Tag: Taj Mahal

Taj Mahal

  • Yogi Adityanath: “রামমন্দিরের শ্রমিকরা সম্মান পেয়েছেন, তাজমহলের সময় আঙুল কাটা হয়েছিল”, বললেন যোগী আদিত্যনাথ

    Yogi Adityanath: “রামমন্দিরের শ্রমিকরা সম্মান পেয়েছেন, তাজমহলের সময় আঙুল কাটা হয়েছিল”, বললেন যোগী আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামমন্দিরের (Ram Mandi) শ্রমিকরা সম্মান পেয়েছেন, তাজমহলের সময় হাত কেটে নেওয়া হয়েছিল। এই দুই বৈপরিত্যের তুলনা করলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। ৫০০ বছরের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পথ ধরে ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে অযোধ্যার মন্দির উদ্বোধন হয়েছিল। মন্দিরের নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যকে শ্রমিককে বিশেষ সম্মানে সম্মানিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী । এই প্রসঙ্গ টেনে হিন্দু ধর্মের পরম্পরার কথা স্মরণ করলেন আদিত্যনাথ।

    দেশের অনেক ইতিহাস এবং সংস্কৃতিকে বিলুপ্ত করেছে (Yogi Adityanath)

    মুম্বইয়ে ওয়ার্ল্ড হিন্দু ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের মঞ্চ থেকে আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টির শাসনে শ্রমিকরা সম্মান পান। রামমন্দিরের (Ram Mandi) শ্রমিকদের সম্মানিত করা হয়েছে, কিন্তু তাজমহলের শ্রমিকদের আঙুল কেটে নেওয়া হয়েছিল। এমনকি সুক্ষ্ম টেক্সটাইল শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের হাত কেটে ফেলা হয়েছিল। যার ফলে অনেক ঐতিহ্য এবং পরম্পরা ধ্বংস হয়েছে। আজ ভারতে মোদিজির শাসনে সকল শ্রমের সম্মান প্রদান করা হয়। বহিরাগতরা এই দেশের অনেক ইতিহাস এবং সংস্কৃতিকে বিলুপ্ত করেছে।”

    আরও পড়ুনঃ ইউপিএসসি’তে শীর্ষে দুই কৃতী বঙ্গসন্তান, সিঞ্চন ও বিল্টুর সাফল্যে গর্বিত গোটা বাংলা

    বিশ্বের অর্থনীতির উপর ৪০ শতাংশ যোগদান ছিল ভারতের

    ভারতের প্রথম থেকে পঞ্চদশ শতাব্দীর মধ্যে বিশ্বে ভারতীয় অর্থনীতির কথা বলতে গিয়ে যোগী (Yogi Adityanath) আরও বলেন, “খ্রিষ্টীয় প্রথম থেকে পঞ্চদশ শতক পর্যন্ত ভারতে বিশ্বের অর্থনীতির উপর ৪০ শতাংশ যোগদান ছিল। এমনকি অনেক ইউরোপের পণ্ডিত এই আর্থিক প্রভাবের কথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু বহিরাগত আক্রমণকারীরা নানা আক্রমণ এবং লুট করে ভারতের অর্থনীতিতে খারাপ প্রভাব ফেলেছে।” একইভাবে তিনি এদিন সম্ভলের হিংসার প্রসঙ্গে বলেন, “দেশে কট্টরপন্থীরা সন্ত্রাসবাদের প্রচার-প্রসার করছে। তারা আমাদের দেশের ভিতরে হিংসার বাতাবরণ সৃষ্টি করছে, আজ মাটির নিচে পুঁতে রাখা হিন্দু মন্দিরের নানা অবশেষ পাওয়া যাচ্ছে। সমালোচকরাও এখন মানতে বাধ্য হচ্ছেন ভারত কতটা বৈভবশালী ছিল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “শুধু তাজমহলই ভারত নয়, এদেশে আরও অনেক পর্যটনস্থল রয়েছে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “শুধু তাজমহলই ভারত নয়, এদেশে আরও অনেক পর্যটনস্থল রয়েছে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি তাজমহল। তবে এটাই দেশের একমাত্র পর্যটন গন্তব্য নয়। বিদেশিরা আকছার তাজমহল দেখতে আসেন। তবে ভারতে এছাড়াও আরও ছবির মতো সাজানো অনেক জায়গা রয়েছে, যেগুলি আবিষ্কারের প্রতীক্ষায় রয়েছে।” সোমবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে পর্যটকদের তিনি অনুরোধ করেন, “এই সব জায়গাগুলো ঘুরে দেখুন, পূর্ণ করুন অদ্ভুত অভিজ্ঞতার ঝুলি। দেশের ৩৬০ ডিগ্রিই ঘুরে দেখুন।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    ভারতের যে একটা নয়া ব্র্যান্ড তৈরি হয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। জি২০ সামিটের সময় ভারত ও তার বৈচিত্রের প্রতি বিশ্বশক্তিকে কৌতুহলীও করে তোলা হয়েছিল বলেও জানান তিনি। বলেন, “আমরা জি২০ সামিটের আয়োজন করেছিলাম। এই সম্মেলন কেবল দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হয়েছে। এর একটাই উদ্দেশ্য, বিশ্ববাসীকে এই বার্তা দেওয়া যে কেবল দিল্লিই ভারত নয়, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গেলেই আবিষ্কার করা যাবে এই ভূমের বৈচিত্র।” তিনি বলেন, “শুধু তাজমহল দেখেই তামাম ভারতকে চেনা যায় না। এই দেশের অনেক শক্তি রয়েছে। আবিষ্কারের জন্য রয়েছে বিভিন্ন গন্তব্য।”

