Tag: Terror

Terror

  • Terror Funding: প্রবাসী বাঙালিদের মাধ্যমে বিদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে টাকা পাঠাচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলি! রহস্য ফাঁস গোয়েন্দাদের

    Terror Funding: প্রবাসী বাঙালিদের মাধ্যমে বিদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে টাকা পাঠাচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলি! রহস্য ফাঁস গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপার বাংলায় তুষ্টিকরণের রাজনীতি, আর ওপার বাংলায় অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নৈরাজ্য – এই জোড়া যোগে রমরমা জঙ্গিদের (Terror Funding)। ডামাডোলের বাজারে সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়ছে জঙ্গিরা (Jihadist Outfits)। তারপর মিশে যাচ্ছে এ রাজ্যের জনারণ্যে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের আমলে এ রাজ্যে বাড়ছে জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনা। এই জঙ্গিদের রসদ জোগাচ্ছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলি। প্রশ্ন হল, কীভাবে? সাধারণত প্রচলিত ব্যাঙ্কিং চ্যানেলের মাধ্যমে হঠাৎ করে বড় অঙ্কের টাকা পাঠানো হলে তা সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত হয়। সেই কারণে জঙ্গিরা পশ্চিমবঙ্গের প্রবাসীদের মাধ্যমে ৫ কিংবা ১০ হাজার করে টাকা পাঠাচ্ছিল। এই জঙ্গি সংগঠনগুলি মূলত মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় কর্মরত পশ্চিমবঙ্গের প্রবাসীদের মাধ্যমে টাকা পাঠাচ্ছিল পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে জঙ্গি মডিউলে কাজে লাগাতে। জঙ্গিদের এই কৌশলটি প্রকাশ্যে আসে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) দ্বারা আর একটি ইসলামপন্থী জঙ্গি মডিউল ধ্বংস করার মাধ্যমে। ৯ মে এসটিএফ বীরভূমের নলহাটি থেকে মডিউলটির প্রধান বছর আঠাশের আজমল হোসেনকে গ্রেফতার করে। ওই দিনই মুরারই থেকে গ্রেফতার করা হয় তারই সমবয়সি মডিউলের আর এক শীর্ষ সদস্য সাহেব আলি খানকে। ১০ মে কলকাতার ডায়মন্ড হারবারের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা মডিউলের আর এক সদস্য বছর পঁচিশের আব্বাসউদ্দিন মোল্লাকে।

    জঙ্গি মডিউলে মোটা অঙ্কের টাকা (Terror Funding)

    এসটিএফের সিনিয়র কর্তারা টানা জেরা করেন ওই জঙ্গিদের। তখনই জানা যায়, মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, দুই বর্ধমান এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দারা যাঁরা মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় সাধারণ শ্রমিকের কাজ করেন, তাঁদের মাধ্যমে এই জঙ্গি মডিউলে মোটা অঙ্কের টাকা পাঠানো হচ্ছিল। এসটিএফ সমস্ত তথ্য শেয়ার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সঙ্গে। আইবি-র (ইনটেলিজেন্স ব্যুরো) এক শীর্ষ কর্তা সংবাদ মাধ্যমে বলেন, “প্রবাসীদের মাধ্যমে জঙ্গিদের অর্থ পাঠানোর পদ্ধতি একটি নয়া প্রবণতা। এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলি এই পদ্ধতিতে অর্থ পাঠাচ্ছে কারণ হাওলা লেনদেনের ওপর নজরদারি অনেক বেড়েছে। হাওলার মাধ্যমে টাকা পাঠানো এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই তারা এই নতুন পথ বেছে নিয়েছে।”

    কী বলছেন আইবি কর্তা?

    তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ থেকে হাজার হাজার মানুষ বিদেশে কাজ করেন। তাঁদের পাঠানো টাকার ওপর নজরদারি করা আমাদের সংগঠনগত সম্পদের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করবে।”  গোয়েন্দাদের অনুমান, কয়েকশোরও বেশি প্রবাসীকে ব্যবহার করে নিয়মিতভাবে এমন ছোট ছোট অঙ্কের অর্থ পশ্চিমবঙ্গের ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে (Jihadist Outfits) পাঠানো হচ্ছিল। আইবির ওই কর্তা বলেন, “উদ্বেগের বিষয় হল — এই প্রবাসীরা, যাঁরা তাঁদের অ্যাকাউন্ট সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির টাকা লেনদেনের জন্য ব্যবহার করতে দিয়েছেন, তাঁরা সেই সংগঠনের সঙ্গেই যুক্ত হয়ে গিয়েছেন। এর মানে তাঁরা চরমপন্থায় প্রভাবিত হয়েছেন এবং স্বেচ্ছায় সন্ত্রাসবাদে সহায়ক হয়ে উঠেছেন (Terror Funding)।”

    ধৃতেরা জেএমবির নির্দেশে কাজ করছিল!

