Tag: terror module

  • Delhi Blast: ‘বিরিয়ানি’, ‘দাওয়াত’, ‘ম্যাডাম এক্স’, জঙ্গিদের ব্যবহার করা এসব শব্দের মানে জানেন?

    Delhi Blast: ‘বিরিয়ানি’, ‘দাওয়াত’, ‘ম্যাডাম এক্স’, জঙ্গিদের ব্যবহার করা এসব শব্দের মানে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিরিয়ানি প্রস্তুত, দাওয়াতের জন্য তৈরি থাকুন।” এই আপাত নিরীহ বাক্যটির নেপথেই ছিল বড়সড় অঘটনের সংকেত (Terror Module)। আজ্ঞে, হ্যাঁ। দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের অদূরে বিস্ফোরণের (Delhi Blast) আগে আগে এহেন সাংকেতিক ভাষাই ব্যবহার করত জঙ্গিরা।

    আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা (Delhi Blast)

    ১০ নভেম্বর, সোমবার সন্ধ্যায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ১৩ জন। ওই ঘটনার তদন্তে নেমেই জঙ্গিদের ভাষা বোঝার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। বিস্ফোরণের পর ভারতে ‘হোয়াইট কলার মডেলে’র নানা কাজকর্মের কথা প্রকাশ্যে আসে। তখনই প্রশ্ন উঠেছিল, দেশ-বিদেশের জঙ্গি সংগঠন, মায় নিজেদের মধ্যেই বা কীভাবে যোগাযোগ রাখত এই জঙ্গি মডিউলের সদস্যরা? জানা গিয়েছিল, ‘সিগন্যাল’ নামের একটি অ্যাপের কথা।

    সিগন্যাল অ্যাপে চলত কথাবার্তা

    দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে তিন চিকিৎসককে। তাদের জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, সিগন্যাল অ্যাপে তৈরি একটি গ্রুপের মাধ্যমে চলত জইশ-ই-মহম্মদের ফিদায়েঁ মডিউলের সঙ্গে যোগাযোগ। ওই গ্রুপে যুক্ত ছিল বিস্ফোরণের অন্যতম চক্রী উমর-সহ ধৃত চিকিৎসক মুজাম্মিল আহমেদ, আদিল আহমেদ রাথর এবং শাহিন শাহিদ। এই গ্রুপের অ্যাডমিন ছিল আদিলের ভাই তথা জঙ্গি মডিউলের চাঁই মুজাফ্ফর রাথের। জানা গিয়েছে, এই গ্রুপেই উমর জানাত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, ট্রাইঅ্যাসিটোন ট্রাইপারোক্সাইড-সহ (TATP) অন্যান্য রাসায়নিক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। কোন রাসায়নিক কোথা থেকে কেনা হয়েছে, পরিমাণই বা কত, এর পর কী করা হবে, সেসব ব্যাপারেই কথাবার্তা উমরের সঙ্গে চলত এই গ্রুপের মাধ্যমেই (Terror Module)।

    বিরিয়ানি, দাওয়াত…

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, হোয়াইট কলার জঙ্গি মডিউলটি সাধারণ খাবারের নাম ব্যবহার করে নিরাপদ মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম ব্যবহার করে জঙ্গি কাজ-কারবার চালাত (Delhi Blast)। সূত্রের খবর, মুজামিল শাকিল, উমা উন নবি, শাহিন শাহিদ এবং আদিল আহমেদ রাথেরের সমন্বয়ে গঠিত জঙ্গি মডিউলটি এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড অ্যাপ টেলিগ্রামে যোগাযাগের জন্য বিরিয়ানি, দাওয়াতের মতো সাংকেতিক শব্দ ব্যবহার করত। সূত্রের খবর, ‘বিরিয়ানি’ বলতে বোঝানো হত ‘বিস্ফোরক পদার্থ’, ‘দাওয়াত’ বলতে বোঝানো হয়েছিল ‘একটি নির্দিষ্ট ঘটনাকে’। তদন্তকারীরা জানান, জঙ্গি হামলার বিস্ফোরক প্রস্তুত করার পর তারা টেলিগ্রামে যে বার্তাটি শেয়ার করেছিল, সেটি হল, “বিরিয়ানি প্রস্তুত, দাওয়াতের জন্য তৈরি থাকুন।”

