Tag: terrorist attack

terrorist attack

  • Indian Army: রাজৌরিতে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই! নিহত ৫ জওয়ান, আহত ১

    Indian Army: রাজৌরিতে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই! নিহত ৫ জওয়ান, আহত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জঙ্গি হামলা জম্মু-কাশ্মীরে। জঙ্গিদের ছোড়া বোমার আঘাতে ৫ জন সেনা আধিকারিকের (Indian Army) মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত হয়েছেন ১ জন সেনা অফিসার, উধমপুরের সেনা হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।

    আরও পড়ুন: আজ বুদ্ধ পূর্ণিমা, বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণও! কোন কোন বিধি মেনে চলতে হবে?

    ঠিক কী ঘটনা?

    রাজৌরি সেক্টরের কান্দি জঙ্গলে জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে, গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে এদিন সকাল থেকেই জঙ্গি নিকেশ অভিযানে নামে ভারতীয় সেনা। জানা গেছে, জঙ্গিরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে হামলা চালায়। শুরু হয় দুইপক্ষের গুলির লড়াই। এমন সময়ে জঙ্গিদের দিক থেকে ছোড়া হয় বোমা, তাতেই প্রাণহানি ঘটে ২ সেনা আধিকারিকের। আহত হন ৪ জন, তাঁদের ভর্তি করানো হয় সেনা হাসপাতালে, সেখানে তাঁদের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়। প্রতিবেদন লেখার সময় অবধি কান্দি জঙ্গলে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই চলছে বলে খবর। সেখানে বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। সেনা সূত্রে খবর, সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজন জঙ্গিরও। সকালের ঘটনার পরেই রাজৌরি সেক্টরে বাড়ানো হয় সেনা সংখ্যা। ইদের প্রাক্কালে পুঞ্চে সেনা (Indian Army) ট্রাকে যে জঙ্গি গোষ্ঠী গ্রেনেড ছুড়েছিল, এদিন তারাই হামলা চালিয়েছে বলে অনুমান সেনার।

    আরও পড়ুুন: লাদেনের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন মোদিকে, ভারত সফরে এলেন সেই বিলাওয়াল

    সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ চলছেই 

    গত সপ্তাহেই সেনা (Indian Army) ট্রাকে হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জইশ জঙ্গিরা। তাঁরা পুঞ্চে ইদের ফল বিতরণ করতে যাচ্ছিলেন। ট্রাকে থাকা ৫ জওয়ান ঝলসে যান গ্রেনেড হামলায়। আবার চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার বারামুলার ওয়ানিগাম পায়েন ক্রিরি এলাকায় সেনা জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় দুই লস্কর জঙ্গির। নিহতদের নাম শাকির মাজিদ ও হানাম আহমেদ শেহ। তাদের থেকে AK-47 রাইফেল, পিস্তল ও বেশ কয়েক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। বুধবারও কুপওয়ারাতে ২ লস্কর জঙ্গিকে নিকেশ করে ভারতীয় সেনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Terrorist Attack: হামলা চালিয়েছিল সাত জঙ্গি! পুঞ্চে সেনার ট্রাকে হামলার নেপথ্যে লস্কর-ই-তৈবা?

    Terrorist Attack: হামলা চালিয়েছিল সাত জঙ্গি! পুঞ্চে সেনার ট্রাকে হামলার নেপথ্যে লস্কর-ই-তৈবা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) পুঞ্চে সেনাবাহিনীর যে ট্রাকে হামলা (Terrorist Attack) হয়েছিল, তার নেপথ্যে রয়েছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন  লস্কর-ই-তৈবা (LeT)। সেনা সূত্রে খবর, এই হামলার পিছনে অন্তত সাতজন জঙ্গি রয়েছে। দুর্ঘটনার পরে পরেই মাধ্যম জানিয়েছিল, জঙ্গিদের ছোড়া গ্রেনেডের জেরেই আগুন লাগে সেনাবাহিনীর ওই গাড়িতে। ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে এনআইএকে (NIA)।

