Tag: terrorism

terrorism

  • PM Modi in G-20 Summit: সন্ত্রাসবিরোধী বার্তা থেকে গ্লোবাল সাউথ, মোদি-ময় জি২০! আফ্রিকা থেকে ফিরলেন মোদি

    PM Modi in G-20 Summit: সন্ত্রাসবিরোধী বার্তা থেকে গ্লোবাল সাউথ, মোদি-ময় জি২০! আফ্রিকা থেকে ফিরলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রযুক্তি ও গবেষণার ক্ষেত্রে খুলে গেল এক নতুন দিগন্ত! জোহানেসবার্গে জি২০ (PM Modi in G-20 Summit) নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেই বৈঠকে প্রযুক্তি ও গবেষণার ক্ষেত্রে এক নতুন পার্টনারশিপের কথা ঘোষণা করলেন মোদি। বললেন, “তিন মহাদেশ, তিন মহাসাগর জুড়ে কার্যকর হবে এই পার্টনারশিপ।” আগামী প্রজন্মের জন্য এক উন্নততর ভবিষ্যৎ তৈরি করাই লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী মোদির। তিন দিনের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে সোমবার সকালে নয়া দিল্লিতে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী। সন্ত্রাসবিরোধী কড়া অবস্থান, জি২০ মঞ্চে উচ্চস্তরের বৈঠক এবং বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ-সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে ২৪টি বৈঠক—সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের উপস্থিতি আরও জোরালো করলেন তিনি।

    সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে বড় অগ্রগতি

    দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনের নেতাদের যৌথ ঘোষণায় সন্ত্রাসকে তার সব রূপে তীব্র নিন্দা জানানো হয়। একই সঙ্গে সন্ত্রাসে অর্থসংস্থান প্রতিরোধে এফএটিএফ কাঠামোকে আরও কার্যকর করার ওপর জোর দেওয়া হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি দ্বৈত মানসিকতা ত্যাগ করে ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানান। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে বৈঠকে সন্ত্রাস দমনে ভারত–ইটালি যৌথভাবে কাজ করবে বলে স্থির হয়। মোদি বলেন, ভারতের সভ্যতার মূল মূল্যবোধ, বিশেষত ‘অখণ্ড মানবতাবাদ’-এর নীতি, ভবিষ্যতের পথ দেখাতে সক্ষম।

    নতুন অংশীদারিত্বের ঘোষণা

    জি২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদি মোট ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ও আলোচনায় অংশ নেন। ১৪ বছর পর অনুষ্ঠিত ইবসা শীর্ষ সম্মেলনেও তিনি উপস্থিত ছিলেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন বিষয়ক নতুন অংশীদারিত্বের ঘোষণা করা হয়। এর লক্ষ্য হলো উদীয়মান ও গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিতে সহযোগিতা বৃদ্ধি, সবুজ শক্তিতে উদ্ভাবন, গুরুত্বপূর্ণ খনিজের সরবরাহ শৃঙ্খলকে শক্তিশালী করা এবং জনকল্যাণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়ানো। এই উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে ২০২৬ সালের প্রথম প্রান্তিকে তিন দেশের কর্মকর্তারা আবার বৈঠকে বসবেন।

    জি২০-এর মঞ্চে প্রস্তাব

    মোদির প্রথম প্রস্তাব—বিশ্বজুড়ে প্রচলিত ঐতিহ্যগত জ্ঞানের নথিভুক্তিকরণ ও সংরক্ষণের জন্য গ্লোবাল ট্রেডিশনাল নলেজ রিপোজিটরি গঠন। তাঁর মতে, প্রাচিনকাল থেকে চলে আসা বেশ কিছু প্রচলিত জ্ঞান ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিশ্বব্যপী এই ধরণের জ্ঞানের সংরক্ষণ জরুরি বলে মনে করেন মোদি। বিশ্বের অগ্রগতির জন্য আফ্রিকার উন্নয়ন জরুরি বলে দাবি করেন মোদি। তিনি বলেন, এই কারণে ভারত বরাবর আফ্রিকার পাশে দাঁড়িয়েছে। তাই তাঁর দ্বিতীয় প্রস্তাব—আফ্রিকা স্কিলস মাল্টিপ্লায়ার ইনিশিয়েটিভ, যার মাধ্যমে আগামী দশ বছরে আফ্রিকার এক মিলিয়ন প্রশিক্ষক তৈরি করা উচিত এবং এভাবে আফ্রিকাবাসীর স্কিল উন্নয়ন সম্ভব। তৃতীয় প্রস্তাব হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যসঙ্কট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় একে অন্যের পাশে দাঁড়ানো জরুরি। এজন্য জি-২০ সদস্যদের প্রশিক্ষিত মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল গ্লোবাল হেলথকেয়ার রেসপন্স টিম গঠনের আহ্বান জানান তিনি। চতুর্থ প্রস্তাবে মোদি বলেন, মাদক পাচার এবং সন্ত্রাসবাদের যোগসূত্র ভেঙে ফেলা এখন বিশ্বের নিরাপত্তার জন্য জরুরি। এই লক্ষ্যে জি-২০ দেশের একটি সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান করেন তিনি।

    রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্কারের প্রয়োজনীতা

    রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্কারের প্রয়োজনীতার প্রশ্নটিও ফের তুলে দিয়েছেন মোদি। মোদি বুঝিয়ে দিয়েছেন, বর্তমান বাস্তবতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। মোদি বলেন, “বহুপাক্ষিকতায় যেন সমসাময়িক বিশ্বের বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটে। রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্কারকে কেন্দ্রে রেখে বহুপাক্ষিকতার সংস্কার ঘটলে, তবেই মানবতার আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণ হতে পারে।”