    জি২০ সম্মেলন

    জি২০ সম্মেলনের পরে যে ভারতে পর্যটকদের আনাগোনা আগের চেয়ে বেড়েছে, এদিন সাক্ষাৎকারে তারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এই সম্মেলন কীভাবে ভারতের পর্যটনের সম্ভাবনাকে উৎসাহিত করেছিল, তাও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জি২০ সম্মেলনে ২০০-র বেশি বৈঠক হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এক লাখের বেশি নীতিনির্ধারক এই সব বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। দেশের বিভিন্ন অংশে হয়েছিল এই সব বৈঠক। অভ্যাগতরা কেবল ভারতের ওই সব লোকেশন আবিষ্কার করেনি, তাঁরা তাঁদের পরিবার এবং স্বদেশবাসীকেও ভারতের অতুলনীয় সৌন্দর্যের গল্প শুনিয়েছেন।”

    আর পড়ুন: “বাংলায় সব চেয়ে বেশি লাভবান হবে বিজেপি”, সপ্তম দফার আগেই জানিয়ে দিলেন মোদি

    প্রসঙ্গত, ইউরোপিয় ইউনিয়ন ও উনিশটি দেশ মিলে গঠিত হয়েছে জি২০। ফি বছর এই জি২০-র সম্মেলন হয় এর সদস্য রাষ্ট্রগুলিতে। গত বছর এই সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল ভারত। সরকার বা রাষ্ট্রের প্রধান, বিদেশমন্ত্রী, সচিব এবং অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকরা যোগ দেন এই সম্মেলনে। একেবারে শেষে হয় শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলনে যোগ দেন বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধান কিংবা তাঁদের প্রতিনিধিরা (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Natwarlal: তাজমহল থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েছিলেন! জানেন কে সেই গুণধর?

    Natwarlal: তাজমহল থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েছিলেন! জানেন কে সেই গুণধর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতারণা শব্দটির সঙ্গে প্রায় সবাই পরিচিত। এই শব্দটি মোটেও সুখকর নয়। প্রতারণার চক্করে পড়ে অনেক মানুষের জীবন পর্যন্ত নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন পথ অবলম্বন করে প্রতারকরা মানুষকে ভুল বুঝিয়ে চলেছে। আবার এমন মানুষও আছেন, যাঁরা প্রতারণা করে গোটা বিশ্বের ইতিহাসে নিজের নাম তুলে ধরেছেন। আজ প্রতিবেদনে এমনই এক প্রতারকের সম্বন্ধে আলোচনা করব, যিনি ভারতের সর্বকালের সেরা ছদ্মবেশীদের মধ্যে একজন, তাঁকে সবাই মিস্টার নটবরলাল নামেই চেনে। যার আসল নাম মিথিলেশ কুমার শ্রীবাস্তব। মিথিলেশ শ্রীবাস্তব প্রতারণার দিক থেকে এতটাই দক্ষ এবং পারদর্শী ছিলেন যে তাঁকে ভারতের সর্বসেরা প্রতারকের আখ্যা দেওয়া হয়েছে। শুনলে অবাক হতে হয় যে তিনি তাজমহল থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি ভবন, এমনকি লালকেল্লা ও সংসদ ভবন পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েছিলেন বিদেশিদের কাছে।

    কী পরিচয় মিথিলেশের? কীভাবে প্রতারণার হাতেখড়ি তাঁর?

    ১৯১২ সালে ভারতের বিহারের একটি জায়গা জিরাদাতে জন্ম এই মিথিলেশের। পড়াশোনাতে অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। প্রথমে তিনি স্নাতক পাশ করার পরে আইন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন, আর এই পড়াশুনা করার সময় থেকে তাঁর প্রতারণা করার ভাবনা মাথায় আসে। সর্বপ্রথম তিনি তাঁর গ্রামের এক লোকের সঙ্গে প্রতারণা শুরু করেন। সেই ব্যক্তি শহরের কোনও ব্যাংকে টাকা জমা করতে শ্রীবাস্তবকে দায়িত্ব দেন। ঠিক সেই সময় সেই ব্যক্তির ব্যাংক থেকে প্রায় এক হাজার টাকা তাঁর স্বাক্ষর নকল করে তুলে নেন এই শ্রীবাস্তব, সেই সময় ১০০০ টাকার বর্তমান মূল্য ছিল প্রচুর।

    তাজমহল থেকে লালকেল্লা, তিনি সব বেচে দিয়েছিলেন

    স্বাক্ষর নকল করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ছদ্মবেশ ধারণে পারদর্শী ছিলেন মিথিলেশ। তাঁর জন্ম থেকে প্রায় ৫০ টিরও বেশি ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রতারণা করেছিলেন নটবরলাল। এই প্রতারণা করার খিদে তাঁর মধ্যে আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করে। তাই তিনি বড় কিছু করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি টাটা থেকে আম্বানি, বিড়লা সবার সই জাল করতে পারদর্শী ছিলেন। বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রতারণার মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন ঐতিহাসিক জায়গা যেমন তাজমহল, লালকেল্লা, সংসদ ভবন  বিদেশিদের কাছে বহু মূল্যে বিক্রয় করে দিয়েছিলেন তিনি।

