Tag: Taliban

Taliban

  • Bangladeshi Islamist: “আত্মঘাতী জঙ্গি পাঠিয়ে তালিবানের ধাঁচে কলকাতা দখল করব”, হুমকি বাংলাদেশি মৌলবীর

    Bangladeshi Islamist: “আত্মঘাতী জঙ্গি পাঠিয়ে তালিবানের ধাঁচে কলকাতা দখল করব”, হুমকি বাংলাদেশি মৌলবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কলকাতায় আত্মঘাতী জঙ্গি (Suicide Bombers) পাঠাব। তালিবানের ধাঁচে কলকাতা দখল করব।” এমনই হুমকি দিতে শোনা গেল বাংলাদেশি এক মৌলবীকে (Bangladeshi Islamist)। তার ওই হুমকি-বার্তার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। বক্তব্যের মধ্যেই সে হিন্দুদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গারও করছিল। ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে ‘ভয়েস অফ বাংলাদেশি হিন্দুস’-এর এক্স হ্যান্ডেল থেকে।

    কলকাতা দখল করো (Bangladeshi Islamist)

    সেখানে ওই বাংলাদেশি মুসলিমকে বলতে শোনা যায়, “যদি বাংলাদেশি সেনাবাহিনী আমাকে এখনই বলে, কলকাতা দখল করো, তাহলে আমি একটি পরিকল্পনা করব। ৭০টি যুদ্ধ বিমান ব্যবহারের কথা না হয় বাদই দিলাম, আমি কলকাতা দখল করতে সাতটি বিমানও ব্যবহার করব না। আমার ৭০টি বিমানের কী দরকার? আমি জানি সেখানে কারা থাকে, যারা মূর্তি পুজো করে, তারা।” বাংলাদেশি ওই মুসলমানকে বলতে শোনা যায়, “আমি জানি, তাদের (হিন্দুদের) প্রিয় খাবার হল মলমূত্র, গোবর এবং কচ্ছপের মতো নোংরা জিনিস। আমি জানি, তারা কতটা কম বোঝে। আমি এও জানি, তারা শারীরিকভাবে কতটা দুর্বল। আমি জানি, তাদের ধর্মের প্রতি তাদের কতটা বিশ্বাস। আমি এই সবই জানি। যদিও আপনি এই জিনিসগুলি না জানেন, তাহলে আপনি একজন মুসলিম সেনাপতি হতে পারবেন না, বুঝেছেন?” ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় তাকে বলতে শোনা যায়, “আমি জানি, এই হিন্দুরা রক্ত দেখলে কতটা ভয় পায়। মূর্তিপূজারিরা রক্ত দেখলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।”

    আত্মঘাতী বোমারুদের ব্যবহার করব

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক (Bangladeshi Islamist) মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পক্ষকাল পরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালিয়ে বেশ (Suicide Bombers) কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটি দুরমুশ করে দেয় ভারতীয় সেনা। এর পরেই সংঘাত শুরু হয় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। এই আবহেই ভাইরাল হল এক বাংলাদেশি মুসলমানের কলকাতা ওড়ানোর ছকের হুমকি। ভিডিওয় তাকে বলতে শোনা যায়, “যদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাকে অনুমতি দেয়, তাহলে আমি যা করব, তা হল – আমি সব চেয়ে বেশি আত্মঘাতী জঙ্গিদের কলকাতায় পাঠাব। আমি কী ব্যবহার করব? আত্মঘাতী জঙ্গিদের ব্যবহার করব।” সে বলছে, “ইসলামিক আয়াত, তাদের নিয়ম হল আগে মর, তারপর মার। জেন জেড বলছে, এটা তো আগে কখনও শুনিনি, প্রথমবার শুনছি। কিন্তু স্যার, আমি মারা যাওয়ার পর কীভাবে হিন্দুদের হত্যা করতে পারি?”

    প্রথমে মর, তারপর কাফেরদের হত্যা কর

    ইসলামিক আয়াতের প্রসঙ্গ টেনে তাকে বলতে শোনা যায়, “আমি আক্রমণ করব। তারপর তারা আমাকে আঘাত করবে। আরবি দেশগুলিতে আমি আর একটি আয়াত শিখেছি, ইসলামি আয়াত, প্রথমে মর, তারপর কাফেরদের হত্যা কর। দুটি সুপারপাওয়ার – আমেরিকা ও রাশিয়াকে পরাজিত করতে তালিবানরা এই কৌশল প্রয়োগ করেছিল।” তাকে আরও বলতে শোনা যায়, “আল্লাহু আকবর বলো। তারা এমন বাইক ব্যবহার করেছিল যার শরীরে বোমা বাঁধা ছিল। তারা সেনা ক্যাম্পের দিকে রওনা হয়েছিল। তাদের (Bangladeshi Islamist) গুলি করা হয়েছিল। একটি গুলিতে আপনি সঙ্গে সঙ্গে মারা যাবেন না। তারা তাদের বোমা ভর্তি বাইকটা ক্যাম্পের দেয়ালে সজোরে ধাক্কা দেয়।” সে বলে, “বাইকটি (Suicide Bombers) ক্যাম্পের দেয়ালে ধাক্কা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একটি বিশাল বিস্ফোরণ ঘটে। ওই বিস্ফোরণে ৩০০ জন আমেরিকান নাগরিক মারা গিয়েছিল। ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল ক্যাম্পটিও। প্রথমে কে মারা গিয়েছিল? মুসলিম বাইকার। পরে সে কাকে হত্যা করে? কাফেরদের।”