    গত সপ্তাহে যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) নির্দেশে একটি জঙ্গি মডিউল গঠন করেছিল। জেএমবির সঙ্গে ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এই মডিউলের প্রধান আজমল হোসেন বছর ছয়েক আগে বাংলায় জেএমবির সদস্যদের দ্বারা চরমপন্থায় দীক্ষিত হয় এবং তারাই তাকে নিয়োগ করে। ২০২২ সালের কোনও এক সময় তাকে একটি পৃথক জঙ্গি মডিউল গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। হোসেনকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি)-এর কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এটি বাংলাদেশভিত্তিক একটি জঙ্গি সংগঠন, যারা অসম, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং ভারতের আরও অনেক রাজ্যে স্লিপার সেলের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। এই এবিটির সঙ্গে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার (LeT) সম্পর্ক রয়েছে। হোসেন ও খান লস্কর-ই-তৈবার কাছ থেকেই আগ্নেয়াস্ত্র চালানো এবং ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (IED) তৈরির প্রশিক্ষণ পেয়েছে।

    আজমল হোসেনের হ্যান্ডলার

    এক আইবি কর্তা বলেন, “আজমল হোসেনের এক হ্যান্ডলার রয়েছে। সে রয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK)। ওই হ্যান্ডলার নিয়মিতভাবে তাকে নির্দেশ পাঠাত। বছর দুই আগে পর্যন্ত এই হ্যান্ডলার হাওলা পদ্ধতিতে তাকে বড় অঙ্কের টাকা পাঠাত। কিন্তু ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কড়া নজরদারির কারণে সম্ভবত সেই পথটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।” তিনি বলেন, “মোল্লা সম্প্রতি তার পাকিস্তানি হ্যান্ডলারের কাছ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করার নির্দেশ পেয়েছে। এর বিনিময়ে তাকে বড় অঙ্কের অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় (Terror Funding)।”

    আজমলের দায়িত্ব

    এসটিএফ সূত্রে খবর, আজমল হোসেনকে বীরভূম, মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং দুই ২৪ পরগনার বিভিন্ন জেলায় সমর্থক ও সদস্যদের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এসটিএফের এক কর্তা বলেন, “তাকে (আজমল) স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কীভাবে একটি জঙ্গি মডিউল গঠন করতে হবে এবং কীভাবে প্রতিটি স্লিপার সেল গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটিতে ২-৩ জন কট্টরপন্থী ইসলামপন্থী থাকবে। এরা ছড়িয়ে থাকবে দক্ষিণবঙ্গ, অসম এবং ত্রিপুরাজুড়ে। তাদের বলা হয়েছিল মুসলিম যুবক ও কিশোরদের মৌলবাদে উদ্বুদ্ধ করতেও। কীভাবে তরুণ মুসলিমদের (Jihadist Outfits) র‍্যাডিকালাইজ করা যায়, সে সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।” এসটিএফের এক কর্তার মতে, প্রথম ধাপ ছিল দুর্বল কিশোর ও তরুণদের শনাক্ত করা। পরে তাদের মগজ ধোলাই করা হয়। তারা যাতে ভারতীয় মুসলিমদের ওপর নিপীড়নের মিথ্যে কথা প্রচার করে, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, আজমল হোসেন ও তার শাগরেদরা মালদা ও মুর্শিদাবাদে ধর্মীয় মেহফিলের আয়োজন করছিল, যার মাধ্যমে তারা মৌলবাদী ইসলাম প্রচার করত।

    এসটিএফের কর্তার বক্তব্য

    এসটিএফের এক কর্তা বলেন, “সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই তরুণদের উগ্রপন্থার পথে পরিচালিত করা হয় এবং তারপর তাদের মধ্যে দেশদ্রোহী ও জেহাদি সাহিত্য বিলি করার পর দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়। তাদের মধ্যে প্রচুর জেহাদি মতাদর্শ ঢোকানো হয় এবং মগজধোলাই করে জেহাদি বানানো হয়, তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে জেএমবি বা এবিটিতে নিয়োগ করা হয়। এই সদস্যদের সঙ্গে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী (Jihadist Outfits) সংগঠন এবং আইএসআইয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।”  তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড সীমান্তের কাছাকাছি একটি নিরাপদ জায়গা বেছে নেওয়া হয়েছিল, যেখানে পশ্চিমবঙ্গ ও অসম থেকে আসা নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আমরা যখন এই মডিউলটি ভেঙে দিই, তখন অস্ত্র সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছিল (Terror Funding)।”