    সূত্রের খবর, এই হোয়াইট কলার জঙ্গি মডিউলের মূল পরিকল্পনাকারী ইমাম ইরফান আহমেদ জম্মু-কাশ্মীরের শোপিয়ানের বাসিন্দা। সূত্রের খবর, সে-ই চিকিৎসকদের মৌলবাদী করে ঠেলে দিয়েছিল সন্ত্রাসের পথে। ২০২০ সালে সে ছেলের চিকিৎসার জন্য গিয়েছিল শ্রীনগরের একটি হাসপাতালে। সেখানেই তার সঙ্গে আলাপ হয় উমা উন নবির। এই নবি-ই পরবর্তীকালে লালকেল্লা বিস্ফোরণের ‘সুইসাইড বম্বার’ হিসেবে চিহ্নিত হয় (Delhi Blast)। এই গ্রুপে শাহিন পরিচিত ছিল ‘ম্যাডাম সার্জন’ নামে। তদন্তকারীরা এর পাশাপাশি ‘ম্যাডাম এক্স’ এবং ‘ম্যাডাম জেড’ নামে অজ্ঞাতপরিচয় দুই মহিলার নামও পেয়েছেন (Terror Module)। তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও ছিল শাহিনের (Delhi Blast)।

  • Ukase Turkiye: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার জড়াল তুরস্কের নাম, কীভাবে জানেন?

    Ukase Turkiye: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার জড়াল তুরস্কের নাম, কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণকাণ্ডে (Delhi Blast) আগেই জড়িয়েছে পাকিস্তানের বন্ধু তুরস্কের নাম (Ukase Turkiye)। জানা গিয়েছে, ইসলামিক রাষ্ট্র তুরস্কের কোনও এক হ্যান্ডলারের অঙ্গুলিহেলনেই জঙ্গি কার্যকলাপ চালাত ভারতে থাকা চিকিৎসক-জঙ্গিরা। এই বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা পেয়েছেন একটি কোডনেম। সূত্রের খবর, ‘উকাসা’ নামে এক ব্যক্তির নাম জানা গিয়েছে, যে ওই চিকিৎসক-জঙ্গিদের নিয়ে তৈরি মডিউল পরিচালনা করত। এই মডিউলের নেতা ছিল আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক-শিক্ষক উমর উন নবি। জানা গিয়েছে, ভারতে এই হামলার ছক কষা হয়েছিল তুরস্কে বসেই।

    উকাসা (Ukase Turkiye)

    গোয়েন্দাদের অনুমান, জইশ-ই-মহম্মদ এবং আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দ এই দুই জঙ্গিগোষ্ঠীর হ্যান্ডলার এবং দিল্লি মডিউলের মধ্যে প্রধান যোগসূত্র হিসেবে কাজ করে এই উকাসা। প্রাথমিক তদন্তে তদন্তকারীরা মনে করছেন, ২০২২ সালে তুরস্কে এই হামলার নীল নকশা তৈরি করা হয়েছিল। সেই সময়ই উমর ও তার সঙ্গীরা তুরস্কে গিয়েছিল। তারা গিয়েছিল ওই বছরেরেই মার্চ মাসে। সেই সময় প্রায় দু’সপ্তাহ আঙ্কারায় ছিল সে। এই সমস্ত ষড়যন্ত্রের অন্যতম অংশীদার ছিল সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাপ। প্রথমে টেলিগ্রামের মতো অ্যাপ ব্যবহার করা হলেও, পরে বেছে নেওয়া হয়েছিল সিগন্যাল ও সেশনের মতো অ্যাপ। তদন্তকারীদের ধারণা, উকাসা নামের এই হ্যান্ডলার চিকিৎসক-জঙ্গিদের তালিম দিয়েছিল, কীভাবে গোপনে ফোনালাপ করতে হয়, কীভাবেই বা এড়িয়ে চলতে হয় ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, তুরস্কের এই হ্যান্ডলারই মডিউলের কাজকর্ম ঠিক করে দিত, যাবতীয় নির্দেশও দিত ওই হ্যান্ডলাররা। উকাসার ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট খুঁজতে এবং আরও কোনও যোগাযোগের সূত্র পেতে বিদেশি ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির সাহায্য নিচ্ছেন গোয়েন্দারা (Delhi Blast)।

