Tag: Teacher Recruitment scam

Teacher Recruitment scam

  • Tet Scam: কলকাতা হাইকোর্টের দুই সিদ্ধান্তে চাপ বাড়ল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের

    Tet Scam: কলকাতা হাইকোর্টের দুই সিদ্ধান্তে চাপ বাড়ল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Tet Scam) মামলায় এবার নতুন মোড়। ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট নিয়ে জটিলতার মাঝে ২০১৭ সালের প্রাথমিক টেটের উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটের সমস্ত ডিজিটাইজড কপি তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে (High Court) নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ আগস্ট। সেদিন পর্ষদকে ওএমআর শিটের কপি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

    ওএমআর শিট নষ্টের রহস্য (Tet Scam)

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের টেটে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। টিনা মুখোপাধ্যায় নামে এক মামলাকারীর অভিযোগ, ২০১৭ সালের টেটে অকৃতকার্য হওয়ার পর তিনি পর্ষদের কাছে ওএমআর শিটের কপি চেয়ে আবেদন জানান। কিন্তু তাঁকে আসল ওএমআর শিটের বদলে একটি ফটোকপি দেওয়া হয়। অন্যদিকে (Tet Scam) মামলার আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওএমআর শিটের যে কপি দেওয়া হয়েছিল। সেটি আদৌ তাঁর ছিল না বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত এই মামলায় আগে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল, পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওএমআর শিটের সমস্ত আসল কপি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে এবং এই সিদ্ধান্ত হয়েছিল রেজুলেশনের ভিত্তিতে।

    প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে (High Court)

    অন্যদিকে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের অনুমতি দিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্ট বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছেন, “চলতি শিক্ষাবর্ষে ওই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের সুযোগ দিতে হবে। ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে প্রাথমিকের দুটি নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছিল। ২০১৬ সালের ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনেকেই ডিএলএড কোর্স না করেই চাকরি পেয়েছিলেন। পরে সিদ্ধান্ত হয়, পাঁচ বছরের মধ্যে তাঁদের প্রশিক্ষণ করিয়ে নিতে হবে। কিন্তু এতদিনেও সেই প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য পর্ষদ আগ্রহ দেখায়নি।

    আরও পড়ুন: ১০ বছরে রেজিনগরের তৃণমূল বিধায়ক কোনও কাজ করেননি, বললেন দলেরই নেতা

    পরে (Tet Scam) এ নিয়ে মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে (High Court)। রাজ্যে কয়েক হাজার এমন প্রশিক্ষণ চাকরি প্রশিক্ষণহীন শিক্ষক চাকরি করছেন। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানান, প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের অনুমতি ও ব্যবস্থা ব্যবস্থা করতে হবে পর্ষদকে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: ওএমআর শিটের তথ্য উদ্ধারে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিক সিবিআই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    CBI: ওএমআর শিটের তথ্য উদ্ধারে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিক সিবিআই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআইয়ের (CBI) দক্ষতায় অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। ওএমআর শিটের আসল সার্ভার বা হার্ডডিস্কের তথ্য জানতে প্রয়োজনে যে কোনও সংস্থা বা বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়ার নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। প্রসঙ্গত আদালতের তদন্তেই প্রাথমিক মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি রাজাশেখার মান্থা বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

    বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার নির্দেশ (CBI)

    ২০১৪ সালের প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় এবার সিবিআইকে অলআউট ঝাঁপানোর নির্দেশ দেওয়া হল। ২০১৪ সালের ওএমআর ও সার্ভার দুর্নীতির শেষ দেখতে সিবিআইকে হাইকোর্টের (High Court) নির্দেশ। এই ঘটনার রহস্য উন্মোচনে পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তের এক্সপার্টদের শরণাপন্ন হতে পারবে সিবিআই (CBI)। প্রয়োজনে নিতে হবে বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা বা ব্যক্তিদের সাহায্য। শুক্রবার মামলার শুনানিতে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তবে এ সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ বহন করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

    ওএমআর শিটের তথ্য চায় আদালত (High Court)

