Tag: TMC INNER CLASH

TMC INNER CLASH

  • TMC Inner Clash: বুধেও জারি তৃণমূলের অন্তর্কলহ, সুদীপকে ফের নিশানা তাপসের, এবার কী বললেন?

    TMC Inner Clash: বুধেও জারি তৃণমূলের অন্তর্কলহ, সুদীপকে ফের নিশানা তাপসের, এবার কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলের পর বুধবারও গড়াল তৃণমূলের দ্বন্দ্বের (TMC Inner Clash) জের। এদিন প্রবীণ বিধায়ক তাপস রায় নিশানা করলেন দলেরই প্রবীণ সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মঙ্গলবার সুদীপকে আক্রমণ শানিয়ে তাপস বলেছিলেন, “রাজনীতি না করে অভিনয় করলে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পেতেন সুদীপ”। বুধবার ফের তাপস বলেন, “যারা মমতাপন্থী, যারা তৃণমূলপন্থী, যারা অভিষেকপন্থী, সুদীপ তাদের পছন্দ করে না।”

    সুদীপের জবাব

    মঙ্গলবারই তাপসের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সুদীপ বলেছিলেন, “একটা কথাই বলব, হাতি চলে বাজার…। আর কিছু বলব না।” তিনি বলেন, “কে, কী বলবেন, সেটা তাঁদের নিজের রুচির ব্যাপার। মানুষ বিচার করবেন।” পাল্টা (TMC Inner Clash) জবাবে তাপস বলেন, “ও নিজেকে হাতি ভাবে, কিন্তু ও মোটেই হাতি নয়। আর যদি হাতি হয়, সেটাও সাদা হাতি, সব ক্ষেত্রেই অনুৎপাদক।” তাপস বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য তৃণমূল করি। কিন্তু যদি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুষ্ট করে চলতে হয়, তাহলে নিশ্চয়ই আমাকে ভাবতে হবে।”

    তাপসের পাল্টা

    তিনি বলেন, “দলে কিছু লোক বিভাজন করতে চাইছে। তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুদীপ ভুলে গিয়েছে ওর থেকে বেশি দিন তৃণমূল করি। উত্তর কলকাতাজুড়ে গোষ্ঠীবাজি করছে।” তাপস বলেন, “উনি (সুদীপ)ছ’-সাত বছর দলে ছিলেন না। বলেছিলেন, দলটা ছ’ মাস থাকবে তো! এরপর স্বামী-স্ত্রী মিলে কী করেছিল, তার সব কাগজপত্র আমার কাছে আছে। প্রয়োজনে সব তুলে ধরব। এক সময় বলেছিলেন, আমি হেরেছি তো কী হয়েছে, তৃণমূলকে তো হারিয়েছি। এত বছর ধরে আমার ওপরে যে অন্যায় হয়েছে, তার বিচার হোক।”

    আরও পড়ুুন: লোকসভা নির্বাচনের আগেই লাগু হচ্ছে সিএএ! নাগরিকত্ব পাচ্ছেন কারা?

    প্রসঙ্গত, রবিবার তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে সুদীপ বলেছিলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন থাকবেন না, সেদিন বাংলার অবস্থা ছাগলের তৃতীয় সন্তানের মতো হয়ে যাবে।” এর প্রেক্ষিতেই তাপস নিশানা করেন সুদীপকে।

    প্রসঙ্গত, বয়ঃ-তত্ত্ব নিয়ে তৃণমূলে শুরু হয়েছে নবীন-প্রবীণের দ্বন্দ্ব। যার জেরে খোদ তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে তাঁরই ভাইপো তথা দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল। পরে অবশ্য ধামাচাপা দেওয়া হয় নবীনের ক্ষোভের আগুনে। এই দ্বন্দ্বেরই জের তাপস-সুদীপের বাক-যুদ্ধ। তাপস ও সুদীপ দুজনেই প্রবীণ হলেও, তাপস অভিষেক ঘনিষ্ঠ বলে তৃণমূলে (TMC Inner Clash) পরিচিত। আর সুদীপ মমতা-বৃত্তের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Abhishek Banerjee: তৃণমূলের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, মারামারি, ছেঁড়া হল ব্যালট   

