Tag: teacher

teacher

  • RG Kar Protest: আরজি কর-কাণ্ডে রাজ্যের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদ, ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মান ফেরাচ্ছেন মুর্শিদাবাদের শিক্ষক

    RG Kar Protest: আরজি কর-কাণ্ডে রাজ্যের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদ, ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মান ফেরাচ্ছেন মুর্শিদাবাদের শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar Protest) বিচার চেয়ে দিকে দিকে চলছে প্রতিবাদ। কোথাও কোনও শিল্পী সরকারি কমিটির পদ ছেড়েছেন, কোথাও শিক্ষক ফিরিয়েছেন পুরস্কার। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে এবার রাজ্য সরকার প্রদত্ত শিক্ষারত্ন সম্মান ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) এক স্কুলশিক্ষক। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে জেলাশাসক এবং স্কুল শিক্ষা দফতরে ইমেল করেছেন বলে জানিয়েছেন হরিহরপাড়া হাজি আলমবক্স সিনিয়র মাদ্রাসার প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তাফা সরকার।

     রাজ্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদ (RG Kar Protest)

    ২০১৬ সালে শিক্ষারত্ন পুরস্কার পেয়েছিলেন গোলাম সাহেব। স্মারকের সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন তিনি। এখন সাম্মানিক অর্থমূল্য এবং স্মারক, দুটোই সরকারকে ফিরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন তিনি। ওই শিক্ষক জানিয়েছেন, আরজি করের (RG Kar Protest) ঘটনায় প্রেক্ষিতে সরকারের ভূমিকায় তিনি সন্তুষ্ট নন। তিনি বলেন, “আরও বৃহত্তর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জায়গা ছিল। রাজ্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে এই পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গোটা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানিয়ে দিয়েছি।” তাঁর সংযোজন, “আমি হালকা হতে চাইছি। আমাদের মেয়ের মতো ওই মহিলা ডাক্তার। ওঁকে ধর্ষণ, খুন করার প্রতিবাদে আমার এই পদক্ষেপ।” তাঁর আরও অভিযোগ, ‘প্রশাসনিক ভাবে প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা ভয়ানক ব্যাপার। এর প্রতিবাদে ২৫ হাজার টাকা এবং পুরস্কার ফেরত দিতে চাই আমি।’

    আরও পড়ুন: সমাধানসূত্র অধরা! “সরাসরি সম্প্রচারে রাজ্য সরকারের কীসের ভয়?’’ প্রশ্ন জুনিয়র ডাক্তারদের

    ফেরতের তালিকায় রয়েছেন আরও অনেকে

    আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar Protest) প্রতিবাদে এর আগে বঙ্গরত্ন ফেরানোর কথা ঘোষণা করেছেন সাহিত্যিক তথা শিক্ষক পরিমল দে। শিক্ষারত্ন ফিরিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার রামশঙ্করপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপক মজুমদার। সংশ্লিষ্ট পুরস্কার ফেরানোর কথা ঘোষণা করেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি হাই স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক অরূপকুমার দাস। বর্তমানে তিনি কাঁথি দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক। ওই তালিকায় নয়া সংযোজন গোলাম মোস্তাফা সরকার। এছাড়াও বিদ্যাসাগর পুরস্কার ফিরিয়েছিলেন কৃত্যপ্রিয় ঘোষ ও আশিস লাহিড়ি। সনাতন দিন্দা-সহ একাধিক শিল্পী পদ ছেড়েছেন, পুরস্কারও ফিরিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: স্কুলের ভিতরেই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ! রাজ্যে পড়ুয়াদের সুরক্ষা কোথায়?

    North 24 Parganas: স্কুলের ভিতরেই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ! রাজ্যে পড়ুয়াদের সুরক্ষা কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে স্কুলের ভিতরেই ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্কুলেরই এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বনগাঁয়। এলাকায় এই নিয়ে তীব্র শোরগোল পড়েছে। স্কুলের শিক্ষকের হাতেই যদি ছাত্রী নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটে, তাহলে পড়ুয়াদের সুরক্ষা কোথায়? এইরকম মন্তব্য শোনা গেল অভিভাবকদের মুখে।

    পুলিশ সূত্রে খবর (North 24 Parganas)

