Tag: TMC Government

TMC Government

  • Nirmala Sitharaman:“পশ্চিমবঙ্গকে কখনও অবহেলা করা হয়নি” খতিয়ান তুলে ধরে, দাবি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর

    Nirmala Sitharaman:“পশ্চিমবঙ্গকে কখনও অবহেলা করা হয়নি” খতিয়ান তুলে ধরে, দাবি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:কেন্দ্রীয় আবগারি (সংশোধনী) বিল, ২০২৫–এর আলোচনার জবাবে রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গকে কখনওই অবহেলা করেনি কেন্দ্র সরকার। বরং তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের নীতিই রাজ্যের উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার , রাজ্যসভায় বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগ খণ্ডন করে তৃণমূলকে প্রবল আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বিস্তারিত তালিকা পেশ করে করে তিনি বোঝান যে, ২০১৪ সাল থেকে বাংলাকে কেন্দ্রীয় সরকার বিপুল অর্থ বরাদ্দ করেছে। কিন্তু সেই টাকার যথাযথ ব্যয় না করে স্বচ্ছতা দেখায়নি রাজ্য সরকার। এমনকি তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্য থেকে শিল্প সংস্থাগুলি যে পালাচ্ছে সেই তালিকা প্রদান করেন অর্থমন্ত্রী।

    শিল্প ক্রমশ পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে চলে যাচ্ছে

    রাজ্যে বিনিয়োগের পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় শিল্প ক্রমশ পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে চলে যাচ্ছে,বলে দাবি করেন নির্মলা। তাঁর তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪৪৮টি তালিকাভুক্ত এবং ৬,৪৪৭টি তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানি রাজ্য ছেড়েছে। নির্মলা বলেন, “প্রত্যেকটি তথ্য প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। রাজ্যসভার কাছে জমা দিচ্ছি। সত্য-মিথ্যা প্রমাণ হয়ে যাবে। তৃণমূল সাংসদরা জবাবদিহি চেয়েছেন যে, রাজ্যকে বঞ্চনা করা হচ্ছে। আমি তার জবাব দিচ্ছি। এখন আবার আপনারা বলছেন, সেই জবাব শুনবেন না! তিনি বলেন, এক্সাইজ বাড়ানো হচ্ছে, তামাকজাত পণ্যের উপর। সেই টাকার ভাগ পাবে রাজ্য। সেই টাকা দিয়ে রাজ্য যেন উপকার করে তামাকশিল্পে জড়িত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে। এক্সাইজ যেহেতু রাজ্যের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হয়, তাই তামাকজাত দ্রব্যের উপর এক্সাইজ বাড়ানোর জেরে রাজ্যের আয় বৃদ্ধি পাবে কিছুটা।”

    আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প থেকে সরে আসে পশ্চিমবঙ্গ

    রাজ্যের উন্নয়ন তৃণমূল সরকারের কারণেই থমকে আছে বলে দাবি করেন নির্মলা। এদিনই রাজ্যসভায় নির্মলা সীতারামন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের পূর্ণ সমর্থন সত্ত্বেও রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গের সার্বিক বৃদ্ধি ব্যাহত করছে। সেন্ট্রাল এক্সাইজ (সংশোধন) বিল, ২০২৫ নিয়ে আলোচনার জবাবে মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার কোনওদিন পশ্চিমবঙ্গকে উপেক্ষা করেনি। টিএমসি সদস্যদের উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে সীতারামন বলেন, “আসলে, টিএমসি সরকারই পশ্চিমবঙ্গের মানুষের উন্নতি ব্যাহত করছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গ আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প থেকে সরে আসে। এই প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এটা কি বাংলার মানুষের জন্য ভালো?”

    রাজ্য থেকে চলে যাচ্ছে শিল্প প্রতিষ্ঠান

    অর্থমন্ত্রী রাজ্য থেকে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলির চলে যাওয়ার বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ২০১১ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৪৪৮টি তালিকাভুক্ত এবং ৬,৪৪৭টি তালিকাভুক্ত-বহির্ভূত সংস্থা রাজ্য ছেড়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে, এই প্রবণতা রাজ্যের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের জন্য অনুকূল নয়। সীতারামন আরও পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ২০১৪ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ কর বাবদ ৫.৯৪ লক্ষ কোটি টাকা পেয়েছে, যা ২০০৪-১৪ সময়ের ১.৩৪ লক্ষ কোটি টাকার তুলনায় ৪.৪ গুণ বেশি। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ রাজ্যের উন্নয়নে কেন্দ্রের প্রতিশ্রুতির পরিচায়ক, এমনটাই দাবি করেন তিনি।

    পশ্চিমবঙ্গকে যা যা দিয়েছে কেন্দ্র

    কেন্দ্রের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের তালিকা তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, পশ্চিমবঙ্গে কল্যাণী এইমস চালু হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার (CSS) অধীনে ১১টি মেডিক্যাল কলেজ অনুমোদন পেয়েছে। এনডিএ সরকারের আমলে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য পশ্চিমবঙ্গ রেকর্ড ১৩,৯৫৬ কোটি টাকার রেল বাজেট বরাদ্দ পেয়েছে, যা ২০০৯-১৪ সময়ের গড় ৪,৩৮০ কোটি টাকার চেয়ে তিন গুণেরও বেশি। এ ছাড়া, রাজ্যে ৩,৮৪৭.৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০১টি অমৃত স্টেশন গড়ে তোলা হচ্ছে। মন্ত্রী জানান, ১,৬৫০ কিলোমিটার রেললাইন বিদ্যুদায়িত হয়েছে, ফলে পশ্চিমবঙ্গে মোট রেল বিদ্যুদায়নের হার ৯৮ শতাংশের বেশি দাঁড়িয়েছে। ২০১৪ সালের এপ্রিল থেকে পশ্চিমবঙ্গে ২,৩০০ কিলোমিটারেরও বেশি জাতীয় সড়ক তৈরি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    অভিযোগ ঠিক নয়