    এ প্রসঙ্গে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “সিবিআই তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছে, ওএমআর শিটের ওরিজিনাল ডিস্ক নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আদালত জানতে চায়, এভাবে ডিস্ক নষ্ট করা যায় কি? নষ্ট করা গেলেও তথ্য উদ্ধার করা যায় কি না। আদালতের (High Court) ধারণা, তথ্য উদ্ধার করা যায়। ডিজিটাল রেকর্ড এত সহজে ধ্বংস করা যায় না। সে ব্যাপারে সিবিআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁরা যে কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।” প্রসঙ্গত ২০১৪ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষায় আসল ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে বলে হাইকোর্টে আগেই জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাঁদের বক্তব্য ছিল, আসল প্রতিলিপি নষ্ট করা হলেও পরিবর্তে তার ডিজিটাইজড তথ্য রয়েছে। পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি নামের একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাঁরাই ওএমআর শিট স্ক্যান করেছে।

    আরও পড়ুন : হকার উচ্ছেদে অক্ষত পার্টি অফিস! তৃণমূলের কার্যালয় বলেই কি ছাড়? শোরগোল বোলপুরে

    এর আগে ওএমআর শিট সংক্রান্ত এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার পর এই মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) কাছে রিপোর্ট তলব করেছিলেন বিচারপতি মান্থা। মঙ্গলবার আদালতে ওএমআর শিট নিয়ে রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে ওই রিপোর্টে সন্তুষ্ট হয়নি উচ্চ আদালত।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: নিয়োগ দুর্নীতিতে মন্ত্রীর বাড়িতে ১৪ ঘণ্টা তল্লাশি ইডি-র, বাজেয়াপ্ত ৪১ লক্ষ টাকা

    ED: নিয়োগ দুর্নীতিতে মন্ত্রীর বাড়িতে ১৪ ঘণ্টা তল্লাশি ইডি-র, বাজেয়াপ্ত ৪১ লক্ষ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বোলপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তদন্তের খবর পেয়ে দলীয় কর্মসূচি ছেড়ে বাড়ি ফিরে আসেন মন্ত্রী। রাত ১০টা ৪০ নাগাদ তাঁর বাড়ি থেকে বের হন ইডি (ED) আধিকারিকরা। দিনভর তল্লাশি চালিয়ে ইডি আধিকারিকরা কী করলেন তা নিয়ে শনিবার জেলাজুড়ে জোর চর্চা চলছে। জানা গিয়েছে, ৪১ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    মন্ত্রীর বাড়িতে দিনভর তল্লাশি চালিয়ে কী পেল ইডি? (ED)

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোজা বীরভূমে অনুব্রতের গড়ে হানা দেয় ইডি (ED)। ইডি সূত্র অনুযায়ী, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যে ইডির হাতে ধৃত তৃণমূল প্রাক্তন যুবনেতা কুন্তল ঘোষের কাছ থেকেই বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহার নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। কুন্তলের কাছ থেকে ১০০ জনের নাম লেখা তালিকায় ছিল তাঁর নামও। তালিকায় থাকা এই ১০০ জন শিক্ষক নিয়োগের নামে আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত বলে কুন্তল ইডির কাছে বয়ান দেয়। তার ভিত্তিতেই শুক্রবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার নিচুপট্টির বাড়িতে সকাল ৮টা ৪০ নাগাদ পৌঁছে যান ইডির ৮ থেকে ১০ জনের আধিকারিক দল। সঙ্গে ছিল বিশাল কেন্দ্রীয়বাহিনী। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার ১৪ ঘণ্টা ধরে তল্লাশির পর ইডি আধিকারিকরা মন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন, একাধিক নথিপত্র পরীক্ষা করে কিছু কিছু বাজেয়াপ্তও করেছেন বলে খবর। সূত্রের খবর, মন্ত্রীকে একদিন ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন পাঠানো হতে পারে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার নাম পেয়েই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের। সূত্রের খবর, মন্ত্রীর ছেলে ও স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এদিন। বাজেয়াপ্ত হয়েছে জমির দলিল ও বেশ কিছু নথিপত্র এবং নগদ ৪১ লক্ষ টাকা। সেগুলি কীসের, তা খতিয়ে দেখবে ইডি।

    আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের মুখে পুরুলিয়ায় বিজেপি কর্মী খুন! অভিযুক্ত তৃণমূল

    কী বললেন মন্ত্রী?