    পুলিশের স্ক্যানারে আরও এক চিকিৎসক

    এদিকে, লালকেল্লা বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় পুলিশের স্ক্যানারে রয়েছে আরও এক চিকিৎসকও। এই চিকিৎসক আর কেউ নয়, সে হল গ্রেফতার হওয়া চিকিৎসক আদিল আহমেদ রাঠির দাদা মুজাফফর। তদন্তকারীদের অনুমান, দিল্লি বিস্ফোরণে চিকিৎসক মেডিক্যাল টেরর মডিউলের বিদেশি যোগসূত্র ও অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী এই মুজাফফর। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রের খবর, পুলওয়ামার এই বাসিন্দা ভারতে মূল মডিউল ও তাদের পাক হ্যান্ডলারদের সঙ্গে সমন্বয়ের কাজ করত। গত অগাস্টে সে দুবাইয়ে চলে গিয়েছে (Ukase Turkiye)। এখন সে আফগানিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে কাজ করছে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে। তার হদিশ পেতে রেড কর্নার নোটিশ জারি করতে চাইছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। সেজন্য ইন্টারপোলের সাহায্য চেয়েছে তারা।

    ‘উকাসা’ শব্দের অর্থ

    গোয়েন্দারা জেনেছেন, তুরস্কের হ্যান্ডলার উকাসা আদতে একটি সাংকেতিক নাম। এক আধিকারিক জানান, আরবি ভাষায় ‘উকাসা’ শব্দের অর্থ হল ‘মাকড়সা’। পরিচয় গোপন করে বিদেশে বসে থেকে নাশকতা, জঙ্গি কার্যকলাপে আর্থিক মদত এবং মৌলবাদী কাজকর্মে ইন্ধন জোগাত এই উকাসা (Delhi Blast)। এই উকাসার সঙ্গে দেখা করতেই তুরস্কে গিয়েছিল মুজাফফরও। তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে বৈঠকে বসে অপারেশন ও ফান্ডিংয়ের রুটম্যাপ ঠিক করা হয়। অনুমান, সেখানেই কষে নেওয়া হয়েছিল লালকেল্লায় বিস্ফোরণের মতো একাধিক বড় নাশকতার ছক। পুলিশ সূত্রে খবর, ভাইকে জঙ্গি কার্যকলাপে টেনে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল (Ukase Turkiye) মুজাফফর। ভাইয়ের সঙ্গে উমর, মুজাম্মিল সাকিল ও মৌলবি ইরফানের সঙ্গেও যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিল সে-ই। একের পর এক সহযোগীর গ্রেফতারির প্রেক্ষিতে উমরকে দিল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর নির্দেশ দিয়েছিল মুজাফফর। ছিল, পুলওয়ামার ধাঁচে নাশকতার নির্দেশও।