    সীতারামন আরও জানান, ২০২৪ সালের অগাস্টে ভারত সরকার পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে অবস্থিত বাগডোগরা বিমানবন্দর উন্নয়নের জন্য ১,৫৪৯ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছে। টিএমসি সাংসদ সাগরিকা ঘোষের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে, সেন্ট্রাল রোড অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফান্ড (CRIF) স্থানান্তরিত হচ্ছে না, এমন অভিযোগ ঠিক নয়। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ২০০২-০৩ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত সিআরআইএফ-এর অধীনে ১৩.২৫ লক্ষ কোটি টাকা স্থানান্তরিত হয়েছে, যেখানে একই সময়ে রোড অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সেস বাবদ ১২.৬২ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্প (MGNREGS) প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন যে, ২০০৬-০৭ থেকে ২০১৩-১৪ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্র থেকে ১৪,৯৮৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। তিনি আরও যোগ করেন, “অন্যদিকে, ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত আমাদের সরকার ৫৪,৪১৬ কোটি টাকা প্রকাশ করেছে, যা মনরেগা-এর অধীনে কেন্দ্রীয় তহবিল বিতরণে ২৬১ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।”

     

     

     

  • Ram Navami: ‘‘যারা পাথর ছুড়েছিল, তাদের বুকের ওপর দাঁড়িয়ে রামনবমী করছি’’, হাওড়াতে হুঙ্কার সুকান্তর

    Ram Navami: ‘‘যারা পাথর ছুড়েছিল, তাদের বুকের ওপর দাঁড়িয়ে রামনবমী করছি’’, হাওড়াতে হুঙ্কার সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ধাতব অস্ত্র ছাড়াই সম্পন্ন হয় হাওড়ায় রামনবমীর (Ramnavami 2025) মিছিল। মিছিলের আয়োজন করেছিল অঞ্জনিপুত্র সেনা। সেখানেই যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সেই মিছিল থেকেই বিরোধীদের কার্যত হুঙ্কার দিলেন তিনি। তিনি বললেন, অতীতে যাঁরা তাঁদের মিছিলে বাধা দিয়েছিল, আজ তাঁদেরই বুকের ওপর দাঁড়িয়ে রামনবমী পালন করছেন তাঁরা!

    সুকান্ত মজুমদারের হুঁশিয়ারি (Ramnavami 2025)

    প্রসঙ্গত, সকাল থেকেই রাজ্যের নানা প্রান্তে রামনবমীর মিছিল বের হয়। সব মিলিয়ে রবিবার কার্যত গেরুয়া রঙে ছেয়ে গিয়েছে গোটা রাজ্য। অনেক জায়গার মতো হাওড়াতেও এদিন রামনবমীর মিছিল হয় এবং তাতেই যোগ দিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। গতবারই এই অঞ্চলে মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনেই তিনি বলেন, ‘‘গতবার যারা পাথর মেরেছিল, এবার তাদের বুকের ওপর দিয়ে হেঁটে আমরা রামনবমী করেছি। আমাদের যারা বাধা দেবে তাদের উচিত শিক্ষা এভাবেই দেওয়া হবে।’’

    নিশানা তৃণমূল কংগ্রেসকে

    অন্যদিকে রামনবমীর মিছিলে এবারেও সওকত মোল্লা ও কুণাল ঘোষদের হাঁটতে দেখা যায়। এনিয়ে সুকান্তর কটাক্ষ, ‘‘ভোটব্যাঙ্কের জন্য রামনবমী পালন করতে হচ্ছে শাসক শিবিরকে। এমনি সময় তো জয় শ্রীরাম স্লোগানে তাঁদের সমস্যা হয়। তবে আমরা শুরু থেকেই হিন্দু এবং রামনবমী পালন করে আসছে।’’ বিজেপি (Ramnavami 2025) নেতার কথায়, তিনি পাগল হিন্দু! যতদিন শরীরে শক্তি থাকবে, প্রতিবছর রামনবমী পালন করবেন।

    পুলিশের ওপর ভরসা নেই সুকান্তর (Sukanta Majumder)

    সুকান্ত অবশ্য পুলিশের ওপর বিশেষ ভরসা রাখতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুলিশ আমাদের থামাতে চায়। অথচ আমরা দেশের আইন মেনেই চলি। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই মিছিল হচ্ছে। তবুও অনেক জায়গায় পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করেছে তাঁদের।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘সরকার সবসময় রাজনৈতিক স্বার্থে কাজ করে।’’ প্রসঙ্গত, রামনবমী নিয়ে কয়েকদিন ধরেই চাপানউতোর চলছে রাজ্যের শাসক দল ও বিরোধী দলের সদস্যদের মধ্যে। এই আবহে রাজ্যজুড়ে রামনবমীর মিছিলে ঢল নামতে দেখা গেল।

  • Amit Shah: দেশ কোনও ধর্মশালা নয়! লোকসভায় পাশ নয়া অভিবাসন বিল, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তৃণমূলকে শাহি-তোপ

    Amit Shah: দেশ কোনও ধর্মশালা নয়! লোকসভায় পাশ নয়া অভিবাসন বিল, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তৃণমূলকে শাহি-তোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় পাশ হল অভিবাসন এবং বিদেশি নাগরিক বিল, ২০২৫। নতুন এই বিল নিয়ে বৃহস্পতিবারই লোকসভায় প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয়। বিলের ওপর আলোচনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, ভারত কোনও ধর্মশালা নয়। জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন কাউকে এই দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। অমিত শাহের বক্তৃতায় উঠে আসে বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের চেষ্টার কথাও। এই প্রসঙ্গে তিনি তোপ দাগেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারকেও।

    এদেশ ধর্মশালা নয়, বললেন শাহ (Amit Shah)

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে (Immigration and Foreigners Bill 2025) ভারতে আসা বিদেশিদের যাতায়াত, রেজিস্ট্রেশন ও ভিসা নিয়ন্ত্রণ করবে কেন্দ্র সরকার। এতে দু’পক্ষের কাজই সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিলের মাধ্যমে বিদেশি নাগরিকদের মোট ছটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এগুলি হল- পর্যটক, পড়ুয়া, দক্ষ শ্রমিক, ব্যবসায়ী, উদ্বাস্ত ও অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বিলটি পেশ করেন লোকসভায়। বিল নিয়ে আলোচনার সময়ে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘যদি কেউ এই দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য এখানে আসতে চান, তাঁদের সব সময় স্বাগত জানানো হবে। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার জন্য যাঁরা ঝুঁকিপূর্ণ, তাঁদের এই দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এই দেশ কোনও ধর্মশালা নয়।’’

    অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তোপ তৃণমূলকে

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, পর্যটক হিসেবে, ব্যবসার জন্য, শিক্ষা বা চিকিৎসার জন্য কেউ আসতে চাইলে তাঁদেরকে সব সময় এ দেশে স্বাগত জানানো হবে (Immigration and Foreigners Bill 2025)। একইসঙ্গে নয়া অভিবাসন বিলের মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা আরও মজুবত হবে বলে জানান তিনি। এর পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি এবং ব্যবসাতেও গতি আনবে এই বিল, এমনটাই মনে করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন নিজের বক্তব্যে দেশে অনুপ্রবেশ রুখতেও কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah) বক্তৃতায় উঠে আসে বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গও। তাঁর দাবি, অসমে কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সেই রাজ্য দিয়ে ব্যাপক অবৈধ অনুপ্রবেশ হয়েছে। এই সময়ই তিনি তোপ দাগেন তৃণমূল সরকারকে। মমতা জমানায় পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে অনুপ্রবেশকারীরা এ দেশে প্রবেশ করছে বলে অভিযোগ শাহের। এই প্রসঙ্গে শাহের অভিযোগ, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের কাছে ভুয়ো নথিও পৌঁছে যাচ্ছে। কোথা থেকে এই আধার কার্ডগুলি দেওয়া হচ্ছে? এনিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘যে সমস্ত বাংলাদেশিরা ধরা পড়েছেন, তাঁদের সকলের কাছে পশ্চিমবঙ্গের ঠিকানার আধার কার্ড পাওয়া গিয়েছে।’’ অমিত শাহের আরও দাবি, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে জমি না-পাওয়ার কারণে সীমান্তে ৪৫০ কিলোমিটার কাঁটাতার দেওয়ার কাজ আটকে রয়েছে।’’

    তৃণমূলের গুণ্ডামির কারণেই ৪৫০ কিমি কাঁটাতার আটকে

    এরপরেই তিনি বলেন, ‘‘২০২৬ সালের সেখানে (বাংলায়) বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং পশ্চিমবঙ্গে এই অনুপ্রবেশ সমস্যার সমাধান হবে।’’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন ‘‘যখনই সীমানা দেওয়ার কাজ চলছে তখনই সেখানে শাসকদলের কর্মীরা গুণ্ডামি করছে এবং ধর্মীয় স্লোগান দিচ্ছে। ৪৫০ কিলোমিটারের বেশি সীমানা বাঁধার কাজ সম্পন্ন হয়নি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কারণে। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বর্ডার রয়েছে ২,২১৬ কিলোমিটার। যার মধ্যে ১৬৫৩ কিলোমিটার সীমানা দেওয়া হয়েছে। সীমানার আশেপাশের রাস্তা চেকপোস্ট বানানো হয়েছে। শুধুমাত্র জমি দিচ্ছে না বলে পশ্চিমবঙ্গের ৪৫০ কিলোমিটার সীমানা বাঁধার কাজ বাকি থেকে গিয়েছে।’’

    প্রস্তাবিত বিল খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে ভারতে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করবে

    নিজের বক্তব্যে অমিত শাহ বলেন, ‘‘প্রস্তাবিত বিলটি খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে এদেশে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতেও সহায়তা করবে।’’ তাঁর আরও দাবি, বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পরে ভারতে অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলায় এবং মেয়াদোত্তীর্ণ সময়ে বিদেশিদের চলাচলের উপর নজরদারি সহজতর হবে। বিলের ওপর আলোচনার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘‘এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মূল বিষয় হল অভিবাসন কোনও বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। বরং এটি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে জড়িত। বিলটি ভারতে আসা প্রত্যেকের উপর নিবিড় নজরদারি নিশ্চিত করবে। কেন কেউ ভারতে আসছেন এবং কতক্ষণ থাকছেন তাও বোঝা যাবে। ভারতে আসা প্রতিটি বিদেশি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।’’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরআরও দাবি, ‘‘নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে, এই আইন মাদক কারবার, অনুপ্রবেশকারী, অস্ত্র চোরাচালানকারী এবং যারা ভারতের অর্থনীতিকে ভেতর থেকে ধ্বংস করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে কুঠারাঘাত।’’

    আগের চার আইন কী কী ছিল?

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রস্তাবিত আইনটির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার, বিদেশিদের ঘন ঘন আসা-যাওয়ার স্থানগুলির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারবে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা প্রয়োজন, বিদেশি এবং অভিবাসনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলি বর্তমানে চারটি আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয় – পাসপোর্ট (ভারতে প্রবেশ) আইন, ১৯২০, বিদেশিদের নিবন্ধন আইন, ১৯৩৯, বিদেশী আইন, ১৯৪৬ এবং অভিবাসন (বাহকদের দায়বদ্ধতা) আইন, ২০০০। তবে এই সমস্ত আইনগুলি বর্তমানে বাতিল করার প্রস্তাব করা হয়েছে। নয়া বিলে আগের চার আইনের বেশ কিছু বিধান রয়েছে বলেই জানিয়েছে। নয়া এই বিলে জাতীয় নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা এবং অভিবাসনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলির মাধ্যমে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং পর্যটনকে উৎসাহিত করার কথাও বলা হয়েছে।

  • Schools Dropouts: বাংলায় ছাত্রশূন্য স্কুলের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি! কেন্দ্রের রিপোর্টে রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থার বেহাল দশা