    ইডি (ED) বোলপুরের বাড়িতে হানা দেওয়ার সময় মন্ত্রী এই বাড়িতে ছিলেন না। তিনি ছিলেন মুরারইয়ে গ্রামের বাড়িতে। ইডি হানার খবর পেয়ে দুপুর প্রায় ২টো নাগাদ বোলপুর এসে পৌঁছন। তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ইডি। মুরারই থেকে বোলপুর আসতে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময় লাগার কথা। কিন্তু মন্ত্রী প্রায় ৫ঘণ্টা পর এলেন কেন? মন্ত্রী এই বিষয়ে খোলসা করে কিছু বলতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, “আমাকে যা যা জিজ্ঞাসা করা হয়েছে,আমি সেসবের উত্তর দিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jiban Krishna Saha: ২১ তারিখ পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে জীবনকৃষ্ণ, জেরায় উঠে আসবে আর কী কী তথ্য?

    Jiban Krishna Saha: ২১ তারিখ পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে জীবনকৃষ্ণ, জেরায় উঠে আসবে আর কী কী তথ্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে (Jiban Krishna Saha) ৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুরের বিশেষ আদালত। সোমবার সকালে তাঁকে মুর্শিদাবাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে কলকাতায় নিয়ে আসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। প্রথমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর পর তাঁকে পেশ করা হয় আদালতে। সেখানেই শাসক দলের বিধায়ককে আগামী ২১ তারিখ পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়ে দেন বিচারক।

    পরতে পরতে নাটক

    জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) বাড়িতে সিবিআই হানা ও তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হওয়া—এই দুইয়ের মধ্যে ফারাক ছিল প্রায় ৬৭ ঘণ্টার, যার পরতে পরতে লুকিয়ে ছিল একাধিক নাটকীয় মুহূর্ত। সেই শুক্রবার সকালে শুরু হয় তদন্তকারীদের অভিযান। সিবিআই দেখেই বাড়ির পাশের পুকুরে নিজের জোড়া মোবাইল ফেলে দেন জীবনকৃষ্ণ। সেই শুরু। এক সময় বিধায়ককে দেখা যায়, পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টাও করছেন। তাঁকে পাকড়াও করা হয়। তারপর পুকুরের জল ছেঁচে ৩৮-ঘণ্টা পর একটা মোবাইল উদ্ধার করা হয়। ৬৫-ঘণ্টা পর পুকুরের ধারের ঝোপ থেকে দ্বিতীয় ফোনও উদ্ধার করা হয়। দীর্ঘক্ষণ জেরা পর্বের পর অবশেষে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: উদ্ধার বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের দ্বিতীয় মোবাইল, কীসের খোঁজে ফের তল্লাশি পুকুরে?

    আদালতে সওয়াল সিবিআইয়ের

    এদিন আদালতে পেশ করা হলে, বিধায়কের জামিনের আর্জির বিরোধিতা করে সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেন, ‘‘জীবনকৃষ্ণ (Jiban Krishna Saha) প্রার্থীদের থেকে টাকা নিয়ে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন৷ টাকার বিনিময়ে বহু অযোগ্য প্রার্থীকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। তাঁর বাড়ি থেকে প্রচুর নথি উদ্ধার হয়েছে। তল্লাশির সময় ফোন পুকুরে ছুড়ে ফেলে প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। সিবিআইয়ের আইনজীবীর আরও দাবি, জীবনকৃষ্ণের বাড়ি থেকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রচুর মূল্যবান নথি পাওয়া গিয়েছে৷

    পাল্টা জীবনকৃষ্ণর (Jiban Krishna Saha) আইনজীবী বলেন, ‘জীবনকৃষ্ণকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি নির্দোষ। তাঁর বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা ও ছোট সন্তান রয়েছে। তাই তাঁকে যেন জামিন দেওয়া হয়।’ সওয়াল শুনে ধৃত তৃণমূল বিধায়ককে ৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

    কী জানার চেষ্টায় সিবিআই?

    নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় এজেন্সির নজরে রাজ্যের আরও কয়েকজন বিধায়ক। সিবিআই-এর দাবি, ইতিমধ্যেই ৮-১০ জন বিধায়কের নাম উঠে এসেছে। বিভিন্ন জেলার এই বিধায়করা নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন। কেউ নিজের লেটার প্যাডে চাকরির সুপারিশ করেছেন। কেউ আবার চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা পাঠিয়েছেন। এই চাকরি-বিক্রি চক্রে আরও কোনও বিধায়ক আছেন কি না, তা জানতে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে (Jiban Krishna Saha) জেরা করতে চায় সিবিআই। প্রয়োজনে বিভিন্ন ব্যক্তির ও সন্দেহভাজনদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ককে। 

  • Kalighater Kaku: খুলবে রহস্যের জাল! ‘কালীঘাটের কাকু’-র কণ্ঠস্বর কেন ইডি-র কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল?