    Abhishek Banerjee: তৃণমূলের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, মারামারি, ছেঁড়া হল ব্যালট   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Polls) আগে ঘর গুছোতে ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তৃণমূল (TMC)। মঙ্গলবার কোচবিহারে শুরু হয়েছে সেই কর্মসূচি। তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) জানিয়েছিলেন ‘গ্রাম বাংলা মতামত’ কর্মসূচির আওতায় গোপন ব্যালটে ভোট নিয়ে হবে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা। সেই কর্মসূচিকে ঘিরেই এদিন কোচবিহারে দেখা গেল চরম বিশৃঙ্খলা। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মারামারি, হুড়োহুড়ি মায় ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটল। ঘটনায় যারপরনাই বিব্রত তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। শেষমেশ অভিষেক ঘোষণা করলেন, কেন এই ঘটনা ঘটল, তা তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে জেলাশাসককে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, বুধবার ওই জায়গায়ই ফের ভোট হবে প্রার্থী বাছাইয়ের।

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভায় বিশৃঙ্খলা…

    এদিন সাহেবগঞ্জ ও গোঁসানিমারি এলাকায় জনসভা করেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। পঞ্চায়েতে কারা প্রার্থী হবেন, তা জানতে গোপন ব্যালটে ভোট দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন এই তৃণমূল নেতা। প্রথমে তিনি সভা করেন সাহেবগঞ্জে। পরে যান গোঁসানিমারি হাইস্কুল মাঠের সভায়। বক্তৃতার শেষে অভিষেক জানান, মঞ্চে ব্যালট বাক্স রেখে যাচ্ছেন। উপস্থিত তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা যেন নিজেদের প্রার্থী বাছাই শুরু করেন। বক্তৃতা শেষ করে শীতলখুচির উদ্দেশে রওনা দেন অভিষেক। তার পরেই শুরু হয় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা। হুড়োহুড়ি করে যে যেখানে ছিলেন মঞ্চে ওঠার চেষ্টা করেন। কয়েকজন ব্যালট বাক্স নিয়ে পালানোর চেষ্টাও করেন। কয়েকজন আবার তাঁদের বাধা দেন।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে এবার তাপসকে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    ব্যালট বাক্স নিয়ে দু পক্ষে কার্যত চলতে থাকে দড়ি টানাটানি খেলা। কয়েকজনকে আবার ব্যালট পেপার ছিঁড়ে ফেলতে দেখা যায়। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি, মারামারি। ব্যালট বাক্স ভেঙে ফেলাও হয়েছে বলে অভিযোগ। বাক্স থেকে কয়েকজনকে ব্যালট পেপার বের করে ফেলতেও দেখা যায়। হট্টগোল পরিস্থিতির মোকাবিলায় পুলিশ মঞ্চ থেকে ঠেলে নামিয়ে দেয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। মঞ্চের নিচে পুলিশের সামনেই ফের একপ্রস্ত মারামারি শুরু হয় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে।

    গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Abhishek Banerjee) রাজ্যের সিংহভাগ আসনেই বিরোধীদের প্রার্থী দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য অবাধ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে। এমতাবস্থায় দলীয় প্রার্থী নির্বাচন নিয়েই ঘটে গেল ব্যালট পেপার ছিনতাই, ব্যালট বাক্স ভাঙচুরের মতো ঘটনা। প্রত্যাশিতভাবেই অশনি সংকেত দেখছেন বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC Worker Shot: শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের জের! গোসাবায় ফের গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    TMC Worker Shot: শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের জের! গোসাবায় ফের গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের! ফের গুলিবিদ্ধ এক তৃণমূল কর্মী (TMC Worker Shot)। এবারের ঘটনাটি ঘটেছে গোসাবা বিধানসভার শম্ভুনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে। সম্প্রতি গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে নদিয়ার তৃণমূল নেতা মতিউর রহমানের। সেই ঘটনার রেশ না কাটতেই এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায় তৃণমূল কর্মী মনোরঞ্জন মণ্ডলকে লক্ষ্য করে গুলি করার খবর সামনে এসেছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মনোরঞ্জনকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ও তাঁর অবস্থাও স্থিতিশীল। গুলিবিদ্ধ মনোরঞ্জনের দাবি, পুরনো রাজনৈতিক শত্রুতার জেরেই এই হামলা।

