Tag: Team India

Team India

  • India vs South Africa: হার্দিকের দুরন্ত প্রত্যাবর্তন, বিশাল জয় ভারতের, রাবারাটিতে লজ্জার নজির প্রোটিয়াদের

    India vs South Africa: হার্দিকের দুরন্ত প্রত্যাবর্তন, বিশাল জয় ভারতের, রাবারাটিতে লজ্জার নজির প্রোটিয়াদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাইশ গজে মধুর প্রত্যাবর্তন। ২৮ বলে ৫৯ রান, ৬টি চার ও ৪টি ছয়, ফের ঝড় তুললেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর ঝোড়ো ইনিংসে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে এসে ভারতীয় দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৫ রান করেছিল। জবাবে ৭৪ রানে শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। এই ফরম্য়াাটে এটাই প্রোটিয়াদের ন্যূনতম স্কোর। ১৮ বলে শেষ ৫ উইকেট হারাল প্রোটিয়ারা। ১০১ রানে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত। একই সঙ্গে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির প্রথম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সূর্যকুমারেরা।

    হার্দিকের দুরন্ত প্রত্যাবর্তন, হতাশ শুভমন

    শুভমন গিল এবং হার্দিক পান্ডিয়া। চোট সারিয়ে কটকে প্রত্যাবর্তন দুই ক্রিকেটারের। ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশের উৎসাহ ছিল শুভমনকে নিয়ে। টেস্ট এবং এক দিনের দলের অধিনায়ক শুভমন। হতাশ করলেন শুভমন টি-টোয়েন্টি দলের সহ-অধিনায়ক। তবে নেতৃত্বের দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়া হার্দিক ঝড় তুললেন ব্যাট হাতে। তাঁর ২৮ বলে ৫৯ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদেই এডেন মার্করামের দলের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছোন সূর্যকুমার যাদবেরা। শুভমন কটকের ২২ গজে টিকলেন ২ বল। করলেন ৪ রান। চিন্তায় রাখল অধিনায়ক সূর্যের ফর্মও। তবে ভারতীয় বোলাররা সফল ১০০ শতাংশই।

    ভারতীয় বোলাররা ১০০ শতাংশ সফল

    বল হাতে রাতের বারবাটি শাসন করলেন ভারতীয় বোলারেরা। ১৭৬ রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আউট হন কুইন্টন ডি কক (০)। অর্শদীপের এই ধাক্কা সামলানোর আগেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। নিজের দ্বিতীয় ওভারে অর্শদীপ আউট করেন ট্রিস্টান স্টাবসকে (১৪)। অক্ষর নিজের প্রথম ওভার করতে এসে তুলে নেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ক এডেন মার্করামের (১৪) উইকেট। ৪০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যান সফরকারীরা। সেই চাপের মুখে পর পর ফিরে যান মিলার এবং ফেরেইরা (৫)। দক্ষিণ আফ্রিকা ৫০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ম্যাচের ফলাফল এক রকম ঠিক হয়ে যায়। ভারতীয় বোলারদের দাপটে কেউই আর লড়াই করতে পারলেন না। ধস নামল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে। পর পর আউট হলেন জানসেন (১২), ডেওয়াল্ড ব্রেভিস (২২), কেশব মহারাজ (০), অনরিখ নোখিয়া (১), লুথো সিমপালারা (২)। ১২.৩ ওভারেই শেষ হয়ে গেল তাঁদের ইনিংস। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সফলতম অক্ষর ৭ রানে ২ উইকেট নিলেন। ১৪ রানে ২ উইকেট অর্শদীপের। এ দিন ১৭ রানে ২ উইকেট নিলেন বুমরা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট পূর্ণ করলেন তিনি। ১৯ রানে ২ উইকেট বরুণ চক্রবর্তীর। ১৬ রানে ১ উইকেট নিলেন হার্দিক। ১ রানে ১ উইকেট শিবমের। ভারতের ছ’জন বোলারই উইকেট পেলেন। তিনবছর আগে ভারতেরই বিরুদ্ধে রাজকোটে মাত্র ৮৭ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ৷ যা এতদিন ছিল সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে তাঁদের সর্বনিম্ন স্কোর ৷ মঙ্গলবার তা ভেঙে গেল ৷

    নিজের নয়, ভারতের প্রয়োজনই প্রাধান্য

    চোট সারিয়ে এশিয়া কাপের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেই ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতে নেন হার্দিক। জানান গত ছ’সাত মাস ধরে ফিটনেসের উপর বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছেন। যাতে দেশের জার্সি পরে নিজের সেরাটা দিতে পারেন। নিজের পারফরম্যান্সে খুশি হার্দিক। হার্দিক বলেছেন, ‘‘গত ছ’-সাত মাস আমার ফিটনেস ভাল জায়গাতেই ছিল। শেষ ৫০ দিন পরিবার ছেড়ে সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে থেকে খুব উপকৃত হয়েছি। বেশ কিছু দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পেয়েছি। শট মারার সময় একটু সতর্ক ছিলাম। নিশ্চিত করতে চেয়েছি শটগুলো যাতে ঠিকঠাক হয়। শেষ দিকে কয়েকটা সাহসী শটও খেলতে হয়েছে। টাইমিং ঠিক রাখার উপর গুরুত্ব দিয়েছি। আমার এদিনের ব্যাটিংয়ে আমি সন্তুষ্ট।’’ নিজের বোলিং নিয়েও খুশি হার্দিক। তিনি বলেছেন, ‘‘মাঠে আমার ভূমিকা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম না। নিজের দায়িত্ব জানি। আমি কী চাই সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দলের প্রয়োজন। ভারতের প্রয়োজন। এই মানসিকতা নিয়েই খেলতে নামি। এটা আমাকে ভালো পারফর্ম করতে সাহায্য করে।’’ জয়ের নেপথ্যে হার্দিকের অবদান মেনে নিয়েছেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবও।

  • Gautam Gambhir: গুরু গম্ভীরেই আস্থা বোর্ডের! শুভমনদের আরও একটু সময় দিতে চায় বিসিসিআই