    Schools Dropouts: বাংলায় ছাত্রশূন্য স্কুলের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি! কেন্দ্রের রিপোর্টে রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থার বেহাল দশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রশূন্য স্কুলের সংখ্যা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাতেই (Schools Dropouts)। সম্প্রতি এই নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী সারা দেশের স্কুল-ছুটদের সংখ্যার নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। পশ্চিমবঙ্গে গত শিক্ষাবর্ষে তিন হাজারেরও বেশি স্কুল রয়েছে যেখানে কোনও পড়ুয়াই ভর্তি হয়নি। সম্পূর্ণ ছাত্রশূন্য। রাজ্যের (West Bengal) স্কুলগুলির এই পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে, শুধুমাত্র ভাতা বা বই খাতা ট্যাব পাইয়ে দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করা যায় না। তার জন্য দরকার বুনিয়াদি কাঠামোর উন্নয়ন, এমনই দাবি শিক্ষামহলের।

    কেন্দ্রের রিপোর্টে ভয়ঙ্কর তথ্য

    দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্কুলগুলিতে (Schools Dropouts) পড়ুয়া ভর্তির হার কেমন, তা নিয়ে সম্প্রতি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের হিসেবে ওই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ওই তালিকা অনুযায়ী বাংলায় স্কুলছুটের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। রাজ্যে ছাত্রশূন্য স্কুলের সংখ্যা ৩২৫৪। অথচ কোনও পড়ুয়া না থাকা এই স্কুলগুলিতে ১৪ হাজার ৬২৭ জন শিক্ষক ছিলেন। আবার এমন অনেক স্কুলও রয়েছে যেখানে পড়ুয়া ভর্তি হলেও শিক্ষক রয়েছেন মাত্র এক জন। কেন্দ্রের রিপোর্টে গত শিক্ষাবর্ষে রাজ্যে এক জন শিক্ষক থাকা স্কুল রয়েছে ৬ হাজার ৩৬৬টি।

    অন্য রাজ্যের অবস্থান

    কেন্দ্রের তরফে প্রকাশিত ২০০ পাতার ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, গোটা দেশের নিরিখে প্রায় ১৩ হাজার (১২৯৫৪টি) স্কুলে কোনও পড়ুয়া ভর্তি হয়নি গত শিক্ষাবর্ষে। সেই স্কুলগুলিতে শিক্ষক ছিলেন ৩১ হাজার ৯৮১ জন। আবার প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার স্কুলে পড়ুয়া ভর্তি হলেও সেখানে মাত্র এক জন করে শিক্ষক নিযুক্ত থেকেছেন। কোনও পড়ুয়া ভর্তি না হওয়া স্কুলের সংখ্যার নিরিখে বাংলার পরেই রয়েছে রাজস্থান। সেখানে ২১৬৭টি স্কুলে কোনও পড়ুয়া ভর্তি হয়নি। তালিকায় তৃতীয় তেলঙ্গানা। দক্ষিণের এই রাজ্যে ২০৯৭টি স্কুলে গত শিক্ষাবর্ষে কোনও পড়ুয়া ভর্তি হয়নি।

    রাজ্যের দেওয়া তথ্য থেকেই রিপোর্ট

    কোন রাজ্যে কেমন পরিস্থিতি সে বিষয়ে প্রতি বছরই একটি রিপোর্ট (Schools Dropouts) প্রকাশ করে কেন্দ্র। শিক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস’ থেকে এই রিপোর্টটি দেওয়া হয়। বস্তুত, রাজ্যগুলি থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রক। রাজ্যের কোন স্কুলে কী পরিস্থিতি সে বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফেই একটি অনলাইন ব্যবস্থায় তথ্য আপলোড করা হয়। সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকেই তা করতে হয়। সেখান থেকে পাওয়া তথ্য এবং পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এই রিপোর্টটি প্রকাশ করে কেন্দ্র। 

    বিরোধীদের নিশানায় রাজ্য সরকার

    কেন্দ্রের এই রিপোর্ট (Schools Dropouts) প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শিক্ষা ব্যবস্থায় রাজ্যের গাফিলতি নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী ও শিক্ষক সংগঠনগুলি। বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে দেশের সবচেয়ে বেশি স্কুল ড্রপআউট রয়েছে, যা লজ্জার। তিনি বলেন, “বীরভূমে স্কুল ড্রপআউটের হার ১৭.২ শতাংশ, মুর্শিদাবাদে ১৬.৯ শতাংশ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৬.১ শতাংশ। তাঁর মতে, রাজ্যের সকল জেলা গুলিতেই স্কুল ড্রপআউটের হার ১২ শতাংশের বেশি। কেউ জানে না স্কুল ড্রপআউটদের কী হচ্ছে। আমাদের রাজ্য থেকে ৭০ লাখ পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছে। সারা রাজ্যে বেকারত্ব চরমে। এমন পরিস্থিতি, কেউ জানে না এই স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীরা কোথায় যাচ্ছে।” শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারীও বলেন, “রিপোর্ট অনুসারে সারা দেশের নিরিখে এ রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ছাত্রশূন্য স্কুল। বহু স্কুলে এক জন করে শিক্ষক। এটি আমাদের লজ্জা। গত ১৩ বছর ধরে তৃণমূল সরকার রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে একেবারে ভেঙে দিয়েছে।” 

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভে ‘কল্পবাস’ পালন করবেন স্টিভ জোবসের স্ত্রী লরেন! জানেন হিন্দু ধর্মে এই রীতির মাহাত্ম্য?

