Tag: terrorist attack

terrorist attack

  • Ansarullah Bangla Team: রাজ্যের তিন পর্যটনকেন্দ্রে হামলার ছক বাংলাদেশি জঙ্গিদের, সতর্ক করে অসম পুলিশ

    Ansarullah Bangla Team: রাজ্যের তিন পর্যটনকেন্দ্রে হামলার ছক বাংলাদেশি জঙ্গিদের, সতর্ক করে অসম পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের গোড়াতেই পশ্চিমবঙ্গের তিনটি পর্যটন কেন্দ্রে হামলার ছক কষে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (Ansarullah Bangla Team)। এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) পুলিশকে সতর্ক করে অসম পুলিশ। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ এবং মালদার তিনটি পর্যটন কেন্দ্রে হামলার ছক কষেছিল বাংলাদেশি জঙ্গিগোষ্ঠী আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (সংক্ষেপে এবিটি)। জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য সাজিবুল ইসলামকে জেরা করে এমনটাই জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে কীভাবে হামলার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গিরা, তাও জানতে পেরেছে পুলিশ। হামলার দায়িত্ব কোন কোন জঙ্গিকে দেওয়া হয়েছিল, তা-ও জানা গিয়েছে। অসম পুলিশের হেফাজতে থাকা ধৃত সাজিবুল স্বীকার করেছে হামলার পরিকল্পনার কথা।

    হামলার ছক (Ansarullah Bangla Team) হাজারদুয়ারিতে

    অসম পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (এসটিএফ) জানিয়েছে, মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি এবং আরও একটি পর্যটনকেন্দ্রে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল আনসারুল্লাহের। একইসঙ্গে মালদার একটি পর্যটন কেন্দ্রেও হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল! অসম পুলিশের জেরায় ধৃত জঙ্গি জানিয়েছে, গত অক্টোবরে বাংলাদেশের ভারত লাগোয়া একটি সীমান্তবর্তী গ্রামে আনসারুল্লাহ বাংলা দলের প্রধান জসিমউদ্দিন রহমানির সঙ্গে এনিয়ে বৈঠক করেছিল শাব। প্রসঙ্গত, জঙ্গি শাবকে দিন কয়েক আগে গ্রেফতার করে পুলিশ। অসম পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, বাংলাদেশের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিল আব্বাস আলি ও সাজিবুল। সেখানেই হামলার দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছিল।

    কোন জঙ্গি কোন দায়িত্বে (Ansarullah Bangla Team)

    অসম পুলিশের জেরায় সাজিবুল জানিয়েছে, মহিলাদের মধ্যে আনসারুল্লাহ বাংলা দলের প্রভাব বিস্তার করার দায়িত্ব ছিল তার উপর। এ ছাড়াও, উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে ফান্ডিং-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সাজিবুলকে। আইএস জঙ্গিদের কাছ থেকে অস্ত্র প্রশিক্ষণের পরিকল্পনাও করে আনসারউল্লাহ বাংলা টিম, এমন আত্মঘাতী মডিউলের সদস্যদের বাছাইয়ের দায়িত্ব ছিল আব্বাসের ওপর। জানা গিয়েছে, ধর্মীয় শিক্ষার আড়ালে মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকার কিশোরদের মগজধোলাই করার দায়িত্ব দেওয়া হয় মণিরুল শেখকে। মুস্তাকিনের কাঁধে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সংগঠন বিস্তারের। অসম পুলিশের এসটিএফের সদস্য প্রধান মহন্তের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলাকে ভিত্তি করে আনসারুল্লাহ বাংলা দল সারা দেশে জাল তৈরি করছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • USA: নববর্ষে রক্তাক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ট্রাক চালিয়ে জঙ্গি পিষল ১৫ জনকে, মিলল আইসিস পতাকা

    USA: নববর্ষে রক্তাক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ট্রাক চালিয়ে জঙ্গি পিষল ১৫ জনকে, মিলল আইসিস পতাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইংরেজি নতুন বছরের শুরুতেই জঙ্গি হানায় রক্তাক্ত হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। সে দেশের নিউ অরলেন্সে নববর্ষ পালন করছিলেন নাগরিকরা, সেই ভিড়ের মধ্যে ট্রাক চালিয়ে ১৫ জনকে হত্যা করল শামসুদ্দিন জব্বর নামের এক জঙ্গি। পরে ট্রাক থামিয়ে গুলি চালাতে থাকে এই সন্ত্রাসী। এর পর ৪২ বছরের এই জঙ্গি পুলিশ এনকাউন্টারে (Terrorist Attack) খতম হয়। শামসুদ্দিনের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে আইসিসের পতাকা। জানা গিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (USA) জন্ম হওয়া এই জঙ্গি সেদেশের সেনাকর্মী হিসেবেও দীর্ঘদিন কাজ করেছে। ২০০৭ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত সে সেনাবাহিনীর নিয়মিত সদস্য ছিল বলে জানা গিয়েছে। ২০১৫ থেকে ২০২০ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য হিসেবে কাজ করে শামসুদ্দিন। হামলার নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