    Kalighater Kaku: খুলবে রহস্যের জাল! ‘কালীঘাটের কাকু’-র কণ্ঠস্বর কেন ইডি-র কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাড়ে চার মাসের অপেক্ষার অবসান। দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালানোর পর অবশেষে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের (Recruitment Scam) অন্যতম অভিযুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’-র (Kalighater Kaku) ভয়েস স্যাম্পল হাতে পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কতটা তাৎপর্যপূর্ণ এই ঘটনা? তদন্তেই বা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এই কণ্ঠস্বর নমুনা?

    অগাস্ট থেকে এসএসকেএমেই ঠিকানা ‘কাকু’র

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের (Recruitment Scam) স্বার্থে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’-র কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেটা গত বছরের অগাস্ট মাস। সেই মাসেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। তার পর ২২ অগাস্ট থেকে ‘কালীঘাটের কাকু’-র ঠিকানা হয়ে যায় এসএসকেএম হাসপাতাল। কখনও তাঁর ঠাঁই হয় হাসপাতালের আইসিসিইউ বেডে তো কখনও কার্ডিওলজি বিভাগে। সেই থেকে প্রায় সাড়ে চার মাস ওই বিভাগের একটি শয্যা দখল করে রয়েছেন ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku)। 

    ‘কাকু’-র কণ্ঠ পেতে মরিয়া ছিল ইডি

    সুজয়কৃষ্ণর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল ইডি। তদন্তকারীরা জানতেন, তদন্তের স্বার্থে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, গ্রেফতারের পর দীর্ঘ চার মাসেরও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে ইডি-কে। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও এতদিন তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা এতদিন সংগ্রহ করতে পারেনি ইডি৷ কারণ, শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ‘কাকু’ (Kalighater Kaku)। বার বার এসএসকেএমে গিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে ইডিকে। এমনকী, ডিসেম্বরের শুরুতে জোকা থেকে অ্যাম্বুল্যান্স গিয়েও ফিরে এসেছিল। 

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে মুখ খুললেন ‘কালীঘাটের কাকু’, কণ্ঠস্বরের নমুনা হাতে পেল ইডি

    ‘কাকু’কে আড়াল করছে এসএসকেএম!

    এই প্রেক্ষিতে, ফের আদালতের দ্বারস্থ হয় তদন্তকারী সংস্থা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাদের দাবি ছিল, ‘কাকু’-কে আড়াল করছে এসএসকেএম। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ ছিল, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অবস্থার দোহাই দিয়ে বার বার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে বাধা সৃষ্টি করছিল এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ৷ ইচ্ছে করেই তাঁর স্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এর পরই হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ইএসআই হাসপাতালে ‘কাকু’কে নিয়ে গিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করা হোক। ২ জানুয়ারি কণ্ঠস্বরের নমুনার উপর ফের জোর দেয় আদালত। ফলস্বরূপ, বুধবার মধ্যরাতে জোকা ইএসআই হাসপাতালে হয় ‘কাকু’র (Kalighater Kaku) কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ। যা তদন্তের (Recruitment Scam) গতিপ্রকৃতি স্থির করতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

    ১০০ শতাংশ বিজ্ঞানসম্মত প্রক্রিয়া

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট ভীষণই বিজ্ঞানসম্মত প্রক্রিয়া। তাঁরা জানান, ডিএনএ স্যাম্পেলিং, রেটিনাল ম্যাপিং কিংবা ফিঙ্গারপ্রিন্ট অ্যানালিসিস-এর মতোই শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া হিসেবে ১০০ শতাংশ বিজ্ঞানসম্মত এই ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট।  সূত্রের খবর, এবার সুজয়কৃষ্ণর এই কণ্ঠস্বরের নমুনা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ যার ফলাফলের উপর নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তের (Recruitment Scam) ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে বলে ওয়াকিবহল মহলের মত৷ তদন্তকারীদের ধারণা, সেখান থেকেই অনেক রহস্যের উন্মোচন হবে (Kalighater Kaku)। 

