Tag: Taxi App

  • Bharat Taxi: আসছে দেশের প্রথম সমবায় ট্যাক্সি পরিষেবা ‘ভারত ট্যাক্সি’! যাত্রী সুবিধা, চালকদের আয় বৃদ্ধিই লক্ষ্য দাবি শাহের

    Bharat Taxi: আসছে দেশের প্রথম সমবায় ট্যাক্সি পরিষেবা ‘ভারত ট্যাক্সি’! যাত্রী সুবিধা, চালকদের আয় বৃদ্ধিই লক্ষ্য দাবি শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রথম সমবায় ট্যাক্সি পরিষেবা ‘ভারত ট্যাক্সি’ (Bharat Taxi) চালু হতে চলেছে দিল্লিতে। চালকদের আয় বাড়ানো এবং যাত্রী পরিষেবা উন্নত করার লক্ষ্যে কেন্দ্র সরকার শীঘ্রই ‘ভারত ট্যাক্সি’ পরিষেবা চালু করতে চলেছে। সম্প্রতি এই ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সমবায়মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকার এই পরিষেবা চালু করতে চলেছে। ট্যাক্সি পরিষেবার জন্য সমস্ত প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। সূত্রের খবর, চালকরা ভাড়ার লভ্যাংশ থেকে অনেক বেশি আয় করতে পারবেন। যার জন্য একটি মাসিক ক্রেডিট সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে।

    যাত্রী সুবিধা, চালকদের আয় বৃদ্ধিই লক্ষ্য

    হরিয়ানার পঞ্চকুলায় অনুষ্ঠিত সহকারী সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায়মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, সমবায় মন্ত্রকের উদ্যোগে চালু হতে যাওয়া এই পরিষেবায় অর্জিত সমস্ত লাভই চালকদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। অমিত শাহের কথায়, “আমরা খুব শীঘ্রই ‘ভারত ট্যাক্সি’ (Bharat Taxi) পরিষেবা চালু করব, যার প্রতিটি টাকার লাভ যাবে আমাদের চালক ভাইদের কাছে। এতে যাত্রীদের সুবিধা বাড়বে এবং একই সঙ্গে চালকদের আয়ও বৃদ্ধি পাবে।” দেশের অ্যাপ ক্যাব বাজারে বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে চলেছে নতুন এই প্ল্যাটফর্ম ‘ভারত ট্যাক্সি’। সূত্রের খবর, নতুন এই পরিষেবাটি জানুয়ারি মাসে নয়াদিল্লিতে পূর্ণাঙ্গ ভাবে চালু হতে চলেছে। এর আগে চলতি মাসের শুরুতে দিল্লি এবং গুজরাটের বেশ কিছু অংশে পরীক্ষামূলক ভাবে পরিষেবা শুরু হয়েছিল ভারত ট্যাক্সির। এই নতুন পরিষেবা ওলা, উবর এবং র‌্যাপিডোর মতো প্রতিষ্ঠিত সংস্থাগুলিকে টক্কর জোর টক্কর দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    ভারত ট্যাক্সি কী?

    ভারত ট্যাক্সি (Bharat Taxi) পরিচালনা করছে সহকার ট্যাক্সি কো-অপারেটিভ লিমিটেড। এই প্ল্যাটফর্মকে চালক-মালিকানাধীন দেশীয় মোবিলিটি পরিষেবা হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। সংস্থার দাবি এটি বিশ্বের বৃহত্তম ড্রাইভার-ওনড মোবিলিটি নেটওয়ার্ক। বর্তমানে দিল্লি এবং গুজরাটের সৌরাষ্ট্র অঞ্চলে গাড়ি, অটো-রিকশা ও বাইক ট্যাক্সি মিলিয়ে এক লক্ষের বেশি চালক এই প্ল্যাটফর্মে নথিভুক্ত রয়েছেন। ভারত ট্যাক্সি অ্যাপে স্বচ্ছ ভাড়া কাঠামো, একাধিক ভাষা, রিয়েল-টাইম গাড়ি ট্র্যাকিং এবং ২৪ ঘণ্টার গ্রাহক সহায়তার সুবিধা রয়েছে। যাত্রী ও চালক—দু’পক্ষের নিরাপত্তার জন্য যাচাই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এ ছাড়াও দিল্লি পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সংযোগ রেখে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।

