Tag: sweets

sweets

  • Pithe-Puli: পিঠে-পুলি আর পায়েসের আমেজে ওজন নিয়ন্ত্রণ কি বড় চ্যালেঞ্জ? কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

    Pithe-Puli: পিঠে-পুলি আর পায়েসের আমেজে ওজন নিয়ন্ত্রণ কি বড় চ্যালেঞ্জ? কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীত মানেই নতুন গুড়! শীতের কুয়াশা আর বাঙালির পিঠে-পুলি (Pithe-Puli) যেন একসঙ্গে যোগ না হলে এই ঋতুর সৌন্দর্যে কিঞ্চিত ঘাটতি পড়ে। দুধপুলি থেকে পাটিসাপটা কিংবা নতুন গুড়ের পায়েসের গন্ধ! বাঙালির রান্নাঘর এই সময়ে ম ম করে! কিন্তু স্বাদের বাহারে স্বাস্থ্যের জন্য খানিকটা চিন্তা বাড়ে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতের মরশুমে বাড়তি খাওয়া-দাওয়া দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে বড় চ‌্যালেঞ্জ। আর তার জেরেই বাড়ে নানান বিপদ। তবে পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি বিষয়ে নজরে থাকলেই ওজন নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে‌। স্বাস্থ্যের একাধিক ঝুঁকিও সহজে এড়ানো যাবে।

    কীভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যাবে? (Pithe-Puli)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে অনেকেই নানান রকমের পুলি-পিঠে কিংবা পায়েস জাতীয় খাবার খান। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে মিষ্টির পরিমাণে। এই ধরনের খাবার মিষ্টিজাতীয়। কিন্তু শরীরে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ওজন নিয়ন্ত্রণ কঠিন। তাই মিষ্টি বা গুড়ের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। যতটা পরিমাণ কম মিষ্টি ব্যবহার করা যায়, ওজন নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে‌। আবার ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমবে‌। একাধিক পিঠে চালের গুঁড়ো দিয়েই তৈরি হয়। তাই কার্বোহাইড্রেট শরীরে পৌঁছয়। কার্বোহাইড্রেট অনেক সময়েই ওজন নিয়ন্ত্রণের কাজ কঠিন করে‌। তাই পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, দিনে একটা বা দুটো পিঠে খেলে, খাবারের তালিকা থেকে সেদিন ভাত বাদ দিতে হবে। যাতে শরীরে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট না পৌঁছয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। আলু জাতীয় সবজি খাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। কারণ আলুতেও প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে।

    কখন খাবেন, কতখানি খাবেন?

    তাছাড়া, কখন কতখানি খাওয়া (Pithe-Puli) হচ্ছে, সেদিকে খেয়াল রাখাও জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সন্ধ্যায় পিঠে জাতীয় খাবার খেলে, রাতের খাবার বন্ধ করা দরকার। পিঠে চাল, নারকেল, গুড়ের মতো উপাদান দিয়েই তৈরি হয়। এই খাবার যথেষ্ট ভারী হয়। তাই সন্ধ্যায় এই ভারী খাবার খাওয়ার পরে, রাতের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আবার হজমের গোলমালের ঝুঁকিও কমবে‌।

    হাঁটা জরুরি (Pithe-Puli)

    খাওয়ার পরে নিয়মিত হাঁটা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ ঠিকমতো শারীরিক কসরত না করা।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতে বড়দিন, পৌষ পার্বণের মতো একাধিক উৎসব থাকে। মানুষ উৎসব উদযাপনে বাড়তি খাওয়া-দাওয়া করেন। কিন্তু নিয়মিত শারীরিক কসরত অনেক সময়েই বাদ পড়ে যায়। শীতে অনেকেই ক্লান্তি অনুভব করেন। আর সব মিলিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে যায়। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, ভারী খাবার খাওয়ার পরে অবশ্যই হাঁটাচলা করতে হবে। পিঠে-পায়েস অত্যন্ত ভারী খাবার। তাই এই খাওয়ার পরেই অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি মিনিট হাঁটাচলা করা দরকার। এতে সহজেই হজম হয়ে যাবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

    ওজন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কেন বাড়তি চিন্তা?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে (Weight control) রাখলে শরীরের একাধিক জটিল অসুখের ঝুঁকি সহজেই কমানো যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, হৃদরোগ থেকে ডায়াবেটিস, যে কোনও রোগের অন্যতম কারণ দেহের অতিরিক্ত ওজন। শীতে নানান কারণে দেহের রক্তচাপ বাড়ে, হৃদরোগ, স্ট্রোকের ঝুঁকিও এই সময়ে বাড়ে। তাই ওজন বাড়িয়ে বাড়তি বিপদ তৈরি যেন না হয়, সে দিকে নজরদারি জরুরি। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhai Phota 2024: ভাইফোঁটায় মাছ-মাংসের সঙ্গে দেদার মিষ্টি! কোন দিক খেয়াল না রাখলেই বিপদ? 