    গ্রেফতার হয়েছেন বহুবার, ছিল অসংখ্য মামলা

    এত প্রতারণা করার পর তিনি পুলিশের হাত থেকে কখনই ছাড় পাননি, প্রায় ১০০ টিরও বেশি মামলা ছিল তাঁর নামে। নয় বার আটক হয়েছিলেন নটবরলাল, কিন্তু প্রত্যেক বারেই তিনি পালিয়ে এসেছিলেন, কেউ ধরতেও পারেনি। একবার ১৯৯৬ সালে শরীর অসুস্থ বলে কানপুর জেল থেকে দিল্লি AIIMS এর উদ্দেশে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বেপাত্তা হয়ে যান।

    প্রতারক হয়েও তিনি জনপ্রিয় 

    বিভিন্ন প্রতারণামূলক ও অপরাধমূলক কাজ করা সত্ত্বেও তিনি গ্রামের মানুষদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন। বিভিন্ন সময় প্রচুর টাকা তিনি তার গ্রামবাসীদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন। তাঁকে নিয়ে ভারতে দুটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে, তার মধ্যে ১৯৭৯ সালে মিস্টার নটবরলাল ও ২০১৪ সালে রাজা নটবরলাল খুব জনপ্রিয়। এছাড়াও তাঁর জীবন নিয়ে ডকুমেন্টারিও তৈরি হয়েছে। ২০০৯ সালের ২৫ শে জুলাই মারা যান নটবরলাল, এই ক্ষেত্রেও তিনি ধাঁধায় ফেলে দেন মানুষকে। কারণ এখনও পর্যন্ত তাঁর আসল মৃত্যুর তারিখ কেউ জানতে পারেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Electric Vehicles: ইলেকট্রিক যানবাহন ব্যবহারে জোর! যোগী রাজ্যে বসছে ২ হাজার ‘পাবলিক চার্জিং স্টেশন’

    Electric Vehicles: ইলেকট্রিক যানবাহন ব্যবহারে জোর! যোগী রাজ্যে বসছে ২ হাজার ‘পাবলিক চার্জিং স্টেশন’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্পকে জনপ্রিয় করতে এবং পর্যটকদের সুবিধার জন্য যোগী সরকার ২ হাজার ‘পাবলিক চার্জিং স্টেশন’ বসাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এই স্টেশনগুলির মাধ্যমে যে কোনও ধরনের ইলেকট্রিক যানবাহন (Electric Vehicles) চার্জ দেওয়া যাবে। আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। সেই রামনগরীতেও বসছে চার্জিং স্টেশন। এর পাশাপাশি তাজমহল এবং ব্যস্ততম সড়কগুলির পাশেও একাধিক জায়গায় বসছে ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন (Electric Vehicles)। যেভাবে পেট্রোল পাম্পগুলিকে দেখা যেত, সেভাবেই এখন ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন দেখা যাবে যোগী রাজ্যে। প্রসঙ্গত, পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক যান চলাচলে উৎসাহ দিচ্ছে কেন্দ্রও। সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়করি আগেই জানিয়েছিলেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিকল্প শক্তির মাধ্যমে যান চলাচল দেখা যাবে দেশে। কমবে পেট্রোল-ডিজেলের ব্যবহার।

    কত ইলেকট্রিক যানবাহন রয়েছে যোগী রাজ্যে? 

    আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রজেক্টের কাজ করছে ‘উত্তরপ্রদেশ এক্সপ্রেসওয়েস ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’। তাদের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক যানবাহনগুলিকে (Electric Vehicles) আরও বেশি জনপ্রিয় করতেই এই প্রচেষ্টা। এর পাশাপাশি পেট্রোল এবং ডিজেলের ব্যবহার কমানোও লক্ষ্য। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে যোগী রাজ্যে ৪,১৪,৯৭৮টি ইলেকট্রিক যানবাহন (Electric Vehicles) চলাচল করে। উত্তরপ্রদেশের পরে সব থেকে বেশি ইলেকট্রিক যানবাহন চলাচল করে দিল্লিতে ১,৮৩,৮৭০। মহারাষ্ট্রে ইলেকট্রিক যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ১,৭৯,০০০।

    কোথায় কোথায় বসছে চার্জিং স্টেশন

    জানা গিয়েছে, এই ২ হাজার চার্জিং স্টেশনের (Electric Vehicles) মধ্যে ১০০টি চার্জিং স্টেশন বসতে চলেছে রামমন্দির, তাজমহল, ফতেপুর সিক্রি, সারনাথ মন্দিরের আশপাশে। ২০০টি চার্জিং স্টেশন বসানো হবে মথুরা, বৃন্দাবন, বারাণসী, অযোধ্যা, প্রয়াগরাজ এবং ঝাঁসির কাছে। ৪০০টি চার্জিং স্টেশন বসানো হবে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে, আগ্রা এক্সপ্রেসওয়ে, বুন্দেলখ্ণড এক্সপ্রেসওয়ে, গোরক্ষপুর লিঙ্ক এক্সপ্রেসওয়ে, পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ের কাছে। বাকি ১,৩০০টি চার্জিং স্টেশন বসানো হবে আগ্রা, অযোধ্যা, বরেলি, ফিরোজাবাদ, গাজিয়াবাদ, গোরক্ষপুর, ঝাঁসি, কানপুর ইত্যাদি জায়গায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Victoria Memorial: জেলখানার জমিতেই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল!