    ১৮ দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

    সফরে মোদি ১৮টি দেশের নেতার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন, যার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় উপস্থিত সকল জি৭ দেশও ছিল। তালিকায় ছিল—দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া, অ্যাংগোলা, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, জার্মানি, ইথিওপিয়া, সিয়েরা লিওন, জ্যামাইকা, নেদারল্যান্ডস, ইতালি এবং জাপান। তিনি তিনটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানের সঙ্গেও বৈঠক করেন।

    গ্লোবাল সাউথকে কেন্দ্র করে জোরাল বার্তা

    জোহানেসবার্গ জি২০ সম্মেলনে দিল্লি জি২০-এর ছাপ স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে, বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোর উন্নয়ন ও স্বার্থ রক্ষার প্রশ্নে। প্রথমবার আফ্রিকার মাটিতে জি২০ আয়োজন হওয়ায় তা বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। তিনটি মূল সেশনে মোদি অন্তর্ভুক্তিমূলক বৈশ্বিক উন্নয়ন নিয়ে একাধিক প্রস্তাব ও বার্তা তুলে ধরেন। মোদি বলেন,

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ

    জাপানের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির সঙ্গে এটি ছিল মোদির প্রথম সামনাসামনি বৈঠক। তাকাইচি ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের আয়োজিত এআই সামিট–কে দৃঢ় সমর্থন জানান। দুই নেতা মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের (FOIP) প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। সমগ্র সফর জুড়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির বার্তা ছিল সন্ত্রাসবিরোধী ঐক্য, প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও গ্লোবাল সাউথের ন্যায্য প্রতিনিধিত্ব। প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ বিশ্বমঞ্চে ভারতের অবস্থান আরও মজবুত করেছে।

    প্রতি মুহুর্তের ছবি-ভিডিয়ো ভাইরাল

    ২১ তারিখ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সময়কালে একাধিক বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এমনকি, অস্ট্রেলিয়া-কানাডার সঙ্গে ‘ত্রিশক্তি’ গঠন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সম্মেলনের শেষ দিনে রবিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘জোহানেসবার্গে আয়োজিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন এই বিশ্বের বিকাশ ও সমৃদ্ধিতে যথার্থ অবদান রাখবে। একাধিক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে বৈঠক সারলাম। আমি আশাবাদী, আমাদের এই আলোচনা ভারতের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে। পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার ও সেখানকার রাষ্ট্রপতিকেও অনেক ধন্যবাদ।’ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের পর থেকে বৈঠক, আলাপ, হাত মেলানো, ভাষণ-সহ প্রতি মুহুর্তের ছবি-ভিডিয়ো নিজের সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই পোস্ট ঘিরেই দেখা গিয়েছে নেটিজেনদের উচ্ছ্বাস। মূলত দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষদের উচ্ছ্বাস। মোদীর বক্তব্য হোক বা বৈঠক, সবেতেই একটা ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন তাঁরা।

  • Diwali Phone Call: “দুই দেশ যেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ায়”, ট্রাম্পকে বললেন মোদি

    Diwali Phone Call: “দুই দেশ যেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ায়”, ট্রাম্পকে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) দীপাবলির শুভেচ্ছা (Diwali Phone Call) জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেজন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের যৌথ প্রচেষ্টার আশাও প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের এই কথোপকথন হয়েছে এমন একটা সময়ে যখন আমেরিকা ক্রমশ পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে। জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার জন্য কুখ্যাত এই পাকিস্তান।

    মোদির বার্তা (Diwali Phone Call)

    বুধবার এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ধন্যবাদ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, আপনার ফোন কল এবং উষ্ণ দীপাবলি শুভেচ্ছার জন্য।” তিনি বলেন, “এই আলোর উৎসবে আমাদের দুই মহান গণতন্ত্র যেন আশার আলোয় বিশ্বকে আলোকিত করে এবং সকল প্রকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ায়।” দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে এই ফোনালাপ এমন একটা সময়ে হয়েছে, যখন বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সম্পর্ক একপ্রকার তলানিতে ঠেকেছে। এদিন ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে এবং দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাতে তিনি ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে।

    ‘একজন মহান ব্যক্তি ও খুব ভালো বন্ধু’

    প্রসঙ্গত, ওভাল অফিসে (Diwali Phone Call) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প মোদিকে ‘একজন মহান ব্যক্তি’ এবং ‘খুব ভালো বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে তিনি ভারতের জনগণকে দীপাবলির শুভেচ্ছাও জানান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি ভারতের জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আজই আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আমরা বাণিজ্য নিয়ে কথা বলেছি। তিনি এ বিষয়ে খুব আগ্রহী।”  তিনি বলেন, “আমরা কিছুক্ষণ আগে কথা বলেছিলাম। আমি বলেছিলাম, চলুন পাকিস্তানের সঙ্গে যেন কোনও যুদ্ধ না করি। সেখানে বাণিজ্য বিষয়টিও আলোচনায় এসেছিল। আমি এ বিষয়ে কথা বলতে পেরেছিলাম। আর এখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনও যুদ্ধ নেই। এটা খুবই ভালো একটা বিষয় (PM Modi)। তিনি একজন মহান মানুষ এবং বছরের পর বছর ধরে তিনি আমার খুব ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছেন (Diwali Phone Call)।”

  • SCO Summit: বড় জয় ভারতের, শাহবাজের সামনে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করে বিবৃতি এসসিও-র

    SCO Summit: বড় জয় ভারতের, শাহবাজের সামনে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করে বিবৃতি এসসিও-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে (SCO Summit) কোনঠাসা পাকিস্তান। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সদস্য দেশগুলি গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ভারতকে পূর্ণ সমর্থন করেছে এসসিও গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলো। সন্ত্রাসে মদতদাতাদের বিরুদ্ধে বিচারের দাবিও উঠল। তবে সরাসরি পাকিস্তানের নামোল্লেখ নেই বিবৃতিতে। চিনের তিয়ানজিন শহরে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে থেকে নাম না-করে পাকিস্তানকে ফের এ বিষয়ে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    এসসিও-র বিবৃতিতে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা

    তিয়ানজিন ঘোষণাপত্রে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এসসিও সদস্য দেশগুলি সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং চরমপন্থার বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও ধরনের ‘দ্বিমুখী নীতি’ বরদাস্ত করা হবে না। একইসঙ্গে, পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক এই জোটের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সদস্য রাষ্ট্রগুলি ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। নিহত এবং আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে তারা।” ঘটনাচক্রে, ভারত, চিনের পাশাপাশি এই বহুদেশীয় জোটে পাকিস্তানও রয়েছে। তিয়ানজিনে এসসিও-র শীর্ষ সম্মেলনে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও উপস্থিত ছিলেন। তাঁর সামনেই সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে নাম না-করে ইসলামাবাদকে বিঁধেছেন মোদি।

    ভারতের কথা মানল এসসিও

    সাম্প্রতিক অতীতে এসসিও-র সদস্য দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রীদেরও বৈঠক হয়েছে তিয়ানজিনে। সেখানেও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে বিবৃতি ঘিরে জটিলতার জেরে গত জুন মাসে এসসিও-র প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলন কোনও যৌথ বিবৃতি ছাড়াই শেষ হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে নয়াদিল্লি জানিয়েছিল, ভারত চায় বিবৃতিতে সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ উল্লেখ থাকুক। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট দেশ তা মানতে চায়নি। সেই কারণেই এসসিও-র সদস্য রাষ্ট্রগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে বিবৃতি চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি। সোমবার এসসিও-র বৈঠকে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে মোদি বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা তো শুধু ভারতের আত্মায় আঘাত নয়, বরং তা সেই সমস্ত দেশের প্রতি খোলামেলা চ্যালেঞ্জ, যারা মানবতায় বিশ্বাস রাখে। আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও দ্বিচারিতা বরদাস্ত করা হবে না।’’

    সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ লড়াই

    বৈঠকশেষে যৌথ বিবৃতিতেও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, “সদস্য দেশগুলি সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পাশাপাশি, সন্ত্রাসবাদী, বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে ‘ভাড়াটে সেনা’ হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা প্রতিহত করার দিকেও জোর দিচ্ছে সদস্য রাষ্ট্রগুলি।” সম্মেলন শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদি জোর দিয়ে বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের কোন বিকল্প নেই এবং এসসিও সেই প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

    ভারতের উদ্যোগকে স্বীকৃতি

    সোমবার, সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বিশেষ বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে দুই নেতা একই গাড়িতে যাত্রা করেন, যার ছবি ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তেজনার আবহে মোদির এই চিন সফর কূটনৈতিক দিক থেকেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের উদ্যোগকেও বিশেষভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ঘোষণাপত্রে ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’- এই ধারণাকে সমর্থন জানানো হয়।

  • TRF: দিল্লির বড় কূটনৈতিক জয়! পহেলগাঁওকাণ্ডে দোষী টিআরএফ-কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ঘোষণা করল আমেরিকা

    TRF: দিল্লির বড় কূটনৈতিক জয়! পহেলগাঁওকাণ্ডে দোষী টিআরএফ-কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ঘোষণা করল আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও এলাকায় ভয়ানক এক জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬ জন। তিন মাস পার হয়ে গেলেও সেই হামলার রেশ এখনও রয়ে গেছে। ওই ঘটনায় দায় স্বীকার করেছিল পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার শাখা ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF)। এবার সেই সংগঠনটিকে বিদেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকাভুক্ত করল আমেরিকা। আমেরিকার এই বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং তিনি বলেছেন যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের নীতিই হল জিরো টলারেন্স এবং অপারেশন সিঁদুর।

    মার্কিন বিদেশ সচিবের বিবৃতি

    বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও বলেন, “আজ থেকে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF)-কে ‘ফরেন টেররিস্ট অর্গানাইজেশন’ (FTO) এবং ‘স্পেশালি ডিজিগনেটেড গ্লোবাল টেররিস্ট’ (SDGT) হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।” ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, পহেলগাঁও হামলাকে ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর ভারতে সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে হওয়া অন্যতম ভয়াবহ জঙ্গি হামলা বলে বিবেচনা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’, যা ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামেও পরিচিত, পহেলগাঁওয়ের হামলার দায় শুরুতে স্বীকার করলেও, কয়েক দিনের মধ্যেই তারা সেই বিবৃতি প্রত্যাহার করে নেয় এবং ২২ এপ্রিল হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে।

    সন্ত্রাস দমনে ভারতের ভূমিকাকে সমর্থন

    মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “TRF-এর বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ কেবল জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই নয়, বরং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতিকেও বাস্তবে রূপ দিচ্ছে।” এছাড়াও, ভারতের সর্বদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক সফরের সময় সন্ত্রাস দমনে ভারতের ভূমিকার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানায় আমেরিকা। দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বকেও জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়।

    কারা এই ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’?

    হাফিজ সঈদের নেতৃত্বাধীন জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার অধীনে কাজ করা একটি শাখা সংগঠন হল ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। ২০১৯ সাল থেকে সংগঠনটি সক্রিয়। জম্মু-কাশ্মীরে পরিযায়ী শ্রমিক, কাশ্মীরি পণ্ডিত ও সাধারণ মানুষের উপর একাধিক হামলার অভিযোগ রয়েছে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে। ২০২১ সালে জম্মুতে ভারতীয় বায়ুসেনার একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানোর দায়ও TRF-এর উপর বর্তেছে। এমনকি পুলওয়ামা হামলার সঙ্গেও তাদের যোগ ছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রের দাবি। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ২০২৩ সালেই এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

  • Rajnath Singh: চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা রাজনাথের, সই করলেন না যৌথ বিবৃতিতেও

