Tag: Terrorists

Terrorists

  • ISIS: ভারতে বড়সড় হামলা করতে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করছে পাক জঙ্গিরা? দাবি গোয়েন্দাদের

    ISIS: ভারতে বড়সড় হামলা করতে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করছে পাক জঙ্গিরা? দাবি গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক সীমান্তে কড়া প্রহরার জেরে ফোকর গলে ভারতে ঢুকে জঙ্গি (ISIS) হামলা করতে গেলে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয় রয়েছে। তাই এবার ‘প্ল্যান বি’ রূপায়ণ করতে চলেছে লস্কর-ই-তৈবা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে একদল জঙ্গি লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে বাংলাদেশে (Bangladesh) ঢোকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই দলটি বিস্ফোরক তৈরিতে দক্ষ। তারা বাংলাদেশের জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিতে সেখানে যাওয়ার তোড়জোড় করছে।

    বাংলাদেশের উদ্দেশে বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ (ISIS)

    এর আগে জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবা পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে তাদের মডিউল ফের সক্রিয় করার চেষ্টা করছে বলে জানতে পেরেছিলেন গোয়েন্দারা। এক আধিকারিক জানান, এই জঙ্গি সংগঠনগুলি বাংলাদেশের উদ্দেশে বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ পাঠাচ্ছে। বড় ধরনের কিছু একটি যে ঘটতে চলেছে, এটিই তারই ইঙ্গিত। আর এক আধিকারিক বলেন, সীমান্ত এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। কারণ ভারত ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ ও বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা হতে পারে।

    আইএসআইয়ের সমর্থনে চলছে কার্যকলাপ

    ভারতীয় সংস্থাগুলি জেনেছে, বাংলাদেশে আইএসআইয়ের সমর্থনে বহু কার্যকলাপ চালানো হচ্ছে। যদিও পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলির হুমকির মুখে ছিল, এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। পাকিস্তান, যার বাংলাদেশে একটি ‘বন্ধু’ সরকার রয়েছে, বড় ধরনের কিছু পরিকল্পনা করছে। সাম্প্রতিক জঙ্গি যাতায়াত-সহ যে সব বার্তা মিলেছে, তা স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে, ভারতকে লক্ষ্য করে আইএসআই একটি বড় ধরনের অভিযানের ছক কষছে।

    এই অভিযানে যৌথভাবে কাজ

    গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, এই অভিযানে জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবা একসঙ্গে কাজ করবে (ISIS)। ভবিষ্যতে যৌথ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্তটি আইএসআইয়ের নির্দেশের পর গৃহীত হয়। এর পর পাকিস্তানে দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতারা বৈঠক করে। আলোচনা করে কীভাবে একটি একক কমান্ড কাঠামোর আওতায় তারা এগোবে। বাংলাদেশে বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভারতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটানোর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে অপারেটিভদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য নয় সদস্যের একটি দলও গঠন করা হয়েছে (Bangladesh)।

    বাংলাদেশে বহুবার গিয়েছে পাক জঙ্গি দল

    জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবার বেশ কয়েকটি দল বাংলাদেশে বহুবার গিয়েছে। আলাপ-আলোচনা করেছে স্থানীয় জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গেও। সম্প্রতি হাফিজ সাঈদের এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী বাংলাদেশে ছিল স্থানীয় জঙ্গিদের সঙ্গে দেখা করতে এবং তাদের উৎসাহিত করতে। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর, চলতি মাসের কোনও এক সময় লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ সাঈদের ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। সে তার নিজের গোষ্ঠীর সদস্য-সহ অন্যান্যদের সঙ্গেও দেখা করবে। এও জানা গিয়েছে, ভারতে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সাঈদ ঢাকা সফর শেষ করলেই এই গোষ্ঠীগুলি তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করতে পারে। এদিকে, আইএসআই ইতিমধ্যেই নিজেদের চিহ্ন মুছে ফেলার কাজ শুরু করেছে। এ থেকেই স্পষ্ট, হামলার চেষ্টা খুব শীঘ্রই হতে পারে (ISIS)।

    বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা

    উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি এবং পশ্চিমবঙ্গে সুপ্ত নেটওয়ার্কগুলির সক্রিয় হওয়া স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে একটি বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়া, বাংলাদেশের অনেক মাদ্রাসা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই মাদ্রাসাগুলি বিশেষভাবে প্রভাবিতকরণ এবং উগ্রপন্থায় দীক্ষিত করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল (Bangladesh)। এই মাদ্রাসাগুলির সবক’টিই আইএসআই-চালিত, যেখানে প্রচারকরা লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য। তাদের মধ্যে কিছু ভারতের ভেতরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটানোর নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়েই গড়ে উঠেছিল। এখন যেহেতু পরিকল্পনা শেষ পর্যায়ে, তাই সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই মাদ্রাসাগুলি।

    আধিকারিকের বক্তব্য

    এক আধিকারিক বলেন, “এটি পাকিস্তানের একটি পাঠ্যবই-ধাঁচের অপারেশন। বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা চলার সময় যদি এসব মাদ্রাসা খোলা থাকে, তাহলে এর সূত্রের খেই খুব সহজেই আইএসআইয়ের দিকে পৌঁছে যাবে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় এসব মাদ্রাসার সদস্যদের কঠোরভাবে প্রশ্ন করা হলে জানা যাবে কে ওই যুবকদের উগ্রপন্থায় দীক্ষিত করেছিল এবং কোন সংগঠনের সঙ্গে তাদের যুক্ত করেছিল (ISIS)।” বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি একটি ক্লাসিক আইএসআই অপারেশন। এবার আইএসআই বাংলাদেশের মধ্যে একটি বলির পাঁঠা খুঁজে পেয়েছে। কোনও হামলা হলে তার সূত্র বাংলাদেশের কিছু ব্যক্তির দিকেও নির্দেশ করবে। এটি পাকিস্তানের ঘাড় থেকে দোষ নামিয়ে ফেলে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেওয়ার একটি কৌশল (Bangladesh)। ফলে পাকিস্তান দায় অস্বীকার করার সুযোগ পেয়ে যাবে, আর দোষ পড়বে বাংলাদেশের ওপর।

  • Kerala Mother: কিশোর ছেলেকে উগ্রপন্থায় দীক্ষিত করতে উদ্যোগী হয়েছিল কেরলের মা!

    Kerala Mother: কিশোর ছেলেকে উগ্রপন্থায় দীক্ষিত করতে উদ্যোগী হয়েছিল কেরলের মা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর পনেরোর এক কিশোরকে আইএসআইএসের মতাদর্শে দীক্ষিত করতে অনুপ্রাণিত করছে কেরলের (Kerala Mother) এক মা! ব্রিটেন-ভিত্তিক এক আইএসআইএস সমর্থকের সঙ্গে যোগাযোগ করে (UK) ওই মা ওই কিশোরকে উগ্রপন্থায় দীক্ষিত করতে চেয়েছিল। অন্তত কেরল পুলিশের এফআইআরে এমনই অভিযোগ করা হয়েছে। ওই কিশোরের মগজ ধোলাই করতে তাকে আইএসআইএসের বিভিন্ন প্রচারের ভিডিও দেখানো হয়েছিল। শেখানো হয়েছিল অন্যান্য ধর্মের প্রতি ঘৃণা করতে। উৎসাহিত করা হয়েছিল জঙ্গি গোষ্ঠীটির মতবাদ গ্রহণে।

    ইউএপিএ আইনে দায়ের এফআইআর (Kerala Mother)

