড়ে দিই না, সে তারা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক না কেন।”

    উন্নয়ন যজ্ঞ

    এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আমেদাবাদে ৫,৪০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন। গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে মহেসানা–পালানপুর রেলপথ ডাবল লাইন, কালোল–কাড়ি–কাটোশন এবং বেচরাজি–রানুজ রেলপথের গেজ পরিবর্তন, এবং কাটোশন রোড থেকে সবরমতী পর্যন্ত নতুন যাত্রিবাহী ট্রেন চালুর সূচনা। তিনি রামাপীর নো টেকরোয় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় বস্তি পুনর্নির্মাণ কর্মসূচিরও উদ্বোধন করেন এবং গান্ধীনগরে রাজ্য-স্তরের ডেটা স্টোরেজ সেন্টার প্রতিষ্ঠা ও সারদার প্যাটেল রিং রোড প্রশস্তকরণের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন (US Tariffs)।

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে দিল্লির কুর্সিতে বসেই প্রধানমন্ত্রী ডাক দিয়েছিলেন ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’র। প্রধানমন্ত্রীর সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বিদেশের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের নানা প্রোডাক্ট উৎপাদন করছে ভারত থেকে। ফলে ক্রমেই জনপ্রিয়তা বাড়ছে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ প্রোডাক্টের। মঙ্গলবার মারুতি সুজুকির ই-ভিটার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘মেড ফর ওয়ার্ল্ডে’র স্লোগানও দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

  • PM Modi: ট্রাম্পের ‘শুল্ক-যুদ্ধে’র জবাব দিতেই কি মোদির মুখে ‘স্বদেশি আন্দোলনে’র ডাক?

    PM Modi: ট্রাম্পের ‘শুল্ক-যুদ্ধে’র জবাব দিতেই কি মোদির মুখে ‘স্বদেশি আন্দোলনে’র ডাক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা কেবল সেই জিনিসগুলিই কিনব, যা ভারতীয়দের তৈরি। স্থানীয়দের জন্য আওয়াজ তুলতে হবে আমাদের।” শুক্রবার বারাণসীর সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ‘স্বদেশি আন্দোলনে’র কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দিন কয়েক আগেই ‘শুল্ক-যুদ্ধে’র প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ভারতকে ‘মৃত অর্থনীতির দেশ’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও মস্কো থেকে জ্বালানি কিনে চলেছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। তার পর থেকে ভারতকে একাধিকবার রক্তচক্ষু দেখিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

    মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা (PM Modi)

    তাকে কার্যত উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনে চলেছে ভারত। তার জেরেই ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই সময়ই তিনি জানিয়েছিলেন, রাশিয়া এবং ভারতের ব্যাপারে ভাবতেই চান না তিনি। মৃত অর্থনীতি নিয়ে ডুবে যেতে পারে দুই দেশই। এই আবহেই প্রধানমন্ত্রীর মুখে এল ‘স্বদেশি আন্দোলনে’র কথা। তিনি বলেন, “ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই সরকার দেশের সব চেয়ে ভালো করার স্বার্থে যা কিছু প্রয়োজনীয়, সব করছে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “তামাম বিশ্বে অস্থিরতার পরিবেশ বিরাজ করছে। সব দেশ তাদের নিজস্ব স্বার্থের দিকে মনোনিবেশ করছে। ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে চলেছে। তাই ভারতকে তার অর্থনৈতিক স্বার্থের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।” তিনি বলেন, “আমাদের সরকার দেশের সর্বোত্তম স্বার্থে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। যারা দেশের জন্য সব থেকে ভালোটা চান এবং ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে দেখতে চান, তা সে যে কোনও রাজনৈতিক দলই হোক না কেন, তাদের উচিত মতপার্থক্য ভুলে গিয়ে স্বদেশি পণ্যের জন্য একটি সংকল্প তৈরি করা।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমরা কেবল সেই জিনিসগুলিই কিনব, যা ভারতীয়দের তৈরি (PM Modi)। স্থানীয়দের জন্য আমাদের আওয়াজ তুলতে হবে (Donald Trump)।”

  • Mohan Bhagwat: ‘‘দেশের উন্নয়নে কীভাবে অবদান রাখা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করুন,’’ আহ্বান মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: ‘‘দেশের উন্নয়নে কীভাবে অবদান রাখা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করুন,’’ আহ্বান মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার স্বদেশি পণ্য ব্যবহারের ওপর জোর দিলেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের কানপুরে শিক্ষাবর্গ শিবিরে ছাত্র ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি বলেন, “আমরা কি আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে দেশীয় উৎপাদিত পণ্য ব্যবহারের সংকল্প নিতে পারি?” তিনি বলেন, “এই সংকল্প নিজের কাছ থেকে শুরু হোক, তারপর তা ছড়িয়ে পড়ুক পরিবার, প্রতিবেশী এবং শেষ পর্যন্ত পুরো জাতিকে অনুপ্রাণিত করুক। আমাদের দেশের অর্থ দেশের মধ্যেই থাকা উচিত এবং তা আমাদের নিজেদের অগ্রগতির জন্য ব্যবহৃত হওয়া উচিত।” এদিনের অনুষ্ঠানে দৈনন্দিন জীবনে কীভাবে স্বদেশি পণ্য ব্যবহার করা যায়, কীভাবেই বা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করার আহ্বানও তিনি জানান ছাত্রছাত্রী, ব্যবসায়ী এবং আমজনতাকে। ভাগবত বলেন, “প্রতিদিনের জীবনে যদি গভীর দেশপ্রেমের বোধ থাকে, তবেই ব্যক্তি ও দেশ – উভয়েরই সামগ্রিক উন্নতি সম্ভব।”

    কী বললেন সরসংঘচালক? (Mohan Bhagwat)

    সরসংঘচালক বলেন, “এই সংকল্প আমাদের নিজেদের জীবন থেকে শুরু হওয়া উচিত এবং তা পরিবার, পাড়া, শহর ও রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়া উচিত। আমাদের দেশে যা আয় হয়, তা দেশের মধ্যেই থাকা উচিত এবং দেশের উন্নয়নের কাজে লাগানো উচিত। আমাদের জীবন এই মানসিকতা নিয়ে পরিচালিত হওয়া উচিত।” ভাগবতের গলায় এদিন শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী (RSS) নরেন্দ্র মোদির আহ্বানের প্রতিধ্বনি (Mohan Bhagwat)। তিনিও বিদেশি পণ্যের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশে উৎপাদিত সামগ্রী ব্যবহারের আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটি ভারতের ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ ও বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার লক্ষ্য পূরণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

    ছাত্রদের আহ্বান ভাগবতের

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করেছিলেন পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সঙ্গে চারদিনব্যাপী সংঘর্ষের পর।আরএসএস প্রধান এদিন ছাত্রদের আহ্বান জানান, যাতে তাঁরা নিজেদের ক্ষেত্রে আদর্শ পেশাজীবী ও অনুপ্রেরণাদায়ক উদাহরণ হয়ে উঠতে পারেন। তিনি জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী ও সরকারের পাশাপাশি সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার অবদানও তুলে ধরেন। ভাগবত বলেন, “আমাদের সবারই ভাবা উচিত, আমরা (RSS) দেশের কল্যাণে কী করতে পারি (Mohan Bhagwat)।”

LinkedIn
Share