    Victoria Memorial: জেলখানার জমিতেই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় যাঁরা থাকেন বা কলকাতায় যাঁরা ঘুরতে যান, তাঁদের মধ্যে কেউ ভিক্টোরিয়া (Victoria Memorial) ঘুরতে যাননি, এমনটা হতেই পারে না। কলকাতায় ভ্রমণ পিপাসুদের মূল কেন্দ্রবিন্দুই হল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। শহরজোড়া কংক্রিটের ভিড়ের মাঝখানে যেন স্নিগ্ধতায় মোড়া পরিবেশে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে এক সৌধ। একবার এসে পৌঁছালে চোখ সরানো যায় না। শ্বেত পাথরের তৈরি এই স্মৃতিসৌধটি বর্তমানে একটি জাতীয় সংগ্রহশালা এবং কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র। রানী ভিক্টোরিয়ার স্মৃতির উদ্দেশ্যে বানানো এই মেমোরিয়াল গড়ে ওঠার পিছনে আছে অনেক ইতিহাস ও অজানা তথ্য।

    কেন ও কীভাবে গড়ে উঠল এই ইমারত?

    ব্রিটিশ শাসন চলাকালীন ভারতের রাজধানী ছিল কলকাতা। গোটা ভারতের মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল আজকের মহানগরী। আর সেই সময় ভারতের সম্রাজ্ঞী ছিলেন রানী ভিক্টোরিয়া। ১৮৫৭ থেকে ১৯০১ সালের ২২ জানুয়ারি মৃত্যুদিন পর্যন্ত তাঁর শাসনকাল চলেছিল। তাঁর মৃত্যুর পরেই ভারতীয় উপনিবেশে তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি সৌধ নির্মাণ করা হবে বলে তখনকার ব্রিটিশরাজের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  আর এমনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, সেই স্মৃতিসৌধটি হবে আগ্রার তাজমহলের আদলে। রানীর মৃত্যুর পরেই তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জন এক বৈঠকের আয়োজন করেন। সেখানেই তিনি এই তাক লাগানো সৌধের (Victoria Memorial) নির্মাণের কথা তুলে ধরেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, তাজমহলের আদলে এটি তৈরি হবে এবং প্রচুর ফুলের গাছ ও জলাধার থাকবে এই সৌধকে ঘিরে, যা দেখতে কলকাতায় ভিড় জমাবে মানুষ এবং যা তাজমহলকেও টেক্কা দেবে। এই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের প্রস্তাবটি তৈরি করা হয় ১৯০১ সালে। এর পাঁচ বছর পর অর্থাৎ ১৯০৬ সালে এর সম্পূর্ণ নকশা তৈরি করা হয় এবং নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। এর  ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন রাজা পঞ্চম জর্জ। ভিক্টোরিয়া পঞ্চম জর্জের বোন ছিলেন। ভিক্টোরিয়া মারা যাওয়ার পর তাঁরই রাজা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাবা সপ্তম এডওয়ার্ড যেহেতু বেঁচে ছিলেন, তাই তিনি ততদিন রাজা হতে পারেননি। পঞ্চম জর্জ ভারতীয়দের প্রতি ব্রিটিশদের বিদ্বেষমূলক মনোভাব মেনে নিতে পারেননি। তাঁরই রাজত্বকালে ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা হয়।

    ভিক্টোরিয়া গড়ে উঠতে কত বছর সময় লেগেছিল? কে এর নকশা তৈরি করেছিল?

    ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর ১৯১০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এর (Victoria Memorial) নির্মাণকার্য শুরু হয় এবং তা শেষ হতে প্রায় এগারো বছর সময় লাগে। এরপরেও সম্পূর্ণরূপে এই নির্মাণকার্যটি শেষ হয় ১৯২১ সালে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে কুড়ি বছর সময় লেগেছিল এই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল গড়ে উঠতে। তৎকালীন ব্রিটিশ ইনস্টিটিউট অফ আর্কিটেক্ট-এর প্রেসিডেন্ট স্যার উইলিয়ম এমার্সন এর নকশা তৈরি করেন। ভিক্টোরিয়া সংলগ্ন বাগানটির নকশা তৈরি করেছিলেন লর্ড রেডেসডেল ও স্যার জন প্রেইন। এই সমস্ত নির্মাণকার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মার্টিন অ্যান্ড কোং কে। এই কোম্পানির কর্ণধার ছিলেন দুজন যথা স্যার থমাস অ্যাকুইনাস এবং স্যার রাজেন মুখার্জি। রাজেন মুখার্জিকে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে সেই সময় নাইট উপাধি দেওয়া হয় এই স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য। 

    জায়গাটি কার বা কাদের ছিল? তৈরিতে মোট কত খরচ হয়েছিল?