    তৃণমূল সরকারের অবহেলা

    রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, মুখে সংখ্যালঘু উন্নয়নের কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেটা শুধু ভোটের রাজনীতি, বাস্তব ছবিটা অন্য। রাজ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (Schools Dropouts) উন্নতির জন্য কোনও কাজ হচ্ছে না। মুর্শিদাবাদে বড় একটি সংখ্যালঘু জনগণ রয়েছে, প্রায় ১৭ শতাংশ। সেখানে স্কুলছুটের সংখ্যা বেশি। এরা কোথায় যাচ্ছে, কী করছে তা জানতে আগ্রহী নয় সরকার।  রাজ্যের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রাইভেট এবং সেগুলিতে সিট খালি রয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে কোনও মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তৃণমূল সরকার শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি নিয়ে আগ্রহী নয়। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, যেখানে বলা হয়েছে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে পশ্চিমবঙ্গে মাধ্যমিক স্তরের ড্রপআউটের হার ১৮.৭৫ শতাংশ। রাজ্য প্রশাসন এবং শিক্ষা বিভাগকে এই বিষয়টি নজর দিতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • BJP: ইদের তুলনায় পুজোর বোনাস কম পরিবহণ কর্মীদের! ‘মমতা সরকার সনাতন বিরোধী’, তোপ বিজেপি নেতার

    BJP: ইদের তুলনায় পুজোর বোনাস কম পরিবহণ কর্মীদের! ‘মমতা সরকার সনাতন বিরোধী’, তোপ বিজেপি নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইদের তুলনায় পুজোতে পরিবহণ কর্মীদের কম বোনাস দিচ্ছে মমতা সরকার! এনিয়ে তোপ দাগলেন বিজেপি (BJP) নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় (Jagannath Chattopadhyay)। রবিবারই জগন্নাথবাবু সমাজমাধ্যমের পাতায় একটি পোস্ট করেন। নিজের পোস্টে তিনি জানান, ইদের সময় পরিবহণ কর্মীদের ৬,০০০ টাকা করে বোনাস দেওয়া হয়েছে, দুর্গাপুজোর সময় এর পরিমাণ মাত্র ৩,৬০০ টাকা। ওই পোস্টে তিনি আরও জানান, দুর্গাপুজোর দিনগুলিতেই রাজ্যের বিএড ও এমএড কলেজগুলিতে ভর্তির দিনক্ষণ স্থির করেছিল মমতা সরকার। পরবর্তীকালে বিক্ষোভের কারণেই তা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় তৃণমূল সরকার। নিজের পোস্টে এসংক্রান্ত সরকারি বিজ্ঞপ্তি দুটিও জুড়ে দিয়েছেন এই বিজেপি (BJP) নেতা। ওয়াকিবহাল মহল জগন্নাথবাবুর (Jagannath Chattopadhyay) ফেসবুক পোস্টের বক্তব্যকে সিলমোহর দিয়ে বলছে, ‘‘তোষণ ও ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির কারণেই মমতা সরকার বোনাস বৈষম্য করছে। সরকারের দুর্গাপুজো নিয়ে কোনও শ্রদ্ধা বা আগ্রহ যে নেই, তা একাধিক সিদ্ধান্তে প্রতিফলিত হচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, একাধিক মণ্ডপে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পিতৃপক্ষে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করতে দেখা গিয়েছে। সনাতন ধর্মের রীতি অনুযায়ী যা করা যায় না। পণ্ডিত মহলের মত, দেবীপক্ষতেই মাতৃ আরাধনা শুরু করার নিয়ম। নিজের পোস্টে এনিয়েও সরব হন বিজেপির (BJP) এই রাজ্য নেতা।

     কী লিখলেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়?

    রবিবার নিজের পোস্টে জগন্নাথবাবু লেখেন, ‘‘মাননীয়ার সরকার মানসিকভাবে দুর্গাপুজো বিরোধী। সেই কারণে পিতৃপক্ষে পুজোর উদ্ধোধন হয়। নীচে বিজ্ঞপ্তি দুটিতে আরও কাণ্ড দেখুন। রাজ্যের বিএড-এমএড কলেজ গুলিতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির জন্য সরকার পুজোর দিনগুলি নির্দিষ্ট করেছিল। ঠিক ৮ থেকে ১৪ অক্টোবর পুজোর দিনগুলিতে শিক্ষক শিক্ষণের কলেজগুলিকে খোলা রেখে ছাত্র ভর্তির বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিয়েছিল। নোটিস সামনে আসার পর থেকে সরকারি-বেসরকারি বিএড কলেজ কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। বাধ্য হয়ে সেদিনই আলাদা একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে পুজোর পরে ভর্তির কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এই সরকার এতটাই দুর্গাপুজো বিরোধী যে প্রথম কারণ হিসাবে বলা হয়, রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির জন্য সূচি বদল করা হল। কেউই জানে না এখন কোথায় বন্যা চলছে। নামমাত্র দুর্গাপুজোর কথা উল্লেখ করা হয়। বিএড কলেজগুলো কিন্তু শুধুমাত্র দুর্গাপুজোর কারণেই ভর্তি পিছিয়ে দিতে সরব হয়েছিল। সরকারের দুর্গাপুজো বিরোধী এই মানসিকতার কারণেই ইদের সময় পরিবহণ কর্মীদের ৬০০০ টাকা বোনাস দেওয়া হলেও দুর্গাপুজোয় তা দেওয়া হয়েছে ৩৬০০ টাকা। শিক্ষা থেকে পরিবহণ সর্বত্র সনাতন-বিরোধী মানসিকতা প্রকাশ পাচ্ছে। সমূলে এর উৎপাটন প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।’’

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adikari: নিয়োগ থেকে টেন্ডার, স্বাস্থ্য দফতরে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি! নথি হাতে নিয়ে সরব শুভেন্দু

    Suvendu Adikari: নিয়োগ থেকে টেন্ডার, স্বাস্থ্য দফতরে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি! নথি হাতে নিয়ে সরব শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরের (Swasthya Bhawan) দুর্নীতি নিয়ে ইডি তদন্তের দাবি জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নিয়োগ থেকে টেন্ডার, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি নথি হাতে নিয়ে এই দাবি করেন শুভেন্দু। ২০১৬ সাল থেকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল খোলার নামে টেন্ডারে বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। দাবি করেন স্বাস্থ্য দফতরের একাধিক কর্তার নামে প্রচুর বেনামি সম্পত্তি রয়েছে।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    বৃহস্পতিবার বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারিকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সেখানেই তাঁর দাবি, “এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে এই শাসকদলের নেতা মন্ত্রী দুর্নীতি করেননি।” শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার পর প্যান্ডোরার বাক্স খুলে গিয়েছে। এদিন শুভেন্দু দাবি করেন, এসপি দাশের হাত সন্দীপ ঘোষের মাথায় ছিল। সে কারণেই একসঙ্গে তিনটি চাকরি পেয়েছিলেন। বিরোধী দলনেতা জানান, আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট (নন মেডিকেল) আখতার আলি দীর্ঘদিন এ নিয়ে লড়াই করছেন। 