    বনগাঁ (North 24 Parganas) পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার রাতে বনগাঁ থানায় একটি অভিযোগ জানানো হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয় যে স্কুলের মধ্যে স্কুলেরই এক শিক্ষক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে। ছাত্রীর বাড়ি বনগাঁ স্টেশনের কাছেই। আর অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়ি বনগাঁ শহরে। শিক্ষককে গ্রেফতার করে আজ বুধবার আদালতে তোলা হয়েছে। বিচারক তাকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার কথা জানিয়েছেন।

    পরিবারের বক্তব্য

    নির্যাতিতা তরুণীর পরিবার সূত্রে বলা হয়, “ওই কিশোরী সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশুনা করছে। গত মঙ্গলবার স্কুলের ভিতরেই এক ক্লাসরুমে তাকে নির্যাতন করা হয়। আমরা অত্যন্ত অসুরক্ষিত বোধ করছি। যে স্কুলে আমাদের ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনার জন্য পাঠাই, সেখানেই আমাদের ছেলে-মেয়েরা সুরক্ষিত নয়। দোষী অপরাধী শিক্ষকের কঠোর শাস্তি চাই। ঘটনার দিন রাতেই স্থানীয় বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এরপর অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। তারপরে আজ বুধবার আবার অভিযুক্ত শিক্ষককে বনগাঁ (North 24 Parganas) কোর্টে তোলা হয়।” যদিও ঘটনায় স্কুলের তরফ থেকে এখনও কিছু মন্তব্য পাওয়া যায়নি। স্কুলের প্রধান শিক্ষকও ঘটনায় কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    আগেও ঘটেছে ঘটনা

    উল্লেখ্য দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একই রকম ভাবে কিছুদিন আগে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাথরুমের ভিতরে ঢুকিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছিল। নির্যাতনের পরও ছাত্রীকে বাইরে বের হতে দেয়নি। বাথরুমেই আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখানেও অভিযুক্ত ছিলেন স্কুলের এক শিক্ষক। আবার এই জেলার ঢোলাহাট থানার এক স্কুলের শিক্ষক ফয়জুদ্দিন মোল্লাকে স্কুলের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা করা হয়। ঠিক একই রকম ভাবে উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Parganas) ফের স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটল। স্কুলে ছাত্রীদের নিরপত্তা এবং সুরক্ষা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, স্কুলে চলল ব্যাপক মারধর, ভাঙচুর

    South 24 Parganas: অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, স্কুলে চলল ব্যাপক মারধর, ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দির স্কুলে ব্যাপক উত্তেজনা। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ স্কুলের শিক্ষক তারক দাসের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র স্কুল চত্বরে বিরাট গোলমাল বাধে। প্রায় ৫০-৬০ জন বহিরাগত লোক ঢুকে একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে মারধরের ঘটনা ঘটায়। ঘটনাস্থলে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ পৌঁছে উত্তেজনার পরিস্থিতিকে সামাল দেয়।

    স্কুলের আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার বক্তব্য(South 24 Parganas)?

    নরেন্দ্রপুরের (South 24 Parganas) বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে শিক্ষক শিকিকাদের বক্তব্য হল, স্কুলে বহিরাগতরা ঢুকে বেধড়ক মারধর করে। পাশাপাশি স্কুলের ভিতরে ভাঙচুর করা হয়। কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মোবাইল ফোন ভেঙে দেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের মদতে এই মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তোলেন। আক্রান্ত এক শিক্ষার বক্তব্য, প্রধানশিক্ষকের দুর্নীতির তথ্য আমরা সামনে এনেছি। উনি পালটা চাপ সৃষ্টি করতে এই ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছেন। ধর্ষণের বিষয় এখানে অন্য প্রসঙ্গ। কান্না করে আরও এক শিক্ষিকা জানান, আমাদের শারীরিক ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে।

    স্কুলে ঢুকতেই দেখা যায়, স্কুলের স্টাফ রুমে শিক্ষিকারা ভীত মুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে কাগজপত্র। শিক্ষিকা অভিযোগের সুরে জানিয়ে বলেন মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে।’ যদিও প্রধান শিক্ষক ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন। ঘটনা স্থলে নরেন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। কার্যত স্কুলের ভিতরেই আটকে পড়ে রয়েছেন আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

    প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য

    স্কুলের (South 24 Parganas) প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, “বিদ্যালয়ে এক ছাত্রীর উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। যে শিক্ষক অভিযুক্ত তিনি স্কুল আসছেননা। স্কুল পরিচালন কমিটির সঙ্গে মিটিং করে তাঁকে আমরা চিঠি দেব।” এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, “শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর হামলার ঘটনা একটা জনরোষের প্রকাশ মাত্র। পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে যা করণীয় তাই করবো।” পুলিশ ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য