    Rajnath Singh: চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা রাজনাথের, সই করলেন না যৌথ বিবৃতিতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড নিয়ে টানাপোড়েন আন্তর্জাতিক মঞ্চে। এমতাবস্থায় চিনে আয়োজিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে যৌথ বিবৃতিতে সই করলেন না ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। ওই বিবৃতিতে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার উল্লেখ না থাকলেও, বালুচিস্তানে অশান্তির নেপথ্যে ভারতের ভূমিকার উল্লেখ ছিল। এরই প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতিতে সই করেনি ভারত।

    অপারেশন সিঁদুরের যৌক্তিকতা (Rajnath Singh)

    এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে গিয়েছেন রাজনাথ। সম্মেলন চলাকালীন দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা এবং ২৬ জন নিরীহ মানুষের প্রাণ চলে যাওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তিনি। পাকিস্তানের বন্ধু দেশ চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) যৌক্তিকতাও ব্যাখ্যা করলেন রাজনাথ (Rajnath Singh)। ওই সম্মেলনে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত জবাব ছিল অপারেশন সিঁদুরের মতো অভিযান। এসসিও সম্মেলনে রাজনাথ সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ায় তুলোধনা করেন শাহবাজ শরিফের দেশকে। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একযোগে সরব হতে বাকি দেশগুলিকেও আহ্বান জানান তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “গত ৭ মে অপারেশন সিঁদুর শুরু করেছিল ভারত। সীমান্ত সন্ত্রাস নির্মূল করতে এবং সীমান্ত সন্ত্রাস কাঠামো ভেঙে ফেলার লক্ষ্যে অভিযান চালানো হয়েছিল।”

    পাকিস্তানকে নিশানা

    পাকিস্তানকে নিশানা করে রাজনাথ বলেন, “কিছু দেশ সীমান্ত পার হওয়া সন্ত্রাসবাদকে নীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। তারা জঙ্গিদের আশ্রয়ও দেয়। এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দু’মুখো আচরণ করে, সেই দেশগুলির নিন্দা করতে দ্বিধাগ্রস্ত হওয়া উচিত নয় সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের।” সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে ভারত যে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ অবলম্বন করছে, এদিন সেকথাও ওই মঞ্চে জানিয়ে দেন রাজনাথ। তিনি (Rajnath Singh) বলেন, “আমরা দেখিয়ে দিয়েছি যে সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থলগুলি আর নিরাপদ নয়, এবং প্রয়োজনে আমরা সেগুলিকে টার্গেট করে আঘাত হানতেও পিছপা হব না।” রাজনাথ বলেন, “আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে চরমপন্থা ছড়িয়ে পড়া রোধে আমাদের সক্রিয় পদক্ষেপ করা উচিত। এই বিষয়ে এসসিও-র রিজিওনাল অ্যান্টি টেররিস্ট স্ট্রাকচার ব্যবস্থাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভারতের সভাপতিত্বে এসসিও রাষ্ট্রপ্রধানদের পরিষদ থেকে যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল — ‘সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ ও চরমপন্থার দিকে নিয়ে যাওয়া চরমপন্থা প্রতিরোধ’ — তা আমাদের সম্মিলিত অঙ্গীকারের প্রতীক।”

    দুরমুশ জঙ্গি শিবির

    প্রসঙ্গত, গত (Rajnath Singh) ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পরেই কূটনৈতিক স্তরে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। জঙ্গি হামলার বদলা নেওয়ার দাবি ওঠে গোটা দেশে। এমতাবস্থায় ৭ মে মধ্যরাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ভারত। দুরমুশ করে দেওয়া হয় ৯টি জঙ্গি শিবির। এই অভিযানের নামই অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)।

    বিবৃতিতে সই করলেন না রাজনাথ

    সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় এবং তা নিয়ে অবস্থান বোঝাতে যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়, তাতে একে একে সই করতে থাকেন এসসিওর সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিরা। সই করার পালা এলে ওই বিবৃতি নিয়ে আপত্তি তোলেন রাজনাথ। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যৌথ বিবৃতিতে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার কোনও উল্লেখ নেই কেন? বালুচিস্তানে অশান্তি সৃষ্টির নেপথ্যে ভারতের ভূমিকার কথা কেন লেখা হয়েছে, সে প্রশ্নও তোলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh)। এসসিওর চেয়ার এই মুহূর্তে চিনের দখলে। চিন-পাকিস্তানের বন্ধুত্বের খবর সর্বজনবিদিত। ভারতের অভিযোগ, সেই কারণেই যৌথ বিবৃতি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ (Operation Sindoor)। তার বদলে বালুচিস্তানের অশান্তির জন্য কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে ভারতকে। এমনতর বিবৃতি দেখে তাতে আর স্বাক্ষর করেননি রাজনাথ (Rajnath Singh)।

    এসসিওর সদস্য রাষ্ট্র

    চিনের চিংদাওয়ে চলছে এসসিও সম্মেলন। যোগ দিয়েছেন সদস্য দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা। রাজনাথের (Rajnath Singh) পাশাপাশি সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন রাশিয়া, পাকিস্তান, চিন, বেলারুশ, ইরান, কাজাখস্তান, কিরঘিস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরাও। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেই আয়োজন করা হয় এই সম্মেলনের।

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে লাগাতার অশান্তির খবর আসছে বালুচিস্তান থেকে। সেখানে পাক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে বিচ্ছিন্নতাকামী সংগঠনগুলি। আস্ত ট্রেন হাইজ্যাক করা থেকে কনভয়ে বিস্ফোরণ, কিছুই বাদ যাচ্ছে না। বালুচিস্তানের এই অশান্তির জন্য ভারতকে বরাবর দায়ী করে আসছে শাহবাজ শরিফের দেশ। যদিও পাক সরকারের তোলা অভিযোগ বার বার খণ্ডন করেছে ভারত। নয়াদিল্লির অভিযোগ, সন্ত্রাসে মদত জোগাতে গিয়ে ফেঁসে গিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের নজর ঘোরাতেই এখন ভারতকে কাঠগড়ায় তুলছে (Operation Sindoor) পাকিস্তান।