    টেন্ডার দুর্নীতি

    এদিন স্বাস্থ্যভবনে টেন্ডার দুর্নীতি প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন,  “২০১২ সালের পর থেকে অনেক ভুয়ো কোম্পানি তৈরি করে টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটা পবন অরোরা, মেনকা গম্ভীরদের কোম্পানি রয়েছে। যাঁরা ভাইপোর আত্মীয়। মূলত পাঁচটা কোম্পানি সমস্ত টেন্ডারগুলো পেয়েছে। ভুয়ো কোম্পানি তৈরি করে টেন্ডার দুর্নীতি হয়েছে। টেন্ডার পেয়ে যাওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায় কোম্পানিগুলো। ২০১৬ সালে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালতেও টেন্ডার দুর্নীতি হয়েছে। ভাইপোর আত্মীয়ের কোম্পানির নামে এই টেন্ডারগুলো ইস্যু করা হয়েছিল। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের নামেও প্রচুর বেনামি সম্পত্তি রয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, এই পুরো প্রক্রিয়া প্রথমে দেবাশিস বসু শুরু করেন। পরবর্তী কালে এই কাজ করেছেন মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি এখন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান। মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২৩ সালে আট কোটি টাকা দিয়ে পাঞ্জাব থেকে লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুল্যান্স কিনেছেন। মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় মেয়ের নামে নিউটাউনে ফ্ল্যাট কিনেছেন। এসবই কাটমানির টাকা।

    করোনার সময় দুর্নীতি

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “নারায়ণস্বরূপ নিগম ও সঞ্জয় বনসালের নামে প্রচুর বেনামি সম্পতি রয়েছে। বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট ট্রিটমেন্টের টেন্ডারও জোন ভাগ করে করে বেআইনিভাবে দেওয়া হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে টেন্ডার ছাড়াই এগুলো দেওয়া হয়েছে। করোনার সময়ও পিপিই কিট, এন-৯৫ মাস্ক সহ বিভিন্ন জিনিস নারায়ণ স্বরূপ নিগম, মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় ও সঞ্জয় বনসাল বেআইনিভাবে পবন অরোরার কোম্পানিকে দিয়েছে। এছাড়া তন্তুজের অবসরপ্রাপ্ত ম্যানেজিং ডায়রেক্টর রবীন রায়কে সামনে রেখে আগের মুখ্যসচিব তথা অধূনা রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা তিনি এই সমগ্র দুর্নীতি অর্গানইজ করেছেন। আমাদের কাছে সব নথি রয়েছে।” 

    আরও পড়ুন: নিলামে প্রধানমন্ত্রীর উপহার, রোজগারের টাকা ব্যয় হবে নমামি গঙ্গে প্রকল্পে

    জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের টাকা নয়ছয়

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, স্বাস্থ্যভবনে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি হয়েছে। তা নিয়ে তিনটি এফআইআরও হয়েছে। ইডি যার তদন্ত শুরু করেছে। আখতার আলির পাশাপাশি কৌস্তভ বাগচীও একটি অভিযোগ করেছেন বলে জানান তিনি। অন্যদিকে, মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি নিয়েও লেদার কমপ্লেক্স থানায় দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কোভিডকালেও বিস্তর দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি শুভেন্দুর। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের টাকা নয়ছয়েরও অভিযোগ তোলেন তিনি। এছাড়া স্বাস্থ্য ভবনে নিয়োগেও এনআরআই কোটায় চরম দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি তাঁর। শাসকদলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীর ছেলের ডাক্তারিতে সুযোগ পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Municipal Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে বিপাকে তৃণমূল নেতা, নাম জড়াল সিবিআইয়ের চার্জশিটে

    Municipal Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে বিপাকে তৃণমূল নেতা, নাম জড়াল সিবিআইয়ের চার্জশিটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের প্রথম চার্জশিটেই বিপাকে পড়লেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন পাঁচু রায় (Pachu Ray) । তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, করোনাকালে একই দিনে দক্ষিণ দমদম পৌরসভায় ২৯ জনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। সেই সময় পুরপ্রধান ছিলেন পাঁচু রায়। তবে ওই নিয়োগের (Municipal Recruitment Scam) ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি এখনও তদন্তের আওতাধীন রয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তির দিনেই ২৯ জনকে চাকরি ও নিয়োগ  (Pachu Ray)

    জানা গিয়েছে, একই দিনে ২৯ জনকে বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়া হয়। একই দিনে চাকরির বিজ্ঞপ্তি বের হয়, সেদিনই দেওয়া হয় নিয়োগপত্র। আবার সেদিনই চাকরিতে যোগদান করেন সকলে। গোটা প্রক্রিয়াটাই বেআইনি বলে দাবি করেছে ইডি। ইডির প্রশ্ন, তাহলে চাকরিতে নিয়োগের আগে নিয়ম মেনে মূল্যায়ন হল কী করে। ওই চার্জশিটে পাঁচুর রায়ের পাশাপাশি অয়ন শীলের নামের উল্লেখ রয়েছে। তবে এই দুর্নীতিতে অয়ন শীলের অর্থনৈতিক যোগাযোগ নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে।

    নথির আড়ালে কোডওয়ার্ড (Municipal Recruitment Scam)