    Gautam Gambhir: গুরু গম্ভীরেই আস্থা বোর্ডের! শুভমনদের আরও একটু সময় দিতে চায় বিসিসিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের পর ফের ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইডেনে অল্পের জন্য হার, আর তারপর গুয়াহাটিতে ৪০৮ রানে অসহায় আত্মসর্পণ। তবুও গুরু গম্ভীরেই (Gautam Gambhir) আস্থা রাখছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। গম্ভীরকে কোচ পদ থেকে অপসারণের কোনও ইচ্ছা আপাতত বিসিসিআইয়ের নেই। তারা কোচের বিরুদ্ধে কোনও তাড়াহুড়ো করে পদক্ষেপ নেবে না, এ কথা জানিয়েছেন বোর্ডের এক কর্তা। দ্বিতীয় টেস্ট শেষ হওয়ার পরে, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিসিসিআই-এর উপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দিয়েছিলেন গম্ভীর। এবার তাঁর ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল বিসিসিআই।

    গম্ভীরকে সময় দিতে আগ্রহী বিসিসিআই

    বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন, “এখনই গম্ভীরকে সরিয়ে দেওয়ার কথা আমরা ভাবছি না। ও একটা দল তৈরি করছে। ২০২৭-এর বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর গম্ভীর এবং নির্বাচকদের সঙ্গে বৈঠক হবে বোর্ডকর্তাদের। সেখানেই গম্ভীরকে জিজ্ঞাসা করা হবে, দলের এই রূপান্তরের সময়টাকে কী ভাবে দেখছে ও।” তিনি বলেছেন, “দুম করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে নয় বিসিসিআই। দল এখন রূপান্তরের মধ্যে রয়েছে। বিশ্বকাপ সামনেই। তা ছাড়া ওঁর চুক্তি হয়েছে ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তাই এখনই গম্ভীরের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও কারণ নেই। বিসিসিআই নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করবে।” বুধবার সিরিজ হারের পর নিজের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে গম্ভীর বলেছিলেন, “এটা তো বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। আমি আগেও একটা কথা বলেছি, আজও বলছি। ভারতীয় ক্রিকেট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আমি নই। মনে রাখবেন, আমি সেই একই লোক যে ইংল্যান্ডে ভালো ফল করেছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং এশিয়া কাপ জিতেছে।”

    গম্ভীর স্ট্র্যাটেজি নিয়ে প্রশ্ন

    দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ হারের পর থেকে গৌতম গম্ভীরকে কোচের পদ থেকে সরানোর দাবি করা হচ্ছে। সমর্থক থেকে শুরু করে প্রাক্তন ক্রিকেটারদের একাংশ গম্ভীরকে সরানোর দাবি করতে শুরু করেছেন। গম্ভীরের জমানায় ভারত সাদা বলের ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করলেও লাল বলের ক্রিকেটে দলের ফর্ম পড়তে শুরু করেছে। গম্ভীর যখন টেস্ট দলকে পেয়েছেন তখন দলে একাধিক পরিবর্তন হয়েছে। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, চেতেশ্বর পূজারার মতো সিনিয়র প্লেয়াররা টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। এই চারটে জায়গা ভরাট করার জন্য গম্ভীর তরুণদের দিকে ঝুঁকছেন। এতগুলো নতুন মুখকে তৈরি করতে যেই সময় দেওয়া দরকার সেটা নেই। অনেকে দাবি করেছেন, গম্ভীর রঞ্জি ট্রফির পারফরম্যান্স দেখে দলে না নিয়ে তিনি আইপিএল-এ পারফরম্যান্স দেখে দলে নিচ্ছেন। এবার গম্ভীরকে কোচের পদ থেকে সরানো নিয়ে মুখ খুলল বিসিসিআই। গম্ভীর জমানায় ভারত টেস্টে এমন কিছু ঘটনার সাক্ষী থেকেছে যা অতীতে ছিল না। ঘরের মাঠে দুটো টেস্ট সিরিজে হার। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রবেশ করতে না পারা। ঘনঘন দলের প্রথম একাদশে বদলের মতো ঘটনা ঘটেছে। যার পর প্রশ্নের মুখে গম্ভীরের স্ট্র্যাটেজি। তবে বিসিসিআই এখনই গম্ভীরকে সরাতে চাইছে না।

  • India vs South Africa: রোহিত-কোহলি-অশ্বিনের অভাব বুঝছেন গম্ভীর! দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪০৮ রানে হার ভারতের

    India vs South Africa: রোহিত-কোহলি-অশ্বিনের অভাব বুঝছেন গম্ভীর! দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪০৮ রানে হার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোহিত, কোহলি এবং অশ্বিন দীর্ঘ দিন ভারতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। দেশের মাটিতে একের পর এক সাফল্য দিয়েছেন দলকে। এই তিন জনের অভাব যে পূরণ করা যায়নি তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) কাছে হারের পর। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে গম্ভীর বলেন, “এই হারের দায় সকলের। তবে শুরুটা আমাকে দিয়েই হবে। আসলে এটাই হল রূপান্তরের (ট্রানজিশন) শুরু। আপনাকে সময় দিতেই হবে।” উদাহরণ হিসাবে গম্ভীর তুলে ধরেছেন ওয়াশিংটন সুন্দরের কথা। তিনি বলেছেন, “আমরা ওয়াশিংটনকে যতটা বেশি সম্ভব সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি। আপনি যদি ভাবেন ১০০-র বেশি টেস্ট খেলা অশ্বিনের মতো খেলে দেবে ওয়াশিংটন, তা হলে তরুণ ছেলেটার উপরে অবিচার করা হবে। এটা নিয়ে আপনাদেরও ভাবা উচিত। সবে ১০-১২-১৫টা টেস্ট খেলেছে ওরা। এখনও শেখার অনেক জায়গা রয়েছে। বিভিন্ন পরিস্থিতি, বিভিন্ন পরিবেশে বল করা শিখছে।”

    ক্রিকেটারদের সময় দেওয়া দরকার

    এর পরেই গম্ভীর বলেছেন, “এত বেশি অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে একসঙ্গে হারালে সেটার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া কঠিন। এই জন্যই এটাকে রূপান্তর বলছি। এই ক্রিকেটারদের সময় দেওয়া দরকার। আমার মনে হয় না আগে কখনও একই সঙ্গে ব্যাটিং এবং বোলিং দুই বিভাগেই রূপান্তর হয়েছে বলে। আগে ব্যাটিং বিভাগ ভালো থাকত। বোলিং বিভাগে রূপান্তর হত। অথবা উল্টোটা। এই দলে পুরোটাই নতুন করে তৈরি হচ্ছে। সকলের এটা বোঝা উচিত, এই দলে যারা বসে আছে তাদের সেই যোগ্যতা এবং দক্ষতা রয়েছে। আমরা সকলেই টেস্ট ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা দেখতে চাই। সেটার জন্য অভিজ্ঞতা দরকার। এর পর যখন ওরা কঠিন পরিবেশে গিয়ে খেলবে, ঠিক কাজের কাজ করে দেবে।”

    বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকা

    বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকাতেও লজ্জার মুখে পড়ল ভারত। পাঁচ নম্বরে নেমে গেল ভারত। ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করে দক্ষিণ আফ্রিকা দুই নম্বরে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করল। তারা চারটি টেস্ট খেলে তিনটিতেই জিতেছে। একটিতে হেরেছে। তাদের শতকরা পয়েন্ট এখন ৭৫.০০। শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া। তারা চারটি টেস্ট খেলে চারটিতেই জিতেছে। তাদের শতকরা পয়েন্ট ১০০। বুধবার গুয়াহাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে দ্বিতীয় টেস্টে ৪০৮ রানে হেরে গেল ভারত। গুয়াহাটি টেস্টে ভারতের সামনে লক্ষ্য ছিল ৫৪৯ রানের। ভারত হেরেছে ৪০৮ রানে। টেস্ট ক্রিকেটে রানের নিরিখে এটাই ভারতের সর্বোচ্চ ব্যবধানে হার। আগের রেকর্ডটি ছিল ২০০৪ সালের। সে বার নাগপুরে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩৪২ রানে হেরেছিল তারা। জেসন গিলেসপি এবং গ্লেন ম্যাকগ্রার বোলিংয়ের সামনে দুই ইনিংসেই গুটিয়ে গিয়েছিল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে সাড়ে ৩ দিনেই শেষ গম্ভীরের ভারত। ৪০৮ রানে গুয়াহাটি টেস্টে হারতে হল ভারতকে। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪০ রানে গুটিয়ে গেল ভারত।

  • India vs West Indies: দ্বিশতরানের পথে যশস্বী, ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে প্রথম দিনের শেষে চালকের আসনে ভারত

    India vs West Indies: দ্বিশতরানের পথে যশস্বী, ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে প্রথম দিনের শেষে চালকের আসনে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেদাবাদের পর দিল্লিতেও দাপট দেখালেন ভারতের ব্যাটাররা। ফের একবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের (India vs West Indies) বিরুদ্ধে একটা গোটা দিন আধিপত্য ধরে রাখল ভারতীয় দল। মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে প্রথম দিনে ৩১৮ রান তুলে ফেলল টিম ইন্ডিয়া। দিনের শেষে যশস্বী ১৭৩ ও শুভমন গিল ২০ রানে ক্রিজে অপরাজিত রয়েছেন। তবে অল্পের জন্য এদিন শতরান হাতছাড়া হল সাই সুদর্শনের।

    টস জিতলেন শুভমন

    ভারতের (India vs West Indies) টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার পর সপ্তম টেস্টে প্রথম টস জিতলেন শুভমন। ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেন। শুভমন টসে জেতায় মাঠেই তাঁরে শুভেচ্ছা জানান কোচ গৌতম গম্ভীর থেকে শুরু করে সতীর্থেরা। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা সাবধানে করেন যশস্বী ও লোকেশ রাহুল। নতুন বল ধরে খেলেন তাঁরা। প্রথম ঘণ্টা শেষ হওয়ার পর আক্রমণ শুরু করল ভারত। হাত খোলেন রাহুল। স্পিনারকে এগিয়ে এসে ছক্কাও মারেন। দ্বিতীয় বার সেই শট মারতে গিয়ে জোমেল ওয়ারিকানের বলে স্টাম্প আউট হন রাহুল।

    যশস্বীর জমকালো ইনিংস

    টেস্টে (India vs West Indies) প্রথম শতরানের পথে এগোচ্ছিলেন সাই সুদর্শন। কিন্তু ৮৭ রানের মাথায় জোমেল ওয়ারিকানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলেন ভারতীয় ব্যাটার। ২৫১ রানে ভারতের দ্বিতীয় উইকেট পড়ল। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর রান তোলার গতি বাড়ায় ভারত। বল কিছুটা পুরনো হয়ে যাওয়ায় বিশেষ কিছু হচ্ছিল না। ১৪৮ বলে নিজের শতরান পূর্ণ করেন যশস্বী। টেস্টে এটি তাঁর সপ্তম শতরান। টেস্টে তাঁর সাতটি শতরানের মধ্যে পাঁচটিই ১৫০-র বেশি। দ্বিতীয় দিন দ্বিশতরানেরও সুযোগ রয়েছে ভারতীয় ওপেনারের। ইতিমধ্যে তিনি ৩ হাজার রান পূরণ করে ফেলেছেন যশস্বী। এখনও পর্যন্ত তিনি একটাই মাত্র ওয়ানডে ম্য়াচ খেলেছেন। ভারতের কাছে এই সিরিজটা যে একেবারেই ‘ছেলেখেলা’ তা বলা যেতে পারে। প্রথম ম্য়াচে তো টিম ইন্ডিয়া ইতিমধ্যেই জয়লাভ করেছে। এবার দ্বিতীয় ম্য়াচের কথা যদি বলতে হয়, তাহলে তিন দিনের মধ্যে এই ম্য়াচও শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করতে চাইবে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে টিম ইন্ডিয়ার ঝুলিতে পয়েন্ট আসবে।

  • India vs Pakistan: “খেলার মাঠে অপারেশন সিঁদুর” ভারতের জয়ে মোদির ট্যুইট! সূর্যরা বয়কট করায় ট্রফি নিয়ে পালালেন নকভি