     

  • Amit Shah: “সিন্ধু জলচুক্তি আর কখনওই কার্যকর হবে না”, সাফ জানিয়ে দিলেন শাহ

    Amit Shah: “সিন্ধু জলচুক্তি আর কখনওই কার্যকর হবে না”, সাফ জানিয়ে দিলেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিন্ধু জলচুক্তি (Indus Waters Treaty) আর কখনওই কার্যকর হবে না।” ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে সাফ জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “নরেন্দ্র মোদি সরকার ১৯৬০ সালের এই চুক্তিকে সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। কারণ পাকিস্তান বারবার ভারতের শান্তি ও অগ্রগতির মূলে কুঠারাঘাত করে চলেছে। অথচ এর ওপর ভিত্তি করেই এই চুক্তি হয়েছিল।” তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলো একতরফাভাবে বাতিল করা যায় না। তবে স্থগিত রাখার অধিকার আমাদের ছিল। এবং আমরা তা-ই করেছি।”

    জল পাঠানো হবে রাজস্থানে (Amit Shah)

    শাহ বলেন, “যে জল অন্যায়ভাবে পাকিস্তানে প্রবাহিত হচ্ছিল, তা এখন রিডিরেক্ট করে ভারতের রাজস্থান প্রভৃতি রাজ্যে পাঠানো হবে। ভারত নিজের প্রাপ্য জলের ব্যবহার নিশ্চিত করতে একটি খালও নির্মাণ করবে।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা সেই জল ব্যবহার করব যা ভারতের প্রাপ্য। পাকিস্তান যে জল এতদিন অন্যায়ভাবে পাচ্ছিল, তা আর পাবে না।” শাহি সাক্ষাৎকারে অবধারিতভাবেই উঠে এসেছে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের কথা। যে হত্যাকাণ্ডের পরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। এই হত্যাকাণ্ডকে শাহ পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ইচ্ছাকৃত ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দেন। যার উদ্দেশ্য উপত্যকায় শান্তি বিঘ্নিত করা। তিনি বলেন, “কাশ্মীরের যুব সমাজ এখন এই দুষ্ট পরিকল্পনা বুঝতে পারছে। হামলার পর উপত্যকার প্রতিটি শহরে প্রতিবাদ হয়েছে।” তিনি বলেন, এটি ছিল কাশ্মীরবাসীর পক্ষ থেকে অভূতপূর্ব ঐক্য ও প্রতিবাদের প্রকাশ (Indus Waters Treaty)।

    কংগ্রেসকে শাহি জবাব

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তানও। তা নিয়ে সমালোচনা করা হয় কংগ্রেসের তরফে।। এই সাক্ষাৎকারে তারও জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ভারত পাকিস্তানের বিমান ঘাঁটিগুলিতে বড় ক্ষতি করেছে। কিন্তু অসামরিক লক্ষ্যে আঘাত করা থেকে বিরত থেকেছে।” ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ খণ্ডন করে তিনি (Amit Shah) বলেন, “ভারতীয় সংস্থা ও বিজ্ঞানীরা অত্যন্ত কার্যকর অস্ত্র ব্যবস্থাপনা তৈরি করেছেন এবং তাঁদের নিখুঁত পরিকল্পনার জন্যই এই সফলতা এসেছে।” শাহ বলেন, “আমাদের বাহিনী সম্পূর্ণ শক্তি নিয়ে হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তান খুব দ্রুত হামলা বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছিল।”

    প্রসঙ্গ জম্মু-কাশ্মীর

    এই সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও একবার ভারত সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ভবিষ্যতে যে কোনও জঙ্গি হামলাকে যুদ্ধ হিসেবে গণ্য করা হবে। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারবার এটা বলেছেন। তাই এ নিয়ে আর কোনও বিভ্রান্তির সুযোগ নেই।” পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, “ইসলামাবাদের কোনও নতুন দুঃসাহসিকতায় ভারত পুরো শক্তি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে দ্বিধা করবে না।” জম্মু ও কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে শাহ বলেন, “উপযুক্ত সময়ে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এ নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয়।” তিনি জানান, সরকার নির্বিঘ্নে নির্বাচন পরিচালনা করেছে এবং ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির মাধ্যমে বিচ্ছিন্নতাবাদের অন্তর্নিহিত অনুভূতিকে শেষ করে দিয়েছে।” প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বলেছিলেন, ঠিক সময়েই জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে (Indus Waters Treaty)।

    আমাদের দেশ কোনও ধর্মশালা নয়

    ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার প্রেক্ষিতে শাহ বলেন, “জল ও সীমান্ত সংক্রান্ত আগ্রাসনের প্রতি কঠোর অবস্থান মোদি সরকারের বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থকেন্দ্রিক নীতির অংশ। আমাদের দেশ কোনও ধর্মশালা নয়। ভারতে আসতে চাইলে বৈধ ভিসা থাকতে হবে।” তিনি (Amit Shah) সাফ জানিয়ে দেন, “ভারতের নিরাপত্তা তা নদীই হোক বা সীমান্ত বা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কোনওভাবেই আপস করা হবে না।”

    প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় সিন্ধু জলচুক্তি। সেই চুক্তিই ভারত স্থগিত করে দেয় দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার পর। সেদিন পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে খুন করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। এই ঘটনার জেরে ভারতের কূটনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে এই জলচুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভারতের এই সিদ্ধান্তের জেরে বিপাকে পড়ে পাকিস্তান। দেশের বিস্তীর্ণ অংশে দেখা দেয় জলসংকট। তার পরেই পাকিস্তানের জলসম্পদ মন্ত্রকের সচিব সৈয়দ আলি মুর্তজা ভারতের জল শক্তি মন্ত্রককে একের পর এক চারটি পাঠিয়ে ভারতের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান (Indus Waters Treaty)। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের পাঠানো সব চিঠিই পাঠানো হয়েছে বিদেশমন্ত্রকের কাছে। তবে এখন অবধি ভারতের তরফে কোনও সাড়া মেলেনি (Amit Shah)।