    বর্তমানে টেক্সাসের হিউস্টনে (USA) রিয়েল এস্টেট এজেন্ট হিসেবে কাজ করছিল শামসুদ্দিন 

    নববর্ষের ভোররাতে নিউ অরলিন্সের জনগণ বর্ষবরণের আনন্দ উৎসব পালন করছিলেন এমনই সময় সেই ভিড়ের মধ্যে দিয়ে ট্রাক চালিয়ে দেয় শামসুদ্দিন। এফবিআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মার্কিন সেনায় আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে এক সময় কাজ করেছিল শামসুদ্দিন। আর বর্তমানে টেক্সাসের হিউস্টনে (USA) রিয়েল এস্টেট এজেন্ট হিসেবে কাজ করছিল সে। জানা গিয়েছে, এর আগে শামসুদ্দিন জব্বরের বিরুদ্ধে দু’টি ছোটখাটো অপরাধের অভিযোগ ছিল। ২০০২ সালে চুরি এবং ২০০৫ সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালানোর অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। তার ব্যক্তিগত জীবনের নানা কাহিনীও উঠে এসেছে।

    এফবিআইয়ের ওপর সম্পূর্ণ তদন্তভার 

    জব্বর দু’বার বিয়ে করেছিল বলে জানা গিয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে ২০২২ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় শামসুদ্দিন জব্বরের। এফবিআই এখনও শামসুদ্দিন জব্বরের অতীত জানার চেষ্টা করছে বলে জানা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে সে কোথায় কোথায় গিয়েছিল, তাও জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। এই ঘটনার তদন্তভার সম্পূর্ণভাবে এফবিআইয়ের হাতেই দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। শামসুদ্দিন অন্য কোনও দেশ থেকে সম্প্রতি আমেরিকায় ফিরেছিল কি না, সেটাও জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। আইসিস-এর সঙ্গে তার যোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Terrorist Attack: ভূস্বর্গে দুই ডিফেন্স গার্ডকে অপহরণ করে খুন, সেনার হামলায় নিকেশ দুই জঙ্গি

    Terrorist Attack: ভূস্বর্গে দুই ডিফেন্স গার্ডকে অপহরণ করে খুন, সেনার হামলায় নিকেশ দুই জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্ত ঝরল জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir)। গত ৯ দিনের মধ্যে পর পর দুবার জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটল। আর এবার জঙ্গিদের (Terrorist Attack) হামলায় জম্মু-কাশ্মীরের কিস্তেওয়ার থেকে দুই ভিলেজ ডিফেন্স গার্ডকে অপহরণ করা হয়। পরে তাদের হত্যাও করে জঙ্গিরা। পরিযায়ী শ্রমিকদের পর এবার নিশানায় নিরাপত্তা বাহিনী। এই ঘটনায় চরম আতঙ্ক তৈরি হয়েছে উপত্যকায়।

    চোখ বাঁধা অবস্থায় রক্তাক্ত মৃতদেহের ছবি পোস্ট (Terrorist Attack)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাজির আহমেদ ও কুলদীপ কুমার নামক দুই নিরাপত্তারক্ষীকে মুঞ্জলা ধর জঙ্গল থেকে অপহরণ করে জঙ্গিরা। তারা গরু চড়াতে গিয়েছিল। সেখান থেকে তাদের অপহরণ করে খুন করে জঙ্গিরা (Terrorist Attack)। সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা বাড়ি না ফেরায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়। জইশ-ই-মহম্মদের শাখা কাশ্মীর টাইগারস এই হত্যার দায় স্বীকার করে নিয়েছে। চোখ বাঁধা অবস্থায় রক্তাক্ত মৃতদেহের ছবিও পোস্ট করেছে তারা। এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। এই এলাকাটিতে গত কয়েক মাস ধরে জঙ্গি-হামলা হয়েই চলেছে। একজন সিনিয়র অফিসার বলেছেন, সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনের সময় অন্তত দুবার এলাকায় জঙ্গি ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময় হয়েছে। দিন কয়েক আগেই শ্রীনগরের বাজারে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ওই ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছিলেন। ২৯ শে অক্টোবর, সেনাবাহিনী জম্মু জেলার বাটাল এলাকায় একটি অ্যাম্বুল্যান্সে হামলাকারী তিন জঙ্গিকে হত্যা করে।

