Tag: Thiruvananthapuram

Thiruvananthapuram

  • Kerala Local Body Polls: ভেঙে পড়ল চার দশকের বামদূর্গ! তিরুঅনন্তপুরমে বিপুল জয় বিজেপির, ধন্যবাদ মোদির

    Kerala Local Body Polls: ভেঙে পড়ল চার দশকের বামদূর্গ! তিরুঅনন্তপুরমে বিপুল জয় বিজেপির, ধন্যবাদ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণে জয়-পতাকা উড়ল বিজেপির। কেরলের স্থানীয় নির্বাচনে (Kerala Local Body Polls) তিরুঅনন্তপুরমে ঐতিহাসিক জয় পেল এনডিএ। পাঁচ দশকের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ওই পুরনিগমে ক্ষমতা দখল করল বিজেপি। তিরুঅনন্তপুরম কর্পোরেশনের মোট ১০১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫১টি ওয়ার্ড গিয়েছে এনডিএ জোটের থলিতে। বামফ্রন্ট এগিয়ে রয়েছে ২৯টি ওয়ার্ডে। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ-এর থলিতে গিয়েছে ১৯টি ওয়ার্ড। দু’টি ওয়ার্ডে জিতেছে দু’জন নির্দলীয় প্রার্থী। বাকি একটি ওয়ার্ডে নির্বাচন হয়নি।

    দলের জয়ে শুভেচ্ছা মোদির

    কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের কেন্দ্র, কেরলের রাজধানী তিরুঅনন্তপুরমের পুরসভায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ এবং সিপিএম নিয়ন্ত্রিত এলডিএফ জোটকে পিছনে ফেলে জয় ছিনিয়ে নিল বিজেপি। এই জয়ের জন্য ইতিমধ্যে তিরুঅনন্তপুরমের বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এই আঞ্চলিক নির্বাচনে দিবারাত্রি পরিশ্রম করা কার্যকর্তাদেরও। আমি এটাও নিশ্চিত ওই রাজ্যের উন্নয়ন ও বিকাশ নিয়ে মানুষের মনে যে চাহিদা তৈরি হয়েছে, তা আমাদের দলই পূরণ করতে পারবে।’কার্যকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা এতদিন যে পরিশ্রম করলেন, আজ সেগুলির স্মৃতিচারণের দিন। আমি প্রতিটি বিজেপি কার্যকর্তাকে শুভেচ্ছা জানাই। এই সাফল্য সেই পরিশ্রমেরই ফলাফল।’

    বামেদের দুর্গে ফাটল ধরাল বিজেপি

    এর আগে কেরলের ত্রিশূরের লোকসভা নির্বাচনে জিতেছে বিজেপি। তিরুঅনন্তপুরমে লোকসভায় আগের বার দ্বিতীয় স্থানে উঠেছিল গেরুয়া শিবির। এবার পুরনিগম দখল। গেরুয়া শিবির স্বপ্ন দেখছে এবার হয়তো তাদের জন্য কেরল এবং দক্ষিণের রাস্তা খুলবে। তিরুঅনন্তপুরম পুরসভায় বামেদেরই ছিল একচ্ছত্র আধিপত্য। বিরোধী হিসাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করত কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ। তবে এ বারের নির্বাচন ছিল ত্রিমুখী। ইউডিএফ, এলডিএফ আর বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। শনিবার সকালে ভোট গণনা শুরুর পরে প্রাথমিক ট্রেন্ডে এগিয়ে গিয়েছিল বিজেপি। বেলা গড়াতেই দেওয়াল লিখন স্পষ্ট হয়ে যায়। ১০১ আসনের তিরুঅনন্তপুরম পুরসভার ৫১টিতে জয় হাসিল করে নেয় এনডিএ। একই সঙ্গে টানা ৪৫ বছর পরে লেফট ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট জমানার অবসান ঘটল। ক্ষমতাসীন এলডিএফ জিতেছে মাত্র ২৯টি আসনে। পাশাপাশি এলডিএফের হাত থেকে ত্রিপুনিথুরা পুরসভাও ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি জোট।

  • Sit on lap controversy: ‘সিট অন ল্যাপ’ প্রতিবাদের জের, তিরুবনন্তপুরমে তৈরি হবে নতুন লিঙ্গ নিরপেক্ষ বাসস্ট্যান্ড 