    কথোপকথন পরীক্ষা করা হবে…

    ইডি সূত্রর দাবি, নিয়োগ মামলার তদন্তে (Recruitment Scam) এই পরীক্ষা অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে বিশ্বাস। গোয়েন্দাদের মতে, এই নমুনা তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। ইডি সূত্রের দাবি, তদন্ত করতে গিয়ে যেদিন সুজয়কৃ্ষ্ণর বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি, সেদিনই বিষ্ণুপুর থানায় কর্মরত ‘কাকু’-র ঘনিষ্ঠ রাহুল বেরা নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতেও পৌঁছেছিল তদন্তকারী দল। ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের ফোন বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। সেখান থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। তার মধ্য়ে ছিল একটি কথোপকথন। ইডির দাবি, অডিও ক্লিপিংয়ে শোনা যাচ্ছে, রাহুলকে বলা হচ্ছে, মোবাইলে থাকা নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য মুছে ফেলো। ইডি-র দাবি, বক্তা আর কেউ নন, ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সেই জন্যই এই কণ্ঠস্বর পাওয়া এত জরুরি ছিল ইডি-র কাছে, চ্যালেঞ্জও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: ইচ্ছেপূরণ হল না! বাড়িতে বসেই চিকিৎসা করানোর নয়া আবদার পার্থর

    Partha Chatterjee: ইচ্ছেপূরণ হল না! বাড়িতে বসেই চিকিৎসা করানোর নয়া আবদার পার্থর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কোনও মূল্যে জামিন পেতে মরিয়া নিয়োগ দুর্নীতিতে (Teacher Recruitment Scam) গ্রেফতার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। কিন্তু বারবার আবেদন করেও জামিন মিলছে না। বুধবারও আদালতে জামিনের জন্য আর্জি জানান পার্থর আইনজীবী। এদিন আদালতে আইনজীবী, তাঁর শারীরিক সমস্যার কথা তুলে ধরে তাঁকে যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়ার আর্জি জানান। জেলে ঠিকমতো চিকিৎসা হচ্ছে না৷ তাই বাড়িতে বসেই চিকিৎসার অনুমতি দেওয়া হোক৷ এমন কি, তার জন্য যে কোনও শর্ত পালনেও রাজি ছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ কিন্তু এবারও মিলল না অনুমতি। ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

    পার্থর আবেদন

    এদিন আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের (Partha Chatterjee) আইনজীবী বলেন, “যে কোনও শর্তে জামিন চাইছি। দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ। বাড়িতে বসে চিকিৎসা করার আবেদন জানাচ্ছি।” আদালতে আইনজীবি আরও জানান যে, “মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ ছিল নিয়মিত রক্তপরীক্ষা করার। কিন্তু গত ৯ মাসে রক্তপরীক্ষা হয়নি। জেলে থেকে চিকিৎসা হচ্ছে না। যেভাবে চিকিৎসা হওয়া দরকার, সেটা হচ্ছে না। দিনের পর দিন বিনা চিকিৎসায় রয়েছেন। হেফাজতে রয়েছেন, তদন্ত হচ্ছে না।” মেডিক্যাল বোর্ড অনুসারে, ওনার নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করা দরকার৷ কিন্তু সেটা হচ্ছে না। কিডনির সমস্যা, হাই ব্লাড সুগার, জয়েন্টে সমস্যা ও একাধিক শারীরিক সমস্যা রয়েছে। এই পরিস্থিতি নেতাজি নগর থানা এলাকার নাকতলায় পৈতৃক বাড়িতে বসে ওনার চিকি়ৎসার ব্যবস্থা করা হোক৷

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে মুখ খুললেন ‘কালীঘাটের কাকু’, কণ্ঠস্বরের নমুনা হাতে পেল ইডি