    India vs Pakistan: “খেলার মাঠে অপারেশন সিঁদুর” ভারতের জয়ে মোদির ট্যুইট! সূর্যরা বয়কট করায় ট্রফি নিয়ে পালালেন নকভি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধ-জয়ের আনন্দ! ঘড়িতে তখন রাত ১২টা। পুজোর কলকাতায় মণ্ডপে মণ্ডপে মানুষের ঢল। তবে মাঝেই মাঝেই প্রতিমা থেকে চোখ সরছে মোবাইল স্ক্রিনে। চলছে ভারত-পাক এশিয়া কাপ (Asia Cup 2025)  ফাইনাল। তিলক বর্মার ছয়, শান্ত-ধীর ভারতীয় কোচ গৌতম গম্ভীরও আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না। উচ্ছ্বসিত আসমুদ্র হিমাচল। পাকিস্তানকে টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচের তিনটিতে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন ভারত (India vs Pakistan)। যোগ্যদের সম্মান দিতে জানে না পাকিস্তান। একইভাবে বিতর্ক জিইয়ে রেখে ভারতীয় ক্রিকেটারদের ট্রফি ও মেডেল নিয়ে চলে গেলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তথা এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহসিন নকভি। তাতে কী? রেকর্ড বলছে, বাস্তব বলছে ভারত চ্যাম্পিয়ন। রবিবার পাকবধ করে এশিয়াসেরা হওয়ার পরেই সেকথা টুইট করে মনে করালেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখলেন, “এবার খেলার মাঠ অপারেশন সিঁদুর।”

    খেলার মাঠ অপারেশন সিঁদুর

    পহেলগাঁওয়ে পাক জঙ্গিদের হামলায় একাধিক ভারতীয় নারীর সিঁথির সিঁদুর মুছেছিল। যুদ্ধের ময়দানে তার বদলাও নিয়েছিল ভারত। এবার খেলার মাঠে দেবীপক্ষে প্রতিশোধ নিল সূর্যকুমার যাদবের টিম ইন্ডিয়া। রবিবার এশিয়া কাপের ফাইনালে ৫ উইকেটে জয়ী হয়েছে ভারত। এরপরেই এক্স হ্যান্ডেলে সংক্ষিপ্ত টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি লিখেছেন, ‘‘খেলার মাঠেও ‘অপারেশন সিঁদুর’, ফলাফল একই, ভারত জিতল! আমাদের ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানাই।” উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলায় ২৫ পর্যটক-সহ মোট ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর থেকেই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। বদলা নিতে ৭ মে পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। এর জেরে ধ্বংস হয় পাকিস্তান (India vs Pakistan) এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি। এর পরেই দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। চার দিন পর সংঘর্ষবিরতি হলেও এখনও উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে। বারবার বাইশ গজে দুই দলের ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাসে চোখে পড়েছে সেই ছবি।

    ভারতের জয়ের তিলক

    এদিন এশিয়া কাপ (Asia Cup 2025)  ফাইনালে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। শুরুটা খারাপ করেনি পাকিস্তান। ওপেনিং জুটিতে উঠে যায় ৮৪ রান। সাহিবজাদা ফারহান করেন ৫৭ রান। ফখর জামান ৪৬ রান করেন। তবে ভারতীয় স্পিনারদের আসতেই খেই হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। প্রথম তিনজনের পর আর কেউ দুই সংখ্যায় পৌঁছয়নি। ১১৩ রানে ২ উইকেট থেকে ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায় পাক বাহিনী। কুলদীপ যাদব পান ৪ উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। সেখান থেকে তিলক বর্মা প্রথমে সঞ্জু স্যামসনকে নিয়ে ৫৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়েন। এরপর শিবম দুবের সঙ্গে জুটি গড়ে ভারতকে জয়ের পথে নিয়ে যান। দুবে আউট হলেও দমানো যায়নি তিলককে। ৬৯ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।

    এশিয়ায় সেরা, টানা ম্যাচ জয়ের রেকর্ড

    ফের পাকিস্তানের বিপক্ষে ইতিহাস গড়ল ভারত (India vs Pakistan)। টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক (T20I) ফরম্যাটে রান তাড়া করে পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা নয়টি ম্যাচ জিতল ভারত। এখনো পর্যন্ত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে কোনও ম্যাচে হারেনি ‘মেন ইন ব্লু’। এটি বিশ্বরেকর্ড – একশো শতাংশ জয়ের হারে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয় পাওয়ার রেকর্ড গড়ল ভারত। শুধু এখানেই থেমে থাকেনি টিম ইন্ডিয়া। এশিয়া কাপ ২০২৫-এ আরেকটি মাইলফলক ছুঁয়েছে তারা। এশিয়া কাপে টানা ৫০টি ম্যাচ জয়ের নজির গড়ল ভারত। পাকিস্তানের বিপক্ষে ধারাবাহিক সাফল্য ও এশিয়া কাপে একচ্ছত্র আধিপত্য প্রমাণ করে দিচ্ছে – ভারতীয় দল এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে কতটা দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ।

    ট্রফি নিয়ে নাটক নকভির

    পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপ (Asia Cup 2025) জিতেও ট্রফি পেল না ভারতীয় দল। অভিযোগ, ট্রফি এবং ভারতীয় ক্রিকেটারদের মেডেল নিয়ে নিজের হোটেলের ঘরে চলে গিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তথা এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহসিন নকভি। এই ঘটনায় হতবাক ভরতীয় ক্রিকেট দল। ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব জানালেন, এমন ঘটনা তিনি জীবনে দেখেননি। এশিয়া কাপ জিতে ট্রফি ছাড়াই উল্লাস করেছেন ভারতীয় ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফেরা। ২০২৪ সালে টি২০ বিশ্বকাপ জিতে রোহিত শর্মা যে কায়দায় ট্রফি তুলেছিলেন, সেই একই কায়দায় উল্লাস করলেন সূর্যেরা। পার্থক্য একটাই। সেবার রোহিতের হাতে ট্রফি ছিল। এবার কল্পনায় ট্রফি তুললেন সূর্য। পরে সাংবাদিক বৈঠকে এসে সেই বিষয়ে মুখ খুললেন সূর্য। তিনি বললেন, “চ্যাম্পিয়ন দল ট্রফি পাচ্ছে না, ক্রিকেট খেলা শুরু করার পর থেকে জীবনে এমন ঘটনা আমি দেখিনি। তবে আমার মতে দলের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফেরাই আসল ট্রফি। সকলে বলছেন, ভারত এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন। এটাই আসল কথা।”