    আরও পড়ুন: ৯৭ বছরে পা দিলেন লালকৃষ্ণ আডবানি, জন্মদিনে বর্ষীয়ান নেতাকে শুভেচ্ছা মোদি-শাহের

    যৌথ অভিযানে দুই জঙ্গি নিকেশ

    ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানের অধীনে সন্ত্রাসবাদী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পর শুক্রবার বারামুল্লা জেলার সোপোর এলাকায় দুই জঙ্গি (Terrorist Attack) নিহত হয়েছে। কাশ্মীর জোন পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, বারামুল্লার সোপোর এলাকার পানিপোরায় জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কিত একটি নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা একটি যৌথ সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু হয়েছিল। তল্লাশি চালানোর সময় গুলি বিনিময় হয়। তাতে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে। সনাক্তকরণ এবং সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করা হচ্ছে। অপরাধমূলক উপকরণ, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও বিশদ বিবরণ অনুসরণ করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০ অক্টোবর গান্দেরবাল জেলার শ্রীনগর-লেহ জাতীয় সড়কে একটি টানেল নির্মাণের জায়গায় জঙ্গিরা হামলা চালালে একজন ডাক্তার এবং ছয়জন নির্মাণ শ্রমিক নিহত হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: আখনুরে সেনা কনভয়ে হামলায় ব্যবহৃত স্টিল-বুলেট, পাল্টা অভিযানে খতম তিন জঙ্গি

    Jammu Kashmir: আখনুরে সেনা কনভয়ে হামলায় ব্যবহৃত স্টিল-বুলেট, পাল্টা অভিযানে খতম তিন জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সীমান্তঘেঁষা আখনুর সেক্টরে ভারতীয় সেনার কনভয়ে জঙ্গি হামলার (Akhnoor Terror Attack) ঘটনার পর জওয়ানদের প্রত্যাঘাতে তিন হামলাকারী খতম হয়েছে। এখনও তল্লাশি-অভিযান চলছে। সেনা অভিযানে বেশ কিছু অস্ত্র এবং গোলা-বারুদ উদ্ধার হয়েছে বলেও খবর। এখানেই দেখা যায়, হামলায় সেনার সাঁজোয়া গাড়ি ভেদ করতে সক্ষম এমন আধুনিক স্টিলের গুলি ব্যবহার করেছিল জঙ্গিরা। এই অভিযানে বীর বিক্রমে লড়াই করে শহিদ হয়েছে সেনা-সারমেয় ফ্যান্টম।

    বানচাল জঙ্গিদের ছক

    সেনার তরফে জানানো হয়, সোমবার সকাল ৭টা নাগাদ এই জঙ্গি হানার ঘটনা ঘটে। বালতাল এলাকায় তিন জন জঙ্গি আচমকাই সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। স্থানীয়দের দাবি, হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল তিন জন। সেনাবাহিনীর কনভয়ে ছিল একটি অ্যাম্বুল্যান্স, যার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এর পরেই জঙ্গিদের ধরতে পাল্টা অভিযান শুরু করে সেনা। দ্রুত গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেন জওয়ানরা। জঙ্গিদের খোঁজে জঙ্গলেও তল্লাশি চালানো হয়। জঙ্গিদের অবস্থান বুঝতে জঙ্গলে যায় সেনার ‘কে-৯’ ব্রিগেডের সদস্য ফ্যান্টম। তাকে দেখেই গুলি চালাতে শুরু করে আত্মগোপন করে থাকা জঙ্গিরা। গুলি এসে লাগে ফ্যান্টমের। কিন্তু, ততক্ষণে জঙ্গিদের অবস্থান সম্পর্কে জেনে যায় বাহিনী। শহিদ হয় ফ্যান্টম। গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় সেনা সারমেয় ফ্যান্টম। এর পর শুরু হয় জঙ্গি-বাহিনীর গুলির লড়াই। প্রায় ২৪-ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পর খবর মেলে যে তিন জঙ্গিই বাহিনীর অভিযানে খতম হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী এলাকা থেকে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ বাজেয়াপ্ত করেছে।

