Tag: Thalassemia surge india

  • Thalassemia: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে থ্যালাসেমিয়া! রুখতে নতুন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্র?

    Thalassemia: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে থ্যালাসেমিয়া! রুখতে নতুন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্র?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    আক্রান্তের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে। তাই বাড়ছে উদ্বেগ। বিশ্বের মোট থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) আক্রান্তের বড় অংশ ভারতেই! আর তাই এই রোগ মোকাবিলায় এবার বাড়তি নজর দিচ্ছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Ministry of Health)।

    কেন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia)?

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ৫ কোটি মানুষ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। প্রতি বছর ভারতে ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ নতুন করে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) আক্রান্ত ব্যক্তির প্রতি বছর চিকিৎসা বাবদ কমপক্ষে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। যা যথেষ্ট আর্থিক বোঝা বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাছাড়া থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির বারবার রক্তের প্রয়োজন হয়। তাই এই চিকিৎসা যথেষ্ট জরুরি। পাশপাশি এই রোগে আক্রান্তের স্বাভাবিক জীবন অনেক সময়েই ব্যহত হয়। সব মিলিয়ে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে দেশ জুড়ে স্বাস্থ্য সঙ্কট তৈরি হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক মহল।

    কোন পথে থ্যালাসেমিয়া মোকাবিলার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের?

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Ministry of Health) তরফে জানানো হয়েছে, থ্যালাসেমিয়া মোকাবিলায় সবচেয়ে বড় হাতিয়ার সচেতনতা কর্মসূচি। তাই স্কুল স্তর থেকেই থ্যালাসেমিয়া নিয়ে সচেতনতা জরুরি। তাই প্রত্যেক স্কুলে থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) নিয়ে কর্মসূচি চালানো‌ হবে। প্রাথমিক শিক্ষার পর্ব থেকেই স্বাস্থ্য সচেতনতা কর্মসূচি শুরু হবে। থ্যালাসেমিয়া রোগ কী সে সম্পর্কে জানানোর পাশপাশি থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের কী কী সমস্যা হতে পারে, সে সম্পর্কেও জানানো হবে। রক্তদানের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা হবে। যাতে কম বয়সি ছেলেমেয়েরা রক্তদান কর্মসূচিতে যোগদান করে। কারণ বিশাল সংখ্যক থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) আক্রান্তের স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য রক্তের প্রয়োজন। নিয়মিত রক্তদান কর্মসূচি ছাড়া সেই রক্তের জোগান থাকা মুশকিল। তবে থ্যালাসেমিয়া নিয়ে যাতে কোনও ভ্রান্ত ধারণা তৈরি না হয়, সে দিকেও নজরদারি চালাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।‌ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের যাতে কোনও রকম সামাজিক সমস্যা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতেও স্কুল স্তরে নানান কর্মসূচি।

    থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) রুখতে লাগাতার স্ক্রিনিং

    থ্যালাসেমিয়া রুখতে লাগাতার স্ক্রিনিং জরুরি। তাই গ্রামীণ এলাকায় এবং স্কুলে স্কুলে থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। শিশুদের রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সহজেই বোঝা যায় থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত কিনা! তাই নিয়মিত এই পরীক্ষা জরুরি। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেক বছর স্কুলে স্কুলে থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা করা হবে। তাহলে সহজেই থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) আক্রান্তের সংখ্যা জানা যাবে। ফলে থ্যালাসেমিয়া মোকাবিলার কাজ সহজ হবে।
    থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের চিকিৎসা সহজ করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে কেন্দ্রীয় ব্লাড ব‌্যাঙ্ক ব্যবস্থা এবং স্টেম সেল রেজিস্ট্রি-র মতো কাঠামো আরও জোরদার করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের জীবন স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত রক্ত জরুরি হয়। শরীরে যাতে রক্তের ঘাটতি না হয় সেদিকে নজর দেওয়া হয়। আবার অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজন হয়। তাই থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) আক্রান্তের চিকিৎসা যাতে সহজেই হয়, রক্তের জোগান যাতে ঠিকমতো থাকে আবার প্রয়োজন মাফিক অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার ও করা যায়, সেই দিকে নজর রাখতেই এই দুই পরিকাঠামোর উপরে বাড়তি নজর দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Ministry of Health)।

LinkedIn
Share