    ভারতের জাতীয় সঙ্গীতকে অসম্মান, জবাব বুমরার

    ফাইনাল (Asia Cup 2025) শুরুর আগে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হওয়ার সময় খোশগল্প করছিলেন পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটার হ্যারিস ও শাহিন শাহ আফ্রিদি। ক্রিকেটের নিয়মে রয়েছে, অন্য দেশের জাতীয় সঙ্গীতের সময়ও সোজা হয়ে থাকতে হবে ক্রিকেটারদের। গল্প করা যাবে না। কিন্তু পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটার সেটাই করেন। তার জন্য দু’জনের সমালোচনা শুরু হয়েছে। ভারতীয় সমর্থকদের অভিযোগ, ভারতের জাতীয় সঙ্গীতকে অসম্মান করেছেন তাঁরা। হ্যারিস ও শাহিনের শাস্তির দাবিও উঠেছে। ফাইনালে হ্যারিসকে বোল্ড করে তাঁকে জবাব দেন জসপ্রীত বুমরা। তিনিও ‘প্লেন ক্র্যাশ’ উল্লাস করেন।

    সেনা-ছাউনিতে উল্লাস

    গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানকে (India vs Pakistan) হারিয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জন্য ভারতীয় সেনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন সূর্য। এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের জয় টেলিভিশনে দেখেছেন সেনা বাহিনীর জওয়ানেরা। ভারত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তাঁদের উল্লাসের ছবিও দেখা গিয়েছে সমাজমাধ্যমে। টুর্নামেন্ট জিতে নিজের প্রতিটা ম্যাচ ফি ভারতীয় সেনাকে উৎসর্গ করেছেন অধিনায়ক সূর্যকুমার। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অভিযোগ, সূর্যকুমারেরা ট্রফি নিতে অস্বীকার করায় এশিয়া কাপের ট্রফি ও ভারতীয় ক্রিকেটারদের মেডেল নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন নকভি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া বলেন, “যেহেতু ভরত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি রয়েছে তাই আমরা এমন কারও কাছ থেকে পুরস্কার নেব না, যিনি পাকিস্তানের মন্ত্রী। নীতিগত ভাবে এই সিদ্ধান্ত আমরা আগেই নিয়েছিলাম। তার মানে এই নয় যে ভদ্রলোক ট্রফি ও মেডেল নিয়ে পালিয়ে যাবেন। এই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আশা করছি ভদ্রলোক দ্রুত ট্রফি ও মেডেল ভারতকে ফেরত দিয়ে দেবেন।”

  • Asia Cup 2025: প্রস্তুতি তুঙ্গে, এশিয়া  কাপে ভারত-পাক মহারণ ১৪ সেপ্টেম্বর

    Asia Cup 2025: প্রস্তুতি তুঙ্গে, এশিয়া কাপে ভারত-পাক মহারণ ১৪ সেপ্টেম্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপ (Asia Cup 2025) মানেই ভারতীয় ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে আলাদা আবেগ। ক্রিকেটে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচকে ঘিরে থাকে তুমুল উত্তেজনা। এবার, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কে বেশ প্রভাব দেখা দিয়েছে। এমনকি, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড পাকিস্তানের মুখোমুখি না হওয়ার দাবিও জানিয়েছিল। তবে, সে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবার ভারতীয় দল এশিয়া কাপের মঞ্চে মুখোমুখি হতে চলেছে পাকিস্তানের। প্রতিযোগিতায় দু’বার মুখোমুখি হতে পারে ভারত ও পাকিস্তান। গ্রুপ পর্বে তো খেলা হবেই। ফাইনালেও আবার দেখা হতে পারে তাদের।

    কবে কবে ভারতের ম্যাচ

    ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে এশিয়া কাপ। ১০ সেপ্টেম্বর নামবে ভারত। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে। ১৪ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে ভারত–পাক মহারণ। সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে নামবে টিম ইন্ডিয়া। যারা গতবারের এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন। গ্রুপ পর্বে ভারতের শেষ ম্যাচটি রয়েছে ওমানের বিরুদ্ধে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর। সব খেলা শুরু ভারতীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। ভারত ও পাকিস্তান এক গ্রুপে থাকায় সেমিফাইনালে দেখা হবে না তাদের। যদি তারা নিজেদের সেমিফাইনাল জেতে তা হলে ফাইনালে আবার দু’দেশ মুখোমুখি। চলতি বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্বে দুবাইয়ের মাঠেই ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছিল। পাকিস্তানকে সহজেই হারিয়েছিল ভারত। সেটা ছিল এক দিনের ম্যাচ। তার আগে গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচেও ভারতের কাছে হেরেছিল পাকিস্তান।

    বিশেষ প্রস্তুতি

    এশিয়া কাপ নিয়ে এবার বিশেষ পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলেছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। প্রসঙ্গত, দলের বেশ কিছু ক্রিকেটার দীর্ঘদিন ধরেই কোনওরকম প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে বাইরে (asia cup 2025)। সেই তালিকায় আছেন দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব নিজেও। তিনি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের দলেও ছিলেন না। তাই প্রতিযোগিতা শুরুর আগে কয়েকদিনের জন্য বিশেষ প্রস্তুতি শিবির করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হেডকোচ গৌতম গম্ভীর। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে পৌঁছেই সেই বিশেষ প্রস্তুতি শিবির শুরু করে দেবে টিম ইন্ডিয়া। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে দুবাইতে শুরু হয়ে যাচ্ছে সেই প্রস্তুতি শিবির।

    ১৫ জনের ভারতীয় দল: সূর্যকুমার যাদব, শুভমন গিল, অভিষেক শর্মা, তিলক বর্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, শিবম দুবে, অক্ষর প্যাটেল, জিতেশ শর্মা, জসপ্রিত বুমরা, অর্শদীপ সিং, বরুণ চক্রবর্তী, কুলদীপ যাদব, সঞ্জু স্যামসন, হর্ষিত রানা, রিঙ্কু সিং।

  • India vs England: ইংল্যান্ডে লাল বলের ক্রিকেটে নামার অপেক্ষায় রোহিত-কোহলিহীন নতুন ভারত