  • Kanthapuram: সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের পাশে আছি, মোদিকে বললেন শেখ আবুবকর আহমেদ

    Kanthapuram: সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের পাশে আছি, মোদিকে বললেন শেখ আবুবকর আহমেদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) চিঠি লিখলেন কান্তাপুরম এপি আবু বকর মুসালিয়ার (Kanthapuram)। চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও। দুজনকেই পাঠানো চিঠিতে তিনি জানায়েছেন, সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে দেশ যে লড়ছে, সেই লড়াইয়ের পাশে রয়েছেন তিনিও। ভারত সরকারের গৃহীত কঠোর অবস্থানকে নিঃসংশয়ে সমর্থন করেন তিনি। দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর সাহসিক প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন তিনি। আবু বকর মুসালিয়ারের মতে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেসব পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা কেবলমাত্র জাতীয় অখণ্ডতার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তির জন্যও এক গুরুত্ব অবদান।

    কী লিখেছেন চিঠিতে (Kanthapuram)

    প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, “সন্ত্রাসবাদ শুধু জাতীয় স্থিতিশীলতার জন্যই নয়, বৈশ্বিক শান্তি ও মানব মর্যাদার জন্যও একটি গুরুতর হুমকি। উগ্রপন্থী শক্তির কার্যকলাপ দমন করতে ভারতের সক্রিয় পদক্ষেপগুলি নিরীহ প্রাণ রক্ষায় এবং ন্যায় ও মানবতার মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে। চরমপন্থী মতাদর্শের মোকাবিলায় ও দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভারতের কৌশলগত হস্তক্ষেপ ও কূটনৈতিক নেতৃত্ব একটি রূপান্তরমূলক ভূমিকা পালন করতে পারে। নীতিনিষ্ঠ (Kanthapuram) কূটনীতিক দৃঢ় সংকল্প ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের দেশ এক অস্থির বিশ্বে স্থিতিশীলতার একটি বাতিঘর হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।”

    দেশবাসীকে আহ্বান

    তিনি দেশের সকল নাগরিককে ধর্ম বা পটভূমি নির্বিশেষে এই জাতীয় উদ্যোগগুলির সমর্থনে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “আমি সকল নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি – এই জাতীয় প্রচেষ্টার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ান। আমরা সবাই বিশ্বাস বা পটভূমি নির্বিশেষে এমন মূল্যবোধের রক্ষক হিসেবে কাজ করব, যা আমাদের একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ অথচ সঙ্গতিপূর্ণ জাতি হিসেবে একত্রিত করে। মহান সৃষ্টিকর্তা ভারতের নেতৃত্বকে শান্তি ও নিরাপত্তার এই মহৎ প্রচেষ্টায় দিকনির্দেশনা ও শক্তি দান করুন।”

    প্রসঙ্গত, মুসালিয়ার শেখ আবুবকর আহমেদ নামেও পরিচিত। তিনি ভারতের দশম ও বর্তমান গ্র্যান্ড মুফতি এবং সর্বভারতীয় সুন্নি জামিয়্যাতুল উলেমার সাধারণ সম্পাদক। তিনি এপি সুন্নিদের সামস্থ কেরলের (PM Modi) জেম আইয়্যাতুল উলেমার সাধারণ সম্পাদকও (Kanthapuram)।

  • UK: “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জনগণের পাশে রয়েছে ব্রিটেন,” বললেন ব্রিটেনের সচিব

    UK: “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জনগণের পাশে রয়েছে ব্রিটেন,” বললেন ব্রিটেনের সচিব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জনগণের পাশে রয়েছে ব্রিটেন।” শনিবার এ কথা জানালেন ব্রিটেনের (UK) সচিব লিসা নন্দী। বর্তমানে তিনি রয়েছেন ভারত সফরে (Terrorism)। তিনি মনে করিয়ে দেন, ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত দীর্ঘ ও অত্যন্ত গভীর। সংবাদ মাধ্যম সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ব্রিটেনের সংস্কৃতি, মিডিয়া, ক্রীড়া বিষয়ক রাষ্ট্রীয় সচিব লিসা নন্দী।

    কী বললেন লিসা নন্দী (UK)

    তিনি বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে সরাসরি সমবেদনা জানাতে পেরে সম্মানিত বোধ করেছেন। এই মর্মান্তিক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির প্রতিও আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। ব্রিটেন যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে থাকবে। আমরা জানি, এই হামলার কারণে সমগ্র ভারতবাসী ব্যথিত। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক বহুদিনের ও গভীর। আপনাদের ব্যথায় আমরাও ব্যথিত। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে সমর্থন ও সম্মান জানাতে মৌনতা মেনে নীরবতা পালন করতে পেরে আমি গর্বিত।” তিনি আরও বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক শুধু কূটনৈতিক নয়, হৃদয়ের। এই কঠিন সময়ে আমরা ভারতীয় ভাইবোনদের সঙ্গে আছি।” তিনি জানান, তাঁর এই সফরটি ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে একটি নতুন সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার প্রতীকও।