    দীপাবলি উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তা

    দীপাবলি উৎসব উপলক্ষে নিরাপত্তা বাহিনী জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) নিরাপত্তার কড়াকড়ি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তারই মধ্যে ঘটে গেল এই হামলার ঘটনা। জঙ্গিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত গোলা-বারুদের মধ্যে বেশ কিছু ছিল অত্যাধুনিক। সহজেই সেনার সাঁজোয়া গাড়ি ভেদ করতে সক্ষম এরকম স্টিলের বুলেট ব্যবহার করেছিল জঙ্গিরা। মঙ্গলবার সকালে সেনার তরফে জানানো হয়, সোমবার সারাদিন তল্লাশি অভিযান চলে আখনুরে। অবশেষে তিন জঙ্গি নিহত হয়।

    আরও পড়ুন: বদলে গেল সময়, ২০২৫-এর একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু কখন?

    গত কয়েক দিন ধরেই জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) বার বার জঙ্গি হামলার ঘটনা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যটন কেন্দ্র গুলমার্গ থেকে কিছু দূরে সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। নিহত হন দুই জওয়ান এবং সেনাবাহিনীর দুই মালবাহক। আরও এক মালবাহক এবং জওয়ান ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন। জঙ্গিদের ধরতে ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে সেনা। এর আগে ২০ অক্টোবর গান্ডেরবাল জেলার শ্রীনগর-লেহ্ জাতীয় সড়কে একটি নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের কাছে জঙ্গি-হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ছয় নির্মাণ শ্রমিকের। তাঁরা সকলেই ভিন্‌রাজ্যের বাসিন্দা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Terrorist Attack: গুলমার্গের পর আখনুর, জম্মু-কাশ্মীরে ফের সেনার গাড়ির ওপর হামলা জঙ্গিদের

    Terrorist Attack: গুলমার্গের পর আখনুর, জম্মু-কাশ্মীরে ফের সেনার গাড়ির ওপর হামলা জঙ্গিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উপত্যকায় জঙ্গি হামলা (Terrorist Attack)। সোমবার সাত সকালে সেনাবাহিনীর গাড়ির (Army Vehicle) ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। জম্মু কাশ্মীরের আখনুর সেক্টরের বাতাল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এরপরে পাল্টা গুলি চালাতেই পিছু হঠে জঙ্গিরা। সংঘর্ষে কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। এরপরেই গোটা এলাকা ঘিরে ধরে শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, এখনও চলছে এই অভিযান। প্রসঙ্গত, দুদিন পরেই দীপাবলি, তার আগে এমন জঙ্গি হামলা উদ্বেগ বাড়িয়েছে উপত্যকায়।

    সম্প্রতি জঙ্গিদের গুলিতে (Terrorist Attack) ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে 

    জঙ্গিদের গুলিতে ২ জওয়ান সহ মোট ১২ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে সম্প্রতি। এর আগে গত ২৪ অক্টোবর বারামুল্লার গুলমার্গে একই কায়দায় সেনাবাহিনীর গাড়িতে (Terrorist Attack) হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। সে সময় সংঘর্ষে প্রাণ হারান দুইজন জওয়ান। তার আগে গত ২০ অক্টোবর সোনমার্গে হামলা চলে শ্রমিকদের ওপরে। সেই সময় ৬ জন শ্রমিক ও এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয় জঙ্গিদের গুলিতে।

    চলছে লাগাতার তল্লাশি (Terrorist Attack) 

    জঙ্গি হামলা বেড়ে যাওয়ার পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় জোরকদমে তল্লাশি শুরু করে (Army Vehicle) সেনাবাহিনী। তল্লাশি অভিযানে নামে পুলিশের ‘কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স উইং’। শ্রীনগর, গান্ডেরবাল, কুলগাম, বদগাম, অনন্তনাগ এবং পুলওয়ামায় শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। জানা গিয়েছে, লাগাতার তল্লাশি চালিয়ে বুধবারই পুঞ্চে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তইবা (এলইটি)-র একটি শাখা সংগঠনের ঘাঁটি ধ্বংস করেছে সেনাবাহিনী। তবে তার পরও একের পর এক জঙ্গি হামলার ঘটনা উদ্বেগ বৃদ্ধি করছে প্রশাসনের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Terrorist attack: নাশকতার ছক বানচাল! রাজৌরিতে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে আহত ১ জওয়ান