    Sit on lap controversy: ‘সিট অন ল্যাপ’ প্রতিবাদের জের, তিরুবনন্তপুরমে তৈরি হবে নতুন লিঙ্গ নিরপেক্ষ বাসস্ট্যান্ড 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত জুলাই মাসের শেষের নীতি পুলিশির অভিযোগে উত্তাল হয় কেরলের (Kerala) তিরুবনন্তপুরম। ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয় সামাজিক মাধ্যমও। তিরুবনন্তপুরমের (Thiruvananthapuram) এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কাছেই অবস্থিত এক পুরনো বাসস্ট্যান্ড। সেখানেই ছাত্রদের কোলে বসে আছেন ছাত্রীরা। কোনও ছাত্রের কোলে বসে একজন ছাত্রী, কোনও কোনও ছাত্রের কোলে আবার দুইজনও রয়েছেন। একেবারে গায়ে গা এলিয়ে বসে রয়েছেন কলেজ পড়ুয়ারা। এরকমই এক অভিনব প্রতিবাদের ছবি সেই সময় ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রছাত্রীরা এই প্রতিবাদের নাম দিয়েছিলেন ‘সিট অন ল্যাপ প্রতিবাদ’ (Sit on lap protest)! এই প্রতিবাদ ছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের নীতি পুলিশগিরির বিরুদ্ধে। 

    আরও পড়ুন: অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করা হয়েছিল, সেই ছাত্রীদের ফের নীট পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিল এনটিএ

    ওই বাসস্ট্যান্ডে আগে যাত্রীদের বসার জন্য একটি সিমেন্ট দিয়ে তৈরি বেঞ্চ ছিল। সেখানে ছাত্রছাত্রীরা পাশাপাশি বসে গল্পগুজব করতেন। ছেলে-মেয়েরা যাতে একে অপরের পাশে বসতে না পারেন, সেই জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ওই সিমেন্টের তৈরি বেঞ্চ ভেঙে তাকে তিন ভাগে ভাগ করে দিয়েছিলেন। এমনভাবে ভাগ করা হয়েছিল, একটি বেঞ্চে একজনই বসতে পারেন। আর প্রতিটি আসনের মাঝে অনেকটা করে ফাঁক। এই ধরনের নীতি পুলিশদের বিরুদ্ধেই অভিনব ‘সিট অন ল্যাপ’ সকলকে চমকে দিয়েছিলেন ওই শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি না বসতে দেওয়ায়, একে অপরের কোলে বসেই গল্প করা শুরু করে দেন ওই কলেজের পড়ুয়ারা। যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। 

     

    এবার ঘটনার দুমাস পরে ওই বেঞ্চ সরিয়ে নিল স্থানীয় প্রশাসন। মেয়র আর্জা এস রেজেন্দ্রম কথা দিয়েছেন সেই এলাকায় নতুন করে একটি বাসস্ট্যান্ড তৈরি হবে, যেখানে কোনও লিঙ্গসাম্য বজায় থাকবে। 

    তিরুবনন্তপুরমের ওই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বাইরের বাসস্ট্যান্ডটিতে ছাত্রছাত্রীরা প্রায়শই পাশাপাশি বসে কথা বলত। স্থানীয় ছেলে-মেয়েরা এই ভাবে একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছে, এটা স্থানীয় কিছু মানুষের চক্ষুশূল হয়েছিল। এই পড়ুয়াদের ‘সায়েস্তা’ করতেই তারা বাসস্ট্যান্ডের বসার বেঞ্চটিকে তিনটি আলাদা ভেঙে ফেলেছিল। কিন্তু, ছাত্রছাত্রীদের সিট অন ল্যাপ প্রতিবাদে তাদের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। মেয়র ওই বাসস্ট্যান্ড এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, “যেভাবে বেঞ্চটি ভেঙে তিন টুকরো করা হয়েছে এবং যে উদ্দেশ্য নিয়ে তা করা হয়েছে, সেটা আধুনিক সমাজের জন্য অশোভন। আমি তিরুবনন্তপুরম মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনকে এখানে একটি নতুন বাস স্ট্যান্ড তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছি।” 

    আরও পড়ুন: বন্ধ করে দিন সমস্ত বেআইনি ধর্মীয় স্থান, ‘মসজিদ’ মামলায় রায় কেরল হাইকোর্টের

