Tag: TET SCAM

TET SCAM

  • TET Scam: ফের পরীক্ষায় বসতে পারবে ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট অনুত্তীর্ণরা, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    TET Scam: ফের পরীক্ষায় বসতে পারবে ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট অনুত্তীর্ণরা, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের টেট পরীক্ষা (TET Scam) নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আজ নির্দেশ দিয়েছেন যে ২০১৪ এবং ২০১৭-র অনুত্তীর্ণরা ফের টেট পরীক্ষা দিতে পারবেন। ২১ জন টেট অনুত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীকে এই সুযোগ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অর্থাৎ ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট অনুত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা।

    কয়েকদিন আগেই ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ অবস্থানে শহর জুড়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। চাকরি চুরির প্রতিবাদ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে পড়ে গোটা রাজ্য। আর তারই মাঝে আবার নতুন করে টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। ফলে এরও প্রতিবাদে আরও আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়িয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। আর এবারে টেট পরীক্ষায় বসা নিয়ে বড় নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি ২০১৪ এবং ২০১৭-র পরীক্ষার্থীদের টেট পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গি ইস্যুতে বিজেপির পুরসভা অভিযানে ধুন্ধুমার, আটক অগ্নিমিত্রা, সজল সহ একাধিক নেতা

    মামলাকারিদের দাবি ছিল, ২০১৭ এর টেটে এই প্রার্থীরা ১৫০ এর মধ্যে ৮২ নম্বর পেয়েছেন। ফলে এরা গড়ে ৫৪.৬৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। নিয়ম অনুসারে ৫৪.৬৭ কে ৫৫ নম্বর হিসাবে গণ্য করতে হবে। কারণ গাণিতিক নিয়ম অনুসারে, দশমিকের পরের অঙ্ক ৫-এর ওপরে থাকলেই তা পরের নম্বর হিসাবে গণ্য করা হবে। আর এদিকে ৫৫ পেলেই এরা যোগ্য প্রার্থী হিসাবে মান্যতা পাবেন। মামলাকারীদের আরও দাবি, ২০১৭ সালেও ৮ টি প্রশ্ন ভুল ছিল, যা নিয়ে মামলা বিচারাধীন।

    আর এরপরেই ১৬ জন পরীক্ষার্থীর মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন যে, ২০১৪ সালের ৫ জন এবং ২০১৭ সালের ১৬ জন, মোট ২১ জন অংশ নিতে পারবেন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। এরা সকলেই অনুত্তীর্ণ বলে জানিয়েছিল পর্ষদ। প্রসঙ্গত, চাকরির দাবিতে তুমুল আন্দোলন চলছে রাজ্য জুড়ে। কোটি কোটি টাকা নিয়ে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছেন আন্দোলনকারীরা। কয়েকদিন আগে করুনাময়ীতে পর্ষদের অফিসের পাশে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন তাঁরা। চাকরি না নিয়ে বাড়ি যাবেন না এই দাবিতে অনশন শুরু করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু টানা অনশন করার পর পুলিশ তাঁদের জোর করে সেখান থেকে তুলে দেয়। এমনকি আদালতের নির্দেশে ১৪৪ ধারা জারি করে রাতারাতি আন্দোলনকারীদের তুলে দেওয়া হয় করুনাময়ী থেকে। আবার  এরই মাঝে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল আদালত।

  • TET Scam: লোক পাঠিয়ে ২১ কোটি টাকার তোলাবাজি করেছেন মানিক, বিস্ফোরক তাপস

    TET Scam: লোক পাঠিয়ে ২১ কোটি টাকার তোলাবাজি করেছেন মানিক, বিস্ফোরক তাপস

    মাধ্যমিক নিউজ ডেস্ক: লোক পাঠিয়ে তোলা তুলতেন রাজ্যের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। ইডি (ED) দফতরে গিয়ে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal)। বুধবার শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজগুলির অফলাইন রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের হিসাব দিতে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের দফতরে হাজিরা দেন তাপস। তিনি দাবি করেন, অফলাইনে রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে প্রার্থী পিছু পাঁচ হাজার টাকা করে নিতেন মানিক। ইডি দফতরে এদিন তাপস বলেন, “মানিক লোক পাঠিয়ে দিতেন। আমার কর্মীরা বলেছে, অফিস থেকে ফাইল ও টাকা যেত। উনি লোক পাঠাতেন মানে ওনার কাছেই যেত। অফলাইনে প্রাপ্য তো দিতেই হত।” 