    সিবিআই-এর বিরোধিতা

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) আইনজীবীর এই আবেদনের বিরোধিতা করেন সিবিআই-এর আইনজীবী৷ তিনি বলেন, “মিডলম্যানদের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের সরাসরি যোগ ছিল। আর্থিক লেনদেন হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়-ই নির্দেশ দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে অফিসারদের দুর্নীতিতে যুক্ত করেছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়-ই এই দুর্নীতির কিংপিন।” দু-পক্ষের সওয়াল জবাবের পর ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। প্রসঙ্গত, শিক্ষা দুর্নীতির (Teacher Recruitment Scam) দায়ে ২০২২-এর জুলাই মাসে ইডি গ্রেফতার করে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে। একইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়কেও। তারপর থেকে জেলেই দিন কাটছে প্রাক্তন মন্ত্রীর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: মধ্যরাতে মুখ খুললেন ‘কালীঘাটের কাকু’, কণ্ঠস্বরের নমুনা হাতে পেল ইডি

    Kalighater Kaku: মধ্যরাতে মুখ খুললেন ‘কালীঘাটের কাকু’, কণ্ঠস্বরের নমুনা হাতে পেল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ টালবাহানা, টানাপোড়েন পেরিয়ে প্রায় সাড়ে চার মাস পর অবশেষে নিয়োগকাণ্ডের (Recruitment Scam) অন্যতম অভিযুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে সক্ষম হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) বা ইডি। বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া চরম নাটকের যবনিকা পড়ল বৃহস্পতিবার ভোররাতে।

    মুখে মাস্ক, গায়ে চাদর চাপিয়ে বের হন ‘কাকু’

    বুধবার রাত ৯.৫০ নাগাদ হাসপাতাল থেকে বের করা হয় ‘কালীঘাটের কাকু’কে। এসএসকেএমের হৃদরোগ বিভাগের কেবিন থেকে খয়েরি রঙের চাদর মুড়ি দিয়ে বের হয়েছিলেন ‘কাকু’ (Kalighater Kaku)। মুখে ছিল মাস্ক। হুইলচেয়ারে করে তাঁকে তোলা হয় অ্যাম্বুল্যান্সে। আদালতের নির্দেশ মতো, তাঁকে সোজা আনা হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। আগে থেকেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল জোকা ইএসআই হাসপাতালে তৈরি ছিল৷ মেডিক্যাল পরীক্ষার পর সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু হয়৷ 

    ভয়েস দিতে রাজি হচ্ছিলেন না ‘কাকু’

    সূত্রের খবর, তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়ে এদিনও যথেষ্ঠ বেগ পেতে হয়েছে তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা ইডি-কে (Enforcement Directorate)। প্রথম দিকে প্রায় একঘণ্টা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য রাত পৌনে একটা নাগাদ চিকিৎসক এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের নির্দেশ মতো বাক্যগুলি বলতে রাজি হন ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku)৷ দীর্ঘ সময় ধরে সেখানে চলে তাঁর ‘ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট’ এর প্রক্রিয়া। জানা গিয়েছে, ‘কাকু’র মুখ দিয়ে তিনটি বাক্য বার বার বলানো হয়। সেগুলি হল— ‘আপনার নাম কী?’, ‘আপনার স্ত্রীর নাম কী?’ এবং ‘আমার সাহেবকে কেউ ছুঁতে পারবে না’৷

    এসএসকেএমে ফিরলেন ভোর রাতে…

    শেষে রাত্রি ২টো বেজে ৫০ মিনিট নাগাদ জোকা ইএসআই হাসপাতাল থেকে ‘কাকু’কে (Kalighater Kaku) সঙ্গে নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স ফের রওনা দেয় এসএসকেএমের উদ্দেশে। সেখানেও ফিরেও একপ্রস্থ নাটক হয়। গেট বন্ধ থাকায় কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় ‘কাকুকে’। অবশেষে ভোর ৩টে ২০ নাগাদ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় তাঁকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Teacher Recruitment Case: নিয়োগ প্যানেল নিয়ে বিচারপতি সিনহার নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে প্রাথমিক পর্ষদ!

    Teacher Recruitment Case: নিয়োগ প্যানেল নিয়ে বিচারপতি সিনহার নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে প্রাথমিক পর্ষদ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে (Teacher Recruitment Case) চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গেল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ১২ ডিসেম্বর জেলা ভিত্তিক নিয়োগের প্যানেল আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে এই মামলার।

    সিঙ্গল বেঞ্চের রায়

    ২০১৪ সালের পর রাজ্যে টেট পরীক্ষা হয় দু বার। একবার ২০১৬ সালে। আর দ্বিতীয়বার ২০২০ সালে। নিয়োগ হওয়ার কথা ছিল ৪২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক। এই দুই নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। পর্ষদকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিল বিচারপতি সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই সময় পর্ষদ আদালতে জানিয়েছিল, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইতিমধ্যেই একটি প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে। তবে নিয়োগের রীতি মেনে ২০১৬ সালের প্যানেল প্রকাশের নিয়ম নেই।