    ইউএপিএ আইনের আওতায় দায়ের করা এই এফআইআরে এই দু’জনকে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমজন, আনজার নামে পরিচিত, নথিতে তাকে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠনের সদস্য হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। বর্তমানে সে বসবাস করছে ব্রিটেনের লেস্টারে। তদন্তকারীদের মতে, সে-ই কিশোরটিকে তার ল্যাপটপে আইএসআইএসের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ভিডিও দেখাত এবং সংগঠনের আদর্শকে ইসলামের শ্রেষ্ঠ পথ হিসেবে তুলে ধরত। এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, আনজার কিশোরটিকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে আইএসআইএস-ই ইসলামের প্রকৃত পথ এবং তাকে অন্যান্য ধর্মের প্রতি শত্রুতা গড়ে তুলতে উৎসাহিত করেছিল। আর দ্বিতীয় অভিযুক্ত হল ওই কিশোরের মা, ফিধা মহম্মদ আলি। তদন্তকারীদের মতে, সে এই র‍্যাডিকালাইজেশনের চেষ্টা সমর্থন করত, সাহায্যও করত। এফআইআরে বলা হয়েছে, সে আনজারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করত। পুলিশ সূত্রের খবর, এ থেকেই অনুমান এরা দু’জনে মিলেই কিশোরটিকে প্রভাবিত, পরিচালনা এবং মতাদর্শগতভাবে দীক্ষিত করার চেষ্টা করছিল।

    তদন্তে এনআইএ

    কেরল পুলিশের মতে, এই ঘটনাটি একটি বড় নেটওয়ার্কের অংশ হতে পারে। প্রাথমিক তথ্যে ইঙ্গিত মিলেছে যে জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে যুক্ত স্লিপিং সেলের সদস্যরা হয়তো রাজ্যের কিছু এলাকায় সক্রিয় থাকতে পারে। এনআইএ ইতিমধ্যেই প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে এবং পুরো তদন্তভার গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে (Kerala Mother)। প্রসঙ্গত, এই আনজারের ভাই সিদ্দিকল ২০১৬ সালের কানাকামালা আইএসআইএস ষড়যন্ত্র মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। ওই মামলায় কেরল ও তামিলনাড়ুতে হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আটজনের বিরুদ্ধে (UK) চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর, ওই তদন্ত চলাকালীন আনজার নজরদারিতে থাকলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়নি, কারণ সেই সময় সে ইউক্রেনে থাকত (Kerala Mother)।

  • Ukase Turkiye: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার জড়াল তুরস্কের নাম, কীভাবে জানেন?

    Ukase Turkiye: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার জড়াল তুরস্কের নাম, কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণকাণ্ডে (Delhi Blast) আগেই জড়িয়েছে পাকিস্তানের বন্ধু তুরস্কের নাম (Ukase Turkiye)। জানা গিয়েছে, ইসলামিক রাষ্ট্র তুরস্কের কোনও এক হ্যান্ডলারের অঙ্গুলিহেলনেই জঙ্গি কার্যকলাপ চালাত ভারতে থাকা চিকিৎসক-জঙ্গিরা। এই বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা পেয়েছেন একটি কোডনেম। সূত্রের খবর, ‘উকাসা’ নামে এক ব্যক্তির নাম জানা গিয়েছে, যে ওই চিকিৎসক-জঙ্গিদের নিয়ে তৈরি মডিউল পরিচালনা করত। এই মডিউলের নেতা ছিল আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক-শিক্ষক উমর উন নবি। জানা গিয়েছে, ভারতে এই হামলার ছক কষা হয়েছিল তুরস্কে বসেই।

    উকাসা (Ukase Turkiye)

    গোয়েন্দাদের অনুমান, জইশ-ই-মহম্মদ এবং আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দ এই দুই জঙ্গিগোষ্ঠীর হ্যান্ডলার এবং দিল্লি মডিউলের মধ্যে প্রধান যোগসূত্র হিসেবে কাজ করে এই উকাসা। প্রাথমিক তদন্তে তদন্তকারীরা মনে করছেন, ২০২২ সালে তুরস্কে এই হামলার নীল নকশা তৈরি করা হয়েছিল। সেই সময়ই উমর ও তার সঙ্গীরা তুরস্কে গিয়েছিল। তারা গিয়েছিল ওই বছরেরেই মার্চ মাসে। সেই সময় প্রায় দু’সপ্তাহ আঙ্কারায় ছিল সে। এই সমস্ত ষড়যন্ত্রের অন্যতম অংশীদার ছিল সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাপ। প্রথমে টেলিগ্রামের মতো অ্যাপ ব্যবহার করা হলেও, পরে বেছে নেওয়া হয়েছিল সিগন্যাল ও সেশনের মতো অ্যাপ। তদন্তকারীদের ধারণা, উকাসা নামের এই হ্যান্ডলার চিকিৎসক-জঙ্গিদের তালিম দিয়েছিল, কীভাবে গোপনে ফোনালাপ করতে হয়, কীভাবেই বা এড়িয়ে চলতে হয় ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, তুরস্কের এই হ্যান্ডলারই মডিউলের কাজকর্ম ঠিক করে দিত, যাবতীয় নির্দেশও দিত ওই হ্যান্ডলাররা। উকাসার ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট খুঁজতে এবং আরও কোনও যোগাযোগের সূত্র পেতে বিদেশি ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির সাহায্য নিচ্ছেন গোয়েন্দারা (Delhi Blast)।

    পুলিশের স্ক্যানারে আরও এক চিকিৎসক

    এদিকে, লালকেল্লা বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় পুলিশের স্ক্যানারে রয়েছে আরও এক চিকিৎসকও। এই চিকিৎসক আর কেউ নয়, সে হল গ্রেফতার হওয়া চিকিৎসক আদিল আহমেদ রাঠির দাদা মুজাফফর। তদন্তকারীদের অনুমান, দিল্লি বিস্ফোরণে চিকিৎসক মেডিক্যাল টেরর মডিউলের বিদেশি যোগসূত্র ও অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী এই মুজাফফর। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রের খবর, পুলওয়ামার এই বাসিন্দা ভারতে মূল মডিউল ও তাদের পাক হ্যান্ডলারদের সঙ্গে সমন্বয়ের কাজ করত। গত অগাস্টে সে দুবাইয়ে চলে গিয়েছে (Ukase Turkiye)। এখন সে আফগানিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে কাজ করছে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে। তার হদিশ পেতে রেড কর্নার নোটিশ জারি করতে চাইছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। সেজন্য ইন্টারপোলের সাহায্য চেয়েছে তারা।

    ‘উকাসা’ শব্দের অর্থ

    গোয়েন্দারা জেনেছেন, তুরস্কের হ্যান্ডলার উকাসা আদতে একটি সাংকেতিক নাম। এক আধিকারিক জানান, আরবি ভাষায় ‘উকাসা’ শব্দের অর্থ হল ‘মাকড়সা’। পরিচয় গোপন করে বিদেশে বসে থেকে নাশকতা, জঙ্গি কার্যকলাপে আর্থিক মদত এবং মৌলবাদী কাজকর্মে ইন্ধন জোগাত এই উকাসা (Delhi Blast)। এই উকাসার সঙ্গে দেখা করতেই তুরস্কে গিয়েছিল মুজাফফরও। তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে বৈঠকে বসে অপারেশন ও ফান্ডিংয়ের রুটম্যাপ ঠিক করা হয়। অনুমান, সেখানেই কষে নেওয়া হয়েছিল লালকেল্লায় বিস্ফোরণের মতো একাধিক বড় নাশকতার ছক। পুলিশ সূত্রে খবর, ভাইকে জঙ্গি কার্যকলাপে টেনে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল (Ukase Turkiye) মুজাফফর। ভাইয়ের সঙ্গে উমর, মুজাম্মিল সাকিল ও মৌলবি ইরফানের সঙ্গেও যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিল সে-ই। একের পর এক সহযোগীর গ্রেফতারির প্রেক্ষিতে উমরকে দিল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর নির্দেশ দিয়েছিল মুজাফফর। ছিল, পুলওয়ামার ধাঁচে নাশকতার নির্দেশও।