    কী ঘটে?

    আক্রান্ত মনোরঞ্জন জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যায় বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। আর তখনই তাঁকে উদ্দেশ্য করে গুলি করা হয় (TMC Worker Shot)। তিনি অভিযোগ করেছেন শম্ভুনগরের প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা তৃণমূল বিধায়কের ঘনিষ্ঠ বরুণ ওরফে চিত্ত প্রামাণিকের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে যাঁর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে, তাঁকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

    এরপরে এই ঘটনার বিষয়ে তৃণমূলের বিধায়ককে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানান, বরুণ ওরফে চিত্ত প্রামাণিক তৃণমূলেরই নেতা। তবে তাঁর দাবি, তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য একদল লোক এই অভিযোগ আনছে। তিনি অভিযোগের আঙুল তুলছেন বিজেপির দিকে। যদিও, গেরুয়া শিবিরের দাবি, পুরোটাই শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফলে ঘটেছে।

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের বোমাবাজি, গড়িয়া স্টেশন এলাকায় আতঙ্ক

    এর আগেও একাধিক তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের খবর সামনে এসেছে। চলেছে বোমাবাজি, ঝরেছে রক্ত, গিয়েছে প্রাণ। বছর ঘুরতেই পঞ্চায়েত ভোট। আর তার আগেই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা । আর এর জেরে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে বোমাবাজি, অস্ত্র উদ্ধার, কর্মী খুন (TMC Worker Shot)।

    গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে আগের কিছু ঘটনা

    পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই প্রকট হচ্ছে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল। এর জেরে সম্প্রতি সবচেয়ে বড় ঘটনা ঘটে মুর্শিদাবাদের নওদায়। বোমা-গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান নদিয়ার তৃণমূল নেতা মতিউর রহমান। পরিবারের অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকে। এছাড়াও, মালদায় প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানকে মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল প্রাক্তন তৃণমূল ব্লক সভাপতি এবং পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষের দলবলের বিরুদ্ধে। আবার, মুর্শিদাবাদের ডোমকলে পিস্তল, লোহার রড নিয়ে তৃণমূল নেতা তথা ডোমকল পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ চাকীর ওপর হামলা চলেছে। অভিযোগের আঙুল উঠেছে ডোমকলের তৃণমূল বিধায়কের অনুগামীদের বিরুদ্ধেই। বসিরহাটেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঠেকাতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। ফলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে গোসাবার ঘটনায় তৃণমূলের অস্বস্তি আরও বাড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল (TMC Worker Shot)।

  • Sainthia: সাঁইথিয়ার বোমা বিস্ফোরণের তদন্ত এনআইএ করবে কিনা, সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    Sainthia: সাঁইথিয়ার বোমা বিস্ফোরণের তদন্ত এনআইএ করবে কিনা, সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাঁইথিয়া (Sainthia) বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে এক বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন আদালত থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, বীরভূমের সাঁইথিয়ায় বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তভার এনআইএ-কে দেওয়া হবে কি না, সে ব্যাপারের সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট এই বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর ছেড়ে দিয়েছে। জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে সোমবার এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

    কী ঘটেছিল?