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজগুলিতে অনলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া চলত। সেই ভর্তি প্রক্রিয়ার জন্য ফি অনলাইনেই নেওয়া হত। তবে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পর যে আসন খালি থাকত, সেগুলিতে অফলাইনে ভর্তি নেওয়া হত। সেই অফলাইন ভর্তির ক্ষেত্রেই এই টাকা নিত কলেজগুলি। যার কাটমানি যেত তৃণমূল নেতাদের কাছেও। এই সন্দেহ আগেই করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই সন্দেহ থেকেই তাপসের মহিষবাথানের অফিসে ইডি গত ১৫ অক্টোবর অভিযান চালিয়েছিল। ওই অফিস থেকে বেশ কিছু নথিও উদ্ধার করে তারা। তারপরেই সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয় তাপস মণ্ডলকে। বুধবার দুপুর প্রায় পৌনে ১২ টা নাগাদ ইডি অফিসে হাজিরা দেন তিনি। এই নিয়ে চতুর্থবার ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন তাপস।  

    আরও পড়ুন: অন্য দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা উচিৎ, এসসিও বৈঠকে চিনকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    এদিন ইডি দফতরে ঢোকার আগে তাপস মণ্ডল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ডকুমেন্টস নিয়ে এসেছি। অফলাইনে ভর্তির যে তথ্য চেয়েছেন, সেগুলো দিতে যাচ্ছি। অফিস থেকে মানিকবাবু লোক পাঠিয়ে দিতেন। আমার কর্মীরা তাই বলেছেন। অফিস থেকে ফাইল এবং টাকা যেত। উনি লোক পাঠাতেন মানে ওনার কাছেই যেত। অফলাইনে ফিসটা তো দিতেই হত।” ইডি সূত্রে খবর, ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ২১ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল। অফলাইনে ভর্তির জন্য পড়ুয়া পিছু ৫ হাজার টাকা নেওয়া হত। 

    প্রসঙ্গত, তাপস মণ্ডলের সংস্থা ‘মিনার্ভা এডুকেশনাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’ আপাতত ইডির স্ক্যানারের নিচে। এই সংস্থার অধীনে সাতটি পলিটেকনিক এবং আইটিআই কলেজ রয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। সূত্রের খবর, মানিক-পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্যের সংস্থার সঙ্গে ৫৩০টি বেসরকারি বিএড, ডিএলএড কলেজের মানোন্নয়নের জন্য যে ২.৬৪ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল, সেই সম্পর্কে তাপসের কাছে জানতে চাইতে পারে ইডি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TET Scam: ২১ জন নয়, ২০১৪-১৭-র ‘লক্ষাধিক’ টেট অনুত্তীর্ণ পরীক্ষায় বসতে পারবেন! কী নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট?

    TET Scam: ২১ জন নয়, ২০১৪-১৭-র ‘লক্ষাধিক’ টেট অনুত্তীর্ণ পরীক্ষায় বসতে পারবেন! কী নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুমাত্র ২১ জন নয়, ২০১৪ ও ২০১৭-র লক্ষাধিক টেট অনুত্তীর্ণরা অংশ নিতে পারবেন ২০২২ সালের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় (Tet Scam)। অর্থাৎ শুধুমাত্র মামলাকারির ২১ জন নয়, লক্ষাধিক টেট অনুত্তীর্ণরা পরীক্ষায় ফের বসতে পারবেন। এমনটাই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে এক্ষেত্রে সংরক্ষিত বিভাগের চাকরিপ্রার্থীরাই এই সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গতকাল টেট পরীক্ষা নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেওয়ার পরেই আজ ফের এক বড় নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