    পলাতক স্লিপার সেলের অধিকাংশ সদস্য

    নয়া জঙ্গি মডিউলের তিন শীর্ষ সদস্য গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই পালিয়ে গিয়েছে স্লিপার সেলের অধিকাংশ সদস্য ও নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা। আইবির ওই কর্তা বলেন, “তাদের খুঁজে বের করতে কিছুটা সময় লাগবে। আরও একটি গুরুতর বিষয় হল — বাংলা থেকে প্রবাসীদের জঙ্গি নেটওয়ার্কে সহযোগী হিসেবে নিয়োগ করা। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব রয়েছে। আমাদের এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হবে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার সরকারের সঙ্গে। তারপর ওই ব্যক্তিদের দেশে ফিরিয়ে এনে (Jihadist Outfits) বিচার প্রক্রিয়ার আওতায় আনতে হবে (Terror Funding)।”

  • Terror Infrastructure: জম্মু-কাশ্মীরের চোখ ধাঁধানো উন্নতিই কাল হয়েছে! তাই কি পহেলগাঁওয়ে হামলা পাক-জঙ্গিদের?

    Terror Infrastructure: জম্মু-কাশ্মীরের চোখ ধাঁধানো উন্নতিই কাল হয়েছে! তাই কি পহেলগাঁওয়ে হামলা পাক-জঙ্গিদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতির উন্নতি ও গত বছর রেকর্ড ২৯ লক্ষ পর্যটকের আগমন পাকিস্তানকে (Pakistan) ক্ষুব্ধ করে তুলেছে।’ তার জেরেই পহেলগাঁওয়ে এই হামলা বলে মনে করছেন সেনাকর্তারা। মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনার (Terror Infrastructure) পরে পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছে মূলচক্রী লস্কর নেতা সইফুল্লা। ভারতের সেনা কর্তারা জানান, পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি পরিকাঠামো সম্পূর্ণ অক্ষত রয়েছে। প্রধান প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ এলাকায় রয়েছে। তবে লঞ্চ প্যাড এখনও সক্রিয় লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর।

    পাক সেনা প্রধানের উসকানিমূলক বক্তব্য (Terror Infrastructure)

    এই হত্যালীলার দিন কয়েক আগেই পাক সেনা প্রধান আসিম মুনির কাশ্মীরকে ইসলামাবাদের ঘাড়ের শিরা বলে দাবি করেছিলেন। দ্বি-জাতি তত্ত্বের উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন, “আমাদের অবস্থান একদম স্পষ্ট। এটা (কাশ্মীর) আমাদের ঘাড়ের শিরা ছিল, থাকবেও, আমরা তা ভুলব না। আমরা আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের তাদের সংগ্রামে একা ছাড়ব না।” মঙ্গলবার ঘটনার পরে পরেই সেনাবাহিনীর এক প্রবীণ কর্তা বলেছিলেন, “৭৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এলওসি বরাবর শক্তিশালী অন্তঃপ্রবেশ-রোধ জাল থাকায় জঙ্গিরা এখন জম্মু-কাশ্মীরে ঢোকার জন্য অন্য পথ ব্যবহার করছে। গত বছর এলওসিতে ১০টি অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করা হয়েছে। খতম হয়েছে ২৫ জন জঙ্গি।”

    বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করতেই হামলা!

    পহেলগাঁও অঞ্চলে সেনাবাহিনীর কোনও বড়ো অংশ মোতায়েন ছিল না। তবে স্থানীয় রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের একটি বিশেষ বিপ্লব-বিরোধী ইউনিট দুপুরে নৃশংসতার খবর পাওয়া মাত্র কয়েকটি কলাম পাঠায়। সেনাকর্তাদের মতে, এই “স্বল্পখরচে, উচ্চপ্রভাব” হামলাটি সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপ-রাষ্ট্রপতি জেডি ভ্যান্সের ভারত সফর এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সৌদি আরব সফরের সময় ঘটানো হয়েছে। তামাম বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করতেই (Terror Infrastructure) এটা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সৌদি আরব বিশ্বের সবচেয়ে প্রমিনেন্ট ইসলামিক দেশ।

    সেনাকর্তাদের মতে, গত দু’বছরে জম্মু-কাশ্মীরে ১৪৪ জন জঙ্গি নিকেশ হওয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি তাদের অস্তিত্ব জানান দিতে বড় ধরনের হামলার ছক কষেছিল। এক সেনাকর্তা বলেন, “পাকিস্তান ও পিওকেতে জঙ্গি পরিকাঠামো, যেখানে লস্কর-ই-তৈবা(LeT), জইশ-ই-মোহাম্মদ(JeM), ইউনাইটেড জিহাদ কাউন্সিল(UJC), আল-বদরের মতো জঙ্গি সংগঠনের কৌশলগত অস্ত্র, জিহাদি সেমিনার ও মাদ্রাসা নেটওয়ার্ক এখনও সক্রিয়।” তিনি বলেন, “জেনারেল মুনিরের সম্প্রতি ভারত-বিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য (Pakistan) থেকে স্পষ্ট, জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতির উন্নতি ও গত বছর রেকর্ড ২৯ লক্ষ পর্যটকের আগমন পাকিস্তানকে ক্ষুব্ধ করেছে (Terror Infrastructure)।” প্রসঙ্গত, মোদি জমানায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের। তার জেরে ফি বছর বাড়ছে পর্যটকের সংখ্যা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেটাই চোখ টাটিয়েছে পাক সেনার।