    প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে পুর নিয়োগ দুর্নীতির খোঁজ পায় ইডি। জানা যায়, করোনা কালে রাজ্যে অন্তত ৮০টি পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম হয়। কোনও নিয়ম না মেনে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ হয়। নিয়োগের ক্ষেত্রে টাকার পাশাপাশি স্বজন-পোষণের বিষয়টিও উঠে আসে। এবার সেই পুর নিয়োগ (Municipal Recruitment Scam) দুর্নীতিতে প্রথম নাম শাসক দলের এক তৎকালীন পুরপ্রধানের। প্রসঙ্গত ২০২৩ সালের মার্চ মাসের ১৯ তারিখ সল্টলেকে অয়ন শীলের অফিস ও হুগলির বাড়ি থেকে তল্লাশি চালিয়ে দিস্তা-দিস্তা ওএমআর শিট উদ্ধার হয় এবং একটি ২৮ পাতার নথির খোঁজ পান তদন্তকারীরা। আপাতদৃষ্টিতে প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত নথি মনে করা হলেও পরে দেখা যায় তাতে রয়েছে একাধিক পুরসভার নিয়োগপ্রার্থীদের তালিকা এবং সেই সংক্রান্ত সুপারিশ। নথির মধ্যে ছিল একাধিক কোডওয়ার্ড।

    ৮০ পুরসভার নিয়োগে দুর্নীতি

    উত্তর দমদম, নিউ ব্যারাকপুর, দক্ষিণ দমদম, কামারহাটি, বরানগর সহ বেশ কয়েকটি পুরসভার প্যানেলের তথ্য ছিল ওই নথিতে। এছাড়াও পুরসভাগুলিতে মেডিক্যাল অফিসার, ওয়ার্ড মাস্টার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্যাশিয়ার, মজদুর, ক্লার্ক, হেল্পার, ড্রাইভার সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশের তালিকাও ছিল ওই নথিতে।

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে ৪৭টি এফআইআরে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    ঐ নথির ভিত্তিতেই দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান পাঁচু রায়ের (Pachu Ray) নাম উঠে আসে। সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখিও হয়েছিলেন তিনি। এবার সেই পুর নিয়োগ (Municipal Recruitment Scam) দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের চার্জশিটে উঠে এল তাঁর নাম।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sabooj Sathi: তৃণমূলের ‘উন্নয়ন’ কি পৌঁছল বাংলাদেশেও? ‘সবুজ সাথী’র সাইকেল দেদার বিক্রি পদ্মাপাড়ে

    Sabooj Sathi: তৃণমূলের ‘উন্নয়ন’ কি পৌঁছল বাংলাদেশেও? ‘সবুজ সাথী’র সাইকেল দেদার বিক্রি পদ্মাপাড়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন কি পৌঁছে গিয়েছে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশেও? এমন প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে যখন দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের গ্রামের হাটগুলিতে দেদার বিক্রি হচ্ছে সবুজ সাথীর সাইকেল। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের হাটে পুরনো জিনিসপত্র বেচাকেনার রেওয়াজ রয়েছে। স্কুল পড়ুয়াদের জন্য তৃণমূল সরকারের দেওয়া সবুজ সাথীর সাইকেল নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ সংলগ্ন ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তে লাগোয়া পুরনো সাইকেল বেচাকেনার দোকানে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।

    ভিডিও ভাইরাল সমাজ মাধ্যমের পাতায়

    বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের হাটে সবুজ সাথী (Sabooj Sathi) সাইকেল বিক্রির ভিডিও সমাজ মাধ্যমের পাতায় ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মতামত জানিয়েছেন নেটিজেনরাও। যদিও এই ভিডিওগুলি সত্য নাকি তা যাচাই করেনি ‘মাধ্যম’। ভাইরাল হওয়া সেই রকম একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের এক যুবক সবুজ সাথীর (Sabooj Sathi) লোগো বসানো সাইকেলগুলি বিক্রি করছেন। সাইকেলগুলির মধ্যে পুরনো সাইকেল যেমন রয়েছে তেমনই দেখা যাচ্ছে নতুন সাইকেলও রয়েছে সেখানে। সাইকেলের সামনে বই রাখার জন্য বাস্কেটও দেখা যাচ্ছে।

    বেশ কদর রয়েছে সাইকেলগুলির

    জানা গিয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা লাগোয়া ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রানিহাটি বাজার, চাঁপাই, নবাবগঞ্জ, নদিয়া জেলার চরঘাট, রাজশাহি, খুলনা, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, জীবননগরের মতো গ্রামীণ হাটগুলিতে বিক্রি হচ্ছে দেদার সবুজ সাথী (Sabooj Sathi) প্রকল্পের সাইকেল। সবুজ সাথী প্রকল্পের এই ধরনের সাইকেলগুলি বাংলাদেশে দাম ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা বলে জানা গিয়েছে। তবে সবুজ সাথী সাইকেল সেখানে মিলছে মাত্র সাত থেকে আট হাজার টাকায়। বাংলাদেশেরে এক সাইকেল বিক্রেতা জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের সবুজ সাথী সাইকেল এর গুণমান নিয়ে যতই প্রশ্ন তুলুক সেখানকার বিরোধীরা। সীমান্ত পারে নীল রঙের সাইকেলের কদর কিন্তু বেশ বেশি।

    কী ভাবে যাচ্ছে সাইকেল

    কিন্তু সাইকেলগুলি ভারত থেকে সেখানে যাচ্ছে কীভাবে? জানা গিয়েছে যে সমস্ত ভারতীয় নাগরিকদের কাঁটাতারের ওপারে চাষের জমি রয়েছে, তারা সাইকেলে করে জমিতে যাচ্ছেন এবং ফিরে আসার সময় সেগুলিকে বিক্রি করে দিয়ে আসছেন। এর সবটাই তবে চলছে বিএসএফের নজর এড়িয়ে। এছাড়া দ্বিতীয় পদ্ধতি হল, শুকিয়ে যাওয়া নদীর কালভার্টের নিচ দিয়ে সাইকেল (Sabooj Sathi) পৌঁছে দিচ্ছে চোরাকারবারিরা বাংলাদেশে। চুয়াডাঙা হাটের সাইকেল ব্যবসায়ী মেহেবুল কবিরাজের কথায়, ‘‘অনেকেই বলেন এগুলো নাকি পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে দেওয়া সাইকেল। আমরা অত কিছু জানি না। পাইকারদের কাছ থেকে নিয়ে আসি। ২০০-৩০০ টাকা মুনাফা রেখে বিক্রি করে দিই।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Navami: ঠেলার নাম বাবাজি! ভোটের মুখে রামনবমীতেও ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হলেন মমতা