    শুনলে হয়তো একটু অবাক লাগতে পারে, বর্তমানে আমরা যে স্থানে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালকে (Victoria Memorial) দেখতে পাই, সেটি মূলত ছিল প্রেসিডেন্সি জেলের জমি। সেই সময়কার প্রধানত রাজনৈতিক বন্দিদের এই জেলে রাখা হত।  ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর জেলটিকে এই স্থান থেকে আলিপুরে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে আলিপুরে সেই জেলটি অবস্থিত।ব্রিটিশদের সিদ্ধান্তে এই স্মৃতিসৌধ গড়ে উঠতে দেশের টাকাই খরচ করা হয়েছিল, ব্রিটিশদের খরচ ছিল তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। তৈরি করার জন্য তৎকালীন জমিদার, রাজা, ধনী ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, অভিজাত ব্যক্তিদের কাছে থেকে লর্ড কার্জন অর্থ প্রদানের আবেদন জানান। এই আদেশ খণ্ডন করার সাহস কারও ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে সবার উদ্যোগে ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গড়ে ওঠে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Taj Mahal: তাজমহল কি শাহজাহান নির্মাণ করেননি? এএসআইকে তথ্য সন্ধানের নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের

    Taj Mahal: তাজমহল কি শাহজাহান নির্মাণ করেননি? এএসআইকে তথ্য সন্ধানের নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাজমহল (Taj Mahal) নির্মাণ করেননি। সেই সঙ্গে ইতিহাস বইতে থাকা এই ভুলকে সংশোধনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টে। আর তাই শুক্রবারের শুনানিতে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই) বা ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে পর্যবেক্ষণ করতে নির্দেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। এই ঘটনায় রীতিমতো তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

    মামলায় আবেদনকারীর বক্তব্য

    স্ত্রী মমতাজের স্মৃতির উদ্দেশে সম্রাট শাহজাহান যে তাজমহল (Taj Mahal) নির্মাণ করেছেন তা সত্য ইতিহাস নয়! এই মর্মে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন হিন্দু সেনা সংগঠনের সভাপতি সুরজিৎ সিং যাদব। তাঁর মূলত দাবি, রাজা মান সিংয়ের প্রাসাদকে সংস্করণ করেন মুঘল সম্রাট শাহজাহান। তাজমহল শাহজাহানের সৃষ্টি নয়। আর এই দাবিতে ইতিহাসের বইকে ঠিক করে ইতিহাসের প্রকৃত সত্যকে তুলে ধরার দাবি করেন তিনি।

    ‘তাজ মিউজিয়াম’ সম্পর্কে একটি বইয়ের কথা উল্লেখ বলে সুরজিৎ আরও বলেন, “মমতাজের মৃত্যুর সময় একটি ভালো প্রাসাদকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। এই প্রাসাদটি হল সম্রাট মান সিংয়ের প্রাসাদ। রাজার এই প্রাসাদকে ভেঙে, সেই জায়গায় তাজমহল নির্মাণ করা হয়েছে। আর তাই মান সিং এবং তাজমহলের সময়কে বিশ্লেষণ করে তথ্য জ্ঞাপন করুক এএসআই।”

    কী বলল দিল্লি হাইকোর্ট?

    গত শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি তুষার রাও গেদেলার বেঞ্চে তাজমহল (Taj Mahal) নিয়ে এই আবেদনের শুনানি করেন। আদালত নির্দেশ দেন, “এই মামলার আগেও একপ্রকার আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টা এএসআইয়ের পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।”

    আর কী দাবি?

    মামলার আবেদনকারী সুরজিৎ সিং যাদবের দাবি, তাজমহলের (Taj Mahal) নির্মাণ বিষয়ে এএসআই, জাতীয় তথ্য ভাণ্ডার থেকে অসত্য তথ্যকে যাতে সরিয়ে ফেলা হয়, তার জন্য কেন্দ্র এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নির্দেশ দিক আদালত। তাজমহলের সত্যকে তুলে ধরে আরও বলেন, “এএসআই ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে ১৬৪৮ সালে তাজমহল নির্মাণ হয়েছিল। তৈরি করতে সময় লেগেছিল ১৭ বছর। কিন্তু এই তথ্য পুরোপুরি ভুল। ১৬৩২ থকে ১৬৩৮ সালের মধ্যে সময়ে শাহজাহান, মানসিংয়ের প্রাসাদের সংস্করণ করেন। তাতে সময় লেগেছিল ১৭ বছর।” পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য তাজমহল সম্পর্কে আসল সত্য প্রকাশিত হোক এই কথাই বলেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Taj Mahal: গত ৪৫ বছরে এই প্রথম! তাজমহলের দেওয়াল ছুঁল যমুনার জল

    Taj Mahal: গত ৪৫ বছরে এই প্রথম! তাজমহলের দেওয়াল ছুঁল যমুনার জল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাজমহলের (Taj Mahal) দেওয়ালে ধাক্কা মারছে যমুনার ঢেউ। এমন ঘটনা অনেকের কাছেই কাল্পনিক মনে হতে পারে। কিন্তু এটাই বাস্তব। ৪৫ বছরে এই প্রথমবার যমুনার জল পৌঁছে গেল তাজমহলের দোরগোড়ায়। শেষবার এই ছবি দেখা গিয়েছিল ১৯৭৮ সালে। তাজমহল চত্ত্বরে ঢুকে গিয়েছিল যমুনা নদীর জল। তারপর কেটে গিয়েছে সাড়ে চার দশক। তাজমহলের পাশের শান্ত যমুনা যে হঠাৎই এমন ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে, তা স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে ছিল অকল্পনীয়।