  • Terrorist Module: আল কায়েদার স্লিপার সেল ঝাড়খণ্ডে, ধৃত ১৪

    Terrorist Module: আল কায়েদার স্লিপার সেল ঝাড়খণ্ডে, ধৃত ১৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুখ্যাত জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়েদার স্লিপার সেল গ্রেফতার। ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড (ATS) সূত্রে খবর, সে রাজ্যের লোহারদাগা-সহ ১৪টি এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। তখন ধরা পড়ে আল কায়েদা ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্টের স্লিপার সেল (Terrorist Module)।

    আল কায়েদার একটি বড় নেটওয়ার্ক (Terrorist Module)

    ঝাড়খণ্ডে আল কায়েদার একটি বড় নেটওয়ার্ক তৈরি হচ্ছে বলে সূত্র মারফত খবর পায় সে রাজ্যের পুলিশ। একই খবর পান গোয়েন্দারাও। জঙ্গিদের গ্রেফতারে বুধবার গভীর রাতে বৈঠকে বসেন পদস্থ আধিকারিকরা। পরে রাজ্যের ১৪টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালায় ঝাড়খণ্ড পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড। গ্রেফতার করা হয় আল কায়েদার স্লিপাল সেল এবং আরও ১২জনকে। লোহারদাগার কুডু থানা এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে এটিএস গ্রেফতার করে আরও একজনকে। সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয় ১৪ জনকে।

    কে এই ইশতিয়াক?

    জানা গিয়েছে, আল কায়েদা ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্টের এই মডিউল অপারেট করতেন রাঁচির বাসিন্দা ইশতিয়াক। রাজস্থান থেকে উত্তরপ্রদেশ। এই পুরো এলাকাটা ইশতিয়াকের অধীনে (Terrorist Module)। রাজস্থান থেকে উত্তরপ্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় সে বিস্তার করেছে এই মডিউল। রাঁচির প্রেস্টিজিয়াস মেডিক্যাল কলেজ-হাসপতালে চাকরি করতেন। ২২ অগাস্ট গ্রেফতার করা হয় ইশতিয়াককে। তার পরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরখাস্ত করেন তাঁকে।

    জানা গিয়েছে, অভিযানের সময় বিশেষ সেল রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড ও অন্যান্য রাজ্য থেকে সব মিলিয়ে প্রথমে আটজনকে আটক করে। তাদের জেরা করেই জানা যায় ইশতিয়াকের নাম। এই মডিউলের চাঁই পেশায় চিকিৎসক ইশতিয়াকই। এটিএসের দাবি, তিনি খিলাফত ঘোষণা করেছিলেন। দেশের ভিতরে গুরুতর জঙ্গি কার্যকলাপ পরিচালনার পরিকল্পনাও তিনি করেছিলেন বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: কলকাতায় এল বিশেষ সিবিআই দল, সন্দীপ ঘোষ সহ ৬ জনের পলিগ্রাফ টেস্ট শুরু

    জমি কেলেঙ্কারিতে যুক্ত

    চিকিৎসক ইশতিয়াকের গুণপনার শেষ নেই। সন্দেহভাজন এই জঙ্গি রাঁচির জমি কেলেঙ্কারির সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। এই ঘটনায় বরইতু থানা এলাকার বাসিন্দা বাবলু খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল ইডির দফতরে। এটিএসের হাতে গ্রেফতার হওয়া চিকিৎসক ইশতিয়াক বাবলুর হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এদের দুজনের পারিবারিক সম্পর্কও রয়েছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের।

    ভারতকে ইসলামিক কান্ট্রি বানানোর চেষ্টা

    ইশতিয়াক পেশায় রেডিওলজিস্ট। পড়াশোনা করেছেন রাঁচিরই আরআইএমএসে, মেডিসিন নিয়ে। তিন বছর ধরে তিনি মেডিক্যাল হাসপাতালে পূর্ণ সময় চাকরি করেছেন। ইশতিয়াক হাজারিবাগে একটা ক্লিনিকও চালান। তিনি ভারতকে ইসলামিক কান্ট্রি বানানোর চেষ্টা করছিলেন। বৃহস্পতিবার লোহারদাগার কুদুর হেনজলা কাউখাপে হানা দিয়েছিল এটিএস। আলতাফ ওরফে ইলতাফের খোঁজেই হানা দিয়েছিল এটিএস। তার বাড়ি থেকে দুটি অস্ত্র ও বেশ কিছু আপত্তিকর নথি বাজেয়াপ্ত করেছে সরকার। এর পাশাপাশি এটিএসের টিম রাঁচির ছানহো এলাকার কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালায়। এটিএস আটক করেছে বালসোকারার মহম্মদ মোদাব্বির, রিজওয়ান, চাটওয়ালের মুফতি রহমতুল্লাহ মাঝিরি এবং পিপরাতলির মতিউর রহমানকে।