    India vs England: ইংল্যান্ডে লাল বলের ক্রিকেটে নামার অপেক্ষায় রোহিত-কোহলিহীন নতুন ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইপিএলের রেশ কাটিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের (India vs England) এবার ফরম্যাট বদলের পালা। শুক্রবার হেডিংলিতে শুরু হবে ভারত-ইংল্যান্ডের মধ্যে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।  অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির পর অবশেষে লাল বলের ক্রিকেটে ফিরছে ভারতীয় দল। এই ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের নতুন পর্বও। এর মাঝে বদলে গিয়েছে অনেক কিছু। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাকে ছাড়া নামবে টিম ইন্ডিয়া। শুভমন গিলের নেতৃত্বে শুরু হবে এক নতুন যুগ। দুই মহাতারকার অনুপস্থিতিতে ইংল্যান্ডের মাটিতে ব্রিটিশদের চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত যশস্বী-পন্থরা।

    নতুন ভারতের যাত্রা শুরু

    ইংল্যান্ডের (India vs England) পিচ ও আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে সিরিজ শুরুর ১৪ দিন আগে ইংল্যান্ডে পৌঁছেছে তরুণ ভারতীয় দল। সেখানে ১০ দিনের একটা শিবির করেছে তারা। নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছে। আগে থেকে পুরো তৈরি হয়ে তার পর সিরিজ খেলতে নামতে চাইছে ভারত। নতুন টেস্ট অধিনায়ক শুভমন গিলের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। কোহলির আগ্রাসন ভারতীয় ক্রিকেটকে বদলে দিয়েছিল। রোহিত ছিল ঠান্ডা, ধীর-স্থির, লড়াকু। ও এই দু’জনের থেকেই শিখেছে শুভমন। এবার মাঠে প্রয়োগের পালা। কোচ হিসেবে গৌতম গম্ভীরও এই প্রথম ইংল্যান্ডে গিয়েছেন। ফলে বলা যেতে পারে, তরুণ ভারতীয় দল নামবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। এখন দেখার শুরুটা কেমন করেন শুভমনেরা।

    কখন-কোথায় খেলা দেখবেন

    ইংল্যান্ড সফরে পাঁচটি টেস্ট খেলবে ভারতীয় দল (India vs England)। ২০ জুন অর্থাৎ শুক্রবার প্রথম টেস্ট। লিডসের হেডিংলি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে খেলা হবে প্রথম ম্যাচ। ভারতীয় সময় অনুযায়ী খেলা শুরু হবে বিকেল সাড়ে তিনটে থেকে। ম্যাচ দেখার দুটো বিকল্প রয়েছে। টেলিভিশনে এই সিরিজ সম্প্রচার হবে সোনি স্পোর্টসে। তেমনই মোবাইলে খেলা দেখা যাবে জিওহটস্টার অ্যাপে। ইংল্যান্ড শুধুমাত্র প্রথম টেস্টের জন্যই দল ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড প্রাথমিক ভাবে ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে। দলে নতুন করে ঢুকেছেন তরুণ পেসার হর্ষিত রানা।

    ভারতের স্কোয়াড- শুভমন গিল (ক্যাপ্টেন), ঋষভ পন্থ (ভাইস ক্যাপ্টেন), যশস্বী জয়সওয়াল, লোকেশ রাহুল, সাই সুদর্শন, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, করুণ নায়ার, নীতীশ রেড্ডি, রবীন্দ্র জাডেজা, ধ্রুব জুরেল, ওয়াশিংটন সুন্দর, শার্দূল ঠাকুর, জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ, প্রসিধ কৃষ্ণ, আকাশ দীপ, অর্শদীপ সিং, কুলদীপ যাদব, হর্ষিত রানা

    ইংল্যান্ডের স্কোয়াড- বেন স্টোকস (ক্যাপ্টেন), শোয়েব বশির, জেকব বেথেল, হ্যারি ব্রুক, ব্রাইডন কার্স, স্যাম কুক, জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট, জেমি ওভার্টন, ওলি পোপ, জো রুট, জেমি স্মিথ, জশ টং, ক্রিস ওকস।

  • Asian Athletics Championships: পাশে মোদি সরকার, দুরন্ত পারফরম্যান্স অ্যাথলিটদের, ২৪ পদক নিয়ে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দ্বিতীয় ভারত

    Asian Athletics Championships: পাশে মোদি সরকার, দুরন্ত পারফরম্যান্স অ্যাথলিটদের, ২৪ পদক নিয়ে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দ্বিতীয় ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে (Asian Athletics Championships) ২৪টি পদক জিতে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করল ‘টিম ইন্ডিয়া’। দক্ষিণ কোরিয়ার গুমিতে সম্পন্ন হলো ২৬তম এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে। এই টুর্নামেন্টে অসাধারণ প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা। এই পদকের মধ্যে ছিল ৮টি সোনা, ১০টি রুপো এবং ৬টি ব্রোঞ্জ। ক্রীড়াক্ষেত্রেও ভারতকে সবার আগে নিয়ে যাওয়ার অনবরত চেষ্টা করে চলেছে মোদি সরকার। খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীন ভারত থেকে তুলে আনা হচ্ছে ছোট ছোট অ্যথলিটদের। যাঁদের প্রতিভা সকলের চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছে।

    প্রতিযোগিতায় ভারতের সাফল্য

    এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে (Asian Athletics Championships) ৩২ পদক নিয়ে শীর্ষস্থানে চিন। তার মধ্যে রয়েছে ১৯টি সোনা, ৯টি রুপো এবং ৪টি ব্রোঞ্জ। অন্যদিকে, জাপান ৫টি সোনা, ১১টি রুপো এবং ১২টি ব্রোঞ্জ সহ তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এই চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের অর্জন শুধু পদক জয়েই সীমাবদ্ধ ছিল না, তারা একটি জাতীয় রেকর্ড স্থাপন করার পাশাপাশি একাধিক ব্যক্তিগত সেরা ফলাফলও অর্জন করেছে। প্রতিযোগিতার শেষ দিনে ভারতের ঝুলিতে ৬টি পদক এসেছে। শনিবার পুরুষদের জ্যাভলিন ফাইনালে তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন সচিন যাদব। তিনি রুপোর পদক নিশ্চিত করেছেন। সচিন ছাড়াও মহিলাদের ৫০০০ মিটার দৌড়ে রুপো পেয়েছেন পারুল চৌধুরী। ১৫:১৫.৩৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন তিনি। এর আগে তিনি ৩০০০ মিটার স্টিপলচেজে রুপো পদক জিতেছিলেন।