    জেহাদিরাই হামলা (Terrorist Attack) চালিয়েছিল…

    এদিন বিকেলে পুঞ্চের যে জায়গায় হামলা চালানো হয়েছিল, তা অবস্থিত নিয়ন্ত্রণরেখার ভিম্বার গলি থেকে সাত কিলোমিটার দূরে। ওই এলাকায় ঘন জঙ্গল রয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই এলাকায় পাকিস্তানি জঙ্গিদের গতিবিধি ধরা পড়েছে। ঘন জঙ্গলে লুকিয়ে ওই জেহাদিরাই হামলা (Terrorist Attack) চালিয়েছিল সেনাবাহিনীর কনভয়ে। লস্কর-ই-তইবার ওই জঙ্গিদের খোঁজে ইতিমধ্যেই চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে নাগরোটার ১৬ কোর। আধিকারিকদের মতে, মে মাসে শ্রীনগরে রয়েছে জি-২০ গোষ্ঠীর সম্মেলন। পাকিস্তান তা বানচাল করার চেষ্টা করছে।

    তাঁদের মতে, তার সঙ্গে এই হামলার যোগ রয়েছে। জানা গিয়েছে, শ্রীনগরের ওই অনুষ্ঠান বয়কট করার জন্য জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির কাছে আর্জি জানিয়েছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার যে পাঁচ সেনা শহিদ হয়েছেন, তাঁরা হলেন হাবিলদার মনদীপ সিংহ, সিপাই হরকিষণ সিংহ, ল্যান্সনায়েক কুলবন্ত সিংহ এবং সিপাই সেবক সিংহ। এঁরা চারজনই পঞ্জাবের বাসিন্দা ছিলেন। শহিদ হওয়া আরও এক জওয়ান হলেন পুরীর বাসিন্দা ল্যান্সনায়েক দেবাশিস। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক আধিকারিক জানান, জি-২০ সম্মেলনে যেসব দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন, তাঁদের মনে ভয় ধরাতেই হামলা চালানো হয়েছে সেনার গাড়িতে।

    আরও পড়ুুন: ‘জীবনকৃষ্ণের মোবাইলের তথ্য মিললে তৃণমূল উঠে যাবে’! কেন বললেন সুকান্ত?

    এদিকে, তদন্তের দায়িত্ব পেয়েই কাজ শুরু করে দিয়েছে এনআইএ। তদন্তকারীদের অনুমান, দু পক্ষের মধ্যে কয়েক (Terrorist Attack) রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়েছিল। কারণ ট্রাকটির দু পাশে অসংখ্য বুলেট গেঁথে ছিল। অনুমান, গুলি চালাতে চালাতেই আচমকা গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। গ্রেনেড গিয়ে লাগে সেনাবাহিনীর ট্রাকের গায়ে। সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরে যায় তাতে। জীবন্ত দগ্ধ হন পাঁচ জওয়ান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। প্রসঙ্গত, গত বছর মোহালির পুলিশ ফাঁড়িতেও ঠিক একই কায়দায় হামলা চালিয়েছিল লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিরা। পঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা সদর দফতরে রকেট চালিত গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল তারা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu & Kashmir: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ, শহিদ ৫ জওয়ান, জখম ১

    Jammu & Kashmir: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ, শহিদ ৫ জওয়ান, জখম ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) ফের জঙ্গি হানা (Terrorist Attack)।  বৃহস্পতিবারের ওই হানায় শহিদ হয়েছেন পাঁচ জওয়ান। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও একজন। এদিন জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি সেক্টরের পুঞ্চ এলাকায় সামরিক বাহিনীর একটি ট্রাকে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পাঁচজনের। একজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিকটবর্তী চিকিৎসা কেন্দ্রে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন বেলা তিনটে নাগাদ আচমকাই ভীমবার গলি এলাকায় সেনার একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। ছোড়া হয় গ্রেনেডও। সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরে যায় গাড়িটিতে। জীবন্ত দগ্ধ হন পাঁচজন। সেনার নর্দার্ন কমান্ডের  হেড কোয়ার্টারর্সের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এদিন প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল উপত্যকায়। তার জেরে দৃশ্যমানতাও ছিল কম। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়েছে জঙ্গিরা।