    ব্রিটেন ও ভারত সত্যিই অসাধারণ

    নন্দী বলেন (UK), “সৃজনশীল শিল্পের সর্বক্ষেত্রেই, ব্রিটেন ও ভারত সত্যিই অসাধারণ, তা সিনেমা হোক, ফ্যাশন, টিভি, সঙ্গীত কিংবা গেমিং (Terrorism)। আমরা এসব ক্ষেত্রে সত্যিই দক্ষ, এবং বিশ্বজুড়ে এই পণ্যগুলো রফতানি করি। কিন্তু আমরা জানি, সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা আরও বেশি অর্জন করতে পারি এবং এক সঙ্গে আরও বড় সাফল্য পেতে পারি। আমাদের সায়েন্স মিউজিয়াম গ্রুপ এখানকার ন্যাশনাল মিউজিয়াম সায়েন্স মিউজিয়াম গ্রুপের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতা, যৌথ প্রদর্শনী আয়োজন, বিভিন্ন নিদর্শন প্রদর্শনের জন্য সফর করানো-সহ নানা কাজ করছে, যাতে ভারত ও ব্রিটেনের মানুষ প্রকৃত এর সুফল পেতে পারে। আমরা মনে করি, অন্যান্য সকল সৃজনশীল শিল্পেও এই মডেলের মাধ্যমে আমরা আরও ঘনিষ্ঠভাবে এক সঙ্গে কাজ করতে পারব।”

    ভারতের প্রতি তাঁর উৎসাহ প্রকাশ করে তিনি বলেন (UK), “এই গ্রীষ্মে ভারতীয় মহিলা দল পুরুষ দলের সঙ্গে যুক্তরাজ্য সফর করবে।” তাঁর আশা, ভারতীয় খেলোয়াড়রা ব্রিটেনের তরুণীদের অনুপ্রেরণা জোগাবে, ঠিক যেমন ইংল্যান্ড লায়নসেস ফুটবল দল তাদের দেশে মহিলাদের অনুপ্রাণিত করেছে (Terrorism)।

  • Hyderabad Twin Blast Case: হায়দরাবাদ জোড়া বিস্ফোরণ মামলায় ৫ আইএম জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল, জয়পুরকাণ্ডে চার দোষীর যাবজ্জীবন

    Hyderabad Twin Blast Case: হায়দরাবাদ জোড়া বিস্ফোরণ মামলায় ৫ আইএম জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল, জয়পুরকাণ্ডে চার দোষীর যাবজ্জীবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসের সঙ্গে কোনওরকম আপোষ নয়। মোদি সরকারের নীতি মেনেই চলছে দেশের আদালত। মঙ্গলবার দেশের দুই প্রান্তের দুই আদালতে সন্ত্রাসের শাস্তি ঘোষিত হল। হায়দরাবাদ জোড়া বিস্ফোরণকাণ্ডে (Hyderabad twin blast case) পাঁচ দোষীর ফাঁসির সাজা বহাল রাখল তেলঙ্গানা হাইকোর্ট। রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরে ২০০৮ সালের ১৩ মে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ২০ মিনিটের মধ্যে প্রাণ গিয়েছিল অন্তত ৮০ জনের। আহত হয়েছিলেন প্রায় ১৭০ জন। সেই নাশকতা সংক্রান্ত একটি মামলায় মঙ্গলবার চার দোষীর আজীবন জেলের সাজা দিল জয়পুরের বিশেষ আদালত।

    হায়দরাবাদে জোড়া বিস্ফোরণ মামলা

    হায়দরাবাদে ২০১৩ সালের জোড়া বিস্ফোরণকাণ্ডে (Hyderabad twin blast case) দোষী পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিল তেলঙ্গানা হাইকোর্ট। জোড়া বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৮ জন, আহত হয়েছিলেন ১৩১ জন। এই মামলায় এনআইএ (ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি) কোর্ট দোষীদের ফাঁসির সাজা দিয়েছিল। উচ্চ আদালত (Telangana High Court) সেই সাজা বহাল রাখল। এনআইএ-র তদন্তে জানা গিয়েছিল, দোষী পাঁচ জন নিষিদ্ধ সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন (আইএম)-এর সদস্য। ২০১৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদের দিলসুখনগরে বাস স্ট্যান্ড এবং বিখ্যাত একটি খাবারের দোকানের কাছে কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে জোড়া বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। জনবহুল এলাকায় বিস্ফোরণের কারণে অনেক মানুষ হতাহত হন। এই ঘটনায় একে একে গ্রেফতার করা হয় আইএম সদস্য মহম্মদ আহমেদ সিদিবাপা ওরফে ইয়াসিন ভাটকল, জিয়া-উর-রহমান ওরফে ওয়াকাস, আসাদুল্লা আখতার ওরফে হাড্ডি, তেহসিন আখতার এবং আইজাজ শেখকে।

    দোষীদের বিরুদ্ধে রয়েছে পোক্ত প্রমাণ

    ভাটকল আইএমের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য। ওয়াকাস পাকিস্তানের নাগরিক। ২০১৩ সালের অগাস্টে ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে ধরা পড়ে ইয়াসিন এবং হাড্ডি। এনআইএ বিবৃতি দিয়ে জানায়, তারা বিস্ফোরণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ২০১৪ সালের মার্চে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার হয় ওয়াকাস এবং তেহসিন। তেহসিন বিহারের বাসিন্দা। তার পরে পুণের আইজাজও ধরা পড়ে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। সেই সময় পাঁচজনকেই এনআইএ আদালত ফাঁসির সাজা দিয়েছিল। ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিল বিস্ফোরণের ঘটনায় ষষ্ঠ অভিযুক্ত রিয়াজ ভাটকল। তেলঙ্গানা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, পোক্ত প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে রায় দিয়েছিল নিম্ন আদালত। দোষীরা যা করেছে তা বিরলের মধ্যে বিরলতম। তাই এনআইএ আদালতের রায়েই বহাল রাখল তেলঙ্গানা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টের রায়দানের আগে গোটা কোর্ট চত্বরদের ছিল কড়া নিরাপত্তা। হায়দরাবাদেও মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পুলিশ বাহিনী। যদিও এখনও সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হতে পারবে ওই পাঁচ জন।