    Bhai Phota 2024: ভাইফোঁটায় মাছ-মাংসের সঙ্গে দেদার মিষ্টি! কোন দিক খেয়াল না রাখলেই বিপদ? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ভাইফোঁটা! ভাই-বোনের সম্পর্কের উদযাপন।‌ বছরের এই দিনটা (Bhai Phota 2024) প্রত্যেক ভাই-বোনের কাছেই বিশেষ। আর বিশেষ দিনে খাবারে বিশেষ পদ ছাড়া চলে না। বাঙালির যে কোনও উদযাপনেই খাওয়া-দাওয়া বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ভাইফোঁটাও সেই তালিকা থেকে আলাদা নয়। বছরের এই বিশেষ দিনে বোনেরা নানান রকমারি পদ ভাইদের জন্য সাজিয়ে দেন। কিন্তু উদযাপনের জন্য স্বাস্থ্যের ব্যাঘাত কতখানি হয়? সতর্কতা বজায় না রাখলে সুস্থ থাকা বেশ কঠিন হয়ে যাবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই ভাইফোঁটার খাওয়া-দাওয়াতেও দরকার বিশেষ নজরদারি। তবেই সুস্থভাবে জীবনযাপন সম্ভব।

    কোন দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি? (Bhai Phota 2024)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুস্বাদু খাবার মানেই অতিরিক্ত তেল-মশলা দিয়ে তৈরি খাবার, এই ধারনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত তেল শরীরের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক। তাই রান্নায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করা একেবারেই চলবে না। অতিরিক্ত তেল শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। হৃদরোগের ঝুঁকিও তৈরি করে। বিশেষত উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। খাবারের তালিকায় টাটকা সব্জি এবং প্রাণীজ প্রোটিন যেমন নানান ধরনের মাছ, মাংস থাকতে পারে। কিন্তু প্রসেসড প্রাণীজ প্রোটিন থাকলে, তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই রান্নার একাধিক মেনুতে নানান প্রসেসড মাংস রাখেন। এই ধরনের প্রসেসড মাংসে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক দেওয়া থাকে। সেগুলো লিভার, কিডনিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এইসব খাবার একাধিক রোগের কারণ। তাই মেনু নির্বাচনের সময়ে প্রসেসড মাংস বাদ দেওয়া উচিত বলেই পরামর্শ পুষ্টিবিদদের একাংশের।

    সব্জি রাখার পরামর্শ

    তবে খাবারের পদে প্রাণীজ প্রোটিনের পাশপাশি সব্জি রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শুধু প্রাণীজ প্রোটিন একেবারেই স্বাস্থ্যকর মেনু নয়। তাই সব্জির পদ রাখাও দরকার। এতে ব্যালেন্স ডায়েট হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং স্থুলতার সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই ভাইফোঁটায় (Bhai Phota 2024) একাধিক প্রাণীজ প্রোটিন পদে রাখেন। মটন কষা থেকে দই কাতলা কিংবা ইলিশ পাতুরির মতো পদ থাকে। কিন্তু এই খাবারগুলোতে একদিকে শরীরে মেদ জমার ঝুঁকি বাড়ে, আবার এই খাবারে বাড়তে পারে কোলেস্টেরল। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। তাই একসঙ্গে এই জাতীয় একাধিক পদ খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি।

    মিষ্টি খাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ (Bhai Phota 2024)

    বাঙালির উৎসব উদযাপনের অন্যতম অংশ মিষ্টি। ভাইফোঁটার উদযাপনেও মিষ্টি অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু ডায়াবেটিস আক্রান্তদের কিংবা স্থুলতার সমস্যায় ভুগলে এই মিষ্টি খাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ জরুরি। একাধিক মিষ্টি একেবারেই খাওয়া যাবে না। কারণ মিষ্টি (Sweets) রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। যার জেরে একাধিক রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, মিষ্টির পরিবর্তে মেনুতে নানান রকমের ফল রাখা যেতে পারে। স্ট্রবেরি, লেবু, আপেলের মতো নানান রকমের ফল খাবারে বৈচিত্র্য আনবে। আবার স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।‌ তাই ভাইফোঁটার বিশেষ পদে এমন নানান ফল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

     

    ISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diabetes: নববর্ষের ঢালাও মিষ্টিমুখের জেরে ডায়াবেটিসের বিপদ বাড়িয়ে তুলছেন না তো!