    Terrorist attack: নাশকতার ছক বানচাল! রাজৌরিতে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে আহত ১ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝরল রক্ত। ফের অশান্ত জম্মু-কাশ্মীর (Jammu-Kashmir)। সোমবার সাতসকালে রাজৌরির সেনাঘাঁটিতে বড়সড় জঙ্গিহানার (Terrorist attack) খবর মিলল। ঘটনার পরে ইতিমধ্যেই গোটা এলাকায় নেমেছে সেনা, চলছে তল্লাশি অভিযান। নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে খবর, পাকিস্তান থেকে জঙ্গিরা এ দেশে ঢুকে কাশ্মীরে গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে। তাদের খুঁজে বার করতে জম্মুতে মোতায়েন করা হয়েছে প্যারা স্পেশ্যাল ফোর্সের ৫০০ জন কমান্ডোকে। শুধু তাই নয়, উপত্যকায় বাহিনী পুনর্বিন্যাসের কথাও ভাবছে নিরাপত্তা বাহিনী।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Terrorist attack) 

    নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে খবর, সোমবার ভোরে প্রচুর পরিমাণে গোলাবারুদ নিয়ে একদল জঙ্গি জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরির সেনাছাউনিতে অতর্কিতে হামলা চালায়। ভোর চারটে নাগাদ প্রথমে গুলি চালানো শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা গুলি চালান জওয়ানেরাও। প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে গুলির লড়াই। জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে এক জওয়ান জখম হয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে পেরে না উঠে পিছু হটতে বাধ্য হয় জঙ্গিরা। বানচাল হয় জঙ্গি নাশকতার ছক। এ প্রসঙ্গে সেনা মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুনীল বার্টওয়াল বলেন, ”রাজৌরির একটি দূর প্রান্তের গ্রামের সেনা ঘাঁটিতে বড়সড় হামলা চালিয়েছে সেনারা। জঙ্গিদের ধরতে অপারেশন চলছে।”
    প্রসঙ্গত, শনিবারই সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী জম্মুতে গিয়েছিলেন। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা ও অন্যান্য আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আলোচনা করেছেন উপত্যকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। সেই বৈঠকের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের সেনা ছাউনিতে হামলা (Terrorist attack) চালাল জঙ্গিরা।

    আরও পড়ুন: ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারে ১০ লাখ ডলার দেবে ভারত! ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

    একের পর এক জঙ্গি হামলা 

    এটাই প্রথম নয়, এর আগেও গত কয়েক বছরে একের পর এক জঙ্গি হামলার (Terrorist attack) খবর মিলেছে জম্মু-কাশ্মীরে। সপ্তাহ দুয়েক আগে রাজৌরি জেলার মাঞ্জাকোটে সেনা ক্যাম্পের কাছে গুলি চালানোর খবর এসেছিল। সে সময় জঙ্গিরা মাঞ্জাকোটের ওই সেনা ক্যাম্পে রাতের অন্ধকারে হামলা চালানোর ছক কষে। সেনার সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষে আহত হয় এক জওয়ান। এর দিন ছয়েক আগে ডোডা জেলাতেও নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষ চলে। প্রাণ হারান একজন ভারতীয় সেনা অফিসার সহ চারজন নিরাপত্তারক্ষী। ফলে সব মিলিয়ে জম্মু এলাকায় ৩২ মাসে ৪৮ জন সেনা শহিদ হয়েছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kashmir Terrorism: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ! কাশ্মীরি পণ্ডিতের পর সোপিয়ানে জঙ্গি হামলায় নিহত ২ পরিযায়ী শ্রমিক

    Kashmir Terrorism: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ! কাশ্মীরি পণ্ডিতের পর সোপিয়ানে জঙ্গি হামলায় নিহত ২ পরিযায়ী শ্রমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরি পণ্ডিতের মৃত্যুর দুদিন পরেই ফের রক্তাক্ত উপত্যকা। দু’দিন আগেই জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল এক কাশ্মীরি পণ্ডিতের। এবার ফের রক্ত ঝড়ল ভূস্বর্গে। এবার জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সোপিয়ান (Shopian) জেলার হারমেন এলাকায় ফের গ্রেনেড হামলা (grenade attack) চালায় জঙ্গিরা। আর এতে প্রাণ হারালেন উত্তরপ্রদেশের দুই শ্রমিক। তাঁদের নাম মনীশ কুমার ও রাম সাগর। তাঁদের দুজনেরই বাড়ি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কনৌজ (Kanooj) জেলায়।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে সোপিয়ান জেলার হারমেন (Harmen) এলাকায় একটি টিনের শেডের তলায় শুয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের দুই শ্রমিক। আচমকা সেসময় তাঁদের উপর গ্রেনেড ছোঁড়ে অভিযুক্ত জঙ্গি। এর জেরে গুরুতর জখম হন মনীশ কুমার (Manish Kumar) ও রাম সাগর (Ram Sagar)। পরে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় ২ জনের।