    গতকাল, ২১ জন পরীক্ষার্থীর মামলার (Tet Scam) প্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, ২০১৪ সালের ৫ জন এবং ২০১৭ সালের ১৬ জন, মোট ২১ জন অংশ নিতে পারবেন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। এরা সকলেই অনুত্তীর্ণ বলে জানিয়েছিল পর্ষদ। কিন্তু আজই এই নির্দেশ যে, এই পরীক্ষায় সমস্ত অনুত্তীর্ণরাই সুযোগ পাবেন, তবে কেবলমাত্র সংরক্ষিত বিভাগের চাকরিপ্রার্থীরাই।

    আরও পড়ুন: ৫০% নয়, ৪৫% নম্বর থাকলেই বসা যাবে প্রাইমারি টেটে, নয়া ঘোষণা পর্ষদের

    চাকরি চুরির প্রতিবাদ বিক্ষোভে (Tet Scam) উত্তাল হয়ে পড়েছে গোটা রাজ্য। আর তারই মাঝে আবার নতুন করে টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। আবার ২০১৪ ও ২০১৭-র  টেটে ‘অনুত্তীর্ণ’ এই প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার জন্য ফর্ম পূরণ করার অনুমতিও দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শূন্য়পদের সংখ্যা এগারো হাজারেরও বেশি।

    প্রসঙ্গত, মামলাকারিদের দাবি ছিল, টেটে ‘অনুত্তীর্ণ’ এই প্রার্থীরা ১৫০-এর মধ্যে ৮২ নম্বর পেয়েছে। যার অর্থ, এরা গড়ে ৫৪.৬৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। এখন এই ৫৪.৬৭-কে ৫৫ নম্বর হিসাবে গণ্য করতে হবে। এর পাশাপাশি, মামলাকারিদের আরও একটি দাবি রয়েছে। তাঁদের দাবি, ২০১৭ সালের প্রশ্নেও ৮টি প্রশ্ন ভুল ছিল, যা নিয়ে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ফলে প্রার্থীদের নম্বর আরও বাড়তেই পারে। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্ট থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ২০১৪ এবং ২০১৭-র টেটের যে চাকরিপ্রার্থীরা পরীক্ষায় ৮২ পেয়েছেন, তাঁরা সবাই অংশগ্রহণ করতে পারবেন ২০২২-এর নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। ফলে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ, একাধিক মামলা ইত্যাদির মাঝে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া (Tet Scam) সুষ্ঠুভাবে হবে কিনা সেদিকেই তাকিয়ে গোটা রাজ্যবাসী।

  • TET Scam: বয়স পেরিয়ে গেলেও চাকরি দিতে হবে! টেট নিয়োগ নিয়ে পর্ষদকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    TET Scam: বয়স পেরিয়ে গেলেও চাকরি দিতে হবে! টেট নিয়োগ নিয়ে পর্ষদকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট (Primary TET) নিয়োগ দুর্নীতির শিকার চাকরি প্রার্থীদের বয়স পেরিয়ে গেলেও ইন্টারভিউ নিতে হবে। পর্ষদের ভুলের খেসারত পর্ষদকেই দিতে হবে। এর দায় চাকরিপ্রার্থীদের নয়। সোমবার একথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। এই নির্দেশ দিতে গিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ভর্ৎসনাও করেছেন তিনি। বিচারপতি বলেন, ‘‘প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দুর্নীতি ও অসদাচরণের জন্য বিখ্যাত। কয়েক জনের অপদার্থতায় যোগ্যরা সুযোগ পায় না।’’

    আরও পড়ুন : পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র

    এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় টেটের ছয় নম্বর প্রশ্ন ভুল মামলায় বয়স পেরিয়ে যাওয়া এক ব্যক্তির নতুন করে ইন্টারভিউ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলাকারী নেফাউর শেখ ২০১৪ সালে পরীক্ষা দেন। ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যায়। কিন্তু তিনি উত্তীর্ণ হতে পারেননি। পরে তিনি ছয় নম্বর প্রশ্ন ভুল ছিল বলে মামলা করেন। এরপর বোর্ড ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে জানায় তিনি ছয় নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু ততদিনে নেফাউরের বয়স পেরিয়ে গিয়েছে। এরপর বোর্ডের ভুলে তাঁর নিয়োগ থমকে যাওয়ার অভিযোগ তুলে ফের মামলা করেন নেফাউর। সোমবার সেই মামলারই রায় দিলেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরেও চলতে পারে তৃণমূলের কাটমানি, সিন্ডিকেট-রাজ! আশঙ্কা খোদ রাজ্য প্রশাসনের

    এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভুল প্রশ্ন থেকে পাওয়া নম্বরে উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও যাঁরা বয়স পেরিয়ে যাওয়ায় ইন্টারভিউয়ে বসতে পারেননি, তাঁদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করতে হবে।’’ দরকারে উত্তীর্ণ অথচ বয়স পেরিয়ে যাওয়া এই প্রার্থীদের জন্য পর্ষদকে ইন্টারভিউ বোর্ড গঠন করতে হবে বলেও জানান তিনি। তাঁর নির্দেশ, ২০১৬’র গাইডলাইন অনুযায়ী চার সপ্তাহের মধ্যে ইন্টারভিউ নিতে হবে। তাতে উত্তীর্ণ হলে চাকরি দিতে হবে নেফাউরকে। বিচারপতি আরও জানিয়েছেন, তাঁকে প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী হিসেবে ধরা হবে। বোর্ডকে রিপোর্ট জমা করার জন্য ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। বিচারপতির কথায় নিয়োগ সমস্যা যখন হয়েছে পর্ষদের ভুলে তখন তা শুধরে নেওয়ার দায়িত্বও পর্ষদেরই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Manik Bhattacharya: খাদ্য দফতরের অস্থায়ী কর্মী মানিক পুত্র সৌভিক! বেতন এক লক্ষেরও বেশি! কী করে সম্ভব?

    Manik Bhattacharya: খাদ্য দফতরের অস্থায়ী কর্মী মানিক পুত্র সৌভিক! বেতন এক লক্ষেরও বেশি! কী করে সম্ভব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) অস্বস্তি আরও বেড়ে গেল।  এবারে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের ছেলে সৌভিকের নামে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে এসেছে। ইডির আধিকারিকরা দাবি করেছেন, ফুড অ্যান্ড সাপ্লাই-এর আইটি বিভাগের রিফর্ম সেলের অস্থায়ী ডাটা অপারেটর বিভাগের টিম লিডার ছিল মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্য। তবে সবার থেকে অবাক করা বিষয় হল তাঁর বেতন। কারণ যেখানে সমস্ত ডেটা অপারেটররা বেতন পান ১০-১৩ হাজার টাকা, কিন্তু সৌরভ মাসে ১,১০,০০০ টাকা বেতন পেতেন বলে সূত্রের খবর।

    কী করে সামান্য ডেটা অপারেটর হয়ে এত টাকা বেতন পেতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) টেট দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেই সৌভিকের খোঁজ করতে ইডি খাদ্য দফতরে পৌঁছে গিয়েছিল। এরপর ১৫ দিন আগে মির্জা গ্যালিব স্ট্রিটের খাদ্য দফতরের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়েছিলেন ইডি কর্তারা। তাঁরা মানিক পুত্র সৌভিকের সম্বন্ধে বিভিন্ন তথ্য জানতে চায় ও কী ভাবে সে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ হয় তাঁর? সেসব বিষয়ে জানতেই পৌঁছে গিয়েছিল ইডি। প্রসঙ্গত, এর আগেই সৌভিকের অ্যাকাউন্টে প্রায় ২.৭ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছিল। ফলে ওই টাকার সূত্র নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু ইডি তাঁর খোঁজ শুরু করার পর থেকেই খাদ্য দফতরের অফিসে তিনি আর যান না। সৌভিকের নিয়োগ ও বেতনের পরিমাণ নিয়ে ফের প্রশ্নের মুখে খাদ্য দফতরের ভূমিকা।

    আরও পড়ুন: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত! এবার সিবিআইয়ের জেরার মুখে মানিক