    জম্মু-কাশ্মীর (Jammu & Kashmir)…

    তবে জঙ্গিদের কোন (Jammu & Kashmir) গোষ্ঠী এই ঘটনায় জড়িত তা জানা যায়নি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জঙ্গিরা গ্রেনেড ছোড়ায় আগুন লেগে যায় সেনার গাড়িটিতে। জানা গিয়েছে, এলাকায় জঙ্গি-বিরোধী অপারেশনে মোতায়েন করা হয়েছিল রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ৫ জওয়ানকে। জঙ্গিদের হামলায় মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এক সেনাকে দ্রুত উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই জওয়ান। সম্ভাব্য সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে বলেও খবর সেনা সূত্রে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, পুঞ্চের ঘটনায় আমি ব্যথিত। এখানে ভারতীয় সেনা হারিয়েছে তাদের পাঁচজন সাহসী জওয়ানকে। একটি ট্রাকে আগুন লেগে যাওয়াতেই এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত জওয়ানদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই।

    বুধবারই পাকিস্তানের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, আগামী মাসে গোয়ায় প্রস্তাবিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনসের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে ভারতে আসবেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। তার ঠিক পরে পরেই, এই ঘটনা যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। প্রসঙ্গত, মে মাসে শ্রীনগরে (Jammu & Kashmir) জি-২০ ট্যুরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক হওয়ার কথা। গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল উপত্যকায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বৈঠক করেছিলেন। তার দিন কয়েক পরেই ঘটল সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা।

    আরও পড়ুুন: ঈদের জন্য রেড রোড ও ময়দানের প্রস্তুতির যাবতীয় খরচ এবার করছে মমতার সরকার!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Pak Cops Killed: পাকিস্তানে ফের জঙ্গি হামলার শিকার পুলিশ! নিহত ৪ , আহত ৬ পুলিশকর্মী

    Pak Cops Killed: পাকিস্তানে ফের জঙ্গি হামলার শিকার পুলিশ! নিহত ৪ , আহত ৬ পুলিশকর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) ফের জঙ্গি হামলার শিকার পুলিশ। বৃহস্পতিবার তালিবানি (Taliban terrorists) হামলার মুখে পড়ে পাকিস্তান পুলিশের একটি গাড়ি। তালিবানি হামলায় চার পাক পুলিশের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন এক অফিসার। হামলায় আহত হয়েছেন ৬ পুলিশ কর্মী।

    নিশানায় পুলিশ

    উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের (Khyber-Pakhtunkhwa province) লাক্কি মারওয়াত জেলায় এদিন পুলিশ কর্মীদের গাড়িতে (Police vehicle) গুলি চালায় জঙ্গিরা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীদের নিয়ে একটি গাড়ি সর্দ্দার পুলিশ স্টেশনের (Saddar police station) দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় তালিবান জঙ্গিদের একটি দল ওই গাড়িটি লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। জঙ্গিদের কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্র ছিল বলে জানিয়েছে পাক পুলিশ। তখন পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। দুপক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই চলে বেশ কিছুক্ষণ। তাতেই পুলিশকর্মীদের মৃত্যু হয়েছে।

    তালিবানি হামলা

    মৃত পুলিশ কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন ডেপুটি পুলিশ সুপার পদ মর্যাদার এক অফিসার। ঘটনা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পুলিশ প্রধান আখতার হায়াত খান। পাক পুলিশ সূত্রে খবর, ভোরের দিকে ঘটনা ঘটায় আক্রমণের পর অন্ধকারের সুযোগে সহজেই জঙ্গিরা পালিয়ে যায়। পরে বিবৃতি দিয়ে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহেরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (Tehreek-i-Taliban Pakistan)। প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে তালিবানি জঙ্গি ও বালুচিস্তানের লিবারেশনের আর্মির হামলায় অনেক পাক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ পশ্চিম পাকিস্তানে একটি পুলিশ ট্রাকে গিয়ে ধাক্কা দেয় একটি বাইক। আসলে সে সুইসাইড বোম্বার। এরপর সে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। তার জেরে মৃ্ত্যু হয়েছিল ৯জন পুলিশকর্মীর। 