    ভাসছে উত্তরভারত

    গোটা উত্তরভারত জুড়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছে প্রবল বৃষ্টিপাত। তার জেরে যমুনার জলস্তর এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। যা টপকে গিয়েছে বিপদসীমার রেখাও। তার ফলে প্লাবিত হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা। জল থৈ থৈ লালকেলা চত্বরের ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্লাবিত হয়েছিল দিল্লর সবচেয়ে বড় শ্মশান নিগমবোধ ঘাটও। এবার যমুনার জল ঢুকে পড়ল তাজমহলে। তবে এর ফলে বড় কোনও বিপদের সংকেত এখনও পাওয়া যায়নি।

    কী বলছে এএসআই

    এদিকে, তাজমহল (Taj Mahal) চত্বর জলে ভেসে যাওয়া চিন্তায় পড়েছেন ইতিহাসবিদরাও। ইতিমধ্যে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এখনও পর্যন্ত দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। এখনও তাজমহলের বেসমেন্ট পর্যন্ত জল প্রবেশ করেনি। তবে যমুনার বাড়তে থাকা জলস্তরের দিকে নজর রাখছেন তাঁরা। আগামীদিনে বিপদ বাড়তে পারে কি না, তা নিয়ে কাটাছেড়া চলছে। তবে তাজমহলের দেওয়াল স্পর্শ করে ফেলেছে যমুনার জল। আকির্ওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাজমহলের বেসমেনেট এখনও জল ঢোকেনি। তাজমহলে এএসআই-এর সংরক্ষণ সহকারী প্রিন্স বাজপেয়ী বলেন, ‘বন্যার প্রবল জলোচ্ছ্বাসেও তাজমহলের মূল স্মৃতিসৌধের মধ্যে জল ঢুকতে পারবে না। কারণ, সেই মতো পরিকল্পনা করেই তা বানানো হয়েছে।’

    আরও পড়ুন: ‘মণিপুরকে বাঁচান’! উদ্বিগ্ন অলিম্পিয়ান মীরাবাঈ চানুর চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে

    ১৯৭৮ সালে শেষ বার যমুনার জল তাজমহলের (Taj Mahal) পিছনের দেওয়ালে ধাক্কা মেরেছিল। তখন যমুনার জলস্তর ছিল ২০৭.৪৯ মিটার। গত সপ্তাহে সেই রেকর্ড অবশ্য ভেঙে গিয়েছে। যমুনার জলস্তর পৌঁছে গিয়েছিল ২০৮.৬৬ মিটার। তার পরেও সুরক্ষিত তাজমহল। তবে নতুন করে প্রবল বর্ষণ না হলে আপাতত ভয়ের কিছু দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Taj Mahal: করোনা পরীক্ষা ছাড়া তাজমহলে প্রবেশ নয়, নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    Taj Mahal: করোনা পরীক্ষা ছাড়া তাজমহলে প্রবেশ নয়, নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবেশী দেশ চিনে ফের বাড়ছে করোনার প্রকোপ। দেশেও যাতে করোনা পরিস্থিতি হাতের বাইরে না চলে যায় তার জন্যে আগে থেকেই সতর্ক কেন্দ্রীয় সরকার। দেশে ফের কোভিড নীতি লাগু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। আর তারই প্রথম ধাপ হিসেবে, এখন থেকে করোনা পরীক্ষার সার্টিফিকেট ছাড়া তাজমহলে (Taj Mahal) প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করল আগ্রা জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

    আরও পড়ুন: কলকাতায় আসছেন মোদি, হাওড়ায় করবেন জনসভা, রয়েছে গুচ্ছ কর্মসূচিও  

    আগ্রার জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিল সতসঙ্গি বৃহস্পতিবার এই নিয়ম জারি করেন। তিনি জানান, তাজমহলে (Taj Mahal) প্রতিদিন দেশ, বিদেশের বহু মানুষ বেড়াতে আসেন। করোনা যাতে না ছড়ায়, সে জন্যই কোভিড পরীক্ষা করে তবেই প্রবেশ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

     

    প্রতি দিন বিশ্বের (Taj Mahal) নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার পর্যটক মুঘল আমলে তৈরি পৃথিবীর এই সপ্তম আশ্চর্য দেখতে আসেন। কিন্তু চিন-সহ এশিয়ার একাধিক দেশে যে ভাবে করোনার প্রকোপ বাড়ছে, তাতে এখন থেকেই শক্ত হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। আর সে কারণেই করোনা-পরীক্ষার এই সিদ্ধান্ত। অনিল সতসঙ্গি বলেন, “সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য এর মধ্যেই পরীক্ষা শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর। যেহেতু সতর্কতা বেড়েছে, তাই পর্যটকদের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা এখন বাধ্যতামূলক।”

    করোনার এই উর্ধ্বগতি দেখে আবার বেশ কিছু কোভিড বিধি নির্ধারণ করে দিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ভারতের (Taj Mahal) পরিস্থিতি মোটেও উদ্বেগজনক নয়। আতঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই এখনি। কিন্তু ঢিলেমি করলেও চলবে না। চিকিৎসার থেকে প্রতিরোধ ভালো। তাই সকলকেই কোভিড মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে হবে। 

    নতুন কোভিড বিধিগুলি কী কী?

    • মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
    • সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। 
    • স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। 
    • বিয়ে, সামাজিক এবং রাজনৈতিক যে কোনও ধরনের জমায়েত বন্ধ। 
    • আন্তর্জাতিক যাত্রা পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে।
    • জ্বর, গলা ব্যথা, কাশি বা পেটখারাপ হলে অবিলম্বে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন। 
    • প্রিকশনারি ডোজ-সহ কোভিড ভ্যাকসিনের সব কটি ডোজ নিয়ে নিতে হবে। 
    • সরকারের তরফে যা নির্দেশিকা দেওয়া হবে, তা মেনে চলতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Taj Mahal: বকেয়া করের নোটিস পেল তাজমহলও, ৩৭০ বছরে প্রথমবার

    Taj Mahal: বকেয়া করের নোটিস পেল তাজমহলও, ৩৭০ বছরে প্রথমবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাড় নেই কারোরই। পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য তাজমহলকে (Taj Mahal) দিতে হবে আবাসন কর। অবাক লাগছে? বিশ্বাস হচ্ছে না? কিন্তু সত্যিই এমনটা ঘটেছে। তাজমহল কর্তৃপক্ষকে বকেয়া করের নোটিস ধরিয়েছে ভারত সরকার। তাজমহলের ৩৭০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার ঘটল এমন ঘটনা। সম্পত্তি কর বাকি, জলের কর বকেয়া, এই মর্মে নোটিস ধরানো হল তাজমহল ও আগ্রা ফোর্টকে। যোগী সরকারের বিভিন্ন দফতর বিভিন্ন ইস্যুতে বকেয়া বিল ধরিয়েছে ওই দুই স্থানকে। 

    কী ঘটেছে? 

    তাজমহলের (Taj Mahal) আবাসন কর জমা দেওয়ার জন্য আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বিভাগকে নোটিশ পাঠিয়েছে আগ্রা পৌরনিগম। এএসআইকে ১৫ দিনের মধ্যে সেই কর জমা দিতে বলা হয়েছে। নোটিশ দেখে বিস্মিত এএসআই আধিকারিকরা। প্রথমবার এমন নোটিস পেলেন তাঁরা। এ ব্যাপারে পৌরনিগমকে চিঠি পাঠিয়েছেন এএসআই অফিসাররা৷ 

    বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের তালিকাভুক্ত তাজমহল। সেই তাজমহলের (Taj Mahal) জন্য গত ৩৭০ বছরে প্রথমবার এমন নোটিস পেল আইএসআই। গত ২৫ নভেম্বর এমন নোটিস জারি করেছে আগ্রা পৌরনিগম। কিন্তু সেই নোটিশ সম্প্রতি এএসআই-এর হাতে এসেছে। এর সঙ্গে যমুনার ওপারে অবস্থিত ইতমাদ-উদ-দৌলার জন্যও আবাসন করের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এএসআই- এর এক আধিকারিক বলেন, “ব্রিটিশ শাসনকালের সময় থেকে স্মৃতিসৌধের আবাসন কর নেওয়া হয়নি। সেই কারণে পৌরনিগমের এই নোটিসে আধিকারিকরাও বিস্মিত।” পৌরনিগমের জারি করা নোটিস অনুসারে, ৩১ মার্চ, ২০২২ পর্যন্ত, জমির কর বকেয়া ৮৮,৭৮৪ টাকা এবং এর উপর ৪৭,৯৪৩ টাকা সুদ রয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য এই আবাসন কর দেখানো হয়েছে ১১,০৯৪ টাকা । তাজমহলের জন্য মোট ১,৪৭,৮২৬ টাকা আবাসন কর দেওয়ার জন্য নোটিস দেওয়া হয়েছে৷

    আরও পড়ুন: সাত দিনের পুলিশি হেফাজত অনুব্রতর, আটকে গেল দিল্লি যাত্রা, বৈঠকে ইডি     

    এএসআই-এর সুপারিনটেনডেন্ট প্রত্নতাত্ত্বিক রাজকুমার সরকার বলেন, “বিশ্ব ঐতিহ্য তাজমহল (Taj Mahal) এবং ইতমাদ-উদ-দৌলা স্মৃতিসৌধের আবাসন কর জমা দেওয়ার জন্য পৌরনিগমের পক্ষ থেকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। আগ্রায় তাজমহল-সহ সমস্ত স্মৃতি সৌধ দেখাশোনা করে এএসআই। যদিও এই স্মৃতিস্তম্ভগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে।” সহকারী পৌর কমিশনার সরিতা সিং জানান, সাই কনস্ট্রাকশন কোম্পানি স্যাটেলাইট ইমেজ ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে হাউস ট্যাক্সের জন্য জরিপ করেছিল। তার ভিত্তিতে নোটিস জারি করা হয়েছে। কোম্পানিটি জরিপেও অনেক ভুল করেছে, যার কারণে নোটিসও পাঠানো হয়েছে ভুল ভাবে। এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এখন যা ভুল হয়েছে কোম্পানিটির, সেগুলি সংশোধন করা হচ্ছে এবং এর তদন্ত করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mohan Bhagwat: সব মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার এত হিড়িক কীসের? সমালোচনা মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: সব মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার এত হিড়িক কীসের? সমালোচনা মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী (gyanvapi) কাণ্ডের পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মসজিদে মসজিদে হিন্দু দেবদেবীর খোঁজ করার যে প্রবণতা তৈরি হয়েছে, তার সমালোচনা করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তাঁর প্রশ্ন, প্রতিটি মসজিদে শিবলিঙ্গের খোঁজ করার এত হিড়িক কীসের? আরএসএস কর্মীদের এক মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে ভাগবত বলেন, বিতর্ক তৈরি করা উচিত নয়। হিন্দু ও মুসলমানদের উচিত ঐতিহাসিক বাস্তবতা এবং ঘটনাগুলিকে হিংসা ছাড়াই মেনে নেওয়া।

