Tag: TB

TB

  • India TB Elimination Campaign: ২০২৫ সালেই ভারত থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র, প্রত্যয়ী নাড্ডা

    India TB Elimination Campaign: ২০২৫ সালেই ভারত থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র, প্রত্যয়ী নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে যক্ষ্মা দূরীকরণে (India TB Elimination Campaign) জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। যক্ষ্মা রোগের জন্য দায়ী মাইকো ব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস। এই জীবাণু সাধারণত ফুসফুসে আক্রমণ করে। ছড়ায় বাতাসের মাধ্যমে। এক আক্রান্ত থেকে আরেক আক্রান্তের শরীরে। যক্ষ্মায় প্রতি বছর গড় মৃত্যুর হার ৫ শতাংশ। যক্ষ্মা রোগীদের আরও একাধিক রোগে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাও বেশি। জ্বর, শ্বাসকষ্ট, কাশি— এগুলিই যক্ষ্মার উপসর্গ। ভারত সরকার যক্ষ্মা নির্মূল অভিযান আরও সম্প্রসারণ করছে, সম্প্রতি এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেপি নাড্ডা।

    ১০০ দিন ধরে যক্ষ্মা নির্মূল অভিযান

    বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস ২০২৫ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেপি নাড্ডা জানান, দেশব্যাপী ১০০ দিন ধরে যক্ষ্মা নির্মূল অভিযান চালায় সরকার। এই অভিযান চলাকালীন মোবাইল স্ক্রিনিং ইউনিট, যেমন হাতে ধারণযোগ্য এক্স-রে মেশিন এবং নিউক্লিক অ্যাসিড এমপ্লিফিকেশন টেস্টিং (NAAT), দুর্গম এবং অবহেলিত এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ যক্ষ্মা সেবা পৌঁছে দিতে সহায়ক হয়েছে। সারা দেশে এই অভিযানের অঙ্গ হিসেবে ১৩.৪৬ লক্ষ শিবির আয়োজন করা হয়েছে। যক্ষ্মা চিকিৎসার কভারেজ ৫৯% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৮৫% হয়েছে। ৫,০০০ বিধায়ক এবং ১০,০০০ গ্রাম পঞ্চায়েত সক্রিয়ভাবে এই অভিযানে অংশগ্রহণ করেছে। নাড্ডা আরও জানান, তারা এই উদ্যোগটি সারা দেশের সমস্ত জেলার মধ্যে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছেন, যাতে কোনো রোগী অবহেলিত না থাকে। এই অভিযানে বিভিন্ন সেক্টরের ব্যাপক সমর্থন মিলেছে। ২২টি মন্ত্রক এই উদ্যোগে সহায়তা করেছে। ৩,০০,০০০ এরও বেশি নির্বাচিত প্রতিনিধি সচেতনতা এবং প্রতিরোধ প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছেন।

    যক্ষ্মা দূরীকরণে সরকারের ভূমিকা

    নাড্ডা (India TB Elimination Campaign) বলেন, “যক্ষ্মা এখনও সম্পূর্ণভাবে নির্মূল হয়নি, তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ” তিনি আরও জানান, ভারত যক্ষ্মা গবেষণায় বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী। তিনি জানান, কোভিড-১৯ এর সময় ব্যবহৃত আরটি-পিসিআর মেশিনগুলো এখন যক্ষ্মা নির্নয়ে ব্যবহার করা হয়। ভারতের স্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা (ICMR) দ্বারা উন্নীত দেশীয় ডায়াগনস্টিক কিটগুলো ৩২টি পরীক্ষা একসঙ্গে করতে সক্ষম। যা যক্ষ্মা নির্নয়ের খরচ কমিয়েছে। এআই-চালিত হ্যান্ডহেল্ড এক্স-রে মেশিনগুলি উপসর্গবিহীন যক্ষ্মা রোগ সনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।নাড্ডা একটি ডিজিটাল কফি টেবিল বুকও চালু করেছেন, যেখানে ‘ডিফারেনশিয়েটেড টিবি কেয়ারের উপর নির্দেশিকা ডকুমেন্ট’ শিরোনামে যক্ষ্মা নির্মূল অভিযানের প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে। যা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ যক্ষ্মা রোগীদের চিকিৎসার জন্য একটি রোডম্যাপ প্রদান করে।