    নরেন্দ্রপুর (South 24 Parganas) স্কুলের ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘১০০ শতাংশ কড়া পদক্ষেপ করা হবে। আমি আগে বিষয়টা জানতাম না। কোনও আক্রমণকারীদের ছাড়া হবে না। এখনই রিপোর্ট তলব করব। যা পদক্ষেপ করার করব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Teacher: শিক্ষকদের স্কুলে ঢুকতে হবে আরও আগে, নয়া নির্দেশিকা জারি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের

    Teacher: শিক্ষকদের স্কুলে ঢুকতে হবে আরও আগে, নয়া নির্দেশিকা জারি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষকদের স্কুলে ঢোকার সময় এবার বেশ খানিকটা এগিয়ে আসছে। নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হচ্ছে জানুয়ারিতেই। তখন সকাল ১০ টা ৫০ নয়, সকাল ১০ টা ৪০ মিনিটের মধ্য়েই স্কুলে চলে আসতে হবে শিক্ষকদের (Teacher)। নন-টিচিং স্টাফদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন বা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তা ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে। সমস্ত ধরনের স্কুলের ক্ষেত্রেই এই নয়া নিয়মবিধি কার্যকর হবে বলে জানা গিয়েছে। জুনিয়র হাইস্কুল, সেকেন্ডারি স্কুল (সরকার ও সরকার পোষিত)-সহ বোর্ডের আওতাধীন সমস্ত স্কুলের ক্ষেত্রেই এই নির্দেশ কার্যকর হবে।

    ১০ টা ৪০-এর পর যদি কেউ আসেন, তাঁর জন্য ‘লেট’ মার্ক হবে

    নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানের প্রধান থেকে শুরু করে স্কুলের সমস্ত স্টাফকে (টিচিং, নন-টিচিং) প্রার্থনায় থাকতে হবে। ১০ টা ৪০ থেকে ১০ টা ৫০ পর্যন্ত প্রার্থনার জন্য সময় বরাদ্দ থাকছে। ১০ টা ৪০-এর পর যদি কেউ আসেন, তাঁর জন্য ‘লেট’ মার্ক হবে। শুধু তাই নয়, ১১ টা ১৫ মিনিটের পর যদি কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা (Teacher) স্কুলে আসেন, তাহলে তাঁকে সেদিনের জন্য ‘অনুপস্থিত’ হিসাবে গণ্য করা হবে।

    সাড়ে ৪টে অবধি স্কুলে থাকতেই হবে

    নতুন শিক্ষাবর্ষে (Teacher) সাড়ে ৪টে অবধি স্কুলে থাকতেই হবে প্রতিটি শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের। ক্লাসের ভিতর মোবাইল ফোনের অযথা ব্যবহার অথবা ব্লু টুথ ডিভাইস ব্যবহার করে গান শোনা কোনওভাবেই চলবে না। ‘টিচিং এইড’ হিসাবে যদি মোবাইল বা স্মার্ট ফোন ক্লাসে ব্যবহার করতে হয়, সে ক্ষেত্রে লিখিত অনুমতি নিতে হবে আগে থেকে। নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, শিক্ষকেরা কে কতক্ষণ ক্লাস নিচ্ছেন, কতগুলো ক্লাস নিচ্ছেন, তা নিজেরাই ডায়েরিতে লিখে রাখবেন। প্রধান শিক্ষকের নজরেও থাকবে বিষয়টি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সারা সপ্তাহের জন্য শিক্ষকদের রুটিন তৈরি করবেন। ওই রুটিন পাঠানো হবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: নদীর চর দখল করে পাকা বাড়ি! অভিযুক্ত তৃণমূল ঘনিষ্ঠ শিক্ষক

    South 24 Parganas: নদীর চর দখল করে পাকা বাড়ি! অভিযুক্ত তৃণমূল ঘনিষ্ঠ শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের  শিবশক্তি ব্রিজ সংলগ্ন নদীর চরে গড়ে উঠছে পাকা বাড়ি। তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এক শিক্ষক তৈরি করছেন পাকা বাড়ি। মূলত, তৃণমূলের মদতেই সবুজকে ধ্বংস করে চলছে বেআইনি কারবার। এসবের জন্যই দেখেও দেখছে না প্রশাসন, এমনই অভিযোগ বিরোধীদের।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)  