    আরও পড়ুুন: স্ল্যাব ভেঙে ৫০ ফুট গভীর কুয়োয় পড়লেন পুণ্যার্থীরা, মধ্যপ্রদেশে মৃত ১৩

    এদিনের হামলার তীব্র নিন্দা করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Prime Minister Shehbaz Sharif) বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আত্মবলিদান দেওয়া পুলিশ আধিকারিকদের কথা কখনও ভোলা যাবে না। যাঁরা জখম হয়েছেন তাঁদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karachi Attack: ফের রক্তাক্ত করাচি! পুলিশ প্রধানের দফতরে তালিবান হানা, নিহত ৯

    Karachi Attack: ফের রক্তাক্ত করাচি! পুলিশ প্রধানের দফতরে তালিবান হানা, নিহত ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার জঙ্গি হামলা করাচিতে। ফের রক্তাক্ত পাকিস্তান (Pakistan)। এবার করাচির পুলিশ দফতরে তালিবান হানা। শুক্রবার রাতে একদল জঙ্গি হামলা চালায় করাচির পুলিশ প্রধানের দফতরে। পালটা জবাব দেয় পুলিশও। দু’পক্ষের গোলাগুলিতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত কমপক্ষে ১০ জন। মৃতদের মধ্যে জঙ্গি ও দুই পুলিশকর্মীও রয়েছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে রাজধানী শহরেও।

    হামলার বিবরণ

    করাচি পুলিশ সূত্রে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৫ জন জঙ্গি সহ মোট ৯ জন মারা গিয়েছে। বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী, দুজন সাধারণ মানুষ সহ মোট ১৭ জন আহত হয়েছে যে ঘটনায়। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। গত রাতে বেশ কয়েকজন জঙ্গি হামলা চালায় বলেই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। প্রথমে ৩জন সশস্ত্র জঙ্গি পুলিশ কর্তার দফতরে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। বোমা বিস্ফোরণও ঘটানো হয়। হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালিবান (Tehreek-e-Taliban)। যেসময় ওই হামলা চালানো হয় তখন সেখানে পুলিশের বেশ কয়েকজন আধিকারিক ছিলেন। তবে কোনও শীর্ষ কর্তা এই ঘটনায় জখম হয়েছেন বা মারা গিয়েছেন বলে খবর নেই। ঘটনার পরই ঘটনাস্থল সংলগ্ন সমস্ত রাস্তা জনসাধারণের বন্ধ করে দেয় পুলিশ। সেখানে পাঠানো হয় আরও বেশি সংখ্যক বাহিনী।

    আরও পড়ুন: শিবসেনা নাম ও তির-ধনুক প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী! হতাশ উদ্ধব-গোষ্ঠী

    জঙ্গি দমনের বার্তা

    দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গি সমস্যায় জর্জরিত পাকিস্তান। গত কয়েক মাসে দেশের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত সংস্থায় জঙ্গিদের হানা বেড়েছে। কিছু সপ্তাহ আগেই পুলিশরা ব্যবহার করেন এমন একটি মসজিদকে টার্গেট করা হয়েছিল। সেখানে বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারাতে হয়েছিল অনেক পুলিশ কর্মী-অফিসারকে। এবার জঙ্গিরা রাতের অন্ধকারে এভাবে পুলিশের হেড কোয়ার্টারে হামলা চালানোয় বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা নিয়েও। পুলিশ কোয়ার্টারে জঙ্গিহানা প্রসঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘পাকিস্তান শুধু সন্ত্রাসকে মূল থেকে উপড়েই ফেলবে না। জঙ্গিদের মেরে যোগ্য ন্যায়বিচারও জোগাড় করে নেবে। রাষ্ট্রকে সুরক্ষিত করতে সন্ত্রাসের দুষ্টকে দমন করতেই হবে।’ সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jammu and Kashmir: রক্তাক্ত ভূস্বর্গ, রাজৌরিতে ১৮০০ সিআরপিএফ জওয়ান পাঠাচ্ছে কেন্দ্র