    বিচারপতি সিনহার মন্তব্য

    যদিও আদলত চেয়েছিল দুটি নিয়োগ প্রক্রিয়ারই সম্পূর্ণ প্যানেল দেখাতে। বিচারপতি সিনহার মন্তব্য ছিল, “আমি প্রাথমিকের প্যানেল (Teacher Recruitment Case) দেখতে চাই। মেয়াদ শেষের আগে একটা প্যানেল প্রস্তুত হয়। সেটি দেখতে চাই। নিয়োগের প্যানেল খতিয়ে দেখার অধিকার রয়েছে আদালতের।” তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল, “নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ না করে কি পর্ষদ কাউকে আড়াল করতে চাইছে? এই প্যানেল বাড়িতে গচ্ছিত রাখার সম্পত্তি নয়। প্যানেল প্রকাশ হলে অসুবিধা কোথায়?” বিচারপতি সিনহার সেই প্যানেল প্রকাশের নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

    আরও পড়ুুন: “ভিখারি হয়ে গিয়েছে রাজ্য, মোদির পা ধরতেই মমতা দিল্লিতে”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    এই মামলায়ই বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন এমন ৯৪জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার কথা জানিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। পর্ষদের তরফে আদালতে জানানো হয়েছিল, যে দুটি প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে, তা ঠিক নয়। প্যানেলের জন্য আরও সময় প্রয়োজন। তখনই বিচারপতি সিনহার মন্তব্য ছিল, “আর কতদিন অপেক্ষায় থাকবেন বঞ্চিতেরা? তাঁদের (Teacher Recruitment Case) কাছে প্রতিটি দিনের মূল্য রয়েছে। চাকরি প্রার্থীদের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ৪ ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের থেকে কত টাকা নিয়েছিলেন তাপস-কুন্তলরা? বিরাট দাবি সিবিআইয়ের

    Recruitment Scam: ৪ ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের থেকে কত টাকা নিয়েছিলেন তাপস-কুন্তলরা? বিরাট দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি-বিক্রির এজেন্ট ও চাকরিপ্রার্থী মিলিয়ে মোট ১৪১ জনের কাছ থেকে ৪ কোটি ১২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন তাপস মণ্ডল। অন্যদিকে, চাকরি বিক্রি করে ৭১ জনের কাছ থেকে মোট ৩ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh), তাপস মণ্ডলের (Tapas Mondal) বিরুদ্ধে সিবিআই-এর (CBI) ২৪ পাতার চার্জশিটে বিস্ফোরক তথ্য।

    গ্রেফতার চার শিক্ষক

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবারই গ্রেফতার করা হয়েছে টাকা দিয়ে চাকরি কেনা চার শিক্ষককে (Teacher recruitment scam)। আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালত চার শিক্ষককে গ্রেফতারির নির্দেশ দেয়। তাঁদের ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সিবিআই তার নথিতে উল্লেখ করেছে, গ্রেফতার হওয়া ওই চার শিক্ষক ঘুষের টাকা দেন তাপস মণ্ডলকে। সিবিআই আগেই দাবি করছিল যে, একাধিক প্রার্থীর বয়ান থেকে তাপসের টাকার লেনদেন প্রকাশ্যে এসেছে। তবে কে কাকে টাকা দিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছিল। এদিন আদালতে সিবিআই তদন্তকারীরা যে নথি পেশ করেন, তাতে ওই চার শিক্ষকের নাম ছিল এবং নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে ওই চার শিক্ষক টাকা দিয়ে চাকরি কেনেন।

    আরও পড়ুন: মোদির মুখে ‘কুইট ইন্ডিয়া’! জাতীয় হ্যান্ডলুম দিবসের মঞ্চে বিরোধীদের তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    কার থেকে কত টাকা