    স্লিপার সেলে নিয়োগ

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, উকাসাই উমরদের পরিচালনা করত। কীভাবে স্লিপার সেলে নিয়োগ করতে হবে, কীভাবেই বা ডিজিটাল তথ্য লোপাট করতে হবে, সেই সবই চিকিৎসক-জঙ্গিদের শিখিয়ে পড়িয়ে নিয়েছিল তুরস্কের ওই হ্যান্ডলার। তদন্তকারীদের অনুমান, ভারতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের যে ছক কষা হয়েছিল এবং সেই হামলার জন্য যে জঙ্গি মডিউল তৈরি করা হয়েছিল, সে ক্ষেত্রে উকাসার বড় ভূমিকা রয়েছে। তদন্তকারীরা উকাসা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা করছেন। পাক জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির সঙ্গে এই হ্যান্ডলারের কোনও যোগ ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। কীভাবে চিকিৎসক মডিউলকে উকাসা পরিচালনা (Delhi Blast) করছিল, এই উকাসা আসলে কে বা কারা, তাও জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।

    প্রসঙ্গত, ১০ নভেম্বর লালকেল্লার কাছে উমরের হুন্ডাই আই-২০ গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। এই গাড়িতেই ছিল চিকিৎসক-জঙ্গি উমর। তদন্তকারী সংস্থাগুলি এখনও পর্যন্ত ফরিদাবাদ থেকে ইকোস্পোর্টটি উদ্ধার করেছে। তল্লাশি চালানো হচ্ছে ব্রেজা গাড়িটির খোঁজে। আধিকারিকদের সন্দেহ, নিখোঁজ হওয়া গাড়িটিতে লুকানো থাকতে পারে বিস্ফোরক (Ukase Turkiye)।

  • Delhi Blast: বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বদলা নিতে ৬ ডিসেম্বর হামলার ছক কষেছিল জঙ্গিরা!

    Delhi Blast: বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বদলা নিতে ৬ ডিসেম্বর হামলার ছক কষেছিল জঙ্গিরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লার অদূরে বিস্ফোরণের (Delhi Blast) ঘটনায় ফের মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের (Babri Masjid Demolition) বদলা নিতে জঙ্গিরা ৬ ডিসেম্বর দিল্লি ও তার আশপাশে সিরিয়াল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটানোর নীল নকশা ছকেছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে এমনই খবর মিলেছে। জানা গিয়েছে, জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহভাজন জঙ্গি মডিউলই এই পরিকল্পনা করেছিল। চক্রের কয়েকজন চাঁই আগেই গ্রেফতার হয়ে যাওয়ায় ভেস্তে যায় জঙ্গিদের যাবতীয় প্ল্যান। সেই কারণেই তড়িঘড়ি ঘটানো হয় বিস্ফোরণ।

    প্রাণঘাতী বিস্ফোরণ (Delhi Blast)

    সোমবারের প্রাণঘাতী ওই বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন সাধারণ মানুষ। ধৃতদের জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, মডিউলটি মোট পাঁচটি ধাপে গোটা হামলাটা চালানোর ছক কষেছিল। প্রথম ধাপে জইশ ও আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দ যুক্ত সেল তৈরি করা। দ্বিতীয় ধাপে নুহ ও গুরুগ্রাম থেকে আইইডি তৈরির রাসায়নিক, বিস্ফোরক এবং কার্তুজ জোগাড় করা। তৃতীয় ধাপে ছিল আইইডি বানানো এবং সম্ভাব্য হামলার জায়গা রেকি করা। চতুর্থ ধাপে ষড়যন্ত্রীদের পরিকল্পনা ছিল, তৈরি আইইডি, বোমা সদস্যদের হাতে পৌঁছে দেওয়া। আর সব শেষে ছিল একই সঙ্গে দেশের ৬-৭টি জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানো। যাতে সহজে এই পরিকল্পনার কূল খুঁজে না পাওয়া যায়। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, প্রথমে ঠিক ছিল হামলা চালানো হবে অগাস্ট মাসে। কিন্তু প্রস্তুতিপর্বে দেরি হয়ে যাওয়ায় পাল্টে দেওয়া হয় তারিখ। তখনই ঠিক হয়, হামলা হবে ৬ ডিসেম্বর, বাবরি মসজিদ ভাঙার বর্ষপূর্তিতে।

    বাবরি মসজিদ

    প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভেঙে ফেলা হয় বাবরি মসজিদ। পরে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জমি হস্তান্তর হয় রাম মন্দির ট্রাস্টের হাতে। ২০২০ সালে শুরু হয় নতুন রাম মন্দির নির্মাণের কাজ। উদ্বোধন হয় ২০২৪ সালের মকর সংক্রান্তির পরে পরে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জইশ প্রধান মাসুদ আজহার বহুবার তার লেখা সাপ্তাহিক কলামে অযোধ্যা টার্গেট করার হুমকি দিয়েছিল। গোয়েন্দাদের অনুমান, জইশ প্রধান মাসুদ আজহার চায় বাবরি মসজিদ বিতর্ক খুঁচিয়ে ভারতে সম্প্রদায়িক অশান্তি তৈরি করতে। বহু বছর ধরেই তারা বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বদলা নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে (Delhi Blast)। জানা গিয়েছে, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বদলা নিতেই ছক কষেছিল জইশের হোয়াইট কালার মডিউল (Babri Masjid Demolition)। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, এনআইএর জেরায় সে কথা কবুলও করেছে ধৃতরা। তারাও জানিয়েছে, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বদলা নিতেই এই দিনটি বেছে নেওয়া হয়েছিল।

    নয়া সিসিটিভি ফুজেট

    এদিকে, লালকেল্লায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় সামনে এল নয়া সিসিটিভি ফুজেট। সেই ফুটেজে জঙ্গি চিকিৎসক উমর নবিকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের আগে তুর্কমান গেটের কাছে একটি মসজিদ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে জঙ্গি চিকিৎসক উমর। একাধিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিসিটিভি ফুটেজে উমরের উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দিল্লি পুলিশ। বিস্ফোরণস্থলের অদূরেই রয়েছে তুর্কমান গেট মসজিদ। সেই মসজিদেই গিয়েছিল উমর। মসজিদে কিছুটা সময় কাটানোর পর বের হয়ে গিয়েছিল। এখান থেকে গাড়ি নিয়ে চলে যায়।

    বিস্ফোরণের বিরাট পরিকল্পনা

    ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে মোট ৩২টি গাড়ি ব্যবহার করে ৬ ডিসেম্বর ওই বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত চিহ্নিত করা গিয়েছে ৪টি গাড়ি (Delhi Blast)। আই-২০ ছাড়াও একটি ব্রেজা, একটি সুইফট ডিজায়ার এবং একটি ফোর্ড ইকো স্পোর্টস কার উদ্ধার করা হয়েছে (Babri Masjid Demolition)। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পুরানো, সেকেন্ড বা থার্ড হ্যান্ড গাড়িই বেছে বেছে কেনা হত, যাতে পুলিশের পক্ষে গাড়িগুলি ট্রেস করা কঠিন হয়। হরিয়ানা ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লির প্রত্যন্ত এলাকা থেকে গাড়িগুলি কেনা হত।

    একযোগে বিস্ফোরণ ঘটানোর ছক

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জঙ্গিদের এই মডিউলটি দিল্লি, গুরগাঁও এবং ফরিদাবাদ জুড়ে একযোগে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য ২০০টিরও বেশি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন আইইডি তৈরি করার পরিকল্পনা করেছিল। আধিকারিকরা জানান, তাদের উদ্দেশ্য ছিল জনবহুল ও ধর্মীয় স্থানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করা (Delhi Blast)। নিখোঁজ বিস্ফোরকের খোঁজে এবং মডিউলের সঙ্গে যুক্ত সম্ভাব্য স্লিপার সেলগুলি শনাক্ত করতে বিভিন্ন রাজ্যে যৌথভাবে তদন্ত চালাচ্ছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, এই নেটওয়ার্কটির শেকড় উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং সীমান্তবর্তী চোরাচালান পথ পর্যন্ত বিস্তৃত। অবশিষ্ট (Babri Masjid Demolition) অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করে বড়সড় জঙ্গি হামলা চালানোর আশঙ্কায় সরকার সংবেদনশীল কাঠামো ও বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে জোরদার করেছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা (Delhi Blast)।

  • Delhi Blast: অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ভারতে ঢুকেছিল নেপাল, বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে!