    বাংলাদেশের ভারত দখলের স্বপ্ন

    ভিডিওয় মৌলানা আবদুল কুদ্দুস নামের ওই মৌলবীকে বলতে শোনা যায়, “বাইক নিয়ে বোমা হামলা ঘটাব! বাইক আরোহীর গায়ে বাঁধা থাকবে বোমা। যত পারব, তত আত্মঘাতী বাহিনী পাঠাব।” প্রসঙ্গত, এই মাসের শুরুতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ভারতের উত্তর-পূর্বের ৭ রাজ্য দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিজিবির প্রাক্তন ডিজি আলম ফজলুর রহমান। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের ইন্ডিপেনডেন্ট এনকোয়ারি কমিশনের চেয়ারপার্সন (Bangladeshi Islamist)। ওই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, “ভারত পাকিস্তান আক্রমণ করলে বাংলাদেশের উচিত হবে উত্তর-পূর্ব ভারতের সাত রাজ্য দখল করে নেওয়া। এ ব্যাপারে চিনের সঙ্গে যৌথ সামরিক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন বলে মনে করি।” তিনি এও লেখেন, “পাকিস্তানকে সামরিকভাবে রক্ষা করা এখন আমাদের অস্তিত্বের জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এটা একটা স্ট্র্যাটেজিক বিষয়। পারস্পরিক নির্ভরতার বিষয়। যদি ভারত পাকিস্তানকে আক্রমণ করে তবে চিনের সঙ্গে মিলে ভারতের উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যকে (Suicide Bombers) দখলে নেওয়া এটা ভারতের পাকিস্তান আক্রমণের রিজিওনাল ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া (Bangladeshi Islamist)।”

  • Joe Biden: ইউএসএআইডির টাকা গিয়েছে হামাস, তালিবান, আল কায়েদার হাতে! কাঠগড়ায় বাইডেন প্রশাসন

    Joe Biden: ইউএসএআইডির টাকা গিয়েছে হামাস, তালিবান, আল কায়েদার হাতে! কাঠগড়ায় বাইডেন প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা গিয়েছে জঙ্গিদের হাতে! বিশ্বের মার্কামারা জঙ্গি সংগঠনগুলির হাতে পৌঁছেছে এই টাকা। জঙ্গিদের এই তালিকায় রয়েছে কুখ্যাত হামাস, তালিবান এবং আল কায়েদাও। ঘটনাটিকে মার্কিন কংগ্রেসের আইনপ্রণেতারা ‘জাতীয় লজ্জা’ এবং ‘মার্কিন করদাতাদের সঙ্গে বিপজ্জনক বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে অভিহিত করেছেন (Joe Biden)।

    অর্থ সাহায্যে উদ্বেগ (Joe Biden)

    জানা গিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (USAID) মাধ্যমে বিলি করা বৈদেশিক সাহায্য খরচ হয়েছে ওই খাতে। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে এক শুনানি হয়। শিরোনাম ছিল ‘আমেরিকা লাস্ট: কীভাবে বিদেশি সাহায্য সারা বিশ্বে মার্কিন স্বার্থকে দুর্বল করেছে’। ইউএসএআইডি কীভাবে করদাতাদের অর্থ খরচ করেছে, তা খতিয়ে দেখতেই আয়োজন করা হয়েছিল শুনানির। এই শুনানিতে প্রতিনিধি টিম বারচেট এবং মার্জোরি টেলর গ্রিন ইজরায়েলের ওপর হামাসের প্রাণঘাতী হামলার পর ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় দেওয়া ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

    করদাতার অর্থ হামাসকে বাঁচিয়ে রেখেছে!

    বাইডেন প্রশাসনকে নিশানা করে বারচেট বলেন, “করদাতার অর্থ হামাসকে বাঁচিয়ে রেখেছে। আমাদের সরকার অন্ধভাবে কোটি কোটি ডলার সেই অঞ্চলে পাঠাচ্ছে, যা আদতে একটি জঙ্গি সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি অবমাননাকর ব্যাপার। এই প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে এটা নিশ্চিত করতে যে আমাদের সাহায্য সেই লোকরাই অপব্যবহার করছে, যারা আমেরিকা ও ইজরায়েলকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে চায়।” এক্সপার্ট উইটনেস রোমান সাক্ষ্য দিতে গিয়ে বলেন, “শিথিল তদারকি এবং জরুরি অনুমোদনের কারণে ইউএসএআইডি তহবিল গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা এড়িয়ে গিয়েছে।”

    কাঠগড়ায় বাইডেন প্রশাসন

    বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “‘জরুরি ব্যবহার’ বিধানের কারণে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। এর ফলস্বরূপ, গাজার দিকে পাঠানো প্রায় ৯০ শতাংশ মার্কিন সাহায্য হামাস-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে চলে গিয়েছে। এটি অযৌক্তিক। সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির আগে পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কার্যত হামাসের টিকে থাকায় ইন্ধন জুগিয়েছে।” বারচেট বলেন, “বাইডেন প্রশাসন এখনও আফগানিস্তানে প্রতি সপ্তাহে ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠাচ্ছে। এই অর্থের প্রধান উপভোক্তা তালিবান এবং আল কায়েদা।”