    নন্দনা পিএম নামে, এই অভিনব ‘সিট অন ল্যাপ’ প্রতিবাদে অংশ নেওয়া এক ছাত্রী বলেন, “আমাদের এই ছবিটা স্থানীয় মানুষদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ছবি নয়। আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে লিঙ্গ বৈষম্য ঘোচানোর প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরতে চেয়েছি। আমরা যে পরিস্থিতিতে বড় হয়েছি এবং এখন যে পরিস্থিতির মধ্যে আছি, তার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আমরা মনে করি না যে, সমাজ রাতারাতি বদলে যাবে। তবে, শিক্ষার্থীদের আবেগে, অনুভূতিতে আঘাত করলে প্রতিবাদ হবেই। আমাদের এই ছবিটা ভাইরাল হওয়ার পর থেকে, আমরা বহু মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছি। যদিও, ফেসবুকে কিছু নেতিবাচক মন্তব্যও এসেছে। কিন্তু ন্যায় যখন আমাদের পক্ষে আছে, তখন এই সব সমালোচনা আমরা গায়ে মাখছি না।” কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অশ্বিন এম বলেছেন, “৯ বছর আগে অবৈধভাবে স্থানীয় বাসিন্দারা এই বাসস্ট্যান্ডটি তৈরি করেছিল। এই বাসস্ট্যান্ডে বসা শিক্ষার্থীরা বহু বছর ধরেই সমস্যায় ভুগছেন। ছেলেমেয়েরা একসঙ্গে বসলে, স্থানীয় লোকজন তাদেরকে লক্ষ্য করে অশালীন মন্তব্যও করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • RSS Kerala: ‘সাজানো অভিযোগ’,  সিপিএম কর্মী হত্যা মামলায় কেরলে নিষ্কৃতি ১৩ আরএসএস কর্মীর 

    RSS Kerala: ‘সাজানো অভিযোগ’, সিপিএম কর্মী হত্যা মামলায় কেরলে নিষ্কৃতি ১৩ আরএসএস কর্মীর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০৮ সালে সিপিএম কর্মী (CPIM Worker) খুনে (Murder) অভিযুক্ত ১৩ জন আরএসএস কর্মীকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করল কেরলের উচ্চ আদালত (Kerala HC)। ১৬ জন অভিযুক্তের মধ্যে এই ১৩ আরএসএস (RSS) কর্মীকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবনের সাজা শুনিয়েছিল তিরুবন্তপুরমের (Thiruvananthapuram) নিম্ন আদালত।

    পরবর্তীতে ২০১৬ সালে এই অভিযুক্তরা এই সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। বিচারপতি চন্দ্রন এবং সি জয়া চন্দ্রনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। নিম্ন আদালতের রায়ের বিপরীতে গিয়ে উচ্চ আদালত বলে, “আদালতের সামনে পুরো মামলাটিকে সাজিয়ে পেশ করা হয়েছে। যেন একটা সাজানো গল্প। মিথ্যে সাক্ষীও হাজির করা হয়েছে এই মামলায়। মিথ্যে প্রমাণের ভিত্তিতে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। তাই অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। সরকার পক্ষের আইনজীবী সঠিক তথ্য-প্রমাণ দিতে ভয়ঙ্করভাবে ব্যর্থ  হয়েছেন।” 

    আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করলে তা ধর্ষণ নয়, ঐতিহাসিক রায় কেরল হাইকোর্টের

    আদালত বলে, “যে সাক্ষীদের প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে হাজির করা হয়েছে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। কোনও ঠোস প্রমাণও যোগার করা যায়নি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। যেসব প্রমাণ দেখানো হয়েছে সেগুলি মিথ্যে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই ফাঁসানো হয়েছে ওই আরএসএস কর্মীদের।”  

    সরকারপক্ষের আইনজীবীর যুক্তি ছিল যে, আরএসএস কর্মীরা ২০০৮ সালে তিরুবনন্তপুরম পাসপোর্ট অফিসের বাইরে বিষ্ণু নামের এক সিপিআইএম কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছিল এবং এটা আরএসএসের সাংগঠনিক ষড়যন্ত্র ছিল। 

    আরও পড়ুন: সংবিধান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, পদত্যাগে বাধ্য কেরলের মন্ত্রী

    ঘটনার পর, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) ধারা ১২০বি (অপরাধী ষড়যন্ত্র), ১৪৩ (বেআইনি সমাবেশ), ১৪৭ (দাঙ্গা), ১৪৮ (অস্ত্র রাখার অপরাধ), ৩০২ (হত্যা) -সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়। 

    শুনানির সময় থেকেই অভিযুক্তদের আইনজীবী দাবি করেন রাজ্যে ক্ষমতাসীন দল সিপিআইএম মামলাটিতে হস্তক্ষেপ করছে এবং আইনকে ভুল পথে চালনা করছে। অভিযুক্তদের যথেষ্ট প্রমাণ ছাড়াই গ্রেফতার করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছিলেন সেই আইনজীবী। 

     

LinkedIn
Share