    Diabetes: নববর্ষের ঢালাও মিষ্টিমুখের জেরে ডায়াবেটিসের বিপদ বাড়িয়ে তুলছেন না তো!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাঙালির নতুন বছরের শুরুতে মিষ্টি খাওয়ার রেওয়াজ চিরন্তন। পেট পুজো আর মিষ্টি মুখ, নতুন বছর বরণে এই দুইয়ের জুটি সুপারহিট। কিন্তু উৎসবের খানাপিনা অনেক সময়েই বাঙালির বাড়তি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে। বিশেষত এই আবহাওয়ায় তাই সচেতনতা আরও বেশি দরকার বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ বাংলা নতুন বছরের শুরু থেকেই আবহাওয়ার পারদ চড়ছে। তার উপরে অতিরিক্ত ভুরিভোজ, বাঙালির ডায়াবেটিস (Diabetes) আর দেহের ওজন নিয়ে আরেকটু চিন্তা বাড়িয়ে দিল। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, বছরের এই সময়ে গরম আবহাওয়ায় অনেকের রক্তচাপ ওঠানামা করে। তার উপরে নতুন বছরের শুরুর বাড়তি খাওয়াদাওয়া সেই বিপদ আরও বাড়ায়‌। এর জেরে অনেকেরই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে। পাশপাশি ওজন বাড়ে। তাই এই সময়ে শরীর সুস্থ রাখতে বাড়তি সতর্কতা জরুরি।

    কীভাবে এই দুই সমস্যার সমাধান সম্ভব? (Diabetes) 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে এবং শরীরের ওজন ধরে রাখতে নিয়মিত হাঁটা জরুরি। গরমের জেরে দিনের অন্যান‌্য সময় শারীরিক কসরত করা কঠিন হয়ে যেতে পারে। কিন্তু ভোরে তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকে। তাই ভোরে অন্তত চল্লিশ মিনিট হাঁটা জরুরি। এতে শরীরের ক্যালরি ক্ষয় হবে। আবার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে‌।কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারে লাগাম টানা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, আলু, গাজর, ভাতের মতো খাবারে কার্বোহাইড্রেট প্রচুর পরিমাণে থাকে। তাই দ্রুত ওজন ও ডায়াবেটিসে নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে এই ধরনের খাবারে লাগাম টানতে হবে। তাহলে দুই সমস্যাই সমাধান হবে (Diabetes) ।

    দুই সবজিতেই ডায়াবেটিস কাবু

    পটল, করলার মতো সবজি নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই দুই সবজিতেই ডায়াবেটিস কাবু হয়। আর পটলে রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম। যা শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। তাই এই আবহাওয়ায় শরীর সুস্থ রাখতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই ধরনের সবুজ সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। প্রাণীজ প্রোটিন বিশেষ করে মটন, বিরিয়ানি, কেক জাতীয় খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে বলে সাফ জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ এই ধরনের খাবারে দ্রুত ওজন বাড়ে। আবার এগুলো ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় (Diabetes)।

    অতিরিক্ত রাত জাগার অভ্যাস বিপদ বাড়াচ্ছে (Diabetes) 

    পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঘুমের ব্যাঘাত একদিকে স্থূলতার সমস্যা তৈরি করে। আরেক দিকে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। তাই পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। অতিরিক্ত রাত জাগার অভ্যাস বিপদ বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, রাতের ঘুম না হলেই শরীরের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই রাতে আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি। তবেই শরীর সুস্থ থাকবে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বেশি রাত পর্যন্ত না‌ জাগার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এছাড়াও ঘুম থেকে উঠে নিয়মিত গরম জলে লেবু মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই উপাদান ওজন কমাতে বিশেষ সাহায্য করে‌ (Diabetes)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Stroke: চকোলেট, কেক বা রসগোল্লা, মিষ্টিপ্রেম কি বিপদ বাড়াচ্ছে স্ট্রোকের?