    Delhi Blast: অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ভারতে ঢুকেছিল নেপাল, বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও খোঁজ নেই প্রায় ৩০০ কিলোগ্রাম অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের (Delhi Blast)। সোমবার দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণের পর তদন্তে নামেন গোয়েন্দারা। তার পরেই উঠে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য (Ammonium Nitrate Missing)। ফরিদাবাদ জঙ্গি মডিউল তদন্তের অধীনে পুলিশ এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ২ হাজার ৯০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে। বাকি চালানটির হদিশ মেলেনি এখনও। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক নিরাপত্তা উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে।

    নিখোঁজ বিস্ফোরকের সন্ধানে তল্লাশি (Delhi Blast)

    সূত্রের খবর, দেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার এখন প্রধান লক্ষ্যই হল ওই ৩০০ কিলোগ্রাম অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের সন্ধান ও উদ্ধার করা। এই পরিমাণ বিস্ফোরক যাদের কাছে রয়েছে তাদের চিহ্নিত করা। এ পর্যন্ত ওই সব সংস্থা বিভিন্ন গোপন আস্তানা থেকে প্রায় ৩ টন বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে। আধিকারিকদের অনুমান, এর কিছু অংশ এখনও অজানা কোনও জায়গায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে। সেই হারানো বিস্ফোরকের খোঁজেই দেশজুড়ে চলছে তল্লাশি অভিযান। তদন্তের সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক বলেন, “পরিস্থিতি এখনও সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়। বাকি উপাদানটি যেন কোনওভাবেই ব্যবহার না করা যায়, তা ঠেকাতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি প্রাণপণ করছে।”

    ভায়া বাংলাদেশ ও নেপাল 

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের চালানটি ভারতে এসেছিল বাংলাদেশ ও নেপালের সীমান্ত দিয়ে। গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিরা একটি সার কারখানা থেকে এই পদার্থটি চুরি করে সীমান্ত পেরিয়ে চোরাচালান করে এনেছিল (Ammonium Nitrate Missing)। সূত্রের খবর, মোট ৩,২০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক ভারতে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেই কারণেই পুরো রুটজুড়ে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি সতর্কবার্তা জারি করেছে (Delhi Blast)।

    অযোধ্যা ও বারাণসীতে হামলার ছক

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের মডিউল উত্তরপ্রদেশের ধর্মীয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান, যেমন অযোধ্যা ও বারাণসীতে হামলার পরিকল্পনা করেছিল। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অভিযুক্তদের মধ্যে শাহিন অযোধ্যায় একটি ‘স্লিপার মডিউল’ সক্রিয় করেছিল। এই শহরগুলির পাশাপাশি লালকেল্লা, ইন্ডিয়া গেট, সংবিধান ক্লাব, গৌরীশঙ্কর মন্দির, বড় রেলস্টেশন এবং শপিং মলগুলিও তাদের টার্গেটের তালিকায় ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ষড়যন্ত্রের ছক কষা হচ্ছিল ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই। তাদের লক্ষ্য ছিল ২৬/১১ মুম্বই হামলার ধাঁচে সিরিয়াল বিস্ফোরণ ঘটানো।

    উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন আইইডি

    তদন্তকারীদের মতে, এই মডিউলটি দিল্লি, গুরগাঁও এবং ফরিদাবাদ জুড়ে একযোগে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য ২০০টিরও বেশি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন আইইডি তৈরি করার পরিকল্পনা করেছিল। আধিকারিকরা বলছেন, তাদের উদ্দেশ্য ছিল জনবহুল ও ধর্মীয় স্থানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করা (Delhi Blast)। নিখোঁজ বিস্ফোরকের খোঁজে এবং মডিউলের সঙ্গে যুক্ত সম্ভাব্য স্লিপার সেলগুলি শনাক্ত করতে বিভিন্ন রাজ্যে যৌথভাবে তদন্ত চালাচ্ছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, এই নেটওয়ার্কটির শেকড় উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং সীমান্তবর্তী চোরাচালান পথ পর্যন্ত বিস্তৃত। অবশিষ্ট অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করে বড়সড় জঙ্গি হামলা চালানোর আশঙ্কায় সরকার সংবেদনশীল কাঠামো ও বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে জোরদার করেছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা (Ammonium Nitrate Missing)। সোমবার দিল্লির লালকেল্লা এলাকায় ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১২ জনের। ঘটনার তদন্তে নেমেছে এনআইএ-ও। তার পরেই আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বিস্ফোরক কোথায় গেল, তারও সন্ধান করছে এনআইএ (Delhi Blast)।

    কোথায় আরও দুই মহিলা চিকিৎসক

    এদিকে, শাহিন ছাড়াও তদন্তকারীরা খোঁজ করছেন আরও দুই মহিলা চিকিৎসকের। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাশ করেছে তারা। কাশ্মীরের অনন্তনাগ ও শ্রীনগরে চিকিৎসাও করেছে তারা। তবে এদের আসল উদ্দেশ্য ছিল, জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের হয়ে কাজ করা। সেই কাজ তারা করেও যাচ্ছিল গোপনে। শাহিন পুলিশের জালে পড়লেও, ওই দুই মহিলা চিকিৎসক অধরা। গোয়েন্দাদের অনুমান, এই দুই মহিলা চিকিৎসকই আদতে লিঙ্কম্যান। চমকের শেষ এখানেই নয়। গোয়েন্দারা এও জেনেছেন, ইস্তাম্বুল, দোঁহা থেকে তাদের কাছ থেকে ডিজিটাল ওয়ালেটে মোটা অঙ্কের টাকা ঢুকেছে (Delhi Blast)।

    ধর্ম প্রচারের আড়ালে আসলে যে জইশ এবং লস্করের জঙ্গি চাঁইরা একাধিকবার বাংলাদেশে গিয়েছিল, তা আগেই জানা গিয়েছিল। বাংলাদেশের (Ammonium Nitrate Missing) মাটি ব্যবহার করে দফতর খুলতে চাইছে আইএসআই। মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার সেই অনুমতিও দিয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, যেহেতু পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে এখন ভারতে ঢোকাটা জঙ্গিদের কাছে দুষ্কর, তাই বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে লক্ষ্যে পৌঁছতে চাইছে জঙ্গিরা (Delhi Blast)।

  • Delhi Blast: লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণ জঙ্গি হামলাই, সিলমোহর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

    Delhi Blast: লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণ জঙ্গি হামলাই, সিলমোহর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণ (Delhi Blast) জঙ্গি হামলাই। বুধবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে এমনই (Centre) জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সাফ জানিয়ে দিলেন, সোমবার দিল্লিতে যে বিস্ফোরণ ঘটেছিল, তা আসলে ছিল ঘৃণ্য সন্ত্রাসবাদী হামলাই।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (Delhi Blast)