    তালিবানের কাছে নিলামে তোলা হয়

    এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন (Joe Biden), “প্রতি সপ্তাহে চার্টার জেটের মাধ্যমে আফগানিস্তানে করদাতাদের ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ পাঠানো হচ্ছে। এই নগদ অর্থ এরপর তালিবানের কাছে নিলামে তোলা হয়, যারা তাদের অংশ কেটে নেওয়ার পর বাকি অর্থ এনজিওগুলির মধ্যে বিলি করে। এই এনজিওগুলি পরে তালিবানকে ‘কর’ দিতে বাধ্য হয়, যা আদতে জঙ্গি শাসনব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে।” রোমানও বলেন, “আমাদের কাছে এমন প্রমাণও রয়েছে যেখানে মার্কিন সহায়তা পরোক্ষভাবে সোমালিয়ার আল-শাবাব, সুদানের হামজি নেটওয়ার্ক, হামাস, ইসলামিক জিহাদ, হিজবুল্লা, কাতাইব হিজবুল্লা এবং সিরিয়ার হায়াত তাহরির আল-শামকে সমর্থন করেছে।” তিনি বলেন, “ইউএসএইড কার্যত বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সংগঠনগুলোর জন্য একটি নগদ অর্থের পাইপলাইন হয়ে উঠেছে।” গ্রিনের অভিযোগের আঙুল আবার ইউক্রেনের দিকে।

    “আমরা একে দুর্নীতি বলি”

    তিনি জানান, জো বাইডেন যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন ইউএসএইড (USAID) তহবিল ব্যবহার করে তাঁর ছেলে হান্টার বাইডেনকে ইউক্রেনে দুর্নীতির তদন্ত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি বলেন, “যখন জো বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তাঁর ছেলে হান্টার ইউক্রেনের একটি জ্বালানি কোম্পানি, বুরিসমার বোর্ডে ছিলেন, যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় প্রসিকিউটর জেনারেল ভিক্টর শোকিন বুরিসমার বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, “তখন বাইডেন (Joe Biden) হুমকি দেন যে শোকিনকে বরখাস্ত না করলে ১ বিলিয়ন ডলার ইউএসএআইডি অনুদান আটকে দেওয়া হবে। এটা সব ভিডিওতে ধরা আছে।” সাক্ষী প্রিমোরাক বলেন, “আমরা একে দুর্নীতি বলি।”

    ইউএসএআইডির ভূমিকার নিন্দা

    ইউএসএআইডির ভূমিকার নিন্দা করে গ্রিন বলেন, “ইউএসএআইডি-প্রণোদিত শাসন পরিবর্তনের সবচেয়ে বিস্তৃত উদাহরণগুলোর একটি হল বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করার জন্য সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়ন করা।” তিনি বলেন, “আমেরিকাকে নিরাপদ করার পরিবর্তে ইউএসএআইডির অর্থ শেষ পর্যন্ত এমন কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে পৌঁছে যায়, যারা পরবর্তীকালে মার্কিন স্বার্থের বিরুদ্ধে চলে যায় (Joe Biden)।”
    রিপাবলিকান প্রতিনিধি এরিক বার্লিসন বলেন, “এটি আমেরিকান করদাতাদের প্রতি একটি লজ্জাজনক বিশ্বাসঘাতকতা। ইউএসএআইডি (USAID) সম্পূর্ণভাবে তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে এবং এর পূর্ণাঙ্গ সংস্কার প্রয়োজন।” তিনি বলেন, “আমরা এটা কখনওই মেনে নেব না যে আমেরিকান নাগরিকরা যখন জীবনযাত্রার খরচ মেটাতে সংগ্রাম করছেন, তখন বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার চলে যাচ্ছে জঙ্গিদের অর্থায়নে।”

  • Afghanistan: মেয়েদের পড়াশোনার পক্ষে সওয়াল, আফগানিস্তান ছাড়তে বাধ্য হলেন মন্ত্রী!

    Afghanistan: মেয়েদের পড়াশোনার পক্ষে সওয়াল, আফগানিস্তান ছাড়তে বাধ্য হলেন মন্ত্রী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপরাধ’ বলতে তিনি মেয়েদের পড়াশোনার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। তার জেরে তালিবান (Taliban) সরকারের মন্ত্রী মহম্মদ স্তানিকজাইকে বাধ্য করা হল আফগানিস্তান (Afghanistan) ছাড়তে। তালিবানরা যখন আফগানিস্তান দখল করে, তখন এই স্তানিকজাই হয়ে উঠেছিলেন তাদের মুখ। এখন দেশছাড়া হওয়ার পর তিনি দুবাইতে রয়েছেন বলে খবর।

     কী বললেন তালিবান সরকারের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী? (Afghanistan)

    ঘটনার সূত্রপাত গত ২০ জানুয়ারি। ওই দিন আফগানিস্তান-পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী খোস্ত প্রদেশে ‘গ্র্যাজুয়েশন’ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তালিবান সরকারের ওই মন্ত্রী। সেই সময় তিনি মেয়েদের পড়াশোনার ওপর তালিবানি নিষেধাজ্ঞার কড়া সমালোচনা করেছিলেন। তালিবান সরকারের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী স্তানিকজাই বলেছিলেন, “মেয়েদের শিক্ষার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারির ক্ষেত্রে কোনও অজুহাত দেওয়া যায় না। বর্তমানেও না এবং ভবিষ্যতেও না। আমরা দু’কোটি মানুষের প্রতি অন্যায় করছি। হজরত মহম্মদের সময়ও ছেলে-মেয়ে সবার জন্য খোলা ছিল জ্ঞানের দরজা। এমন কিছু অসাধারণ মহিলা ছিলেন, যাদের অবদান আমি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করলে তা যথেষ্ট সময় নেবে।”