    Stroke: চকোলেট, কেক বা রসগোল্লা, মিষ্টিপ্রেম কি বিপদ বাড়াচ্ছে স্ট্রোকের?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অনুষ্ঠানের শেষ পাতে গরম, নরম রসগোল্লা কিংবা অনুষ্ঠানের শুরুতে কেক কেটে উদযাপন। মিষ্টি ছাড়া কিছুই সম্পূর্ণ নয়। নতুন বছরের শুরু থেকে জন্মদিন, যে কোনও আনন্দে মিষ্টিমুখ করানোটা যেন বাধ্যতামূলক। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি, মিষ্টিতেই আছে যত বিপদ! বিশেষত হাইপারটেনশনের সমস্যা থাকলে মিষ্টিপ্রেম বাড়াতে পারে স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি! 

    কী বলছেন চিকিৎসকরা (Stroke)? 

    সম্প্রতি ইতালির মিলান শহরে ইউরোপিয়ান কার্ডিওভাসকুলার সোসাইটির সম্মেলন হল। সেখানেই চিকিৎসকরা জানালেন, বিশ্ব জুড়ে হাইপারটেনশনের সমস্যা বাড়ছে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় শুধু বয়স্করা নন, কমবয়সীরাও সমান ভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই জীবন যাপনের ধারায় পরিবর্তন দরকার। খাদ্যাভ্যাস থেকে ঘুম, শারীরিক কসরত, সব কিছু নিয়েই সজাগ থাকা জরুরি। না হলে বাড়তে পারে বিপদ (Stroke)!

    কোন বিপদের (Stroke) আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা? 

    ওই সম্মেলনে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সবচেয়ে জরুরি। কারণ, হাইপারটেনশনের জেরে হৃদরোগের ঝুঁকি (Stroke) বাড়ে। পাশপাশি বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি। যার জেরে শারীরিক অক্ষমতা তৈরি হতে পারে।

    কেন বাড়ছে হাইপারটেনশনের (Stroke) সমস্যা? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবনে বাড়ছে মানসিক চাপ। কাজের চাপের পাশপাশি আধুনিক জীবনে পারিবারিক চাপও বাড়ছে। তার জেরে যেমন অবসাদের মতো মানসিক রোগ দেখা যাচ্ছে, তেমনি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও দেখা যাচ্ছে। যার জেরে বিপদ বাড়াচ্ছে স্ট্রোকের (Stroke)। তাছাড়া, খাদ্যাভ্যাসের জেরেও দেহে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

    খাদ্যাভ্যাসে কী ধরনের বদলের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? 

    সাম্প্রতিক এই সম্মেলনে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চললে স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি কমবে। কেক, চকোলেট, হটডগ বা যে কোনও মিষ্টিজাতীয় খাবার হাইপারটেনশন রোগীর জন্য একেবারে ভালো নয়। তাছাড়া অতিরিক্ত ফ্যাটজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও চর্বিজাতীয় মাংস, মাছ বা যে সব দুগ্ধজাত জিনিসে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা আছে, তা নিয়মিত খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত। 
    চিকিৎসকদের পরামর্শ, কিসমিস, খেজুর, পেস্তা, আখরোটের মতো ড্রাই ফ্রুটস নিয়মিত খাওয়া দরকার। তাছাড়া, নিয়মিত খাবারের তালিকায় থাকুক যব, ভূট্টার মতো দানাশস্য। ডাল, বিনস নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। এছাড়া ফল ও সবজি খেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। যাতে শরীরে ভিটামিন, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি না হয়। তাছাড়া, দুধ জাতীয় জিনিস যেমন পনির, টক দই এগুলো নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে, প্রাণীজ প্রোটিনও শরীরের জন্য জরুরি। কারণ, শরীরে আয়রন, ভিটামিন, ফসফরাস প্রাণীজ প্রোটিন থেকেই পাওয়া যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিম, চিকেন বা মাছ নিয়মিত খেতে হবে। তবে অতিরিক্ত ফ্যাট যাতে না থাকে, সেটা খেয়াল রাখা জরুরি। তাই যেমন চর্বিজাতীয় মাংস বাদ দিতে হবে, তেমনি অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share