    গত ১৪ নভেম্বর, সাঁইথিয়ায় (Sainthia) শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর (tmc inner clash) মধ্যে তুমুল মারামারি হয়। বোমাবাজির ঘটনায় রক্তাক্ত হয় বীরভূমের সাঁইথিয়ার বহড়াপুর গ্রাম। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জন্য দুই জন গুরুতর আহতও হয়। অভিযোগ উঠেছিল এই ঘটনার মূলে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বোমার ফলে সাদ্দাম হোসেন নামে এক যুবকের ডান পা এবং হাত উড়ে গিয়েছে ও আহত হয়েছে ১৪ বছরের বালক মুজফ্ফর। আর তারপরের দিন ফের ওই এলাকা থেকে তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে রাজ্য পুলিশ। কিন্তু এবার এই বোমা বিস্ফোরণের তদন্তের ভার কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ-এর হাতে তোলার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের উপর ছেড়ে দিয়েছে হাইকোর্ট।

    জনস্বার্থ মামলা আইনজীবীর

    এরপরই এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের আবেদন করে উচ্চ আদালতে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী অনিন্দ্য সুন্দর দাস। আর এই মামলারই আজ শুনানি ছিল। এই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, তদন্তভার এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়া হবে কি না, সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত কেন্দ্রই নেবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও আদালতে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ইতিমধ্যে ঘটনার (Sainthia) রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। সেই রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠানো হবে।

    সাঁইথিয়া ঘটনায় (Sainthia) গ্রামবাসীর অভিযোগ, এই ঘটনার মূলে রয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এই ঘটনার পরের দিনেও একাধিক বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে বিরোধীদের অভিযোগ যে, গোটা বীরভূম জেলাই এখন বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে আছে। জেলার বিভিন্ন অংশে প্রায় রোজই বোমা উদ্ধার হচ্ছে, পাওয়া যাচ্ছে অস্ত্রশস্ত্রও। পাশাপাশি শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষও প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা। যদিও তৃণমূলের তরফে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বিরোধীদের আরও অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্য।

    তবে শেষপর্যন্ত সাঁইথিয়ার (Sainthia) বিস্ফোরণের ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকার এর তদন্তভার এনআইএ-এর হাতে তুলে দেয় কিনা, সেটাই দেখার।

  • TMC Inner Clash: তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে ব্যাপক বোমাবাজি, উড়ল হাত, তপ্ত শিউলির কেশপুর

    TMC Inner Clash: তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে ব্যাপক বোমাবাজি, উড়ল হাত, তপ্ত শিউলির কেশপুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের রক্তাক্ত বাংলা। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের (TMC Inner Clash) জেরে ফের সংঘর্ষ। সোমবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বীরভূমের সাঁইথিয়া। এবার ঘটনাস্থল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর (Keshpur)। বুধবার এই কেশপুরেরই চড়কা গ্রাম অশান্ত হয়ে ওঠে রাজ্যের শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দলের জেরে। হয় ব্যাপক বোমাবাজি। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন স্থানীয় এক তৃণমূল (TMC) কর্মী। তাঁর ডান হাতের কিছুটা অংশ উড়ে গিয়েছে।

    চলতে থাকে তাণ্ডব

    স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে আচমকাই চড়কা গ্রামে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠী (TMC Inner Clash)। শুরু হয় বোমাবাজি। মুড়িমুড়কির মতো বোমা পড়তে থাকে। ভয়ে ঘরে সেঁধিয়ে যায় গোটা গ্রাম। চলতে থাকে তাণ্ডব। বোমার ঘায়ে তৃণমূল কর্মী রফিকুল আলির ডান হাতের কিছুটা অংশ উড়ে যায়। তাঁকে প্রথমে ভর্তি করা হয় কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে এলাকায় যায় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। এলাকায় রয়েছে চাপা উত্তেজনা।