    নদীবাঁধ রক্ষায় মুখ্যমন্ত্রী যেখানে বেশি করে ম্যানগ্রোভ লাগানোর কথা বলছেন, সেখানেই এমন ছবি ধরা পড়ল। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমা ব্লকের শিবশক্তি ব্রিজ সংলগ্ন অপর পাড়ের নদীর চরের এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নদী চরের গাছ কেটে তৈরি করছেন পাকা বাড়ি। এই স্কুলশিক্ষক স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এই বিষয় নিয়ে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক শ্যামসুন্দর ডাকুয়া বলেন, বাড়ি তৈরি করার কাগজপত্র রয়েছে, সেই কারণেই তিনি ঘর তৈরি করছেন। তবে, বাড়ি তৈরির কোনও কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি। কোনও অনুমতি ছাড়াই কী করে ঘর তৈরি হচ্ছে বা জলা জমিতে বাড়ি তৈরি করতে দেওয়া হচ্ছে তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। কীভাবে সরকারি নদী বাঁধ সংলগ্ন এলাকার কাগজপত্র থাকতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    এ বিষয়ে রামগঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান প্রভাতকুমার সেনাপতি বলেন, চর দখল করে বাড়ি তৈরি করার কোনও অনুমতি কেউ নেয়নি। কেউ নিজের ইচ্ছে মতো এসব বেআইনি কাজ করতে পারেন। এরসঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। ওরা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক কী বললেন?

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমা ব্লকের বিএলআরও অপূর্ব পান্ডা বলেন, চর দখল করে বাড়ি তৈরি করার অভিযোগ পেয়েছি। এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ওই শিক্ষকের কাছে কী কাগজ রয়েছে তা জানা নেই। বিষয়টি তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ বলেই শিক্ষকের এত সাহস!

    এই বিষয় নিয়ে বিজেপির মথুরাপুর সংগঠনিক জেলা কনভেনর অরুণাভ দাস বলেন, এই সমস্ত বিষয়ের সঙ্গে শাসকদল জড়িত। ওই শিক্ষক শাসকদলের ঘনিষ্ঠ না হলে এত বড় সাহস তিনি দেখাতে পারতেন না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: অধ্যাপিকাকে অশ্লীল মন্তব্য টিএমসিপি ছাত্রনেতার! কলেজে বিক্ষোভ এবিভিপির

    Nadia: অধ্যাপিকাকে অশ্লীল মন্তব্য টিএমসিপি ছাত্রনেতার! কলেজে বিক্ষোভ এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া সুধীররঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয়ের এডুকেশন বিভাগের অধ্যাপিকাকে ফোন করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই কলেজের টিএমসিপি’র সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে এই ফোনের অডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্রের নাম বিভাস হালদার। প্রতিবাদে কলেজ ক্যাম্পাসে সরব হয়ে বিক্ষোভ দেখায় এবিভিপি।

    শাস্তির দাবিতে এবিবিপির বিক্ষোভ (Nadia)

    অধ্যাপিকার ওপর এহেন আচরণের প্রতিবাদে সোমবার মাজদিয়া (Nadia) কলেজের সামনে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের পক্ষ থেকে ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। দাবি একটাই তৃণমূল ছাত্র নেতার শাস্তি চাই। আর এই বিক্ষোভ প্রদর্শনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই কৃষ্ণগঞ্জ থানার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গনে। ঘটনায় পুলিশ বাধা দিলে, এভিবিপি ছাত্রছাত্রীরা জোর করে কলেজে ঢুকতে গেলে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। সেই সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে পুলিশ প্রশাসনের ব্যাপক তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। কারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও কলেজের ভিতরে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়। এরপর ঘটনাস্থলে আসেন কৃষ্ণগঞ্জ থানার আইসি বাবিন মুখার্জী।

    প্রিন্সিপালের বক্তব্য

    কলেজ (Nadia) প্রিন্সিপাল এই প্রসঙ্গে বলেন, “আই কার্ড থাকলে ছাত্র-ছাত্রীরা কলেজের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে।” এরপর প্রিন্সিপালের হস্তক্ষেপে যারা আইডেন্টিটি কার্ড নিয়ে এসেছিল, সেই সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের কলেজের ভিতরে ঢুকতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে প্রিন্সিপাল আরও বলেন, “ফোনে অশালীন মন্তব্য করার ঘটনায় অধ্যাপিকা নিজে বিবরণ দিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।”

    টিএমসিপি ছাত্রনেতার শাস্তির দাবি

    এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুপুরে কলেজের (Nadia) অধ্যাপক, অধ্যাপিকা ও স্টাফদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রিন্সিপাল। মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয় কোনও মতেই অধ্যাপিকার উপর এই অসভ্য আচরণ বরদাস্ত করা হবে না। অভিযুক্ত ছাত্র যাতে শাস্তি পায় তার ব্যবস্থা করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshineswar: স্কুলে ঢুকে অভিভাবকদের দাদাগিরি! ব্লেড হাতে ছাত্রীদের শাসানি, কেন জানেন?