    মহিলাদের জন্য শিক্ষা বন্ধ করেছিল তালিবান সরকার 

    ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তালিবান সরকার মহিলাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকে নিষিদ্ধ করেছিল। আফগানিস্তানে তালিবান রাজত্বে মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশাধিকার স্থগিত রয়েছে। আফগানিস্তানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়াউল্লাহ হাশিমি কর্তৃক জারি করা একটি চিঠিতে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহিলা শিক্ষার্থীদের প্রবেশাধিকার স্থগিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল (Afghanistan)।

    ওই দিনই বক্তৃতার সময় স্তানিকজাই তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদারও সমালোচনা করেছিলেন বলে অভিযোগ। শিক্ষানীতি পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে এই তালিবান নেতা সরাসরি আখুন্দজাদার কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছিলেন, “আমরা নেতৃত্বকে আবার শিক্ষার দরজা খোলার আহ্বান জানাচ্ছি।” এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেওয়া হয় বলে অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর। এর পরেই আফগানিস্তান ছাড়েন তিনি। যদিও স্তানিকজাইয়ের দাবি, শারীরিক সমস্যার কারণেই দেশ ছেড়েছেন তিনি।

    জানা গিয়েছে, ভারতের দেরাদূনের ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমির ১৯৮২ ব্যাচ ছিলেন স্তানিকজাই (Taliban)। ব্যাচমেটদের কাছে ‘শেরু’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন স্তানিকজাই (Afghanistan)।

  • India Taliban Officials Meet: আফগান ভূমে পাক হামলার নিন্দার পরেই আলোচনার টেবিলে নয়াদিল্লি-কাবুল

    India Taliban Officials Meet: আফগান ভূমে পাক হামলার নিন্দার পরেই আলোচনার টেবিলে নয়াদিল্লি-কাবুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানে এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছে পাকিস্তান। তার জেরে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের। এই সুযোগটাকেই সুন্দরভাবে কাজে লাগিয়ে দিল মোদি সরকার (Modi Government)। বুধবার দুবাইয়ে আলোচনার টেবিলে বসলেন ভারত ও আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসনের প্রতিনিধিরা (India Taliban Officials Meet)। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের সচিব বিক্রিম মিস্রির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির। উপস্থিত ছিলেন দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক মন্ত্রী ও সরকারি আধিকারিক।

    আলোচনার টেবিলে ভারত-আফগানিস্তান (India Taliban Officials Meet)

    ২০২১ সালে তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা পুনর্দখলের পরে এই প্রথমবার বিদেশের মাটিতে প্রতিনিধি পর্যায়ের এমন বৈঠক হল। এই বৈঠকের ঠিক দু’সপ্তাহ আগেই আফগানিস্তানের মাটিতে হামলা চালায় পাক বায়ুসেনা। এই হামলার দু’সপ্তাহের মাথায় কাছাকাছি এল ভারত ও আফগানিস্তান। সাউথ ব্লকের তরফে জানানো হয়েছে, এই বৈঠকে (India Taliban Officials Meet) আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে ইরানের চাবাহার বন্দর (Chabahar Port) থেকে পণ্য চলাচল পরিবহণ ও ক্রিকেট সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

    ট্র্যাক-টু কূটনীতি

    প্রসঙ্গত, গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করলেও, এখনও রাষ্ট্রসংঘের স্বীকৃতি পায়নি আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। ভারত-সহ বিশ্বের সিংহভাগ দেশের সঙ্গেই তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। মোদি সরকারও (Modi Government) তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি (India Taliban Officials Meet)। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে নয়াদিল্লি-কাবুল কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই। এহেন আবহে মোদি সরকার ট্র্যাক-টু কূটনীতির মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছে আফগানিস্তানের শাসকদের সঙ্গে। বিপদের সময় পাশে থাকায় ভারত সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন আফগানিস্তানের মন্ত্রী। দুই দেশই ভারত ও আফগানিস্তানের জনগণের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের ওপর জোর দেন।

    আরও পড়ুন: তিরুপতি মন্দিরে হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ৬, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    ভারত-আফগানিস্তান কাছাকাছি চলে আসায় প্রমাদ গুণছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ভারত ও আফগানিস্তানকে আলোচনার টেবিলে বসিয়ে (India Taliban Officials Meet) পাকিস্তানকে আরও একবার মাত দিল নরেন্দ্র মোদির সরকার (Modi Government)। এর আগে আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় ‘মানবিক সাহায্য’ পাঠিয়েছিল ভারত। এদিনের বৈঠকে সেজন্য নয়াদিল্লির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তালিবান প্রশাসনের মন্ত্রী। ২৫ ডিসেম্বর ভোরে আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে হামলা চালায় পাক বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। মৃত্যু হয়েছিল মহিলা, শিশু-সহ ৪৬ জন সাধারণ মানুষের। সোমবারই ওই হামলার নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছিল ভারত। তার ঠিক দু’দিনের মধ্যেই আলোচনার টেবিলে বসে গেল নয়াদিল্লি ও কাবুল (India Taliban Officials Meet)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Taliban: বাইরের কেউ দেখলে অশ্লীলতা! মেয়েদের ঘরের জানলা পুরোপুরি বন্ধ করার নিদান দিল তালিবান