    আবার একদিকে যেমন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। তেমনই অন্যদিকে মানিককে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ‘মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) মুখ খুলতে শুরু করলে অনেক উইকেট পড়বে। ডিসেম্বরে ঠান্ডা পড়বে, সরকার কাঁপবে।’ রাজ্যে যেভাবে একাধিক দুর্নীতি মামলায় শাসকদলের একের পর এক নেতা-মন্ত্রী জেলে যাচ্ছেন, এহেন পরিস্থিতিতেই, ‘জেলে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীও’, এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাই বলেন, যদি শাসকদলের অধিকাংশ মন্ত্রীই জেলে যান, তাহলে কী করে চলবে সরকার? প্রশ্ন তুলেই, তিনি বলেন ‘সুতরাং, ডিসেম্বরেই পড়তে পারে সরকার।

  • Manik Bhattacharya: ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপসকে ২ নভেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে তলব ইডির

    Manik Bhattacharya: ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপসকে ২ নভেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য- ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে ফের তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাপসকে ২ নভেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তাপসকে এদিন ৬৫৪টি বেসরকারি ডিএলএড কলেজের তথ্য সঙ্গে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, এই ৬৫৪টি বেসরকারি ডিএলএড কলেজের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন তাপস মণ্ডল। ২ নভেম্বর তাপসকে ডিএলএডের অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।  

    কিছুদিন আগেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। এরপরই ইডির স্ক্যানারে আসে মানিক ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal)। তাপসের বিভিন্ন ডেরায় হানা দেয় ইডি (ED)। এর আগে ২০ অক্টোবর তাঁকে তলব করেছিল এই কেন্দ্রীয় গোয়ান্দা সংস্থা।

    সূত্রের খবর, ২০১৮-২০, ২০১৯-২১, ২০২০-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ডিইএলএড কলেজগুলিতে অফলাইনে কত রেজিস্ট্রেশন হয়েছে, তার হিসাব চাওয়া হয়েছে তাপসের থেকে। ইডির দাবি, ৬০০টি কলেজে অফলাইনে রেজিস্ট্রেশনের জন্য ছাত্র পিছু ৫ হাজার করে টাকা নেওয়া হত। এই টাকা যেত মানিকের কাছে। ফলে কত সংখ্যক ছাত্রের অফলাইনে রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল এবং মোট কত টাকা নেওয়া হয়েছিল, তা জানতে চায় ইডি।

    আরও পড়ুন: বিবাহিত মহিলাদের বাড়ির কাজ করতে বলা নিষ্ঠুরতা নয়, জানাল বম্বে হাইকোর্ট

    তাপসের নিজেরও শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ রয়েছে। ইডির নজরে রয়েছে এই কলেজও। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, এই কলেজে বহুবার এসেছেন মানিক ভট্টাচার্য। ১৬ অক্টোবর তালা ভেঙে সেই কলেজের অফিসে ঢোকেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। পাঁশকুড়াতেও তাপসের  শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ পাঁশকুড়া ব্লকের অন্তর্গত মাইশোরা এলাকার রাসবিহারী প্রাইভেট টিচার্স  ট্রেনিং ইনস্টিটিউট নামে একটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের  হদিশ মেলে৷ জেলার একাধিক জায়গায় তাঁর আরও বেশ কয়েকটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন ইডি আধিকারিকরা।     

    বারাসতের বাসিন্দা তাপসের আদি বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায়। প্রসঙ্গত, তাপসের ভাই বিভাসের স্ত্রী পারমিতা কয়েক মাস আগেই হাই কোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি খুইয়েছেন। এমনটা অভিযোগ-ও সামনে আসে, তাপস মণ্ডলকে বাঁচাতে রাতের অন্ধকারে ফাইল সরাচ্ছে তাঁর ভাই ও সাঙ্গপাঙ্গোরা!  অভিযোগ করেন প্রতিবেশী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তদন্ত তল্লাশিতে আরও দুর্নীতি ফাঁসের আশঙ্কা রয়েছে। তাপস মণ্ডলের আদি বাসভূমি পাঁশকুড়ার হরেকৃষ্ণপুর গ্রাম এলাকায় রাতের অন্ধকারে তাঁর বিভিন্ন সংস্থা থেকে ফাইল সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ঘিরে সরগরম হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।

    মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করে যে নথি পাওয়া গিয়েছে, তা থেকে ইডির গোয়েন্দারা মনে করছেন, তাপসের সঙ্গে মানিকের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু, মানিক এই বিষয়ে মুখ খোলেননি। তাই ইডির অফিসাররা মনে করছেন যে, মানিক তথ্য গোপন করে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। সেই কারণেই মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপসকে তৃতীয়বার তলব করা হয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে দাবি করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ

  • Partha-Manik: জেলে পার্থর নতুন ‘প্রতিবেশী’ মানিক ভট্টাচার্য! দেখা হয়েও হল না কথা!