  • TB in India: ২০২১ সালে ভারতে যক্ষ্মা আক্রান্ত ২১.৪ লক্ষ, জানাল হু

    TB in India: ২০২১ সালে ভারতে যক্ষ্মা আক্রান্ত ২১.৪ লক্ষ, জানাল হু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার দাপট কাটতে না কাটতেই ভয় দেখাতে শুরু করেছে যক্ষ্মা (Tuberculosis)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organisation) পরিসংখ্যান দিয়ে জানিয়েছে, ২০২১ সালে ভারতে ২১ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছেন। ২০২০-র তুলনায় এই সংখ্যা প্রায় ১৮ শতাংশ বেশি। হু জানিয়েছে, ২০২১ সালে গোটা দেশে ২২ কোটির বেশি মানুষ যক্ষ্মা পরীক্ষা করিয়েছেন। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের অবস্থা অনেকটাই ভালো। 

    যক্ষ্মা রোগের শনাক্তকরণ, চিকিৎসা এবং যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসায় করোনার প্রভাব সংক্রান্ত বিশ্বব্যাপী একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে হু। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে ভারতে মোট জনসংখ্য়ার প্রতি ১ লক্ষের মধ্যে ২১০ জনের যক্ষ্মা ধরা পড়েছে। ২০১৫ সালে এই সংখ্যা ছিল প্রতি ১ লক্ষে ২৫৬ জন। ১৮ শতাংশ কমেছে আক্রান্তের সংখ্যা। 

    আরও পড়ুন: এক কোটি টাকা ব্যাংকে থাকলেই ইন্দোনেশিয়ায় দশ বছর কাজ করার সুযোগ

    যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা কোন দেশে বেশি, কোন দেশে কম সেই তালিকা প্রকাশ করেছে হু। বেশি থেকে কমের তালিকায় ৩৬তম স্থানে রয়েছে ভারত। হু- এর তরফে জানানো হয়েছে, করোনা কালে যক্ষ্মার চিকিৎসায় প্রভাব পড়েছে গোট বিশ্বে। তবে ভারত তুলনামূলক ভালো ভাবে কাজ করেছে বলেও জানিয়েছে হু। হু- এর ,মতে সচেতনতার কারনেই নিয়ন্ত্রিত হয়েছে এই রোগ।     

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, বহু বছর ধরে সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়ে আসছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। যক্ষ্মার রোগীকে শনাক্ত করা, তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে তৎপর হয়েছে সরকার। আর তাতেই নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে এই রোগ।   

    কেন্দ্রীয় সরকারও যক্ষ্মা সংক্রান্ত নিজস্ব পরিসংখ্যান তৈরি করছে। বিশেষ পদ্ধতিতে তাতে যক্ষ্মা রোগের শনাক্তকরণ, রোগীর আয়ু সংক্রান্ত বিশদ তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। আগামী ছ’মাসের মধ্যে প্রকাশিত হবে সেই রিপোর্ট। হু-কেও সেই তথ্য প্রদান করবে কেন্দ্র। এ বছর সেপ্টেম্বর মাসেই প্রধানমন্ত্রী টিবি মুক্ত ভারত অভিযান প্রকল্পের সূচনা করেছে কেন্দ্র। তাতে বিভিন্ন সংস্থা, ব্যক্তির কাছ থেকে অনুদানও সংগ্রহ করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ১০ লক্ষ ৪৫ হাজাপ ২৬৯ রোগীর সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন ৪০ হাজার ৪৯২ জন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

LinkedIn
Share