    Taliban: বাইরের কেউ দেখলে অশ্লীলতা! মেয়েদের ঘরের জানলা পুরোপুরি বন্ধ করার নিদান দিল তালিবান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ির ভিতরে গৃহস্থালি কর্মে থাকা মহিলাদের দেখা অশালীন কাজ! এমন অদ্ভুত যুক্তি দিয়ে এবার আফগানিস্তানে মেয়েদের ঘর এবং বাইরের জানলা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার নিদান দিল তালিবান সরকার (Taliban)। সম্প্রতি তালিবানি নির্দেশে এই ধরনের জানলা বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে। এমন নির্দেশ সামনে আসতেই ফের শুরু হয়েছে বিতর্ক। তালিবানের (Taliban) যুক্তি, বাড়ির ভিতরে কাজ করতে থাকা কোনও মহিলাকে বাইরে থেকে দেখলেও অশ্লীল কাজকর্ম হতে পারে। রাস্তা থেকে কোনও মহিলাকে রান্না করতে দেখলে, জল তুলতে দেখলে বা ঘরের অন্যান্য কাজ করতে দেখলে পুরুষরা আকৃষ্ট হতেই পারেন, এধরনের আকর্ষণ নাকি তালিবানের মতে অশালীন কাজের মধ্যে পড়ে। তাই এইসব জায়গায় জানলা রাখা যাবে না। ওই নির্দেশে আরও জানানো হয়েছে, নতুন বাড়ি করলে কোনওরকম জানলাই রাখা যাবে না, পুরনো বাড়ি হলে জানলা বন্ধ করে দিতে হবে।

    জানলা বন্ধের কাজ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করবে তালিবানরা (Taliban)

    স্পষ্টভাবে তাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বাড়ির রান্নাঘর, প্রতিবেশীর দেওয়াল এবং মেয়েদের ঘরে জানলা থাকলে তা তাড়াতাড়ি বুজিয়ে দিতে হবে। এখানেই শেষ নয় গোটা বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে তালিবান সরকার (Afgan Women)। জানলা বন্ধের কাজ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করবে তালিবানরা, এমনটাও জানানো হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।

    আরও পড়ুন: অবৈধভাবে ভারতে থাকার জন্য ১৩ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করল মহারাষ্ট্র এটিএস

    ডিসেম্বরে এল জানলা বন্ধের ফতোয়া

    প্রসঙ্গত, মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ছাড়তেই ২০২১ সালের ১৫ অগাস্ট ফের একবার ক্ষমতায় আসে তালিবানরা (Taliban)। তারপর থেকেই মেয়েদের বিরুদ্ধে একাধিক ফতোয়া জারি করতে দেখা গিয়েছে। কয়েক মাস আগে নতুন নিয়ম করে তালিবান জানিয়েছিল, এক মহিলার কথা অন্য মহিলা শুনতে পারবেন না। পুরুষদের সামনে বা তাঁদের সঙ্গে জোরে কথা বলা আগেই বারণ ছিল। এরপর ডিসেম্বরে ফের এল জানলা বন্ধের ফতোয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Taliban: যুদ্ধ কি আসন্ন? পাকিস্তানের সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে ১৫ হাজার তালিবানি সেনা

    Taliban: যুদ্ধ কি আসন্ন? পাকিস্তানের সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে ১৫ হাজার তালিবানি সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হামলা ও পাল্টা হামলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাক-আফগান সীমান্ত (Afghanistan)। পাকিস্তানি বায়ুসেনার হামলার জবাব দিয়েছে আফগানিস্তানের তালিবানরা (Taliban)। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, তালিবানি হামলায় পাকিস্তানের সীমান্তে ১৯ জন পাকসেনার মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, পাক হামলায় আফগানিস্তানে তিনজন সাধারণ নাগরিকের প্রাণ গিয়েছে। পাকিস্তানের ওপর হামলা নিয়ে এক বিবৃতিতে তালিবান প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র এনায়তোল্লা খোয়ারাজামি বলেন, ‘‘কাল্পনিক সীমান্তের ও-পারে আকাশ-পথে অভিযান চালিয়েছে আমাদের বাহিনী। আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্তকারীদের চূড়ান্ত জবাব দেওয়া হয়েছে সেখানে।’’

    পাকিস্তানি সেনা ছাউনিতে আগুনও লাগিয়ে দিয়েছে তালিবানরা (Taliban)

    জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানের তালিবান (Taliban) সেনারা সীমান্তে বেশ কয়েকটি পাকিস্তানি সেনা ছাউনিতে আগুনও লাগিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে, দুটি পাকিস্তানি পোস্টও দখল করে নিয়েছে আফগান বাহিনী, এমনটাই খবর। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাতে আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে পাকিস্তানের বিমান হামলার পরেই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পাক হামলায় পাকতিকা প্রদেশে নারী ও শিশু সহ ৫১ জন নিহত হয় বলে জানা গিয়েছে। পাকিস্তান জানায়, তাদের লক্ষ্যবস্তু ছিল, তেহরিক-ই-তালিবান জঙ্গি গোষ্ঠীর ঘাঁটি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলি। কারণ, তাদের দেশে অশান্তি আর সন্ত্রাস ছড়ানোর পিছনে রয়েছে তালিবান মদতপুষ্ট এই জঙ্গি গোষ্ঠীরই হাত। 

