Tag: TMC MLA

TMC MLA

  • Suvendu Adhikari: ‘‘কান টেনেছেন, এবার মাথাও টানতে হবে’’, জীবনকৃষ্ণ ইস্যুতে মন্তব্য শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘কান টেনেছেন, এবার মাথাও টানতে হবে’’, জীবনকৃষ্ণ ইস্যুতে মন্তব্য শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। এনিয়েই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) মন্তব্য, ‘‘কান টেনেছেন ঠিক আছে, এবার মাথাও টানতে হবে।’’ সোমবারই তৃণমূল বিধায়ককে ৬ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। আগামী শনিবার ফের আদালতে তোলা হবে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণকে। এদিন ইডি-র আইনজীবী দাবি করেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে ধৃতের স্ত্রী, বাবার অ্যাকাউন্টে। অন্যদিকে, অভিযুক্ত বলছেন, বাবা গিফট করেছেন। স্ত্রী বলছেন, চাকরি করে আয় করা টাকা। এসবই মিথ্যা বলে দাবি করেন ইডির আইনজীবী।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    জীবনকৃষ্ণর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন বলেন, ‘‘জীবনকৃষ্ণ সাহা ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ভাইপো, মানিক ভট্টাচার্যদের বড় এজেন্ট। বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলার তালিকা তৈরি করা, টাকা তোলা এবং একটা অংশ রাখা… এইসব কাজটাই করতেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। আমি অনেকবারই বলেছি জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jibankrishna Saha) কাছে পড়ে থাকলে শুধু হবে না। কারণ জীবনকৃষ্ণ সাহা কান্দি, নবগ্রাম,খড়গ্রামের বিধায়কদের দিয়ে সেইসব এলাকা থেকে টাকা তোলা এবং সেই সব এলাকায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বন্দোবস্তটা করেছেন। কান টেনেছেন ঠিক আছে, এবার মাথাকেও টানতে হবে।’’

    আজকেও কীভাবে পালাচ্ছিল, সবাই দেখেছে

    তিনি আরও বলেন, ‘‘এর আগে পাঁচিলে ঝোলা, পুকুরে মোবাইল ফেলা, পাম্প মেশিন বসিয়ে জল তোলা। আজকেও কীভাবে পালাচ্ছিল। সবাই দেখেছে। শাসকদল যখন বলছে রাজনীতি করছে, তখন শাসকদলের একটাও বলা উচিত ছিল যে কেন জীবনকৃষ্ণ সাহা ছুটে পালাতে গেলেন? তিনি যদি নিরাপরাধ হয়ে থাকেন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে থাকেন,তাহলে ফেস করা উচিত। কেন তিনি মোবাইল পুকুরে ফেললেন? প্রথমে তো অস্বীকার করছিলেন। তিনি যে অপরাধী সেটা আজ সবার সামনে প্রমাণ করে দিয়েছেন । শুধু ইডির কাছে নয়, ওটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে।’’

    এর আগে এদের যখন গ্রেফতার করা হয় তখন কিন্তু কোন নির্বাচন ছিল না

    বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) কথায়, ‘‘এর আগে এদের যখন গ্রেফতার করা হয় তখন কিন্তু কোন নির্বাচন ছিল না। মূলত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই সেই গ্রেফতারি হয়েছিল। এমনকি চোর সরকার সেই গ্রেফতারি এড়াতে সুপ্রিম কোর্টে পর্যন্ত গিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়নি। এই দুর্নীতি তদন্ত সরাসরি হাইকোর্টের মনিটরিং-এ হচ্ছে। হাইকোর্ট একটি সিট বানিয়ে দিয়েছিল। এমনকি এই তদন্তের কে নেতৃত্ব দেবেন সেটাও সিবিআই হাতে ছিল না। সিবিআই কে তিনটের নাম জমা দিতে বলেছিল হাইকোর্ট। তার মধ্যে থেকেই একজনকে বেছে নেওয়া হয়।’’

  • Jiban Krishna Saha: ফোন ফেলাই হল কাল! নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার ইডির হাতে গ্রেফতার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ

    Jiban Krishna Saha: ফোন ফেলাই হল কাল! নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার ইডির হাতে গ্রেফতার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে (Jiban Krishna Saha) গ্রেফতার করল ইডি। মুর্শিদাবাদের কান্দির আন্দিতে তাঁর গ্রামের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি সোমবারও ইডিকে দেখে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ। এমনকি, আবার নিজের মোবাইল ফোন বাড়ির পিছন দিকের ঝোপে ফেলে দেন। তাঁর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে। কে নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে। সেখানেই চলবে জিজ্ঞাসাবাদ।