    Dakshineswar: স্কুলে ঢুকে অভিভাবকদের দাদাগিরি! ব্লেড হাতে ছাত্রীদের শাসানি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণেশ্বর (Dakshineswar) সারদাদেবী বালিকা বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষিকার ঘরে ঢুকে রীতিমতো দাদাগিরি দেখানোর অভিযোগ উঠল অভিভাবকদের বিরুদ্ধে। এমনকী প্রধান শিক্ষিকার চেয়ারে বসে এক অভিভাবক তাঁকে উদ্দেশ্য করে রীতিমতো হুমকি দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    কেন বিক্ষোভ? (Dakshineswar)

    স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্লাসে অনুপস্থিত থাকার কারণে একাদশ শ্রেণির ৬ জন ছাত্রীকে টেস্ট পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। আর সেই ঘটনা জেনে স্কুলে এসে সেই ছাত্রীর অভিভাবকেরা দক্ষিণেশ্বরের (Dakshineswar) ওই স্কুলের ভিতর শিক্ষিকাদের হুমকি দিতে থাকেন। স্কুলের ভিতরে ছাত্রীরা ব্লেড নিয়ে আত্মহত্যারও হুমকি দেয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার ঘরে ঢুকে প্রধান শিক্ষিকাকে চেয়ার থেকে তুলে, সেই চেয়ারেই এক অভিভাবক বসে প্রধান শিক্ষিকা সহ অন্যান্য শিক্ষিকাদের হুমকি দিতে থাকেন। স্কুলের মধ্যেই অভিভাবকদের এই দাদাগিরি দেখে স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে অন্যান্য পড়ুয়ারা হতবাক হয়ে যান। যদিও প্রধান শিক্ষক জানিয়ে দেন, যা করেছেন নিয়ম মেনে করেছেন। স্কুলে অনিয়মিত আসার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অভিভাবকরা এই বিষয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা

    এই ঘটনা নিয়ে শাসকদলের কোনও নেতার প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও দক্ষিণেশ্বরের (Dakshineswar) ওই শিক্ষাঙ্গনে অভিভাবকদের দাদাগিরির ঘটনায় সরব হয়েছে সিপিএম ও বিজেপি। সিপিএম নেতা প্রদীপ মজুমদার বলেন, তৃণমূলের আমলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করে দিল রাজ্যে শিক্ষায় তৃণমূলের অপসংস্কৃতি ও অপসাশন চলছে। শিক্ষা দফতর পুরোটাই জেলে। তাই শিক্ষাঙ্গনে এই ছবি ছাড়া আর কী ছবি দেখবে বাংলার মানুষ। পাশাপাশি বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকাদের ওপর অভিভাবকদের এই ধরনের ঘটনা খুবই লজ্জাজনক। অভিভাবকরা যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের ঘটনা ঘটান, তাহলে ছাত্র-ছাত্রীরা কী শিখবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: কোচবিহারের পুলিশ সুপারের নাম করে প্রতারণা! কৃষ্ণনগরের স্কুল শিক্ষকের অ্যাকাউন্ট সাফ করল প্রতারকরা

    Fraud: কোচবিহারের পুলিশ সুপারের নাম করে প্রতারণা! কৃষ্ণনগরের স্কুল শিক্ষকের অ্যাকাউন্ট সাফ করল প্রতারকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিত্য নতুন কৌশলের মাধ্যমে রাজ্যজুড়়ে সাধারণ মানুষের অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিচ্ছে প্রতারকরা। দুদিন আগেই সেনা বাহিনীর নাম করে বারাকপুরে একটি ডায়াগনাস্টিক সেন্টারের দুই কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিয়েছে প্রতারকরা। এরইমধ্যে আবার কোচবিহার জেলার পুলিশ সুপারের নাম ভাঙিয়ে এক স্কুল শিক্ষকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। প্রতারিত স্কুল শিক্ষকের নাম গৌতম মণ্ডল। তাঁর বাড়ি বারাকপুর। আর তিনি নদিয়ার কৃষ্ণনগরের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তিনি কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে, পুলিশ- প্রশাসনের কর্তাদের নাম ও ছবি ব্যবহার করে প্রতারকেরা যদি এমন প্রতারণা (Fraud) ঘটানোর সাহস পায়, সে ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ কী করবেন, উঠেছে সে প্রশ্নও।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Fraud)