    জয়পুর বিস্ফোরণকাণ্ড

    অন্যদিকে, ২০০৮ সালের জয়পুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে (Jaipur blast) ৪ দোষীর আজীবন কারাবাসের সাজা শোনাল জয়পুরের বিশেষ আদালত। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, সরওয়ার আজমি, শাহবাজ হুসেন, সাইফুর রহমান এবং মহম্মদ সইফকে ‘ভারতীয় ন্যায়সংহিতা’ এবং ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’র বিভিন্ন ধারা, বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন এবং বিস্ফোরক আইনে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। জয়পুর বিস্ফোরণকাণ্ডের ১৭ বছর পর চাঁদপোল বাজারে বোমা রাখা সংক্রান্ত ওই মামলায় চার অভিযুক্তেরই সাজা হল আদালতে। গত ৪ এপ্রিল বিচারক রমেশ যোশি চার অভিযুক্তকেই দোষী সাব্যস্ত করেন। ২০০৮ সালের এই বিস্ফোরণে প্রাণ যায় ৭১ জনের। জখম হন ১৮৫ জন। ১৭ বছর পর এই মামলার শুনানি চলছে।

    দফায় দফায় বিস্ফোরণে আতঙ্ক

    ১৩ মে ২০০৮। রাজস্থানের জয়পুরে (Jaipur blast) সন্ধে ৭টা ২০ মিনিট থেকে ৭টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণ হয়। জয়পুরের ত্রিপোলিয়া বাজার, মানস চক, হনুমান মন্দির, চটি চৌপল জেহেরি বাজার-সহ আটটি জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছিল। দফায় দফায় বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়ায় গোটা জয়পুরে। চাঁদপোল বাজারের কাছে একটি বোমা পাওয়া যায়। তা নিষ্ক্রিয় করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বিস্ফোরণে বাইসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছিল। তাতেই বোমা রাখা ছিল। এদিকে এই গোটা বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে নেয় ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন। এটিএস-কে তদন্তভার দেওয়া হয়। তদন্ত থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালে ১২ জন সন্ত্রাসবাদী বোমা নিয়ে বাসে করে দিল্লি থেকে জয়পুরে আসে। সেখানে ৯টি সাইকেল বোমা ফিট করা হয়। তারপর তা আলাদা আলাদা জায়গায় রাখা হয়। এরপর শতাব্দী এক্সপ্রেসে করে সন্ত্রাসবাদীরা দিল্লি ফিরে আসে। তাদের পরিকল্পনা মতো ৮টি বোমা ফাটলেও নবম বোমাটি ফাটেনি। সেটিকেই উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করেছিল জয়পুর পুলিশের ‘বম্ব স্কোয়াড’।

  • Amit Shah: “সন্ত্রাসবাদ শেকড় গাড়ার আগেই নির্মূল করা হবে,” বললেন শাহ

    Amit Shah: “সন্ত্রাসবাদ শেকড় গাড়ার আগেই নির্মূল করা হবে,” বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্ত্রাসবাদ (Terrorism) শেকড় গাড়ার আগেই নির্মূল করা হবে।” শুক্রবার রাজ্যসভায় এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন তিনি পাঞ্জাবে উগ্রপন্থী অমৃতপাল সিংয়ের বিরুদ্ধে তাঁর মন্ত্রক কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন। সাফ জানিয়ে দেন, তাঁরা দেশে সন্ত্রাসবাদকে বিকশিত হতে দেবেন না।

    শাহ উবাচ (Amit Shah)

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা কোনও রাজনৈতিক আদর্শ দ্বারা চালিত সন্ত্রাসবাদকে দেশে বিকশিত হতে দেব না। এটি শেকড় গাড়ার আগেই নির্মূল করা হবে।” তিনি বলেন, “পাঞ্জাবের বিচ্ছিন্নতাবাদী জার্নাল সিং ভিন্দ্রাওয়ালের পথ অনুসরণ করার চেষ্টা করছেন যাঁরা, তাঁরা এখন অসমের জেলে রয়েছেন।” প্রসঙ্গত, অমৃতপাল সিং ও তাঁর সহযোগীরা গত দু’বছর ধরে এনএসএ-র অধীনে অসমের ডিব্রুগড় জেলে বন্দি রয়েছেন। তিনি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেছিলেন। খাদুর সাহিব আসন থেকে জয়লাভও করেছিলেন।

    পূর্বতন বিভিন্ন সরকারের সমালোচনা

    এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তদন্ত চালানোর পর ২০২৩ সালের ২৩ এপ্রিল মোগার রোডে গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় অমৃতপালকে। তার পর থেকে তিনি রয়েছেন গারদে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ভারত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে নিরাপদ।” সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথাও এদিন তুলে ধরেন শাহ। তিনি বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ, বামপন্থী চরমপন্থা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহ ভারতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে একটি। এগুলি চার দশকে ৯২ হাজার নাগরিকের জীবন কেড়ে নিয়েছে।” শাহ (Amit Shah) বলেন, “সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করতে এবং সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সরকারের প্রয়োজন সাহস ও দৃঢ় রাজনৈতিক ইচ্ছা থাকা।” জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি পূর্বতন বিভিন্ন সরকারের কঠোর সমালোচনাও করেন।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এক সময় ছিল যখন বোমা বিস্ফোরণ নিয়মিত ঘটনা ছিল। আমি দেশের মানুষকে বলতে চাই, গত ১০ বছরে, এমন বোমা বিস্ফোরণ বন্ধ হয়েছে। এখন কেউ আর বিস্ফোরণ ঘটানোর সাহস পায় না। নরেন্দ্র মোদীর অধীনে দেশ নিরাপদ। আমরা সন্ত্রাসবাদকে উৎখাত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”  তিনি (Amit Shah) বলেন, “মোদিজির দৃঢ় রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি এবং শক্তিশালী ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশ এখন নিরাপদ। দেশের নিরাপত্তা নিয়ে বিরোধী দলগুলির চিন্তিত হওয়ার দরকার নেই। আমরা আপনাদের (বিরোধী দল) এবং দেশকে নিরাপদ রাখব (Terrorism)।”

LinkedIn
Share