    Jammu and Kashmir: রক্তাক্ত ভূস্বর্গ, রাজৌরিতে ১৮০০ সিআরপিএফ জওয়ান পাঠাচ্ছে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের প্রথম দিনই রক্তাক্ত হয়েছে ভূস্বর্গ (Jammu and Kashmir)। হামলা হয়েছে হিন্দু পরিবারের ওপর। পর পর দুটি হামলায় এক শিশু সহ বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তার জেরে এবার জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি (Rajouri) জেলায় আরও বেশি সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজৌরিতে ১৮ কোম্পানি সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ান পাঠানো হয়েছে।

    জঙ্গি হানা…

    গত দু সপ্তাহের ব্যবধানেও এই জেলায় দু বার জঙ্গি হানা হয়েছে। তার জেরে এলাকায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক। ঘটনার প্রতিবাদে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, জনতার সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, গত তিন দিন ধরে একশোরও বেশি নিরাপত্তা রক্ষী জঙ্গিদের খোঁজে শুরু করেছে তল্লাশি। এই জঙ্গিরাই রাজৌরি জেলায় হামলা চালিয়েছিল কয়েকটি হিন্দু পরিবারের ওপর। কেবল নিরাপত্তা রক্ষীরাই নয়, সেনা এবং পুলিশও অভিযান চালিয়েছিল যৌথভাবে (Jammu and Kashmir)।

    আরও পড়ুুন: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর নিক্ষেপ! সামনে এল দোষীদের ছবি, জানেন এরা কারা?

    প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধেয় এবং সোমবার সকালে আপার ডাংরি গ্রামে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। জঙ্গিদের হামলায় দুই শিশু সহ ছ জনের মৃত্যু হয়। জঙ্গিদের হামলায় জখমও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। জানা গিয়েছে, রবিবার সশস্ত্র অবস্থায় দুই জঙ্গি হানা দেয় তিনটি বাড়িতে। তার পরেই গুলি চালাতে থাকে নির্বিচারে। গুলিতে জখম হন ছ জন, মৃত্যু হয় চার জনের। পরের দিন ওই গ্রামেই ফের হামলা চালায় জঙ্গিরা। এদিন বিস্ফোরণে জখম হন অন্তত পাঁচজন। মৃত্যু হয় দুই শিশুর।

    রবিবার সন্ধের জঙ্গি হামলায় জড়িতদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। তখনই এক বাড়ির সামনে বিস্ফোরণ ঘটে। এই বাড়িটির সামনে আগে থেকেই বিস্ফোরক পুঁতে রেখেছিল জঙ্গিরা।এই জেলায়ই গত দু সপ্তাহে দুবার জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ডিসেম্বরের ১৬ তারিখে আর্মি ক্যাম্পের বাইরেও দুজনের মৃত্যু হয়। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের তরফে জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) প্রশাসনকে অবিলম্বে জঙ্গিদের হদিশ দিতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরে প্রচুর সিআরপিএফ জওয়ানকে টহল দিতে দেখা গিয়েছে। এই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ৭০ ব্যাটেলিয়নের বেশি সিআরপিএফ জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে বলেও খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • India Army Dog: কাশ্মীরে জঙ্গিদমন অভিযানে আহত হয়েও যোদ্ধার মত লড়াই করল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কুকুর ‘জুম’

    India Army Dog: কাশ্মীরে জঙ্গিদমন অভিযানে আহত হয়েও যোদ্ধার মত লড়াই করল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কুকুর ‘জুম’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের নিকেশ করতে সবসময়ই ভারতীয় জওয়ানদের বীরত্বের কথা শোনা যায়। তবে এবারে বীরত্বের এক নজির গড়ল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কুকুর (India Army Dog), ‘জুম’ (Zoom)৷ সোমবার জম্মু কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় জঙ্গি দমনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয় ভারতীয় সেনার অ্যাসল্ট ডগ জুম৷ গুরুতর আহত হয়েও নিজের প্রাণের তোয়াক্কা না করে লড়ে গিয়েছেন জঙ্গিদের সঙ্গে। বর্তমানে তার অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। শ্রীনগরে সেনাবাহিনীর (Indian Army) পশু হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার (India Army Dog)। তার আরোগ্য কামনা করছে ভারতীয় সেনা। এই অভিযানে গুলিতে খতম হয়েছে লস্কর-ই-তৈবার দুই জঙ্গি।