    Partha-Manik: জেলে পার্থর নতুন ‘প্রতিবেশী’ মানিক ভট্টাচার্য! দেখা হয়েও হল না কথা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেখা হয়েও কথা হল না! গতকাল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট থেকে মানিককে নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। সেখানেই দেখা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সঙ্গে। কিন্তু কথোপকথন তো দূর, মানিকের সৌজন্যের ডাকেও সাড়া দিলেন না পার্থ। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (TET Scam Case) গ্রেফতার হওয়া মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) গতকাল ইডি হেফাজত শেষ হয়। কিন্তু আদালত ফের প্রাক্তন প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয়। তাঁকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। ফলে জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নতুন ‘প্রতিবেশী’ এখন মানিক ভট্টাচার্য অর্থাৎ এখন থেকে পার্থর সেলের পাশেই থাকবেন মানিক।

    গতকাল, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে তিন দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রেসিডেন্সি জেলের পয়লা ২২ ওয়ার্ডেই রাখা হয়েছে তাঁকে। অর্থাৎ পার্থর সঙ্গে একই ওয়ার্ডে থাকবেন মানিক। জেলসূত্রে খবর, গতকাল যখন মানিক ভট্টাচার্যকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন পার্থর সেলের সামনে দিয়ে মানিক হেঁটে যাচ্ছিলেন আর তখনই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে সৌজন্যবশত ডেকে তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, ‘পার্থদা, কেমন আছেন?’ কিন্তু তাঁর কোনও উত্তর এল না। জানা গিয়েছে, মানিককে দেখেই সেলের ভিতর দিকে মুখ করে ঢুকে যান পার্থ। আর বাইরে ঘুরেও তাকাননি। সাড়া না পেয়ে তারপর মানিকও হেঁটে হেঁটে চলে যান সেলের দিকে।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া বাংলায় ভোট হওয়াই উচিত নয়! পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক সুর সুকান্ত-শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, একসময় মানিক ও পার্থর যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তা বিভিন্ন তথ্য থেকে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদালতে ইডি যে চার্জশিট পেশ করেছিল, তাতেও নাম রয়েছে মানিকের। মোবাইল ঘেঁটে তদন্তকারীরা দেখেছেন, মানিকের সঙ্গে পার্থর হোয়াটসঅ্যাপে বেশ কিছু কথোপকথন হয়েছে। এমনকি মানিক যে টাকা নিতেন, সেই বিষয়টিও পার্থকে জানিয়েছিলেন কেউ বা কারা। আর সে সব মেসেজ নাকি মানিককেই পাঠিয়ে দিতেন পার্থ। আবার অনেকে বলেন, মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান করার পিছনে ছিলেন পার্থই। ফলে এমন অভিযোগ সামনে আসার পর আরও জোরদার তদন্ত শুরু হয়। এরপর সেই পার্থই গতকাল মানিকের ডাকে সাড়া দিলেন না।

  • Manik Bhattacharya: মৃত ব্যক্তির সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা মানিকের স্ত্রীর! বিস্ফোরক ইডি

    Manik Bhattacharya: মৃত ব্যক্তির সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা মানিকের স্ত্রীর! বিস্ফোরক ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়  ফের মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনল ইডি। মৃত এক ব্যক্তির সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীর। সেই অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৩ কোটি টাকাও। এমনটাই দাবি করল ইডির আইনজীবী। এর আগে মানিকের ছেলে শৌভিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা হদিশের পর এবারে মানিকের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টেরও খোঁজ পেল ইডি। এই অ্যাকাউন্টেও রয়েছে কোটি কোটি টাকা। মঙ্গলবার ইডির আইনজীবী ব্যাঙ্কশাল কোর্টে এই বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন।