    স্লিপার সেলে নিয়োগ

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, উকাসাই উমরদের পরিচালনা করত। কীভাবে স্লিপার সেলে নিয়োগ করতে হবে, কীভাবেই বা ডিজিটাল তথ্য লোপাট করতে হবে, সেই সবই চিকিৎসক-জঙ্গিদের শিখিয়ে পড়িয়ে নিয়েছিল তুরস্কের ওই হ্যান্ডলার। তদন্তকারীদের অনুমান, ভারতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের যে ছক কষা হয়েছিল এবং সেই হামলার জন্য যে জঙ্গি মডিউল তৈরি করা হয়েছিল, সে ক্ষেত্রে উকাসার বড় ভূমিকা রয়েছে। তদন্তকারীরা উকাসা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা করছেন। পাক জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির সঙ্গে এই হ্যান্ডলারের কোনও যোগ ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। কীভাবে চিকিৎসক মডিউলকে উকাসা পরিচালনা (Delhi Blast) করছিল, এই উকাসা আসলে কে বা কারা, তাও জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।

    প্রসঙ্গত, ১০ নভেম্বর লালকেল্লার কাছে উমরের হুন্ডাই আই-২০ গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। এই গাড়িতেই ছিল চিকিৎসক-জঙ্গি উমর। তদন্তকারী সংস্থাগুলি এখনও পর্যন্ত ফরিদাবাদ থেকে ইকোস্পোর্টটি উদ্ধার করেছে। তল্লাশি চালানো হচ্ছে ব্রেজা গাড়িটির খোঁজে। আধিকারিকদের সন্দেহ, নিখোঁজ হওয়া গাড়িটিতে লুকানো থাকতে পারে বিস্ফোরক (Ukase Turkiye)।

  • Terrorists Arrested: ভারতব্যাপী জঙ্গি মডিউলের পর্দা ফাঁস, দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার ৫

    Terrorists Arrested: ভারতব্যাপী জঙ্গি মডিউলের পর্দা ফাঁস, দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যান-ইন্ডিয়া বা দেশব্যাপী একটি জঙ্গি মডিউলের পর্দা ফাঁস (Terrorists Arrested) করল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। অভিযোগ, পাকিস্তান-ভিত্তিক (Khilafat Model) হ্যান্ডলারের নির্দেশে পরিচালিত হচ্ছিল এই মডিউল। লক্ষ্য ভারতে খিলাফত শৈলীর শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। এই অভিযোগে দেশের চার রাজ্য থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মোট পাঁচজনকে। এরা হল আশহার দানিশ, সুফিয়ান আবুবকর খান, আফতাব আনসারি, হুজাইফা ইয়ামান এবং কামরান কুরেশি।

    খিলাফত-শৈলীর গ্রুপ গঠনের পরিকল্পনা (Terrorists Arrested)

    অতিরিক্ত কমিশনার (স্পেশাল সেল) প্রমোদ কুশওয়াহা জানান, এই গোষ্ঠী একটি দুই পর্বের পরিকল্পনা করেছিল। প্রথমত, ‘লস্কর’ নামে একটি খিলাফত-শৈলীর সংগঠন গঠন করা, এবং পরবর্তী কালে ইসলামের বিকৃত ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করে ‘গাজওয়া-এ-হিন্দ’-এর অনুপ্রেরণায় ভারতে জিহাদ শুরু করা। তিনি বলেন, “তারা প্রথম ধাপে নিজেদের খিলাফত-শৈলীর একটি গ্রুপ গঠনের পরিকল্পনা করছিল। এরপর তারা গাজওয়া-এ-হিন্দ ধারণা অনুসরণ করে জিহাদ চালিয়ে যেতে চেয়েছিল, যার মধ্যে লক্ষ্যভিত্তিক হত্যাকাণ্ডও অন্তর্ভুক্ত।” পুলিশ অভিযুক্তদের কাছ থেকে সন্দেহজনক ও বিপজ্জনক পদার্থ বাজেয়াপ্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে গন্ধক গুঁড়ো, গন্ধক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড, সোডিয়াম বাইকার্বোনেট, পিএইচ লেভেল চেকার, বল বিয়ারিংস এবং ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) তৈরি করতে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপাদান। এর পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে তার, মাদারবোর্ড, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজও।