    মোট পাঁচ জায়গায় অভিযান ইডির

    সোমবার ভোরে মুর্শিদাবাদে জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা। এসএসসি গ্রুপ সি এবং এসএসসি গ্রুপ ডি মামলাতে তল্লাশি অভিযানে নেমে জীবনকৃষ্ণের (Jiban Krishna Saha) কান্দির বাড়ি-সহ মোট পাঁচ জায়গায় অভিযান চালান তদন্তকারীরা। মুর্শিদাবাদে জীবনকৃষ্ণের বাড়ি ছাড়াও ইডির দল যায় রঘুনাথগঞ্জে, তৃণমূল বিধায়কের শ্বশুরবাড়িতে। এ ছাড়া আন্দি মহীষ গ্রামের এক ব্যাঙ্ক কর্মীর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। ইডি গিয়েছে বীরভূমের সাঁইথিয়ায়। সেখানে ন’নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মায়া সাহার বাড়িতেও সোমবার সকাল থেকে তল্লাশি চলেছে। সম্পর্কে মায়া জীবনকৃষ্ণের পিসি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, চাকরি ‘বিক্রি’র টাকা জীবনকৃষ্ণের অ্যাকাউন্টে এসেছে বলে প্রমাণ মিলেছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি আত্মীয়-বন্ধুদের চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন, সেই প্রমাণও রয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

    ফের ফোনই কাল জীবনকৃষ্ণের

    দু’বছর আগে সিবিআই। এবার ইডি। ফের ফোনই কাল হল জীবনকৃষ্ণের (Jiban Krishna Saha) জীবনে। এদিন ইডি জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে পৌঁছতেই বাড়ির পিছনের দেওয়াল টপকে পালানোর চেষ্টা করেন নিয়োগ মামলায় জড়িত তৃণমূল বিধায়ক। কিন্তু তখনই ছুটে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাকড়াও করে তাকে। এমনকি, অতীতের পাঠ ‘ভুলে’ এদিন নিজের দু’টি ফোনকে ফের পুকুরের দিকে ছুড়ে দেন। লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। পুকুরের জলে পড়ার পরিবর্তে পাড়ে ঝোপে আটকে যায় ফোনগুলি। উদ্ধার করেন ইডি আধিকারিকরা। অভিযোগ, এর পরেও দু’টি মোবাইলের পাসওয়ার্ড বলতে চাননি বিধায়ক। পরে লক খুলে সেই মোবাইল দু’টি থেকে একাধিক নিয়োগ মামলা সংক্রান্ত নথি উদ্ধার করা হয়েছে। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করে নিজেদের গাড়িতে চাপায় ইডি। নবম-দশম, একাদশ দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। টানা প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিধায়ককে গ্রেফতার করে ইডি।

  • ED Raids: এসএসসি মামলায় জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে হানা ইডির, এবার ঝোপে ফোন ছুড়লেন তৃণমূল বিধায়ক

    ED Raids: এসএসসি মামলায় জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে হানা ইডির, এবার ঝোপে ফোন ছুড়লেন তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের তেড়েফুঁড়ে নামল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED Raids)। সোমবার সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। কলকাতা সহ একাধিক জেলায় ইডির অভিযান চলেছে। সূত্র অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম জেলাতেও ইডির তল্লাশি অভিযান চলছে। মুর্শিদাবাদের বড়ঞা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে ইডি (SSC Recruitment Case)। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা গিয়েছে, জীবনকৃষ্ণ সাহা নিজেও বাড়িতেই উপস্থিত রয়েছেন। ইডির অন্তত পাঁচ আধিকারিক তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

    সাঁইথিয়াতে জীবনকৃষ্ণের পিসির বাড়িতে চলছে ইডি হানা (ED Raids)

    শুধু তার নিজের বাড়ি নয়, জীবনকৃষ্ণ সাহার শ্বশুরবাড়িতেও হানা দিয়েছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা (ED Raids)। একইসঙ্গে অভিযান চলছে বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মায়া সাহার বাড়িতেও। জানা যাচ্ছে, মায়া সাহা সম্পর্কে জীবনকৃষ্ণ সাহার পিসি হন। এর আগেও এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জীবনকৃষ্ণ সাহার নাম উঠে এসেছিল। সেই সময় সিবিআই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। সিবিআই হানার সময় জীবনকৃষ্ণ মোবাইল ফেলে দেন পুকুরে। মোবাইল ফোন উদ্ধার হয় দু’দিন পর। তারপর তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল। পরে ২০২৪ সালে তিনি জামিনে মুক্ত হন। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী জামিনে রয়েছেন। এবার তাঁর আত্মীয়র বাড়িতেও হানা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    ঝোপে ফোন ছুড়ে ফেললেন জীবনকৃষ্ণ, এবারেও হল না রক্ষা