    ঠিক কী তথ্য পেশ করেছে ইডি? এদিন ইডির আইনজীবী আদালতকে তথ্য দিয়ে বলেন, ২০১৬ সালে মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তীর সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) স্ত্রীর জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তবে কে এই মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী? কেন তাঁর সঙ্গে মানিকের স্ত্রী-এর জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট?  প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। ইডি আদালতকে আরও জানিয়েছে, ৬ বছর আগে মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি ২০১৬ সালেই মারা গিয়েছেন। অথচ এখনও অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর নাম সরানো হয়নি। বরং ওই অ্যাকা‍উন্টে রয়েছে ৩ কোটি টাকাও।

    আরও পড়ুন: দুর্নীতির দোসর! টেট নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে দীর্ঘ জেরা ইডির, কী বললেন তিনি?

    ‌গতকাল, মঙ্গলবার টেট দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) আদালতে পেশ করা হয়েছিল। সেখানে মানিকের স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে ইডির দেওয়া তথ্য শোনার পর আপাতত রায় স্থগিত রেখেছে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। এর আগেই মানিকের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত ও মঙ্গলবার পর্যন্ত ইডি হেফাজতেই ছিল। এরপর ফের ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠাল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। 

    উল্লেখ্য, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মানিককে (Manik Bhattacharya) আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল ইডি। সেই গ্রেফতারির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টে যান মানিক। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট গত বৃহস্পতিবার মানিকের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। সেই রায়ের পর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ইডির হেফাজতেই ছিলেন মানিক। এবারে ফের মানিকের আবেদন খারিজ করে তাঁকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ও তদন্তের স্বার্থেই ইডি মানিককে আবারও জেল হেফাজতে রাখতে চেয়েছে।

  • SSC Scam: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে চার্জশিট সিবিআইয়ের! জানেন তালিকায় রয়েছেন কারা?

    SSC Scam: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে চার্জশিট সিবিআইয়ের! জানেন তালিকায় রয়েছেন কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিতে আদালতে চার্জশিট জমা দিল সিবিআইএসএসসি নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম চার্জেশিট দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা । হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই চলতি বছরের এপ্রিলে এই দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে। ওই চার্জশিটে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিংহ, প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়-সহ মোট ১২ জনের নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৬ জন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: দৈনিক ৫ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমোচ্ছেন? নিজের বিপদ ডেকে আনছেন না তো! 

    সিবিআইয়ের জমা দেওয়া চার্জশিটে শান্তিপ্রসাদ, সুবীরেশ, কল্যাণময় ছাড়াও নাম রয়েছে এসএসসির সহকারী সচিব অশোককুমার সাহা, প্রাক্তন প্রোগ্রাম অফিসার পর্ণা বসু এবং সমরজিৎ আচার্যের নামও। অশোককুমার বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। এছাড়া চার্জেশিটে উল্লেখ রয়েছে  ৬ জন ‘প্রাইভেট পার্সন’-এর নাম। এই তালিকায় রয়েছেন প্রসন্ন কুমার রায়,  প্রদীপ সিংহ, জুঁই দাস, আজাদ আলি মির্জা , ইমন মোমিন ও রোহিত কুমার ঝা। চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, অযোগ্য প্রাথীদের মোটা টাকার বিনিময়ে নিয়োগ করেছিল ধৃত ও চার্জশিটে নাম-থাকা অভিযুক্তরা। পর্ষদের  পদাধিকারীদের সঙ্গে  প্রাইভেট পার্সনরা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র করে নিয়োগ দুর্নীতি করেছে বলে চার্জেশিটে উল্লেখ  সিবিআইয়ের। 

    আরও পড়ুন:উপলক্ষ কালীপুজো, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর, লেক কালী বাড়িতে ভক্ত সমাগম