    দুরন্ত ভারতের মেয়েরা

    মহিলাদের ৪x১০০ মিটার রিলে টিমের ঝুলিও ভরে উঠেছে একটি রুপোর পদকে। অবিনায়া রাজারাজন, স্নেহা এসএস, শ্রাবণী নন্দা এবং নিত্য গান্ধের রিলে টিম ৪৩.৮৬ সেকেন্ড সময়ে দৌড় শেষ করেন। অন্যদিকে, স্প্রিন্টার অনিমেষ কুজুর পুরুষদের ২০০ মিটার দৌড়ে ব্রোঞ্জ জিতে ২০.৩২ সেকেন্ডের জাতীয় রেকর্ড গড়েন। মহিলাদের ৮০০ মিটার রেসে ব্রোঞ্জ জিতেছেন পূজা। তাছাড়াও এশিয়ান গেমসের পদকজয়ী ভিথ্যা রামরাজ মহিলাদের ৪০০ মিটার হার্ডলেসে তৃতীয় হন। গতবারের তুলনায় এবার সোনার পদক বেশি পেয়েছেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা। গতবার ভারত পেয়েছিল ৬টি সোনা। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৮।

    খেলাধূলার উন্নতিতে সক্রিয় মোদি সরকার

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বরাবরই ভারতের খেলাধূলার উন্নতিতে সক্রিয় থেকেছেন। ক্রিকেট মাঠ বা অ্যাথলেটিক্স সব জায়গাতেই ক্রীড়াবিদদের পাশে থেকেছে মোদি সরকার। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ‘খেলো ইন্ডিয়া’র জন্য মোট ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যা গত অর্থবর্ষের থেকে ২০০ কোটি টাকা বেশি। সব মিলিয়ে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রকের জন্য ৩৭৯৪.৩০ কোটি টাকার বাজেট ধার্য করা হয়েছে। যা গত অর্থবর্ষের থেকে ৩৫১.৯৮ কোটি টাকা বেশি। মূলত তৃণমূল স্তর থেকে প্রতিভা তুলে আনা ও তাদের বিকাশ খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্পের আওতায় চলে। ন্যাশনাল স্পোর্টস ফেডারেশনকে সাহায্য করার জন্যও ক্ষমতায় আসার পর থেকে বারবার অর্থ বরাদ্দ বাড়িয়েছে মোদি সরকার। অনবরত চলছে প্রতিভা অন্বেষণ ও সেই প্রতিভার বিকাশের চেষ্টা। অন্যদিকে ২০৩৬-এর অলিম্পিক আয়োজনের কথাও বারবার বলছে মোদি সরকার। গত অলিম্পিক, কমনওয়েলথ বা এশিয়ান গেমসেও ভালো ফল করেছে ভারত। এবার ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে (Asian Athletics Championships) নিজেদের দাপট দেখাল।

    পদকজয়ী ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের সম্পূর্ণ তালিকা

    সোনা

    পুরুষদের ১০ হাজার মিটার: গুলবীর সিং
    মিক্সড ৪x৪০০ মিটার রিলে: রূপাল চৌধুরী, সন্তোষ কুমার, বিশাল টিকে এবং শুভা ভেঙ্কটেশন
    পুরুষদের ৩ হাজার মিটার স্টিপলচেজ: অবিনাশ সাবলে
    মহিলাদের ১০০ মিটার হার্ডলেস: জ্যোতি ইয়ারাজি
    মহিলাদের ৪x৪০০ মিটার রিলে: জিসনা ম্যাথু, রূপাল চৌধুরী, কুঞ্জ রাজিথা এবং সুভা ভেঙ্কটেশন
    পুরুষদের ৫ হাজার মিটার: গুলবীর সিং
    মহিলাদের হাই জাম্প: পূজা
    হেপ্টাথলন: নন্দিনী আগাসরা

    রুপো

    মহিলাদের ৪০০ মিটার: রূপল চৌধুরী
    মহিলাদের ১৫০০ মিটার: পূজা
    ডেকাথলন: তেজস্বিন শঙ্কর
    পুরুষদের ট্রিপল জাম্প: প্রবীণ চিত্রভেল
    পুরুষদের ৪x৪০০ মিটার রিলে: জয় কুমার, ধর্মবীর চৌধুরী, মনু থেক্কিনালিল সাজি এবং বিশাল টিকে
    মহিলাদের লং জাম্প: অ্যান্সি সোজা
    মহিলাদের ৩ হাজার মিটার স্টিপলচেজ: পারুল চৌধুরী
    পুরুষদের জ্যাভলিন থ্রো: শচীন যাদব
    মহিলাদের ৫ হাজার মিটার: পারুল চৌধুরী
    মহিলাদের ৪x১০০ মিটার রিলে: শ্রাবণী নন্দা, অভিনয় রাজারাজন, স্নেহা এসএস, এবং নিথ্যা গান্ধে

    ব্রোঞ্জ

    পুরুষদের ২০ কিমি রেস ওয়াক: সার্ভিন সেবাস্টিয়ান
    পুরুষদের ১৫০০ মিটার: ইউনুস শাহ
    মহিলাদের লং জাম্প: শৈলী সিং
    পুরুষদের ২০০ মিটার: অনিমেষ কুজুর
    মহিলাদের ৪০০ মিটার হার্ডলেস: ভিথ্যা রামরাজ
    মহিলাদের ৮০০ মিটার: পূজা

  • Abhishek Nayar: ভারতীয় দলের থেকে অপসারিত সহকারী কোচ অভিষেক নায়ার, ছাঁটাই আরও ৩! কেন এমন সিদ্ধান্ত?