    বুধবার দেশে ফিরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছুটে যান দিল্লির লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে। সেখানে তিনি দেখা করেন দিল্লি বিস্ফোরণে জখমদের সঙ্গে। এই হাসপাতালে এখনও অন্তত ২০ জনের চিকিৎসা চলছে। তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দেন, এই হামলার নেপথ্যে জড়িতদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের তদন্ত সংস্থাগুলি এই ষড়যন্ত্রের শেকড় পর্যন্ত যাবে। যারা এই ষড়যন্ত্রের জন্য দায়ী, তাদের সকলকে বিচারের আওতায় আনা হবে। একজনকেও ছেড়ে দেওয়া হবে না।” হাসপাতাল থেকে ফিরেই বিকেলে প্রধানমন্ত্রী যোগ দেন নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

    বৈঠকে নীরবতা পালন

    এদিন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আয়োজিত ওই বৈঠকের শুরুতেই দু’মিনিট ধরে নীরবতা পালন করা হয়। দিল্লির বিস্ফোরণে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এদিন পালন করা হয় নীরবতা। এরপর কেন্দ্রের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে নিন্দে করা হয় এই হামলার। ঘটনাটিকে দেশ বিরোধী শক্তির কাপুরুষোচিত আক্রমণ বলেও উল্লেখ করা হয়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত যে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে, তাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়। এই হামলাকে সন্ত্রাসবাদী হামলা বলেও উল্লেখ করা হয়। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রীরা। যাঁরা উদ্ধার কাজে সাহায্য করেছিলেন, তাঁদের এবং হাসপাতালের চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজের প্রশংসাও করা হয়। ওই হামলার পরে পরেই ভারতের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বার্তা পাঠায় বিভিন্ন দেশ। সেজন্য ওই দেশগুলিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয় কেন্দ্রের তরফে। অভিযুক্তদের ধরে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।

    আই-২০ গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

    সোমবার বিকেলে দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি হুন্ডাই আই-২০ গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের অভিঘাতে উড়ে যায় পার্কিংয়ে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি। কাচ ভেঙে যায় অকুস্থলের আশপাশের বাড়ি এবং দোকানেরও। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন বিদেশ সফরে, ভুটানে। সেখান থেকে ফিরেই প্রথমে যান হাসপাতালে, তার পরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সেই (Delhi Blast) বৈঠক শেষে সোমবারের ওই হামলাকে সন্ত্রাসবাদী হামলা বলে উল্লেখ করল সরকার। দিল্লির ঘটনার নেপথ্যে যে বড়সড় ষড়যন্ত্র রয়েছে, তা আগেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের বৈঠকে তাকে সরাসরি সন্ত্রাসবাদী হামলা বলেই দেগে দেওয়া হল (Centre)।

    বিস্ফোরণের আগে রেকি!

    এদিকে, ঘটনার পর গত ৪৮ ঘণ্টায় অনেকটাই এগিয়েছে তদন্ত। গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে। তাদের জেরা করে অনেক নতুন তথ্যও পাওয়া গিয়েছে। বুধবারই হরিয়ানার একটি গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছে অন্যতম অভিযুক্ত উমর নবির লাল রংয়ের চারচাকার একটি গাড়ি। এই উমরই বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া সাদা হুন্ডাই আই-২০ গাড়ির চালকের আসনে ছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের। বিস্ফোরণের আগে আগে এই গাড়িটি কোথায় কোথায় ঘুরেছিল, সেদিকেও নজরদারি করছেন গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, গাড়িটি এর আগে ঘুরেছিল দিল্লির দুই ব্যস্ততম এলাকা কনট প্লেস এবং ময়ূর বিহার। দিল্লির এই দুই এলাকায় আসার আগে গাড়িটি হরিয়ানাতেই ছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের। সূত্রের দাবি, গত ২৯ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ফরিদাবাদের আল-ফালাহ্ মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাসে পার্ক করা ছিল বিস্ফোরণে ব্যবহৃত সেই গাড়িটি। এর ঠিক পাশেই রাখা ছিল ধৃত চিকিৎসক মুজাম্মিল আহমেদের গাড়িও। জানা গিয়েছে, গাড়ির মালিক মুজাম্মিল হলেও, রেজিস্ট্রেশন ছিল মহিলা চিকিৎসক শাহিন শাহিদের নামে। প্রশ্ন হল, তাহলে কি বিস্ফোরণের আগে রেকি করতেই রাজধানীর জনবহুল এলাকাগুলিতে ঘুরপাক খেয়েছে (Delhi Blast) গাড়িটি? লালকেল্লা ছাড়াও রাজধানীর অন্য কোথাও কি আত্মঘাতী হামলার ছক কষেছিল জঙ্গিরা? যদিও দিল্লি বিস্ফোরণের নেপথ্যে আত্মঘাতী হামলার সুস্পষ্ট প্রমাণ এখনও মেলেনি।

    উধাও হয়ে গিয়েছিল মহিলা চিকিৎসক

    লালকেল্লার বাইরে বিস্ফোরণের ঠিক আগে লখনউ থেকে গ্রেফতার করা হয় শাহিন সিদ্দিকি নামে এক মহিলা চিকিৎসককে। তার গাড়িতেও মিলেছে আগ্নেয়াস্ত্র (Centre)। তদন্তকারীদের অনুমান, শাহিন ও তার সঙ্গী মুজাম্মিলের সঙ্গে সরাসরি যোগ থাকতে পারে দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের। কানপুরের জেএসভিএম মেডিক্যাল কলেজে পড়াত শাহিন। ২০১৩ সালে আচমকাই উধাও হয়ে যায়। ২০২১ সালে তাকে বরখাস্ত করেন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। গোয়েন্দাদের ধারণা, সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগাযোগ হওয়ায় গায়েব হয়ে গিয়েছিল শাহিন। জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের মহিলা শাখা জামাত-উল-মোমিনীনের ভারতের প্রধান করা হয় তাকে। সে কাজ করত মাসুদ আজহারের বোন সাদিয়া আজহারের সঙ্গে শলা করে। লখনউয়ের যে বাড়িতে শাহিন থাকত, সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাঁর ভাই পারভেজ আনসারিকেও (Delhi Blast)। শ্রীনগরে জইশ-ই-মহম্মদের সমর্থনে পোস্টার সাঁটানোর অভিযোগে ধৃত আদিল মাজিদ রাথরের সঙ্গেও যোগ রয়েছে ফরিদাবাদের এই হাসপাতালের (Centre)। যদিও বুধবার ওই মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, তারা সন্ত্রাসবাদীদের আখড়া নয়। ধৃত কিংবা আটক সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্কই নেই।

  • Manipur: মণিপুরে ‘অপারেশন খানপি’, খতম ৪ কুকি জঙ্গি

    Manipur: মণিপুরে ‘অপারেশন খানপি’, খতম ৪ কুকি জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে খতম চার কুকি জঙ্গি। মণিপুরের (Manipur) চূড়াচাঁদপুর জেলার ঘটনা। সোমবার ভোরে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও অসম রাইফেলস গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যৌথ অভিযান শুরু করে। ‘অপারেশন খানপি’ নামের এই অভিযান চালানো হয় জেলা সদর থেকে পশ্চিমে প্রায় ৮০ কিমি দূরের খানপি গ্রামে। অভিযান শুরু হয় ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ। সেই সময় নিষিদ্ধ সংগঠন ইউনাইটেড কুকি ন্যাশনাল আর্মি (Kuki Terrorists)-র জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুটতে শুরু করে। নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা গুলি চালালে তীব্র সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ইউনাইটেড কুকি ন্যাশনাল আর্মির চার জঙ্গি নিকেশ হয়। ওই দলের বাকি জঙ্গিরা গা ঢাকা দেয় পাশের জঙ্গলে। ইউনাইটেড কুকি ন্যাশনাল আর্মি একটি নন-সাসপেনশন অফ অপারেশনস গোষ্ঠী, যারা সম্প্রতি ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি হিংসার ঘটনায় জড়িত। এর মধ্যে রয়েছে গ্রাম প্রধানকে হত্যা, সাধারণ মানুষকে হুমকি দেওয়া এবং এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা। আধিকারিকরা জানান, এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল সংগঠনের ক্রমবর্ধমান তৎপরতা দমন করা এবং স্থানীয় জনগণের ওপর সম্ভাব্য হামলা প্রতিরোধ করা।