    ১৫ হাজার তালিবান সেনা এগোচ্ছে পাক সীমান্তের দিকে

    গত মঙ্গলবারের পাক হামলার ঠিক চার দিনের মাথায় পাল্টা পাক সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় হামলা চালাল তালিবানরা (Taliban)। একইসঙ্গে তালিবানরা সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ এনেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়। পাক সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়েছে, অন্তত ১৫ হাজার তালিবানি সেনা হেরাট, কন্দহর, কাবুলের মতো এলাকা থেকে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমের প্রত্যন্ত খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মির আলি সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে। ঠিক এই আবহে আগামী কয়েক দিনে দুই দেশের সীমান্তের পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    আরও পড়ুন: কাজাখস্তানের পরে দক্ষিণ কোরিয়া, ১৮১ জনকে নিয়ে ভেঙে পড়ল বিমান, মৃত অন্তত ৬২

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan Air Strike: আফগানিস্তানে পাক বিমান হামলা! মৃত অন্তত ১৫, কড়া হুঁশিয়ারি তালিবানের

    Pakistan Air Strike: আফগানিস্তানে পাক বিমান হামলা! মৃত অন্তত ১৫, কড়া হুঁশিয়ারি তালিবানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের মাটিতে বিধ্বংসী বিমান হামলা চালাল পাকিস্তান। মঙ্গলবার রাতে আফগানিস্তানের (Air Strike on Afghanistan) পাকতিয়া প্রদেশের বারমাল জেলায় এই হামলা চালায় পাক বায়ুসেনা (Pakistan Air Strike)। এই ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা যাচ্ছে। পাক সেনার অতর্কিত এই হামলার পালটা জবাবের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তালিবান।

    ৭ গ্রামের উপর বিমান হামলা 

    স্থানীয় সূত্রে খবর, ২৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে লমান সহ ৭ গ্রামের উপর এই বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এই ঘটনায় একই পরিবারের ৫ সদস্য মারা গিয়েছেন। এই বিমান হামলার তদন্ত ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে। এই হামলার পিছনে আসলে দায় কার, তা খুঁজে বের করা হচ্ছে। তালিবান প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলার তীব্র প্রতিবাদ করা হচ্ছে।  পাকিস্তানের (Pakistan Air Strike) পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করা হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের (Air Strike on Afghanistan) মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণেই এই হামলা চালানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, সীমান্তবর্তী তালিবান আস্তানাগুলো লক্ষ্য করেই পাক বায়ুসেনার এই আক্রমণ।

    আরও পড়ুন: বসের সঙ্গে সহবাস করতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে তালাক ইঞ্জিনিয়ার স্বামীর

    তালিবানের নিন্দা

    ইসলামাবাদের সূত্র দাবি করছে, মঙ্গলবার আফগানিস্তানে অবস্থিত একটি জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অভিযান চালায় পাকিস্তানি বায়ুসেনা (Pakistan Air Strike)। সেই অভিযানে পাক তালিবানের (Air Strike on Afghanistan) প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ধ্বংস হয়েছে। সেই অভিযানে কয়েকজন জঙ্গিও মারা গিয়েছে বলে দাবি করে পাকিস্তানি সরকারি সূত্র। যদিও এই নিয়ে কোনও সরকারি আধিকারিক প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। পাকতিকায় বিমান হামলার পর পাল্টা জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তালিবান প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এই হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে তালিবানের তরফ থেকে। এই নিয়ে বলা হয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার বৈধ অধিকার রয়েছে তাদের। এদিকে দাবি করা হয়েছে, হামলায় ক্ষতিগ্রস্তরা ‘ওয়াজিরিস্তানি শরণার্থী’। উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিন ধরেই পাকিস্তানি সেনার ওপরে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের হামলা বেড়েছে। আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, পাকিস্তানি পক্ষের জানা উচিত যে, এ ধরনের একতরফা পদক্ষেপ কোনও সমস্যার সমাধান নয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh: মহিলারা বাজারে যেতে পারবেন না! ফতোয়া মৌলবাদীদের, আফগানিস্তানের পথে বাংলাদেশ?

    Bangladesh: মহিলারা বাজারে যেতে পারবেন না! ফতোয়া মৌলবাদীদের, আফগানিস্তানের পথে বাংলাদেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকার বাংলাদেশে (Bangladesh) ক্ষমতায় আসার পর থেকে মৌলবাদীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বকলমে তারা সরকার চালাচ্ছে। সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চলছে। চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারেরক পর থেকে উত্তাল রয়েছে গোটা দেশ। এই আবহের মাঝে এবার তালিবানি (Taliban) ফতোয়া দিল মৌলবাদীরা। আফগানিস্তানের পথে হেঁটে মহিলার ওপরে ফতোয়া জারি করা হল। তাও আবার খোদ বঙ্গবন্ধু মুজিবরের জেলায়। যা নিয়ে বিশ্ব জুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী ফতোয়া জারি করেছে মৌলবাদীরা? (Bangladesh)