    Abhishek Nayar: ভারতীয় দলের থেকে অপসারিত সহকারী কোচ অভিষেক নায়ার, ছাঁটাই আরও ৩! কেন এমন সিদ্ধান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছেঁটে ফেলা হল ভারতীয় সিনিয়র ক্রিকেট দলের (Team India) হেড কোচ গৌতম গম্ভীরের সহকারী অভিষেক নায়ারকে (Abhishek Nayar)। একইসঙ্গে, ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ এবং স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং কোচ সোহম দেসাইয়েরও চাকরি গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শোনা যাচ্ছে, চাকরি গিয়েছে দলের ম্যাসারেরও। যদিও সরকারী ভাবে বোর্ড এখনও কিছু জানায়নি। আইপিএল শেষ হলেই ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ খেলতে যাবে ভারত। নতুন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে সেটাই তাদের প্রথম সিরিজ। অস্ট্রেলিয়ার মতো ইংল্যান্ডে গিয়েও যাতে দুরবস্থার মধ্যে পড়তে না হয়, সেই লক্ষ্যেই হাল ফেরানোর নীতি নেওয়া হয়েছে।

    কাদের কাদের সরতে হচ্ছে

    বোর্ডের এক সূত্র জানান, সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজে ব্যর্থতার জন্যই নায়ারকে সরানো হচ্ছে। কিন্তু বোর্ডের অনেকেই মনে করছেন, তাঁকে বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে। একজন সিনিয়র তারকার সঙ্গে সাপোর্ট স্টাফের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের ঝামেলার জেরেই তাঁকে সরতে হচ্ছে। ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ এবং স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ সোহম দেশাইকেও ছাঁটাই করা হবে। ভারতীয় দলে তিন বছর হয়ে গিয়েছে তাঁদের। শুধু তাই নয়, দলের ম্যাসারেরও চাকরি গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত ফিল্ডিং কোচ হিসাবে আর এক সহকারী কোচ রায়ান টেন দুশখাতে দায়িত্ব সামলাবেন বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়া সোহমের জায়গায় আসতে পারেন আদ্রিয়ান ল্য রু, যিনি এখন আইপিএলের দল পঞ্জাব কিংসের সঙ্গে যুক্ত। ২০০৩ বিশ্বকাপের সময় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়েরর দলে ফিটনেস সংস্কৃতি তৈরি করেছিলেন তিনি। যদিও এই প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাননি বিসিসিআই সচিব। দেবজিৎ সাইকিয়া বলেন, ‘‘কিছু জিনিস ঠিক করা হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যেই বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রেস নোট চলে যাবে।’’ অভিষেক এবং দিলীপের পরিবর্ত হিসাবে এখনও কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি।

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই মনে করছেন, পারফরম্যান্সটা আসল কারণ নয়। ভারতীয় দল তার পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছে এই কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফদের নিয়েই। ফলে আসল কারণটা শৃঙ্খলাজনিত। অস্ট্রেলিয়া সফরে মেলবোর্ন টেস্টের পর ভারতীয় দলের সাজঘরে গম্ভীর ধমক দিয়েছিলেন ক্রিকেটারদের। তিনি কাকে কী বলেছেন, তা সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যায়। তখন জানা গিয়েছিল, সেই সফরে ভারতীয় দলে থাকা ক্রিকেটার সরফরাজ খান সংবাদমাধ্যমে এই কথা ফাঁস করেছিলেন। কিন্তু এখন মনে করা হচ্ছে, সাপোর্ট স্টাফেদের মাধ্যমেই সাজঘরের কথা বাইরে বেরিয়েছিল। সরফরাজ এই কাজ করবেন— এটা ভাবা একটু কঠিন। কারণ, তিনি সদ্য জাতীয় দলে খেলছেন। তা-ও নিয়মিত নন। ফলে তাঁর মতো এক জন ক্রিকেটার নিজের কেরিয়ার নিয়ে এত বড় ঝুঁকি নেবেন, এটা অনেকের কাছেই বিশ্বাসযোগ্য ঠেকেনি।

  • India Vs New Zealand: ছিটকে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের দৌড়ে ভারত-নিউজিল্যান্ড

    India Vs New Zealand: ছিটকে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের দৌড়ে ভারত-নিউজিল্যান্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025) ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি নিউজিল্যান্ড (India Vs New Zealand)। বুধবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫০ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠলেন মিচেল স্যান্টনাররা। মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে টানা তৃতীয় বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠেছে ভারত। এবার লড়াই ট্রফি জয়ের।

    লাল বলে হারের বদলা সাদা বলে

    গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025) ফাইনালে হারের বদলা গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানকে হারিয়ে নিয়েছেন রোহিতরা। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে গত এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালের বদলাও নেওয়া হয়ে গিয়েছে। এ বার ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে ০-৩ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে হারের বদলা নেওয়ার সুযোগ রোহিতদের সামনে। তা ছাড়া প্রথম টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনালেও নিউজিল্যান্ডের কাছে হারতে হয়েছিল ভারতকে। তাই আগামী রবিবার ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারলে একসঙ্গে জোড়া হারের বদলা নিতে পারবে ভারতীয় দল।

    নিউজিল্যান্ডের নজির

    বুধবার, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও (ICC Champions Trophy 2025) ‘চোকার্স’ তকমা ঘুচল না দক্ষিণ আফ্রিকার। প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩৬২ রান করে নিউ জিল্যান্ড। সেমিফাইনালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে দলগত সর্বোচ্চ রানের নজির গড়ল কিউইরা। জবাবে টেম্বা বাভুমাদের ইনিংস শেষ হয় ৩১২ রানে। নিউজিল্যান্ডের জয়ের কারিগর কেন উইলিয়ামসন এবং রাচিন রবীন্দ্র। দু’জনেই শতরান করেন লাহোরের ২২ গজে। তাঁদের দাপটের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। কাজে এল না ডেভিড মিলারের শতরান।

    আগ্রাসী ভারত-লড়াকু নিউজিল্যান্ড

    ২৫ বছর পর ফের ভারত-নিউজিল্যান্ড (India Vs New Zealand) কোনও ওডিআই টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি। ২০০০ সালের ফল ভারতের পক্ষে ছিল না। সেই বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নাম ছিল আইসিসি নক-আউট প্রতিযোগিতা। সেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছিল ভারত এবং নিউজিল্যান্ড। কিন্তু ফাইনাল ম্যাচে হেরেছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের টিম ইন্ডিয়া। তবে ২৫ বছরে বিশ্ব ক্রিকেটের মানচিত্রটা অনেকটাই বদলে গিয়েছে। ভারত এখন অনেক বেশি আগ্রাসী। চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ লিগ পর্বে নিউজিল্যান্ডকে (India Vs New Zealand) হারিয়েছিল ভারত। ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও রোহিত শর্মাদের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে হয়েছিল নিউজিল্যান্ডকে। তবে, নিউ জিল্যান্ড লড়াকু দল। তাই ৯ মার্চ দুবাইয়ে ভারত-নিউজিল্যান্ড মধ্যে ফাইনাল হবে আকর্ষণীয়।

LinkedIn
Share