    প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “৪ নভেম্বর ২০২৫ সালের সকালে গোয়েন্দা-তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানের সময় জঙ্গিরা বিনা উসকানিতে একটি সেনা কনভয়ের ওপর গুলি চালায়। পাল্টা অভিযানে চার সশস্ত্র জঙ্গিকে নির্মূল করা হয়েছে।” জানা গিয়েছে, ওই গ্রাম এবং আশপাশের এলাকায় চিরুনি ও ঘেরাও অভিযান চলছে। কোনও জঙ্গি যেন পালাতে না পারে, তাই এই তল্লাশি (Manipur)।

    প্রসঙ্গত, কুকি-জো গোষ্ঠীর বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে স্বাক্ষরিত অপারেশন স্থগিত (SOO) চুক্তির অংশ হলেও, ইউনাইটেড কুকি ন্যাশনাল আর্মি (Kuki Terrorists) এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি।  তাই তাদের কাজকর্মই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই অভিযান মণিপুরের সংঘাতে দীর্ণ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ (Manipur)।

  • Hindus: দেশে-বিদেশে বাড়ছে হিন্দু নির্যাতন, দেখুন এ সপ্তাহের ছবিটা

    Hindus: দেশে-বিদেশে বাড়ছে হিন্দু নির্যাতন, দেখুন এ সপ্তাহের ছবিটা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত তো বটেই, বিদেশেও হিন্দু (Hindus) এবং হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। দশকের পর দশক (Roundup Week) ধরে চলা এই আক্রমণের প্রকৃত গভীরতা এবং বিস্তার অগ্রাহ্য করে চলেছে বিশ্ব। তার জেরেই বাড়ছে হিন্দু নিধন কিংবা নির্যাতন। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশ-বিদেশের ছবিটা।

    প্যালেস্তাইনের সমর্থনে মিছিল (Hindus)

    সম্প্রতি অনুষ্ঠিত থিরুভোনমের দিনে উত্তর কেরালার কন্নুর জেলায় এক দল তরুণী প্যালেস্তাইনের সমর্থনে মিছিল করে। মিছিলটি আবার নিয়ে যাওয়া হয় কয়েকটি মন্দিরের সামনে দিয়ে। কেরালার কমিউনিস্ট শাসক এবং উন্মুক্ত চিন্তাবাদী অনুসারীরা ভারতবর্ষের অন্যান্য অঞ্চলে ধর্মনিরপেক্ষতার বাণী প্রচার করলেও, নিজের রাজ্যে ওড়ায় প্যালেস্তাইনের পতাকা, হামাস জঙ্গিদের সমর্থনে মিছিল হয়, যাহিয়া সিনওয়ার মতো ব্যক্তিদের জন্য জানাজা পড়া হয়, অথচ সেখানে পিনরাই বিজয়ন সরকার একটি ওনম পুক্কোলামে অপারেশন সিন্দুর লেখা শব্দটি কেটে দেয়। এদিকে, স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে বজরং দল জেনেছে, এক হিন্দু মহিলাকে বিয়ে করে হিন্দু নামধারী এক মুসলমান যুবক। মনীশ চৌধুরী নাম নিয়ে সে ওই মহিলাকে প্রতারণা করে।

    গণেশ বিসর্জনের শোভাযাত্রায় পাথর

    মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুর জেলার ভিরোদা গ্রামে গণেশ বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ইসলামি উগ্রবাদীরা পাথর ছোড়ে। পাথরের ঘায়ে জখম হন বেশ কয়েকজন। প্রেমিকার বাড়িতে গণেশপুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন অভিনেতা আলি গোনি। তাঁর অমুসলিম প্রেমিকা গণপতি বাপ্পা মোরিয়া বললেও, তিনি ছিলেন নীরব। তা নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়। প্রত্যুত্তরে আলি বলেন, “আমার ধর্মে পূজা করা নিষেধ। কোরআনেও এটি বলা হয়েছে। আমি প্রথমবার গণেশ পূজায় গিয়েছিলাম। আমাকে টার্গেট করা হয়েছে কারণ আমি মুসলিম। তবে কেউ যদি আমার সামনে গালাগালি করে, আমি তার গলা কেটে ফেলব।” তাঁর এই বক্তব্য ইসলামিক ফান্ডামেন্টালিজমের মানসিকতারই পরিচয় দেয়। কর্নাটকের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানো হয় গণেশ প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রায়। কোথাও মূর্তির ওপর থুতু ফেলা হয়, কোথাও আবার পাথর ছোড়া হয় মসজিদ থেকে। ওই ঘটনাগুলিতে সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ২১জনকে। ঘটনার প্রতিবাদে অংশ নেওয়া হিন্দুদের ওপর লাঠিচার্জও করা হয়েছে বলে অভিযোগ (Roundup Week)। মহারাষ্ট্রের কেশব নগরের গোদরেজ ইনফিনিটি হাউজিং সোসাইটিতে অবস্থিত শিব মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পবিত্র শিবলিঙ্গটি গাছের গোড়ায় উল্টে ফেলা হয়। তার ওপর ফেলা হয় নোংরা আবর্জনা। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় (Roundup Week)।

    এক মাসে নিখোঁজ ৫৬ জন মেয়ে

    অম্বেদকর নগর জেলায় মাত্র এক মাসে নিখোঁজ হয়েছেন ৫৬ জন মেয়ে। এঁদের অধিকাংশই হিন্দু অপ্রাপ্তবয়স্ক, তফশিলি জাতি ও দরিদ্র পরিবারের। পুলিশি রেকর্ড থেকেই জানা গিয়েছে, ১৮টি থানায় মোট ৫৬টি অপহরণের ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। তবে বেশ কিছু হিন্দু পরিবার সামাজিক কলঙ্কের ভয়ে অভিযোগ দায়ের করেনি। উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় এক হিন্দু মহিলাকে মিথ্যে পরিচয় দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ইহসান হুসেন। পরে তাঁকে জোর করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করা হয়। চেন্নাই থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ওই মহিলাকে (Hindus)।গোরখপুরের রামগড়তল এলাকায় বছর ছাব্বিশের এক হিন্দু মহিলাকে যৌন নিপীড়ন ও প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় শামশাদ আলম নামে এক ব্যক্তি। ওই মহিলার অভিযোগ, শামশাদ বিহারের বেতিয়া জেলার বাসিন্দা। ইনস্টাগ্রামে সে নিজেকে রাকেশ নিশাদ পরিচয় দিয়ে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শামশাদ তাঁর কাছ থেকে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা ও পরে বিদেশ যাওয়ার কথা বলে আরও ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় (Hindus)। অন্যদিকে, কেরল হাইকোর্ট কর্তৃক নিযুক্ত বিশেষ কমিশনারের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাচীন শবরীমালা মন্দিরের ভেতরে মণ্ডপের দু’পাশে যে দুজন দ্বারপাল রয়েছেন, আগাম অনুমতি ছাড়াই তাঁদের গা থেকে খুলে নেওয়া হয়েছে সোনার মোড়ক।

    লাভ জিহাদ

    ইনস্টাগ্রামে সানি বলে পরিচয় দিয়েছিল শানু নামের এক মুসলমান যুবক। সে তফশিলি জাতির এক মহিলাকে প্রতারণার জালে ফাঁসিয়ে ধর্ষণ করে। তদন্তে জানা গিয়েছে, শানু হিন্দু নামে নকল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট তৈরি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করত মহিলাদের। কথা বলার সময় সে এমন ভান করত যে সে যেন ওই মহিলার জাতি ও সম্প্রদায়ের লোক। এভাবে সে তাদের আস্থা অর্জন করে ফাঁদে ফেলত (Hindus)।মুম্বইয়ের বিক্রোলি পার্কসাইট এলাকায় এক অটোরিকশা চালক নীরজ উপাধ্যায়কে মুসলমানরা ‘সর তন থেকে জুয়া’ হুমকি দেয়। তিনি ছত্রপতি সাম্ভাজির নামফলক ঈদের পোস্টার দিয়ে ঢেকে ফেলার প্রতিবাদ করেন। তাই এই হুমকি।