    গ্রেফতার হল যারা 

    এটিএস দল একই সঙ্গে পাকরিও গ্রামের শাহবাজ আনসারির বাড়িতেও তল্লাশি চালায়। তল্লাশি চালানোর সময় আটক করা হয় মহম্মদ মোদাব্বির, মহম্মর রিজওয়ান, মুফতি এবং মতিউর রহমানকে। এলাকার একটি মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় মুফতি রহমতউল্লাকে। পাকরিও এলাকায় যখন তল্লাশি চালানো হয়, তখন বাড়িতে ছিলেন না এনামূল আনসারি ও শাহবাজ। পরিবারের সদস্যরা জানান, শেহবাজের ছেলে জেয়েরাত আনসারি পরীক্ষা দিতে দিল্লিতে গিয়েছে। আর শাহবাজ এবং এনামূল আনসারি গিয়েছে তবলিঘি জামাতে।

    কী বলছে পুলিশ

    দিল্লি পুলিশের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে ওই জঙ্গি (Terrorist Module) গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেওয়া হচ্ছিল ঝাড়খণ্ড থেকে। ভারতে একাধিক জঙ্গি কার্যকলাপের পরিকল্পনা ছিল ওই গোষ্ঠীর। পুলিশের দাবি, রাঁচির ইশতিয়াকের হাতে নিয়ন্ত্রিত এই জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরা প্রত্যেকেই প্রশিক্ষিত। একাধিক জায়গায় তাদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তদন্তকারীরা জেনেছেন, জঙ্গি সন্দেহে ধৃতেরা প্রত্যেকেই ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। এদের কেউ গাড়ির নম্বর প্লেট বসানোর কাজ করত, কেউ আবার গাড়ি মেরামতির কাজ করত। আর ইশতিয়াকের আদত বাড়ি জামশেদপুরে। তিনি রেডিওলজিস্ট। মতিউর রহমান কাপড়ের দোকান চালাত। সে প্রায়ই তাহরিরের জন্য যেত। এই সময় আলতাফের সংস্পর্শে আসে লোহারদাগার অটোচালক। 

    ধৃতদের কাছ থেকে একটি একে ৪৭ রাইফেল, একটি .৩৮ বোরের রিভলভার, একটি লোহার এলবো পাইপ, একটি গ্রেনেড এবং বেশ কিছু কার্তুজ বাজেয়াপ্ত হয়েছে (Terrorist Module)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • SIMI Banned: আরও ৫ বছরের জন্য জঙ্গি সংগঠন সিমিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন অমিত শাহ

    SIMI Banned: আরও ৫ বছরের জন্য জঙ্গি সংগঠন সিমিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গী সংগঠন সিমিকে (SIMI Banned) আরও ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, “দেশের অখণ্ডতা, নিরাপত্তার জন্য এই সংগঠন অত্যন্ত বিপদজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা এবং সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করার কাজে জড়িত ছিল এই সংগঠন।” দেশের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার কথাকে মাথায় রেখে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা এই সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত সাধুবাদ জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    কী বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী(SIMI Banned)?

    ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গি কার্যকলাপ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গতিপ্রকৃতির সঙ্গে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে চলেছে। আজ সোমবার দেশের কেন্দ্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বললেন, “স্টুডেন্ট ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া অর্থাৎ সিমি (SIMI Banned) হল একটি বেআইনি, অবৈধ সংগঠন। কঠোর সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইনের আওতায় নিষেধাজ্ঞার সময় সীমা আরও ৫ বছরের জন্য বৃদ্ধি করা হল। এই সংগঠন দেশের মধ্যে নাশকতা মূলক কাজকে উৎসাহ দিয়ে থাকে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে আঘাত করার কাজ করে সিমি। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে ভারতের সার্বভৌম এবং অখণ্ডতাকে হুমকি দেওয়া সংক্রান্ত নানান অভিযোগও রয়েছে।”

    এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে অমিত শাহ বলেন, “দেশে মোদিজির শাসনে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর মনভাব নিয়ে দমনের কাজ করা হচ্ছে। ইউপিএ আইনের ধারায় সিমিকে (SIMI Banned) নিষিদ্ধ সংগঠন হিসাবে নির্বাচিত করে আগামী আরও ৫ বছরের জন্য বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে।”