    লেখালেখির সুবাদে কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য  এবং কৃষ্ণনগরের শিক্ষক গৌতম মণ্ডল পূর্ব পরিচিত। অভিযোগ, গত ৩০ অক্টোবর দ্যুতিমানের নামে বানানো মেসেঞ্জার থেকে কম দামে আসবাব ও গাড়ি কেনার দু’টি প্রস্তাব পান গৌতম। মেসেঞ্জার বার্তায় বলা হয়েছিল, এসপির বন্ধুস্থানীয় কপিল কুমার নামে সিআইএসএফের এক আধিকারিক কলকাতা থেকে হঠাৎ বদলি হয়ে কাশ্মীর চলে যাচ্ছেন। তিনি কম দামে আসবাব বিক্রি করতে চান। আপনি (গৌতম মণ্ডল) যেন সে সুযোগ হাতছাড়া না করেন। ওই মেসেজের পরে, কপিল কুমার বলে পরিচয় দিয়ে এক জন ফোন করে গৌতমবাবুকে। হোয়াটসঅ্যাপে আসবাবপত্রের ছবিও পাঠায়। পুলিশ সুপারের সঙ্গে সরাসরি ফোনে কথা না বলে গৌতমবাবু আসবাবের জন্য কৃষ্ণনগরের একটি রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে ৬০,০০০ টাকা ‘ট্রান্সফার’ করেন। অভিযোগ, এরপরে, আসবাব পাঠানোর গাড়ির ‘সিকিওরিটি মানি’ হিসাবে ‘ফেরতযোগ্য ২১ হাজার টাকা চায় ‘প্রতারক’। গৌতমবাবু তাও দেন। তাঁর দাবি, এর পরে একটি গাড়ির ছবি পাঠিয়ে সেটিও কিনতে তাঁকে ‘প্ররোচিত’ করা হয়। সন্দেহ হওয়ায় সরাসরি কোচবিহারের পুলিশ সুপারকে ফোন করেন গৌতমবাবু। তারপরই প্রতারণার (Fraud) বিষয়টি তিনি জানতে পারেন।

    কী বললেন প্রতারিত শিক্ষক?

    প্রতারিত শিক্ষক গৌতমবাবু বলেন, সমস্ত বিষয়টি পুলিশকে জানাই। সব শুনে এসপি জানান, এটা সাইবার অপরাধের ঘটনা। এর আগেও পুলিশ সুপারের নামে সমাজমাধ্যমে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা (Fraud) করা হয়েছে। পুলিশ সুপারের সঙ্গে ফোনে কথা না বলে টাকা দিতে গেলেন কেন? গৌতমের দাবি, কৃষ্ণনগরে একটি ফ্ল্যাট বিক্রি করলেও পুরো টাকা আমি পাইনি। সে ব্যাপারে পুলিশ সুপারের সাহায্য নেব ভেবেছিলাম।  তাই কোচবিহারের এসপির নাম করে পাঠানো মেসেজে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছিলাম।

    কী বললেন কোচবিহারের জেলা পুলিশ সুপার?

    কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, সাইবার অপরাধীরা দু’ভাবে প্রতারণা (Fraud) করার চেষ্টা করছে। এক, ভয় দেখিয়ে, দুই, লোভ দেখিয়ে। তাঁর বক্তব্য, আইনানুগ যা-যা ব্যবস্থা নেওয়ার সব নেওয়া হয়েছে। এ সব ক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আচমকা এমন কোনও প্রস্তাব পেলে, সঙ্গে সঙ্গে নির্দিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। তা হলেই সব স্পষ্ট হবে।

    নদিয়ার পুলিশ সুপারের কী বক্তব্য?