    খালিস্তানপন্থী জঙ্গিকে নিরাপত্তা

    এবার তাকানো যাক বিশ্বের দিকে। ভারতের পড়শি দেশ নেপালে পশুপতিনাথ দর্শনে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে সর্বস্ব খুইয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের এক তীর্থযাত্রী দল। হামলাকারীরা বাসে পাথর ছোড়ে। যাত্রীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় ব্যাগ, নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন (Roundup Week)। কানাডা দীর্ঘদিন ধরেই খালিস্তানপন্থীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে। সম্প্রতি সে দেশের সরকার খালিস্তানপন্থী জঙ্গি ইন্দরজিৎ গোসলকে সুরক্ষা দিয়েছে। সে ব্র্যাম্পটন হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনায় যুক্ত ছিল (Hindus)।

  • Lashkar E Taibas: পাক মদতে লস্কর ফের তৈরি করছে ‘অপারেশন সিঁদুরে’ গুঁড়িয়ে দেওয়া সদর দফতর

    Lashkar E Taibas: পাক মদতে লস্কর ফের তৈরি করছে ‘অপারেশন সিঁদুরে’ গুঁড়িয়ে দেওয়া সদর দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) অভিযান চালিয়ে জঙ্গিঘাঁটি ভেঙে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। তার পর কিছুদিন ভয়ে গুটিয়ে ছিল জঙ্গিরা। অভিযোগ, পাকিস্তানের মদত পেয়ে তারা ফের মাথা তুলেছে। ওই অভিযানে পাক পাঞ্জাবের মুরিদকে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar E Taibas) সদর দফতর মার্কাজ তায়েবা। ধ্বংসপ্রাপ্ত সেই সদর দফতর পুনর্নিমাণে ফের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে পাক মদতপুষ্ট এই জঙ্গি সংগঠন। এই তথ্য জানা গিয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে প্রাপ্ত একটি রিপোর্টে।

    অপারেশন সিঁদুর (Lashkar E Taibas)

    পাকিস্তানের সময় অনুযায়ী, ওই দিন রাত ১২টা ৩৫ মিনিট নাগাদ ভারতীয় মিরাজ বিমান পাঞ্জাব প্রদেশের গভীরে ঢুকে মার্কাজ তায়েবা ক্যাম্পাসের ১.০৯ একর এলাকায় তিনটি প্রধান কাঠামোর ওপর বিমান হামলা চালায়। টার্গেটে ছিল, একটি লাল রংয়ের বহুতল ভবন, যেটি ব্যবহৃত হত ক্যাডারদের ব্যবস্থাপনা ও অস্ত্রসংগ্রহের জন্য, এবং হলুদ রংয়ের দুটি ভবন যেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হত এবং সংগঠনের সিনিয়র কমান্ডারদের আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হত। অপারেশন সিঁদুরের জেরে ওই তিনটি ভবনেরই ধ্বংসাবশেষ ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের এই হামলা লস্করের পরিকাঠামোর ওপর ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর সব চেয়ে বিধ্বংসী আঘাত। সূত্রের খবর, ১৮ অগাস্ট লস্কর-ই-তৈবা ভারী যন্ত্রপাতি মোতায়েন করে ধ্বংসাবশেষগুলি সরিয়ে ফেলে। লস্করের ক্যাডারদের দেখা গিয়েছে, ধ্বংসাবশেষ সরানোর তদারকি করতে।

    পুনর্নির্মিত ভবনের উদ্বোধন ফেব্রুয়ারিতে!

    সূত্রের খবর, বর্তমানে এই জঙ্গি গোষ্ঠীর নজর আগামী বছরের ৫ ফেব্রুয়ারির দিকে। ফি বছর এই দিনটি পালিত হয় ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’ হিসেবে। এই দিনেই উদ্বোধন করা হতে পারে পুনর্নির্মিত ভবনের। এদিনই হতে পারে লস্করের বার্ষিক সম্মেলনও। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পুনর্নির্মিত মার্কাজ ফের প্রশিক্ষণ, আদর্শায়ন এবং অপারেশনাল পরিকল্পনার কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। সদর দফতর পুনর্নির্মাণের কাজ ব্যক্তিগতভাবে তত্ত্ববধান করছেন মাওলানা আবু জার। তিনি মার্কাজ তৈবার পরিচালক এবং লস্করের প্রধান প্রশিক্ষক। তিনি উস্তাদ উল মুজাহিদ্দিন হিসেবেও পরিচিত। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ইউনূস শাহ বুখারিও। অপারেশনাল তত্ত্বাবধানে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বুখারি (Lashkar E Taibas)।

    জঙ্গি গোষ্ঠীটির অস্থায়ী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

    জানা গিয়েছে, এই জঙ্গি গোষ্ঠীটি অস্থায়ীভাবে তাদের প্রশিক্ষণ শাখাগুলিকে বাহাওয়ালপুরের মারকাজ আকসায় এবং পরে কাসুর জেলার পাটোকির মারকাজ ইয়ারমুকে স্থানান্তরিত করেছে (Operation Sindoor)। এর নেতৃত্বে ছিলেন উপ-প্রধান সাইফুল্লাহ কাসুরির বিশ্বস্ত সহযোগী আবদুল রশিদ মহসিন। ডসিয়ার অনুসারে, ইসলামাবাদ প্রকাশ্যে লস্কর-ই-তৈবা এবং জৈশ-ই-মহম্মদের (জেইএম) ধ্বংস হওয়া কার্যালয়গুলির জন্য আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এগুলিই ধ্বংস হয়েছিল অপারেশন সিন্দুরে। অগাস্ট মাসে লস্কর-ই-তৈবা পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে ৪ কোটি টাকা পেয়েছে। অনুমান, ওই ভবনগুলি তৈরি করতে খরচ হবে ১৫ কোটি টাকারও বেশি। এই আর্থিক ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে বন্যা ত্রাণ কর্মসূচি তহবিলের আড়ালে অর্থ সংগ্রহ করেছে লস্কর। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তানের এহেন আচরণ মুখোশ খুলে দিয়েছে ইসলামাবাদের ভন্ডামির। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তারা দাবি করছে, পাকিস্তান উগ্রপন্থার শিকার, যদিও রাষ্ট্র স্বয়ং অর্থায়ন করে চলেছে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে (Lashkar E Taibas)।

    পাকিস্তানের দ্বিচারিতা

    ২০০৫ সালে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) ভূমিকম্পের পরে লস্কর (সেই সময় জামাত-উদ-দাওয়া নামে পরিচিত ছিল) মানবিক সাহায্যের নামে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। পরবর্তীকালে জানা যায় যে, সংগৃহীত অর্থের  ৮০ শতাংশই জঙ্গিঘাঁটি গড়তে খরচ করা হয়েছে। এর মধ্যে কোতলি অঞ্চলে অবস্থিত মার্কাজ আব্বাস নির্মাণও ছিল, অপারেশেন সিঁদুরে যেটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।অপারেশন সিঁদুরের কৌশলগত সাফল্যের পরেও, লস্করের দ্রুত উত্থান তার মজবুত সংগঠনেরই প্রমাণ দেয়, যে গোষ্ঠীতে নিয়মিত অর্থায়ন করে চলে রাষ্ট্র নিজে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে মার্কাজ পুনর্নির্মাণের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করেছে (Operation Sindoor)। এটি প্রতিরোধ ও প্রচারের কাজ করবে। নিশ্চিত করবে পাকিস্তানের ভারতের বিরুদ্ধে প্রক্সি যুদ্ধে তার কেন্দ্রীয় ভূমিকা। লস্করের প্রক্সি ফ্রন্টগুলির বিস্তার দ্য রেসিস্ট্যান্স ফ্রন্ট, পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট, কাশ্মীর টাইগার্স এবং মাউন্টেন ওয়ারিওর্স অফ কাশ্মীর – একদিকে যেমন পাকিস্তানকে অস্বীকার করার সুযোগ করে দেয়, তেমনি অন্য দিকে ভারত-বিরোধী হিংসার ধারাবাহিকতাকে নিশ্চিত করে (Lashkar E Taibas)।