    আরও পড়ুন: ফের কাশ্মীরি পন্ডিতের রক্তে ভিজল উপত্যকা

    কাশ্মীরের জোন পুলিশ মঙ্গলবার ট্যুইটে জানিয়েছে, ‘সন্ত্রাসবাদীরা সোপিয়ানের হারমেন এলাকায় গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। সেই হামলায় উত্তর প্রদেশের দুই শ্রমিক মণীশ কুমার ও রাম সাগর জখম হয়েছে। উভয়েই উত্তর প্রদেশের কনৌজের বাসিন্দা। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁদের মৃত্যু হয়। এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে।’ তাঁরা ট্যুইটে আরও জানিয়েছেন, অভিযুক্ত সন্ত্রাসবাদীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ট্যুইটে লিখেছেন, সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এলইটি-র হাইব্রিড জঙ্গি হারমেনের ইমরান বশির গনি যে গ্রেনেড হামলার জন্য দায়ী তাকে গ্রেফতার করেছে সোপিয়ান পুলিশ। তদন্ত ও অভিযান জারি রয়েছে। ফলে পুলিশরা অনুমান করেছে যে, এই হামলার পিছনে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা-র হাত রয়েছে।

    প্রসঙ্গত, জঙ্গি নিশানায় রয়েছে কাশ্মীরি (Kashmir Terrorism) পণ্ডিত ও পরিযায়ী শ্রমিক। তার প্রমাণ অনেক দিন থেকেই লক্ষ্য করা হয়েছে। কারণ গত কয়েক মাসে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন একাধিক শ্রমিক ও কাশ্মীরি পণ্ডিত। গত ১৬ অক্টোবরেই জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন কাশ্মীরি পণ্ডিত পূরণ কৃষ্ণন ভাট। তিনি দক্ষিণ কাশ্মীর জেলার চৌধুরী গুন্ড এলাকার বাসিন্দা। এই ঘটনার পরেই উপত্যকায় প্রতিবাদে নেমেছেন কাশ্মীরা পণ্ডিতরা। পুনর্বাসনের দাবিতে ফের গর্জে উঠেছেন তাঁরা। গোটা এলাকায় মোতায়েন কড়া নিরাপত্তা। অভিযুক্ত জঙ্গিদের সন্ধানে চলছে তল্লাশি। আর তারই মধ্যে এমন ঘটনা।

  • Terrorist Attack: কাশ্মীরে পুলিশ আধিকারিকের ওপর জঙ্গি হামলা, শুরু তল্লাশি

    Terrorist Attack: কাশ্মীরে পুলিশ আধিকারিকের ওপর জঙ্গি হামলা, শুরু তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরলে প্রার্থনা সভায় বিস্ফোরণের ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই জঙ্গি হামলা (Terrorist Attack) কাশ্মীরের শ্রীনগরের ইদগাহ এলাকায়। জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে জখম হয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক। রবিবার বিকেলের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভূস্বর্গে। যদিও কোনও জঙ্গি সংগঠনের তরফে এই ঘটনার দায় স্বীকার করা হয়নি।

    জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি

    এদিন ইদগাহ এলাকায় প্রহরায় ছিলেন ইনসপেক্টর মাসরুর আহমেদ। আচমকাই কয়েকজন জঙ্গি তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জঙ্গিরা পুলিশের পিস্তল ব্যবহার করেছিল। ওই পুলিশ আধিকারিককে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

