Tag: Teesta Prahar

  • Teesta Prahar: বাংলাদেশের বুকে কাঁপুনি! পূর্ব সীমান্তেও প্রস্তুত, চিকেন নেকে ভারতীয় সেনার ‘তিস্তা প্রহার’

    Teesta Prahar: বাংলাদেশের বুকে কাঁপুনি! পূর্ব সীমান্তেও প্রস্তুত, চিকেন নেকে ভারতীয় সেনার ‘তিস্তা প্রহার’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম সীমান্তে যে সময় অপারেশন সিঁদুর-এর মাধ্যমে পাকিস্তানের বুকে কাঁপুনি ধরাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা, ঠিক সেই সময়ই (৮-১০ মে) বাংলাদেশ সীমান্তে ব্যাপক সামরিক মহড়া সেরে রাখল ভারতীয় স্থলসেনা (Indian Army)। উত্তরবঙ্গে তিন দিন ধরে চলল ভারতীয় সামরিক বাহিনীর ‘তিস্তা প্রহার’ (Teesta Prahar)। শিলিগুড়ির অদূরে চিকেন নেক এলাকার আশেপাশেই এই মহড়া দেয় ভারতীয় স্থলসেনা। ওদলাবাড়ির (Odlabari) সাওগাঁ বস্তির অদূরে তিস্তা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে চলল মহড়া। তত্ত্বাবধানে সেনার ছিল ইস্টার্ন কমান্ড।

    কেন এই মহড়া

    উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে আপাতত যুদ্ধবিরতি চললেও, পূর্ব সীমান্তেও ভারতীয় সেনাবাহিনী যে আক্রমণ রুখে দিতে একেবারে প্রস্তুত তারই ঝলক দেখা গেল তিস্তা প্রহার-এ (Teesta Prahar)। তাহলে লক্ষ্য কি ঢাকা? পাকিস্তানের সমর্থনে বেশ লম্ফঝম্প করছিল বাংলাদেশ। এমনকি, হুমকি দেওয়া হয়েছে যে ভারত-পাক যুদ্ধ হলে চিনের সাহায্যে সেভেন সিস্টার্স দখল করা হবে। তারই জবাব দিল ভারত, এমনই অনুমান বিশ্লেষকদের। এমনিতে, পাকিস্তানের শোচনীয় অবস্থা দেখে সুর পাল্টেছে ইউনূসরা। হিন্দুদের সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, পাকিস্তান যদি এতটা পর্যুদস্ত না হত, বা পাকিস্তান যদি ভারতের সঙ্গে পাল্লা দিত। তাহলে কি বাংলাদেশ এমন চুপ থাকত? বাংলাদেশ হায়নার মতো আচরণ করতে না কে বলতে পারে? সাতপাঁচ ভেবেই কি সামরিক মহড়া? ঘুরিয়ে বাংলাদেশকে বার্তা দিল ভারত, অভিমত কূটনৈতিক মহলে।

    কী কী হল মহড়ায়

    পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ আবহে উদ্বেগ বেড়েছিল ‘চিকেন নেক’ বা শিলিগুড়ি করিডর নিয়ে। ভারত-পাক সংঘাতের সুযোগ নিয়ে চিনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারত (সেভেন সিস্টার) দখলের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ভারতীয় সেনার শক্তি দেখে নিয়েছে বিশ্ব। ইসলামাবাদকে যোগ্য জবাব দেওয়ার পাশাপাশি পরোক্ষে বার্তা দেওয়া হয়েছে চিন-বাংলাদেশকেও। দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে পূর্ব সীমান্তেও যে জওয়ানরা জবাব দিতে সর্বদা প্রস্তুত তারই ঝলক দেখা গেল তিস্তা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে। তিনদিনের এই ‘তিস্তা প্রহার’ মহড়ায় ভারতীয় সেনার ইনফ্যানট্রি, আর্টিলারি, আর্মার্ড কোর, আর্মি অ্যাভিয়েশন, ইঞ্জিনিয়ার্স এবং সিগনাল কোর অংশগ্রহণ করেছিল। ভারতীয় সেনার অস্ত্রভান্ডারে সদ্য নিয়োজিত ‘নেক্সট জেনারেশন’ অস্ত্রশস্ত্র, মিলিটারি প্ল্যাটফর্ম এবং যুদ্ধক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির সঠিক প্রয়োগের মতো গুরুত্ব দিয়ে তিনদিনের মহড়ায় তুলে ধরা হয়। এছাড়াও প্রতিকূল আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে দ্রুততার সঙ্গে বাহিনীর প্রতিটি বিভাগের মধ্যে নিখুঁত সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করতে কীভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয় সেই প্রক্রিয়াতেও শান দেওয়া হয়েছে। মহড়ার একটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল ভারতীয় সেনার অস্ত্রভান্ডারে সদ্য নিয়োজিত ‘নেক্সট জেনারেশন’ অস্ত্রশস্ত্র। মহড়ায় এই যুদ্ধাস্ত্রের ব্যবহার, যুদ্ধক্ষেত্রে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার ও আধুনিকীকরণের উপর জোর দেওয়া হয়। বিভিন্ন দুর্গম জায়গাতেও প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করতে কীভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে সেই প্রক্রিয়াতেও শান দেওয়া হয়।

    ঢাকার বুকে কাঁপুনি

    তিনদিনের ‘তিস্তা প্রহার’ (Teesta Prahar)মহড়া শেষে সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের তরফে প্রেস বার্তায় দাবি করা হয়েছে, যে কোনও যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতীয় সেনা একশো শতাংশ প্রস্তুত। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে বাহিনীর বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে একেবারে নিখুঁত সমন্বয় সাধনের জন্য এই মহড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই জানিয়েছে সেনা। ভারতীয় সেনার এই মহড়ায় ঢাকার বুকে কাঁপুনি ধরাতে পারে।

    আকাশকুসুম স্বপ্ন নয়

    সম্প্রতি চিন সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। সেখানে তিনি বলেন, “ভারতের পূর্ব প্রান্তের সাতটি রাজ্য, যাদের সেভেন সিস্টার্স বলা হয়, ওই বিরাট অঞ্চল কিন্তু পাহাড় আর স্থলভাগে ঘেরা। সমুদ্রপথে যোগাযোগ করার উপায়ই নেই তাদের। বাংলাদেশই হল সমুদ্রপথের রাজা। তাই ওই এলাকায় চিনা অর্থনীতির বিস্তার ঘটতেই পারে।” এই মন্তব্যের ইঙ্গিত অত্যন্ত স্পষ্ট যে, ভারতের ৭ রাজ্য (সেভেন সিস্টার)কে ভেঙে ফেলতে চায় বাংলাদেশ। এই একই ইচ্ছা চিনের। বাংলাদেশের মুখে এমন মন্তব্যে দুয়ে দুয়ে চার করতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি দিল্লির। কড়া জবাব হিসাবে ভারতের মাটি ব্যবহার করে বাংলাদেশের ব্যবসার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, কয়েকদিন আগেই ভারত-পাক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ওপার বাংলার অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান বলেন, দিল্লি-ইসলামাবাদের মধ্যে যুদ্ধ লাগলে নাকি ঢাকার উচিত ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো দখল করে নেওয়া। আর এর জন্য তারা হাত মেলাবে চিনের সঙ্গে। পড়শি দেশের এই আকাশকুসুম স্বপ্ন যে কোনও দিনই সফল হবে না তা বুঝিয়ে দিল ‘তিস্তা প্রহার’ মহড়া।

LinkedIn
Share