    সিবিআই চার্জশিটে উল্লেখ, চাকরি বিক্রি করে মুর্শিদাবাদের ৫ শিক্ষকের কাছ থেকে মোট ২৩ লক্ষ টাকা নেন তাপস মণ্ডল। এর মধ্যে ধৃত সায়গর হোসেন দিয়েছিলেন ৬ লক্ষ টাকা। ধৃত জাহিরুদ্দিন শেখ, সৌগত মণ্ডল দিয়েছিলেন সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা করে এবং ধৃত সীমার হোসেন চাকরি কিনতে ৫ লক্ষ টাকা দেন তাপস মণ্ডলকে। চার্জশিটের ১ নম্বরে নাম থাকা আশিক আহমেদকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি সিবিআই। ঘুষ দিয়ে চাকরি কেনার অভিযোগে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ জন অযোগ্য শিক্ষককে। সোমবার সমন করে, এই ৪ শিক্ষককে আদালতে তলব করা হয়। তারপর আদালত কক্ষ থেকেই গ্রেফতার করে ৪ জনকে জেলে পাঠান আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। ২১ অগাস্ট পর্যন্ত তাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ মামলায় (Recruitment Scam) বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতা থেকে শুরু করে মন্ত্রী, একাধিক গ্রেফতারির ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনও শিক্ষককে এর আগে গ্রেফতার হয়নি। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: চার্জশিটে অভিষেকের নাম! দুর্নীতির টাকায় বিপুল সম্পত্তি কালীঘাটের কাকুর, দাবি ইডির

    Recruitment Scam: চার্জশিটে অভিষেকের নাম! দুর্নীতির টাকায় বিপুল সম্পত্তি কালীঘাটের কাকুর, দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর (Kalighater Kaku) বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে চলেছে ইডি। সুজয়ের বিরুদ্ধে কলকাতার নগর দায়রা আদালতে ১২৬ পাতার মূল চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চার্জশিটে ইডি-র (ED) দাবি, এ পর্যন্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর ১১ টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। এই সব সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট, বিভিন্ন জায়গায় জমি। এই সমস্ত সম্পত্তিই কেনা হয়েছে কালীঘাটের কাকু, তাঁর স্ত্রী বাণী ভদ্র ও কাকুর নিয়ন্ত্রিত দুটি কোম্পানির নামে। নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) মামলায় ইডি-র চার্জশিটে, প্রথমবার উল্লেখ করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নাম। 

    অভিষেক ঘনিষ্ঠ কালীঘাটের কাকু

    চার্জশিটের ২২ নম্বর পাতায় ইডি দাবি করেছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই কালীঘাটের কাকু। যুব তৃণমূলের তৎকালীন সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্থিক বিষয়গুলি দেখাশোনা করতেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। ২৬ নম্বর পাতায়, কালীঘাটের কাকুর বয়ানের একাংশ তুলে ধরেছে ইডি। চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র জানিয়েছেন, তিনি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের একজন কর্মী ছিলেন। ইডির চার্জশিটে কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর নিয়ন্ত্রণাধীন কোম্পানি এস ডি কনসালটেন্সির যোগ, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিস থেকেই এস ডি কনসালটেন্সির কাজকর্ম পরিচালনা এবং পরিবর্তে মোটা টাকা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অ্য়াকাউন্টে ঢোকার মতো একাধিক চাঞ্চল্য়কর দাবি করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-তে জোর! কম্পিউটার-ল্যাপটপের আমদানিতে ‘নিষেধাজ্ঞা’ কেন্দ্রের

    চার্জশিটে ইডি-র দাবি

    ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগকাণ্ডে চাকরিপ্রার্থীদের (Recruitment Scam) কাছ থেকে তোলা অবৈধ টাকা সাদা করতে নামে-বেনামে একাধিক সম্পত্তি কিনেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। ১২৬ পাতার চার্জশিটের ৮৩ নম্বর পাতায় বলা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণের নির্দেশে প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কলকাতার ভবানীপুরে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন দেবরূপ চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। এই দেবরূপ হলেন সুজয়কৃষ্ণের মেয়ে পারমিতা চট্টোপাধ্যায়ের স্বামী। চার্জশিটে বলা হয়েছে, ফ্ল্যাটটি কিনতে জামাইকে দিবাকর খেমকা নামের এক ব্যক্তি এবং তাঁর অধীনস্থ সংস্থার কাছ থেকে প্রায় ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। ইডির দাবি, ‘ওয়েলথ উইজার্ড’ নামের একটি সংস্থার কাছ থেকে আরও ৪৫ লক্ষ টাকা ঋণের বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share