Tag: TATP

  • Amit Shah: ‘পাতালের তল থেকেও খুঁজে বের করব’, দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি অমিত শাহের

    Amit Shah: ‘পাতালের তল থেকেও খুঁজে বের করব’, দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজধানী দিল্লিতে গাড়িবোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িতদের পাতাল থেকে খুঁজে বের করেও শাস্তি দেওয়া হবে। তারা পালাতে পারবে না, দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah)। সোমবার হরিয়ানায় অনুষ্ঠিত নর্দার্ন জোনাল কাউন্সিলের ৩২তম বৈঠকে শাহ বলেন, “দিল্লি বিস্ফোরণের অপরাধীদের আমরা পাতালের তল থেকেও বের করব এবং নিশ্চিত করব যে তারা দেশের আইনে নির্ধারিত সর্বোচ্চ শাস্তি পায়।” গত ১০ নভেম্বর লালকেল্লা মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ঘটনাটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে “জঘন্য সন্ত্রাসী হামলা” আখ্যা দিয়ে জানায়— দোষীদের কোনও ভাবেই রেহাই দেওয়া হবে না।

    পুরো নেটওয়ার্ক ভাঙতে তৎপর

    সোমবার, এনআইএ এই ঘটনায় আরেকজনকে গ্রেফতার করেছে। কাশ্মীরের বাসিন্দা জাসির বিলাল ওয়ানি ওরফে দানিশ-কে শ্রীনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, দিল্লি বিস্ফোরণে (Delhi Blast) প্রযুক্তিগত কিছু সাহায্য চক্রান্তকারীদের যুগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। এনআইএ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৭৩ জন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে আহত প্রত্যক্ষদর্শীরাও রয়েছেন। পাশাপাশি দিল্লি পুলিশ, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, হরিয়ানা পুলিশ, উত্তর প্রদেশ পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে বৃহত্তর চক্রান্ত উদ্‌ঘাটন ও পুরো নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলার কাজ চলছে। এনআইএ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। জঙ্গি যোগের সূত্র মেলায় তৈরি করা হয়েছে একটি বিশেষ তদন্ত দল। এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার এবং একাধিক সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়ি ছাড়াও আরও দু’টি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারীরা।

    দিল্লি বিস্ফোরণে শাহী-বার্তা

    দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িতদের হুঁশিয়ারি দিয়ে এদিন শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘দিল্লির গাড়ি বিস্ফোরণের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তাদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেছি। এই ঘটনার নেপথ্যে জড়িত প্রত্যেক দোষীকে খুঁজে বার করার নির্দেশ দিয়েছি। তারা এ বার দেখবে আমাদের সংস্থাগুলির ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ। আমাদের তদন্ত সংস্থাগুলি এই ষড়যন্ত্রের শিকড় পর্যন্ত যাবে। যারা এই ষড়যন্ত্রের জন্য দায়ী, তাদের সকলকে বিচারের আওতায় আনা হবে। একজনকেও ছেড়ে দেওয়া হবে না।’’ উল্লেখ্য, দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ দেশজুড়ে একাধিক জায়গায় তল্লাশি ও ধরপাকড় শুরু করেছে। তদন্তে নেমে শ্রীনগর-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একাধিক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাঁদের বেশিরভাগই কাশ্মীরের। তদন্তকারীদের স্ক্যানারে হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়। একে একে সামনে আসছে দেশে ছড়িয়ে থাকা ‘হোয়াইট কলার টেরর’-এর ভয়াবহ তথ্য। এদিন শাহ বলেন, ‘‘দিল্লির এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় যেভাবে শাস্তি দেওয়া হবে, তা বিশ্বের কাছে বার্তা দেবে— ভারতে এমন ঘটনা ঘটানোর সাহস কেউ যেন না পায়।’’

    তদন্তে নয়া মোড়

    দিল্লির ভয়াবহ (Delhi Blast) বিস্ফোরণের তদন্তে বড়সড় মোড়। তদন্তকারী সংস্থাগুলির সন্দেহ, জইশ-যোগে আত্মঘাতী হামলাকারী ডাক্তার উমর উন নবি হয়তো ‘শু-বম্বার’ (Shoe Bomber) হিসেবেই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন। ফরেন্সিক পরীক্ষার নয়া তথ্য সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে। তদন্ত সূত্রের খবর, উমরের আই-২০ গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া এক জুতোর ভিতরেই মিলেছে বিস্ফোরণ ঘটানোর মতো ধাতব উপাদান। গাড়ির ড্রাইভারের সিটের নীচে, ডানদিকের সামনের চাকার কাছে পড়েছিল জুতোটি। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়, জুতো এবং গাড়ির টায়ার দুই জায়গাতেই মিলেছে টিএটিপি (TATP)-র চিহ্ন। অতিসংবেদনশীল এই বিস্ফোরককে দুনিয়ার জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি চেনে ‘মাদার অফ স্যাটান’ নামে। বিস্ফোরক মজুত ছিল বলেই নয়, বিস্ফোরণ ঘটানোর প্রথম ধাক্কা বা ইনিশিয়েশন মেকানিজম সম্ভবত জুতোর মাধ্যমেই চালানো হয়েছিল বলে সন্দেহ দানা বাঁধছে।

  • Mother of Satan TATP: বিস্ফোরণ ঘটাতে ‘শয়তানের মা’ টিএটিপি ব্যবহার উমরদের! কতটা শক্তিশালী এই বিস্ফোরক?