    পুলিশের পিস্তল থেকে গুলি

    এক্স হ্যান্ডেলে কাশ্মীর (Terrorist Attack) জোন পুলিশের তরফে ট্যুইট-বার্তায় লেখা হয়েছে, “শ্রীনগরের ইদগাহ এলাকায় জঙ্গিরা গুলি চালায় ইনসপেক্টর মাসরুর আহমেদের ওপর। তাঁকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, জঙ্গিরা পুলিশের পিস্তল থেকে গুলি ছুড়েছিল। এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে, দায়ের হয়েছে অভিযোগ।” হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই পুলিশ আধিকারিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    দিন তিনেক আগে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে হামলা চালায় পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার রাতে আরএস পুরা সেক্টরের আর্নিয়া এলাকায় বিএসএফের ঘাঁটি লক্ষ্য করে অতর্কিতে গোলা বর্ষণ শুরু করে পাক রেঞ্জার্সরা। জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। শুক্রবার ভোররাত পর্যন্ত গুলির লড়াই চলে দু’ পক্ষে। এই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই পুলিশ আধিকারিককে লক্ষ্য করে জঙ্গিদের গুলি চালানোর ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে ভূস্বর্গে।

    বুধবারই জম্মু-কাশ্মীরের শীর্ষ আধিকারিক ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলির বৈঠক হয়েছে শ্রীনগরের ১৫ কর্পস হেডকোয়ার্টারে। এই বৈঠকে কাশ্মীরে বিদেশি জঙ্গিদের (Terrorist Attack) ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: “ছত্তিশগড়ে গ্রহণ চলছে, বিজেপিকে ক্ষমতায় আনুন”, রায়পুরের সভায় আবেদন নাড্ডার

    প্রসঙ্গত, চলতি বছর উপত্যকায় ৪৬ জন জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। এর মধ্যে পাকিস্তানি জঙ্গি রয়েছে ৩৭ জন। স্থানীয় জঙ্গি রয়েছে ৯ জন। জানা গিয়েছে, গত ৩৩ বছরে এই প্রথম স্থানীয় জঙ্গির চারগুণ বেশি বিদেশি জঙ্গি খতম হয়েছে ভূস্বর্গে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, বর্তমানে উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ চালাচ্ছে ১৩০ জন সন্ত্রাসী। এর অর্ধেকই বিদেশি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Jammu and Kashmir: উরি সেক্টরে পাক ড্রোন হামলা, রুখল সেনা! কাশ্মীরে জি২০ সম্মেলনে  বাড়ল নিরাপত্তা

    Jammu and Kashmir: উরি সেক্টরে পাক ড্রোন হামলা, রুখল সেনা! কাশ্মীরে জি২০ সম্মেলনে বাড়ল নিরাপত্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখল ভারতীয় সেনা। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) উরি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা হয়ে এদেশে ঢোকার চেষ্টা করছিল জঙ্গিরা। কিন্তু, বারামুল্লা জেলায় মোতায়েন বাহিনী তাদের সেই চেষ্টা রুখে দেয়। শুক্রবার গভীর রাতে বারামুল্লা জেলার উরি সেক্টরে (Uri sector) নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টা করছিল পাক (Pakistan) জঙ্গিরা।

    ড্রোন হামলার চেষ্টা

    সেনা সূত্রে খবর, জঙ্গিদের ঠেকাতে প্রবল গুলির লড়াই হয় বলে জানা গিয়েছে। গুলির লড়াইয়ের পরে আচমকাই আকাশে উড়ে আসে একটি পাক ড্রোন। সেই ড্রোনের উদ্দেশে গুলি চালায় ভারতীয় সেনা। গুলিবর্ষণের ধাক্কায় ফিরে যায় ড্রোনটি। সাম্প্রতিককালে পাঞ্জাব, জম্মু-সহ একাধিক পাক সীমান্ত (Pakistan Border) দিয়ে একের পর এক ড্রোন হামলা (Drone Attack) হয়েছে ভারতীয় ভূখণ্ডে। বহু ক্ষেত্রে সেইসব ড্রোনগুলিকে গুলি করে নামিয়েছে সেনা। ড্রোনের মাধ্যমে টাকা ও অস্ত্র ছড়িয়ে জঙ্গিদের হামলার রসদ জোগানোর চেষ্টা করার অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।

    শ্রীনগরে জি২০ সম্মেলন

    আগামী ২২ থেকে ২৪ মে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) শ্রীনগরে বসবে জি২০ সম্মেলনের পর্যটন সংক্রান্ত বৈঠক। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, জি ২০ সম্মেলনের বৈঠক ঘিরে জম্মু ও কাশ্মীরে হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা। শ্রীনগরেও জঙ্গিরা হামলা চালাতে পারে বলে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে গোয়েন্দাদের তরফে। সে জন্য ইতিমধ্যেই শ্রীনগরে নিরাপত্তা কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে। ওই বৈঠকের সময় সেই নিরাপত্তা আরও কয়েক গুণ বাড়ানো হবে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: জামিন পেয়ে ইমরান ফিরলেন লাহোর, পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা জারির পথে শেহবাজ?