    মহিলাদের ওপরে ফতেয়া জারি হয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) গোপালগঞ্জ জেলায় গহরডাঙ্গা এলাকায়। এই গোপালগঞ্জে শেখ হাসিনার বাড়ি। শেখ মুজিবর রহমানের বাড়ি, যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। এই ফতোয়া গহরডাঙ্গা দিয়ে শুরু, পর্যায়ক্রমে পুরো বাংলাদেশ জারি হবে বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে কট্টরপন্থীরা। বাজারে এসে কট্টরপন্থীরা মাইক নিয়ে ঘোষণা করছেন যে মহিলাদের বাজারে আসা নিষিদ্ধ। কোনও মহিলা বাজারে এসে জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে পারবেন না। মার্কেটে তাদের প্রবেশ নিষেধ। কোনও জিনিসের প্রয়োজন হলে, বাড়ির পুরুষদেরই আসতে হবে বাজারে। দোকানে মহিলারা আসতে পারবেন না। তাদের কাছে কোনও জিনিস বিক্রি করাও যাবে না। মহিলারা বাজারে এলে তাঁদের ফিরিয়ে দিতে হবে। সেই সঙ্গেই দোকানের সামনে রাখতে হবে পর্দা এবং সেটা নমাজের সময় নামিয়ে দিতে হবে। নমাজের সময়ে কোনও দোকানেই বেচাকেনা করা চলবে না। এ বার এই ফতোয়া জারি করা হয়েছে বাংলাদেশে।

    আরও পড়ুন: চলছে হিন্দু নির্যাতন, ঢাকায় যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব, সুর নরম বাংলাদেশের

    বাংলাদেশকে ‘জিহাদিস্তানে’ পরিণত!

    এই রকমই একটি ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করেছেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তাঁর দাবি, বাংলাদেশকে ‘জিহাদিস্তানে’ পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, কয়েকজন মুসলিম ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি বাজার এলাকায় মাইকিং করছেন। যদিও কোন বাজারের (Bangladesh) এই মাইকিং করা হয়েছে তার উল্লেখ করা হয়নি। সেখানেই বাজারে দোকান চালু রাখতে হলে কী কী নিয়ম মানতে হবে সেটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, দোকানদাররা মহিলাদের কাছে কিছু বিক্রি করতে পারবেন না। ‘দিন-ই-মাহফিলের’ পরিবেশ বজায় রাখার জন্যই তা করা হবে বলেও তাদের ওই ঘোষণায় জানানো হয়েছে। তসলিমার অভিযোগ, চিন্ময়কে জেলে রাখা এবং তাঁর মানবাধিকার লঙ্ঘন করার উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশে ‘হিন্দু জাগরণকে নস্যাৎ করা’। এই লেখিকার দাবি, বাংলাদেশকে হিন্দুশূন্য করে জিহাদিস্তানে পরিণত করতে চাইছে জিহাদিরা। এই লক্ষ্য নিয়ে তারা কাজ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Taliban: অন্য মহিলার সামনেও জোরে কোরান পড়তে পারবেন না আফগান মহিলারা!

    Taliban: অন্য মহিলার সামনেও জোরে কোরান পড়তে পারবেন না আফগান মহিলারা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নারী ও মেয়েদের (Afghan Women) স্বাধীনতার ওপর তালিবানি নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়তে পারে। এবং সেটা গণ্য হবে মানবতা-বিরোধী অপরাধ হিসেবে।” ২০২২ সালে এমনই মন্তব্য করেছিলেন আফগানিস্তানে (Taliban) মানবাধিকার বিষয়ক রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশেষ প্রতিবেদক। দু’বছর আগের ওই প্রতিবেদকের বলা কথা হুবহু মিলে গেল।

    তালিবানি নির্দেশিকা (Taliban)

    সম্প্রতি আফগানিস্তানের তালিব সরকার নয়া একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। এই নির্দেশিকায় আফগান নারীদের পরস্পরের উপস্থিতিতে উচ্চস্বরে প্রার্থনা করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, নয়া নির্দেশিকা জারির কথা জানিয়েছেন তালিবান সরকারের মন্ত্রী মহম্মদ খালিদ হানাফি। তিনি জানিয়েছেন, কোনও আফগান মহিলার উচিত নয় অন্য কোনও আফগান মহিলার সামনে জোরে কোরান পাঠ করা। কোরান এমনভাবে পাঠ করতে হবে যাতে তাঁরা একে অন্যের কথা শুনতে না পান। হানাফি বলেন, “মহিলাদের যখন তাকবির বা আজান পড়ার অনুমতি দেওয়া হয় না, তখন তাঁরা গান গাইতেও পারেন না, সঙ্গীত উপভোগও করতে পারেন না।”

    কী বললেন মন্ত্রী

    আফগান সরকারের ওই মন্ত্রী জানান, একজন মহিলার কণ্ঠস্বরকে ‘আওরাহ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর অর্থ হল, এটি সব সময় গোপন করা উচিত, সর্বসমক্ষে শোনা উচিত নয়। কোনও মহিলারও অন্য মহিলার আওয়াজ শোনা উচিত নয়। তাই এই নিয়ম। চলতি (Taliban) বছরের অক্টোবর মাসে আফগানিস্তানের তালিবান নৈতিকতা মন্ত্রণালয় একটি আইন কার্যকর করার অঙ্গীকার করেছে। এই আইন অনুযায়ী, সে দেশের সংবাদ মাধ্যম সকল জীবন্ত সত্তার ছবি প্রকাশ নিষিদ্ধ করবে। সাংবাদিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই নিয়মটি ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত করা হবে।