    কৃষ্ণনগর পুলিশ-জেলার সুপার অমরনাথ কে বলেন, সাইবার প্রতারণার অনেক অভিযোগ আমাদের কাছে জমা পড়ছে। গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। নাগরিকদের সতর্ক করতে সচেতনতা প্রচার চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CID: আদালতের চাপ! অবশেষে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এআই সুশীল বর্মনকে গ্রেফতার করল সিআইডি

    CID: আদালতের চাপ! অবশেষে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এআই সুশীল বর্মনকে গ্রেফতার করল সিআইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ জেলার সূতির গোঠা এ আর হাইস্কুলে জাল নথি দিয়ে শিক্ষক নিয়োগকাণ্ডে এবার এআই অফ স্কুল সুশীল কুমার বর্মনকে গ্রেফতার করল সিআইডি (CID)। সোমবার ধৃত সুশীলবাবুকে মুর্শিদাবাদ জেলা আদালতে তোলা হয়। তিন দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক। ২১ তারিখে পুনরায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    মুর্শিদাবাদ জেলার সূতির গোঠা এ আর হাইস্কুলে জাল নথি দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ করার অভিযোগ উঠেছিল। এই অভিযোগের মামলায় তদন্তে নামে সিআইডি। তদন্তে নেমে নথি জাল করে চাকরি পাওয়া শিক্ষক অনিমেষ তেওয়ারিকে গ্রেফতার করে সিআইডি। প্রসঙ্গত উল্লেখ থাকে, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অনিমেষ তেওয়ারির বাবা আশিস তেওয়ারিকে সিআইডি (CID) গ্রেফতার করেছিল। ওই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা করে সিআইডি। তদন্তে নেমে এই মামলায় শিক্ষা দফতরের কয়েকজন কর্মী এবং আধিকারিকের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলে ছিল। স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য।  কলকাতা হাইকোর্টে একথা জানিছে সিআইডি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি এই রাজ্যের অন্যতম এক জ্বলন্ত ইস্যু। এ তদন্তে নেমে মুর্শিদাবাদের ওই স্কুলের একাধিকবার অভিযান চালান সিআইডি গোয়েন্দারা। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং তাঁর ছেলে ভুয়ো শিক্ষক অনিমেষ তেওয়ারিকে গ্রেফতার করা হয়। রাজ্যের যে তদন্তকারী সংস্থা ঠিকমতো কাজ করছে না বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। তিনি বলেন, এই নিয়োগের বিরুদ্ধে একটা বিরাট চক্র রয়েছে, সেই কারণে আদালত চক্র খোঁজার নির্দেশ দিয়েছিলেন সিআইডিকে। কিন্তু, মোহভঙ্গ হচ্ছে। বিচারক আরও বলেন সিআইডিকে রিপোর্ট দিয়ে ব্যাখ্যা করতে হবে। কেন এই মামলায় সিবিআই তদন্ত হবে না। এরপরই নড়েচড়ে বসে সিআইডি।

    কী বললেন ধৃত এআই অফ স্কুল?

    সূতির গোঠা হাইস্কুলের নথি জাল করে নিয়োগের ঘটনায় প্রাক্তন ডিআই পূরবী দাস সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছিল। বর্তমানে তাঁরা জামিনে আছেন। এর আগে সিআইডির জালে ধরা পড়েছিলেন ভুয়ো শিক্ষক অনিমেষ তেওয়ারি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সুশীল কুমার বর্মনের নাম উঠে আসে। এরপরই সিআইডি (CID) তাঁকে গ্রেফতার করে। সুশীল বর্মন এদিন বলেন, আমি নির্দোষ। আমাকে পরিকল্পিতভাবে  ফাঁসানো হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jhargram: নেট পরীক্ষায় পাশ করলেন রাজ্যে প্রথম ঝাড়গ্রামের শবর যুবক

    Jhargram: নেট পরীক্ষায় পাশ করলেন রাজ্যে প্রথম ঝাড়গ্রামের শবর যুবক

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা ও মা দু’জনেই নিরক্ষর।  নেট (ন্যাশানাল এলিজিবিটি টেস্ট) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তাক লাগালেন ঝাড়গ্রামের লোধা-শবর সমাজের এক যুবক। তাঁর নাম কার্তিক শবর। সম্প্রতি বেরিয়েছে নেট পরীক্ষার ফলাফল। ফলাফলে দেখা যায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। তিনি হলেন পরিবারের প্রথম প্রজন্মের শিক্ষিত সদস্য। 

    মেধাবী যুবকের পড়াশুনার খরচ কে দিতেন জানেন?