    এদিন যে এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের (TMC Inner Clash) ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি রাজ্যের পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহার নির্বাচনী কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। মন্ত্রী বলেন, আজ দুপুর ১টায় কেশপুর বাজারে মহামিছিল হওয়ার কথা। তার আগে সিপিএম (CPM) এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করতে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সমর্থন করি না। কঠোরভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হবে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে পুলিশকে।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে ‘বিপজ্জনক’ ২৩৩ মাদ্রাসার হদিশ রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের, নবান্ন চুপ

    বারুদের স্তুূপে বাংলা, বলছে বিজেপি

    বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সাধারণ সম্পাদক দিলীপ ঘোষ বলেন, নরেন্দ্রপুর, সাঁইথিয়া থেকে কেশপুর। পুরো বাংলা বারুদের স্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। যাঁদের তৃণমূল কর্মী বলা হচ্ছে, তাঁরা আদতে গুন্ডা। তারাই ভোটে জেতাচ্ছে। তারাই রাজত্ব করছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বোমা-বন্দুক নিয়ে বেরিয়ে আসছে, মানুষ আতঙ্কিত হচ্ছে। এর পরে মানুষ যাতে ভয়ে ভোট দিতে যেতে না পারেন, তার ব্যবস্থা হচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, সোমবার এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠেছিল সাঁইথিয়া। সেখানেও তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দলের (TMC Inner Clash) জেরে হয় ব্যাপক বোমাবাজি। বোমার ঘায়ে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার পা উড়ে যায়। জখম হয় এক নাবালকও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • TMC Inner Clash: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বোমাবাজি, হাত-পা উড়ল যুবকের, থমথমে সাঁইথিয়া

    TMC Inner Clash: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বোমাবাজি, হাত-পা উড়ল যুবকের, থমথমে সাঁইথিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারুদের স্তূপে বীরভূম (Birbhum)! ফের একবার প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Inner Clash)। আবারও ঘটল বোমাবাজির ঘটনা। ওই ঘটনায় এক নাবালক সহ জখম হয়েছেন দুজন। এলাকা দখলের জেরে এই ঘটনা, বলছেন স্থানীয়রাই। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ১২জনকে। উদ্ধার হয়েছে ৩০টি তাজা বোমা। এলাকায় পুলিশ পিকেট। ভয়ে পুরুষ শূন্য গোটা গ্রাম। বীরভূমের সাঁইথিয়ার ওই ঘটনায় আতঙ্ক গোটা এলাকায়।

    বিবাদের কারণ…

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের পুরানো। সোমবার বিকেলে আচমকাই প্রকাশ্যে চলে আসে তৃণমূলের সাঁইথিয়া ব্লক সভাপতি সাবের আলি ও ব্লক কার্যকরী সভাপতি তুষার মণ্ডলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Inner Clash)। ঘটনাস্থল সাঁইথিয়ার ফুলুর পঞ্চায়েতের বহরাপুর গ্রাম। কোনও একটি কারণে এদিন দু পক্ষের বিবাদ চরমে ওঠে। প্রথমে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। পরে বাঁধে সংঘর্ষ। ঘটনার জেরে এলাকায় শুরু হয় ব্যাপক বোমাবাজি। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়তে থাকে। বোমার ঘায়ে জখম হন সাদ্দাম নামে এক যুবক। তাঁর ডান হাত এবং ডান পা উড়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সাঁইথিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। গুরুতর জখম অবস্থায় সাদ্দাম বলেন, আমার কাকাকে আটকে রেখেছিল তুষার মণ্ডলের লোকজন। ওরাই আমাকে বোমা মেরেছে।

    তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের (TMC Inner Clash) জেরে যে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে, তাতে জখম হয়েছে মুজাফফর হোসেন নামে এক নাবালকও। তার সারা গায়ে বোমার আঘাতের ক্ষত। তাকেও প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পরে দুজনকেই সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘পুলিশ কামড়ালে কি ভ্যাকসিন নিতে হবে?’’, পশ্চিম মেদিনীপুরের সভায় সুকান্ত

    পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা সবাই তৃণমূল (TMC) কর্মী। এলাকায় রয়েছে চাপা উত্তেজনা। অশান্তি এড়াতে এলাকায় চলছে পুলিশি টহলদারি। রয়েছে পুলিশ পিকেটও। ভয়ে গ্রাম ছেড়েছেন পুরুষরা। ফের অশান্তির আশঙ্কায় বাচ্চাদের হাত ধরে গ্রাম ছাড়ছেন মহিলারাও। মঙ্গলবার সকালেও অকুস্থলে গিয়ে দেখা গিয়েছে শুকনো রক্তের দাগ। পড়ে রয়েছে খালি বালতি। এই বালতি করেই বোমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, কাটমানি সহ একাধিক বিষয় নিয়ে তৃণমূলের এই গন্ডগোল নতুন নয়। প্রায়ই হয়। আগামীতে আরও বাড়বে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

     

  • TMC Inner Clash: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ব্যাপক বোমাবাজি, হাত-পা উড়ল যুবকের, জখম নাবালকও

    TMC Inner Clash: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ব্যাপক বোমাবাজি, হাত-পা উড়ল যুবকের, জখম নাবালকও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারুদের স্তূপে বীরভূম (Birbhum)! ফের একবার প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Inner Clash)। আবারও ঘটল বোমাবাজির ঘটনা। ওই ঘটনায় এক নাবালক সহ জখম হয়েছেন দুজন। এলাকা দখলের জেরে এই ঘটনা, বলছেন স্থানীয়রাই। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ১২জনকে। উদ্ধার হয়েছে ৩০টি তাজা বোমা। এলাকায় পুলিশ পিকেট। ভয়ে পুরুষ শূন্য গোটা গ্রাম। বীরভূমের সাঁইথিয়ার ওই ঘটনায় আতঙ্ক গোটা এলাকায়।

    বিবাদের কারণ…

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের পুরানো। সোমবার বিকেলে আচমকাই প্রকাশ্যে চলে আসে তৃণমূলের সাঁইথিয়া ব্লক সভাপতি সাবের আলি ও ব্লক কার্যকরী সভাপতি তুষার মণ্ডলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Inner Clash)। ঘটনাস্থল সাঁইথিয়ার ফুলুর পঞ্চায়েতের বহরাপুর গ্রাম। কোনও একটি কারণে এদিন দু পক্ষের বিবাদ চরমে ওঠে। প্রথমে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। পরে বাঁধে সংঘর্ষ। ঘটনার জেরে এলাকায় শুরু হয় ব্যাপক বোমাবাজি। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়তে থাকে। বোমার ঘায়ে জখম হন সাদ্দাম নামে এক যুবক। তাঁর ডান হাত এবং ডান পা উড়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সাঁইথিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। গুরুতর জখম অবস্থায় সাদ্দাম বলেন, আমার কাকাকে আটকে রেখেছিল তুষার মণ্ডলের লোকজন। ওরাই আমাকে বোমা মেরেছে।

    তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের (TMC Inner Clash) জেরে যে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে, তাতে জখম হয়েছে মুজাফফর হোসেন নামে এক নাবালকও। তার সারা গায়ে বোমার আঘাতের ক্ষত। তাকেও প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পরে দুজনকেই সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘পুলিশ কামড়ালে কি ভ্যাকসিন নিতে হবে?’’, পশ্চিম মেদিনীপুরের সভায় সুকান্ত

    পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা সবাই তৃণমূল (TMC) কর্মী। এলাকায় রয়েছে চাপা উত্তেজনা। অশান্তি এড়াতে এলাকায় চলছে পুলিশি টহলদারি। রয়েছে পুলিশ পিকেটও। ভয়ে গ্রাম ছেড়েছেন পুরুষরা। ফের অশান্তির আশঙ্কায় বাচ্চাদের হাত ধরে গ্রাম ছাড়ছেন মহিলারাও। মঙ্গলবার সকালেও অকুস্থলে গিয়ে দেখা গিয়েছে শুকনো রক্তের দাগ। পড়ে রয়েছে খালি বালতি। এই বালতি করেই বোমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, কাটমানি সহ একাধিক বিষয় নিয়ে তৃণমূলের এই গন্ডগোল নতুন নয়। প্রায়ই হয়। আগামীতে আরও বাড়বে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

     

  • Birbhum: ফিরহাদের উপস্থিতিতেই সিউড়িতে বগটুই স্মৃতি! তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মৃত ১

    Birbhum: ফিরহাদের উপস্থিতিতেই সিউড়িতে বগটুই স্মৃতি! তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মৃত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বগটুইয়ের স্মৃতি ফিরে এলো বীরভূমের সিউড়িতে (Birbhum Siuri)। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দে (Tmc inner clash) খুন হল এক জন। আগুন লাগানো হল একাধিক বাড়িতে। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) যখন খোদ সিউড়িতে হাজির, তখনই কাল মাঝরাত থেকে এই কাণ্ড চলল সেখানে । বালি খাদানের দখলদারি ঘিরে গোষ্ঠীকোন্দলের ফলে খুন হতে হল কাজল শেখের বিরোধী গোষ্ঠীর একজনকে। তার নাম ফাইজুল সেখ। এর পাল্টা আগুন লাগিয়ে দেওয়া হল কাজল শেখের বাড়ি চত্বরে। পুলিশের সামনেই চলল লাগাতার বোমাবাজি। 

    বীরভূমে বালি খাদানের দখল নিয়ে তৃণমূলে গোষ্ঠী কোন্দল বহু পুরনো। ইদানিং তা চরম আকার নিয়েছিল কাজল সেখ ও আতাউর সেখ গোষ্ঠীর মধ্যে। পুলিশি হস্তক্ষেপে তা মেটানোর চেষ্টা চললেও, এবার তা চরম আকার নিল। আতাউরের অভিযোগ, কাজলের লোকজন তার দল ভাঙানোর চেষ্টা করছিল। খুনের হুমকিও দিয়েছিল। গতকাল রাতে বাঁশজোড় এলাকায় তারা ফাইজুল সেখকে ভোজালির কোপ মারে। দেহের বিভিন্ন অংশে ভোজালির আঘাতে লুটিয়ে পড়ে ফাইজুল। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। 

    আরও পড়ুন: মামলা করে টাকা ও সময় নষ্ট করছে দেউলিয়া সরকার! বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্যকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    হাসপাতাল চত্বরে হাজির মৃতের ঘনিষ্ঠদের স্পষ্টই বলতে শোনা যায়, ‘কেন পার্টি করছিস!মুখ খুললে একজনের পর এবার অনেককে খুন হতে হবে।’ এই স্বগতোক্তিই বুঝিয়ে দেয়, বীরভূম তৃণমূলের প্রকৃত চেহারা। অনেকদিন ধরেই বালি খাদান দখল নিয়ে শাসক দলের মধ্যে কাজিয়া তুঙ্গে। আর এই কাজিয়াকে ঘিরে প্রায়শই সেখানে চলে বোমাবাজি। খুনের ঘটনাও ঘটে আকছার। বহুদিন ধরেই এর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে নাম উঠে এসেছে কাজল সেখের। গতকাল সেই কাজল সেখের সঙ্গেই এক ছবিতে দেখা যায় ফিরহাদ হাকিমকে।