    আরও পড়ুন: আরও গাড্ডায় ট্রুডো! কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে সরাতে এবার গোপন ভোটের দাবি উঠল দলেই

    আফগান সমাজে যে মহিলাদের স্বাধীনতা আরও বেশি করে খর্ব করা হচ্ছে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। অগাস্ট মাসেই মহিলাদের জন্য নয়া নিয়ম জারি করেছিল আফগান সরকার। তাতে বলা হয়েছিল, আফগান মহিলাদের সব সময় সারা শরীর ঢেকে রাখতে হবে। ছাড় পাবে না মুখমণ্ডলও। অপরিচিত পুরুষদের দিকে তাকানোর ক্ষেত্রেও নারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। আফগান মহিলারা জনসমক্ষে (Afghan Women) বা বাড়ির ভেতরে জোরে কথা বলতে পারবেন না বলেও নিয়ম চালু করেছিল তালিবানরা (Taliban)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Afghanistan: মহিলাদের ঢাকতে হবে মুখ, বন্ধ গান, নয়া তালিবানি ফতোয়া আফগানিস্তানে

    Afghanistan: মহিলাদের ঢাকতে হবে মুখ, বন্ধ গান, নয়া তালিবানি ফতোয়া আফগানিস্তানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই কর্মক্ষেত্র সহ সর্বত্র নারী এবং পুরুষ উভয়ের সমান অধিকারের কথা বলা হয়। সেখানে আফগানিস্তানে (Afghanistan) তালিবানি (Taliban) শাসনে মেয়েদের উচ্চশিক্ষা আগেই বন্ধ হয়েছে। এবার আইনের নাম করে মহিলাদের জন্য একাধিক ফরমান জারি করল তালিবান সরকার।

    তালিবান আইন মন্ত্রকের মুখপাত্র কী বলেছেন? (Afghanistan)

    আফগানিস্তানের (Afghanistan) নৈতিকতা সংক্রান্ত মন্ত্রকের তরফে একগুচ্ছ নয়া আইন আনা হয়েছে। আইন মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ২০২২ সালে তালিবানের সর্বোচ্চ নেতার একটি নির্দেশের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। এখন তা আনুষ্ঠানিকভাবে আইন হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। এই নৈতিকতা সংক্রান্ত তালিবানের নয়া আইন, শরিয়ৎ আইনের সাপেক্ষে বানানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, নৈতিকতার প্রয়োজন সামনে রেখে আইন লঙ্ঘনের দায়ে হাজার হাজার জনকে আটক করেছে সে দেশের প্রশাসন।  

    আরও পড়ুন: নেপালের বাস দুর্ঘটনায় মৃত ৪১ ভারতীয়, শোকবার্তা রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    তালিবানের নতুন ফতোয়া

    তালিবান সরকারের নতুন ফতোয়ায় বলা হয়েছে,  কোনও অপরিচিত পুরুষের দিকে মেয়েরা তাকাতে পারবেন না। মহিলাদের ঢাকতে হবে মুখ। আর পুরুষদের রাখতে হবে দাড়ি। এছাড়াও নয়া নিয়মে গাড়ির চালকদের গাড়ির ভেতর গান চালাতেও নিষেধ করা হয়েছে। সেখানকার ট্যাক্সিচালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, হিজাব ছাড়া বা সঙ্গে পুরুষ নেই এমন মহিলাদের কোনওভাবেই যেন ট্যাক্সিতে না চাপানো হয়। পুরুষদের সঙ্গে মহিলাদের মেলামেশায়ও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। শুধু তাই নয়, আফগানিস্তানের (Afghanistan) মহিলারা জনসমক্ষে বা বাড়ির ভেতরে জোরে কথা বলতে পারবেন না। সংবাদমাধ্যমের দাবি, তালিবান সরকার এই বিষয়ে ১১৪ পাতার আদেশনামা দিয়েছে। মহিলারা যাতে অপরিচিত পুরুষের দিকে তাকিয়ে উত্তেজিত না হয়ে পড়েন বা অন্যদের উত্তেজিত না করেন সেজন্যই নিয়ম করা হয়েছে।

    বলা হয়েছে, জনসমক্ষে একজন মহিলার শরীর সবসময় ঢেকে রাখতে হবে। মহিলাদের যদি বাড়ি থেকে বেরোতে হয় তবে তাঁদের অবশ্যই পুরুষদের থেকে নিজেদের মুখ ও কণ্ঠস্বর লুকিয়ে রাখতে হবে। মহিলাদের প্রকাশ্যে গান গাওয়াও নিষেধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যাঁরা এই নিয়ম মানবেন না, তাঁদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হবে। এমন আইন স্বভাবতই অবাক করছে বিশ্বকে। আফগানিস্তানের তালিবান সরকার জানিয়েছে, গত এক বছরে ১৩ হাজার জনকে নিয়ম ভাঙার জন্য আটক করা হয়। তালিবানের নিয়ম ঘিরে সমালোচনা এসেছে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে। মহিলাদের ওপর বিধি নিষেধ আরোপ ও তাঁদের স্বাধীনতা খর্ব ঘিরে বহু মহলই তালিবানকে কাঠগড়ায় চড়িয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share