    নাশকতা মূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত সিমি

    জঙ্গি সংগঠন সিমির (SIMI Banned) সদস্যদের বিরুদ্ধে নানান নাশকতা মূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৭ সালে গয়া বিস্ফোরণ, ২০১৪ সালে বেঙ্গালুরুতে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম বিস্ফোরণ এবং ২০১৪ সালে ভোপালে জেল ভাঙার মতো সন্ত্রাবাদী কর্মকাণ্ডের মধ্যে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করতে দেখা গিয়েছে সিমি সদস্যদের। ২৫ এপ্রিল, ১৯৭৭ সালে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সিমি এবং সংগঠনটি একটি ধর্মরাষ্ট্র হিসাবে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে উগ্রপন্থী কার্যকলাপের কাজ করে থাকে। তাদের মূল উদ্দেশ্যে হল, ভারতকে কীভাবে ইসলাম ধর্মপ্রধান রাষ্ট্র এবং শরিয়াবিধি শাসনের অধীনে নেওয়া যায় সেই কাজ করা। আর এই কাজকে জাহাদি কার্যকলাপের দ্বারাই সম্পাদন করে থাকে তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: ‘ভোলা’র দাদাগিরিতে চরম আতঙ্কে বাজারের ব্যবসায়ী এবং ক্রেতারা!

    Durgapur: ‘ভোলা’র দাদাগিরিতে চরম আতঙ্কে বাজারের ব্যবসায়ী এবং ক্রেতারা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোলার তাণ্ডবে নাজেহাল দুর্গাপুর (Durgapur) সেন মার্কেটের ব্যবসায়ী থেকে ক্রেতারা। বৃহস্পতিবার তার গুঁতানিতে একজন জখম হয়। অভিযোগ, ভোলার তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত বাজারের প্রায় ৩০ জন ব্যবসায়ী এবং ক্রেতা আক্রান্ত হয়েছেন। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ভোলা নিজের দাপটে প্রতিদিন সবজি খেয়ে নিচ্ছে। ক্রেতারা ভোলার গুঁতানির আতঙ্কে বাজারে আসছেন না। ফলে ব্যবসার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সেন মার্কেট ব্যাবসায়ী সমিতির কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ী সমিতির কর্তা তথা ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার শিপুল সাহা জানান, বন দফতর এবং পুলিস-প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কোনও সুরাহা হয়নি।

    দিনকে দিন বেড়েই চলেছে দাপট

    ব্যবসায়ীদের (Durgapur) সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাজার এলাকায় ৬-৭ টি ষাঁড় ও গরু রয়েছে। অভিযোগ, প্রতিটি গরু প্রায়ই ব্যাবসায়ীদের সবজি খেয়ে নিচ্ছে। পাশাপাশি ভোলার দাদাগিরি বেড়েই চলেছে দিনের পর দিন। ভোলা প্রায় প্রতিদিন কাউকে না কাউকে গুঁতিয়ে জখম করে চলেছে। প্রায় ৭ মাস আগে ব্যবসায়ী সজল সেনকে ব্যাপকভাবে জখম করে ভোলা। তিনি চেন্নাইয়ে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে সাময়িক সুস্থ হয়েছেন। ভোলার তাণ্ডবে বিক্রেতা থেকে ক্রেতাদের আতঙ্ক দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে ভোলা সহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের বাজার থেকে অন্যত্র নিয়ে যাক প্রশাসন।

    কী বলছেন ব্যবসায়ীরা?

    বাজারের (Durgapur) সবজি ব্যবসায়ীরা বলেন, আমাদের অনেক ব্যবসায়ী ভোলার গুঁতোয় জখম হয়েছে। সজল সেন বলে একজনের শরীরে পিছন দিকে শিং ঢুকিয়ে দিয়েছিল ভোলা। আমাদের সবজি খেয়ে যেমন ক্ষতি করছে, আবার ক্রেতারা ভোলার ভয়ে বাজারমুখো হতে চাইছেন না। ব্যবসার চরম ক্ষতি হচ্ছে। আমরা ব্যবসায়ী সমিতির কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।

    কী বললেন মার্কেট কমিটির সম্পাদক?

    প্রাক্তন কাউন্সিলার (Durgapur) শিপুল সাহা বলেন, এই সমস্যা থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যাবে, জানি না। বন দফতরে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলাম। পুলিশেও জানিয়েছি। কোনও সুরাহা হয়নি। আবার নতুন করে জানানো হবে। সেন মার্কেট কমিটির সম্পাদক সাগর সাহা বলেন, এদিন সকালে ভোলার গুঁতোয় ফের রাজেন্দ্র রাম বলে একজন  জখম হয়েছেন। আমরা চেষ্টা করছি, কোনও ব্যবস্থা যদি নেওয়া যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mobile Messenger Apps: সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল স্ট্রাইক! ১৪টি মেসেঞ্জার অ্যাপ ব্লক করল কেন্দ্র

    Mobile Messenger Apps: সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল স্ট্রাইক! ১৪টি মেসেঞ্জার অ্যাপ ব্লক করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ মুক্ত করতে কঠোর পদক্ষেপ কেন্দ্র সরকারের। জঙ্গিদের চ্যাট চলছিল। পাকিস্তান থেকে বার্তা গ্রহণ করে সেই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল দেশের নানা প্রান্তে। সন্ত্রাসের জাল বিছানোর জন্য যে মোবাইল মেসেঞ্জার অ্যাপ গুলি ব্যবহার করা হয় সেগুলোকে এবার ব্লক করে দিল সরকার। দেশের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে  ১৪টি মোবাইল মেসেঞ্জার অ্যাপ (Mobile Messenger Apps) ব্লক করল কেন্দ্র।

    নিষিদ্ধ অ্যাপগুলি কী কী?