    আরও পড়ুন :জ্ঞানবাপী মসজিদে পাওয়া ‘শিবলিঙ্গ’ বিশ্বেশ্বরের! দাবি কাশীর প্রধান মহন্তর

    অযোধ্যায় (Ayodhya) রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ বিতর্কের (Ram Mandir-Babri Masjid dispute) অবসান হয়েছে। এখন আদালতে চলছে জ্ঞানবাপী-কাশী বিশ্বনাথ মন্দির বিতর্ক (Gyanvapi-Kashi Viswanath temple dispute)। তার পর একের পর এক মসজিদ (masjid) নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক। সংঘ প্রধান যে এই বিতর্ক ভালোভাবে নিচ্ছেন না, তাঁর এদিনের বক্তব্যই তাঁর প্রমাণ।  

    জ্ঞানবাপী বিতর্ক থেকে আরএসএস-কে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করেন ভাগবত। জানান, অযোধ্যা ছাড়া আর কোনও আন্দোলনে জড়িত নন তাঁরা। তিনি বলেন, যদি কেউ অন্য মত পোষণ করেন, তাহলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। সেক্ষেত্রে আদালতের রায় মেনে নিতে হবে।

    জ্ঞানভাপি মসজিদ-কাশী বিশ্বনাথ মন্দির বিরোধের একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন ভাগবত। পরামর্শ দেন, হিন্দু ও মুসলিম পক্ষগুলিকে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে যাতে বিষয়টির সৌহার্দ্যপূর্ণ মীমাংসা করা যায়। আদালত রায় দেওয়ার পরে এই ইস্যুতে কোনও আন্দোলন হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। 

    ধর্মীয় স্থানগুলি নিয়ে নিত্যবিরোধ উত্থাপনের বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠনকে আগেই সতর্ক করেছিলেন ভাগবত। কুতুব মিনার (Kutub Minar) থেকে আজমেড় দরগাহ (Ajmer Dargah), তাজমহল (Taj Mahal) সহ বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভে হিন্দু মূর্তিগুলির প্রমাণ সম্পর্কে সাম্প্রতিক দাবিদাওয়ার প্রেক্ষিতে ভাগবতের প্রশ্ন, কেন প্রতিটি মসজিদে শিবলিঙ্গের সন্ধান করা হবে?

    আরএসএস প্রধান বলেন, কিছু জায়গার প্রতি আমাদের বিশেষ ভক্তি ছিল। আমরা সেগুলি সম্পর্কে বলেছিলাম। কিন্তু আমাদের প্রতিদিন একটি নতুন বিষয় নিয়ে সামনে আসা উচিত নয়। কেন আমরা বিরোধ বাড়াব? ভাগবত বলেন, জ্ঞানবাপীর প্রতি আমাদের ভক্তি আছে। তা নিয়ে কিছু করাও ঠিক আছে। কিন্তু প্রতিটি মসজিদে শিবলিঙ্গের খোঁজ কেন? তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকের উচিত আদালতের রায়কে আমাদের সম্মান জানানো। 

    আরও পড়ুন : ধ্বংস হয়ে যাওয়া ধর্মীয় স্থানগুলিতে মিলতে পারে শিবলিঙ্গ, দাবি গোয়ার মন্ত্রীর

    প্রত্যেক ভারতবাসীর উৎস যে একই তা এদিন ফের একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন ভাগবত। বলেন, ভারতীয় মুসলমানদের পূর্বপুরুষরাও হিন্দু ছিলেন। হিন্দুরা একটি অখণ্ড ভারতের দ্বিখণ্ডন মেনে নিয়েছে। একটি মুসলিম দেশ পাকিস্তানের পথ প্রশস্ত করেছে। সংঘ প্রধান বলেন, বিপুল সংখ্যক মুসলিম আছেন যাঁরা ভারতে থেকে গিয়েছেন এবং পাকিস্তানে যেতে পছন্দ করেননি, তাঁরা সকলেই ভারতীয়।

    ভাগবত বলেন, আমাদের কোনও প্রকার উপাসনার বিরুদ্ধে কোনও বিরোধিতা নেই। আমরা সকল প্রকার উপাসনাকে গ্রহণ করি এবং পবিত্র বলে মনে করি। তারা হয়তো উপাসনার একটি ভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। ভাগবতের মতে, তাঁরা আমাদের মুনি, ঋষি, ক্ষত্রিয়দের বংশধর। আমরা একই পূর্ব পুরুষের বংশধর।

LinkedIn
Share