    জিরো কমিশন মডেল

    ভারত ট্যাক্সির (Bharat Taxi) সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল জিরো-কমিশন মডেল। এই ব্যবস্থায় চালকরা ভাড়ার পুরো অর্থ নিজেরাই রাখতে পারবেন। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নথিভুক্ত চালকদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ক্যাব অপারেটর। এ ছাড়াও রয়েছেন অটো-রিকশা এবং বাইক ট্যাক্সির চালকেরা। সহকার ট্যাক্সি কো-অপারেটিভ ইতিমধ্যেই ভারত ট্যাক্সির মোবাইল অ্যাপ চালু করেছে। এই অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস— দুই প্ল্যাটফর্মেই পাওয়া যাচ্ছে। সংস্থার দাবি অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত অ্যাপটি ৭৫ হাজারের বেশি বার ডাউনলোড করা হয়েছে।

    ভাড়ার হার ও পরিষেবা

    এই প্ল্যাটফর্মে এসি, প্রিমিয়াম, নন-এসি এবং এক্সএল ক্যাবের অপশন মিলবে। সংস্থার দাবি, দু’মিনিটের মধ্যেই গাড়ি পাওয়া যাবে। ভাড়ার হারও তুলনামূলকভাবে অন্য সংস্থার থেকে কম থাকবে। এই অ্যাপে প্রথম ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত ন্যূনতম ভাড়া ৩০ টাকা। ৪ থেকে ১২ কিলোমিটারের জন্য প্রতি কিলোমিটার ভাড়া ২৩ টাকা এবং ১২ কিলোমিটারের বেশি হলে প্রতি কিলোমিটারে ১৮ টাকা ধার্য করা হবে। অন্যান্য অ্যাগ্রিগেটরদের মতোই ভারত ট্যাক্সি অ্যাপটি মেট্রোর মতো পাবলিক ট্রান্সপোর্ট পরিষেবার সঙ্গেও যুক্ত। ফলে ব্যবহারকারীরা একটি মাত্র অ্যাপের মাধ্যমেই যাতায়াতের একাধিক মাধ্যম ব্যবহার করে পুরো যাত্রার পরিকল্পনা করতে পারবেন। বর্তমানে দিল্লি ও গুজরাটে পরীক্ষামূলক পরিষেবা চালু রয়েছে। ব্যবহারকারীরা মোবাইল নম্বর দিয়ে সাইন আপ করতে পারবেন। পিক-আপ ও ড্রপ লোকেশন নির্বাচন করে পছন্দের রাইড বেছে নেওয়া যাবে। যাত্রার পুরো সময় রিয়েল-টাইম ট্র্যাকিং করা যাবে। ব্যবহার প্রক্রিয়া অন্যান্য বেসরকারি সংস্থার অ্যাপের মতোই সহজ।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির বিভিন্ন জনমুখী নীতি

    হরিয়ানার ওই অনুষ্ঠানে অমিত শাহ দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন জনমুখী নীতি নিয়ে কথা বলেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাজেট বৃদ্ধির প্রসঙ্গ তুলে ধরে অমিত শাহ জানান, ২০১৪ সালে যেখানে কৃষি বাজেট ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা, সেখানে বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ১.২৭ লক্ষ কোটি টাকা। একইভাবে, গ্রামীণ উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ৮০ হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১.৮৭ লক্ষ কোটি টাকা। দেশের উন্নয়নে হরিয়ানার অবদানের কথাও বিশেষভাবে তুলে ধরেন শাহ। তিনি বলেন, “হরিয়ানা রাজ্যের কৃষকরা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও দুগ্ধ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন এবং ক্রীড়াক্ষেত্রে অসংখ্য পদক এনে জাতীয় পতাকাকে গর্বিত করেছেন।” পাশাপাশি, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবকে দেশের খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বনির্ভর করার ক্ষেত্রে কৃতিত্ব দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। জাতীয় নিরাপত্তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনসংখ্যার তুলনায় হরিয়ানা থেকেই সর্বাধিক সংখ্যক সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য দেশকে রক্ষা করছেন।

     

     

     

     

     

LinkedIn
Share