    [tw]


    [/tw]

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সেই সময়ই গুরুতর আহত হয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনীর কুকুরটি (India Army Dog)। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় জঙ্গিরা আশ্রয় নিয়ে রয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর এসে পৌঁছয়। সেই মতো রবিবার গভীর রাতেই তল্লাশি অভিযান শুরু করে তারা। অপারেশন তাংপাওয়াস কমব্যাটের অংশ ছিল কুকুরটি। ফলে সেনা জওয়ানদের সঙ্গে সঙ্গী হয় সে। জানা গিয়েছে, সে বীর সৈনিকের মত জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই করেছে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরেও জঙ্গিদের ওপর আক্রমণ করেই চলেছিল সে। জঙ্গিদের ছোঁড়া দু’টি গুলিতেই গুরুতর আহত হয় সে।

    এরপর তাকে (India Army Dog) তড়িঘড়ি তাকে পশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেনাবাহিনীর চিনার কর্পসের তরফে জানানো হয়েছে, জুমের বীরত্বের কারণেই খতম করা গিয়েছে দুই লস্কর জঙ্গিকে। আহত হওয়ার পরেও সে তার লক্ষ্যে অবিচল ছিল ও তার কর্তব্য পালন করেছে। ট্যুইটারে জুমের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। এই ভিডিও-তে কুকুরের প্রশিক্ষণ সেশন এবং তার দক্ষতার ঝলক দেখানো হয়েছে।

    সেনা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সোমবার পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গিরা অনন্তনাগে লুকিয়েছিল বলে দাবি সেনার। তাদের বিরুদ্ধেই অভিযান শুরু হয়। আর তাতে এই কুকুরের (India Army Dog) পাশাপাশি দুই সেনাকর্মীও আহত হন। তবে অনন্তনাগ জেলার কোকেরনাগের তাংপাওয়া গ্রামে আরও একজন সন্ত্রাসী লুকিয়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই এখনও তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনা আধিকারিকরা।

  • Mumbai Attack: ফিরে আসবে ২৬/১১- র স্মৃতি? জঙ্গি হামলার হুমকি মুম্বইয়ে, জারি হাই অ্যালার্ট 

    Mumbai Attack: ফিরে আসবে ২৬/১১- র স্মৃতি? জঙ্গি হামলার হুমকি মুম্বইয়ে, জারি হাই অ্যালার্ট 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ২৬/১১-এর সাক্ষী হবে মুম্বই (Mumbai)। বাণিজ্য নগরীতে চালানো হবে জঙ্গি হামলা (Terrorist Attack)। সম্প্রতি এমনই হুমকি (Threat) পেল মুম্বই পুলিশ (Mumbai Police)।  পাকিস্তানের একটি ফোন নম্বর থেকে মেসেজ আসে যেখানে ৬ জন জঙ্গি হামলা চালাতে পারে ভারতে। 

    আরও পড়ুন: মুম্বই বিমানবন্দর সংলগ্ন ৪৮টি বিল্ডিং ভেঙে ফেলার নির্দেশ বোম্বে হাই কোর্টের, জেনে নিন কী কারণ

    সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, হুমকি বার্তায় বলা হয়েছে, “মুম্বইয়ে একটা হামলা চালানো হবে। এই হামলা ফিরিয়ে আনবে ২৬/১১- এর স্মৃতি। আমার ফোন নম্বর যদি খতিয়ে দেখা হয়, তা হলে লোকেশন হিসাবে ভারতই দেখাবে। বিস্ফোরণ ঘটাবে ছ জন। মুম্বই শহরে বিস্ফোরণ হবে। ওসামা বিন লাদেন, আজমল কাসব ও আয়মান আল-জওয়াহিরিকে হত্যা করা হয়েছে, এমন আরও অনেক কিছু ভবিষ্যতে ঘটবে।” কবে চালানো হবে এই হামলা সেই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। 