    অনুব্রতর গ্রেফতারির পর বীরভূমে যখন ছন্নছাড়া অবস্থা তৃণমূলের, পঞ্চায়েত ভোটের আগে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টায় সেখানে ছুটে যান ফিরহাদ হাকিম। অনুব্রতকে সেখানে তিনি বাঘের সঙ্গে তুলনা করেন। কয়লা পাচার, গরু পাচারে অভিযুক্ত হয়ে যখন নিজের এলাকাতেই নিন্দিত অনুব্রত, তখন তাঁকে বাঘের সঙ্গে তুলনা করে একটা শ্রেণীকে চাঙ্গা করতে চান রাজ্যের মন্ত্রী। কথা বলেন কাজল সেখের সঙ্গেও। আর তারপরই এই খুনের ঘটনা। খুন, আগুন, বোমাবাজি। বীরভূমে তৃণমূল আছে একই মেজাজে। আর তার ফলে কখনও জ্বলছে বগটুই, কখনও বাঁশজো়ড়।

  • TMC Inner Clash: দলীয় কোন্দলের জের, আরামবাগে যুবর মারে জখম তৃণমূল নেতা  

    TMC Inner Clash: দলীয় কোন্দলের জের, আরামবাগে যুবর মারে জখম তৃণমূল নেতা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুব তৃণমূল নেতার মারে জখম তৃণমূল নেতা (TMC)। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে হুগলির আরামবাগের (Arambagh) বুলন্ডি এলাকায়। শেখ উজির আলি নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েও। ওই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

    ২০২৩ সালে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections)। তার আগে থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আরামবাগের বুলন্ডি এলাকা। রাজ্যের অন্যান্য এলাকার মতো বুলন্ডিতেও মূল লড়াই তৃণমূলের সঙ্গে যুব তৃণমূলের। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের নেতৃত্ব দেন প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা। আর যুব তৃণমূলের নেতৃত্ব দেন পলাশ রায়। এলাকা দখল নিয়ে এই দুই নেতার বিবাদের জেরে মাঝে মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বুলন্ডি। এই যেমন হয়েছিল রবিবার। এদিন বিকেলে পলাশের গোষ্ঠীর এক অনুগামীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় কৃষ্ণচন্দ্রের ভাই তথা মায়াপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অলক সাঁতরার কয়েকজন অনুগামী। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অলক। তিনি বলেন, আমাদের দলের কয়েকজন কর্মীকে বিজেপির লোকজন মারধর করেছিল বলে খবর পেয়ে এলাকায় যাই। ওরা আমাকেও মারধর করে। অলক বলেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ওরা বিজেপির এজেন্ট ছিল। তৃণমূল কর্মীদের মারধর করেছিল। ভোটারদের ভয় দেখিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করেছিল। তাঁর দাবি, এখন তৃণমূলে ঢুকে দলেরই কর্মীদের মারধর করছে ওরা। ঘটনার খবর পেয়ে বুলন্ডি এলাকায় যায় আরামবাগ থানার বিশাল বাহিনী। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় অলককে। ঘটনায় দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে আরামবাগ থানায়। 

    আরও পড়ুন : নকল দলিল বানিয়ে জমি চুরি তৃণমূল কংগ্রেস নেতার

    রবিবারের ওই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে ফের অশান্ত হয়ে ওঠে বুলন্ডির মহেশপুর এলাকা। এদিন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন বিধায়কের অনুগামী শেখ উজির আলি। অভিযোগ, তাঁকে একা পেয়ে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে পলাশের অনুগামীরা। উজিরকে বাঁচাতে গিয়ে প্রহৃত হন তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েও। খবর পেয়ে ফের এলাকায় যায় পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। উজিরকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।  

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, পঞ্চায়েত ভোট যতই ঘনিয়ে আসবে, ততই বাড়বে সংঘর্ষের ঘটনা। উপদলীয় কোন্দল নির্মূলে একাধিকবার দলীয় নেতৃত্বকে বার্তা দিয়েছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। দলনেত্রীর সে নির্দেশ যে অনেক নেতার কানেই ঢোকেনি, বুলন্ডির এই দুই ঘটনাই তার প্রমাণ।

    আরও পড়ুন : দুর্নীতি, ভাইপো, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় TMC-র অন্তর্দন্দ্বে সরগরম রামপুরহাট

     

LinkedIn
Share