    বাড়ানো হল নিরাপত্তা

    কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) এই বৈঠকের বিরোধিতা করেছে পাকিস্তান ও চিন। জি২০ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিকে চিঠি লিখে ওই বৈঠক বয়কটের ডাক দিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু চিন, পাকিস্তানের আপত্তি উড়িয়ে কাশ্মীরে জি২০ সম্মেলনের পর্যটন বৈঠকের সূচি ঘোষণা করেছে ভারত। তারপর থেকেই ক্রমাগত জঙ্গি হামলা চলছে কাশ্মীরে। সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টাও করছে জঙ্গিরা। সীমান্ত পার থেকে পাঠানো হচ্ছে অস্ত্র। গোয়েন্দা সূত্রে জানানো হয়েছে, শ্রীনগরে হামলা চালানোর উদ্দেশে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ঢোকার চেষ্টা চালাবে লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গিরা। পুঞ্চ ও রাজৌরি সেক্টর দিয়ে জঙ্গিরা কাশ্মীরে ঢোকার চেষ্টা করতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামনে এই পরিস্থিতি তুলে ধরতেই সেনা জওয়ান ও সরকারি ভবনে জঙ্গিরা হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • KCF: মোস্ট ওয়ান্টেড খালিস্তান জঙ্গী পরমজিৎ সিং পঞ্জর খুন

    KCF: মোস্ট ওয়ান্টেড খালিস্তান জঙ্গী পরমজিৎ সিং পঞ্জর খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার সকালে অজ্ঞাত পরিচিত বাইক আরোহী দুষ্কৃতিদের গুলিতে খুন হলেন খালিস্তানী জঙ্গী নেতা পরমজিৎ সিং (KCF)। লাহোরের কাছে জোহর শহরে থাকতেন তিনি। সকালে হাঁটতে গেলে আচমকাই রাস্তায় হাঁটার সময় খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে অজ্ঞাত পরিচয়ের দুষ্কৃতিরা। সেই সঙ্গে ঘটনা স্থলে মৃত্যু হয় তাঁর দেহরক্ষীর। কিন্তু কারা খুন করেছে এখনও স্পষ্ট হয়নি।  

    কে ছিলেন পরমজিৎ সিং?

    ১৯৮৯ সালে খালিস্তান কমাণ্ডো ফোর্সের (KCF) প্রধান লাভ সিং-এর আততায়ীদের গুলিতে মৃত্যু হয়। এই লাভ সিং ছিলেন পরমজিৎ এর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। লাভ সিং মারা গেলে পরমজিৎ সিং খালিস্তান কমাণ্ডো ফোর্সের (KCF) প্রধান দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেন। এরপর ১৯৯০ সাল থেকে পরমজিৎ পাকিস্তানে গিয়ে সেখান থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ পরিচালনা শুরু করেন।

    পরমজিৎ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ

    ভারত সরকারের কাছে পরমজিৎ (KCF) একজন ইউপিএ আইনের ধারায় প্রধান অভিযুক্ত জঙ্গী। প্রত্যক্ষভাবে পাকিস্তানে বসে জঙ্গী নাশকতা মূলক কাজকে পরিচালনা করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে চোরাকারবার, জালনোটের ব্যবসা, অস্ত্র জোগান, অস্ত্র চোরাচালান ইত্যাদির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ছিল। ভারতের পাঞ্জাবকে উত্তপ্ত করার নানা কৌশল তিনি করতেন বলে বিশেষ অভিযোগ রয়েছে। এককথায় ভারতের বিদেশ মন্ত্রক থেকে মোস্ট ওয়ান্টেড বলে স্বীকৃতি দিয়ে পলাতক ঘোষণা করা হয়েছে তাঁকে। পরমজিৎ ইউপিএ ধারায় প্রায় ২২ টি মামলায় অভিযুক্ত ছিল বলে জানা গেছে। তিনি পাকিস্তানে শিখ যুবকদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিতেন। যুবকদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালানের কর্মকে বিশেষ পরিণতি দিয়ে থাকতেন। এই লাহোর শহরেই ২০২০ সালে খালিস্তান লিবারেশন ফোর্স অন্যতম প্রধান নেতা হরমিত সিং কে (KLF) ঠিক একই কায়দায় অজ্ঞাত পরিচিত আততায়ীদের হাতে গুলি বিদ্ধ হয়ে নিহত হতে হয়েছিল।  

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share