    আরও পড়ুন: ফোন ট্যাপিং কাণ্ডে গ্রেফতার মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার

    সম্প্রতি মুম্বই পুলিশের ট্রাফিক কন্ট্রোলের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে এমনই হুমকি বার্তা দেওয়া হয়েছে। ওই হুমকি মেসেজে বলা হয় , “২৬/১১- হামলা, উদয়পুরে দরজি খুন বা পাঞ্জাবে সিধু মুসেওয়ালা খুনের মতোই ভয়ঙ্কর কিছু করা হবে। ছয় জঙ্গি ভারতে হামলা চালাবে। আর সেই হামলা হবে মুম্বইতেই।” প্রসঙ্গত, এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসেছে মুম্বই পুলিশ। এই মেসেজ হালকাভাবে নিতে নারাজ প্রশাসন। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করার দাবি তুলেছেন মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা অজিত পওয়ার।  

    যে এই বার্তা পাঠিয়েছে, সে এই হামলার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ৭ ভারতীয়র নাম এবং ফোন নম্বরও পাঠিয়েছে। এদের মধ্যে একটি ফোন নম্বর উত্তরপ্রদেশের আতঙ্কবাদ দমন শাখার এক আধিকারিকের। ওই আধিকারিকের নম্বর কেন উল্লেখ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

    শনিবার এই নিয়ে সাবংবাদিক বৈঠক করেন মুম্বই পুলিশ কমিশনার বিবেক ফানশালকার। শহরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, সমস্তভাবে প্রস্তুত আতঙ্কবাদ দমন শাখা। 

    ইতিমধ্যেই হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে শহরজুড়ে। শুরু হয়েছে নাকা চেকিং। মহম্মদ আসিফ বলে এক সন্দেহভাজনকে জেরাও করছে পুলিশ। এই ব্যক্তি সম্প্রতি কাজের সন্ধানে উত্তরপ্রদেশ থেকে মুম্বইয়ে এসেছেন। ওই তালিকায় এই ব্যক্তির ফোন নম্বরও রয়েছে। যদিও তিনি জানান, কী করে তাঁর নম্বর এল তা জানেন না তিনি। 

     

  • Mohali blast: নেপথ্যে জঙ্গি-যোগ? পঞ্জাবে পুলিশের সদর দফতরে গ্রেনেড হামলার তদন্ত পেতে পারে এনআইএ

    Mohali blast: নেপথ্যে জঙ্গি-যোগ? পঞ্জাবে পুলিশের সদর দফতরে গ্রেনেড হামলার তদন্ত পেতে পারে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোহালিতে পঞ্জাব পুলিশের (Punjab police) গোয়েন্দা বিভাগের সদর দফতরে গ্রেনেড হামলার তদন্তভার বর্তাতে পারে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র(NIA) ওপর। অন্তত এমনই খবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে। যদিও গ্রেনেড হানার ঘটনাটিকে ছোট ঘটনা বলে মনে করছে পঞ্জাব সরকার।

    মোহালির (Mohali) সেক্টর ৭৭-এ রয়েছে পঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সদর দফতর। সোমবার রাত আটটা নাগাদ দফতরের বিল্ডিংয়ে আছড়ে পড়ে গ্রেনেড। প্রাণহানির কোনও ঘটনা না ঘটলেও, গ্রেনেড হামলার জেরে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায় সদর দফতরের কাচের জানালা। এই হামলার আগে পঞ্জাব পুলিশের কাছে হুমকি চিঠি এসেছিল বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর।