    প্রসঙ্গত, এর আগেই তদন্তে সিবিআই জানিয়েছিল, নিয়োগ দুর্নীতির আসল কাজটা হয়েছে সফটওয়্যার প্রোগ্রামিংয়েই। সেখানেই দিনকে রাত করা হয়েছে। তাই চার্জশিটে প্রোগ্রামিং অফিসার সমরজিৎ আচার্য, পর্ণা বসুর নাম রয়েছে। আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আগেই জানিয়েছিল, এই দুর্নীতির জাল বোনা হয়েছিল সংগঠিতভাবে। ধরা পড়লে কীভাবে নিজেদের বাঁচানো যাবে তারও ছক কষে রেখেছিলেন অভিযুক্তেরা, দাবি সিবিআইয়ের। অভিযোগ, কল্যাণময়, শান্তিপ্রসাদদের আগে যাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তাঁদের কাছ থেকে এঁরা আগে থেকেই জেনে নিতেন, সিবিআই কী কী প্রশ্ন করছে, কী তথ্য চাইছে। সেই মতো আগে থেকে বাঁচার রাস্তা তৈরি করতে শুরু করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধরা পড়তেই হল, কারণ অপরাধ কাউকেউ ছাড়ে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: এবার প্রাথমিক টেট কেলেঙ্কারিতেও নাম জড়াল অনুব্রতর, আরও গাড্ডায় তৃণমূল নেতা  

    Anubrata Mondal: এবার প্রাথমিক টেট কেলেঙ্কারিতেও নাম জড়াল অনুব্রতর, আরও গাড্ডায় তৃণমূল নেতা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা ও গরু পাচারের (Coal and Cattle smuggling Case) পর এবার তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) নাম জড়াল প্রাথমিক টেট কেলেঙ্কারিতেও (Primary TET Scam)। ইডি (ED) সূত্রেই এ খবর মিলেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, পাচারের টাকায়ই নির্মাণ করা হয়ে থাকতে পারে একের পর এক বেসরকারি কলেজ।

    প্রাথমিক টেট কেলেঙ্কারিতে ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে মিলে অনুব্রত (Anubrata Mondal) দুর্নীতি করেছিলেন বলে অভিযোগ। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১২ সালে মার্চ মাসে তাপস মণ্ডলের একটি ভাড়া বাড়িতে পাঁচটি বেসরকারি বিএড কলেজের চেয়ারম্যানকে নিয়ে একটি সংগঠন গড়া হয়। নাম দেওয়া হয়, বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাচিভার্স। এই সংগঠনের অন্যতম সদস্য ছিলেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার চেয়ারম্যান। ইডির অভিযোগ, বকলমে ওই সংগঠনে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন তিনি। কেবল এই সংগঠনটিই নয়, ওই ব্যক্তির আরও তিনটি সংস্থা রয়েছে। এই সব সংস্থার মাধ্যমে পরবর্তীকালে রাজ্যে বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিএড, পলিটেকনিক এবং মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণ করা হয়েছিল। তদন্তকারীদের দাবি, গরু পাচারের টাকায়ই ওই সব কলেজ নির্মাণ করা হতে পারে। এই কলেজগুলির মাধ্যমে অযোগ্য প্রার্থীদের এসএসসি ও প্রাথমিক টেটের বিএড ও ডিইএলইডির জাল সার্টিফিকেট তৈরি করা হতে পারে। কয়েক কোটি টাকার জাল সার্টিফিকেটের মাধ্যমে চাকরি বিক্রি করা হয়েছে হাজার হাজার কর্মপ্রার্থীকে। ইডির অভিযোগ, অনুব্রত (Anubrata Mondal) নিজে ওই প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রাথমিক টেটের অযোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা পাঠিয়ে দিতেন মানিকের কাছে।

    আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই পতন হচ্ছে তৃণমূল সরকারের? কী বললেন শুভেন্দু?

    এদিকে, গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর (Anubrata Mondal) প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ইডির হাতে তুলে দিল সিবিআই। গত কয়েক মাসে তদন্তে যেসব তথ্য উঠে এসেছে, সায়গলের সম্পত্তি ও টাকাপয়সা সংক্রান্ত যে সব তথ্যপ্রমাণ হাতে এসেছে সেসব এবং চার্জশিট সহ ৫০০ পাতার নথিও তুলে দেওয়া হবে ইডির হাতে। এই সব তথ্য সামনে রেখেই সায়গলকে জেরা করবে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share