    নিষিদ্ধ অ্যাপগুলি ব্যবহার করে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী নিজেদের কাজকর্ম চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ। মূলত জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি নিজেদের সমর্থক এবং মদতদাতাদের সঙ্গে এই অ্যাপগুলির মাধ্যমে যোগাযোগ রাখত বলে অভিযোগ কেন্দ্রের। এমনকী ওই মেসেজিং অ্যাপ মারফত পাকিস্তান থেকে জঙ্গিদের কাছে নির্দেশ আসত বলে গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রের খবর। যে ১৪টি মোবাইল অ্যাপ কেন্দ্র সরকার নিষিদ্ধ করেছে সেগুলির মধ্যে রয়েছে, ক্রিপভাইজার (Crypviser), এনিগমা (Enigma), সেফসুইস (Safeswiss), উইকরমি (Wickrme), মিডিয়াফায়ার (Mediafire), ব্রায়ার (Briar), বিচ্যাট (BChat), ন্যান্ড বক্স (Nandbox), কনিয়ন (Conion), আইএমও (IMO), এলিমেন্ট (Element), সেকেন্ড লাইন (Second Line), জঙ্গি (Zangi) এবং থ্রিমা (Threema)।

    অ্যাপগুলির খোঁজ মিলল কী করে?

    কাশ্মীরে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে মৃত একাধিক জঙ্গির মোবাইলে এই মেসেঞ্জার অ্যাপগুলি পাওয়া গিয়েছে। এরপরেই সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের। বস্তুত, গত কয়েক মাসে কাশ্মীরে যত জঙ্গিকে খতম করা গিয়েছে, তাদের প্রতিটি মোবাইলেই এই অ্যাপগুলি মিলেছে। জাতীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে কেন্দ্র সরকারের এই পদক্ষেপ। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি এবং ভারতীয় আইন মেনে চলে না এমন মোবাইল অ্যাপগুলির (Mobile Messenger Apps) তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল। সেই অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধ করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রককে। ২০০০ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইন (Information Technology Act) ৬৯এ (69A) ধারায় অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, বলে মন্ত্রক সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন: কর্নাটকে মোদির কনভয়ে উড়ে এল মোবাইল ফোন! প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে

    অ্যাপ সংস্থাগুলির ভারতে কোনও প্রতিনিধি নেই

    এই মেসেঞ্জার অ্যাপগুলির মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরের জঙ্গি সংগঠনের নেতারা তাদের সমর্থক ও সদস্যদের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রাখছিল। কেন্দ্রের ইন্টেলিজেন্সের কাছে খবর, এই অ্যাপ সংস্থাগুলির ভারতে কোনও প্রতিনিধি নেই। কোনও অফিসও নেই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা অনেক চেষ্টা করেও এই অ্যাপ কোম্পানিগুলির কোনও প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। কোথা থেকে চলছে সংস্থাগুলি, তারও হদিশ পাচ্ছে না। বন্ধ করা অ্যাপগুলির সার্ভারও কোনও একটি জায়গায় নির্দিষ্ট নয়। বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে রয়েছে। ফলে হদিশ পাওয়া মুশকিল। একই সঙ্গে এতটাই ভাল এনক্রিপশন যে, কী ধরনের মেসেজ আদানপ্রদান হচ্ছে, তা উদ্ধার করাও কঠিন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mumbai Terror Attack: আজ মুম্বই হামলার ১৪ বছর! নিহতদের স্মরণ করলেন রাষ্ট্রপতি, বিদেশমন্ত্রী

    Mumbai Terror Attack: আজ মুম্বই হামলার ১৪ বছর! নিহতদের স্মরণ করলেন রাষ্ট্রপতি, বিদেশমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই হামলার (Mumbai Attack) আজ ১৪তম বছর। ২৬/১১-য় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Droupadi Murmu), বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুকতার আব্বাস নকভি-সহ বহু নেতারা। 

    নিহতদের স্মরণে ট্যুইট

    ২০০৮ সালে আজকের দিনেই দেশের বাণিজ্য নগরে হামলা চালায় জঙ্গিরা। পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবার ১০ জঙ্গি শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বোমা-গুলি ও বন্দুক নিয়ে নাশকতা চালায়। প্রাণ হারান ১৬৬ জন নিরীহ মানুষ। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিদেশিও ছিলেন। জখম হন ৩০০-র বেশি মানুষ। বিশ্বের বহু দেশ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে।