    যদিও ঘটনাটি ছোট ঘটনা বলে জানায় পঞ্জাবের আম আদমি পার্টির (APP) সরকারের প্রধান ভগবন্ত মান। রাজ্য সরকার যতই ঘটনাটি ছোট করে দেখাক না কেন, তবে রকেট হামলার এই ঘটনাটি মোটেই হালকাভাবে নিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। মোহালির এই বিস্ফোরণের সঙ্গে জঙ্গি যোগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না অমিত শাহের মন্ত্রক। তদন্তের ভার দেওয়া হতে পারে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র হাতে। গোয়েন্দা দফতরের সামনে গ্রেনেড হামলার ঘটনাকে জঙ্গি কার্যকলাপের অংশ হিসেবেই তারা দেখছে বলে সূত্রের খবর।

    কংগ্রেস সরকারকে পরাস্ত করে পঞ্জাবের কুর্সিতে আসে আম আদমি পার্টি। মুখ্যমন্ত্রী হন ভগবন্ত মান। আপ ক্ষমতার আসার পর থেকে প্রায়ই অশান্তির খবর আসছে পঞ্চনদের রাজ্য থেকে। অথচ বিধানসভা নির্বাচনের আগে আম আদমি পার্টির প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছিলেন, পঞ্জাবের ক্ষমতায় আপ এলে বদলে যাবে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি। বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে আপ। তবে ভোল বদলায়নি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির।

    পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সদর দফতরের সামনে গ্রেনেড হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে আপ সুপ্রিমো কেজরিওয়াল বলেন, পরিকল্পিতভাবে পঞ্জাবের শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। মোহালি বিস্ফোরণ একেবারে কাপুরুষোচিত কাজ। আমরা কিছুতেই পঞ্জাবের শান্তি বিঘ্নিত হতে দেব না।

     

  • Jammu & Kashmir: ফের জঙ্গিদের নিশানায় পরিযায়ী শ্রমিক! পুলওয়ামায় গুলিবিদ্ধ বিহারের দুই বাসিন্দা

    Jammu & Kashmir: ফের জঙ্গিদের নিশানায় পরিযায়ী শ্রমিক! পুলওয়ামায় গুলিবিদ্ধ বিহারের দুই বাসিন্দা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ। জঙ্গিদের হামলার শিকার ফের দুই পরিযায়ী শ্রমিক। সূত্রের খবর, শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় দুই পরিযায়ী শ্রমিককে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। ফলে আহত অবস্থায় তাঁদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আহত দুই শ্রমিক আদতে বিহারের বাসিন্দা।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার রত্নিপোরার খারপোরা এলাকায় দুই শ্রমিককে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসবাদীরা গুলি চালায়। ঘটনার পর দুই শ্রমিককে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, যেখানে তাদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁরা বিহারের বাটিয়া জেলার বাসিন্দা শামশাদ এবং ফাইজান কাসরি। এই বিষয়ে গতকালই কাশ্মীর পুলিশ ট্যুইট করে জানিয়েছে।


    [/tw]

    আরও পড়ুন: কাশ্মীর পুলিশের এনকাউন্টারে খতম বাংলার শ্রমিক হত্যাকারী দুই জঙ্গি

    কিন্তু তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা। ঘটনার পর থেকে এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তবে, এখনও হামলাকারী জঙ্গিদের খোঁজ পাওয়া যায়নি বলেই খবর। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে জম্মু-কাশ্মীরে বারবার জঙ্গি হামলার মুখে পড়তে হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। গত মাসেই কাশ্মীরের বান্দিপোরায় এক পরিযায়ী শ্রমিককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় ওই শ্রমিকের। ওই শ্রমিকও বিহারের বাসিন্দা ছিলেন। চলতি মাসেও বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিককে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ২ সেপ্টেম্বর এই ঘটনাটি ঘটেছিল। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, আহত ওই শ্রমিক বাঙালি। তাঁর নাম মুনিরুল ইসলাম। পুলওয়ামার উগারগুন্ড এলাকায় জঙ্গিহামলার এই ঘটনাটি ঘটেছিল। চিকিৎসার পর তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। বাঙালি শ্রমিককে মেরে ফেলার ঘটনায় যুক্ত ছিল দুই জঙ্গি, পরে তাদেরকে শ্রীনগরের নওগাম এলাকায় এনকাউন্টারে খতম করা হয়। 

LinkedIn
Share