    Mother of Satan TATP: বিস্ফোরণ ঘটাতে ‘শয়তানের মা’ টিএটিপি ব্যবহার উমরদের! কতটা শক্তিশালী এই বিস্ফোরক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১০ নভেম্বর লালকেল্লার সামনে গাড়িতে বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। ২০ জনের বেশি জখম হন। বিস্ফোরণের তীব্রতায় কেঁপে উঠেছিল ওই এলাকা। ঘটনার এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। এখনও জোরকদমে এগোচ্ছে তদন্ত৷ আটক করা হচ্ছে ফরিদাবাদ ‘ডক্টর্স মডিউল’-এর (Doctors Module) সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ব্যক্তিদের৷ এবার দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত বিস্ফোরক নিয়ে সামনে এল ভয়ঙ্কর তথ্য৷ লালকেল্লায় বিস্ফোরণ (Delhi Red Fort Blast) ঘটাতে ‘শয়তানের মা’-কে (Mother of Satan TATP) ব্যবহার করেছিল জঙ্গিরা! এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল তদন্তে। এখনও গোটা বিষয়টি ফরেন্সিক পরীক্ষার আওতায় রয়েছে তবে, তদন্তকারীদের অনুমান, বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্যবহৃত হয়েছিল অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বিস্ফোরক ট্রাইঅ্যাসিটোন ট্রাইপারঅক্সাইড বা টিএটিপি (TATP), যা ‘মাদার অফ স্যাটান’ নামেও কুখ্যাত।

    কী এই ‘মাদার অফ স্যাটান’ টিএটিপি?

    ট্রাইঅ্যাসিটোন ট্রাইপারঅক্সাইড (Triacetone Triperoxide) বা টিএটিপি আদতে এটি একটি ভয়ঙ্কর রকমের স্পর্শকাতর রাসায়নিক, যা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের সঙ্গে বিক্রিয়ায় প্রবল বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে৷ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদী হামলায় এখন জঙ্গিরা বোমা তৈরিতে এই বিস্ফোরক ব্যবহার করে। ট্রাইঅ্যাসিটোন ট্রাইপারঅক্সাইড (Mother of Satan TATP) কেবল তাপের কারণে ফেটে যেতে পারে। এর জন্য কোনও ডেটোনেটর প্রয়োজন পড়ে না। শুধুমাত্র ঝাঁকুনি কিংবা সূর্যের উত্তাপেই ঘটতে পারে বিস্ফোরণ। টিএটিপি দিয়ে শক্তিশালী আইইডি বানানো যেতে পারে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা এখন এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছেন। চলছে নানা ফরেন্সিক পরীক্ষা।

    জইশের পছন্দের বিস্ফোরক টিএটিপি?

    বিশেষজ্ঞদের ভাষায়, টিএটিপি-র (TATP) সামান্য ঘর্ষণ, চাপ, তাপমাত্রার বদল, যে কোনও কিছুতেই ট্রাইমার অস্থিতিশীল হয়ে মারাত্মক বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। যে কারণে, উচ্চক্ষমতাশীল এই বিস্ফোরক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের বিশেষ পছন্দের। ২০১৫ সালে প্যারিস, ২০১৬ সালে বার্সেলোনা ও ব্রাসেলস, এবং ২০১৭ সালে ম্যাঞ্চেস্টার বিস্ফোরণে টিএটিপি (Mother of Satan TATP) ব্যবহৃত হয়েছিল। তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, উমর সম্ভবত এই টিএটিপি-র বিষয়ে জানতেন না। গাড়িতে টিএটিপি ঠাসা অবস্থায় তাঁকে লালকেল্লার কাছে পৌঁছতে বলে মডিউলের মাথারা। অস্থির প্রকৃতির বিস্ফোরক হওয়ায় সামান্য ঝাঁকুনিতেই বিস্ফোরণ ঘটে। আবার আরও একটি তত্ত্বের মতে, উমর আগে থেকেই জানত এই রাসায়নিক কতটা অস্থির। তা সত্ত্বেও সে ওই গাড়ি নিয়ে ঢুকেছিল চাঁদনি চকের পাশের সেই জনবহুল এলাকায়।

    উমরের হাতে টিএটিপি এল কী করে?

    অত্যন্ত জটিল এই বিস্ফোরক (Mother of Satan TATP) কোথা থেকে হাতে পেলেন উমর, তা ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, টিএটিপি তৈরি করতে লাগে একাধিক উপাদান। সেগুলো উমর কোথা থেকে সংগ্রহ করল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তাহলে কি বড় কোনও মডিউল তাকে সাহায্য করছিল? রাসায়নিক মেশানোর কাজে আরও কেউ কি যুক্ত ছিল (Delhi Red Fort Blast)? উমরের ডিজিটাল ট্রেইল, ফোন রেকর্ড, চলাচলের নথি সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

LinkedIn
Share