    Ram Navami: ঠেলার নাম বাবাজি! ভোটের মুখে রামনবমীতেও ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হলেন মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমবার রামনবমীতে (Ram Navami) ছুটি ঘোষণা হল পশ্চিমবঙ্গে। শনিবারই নবান্ন এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের রামনবমী অনুষ্ঠিত হবে ১৭ এপ্রিল। ওই দিন জরুরী পরিষেবা বাদ দিয়ে রাজ্যের সরকারি এবং সরকার পোষিত সমস্ত প্রতিষ্ঠানের ছুটি থাকবে। অর্থাৎ স্কুল, কলেজ অফিস কাছারি সবকিছুই বন্ধ থাকবে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, যেভাবে রামের নামে মেতেছে সারা দেশ, তাতে একপ্রকার বাধ্য হয়েই ছুটি দিল মমতা সরকার।

    রামনবমীকে কেন্দ্র করে বাংলায় জনজোয়ার

    রামনবমীকে (Ram Navami) কেন্দ্র করে বাংলাতে জনজোয়ার বিগত বছরগুলোতেই দেখা গিয়েছিল। দলে দলে ভক্তরা রাস্তায় নেমে রামের নামে মেতে ওঠে। যুব সমাজ মাথায় গেরুয়া ফেট্টি পরে রাম গানে নাচতে থাকে। ২০১৮ সালে পাল্টা রাম নবমীর ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তা একেবারেই ফ্লপ হয়ে যায়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখ উদ্বোধন হয়েছে রাম মন্দিরের। দেশজুড়ে ভক্তরা উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। উদ্বোধনের দিন দেশের অনেক রাজ্যেই ছুটির ঘোষণা করে সংশ্লিষ্ট সরকার। বিজেপি সমেত একাধিক সংগঠন সেসময় পশ্চিমবঙ্গেও ছুটির আবেদন করে। কিন্তু তা মানেনি তৃণমূল সরকার। পাল্টা তৃণমূলের তরফে ভেসে আসে নানা মন্তব্য। অবশেষে রামনবমীতে ছুটি দিতে বাধ্য হল তৃণমূল সরকার।

    কী বলছে বিজেপি? 

    এনিয়ে কটাক্ষ ভেসে এসেছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টে। রামনবমীর (Ram Navami) ছুটি ঘোষণা নিয়ে তিনি লেখেন, ‘‘ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না।’’ শুভেন্দু লেখেন, ‘‘চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে শ্রী রাম নবমী উৎসবের দিন মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রী রামচন্দ্রের সম্মানে এই প্রথম বার রাজ্য সরকার ছুটি ঘোষণা করল। আমি জানুয়ারি মাসে রাম নবমীর দিন ছুটি না দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছিলাম, আজ রাজ্য সরকার বাধ্য হয়ে ছুটি ঘোষণা করল। জয় শ্রীরাম।’’ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ভোটের আগে কেন এই ঘোষণা নবান্ন করল, তা সবাই বুঝতে পারছে। মানুষ অত বোকা নয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • WB Advocate General: মমতা জমানায় ১২ বছরে ৬ এজি, ফের দায়িত্বে ইস্তফা দেওয়া কিশোর দত্ত

    WB Advocate General: মমতা জমানায় ১২ বছরে ৬ এজি, ফের দায়িত্বে ইস্তফা দেওয়া কিশোর দত্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা জমানায় ১২ বছরে ৬ এজি (WB Advocate General), ফের দায়িত্বে ইস্তফা দেওয়া কিশোর দত্ত। শনিবারই এজি হিসেবে কিশোর দত্তকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ করে রাজ্য। তাঁর নামে সিলমোহর দেয় রাজভবন। জানা গিয়েছে, শনাবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখাও করেছেন কিশোর দত্ত। প্রসঙ্গত, কিশোর দত্ত এর আগেও এজি পদ সামলেছেন। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি নিজের ইস্তফাপত্র দেন রাজ্যপালকে। বিধানসভা ভোটের পরে রাজ্যজুড়ে লাগামছাড়া হিংসা ছড়ায় শাসক দলের মদতে। এই ঘটনায় একের পর এক মামলায় ভর্ৎসিত হতে থাকে রাজ্য। ঠিক এই কারণেই সেসময় ইস্তফা দেন কিশোর দত্ত।

    কিশোর দত্তের পরে দায়িত্বে আসা সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ও ইস্তফা দেন

    কিশোর দত্তের পরে দায়িত্বে (WB Advocate General) নিয়ে আসা হয় সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়কে। তিনিও ইস্তফা দেন চলতি বছরের নভেম্বর মাসের প্রথমেই। ইস্তফার পরে রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার কথাই বলেন সৌমেন্দ্রনাথবাবু। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। বারবার কেন পদত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন রাজ্যের এজির? তথ্য বলছে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মমতা সরকার ৬ বার বদল করেছে আইজি। দেশের কোনও রাজ্যে এমন নজির রয়েছে কিনা, তা মনে করতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরাও। ক্ষমতায় আসার পরেই মমতা সরকার এজি (WB Advocate General) পদে নিয়োগ করে অনিন্দ্য মিত্রকে। তাঁর মেয়াদকাল ২৪ মে ২০১১- ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩। তারপর এজি পদে নিয়োগ পান যথাক্রমে, বিমল চট্টোপাধ্যায় (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ – ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪), জয়ন্ত মিত্র (১৬ ডিসেম্বর ২০১৪- ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭), কিশোর দত্ত (৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭- ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১), সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ – ১০ নভেম্বর ২০২৩), কিশোর দত্ত (১৬ ডিসেম্বর ২০২৩)।

    বদল হয়েছে রাজ্যের পিপি পদেও

    প্রসঙ্গত, গত ৭ নভেম্বর রাজ্যের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায়কে। তাঁর জায়গায় আসেন হন দেবাশিস রায়। তার পর থেকেই এজি (WB Advocate General) পদে বদল নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। সেই আবহেই সৌমেন্দ্রনাথ ইস্তফা দেন। তাঁর ইস্তফার পরে ফের দায়িত্বে এলেন কিশোর দত্ত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share