Tag: tea workers

tea workers

  • Assam Govt: অসমের চা-বাগান কর্মীদের জমির অধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিজেপি সরকারের

    Assam Govt: অসমের চা-বাগান কর্মীদের জমির অধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিজেপি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার অসমের চা-বাগান (Tea Workers) কর্মীদের জমির অধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার (Assam Govt)। রাজ্য বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে সম্প্রতি একটি বিল পাস হয়েছে, এর মাধ্যমেই চা-বাগানের ‘শ্রমিক লাইনে’ বসবাসরত বাগান শ্রমিকদের ভূমির অধিকার দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। সদ্য সমাপ্ত শীতকালীন অধিবেশনে দীর্ঘদিনের দাবির সমাধান করতে অসম ফিক্সেশন অফ শিলিং অন ল্যান্ড হোল্ডিংস সংশোধনী বিল ২০২৫ পাশ হয়েছে।

    ঐতিহাসিক মুহূর্ত (Assam Govt)

    মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই আইনকে এই সম্প্রদায়ের কল্যাণের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “অনিশ্চয়তার প্রজন্ম থেকে মালিকানার ভবিষ্যতের দিকে। ল্যান্ড শিলিং অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২৫ অসমের চা-শ্রমিক সম্প্রদায়ের ৩ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি পরিবারকে তাদের ভূমির বৈধ অধিকার দেবে। ন্যায়ের জন্য এক বিশাল পদক্ষেপ এবং অসমের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।” বর্তমানে চা-বাগানের শ্রমিকরা শ্রমিক লাইনের জমিতে মালিকানা ছাড়াই বসবাস করছেন। সংশোধিত আইনের ফলে শ্রমিক লাইনগুলোকে ‘আনুষঙ্গিক ব্যবহারের’ আওতা থেকে বাদ দেওয়া হবে এবং চা-বাগান শ্রমিকদের জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভূমি বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করা হবে। এর মাধ্যমে নিশ্চিত হবে তাদের জমির অধিকার। সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, এর ফলে চা-বাগান শ্রমিকদের দীর্ঘমেয়াদী বাসস্থানের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং উচ্ছেদের ঝুঁকি কমবে।

    ভূমির উত্তরাধিকার

    আইনের ওই সংশোধনে আরও বলা হয়েছে, এই ভূমি উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া যাবে। তবে প্রথম ২০ বছর বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না। বিধানসভায় সংশোধনী নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “২০ বছর পর জমি বিক্রি, লিজ, হস্তান্তর, দান বা অন্য কোনওভাবে স্থানান্তর করা যাবে, তবে শুধুমাত্র একই বাগানে বসবাসকারী চা-বাগান শ্রমিকদের মধ্যেই (Assam Govt)।” এই সংশোধনীর মাধ্যমে রাজ্য সরকার উন্নয়ন ও পুনর্বণ্টনমূলক ব্যবহারের জন্য উদ্বৃত্ত জমি চিহ্নিত করতে পারবে এবং চা-বাগান শ্রমিকদের আবাসনকে মূলধারার সরকারি আবাসন, সামাজিক কল্যাণ এবং জনস্বাস্থ্য কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত করতে পারবে বলে সংশোধনের উদ্দেশ্য ও কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সরকারি বিবৃতিতে (Tea Workers)। জানা গিয়েছে, জমির মালিকানা পাওয়ার পর ৩.৩ লক্ষাধিক চা-বাগান শ্রমিক পরিবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মতো সুবিধা পাবে। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের জমিতে নিজেদের বাড়ি নির্মাণ করতে পারবে (Assam Govt)।

  • Siliguri: মমতাকেও ‘ডোন্ট কেয়ার’! তৃণমূল নেতার দাদাগিরিতে দেড় মাসের ওপর বন্ধ চা বাগান

    Siliguri: মমতাকেও ‘ডোন্ট কেয়ার’! তৃণমূল নেতার দাদাগিরিতে দেড় মাসের ওপর বন্ধ চা বাগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের শ্রমিক নেতার দাদাগিরিতে দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে ত্রিহানা চা-বাগান। খোদ চা বাগানের মালিক ঘনশ্যাম কাঙ্কানি বিস্ফোরক এই অভিযোগ করেছেন। শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমার এটি তরাইয়ের অন্যতম পুরানো ও বড় চা বাগান। মালিকের এই অভিযোগে ধাক্কা খাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একের পর এক বন্ধ চা-বাগান খোলার দাবি।

     ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Siliguri)

    চা বাগান সূত্রে জানা গিয়েছে, সর্বসম্মতিক্রমে ১৮ শতাংশ পুজোর বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু, আইএনটিটিইউসি দার্জিলিং জেলা সভাপতি নির্জল দে শিলিগুড়ির (Siliguri) ত্রিহানা চা-বাগানে ১৯ শতাংশ বোনাসের দাবিতে অনড় থেকে ফ্যাক্টরি থেকে চা পাতা বের করা বন্ধ করে দেন। কাঁচা পাতা, তৈরি চা পাতা চুরি করে বাইরে বিক্রি করেন। ১৯ শতাংশ বোনাসের দাবিকে অজুহাত করে আইএনটিটিইউসির দার্জিলিং জেলা সভাপতি নির্জল দে বাগানে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ম্যানেজারকে নিগ্রহ করেন বলে অভিযোগ। গত ৯ নভেম্বর আন্দোলনের নামে ম্যানেজারকে নিগ্রহ করে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়ার পরের দিন বাগান লক আউট করা হয়। তাই সুবিচারের জন্য বাগান মালিক উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

     তৃণমূল নেতার দাদাগিরি নিয়ে কী বললেন বাগান মালিক?

    বাগান মালিক ঘনশ্যাম কাঙ্কানি বলেন, আমার বাগানের পাশে বালাসন নদী থেকে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি অবৈধভাবে বোল্ডার উত্তোলন করত। এতে বাগানের উপর প্রভাব পড়ায় জেলাশাসককে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। তিনি সেখান থেকে বালি, পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেন। সেই আক্রোশে নির্জল দে বাগানে অশান্তি শুরু করেন। এখন আমার বাগানকে রুগ্ন দেখিয়ে বড় বড় শিল্পপতির হাতে বাগান তুলে দেওয়ার চক্রান্ত দেখতে পাচ্ছি।

    চা বাগানের শ্রমিকরা কী বললেন?

    এই বাগানে ১২০০ চা শ্রমিক-কর্মচারী রয়েছেন। শ্রমিকরা তৃণমূলের দাদাগিরিতে তিতিবিরক্ত। তাঁরা বলেন, তৃণমূল নেতার দাদাগিরিতে আমরা চরম সঙ্কটে পড়েছি। এই মালিকের আরও দুটি ডিভিশন রয়েছে। সেখানে কোনও সমস্যা নেই। আমরা কাজ করতে চাই। কিন্তু, তৃণমূল নেতার হুমকিতে করতে পারছি না।

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল শ্রমিক নেতা নির্জল দে বলেন, বাগান মালিক ২০০৬ সাল থেকে গ্র্যাচুইটি ও ২০১৪ সাল থেকেই প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা দিচ্ছেন না। বোনাস দেওয়া নিয়ে টালবাহানা করেছেন। তবু, এতদিন শ্রমিকরা মুখ বুজে কাজ করেছেন। আসলে এই মালিক দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক বিরোধী কার্যকলাপ করে চলেছেন। বিষয়টি শ্রমমন্ত্রীকেও জানানো হয়েছে। প্রতিবাদ জানিয়েছি বলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share