    কার্তিকের বাড়ি ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি ব্লকের এড়গোদা গ্রাম পঞ্চায়েতের আশাকাঁথি গ্রামে। গ্রামের আশাকাঁথি নিম্ন বুনিয়াদি হাইস্কুলে প্রাথমিক স্তরে পড়াশুনার পর জয়পুর হাইস্কুলে ৭২ শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পাশ করেন।  তারপরই পড়াশুনার ছেদ পড়ে যাওয়ার কথা ছিল কার্তিকের। কারণ, কার্তিক মাধ্যমিক পাশ করার পরই তাঁর বাবা নির্মল শবর জানিয়ে দেন, পড়াশুনার খরচ সামলাতে পারবেন না। তারপরই কার্তিকের পাশে দাঁড়ান শিক্ষিকা মিতালি পাণ্ডা। তিনি বর্তমানে পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষিকা।  কর্মসূত্রে একসময় মিতালীদেবী জয়পুর স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। সেখান থেকেই কার্তিকের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। তাঁর আর্থিক অবস্থা জানতে পেরে ওই শিক্ষিকাই কার্তিককে বাঁকুড়ার গড় রাইপুর হাইস্কুলে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি করান। সে থেকেই এখনও পর্যন্ত কার্তিকের সমস্ত খরচ সামলান ওই শিক্ষিকা। ২০১৬ সালে উচ্চমাধ্যমিকে ৮৬.৪ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করার পর জামবনি ব্লকের কাপগাড়ি সেবাভারতী মহাবিদ্যালয় থেকে  ভূগোলে অনার্স করেন। ২০২১ সালে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেন তিনি। বর্তমানে তিনি ঝাড়গ্রামের সেবায়তন শিক্ষক শিক্ষণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিএড করছেন।

    কী বললেন মেধাবী ওই যুবক?

    কার্তিক বলেন, মাধ্যমিকের পর পড়াশুনা আর হত না। দিদিমণি পাশে না দাঁড়ালে এতটা পথ আসতে পারতাম না।  দিদিমণি শুধু আর্থিক ভাবেই সাহায্য করেননি, সবসময় পরামর্শ দিয়েছেন। বড় হয়ে অধ্যাপক হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে আমার। ঝাড়খণ্ডে কিছু শিক্ষকের জন্য আবেদন করেছি। দিদিমণির কাছে সাহায্য চাইতে লজ্জা লাগে। এবার নিজেকে কিছু করতে হবে।

    কী বললেন মেধাবী যুবকের পাশে দাঁড়ানো শিক্ষিকা?

    শিক্ষিকা মিতালি পাণ্ডা বলেন, আমি ভীষণ খুশি। কার্তিক আমার এক সন্তানের মতই। নেট পাশের থেকে সবচেয়ে বড় কথা কার্তিক ভাল মনের মানুষ তৈরি হয়েছে। তার জীবনে বাধা অনেক এসেছে। কিন্তু সেই বাধা তাকে থামিয়ে দিতে পারেনি। গবেষণা করার ক্ষেত্রে ওর পাশে কেউ দাঁড়ায় আরও ভাল হবে।

    কী বললেন ঝাড়গ্রাম লোধা-শবর কল্যাণ সমিতির সভাপতি?

    কার্তিকের বাবা নির্মল শবর ও মা পুষ্পরানি শবর দিনমজুরের কাজ করেন। কার্তিক তিন ভাই-বোন। বড় দিদি প্রতিমা শবর উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বোন শ্রীমতী শবর বাংলা নিয়ে ঝাড়গ্রাম সাধু রামচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় স্নাতকোত্তরে পড়াশুনা করছেন। ঝাড়গ্রাম জেলা লোধা-শবর  সেলের সদস্য  তথা ঝাড়গ্রাম লোধা-শবর কল্যাণ সমিতির সভাপতি খগেন্দ্রনাথ মান্ডি বলেন, লোধা শবর সমাজের কেউ নেট পাশ করেনি।  চাকরি পেলে খুবই ভাল হবে। কার্তিককে দেখে লোধা-শবর ছেলে-মেয়েরা অনুপ্রাণিত হবে। লোধা-শবর মানুষজন প্রশাসনের কাছে যেতে চায় না। সেজন্য বিভিন্ন জায়গায় শিবির করে তাঁদের সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। সেবাভারতী কলেজে ভূগোলের অধ্যাপক প্রণব সাহু বলেন, লোধা-শবর উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে পড়াশুনার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়েছে তার জ্বলন্ত উদাহরণ কার্তিক।  তাঁর উচ্চ মেধা জাতীয় স্তরে পরীক্ষায় সাফল্য পেয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share