    ইসলামাবাদের অর্থায়ন

    মুরিদকের এই ঘটনা পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা ও জঙ্গি সংগঠনগুলির মধ্যের গভীর সম্পর্কের সুস্পষ্ট নিদর্শন। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ করার বদলে, ইসলামাবাদের অর্থায়ন, সাহায্য এবং উদাসীনতা নিশ্চিত করে যে লস্করের মতো গোষ্ঠীগুলি শুধু টিকে থাকবে না, বরং আরও ডালপালা বিস্তার করবে। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার দিন পনেরো পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত (Lashkar E Taibas)।

  • Terrorists Arrested: ভারতব্যাপী জঙ্গি মডিউলের পর্দা ফাঁস, দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার ৫

    Terrorists Arrested: ভারতব্যাপী জঙ্গি মডিউলের পর্দা ফাঁস, দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যান-ইন্ডিয়া বা দেশব্যাপী একটি জঙ্গি মডিউলের পর্দা ফাঁস (Terrorists Arrested) করল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। অভিযোগ, পাকিস্তান-ভিত্তিক (Khilafat Model) হ্যান্ডলারের নির্দেশে পরিচালিত হচ্ছিল এই মডিউল। লক্ষ্য ভারতে খিলাফত শৈলীর শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। এই অভিযোগে দেশের চার রাজ্য থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মোট পাঁচজনকে। এরা হল আশহার দানিশ, সুফিয়ান আবুবকর খান, আফতাব আনসারি, হুজাইফা ইয়ামান এবং কামরান কুরেশি।

    খিলাফত-শৈলীর গ্রুপ গঠনের পরিকল্পনা (Terrorists Arrested)

    অতিরিক্ত কমিশনার (স্পেশাল সেল) প্রমোদ কুশওয়াহা জানান, এই গোষ্ঠী একটি দুই পর্বের পরিকল্পনা করেছিল। প্রথমত, ‘লস্কর’ নামে একটি খিলাফত-শৈলীর সংগঠন গঠন করা, এবং পরবর্তী কালে ইসলামের বিকৃত ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করে ‘গাজওয়া-এ-হিন্দ’-এর অনুপ্রেরণায় ভারতে জিহাদ শুরু করা। তিনি বলেন, “তারা প্রথম ধাপে নিজেদের খিলাফত-শৈলীর একটি গ্রুপ গঠনের পরিকল্পনা করছিল। এরপর তারা গাজওয়া-এ-হিন্দ ধারণা অনুসরণ করে জিহাদ চালিয়ে যেতে চেয়েছিল, যার মধ্যে লক্ষ্যভিত্তিক হত্যাকাণ্ডও অন্তর্ভুক্ত।” পুলিশ অভিযুক্তদের কাছ থেকে সন্দেহজনক ও বিপজ্জনক পদার্থ বাজেয়াপ্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে গন্ধক গুঁড়ো, গন্ধক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড, সোডিয়াম বাইকার্বোনেট, পিএইচ লেভেল চেকার, বল বিয়ারিংস এবং ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) তৈরি করতে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপাদান। এর পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে তার, মাদারবোর্ড, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজও।

    ১১ জন আটক

    জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোট ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। যদিও গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচজনকে। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিল আশহার দানিশ। সে রাঁচির বাসিন্দা। সে নিজেকে একজন পেশাদার কোম্পানি পরিচালনা করা ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিত। জনসমক্ষে সে নিজেকে ‘সিইও’ হিসেবেও পরিচয় দিত। তবে ঘনিষ্ঠ মহলে সে পরিচিত ছিল ‘গাজওয়া নেতা’ নামে। এই গোষ্ঠী একটি এনজিও পরিচালনার অছিলায় জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা করছিল। কুশওয়াহা বলেন, “এরা অত্যন্ত উগ্রপন্থী ব্যক্তি যারা একটি ঘনিষ্ঠ অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীর মাধ্যমে কাজ করত।”  সূত্রের খবর (Khilafat Model), রাঁচি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আশহার দানিশকে। সুফিয়ান আবুবকর খান এবং আফতাব আনসারিকে ধরা হয়েছে দিল্লি থেকে। তেলঙ্গানার নিয়াজাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয় হুজাইফা ইয়ামানকে। আর মধ্যপ্রদেশের রাজগড় থেকে পাকড়াও করা হয়েছে কামরান কুরেশিকে (Terrorists Arrested)।

    ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক ডিভাইস

    দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক ডিভাইস তৈরি মায় কার্তুজ তৈরির প্রশিক্ষণও নিয়েছে। তদন্তকারীরা সন্দেহভাজনদের কাছ থেকে কিছু ‘অপরাধমূলক ছবি’-ও উদ্ধার করেছে। পুলিশের মতে, দলটি স্বীকার করেছে যে তাদের হ্যান্ডলার অনলাইনে আইইডি তৈরির নির্দেশ দিচ্ছিল এবং বোমা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন রাসায়নিক এবং উপাদান সংগ্রহের নির্দেশও দিয়েছিল (Terrorists Arrested)। কুশওয়াহা বলেন, “এটি একটি দেশীয় অভিযান ছিল।” ধৃতদের স্বাধীনভাবে অস্ত্র সংগ্রহ এবং আইইডি তৈরির নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল (Khilafat Model)। দেওয়া হয়েছিল কার্তুজ তৈরির নির্দেশও। তাদের কাছ থেকে কিছু সন্দেহজনক স্কেচও উদ্ধার করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ সাম্প্রদায়িক প্রচার, ধর্মীয় বৈষম্য উস্কে দেওয়া এবং অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় বিভিন্ন সংস্থা ধৃতদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা ডিজিটাল ডিভাইসগুলি বিশ্লেষণ করছে। জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক শনাক্ত করতে এবং সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক যোগসূত্র খুঁজে বের করতেই বিশ্লেষণ করা হচ্ছে উদ্ধার হওয়া ডিজিটাল ডিভাইসগুলি (Terrorists Arrested)। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের গ্রেফতারের ফলে দেশে একটি বড়সড় জঙ্গি হামলা ঠেকানো সম্ভব হয়েছে।

    আইইডি এবং অন্যান্য বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, ধৃতেরা পরস্পরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানা থেকে যে তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের কাছ থেকে আইইডি এবং অন্যান্য বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই দলটিকে পরিচালনা করছিল দানিশ। পাকিস্তানের হ্যান্ডলাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁর। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত তারা। ভারতে যুব সম্প্রদায়ের মগজধোলাই করে জঙ্গি কার্যকলাপে উদ্বুদ্ধ করার কাজ করত ধৃতেরা। শুধু তা-ই নয়, জঙ্গি দলে নিয়োগের দায়িত্বও ছিল ধৃতদের ওপর। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ এও জেনেছে, দিল্লি এবং এনসিআর-সহ দেশের নানা জায়গায় নাশকতার ছক কষা হয়েছিল (Terrorists Arrested)। পুলিশের অনুমান, ধৃতেরা আল কায়দা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট মডিউলের সঙ্গে জড়িত (Khilafat Model)।

LinkedIn
Share