    মুম্বই হামলার এই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ১৪টা বছর। কিন্তু, তার ভয়বহতা এখনও পিছু ছাড়েনি। সেই দিন যাঁরা ডিউটিতে থাকাকালীন প্রাণ দিয়েছিলেন, তাঁদের শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি। তাঁর তরফে ট্যুইটারে লেখা হয়েছে, ‘সেদিন আমরা যাঁদের হারিয়েছি, তাঁদের কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে গোটা দেশ। তাঁদের পরিবারের অশেষ যন্ত্রণা আমরা অনুভব করতে পারি। বীরত্বের সঙ্গে যে সব নিরাপত্তারক্ষী লড়াই করেছিলেন এবং কর্তব্যের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তাঁদের সম্মান জানায় গোটা দেশ।’

    ট্যুইটারে বিদেশমন্ত্রী লিখলেন, ‘মানবতার পক্ষে বিপজ্জনক সন্ত্রাসবাদ। আজ ২৬/১১-য় নিহতদের স্মরণে ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে গোটা বিশ্ব। যারা এই হামলার পরিকল্পনা ও তদারকি করেছিল, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। গোটা বিশ্বে যারা জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছেন, এটা তাঁদের কাছে আমাদের ঋণ।’

    ট্যুইট করে শ্রদ্ধা জানান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। হিন্দিতে তিনি লেখেন, “মুম্বইয়ে ২৬/১১-র জঙ্গি হামলায় নিরীহ নাগরিকদের হারায় দেশ। আমাদের সাহসী জওয়ানরা প্রত্যেককে নিরাপত্তা দিতে গিয়ে তাঁদের প্রাণ হারান। তাঁদের প্রত্যেককে শ্রদ্ধা জানাই। যাঁরা কাছের মানুষকে হারানোর মতো অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই।”

     

     

     

  • Al-Qaeda-linked  Assam: আল-কায়দা যোগ! অসমে আটক ১১ জন

    Al-Qaeda-linked Assam: আল-কায়দা যোগ! অসমে আটক ১১ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে অসমে আটক করা হল  ১১ জনকে। যাদের ধরা হয়েছে, তারা জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দার (Al-Qaeda) সঙ্গে যুক্ত বলে জানিয়েছে অসম পুলিশ। এদের সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিম (ABT) এর যোগ রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে একজন অসমের একটি মাদ্রাসার শিক্ষক।

    অসমের বড়পেটা, মরিগাঁও, গুয়াহাটি, গোয়ালপাড়া জেলা থেকে তাদের ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অসম পুলিশের DG ভাস্করজ্যোতি মহন্ত (Bhaskar Jyoti Mahanta)। তিনি জানান, এই এলাকায় আল কায়দার প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছিল ধৃতরা। শুধুমাত্র অসমেই নয়, উত্তর-পূর্ব ভারতেও তারা ‘জেহাদি’ কার্যকলাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছিল। তিনি জানান, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা Al-Qaeda in Indian Sub continent (AQIS)-র সঙ্গে যুক্ত।

    আরও পড়ুন: মা স্বাভাবিক অভিভাবক, তিনিই ঠিক করবেন সন্তানের পদবি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, গত কয়েকদিনে জঙ্গিযোগ রয়েছে সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। রাজ্যে জঙ্গি কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। তদন্তকারী অফিসাররা কাজ করছেন। এই লোকেদের উদ্দেশ্য ছিল, এলাকার যুবকদের জঙ্গি দলে টেনে, তাদের দিয়ে নাশকতা ঘটানো।

    অসম পুলিশের তরফে জানানো হয়, রাজ্য পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ একটি গোয়েন্দা রিপোর্ট পায়। সেই তথ্যর উপর ভিত্তি করেই পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশ সূত্রে খবর, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে মুস্তাফা ওরফে মুফতির সঙ্গে আনসারুল্লা বাংলার সরাসরি যোগ রয়েছে। মরিগাঁওয়ের শাহরিয়া গাঁওয়ে একটি মাদ্রাসা চালায় সে। দেশ বিরোধী কাজে অর্থেরও যোগান দেয় মুফতি মুস্তাফা। এছাড়াও এখানকারই আফসারুদ্দিন ভুঁইয়া, গোয়ালপাড়ার আব্বাস আলি, মেহেবুব-সহ ১১ জনকে দুদিনে আটক করা হয়।

    আরও পড়ুন: শক্তি বাড়াল নৌসেনা! মার্কিন দেশ থেকে ভারতে এল দুটি এম এইচ -60R চপার

    পুলিশের তরফে জানানো হয়, ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং Electronic Device পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতেই পরিষ্কার যে তারা নিজেদের কাজ এবং জেহাদি কার্যকলাপ বৃদ্ধি করার জন্য ঘাঁটি গেড়েছিল। আর কাদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

LinkedIn
Share