    ১১ জন আটক

    জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোট ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। যদিও গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচজনকে। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিল আশহার দানিশ। সে রাঁচির বাসিন্দা। সে নিজেকে একজন পেশাদার কোম্পানি পরিচালনা করা ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিত। জনসমক্ষে সে নিজেকে ‘সিইও’ হিসেবেও পরিচয় দিত। তবে ঘনিষ্ঠ মহলে সে পরিচিত ছিল ‘গাজওয়া নেতা’ নামে। এই গোষ্ঠী একটি এনজিও পরিচালনার অছিলায় জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা করছিল। কুশওয়াহা বলেন, “এরা অত্যন্ত উগ্রপন্থী ব্যক্তি যারা একটি ঘনিষ্ঠ অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীর মাধ্যমে কাজ করত।”  সূত্রের খবর (Khilafat Model), রাঁচি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আশহার দানিশকে। সুফিয়ান আবুবকর খান এবং আফতাব আনসারিকে ধরা হয়েছে দিল্লি থেকে। তেলঙ্গানার নিয়াজাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয় হুজাইফা ইয়ামানকে। আর মধ্যপ্রদেশের রাজগড় থেকে পাকড়াও করা হয়েছে কামরান কুরেশিকে (Terrorists Arrested)।

    ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক ডিভাইস

    দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক ডিভাইস তৈরি মায় কার্তুজ তৈরির প্রশিক্ষণও নিয়েছে। তদন্তকারীরা সন্দেহভাজনদের কাছ থেকে কিছু ‘অপরাধমূলক ছবি’-ও উদ্ধার করেছে। পুলিশের মতে, দলটি স্বীকার করেছে যে তাদের হ্যান্ডলার অনলাইনে আইইডি তৈরির নির্দেশ দিচ্ছিল এবং বোমা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন রাসায়নিক এবং উপাদান সংগ্রহের নির্দেশও দিয়েছিল (Terrorists Arrested)। কুশওয়াহা বলেন, “এটি একটি দেশীয় অভিযান ছিল।” ধৃতদের স্বাধীনভাবে অস্ত্র সংগ্রহ এবং আইইডি তৈরির নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল (Khilafat Model)। দেওয়া হয়েছিল কার্তুজ তৈরির নির্দেশও। তাদের কাছ থেকে কিছু সন্দেহজনক স্কেচও উদ্ধার করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ সাম্প্রদায়িক প্রচার, ধর্মীয় বৈষম্য উস্কে দেওয়া এবং অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় বিভিন্ন সংস্থা ধৃতদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা ডিজিটাল ডিভাইসগুলি বিশ্লেষণ করছে। জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক শনাক্ত করতে এবং সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক যোগসূত্র খুঁজে বের করতেই বিশ্লেষণ করা হচ্ছে উদ্ধার হওয়া ডিজিটাল ডিভাইসগুলি (Terrorists Arrested)। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের গ্রেফতারের ফলে দেশে একটি বড়সড় জঙ্গি হামলা ঠেকানো সম্ভব হয়েছে।

    আইইডি এবং অন্যান্য বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, ধৃতেরা পরস্পরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানা থেকে যে তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের কাছ থেকে আইইডি এবং অন্যান্য বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই দলটিকে পরিচালনা করছিল দানিশ। পাকিস্তানের হ্যান্ডলাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁর। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত তারা। ভারতে যুব সম্প্রদায়ের মগজধোলাই করে জঙ্গি কার্যকলাপে উদ্বুদ্ধ করার কাজ করত ধৃতেরা। শুধু তা-ই নয়, জঙ্গি দলে নিয়োগের দায়িত্বও ছিল ধৃতদের ওপর। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ এও জেনেছে, দিল্লি এবং এনসিআর-সহ দেশের নানা জায়গায় নাশকতার ছক কষা হয়েছিল (Terrorists Arrested)। পুলিশের অনুমান, ধৃতেরা আল কায়দা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট মডিউলের সঙ্গে জড়িত (Khilafat Model)।

LinkedIn
Share