    সূত্রের মারফত আরও জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র জেলাগুলিতেই নয়, কলকাতার একাধিক এলাকাতেও ইডির অভিযান (ED Raids) চলছে। প্রতিটি অভিযানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে (SSC Recruitment Case)। সোমবার সকালেই মুর্শিদাবাদের জীবনকৃষ্ণ সাহার গ্রামের বাড়ির সামনে দুটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়—একটিতে ছিলেন ইডির আধিকারিকরা (ED Raids), অন্যটিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। প্রথমে গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়। সূত্রের দাবি, এ বার ইডিকে দেখে পালানোর চেষ্টা করেন জীবনকৃষ্ণ। কেন্দ্রীয় সংস্থার তিন জওয়ান তাঁকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন। অভিযোগ, পালানোর সময় বাড়ির পিছনের ঝোপে একটি মোবাইল ফেলে দিয়েছেন তিনি। পরে তা উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর ইডির পাঁচ সদস্যের তদন্তকারী দল বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে এবং জীবনকৃষ্ণ সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। সম্প্রতি এই মামলাতেই নিউটাউনে ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়ের বাড়িতেও হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। ইডির আরও একটি দল পৌঁছে যায় পুরুলিয়ায় দুর্নীতি মামলায় জড়িত প্রসন্ন রায়ের শ্বশুরবাড়িতে। পাশাপাশি,  তল্লাশি চলেছে বড়ঞার এক ব্যাঙ্ক কর্মীর বাড়িতেও।

  • TMC MLA: হুমায়ুনের কুশপুতুলে ঝাঁটা-জুতো পেটা দলীয় কর্মীদের, ‘গদ্দার’, ‘চোর বিধায়ক’ বলে স্লোগান

    TMC MLA: হুমায়ুনের কুশপুতুলে ঝাঁটা-জুতো পেটা দলীয় কর্মীদের, ‘গদ্দার’, ‘চোর বিধায়ক’ বলে স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক (TMC MLA) হুমায়ুন কবীরের খাসতালুকে বিধায়কের বিরুদ্ধেই তৃণমূলের মিছিল বের হল। ‘তৃণমূল বিধায়ক চোর’, ‘গদ্দার’ বলে আক্রমণ করলেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। শাসক দলের বিধায়কের এই অবস্থা দেখে সাধারণ মানুষ হাসাহাসি করেন। শাসক দলের বিধায়কের জনভিত্তি যে একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে, এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ, এমনই অভিযোগ বিরোধীদের।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (TMC MLA)

    বুধবার ভরতপুরে বিধায়কের বিরুদ্ধে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা যে মিছিল বের করেন, তাতে প্রচুর (TMC MLA) মহিলা ছিলেন। তাঁদের হাতে ছিল ঝাঁটা। আর পুরুষদের হাতে ছিল চটি। তৃণমূল বিধায়কের কুশপুত্তলিকা তৈরি করে প্রকাশ্য রাস্তায় ঝাঁটা পেটা-জুতো পেটা করা হয়। তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, বিধায়ক একজন চোর। তোলাবাজি করেন। সরকারি প্রকল্পের বাড়ি তৃণমূল কর্মীদের দেয় না। তাতে তিনি দুর্নীতি করেন। বিধায়ক হয়ে এলাকায় উন্নয়ন করা তাঁর লক্ষ্য নয়, টাকা আত্মসাৎ করাই প্রধান লক্ষ্য। তাই এই দুর্নীতিগ্রস্ত চোর বিধায়ককে আমাদের দরকার নেই। মিছিলে দলের বহু জনপ্রতিনিধি ছিলেন। সকলেই এই বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব হন। জানা গিয়েছে, স্থানীয় ব্লক সভাপতির উদ্যোগে এই মিছিল করা হয়েছে। যদিও মিছিলে তিনি ছিলেন না।অন্যদিকে এই ঘটনার পর বিধায়কের নির্দেশে বৃহস্পতিবার পাল্টা ভরতপুরে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। সেই মিছিলকে কেন্দ্র করে দলেরই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। একাধিক বাইক ভাঙচুর করা হয়। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    আরও পড়ুন: টালিগঞ্জে ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের হামলা, জল গড়াল হাইকোর্টে

    তৃণমূল বিধায়ক কী বললেন?

    জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকারের উস্কানিতেই এসব হচ্ছে বলে দাবি করেন হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। তিনি (TMC MLA) বলেন, “ব্লক সভাপতি কী প্রোগ্রাম করেছেন, কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছেন বা আমরা বিরুদ্ধে বলেছেন, এ নিয়ে আমি কিছু বলব না। আমি ওই লেভেলের লোক না। আমি তাঁকে ব্লক সভাপতিও মানি না। আগামী কাল থেকে আমি অপূর্ব সরকারকে জেলা সভাপতিও মানব না, সেটা ঘোষণা করব। আমার ভরতপুরেই ঘোষণা করবেন আমার লোকেরা। আমি কলকাতা যাব।” যদিও জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, “কোথায় বিক্ষোভ হয়েছে তা-ই জানি না। আমি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধন, ফ্লাড রিলিফ নিয়ে ব্যস্ত। এগুলো সম্পর্কে আমার কাছে কোনও খবর নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nirmal Ghosh: দেহ কেন দ্রুত দাহ করা হল? সিবিআই দফতরে হাজিরা তৃণমূল বিধায়কের

    Nirmal Ghosh: দেহ কেন দ্রুত দাহ করা হল? সিবিআই দফতরে হাজিরা তৃণমূল বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় এবার পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষকে তলব করল সিবিআই (CBI)। সোমবার তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। সকাল ১১টার আগেই তিনি কেন্দ্রীয় সংস্থার দফতরে পৌঁছে যান। নির্যাতিতার দেহ দাহ করার সময়ে তৃণমূল বিধায়ক পানিহাটি শ্মশানে ছিলেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।

    তৃণমূল বিধায়কের তত্ত্বাবধানেই দ্রুত দেহ দাহ! (Nirmal Ghosh)

    জানা গিয়েছে, ৯ অগাস্ট নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গেই স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ (Nirmal Ghosh) হাসপাতালে গিয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। তারা বিধায়কের বয়ানও রেকর্ড করছে। পরিবারের দাবি, ঘটনার রাতে প্রথমবার ময়না তদন্তের পর দেহ যখন আরজি কর থেকে বার করে নিয়ে আসা হয়, তখন সঠিক তদন্তের জন্য দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু অভিযোগ, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের আগেই দেহ দ্রুত আরজি কর থেকে বাড়িতে আনা হয়। বাবা-মা পৌঁছানোর আগেই সেই রাতে বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন নির্যাতিতার দেহ। বাড়ির সামনে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক নির্মল ঘোষ। অভিযোগ, বিধায়কের তত্ত্বাবধানেই দ্রুত দেহ পানিহাটি শ্মশানে নিয়ে গিয়ে দাহ করে দেওয়া হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, আরজি করকাণ্ডের তদন্তে নেমে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর বিধায়কের কাছ থেকে জানতে চান তদন্তকারীরা। সেই তথ্য জানতে সিবিআই-এর তরফ থেকে বিধায়কের কাছে ফোন যায়। সেই সূত্রেই তিনি এদিন হাজিরা দেন।  

    আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

    কী বললেন নির্মল?

    সোমবার সিজিওতে পৌঁচ্ছে নির্মল (Nirmal Ghosh) বলেন, ‘‘এটা তো আমার এলাকার ঘটনা। আমার কিছু জিনিসপত্র জমা দেওয়ার আছে। তাই এসেছি।’’ ঘটনার দিন আরজি কর থেকে সংবাদমাধ্যমকে নির্মল বলেছিলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য মূল অপরাধীকে ধরা। সকলে তার জন্য চেষ্টা করছেন। সিপি-সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এসেছেন। প্রশাসনিক কর্তারাও আছেন। একটি নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। কর্তব্যরত চিকিৎসককে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। বিচার সুনিশ্চিত করার জন্য আমাদের তরফ থেকে যা করার করছি। ক্যামেরার সামনেই যা হওয়ার হচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, আরজি করকাণ্ডে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। গ্রেফতার করা হয়েছে টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও। এই মামলায় চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, অভীক দে, টালা থানার এসআইকে সিজিওতে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা। নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত করেছিলেন যে চিকিৎসক, সেই অপূর্ব বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ বার নির্মলকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: আরজি করকাণ্ডে দুর্নীতি! ফের সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে দীর্ঘ তল্লাশি চালাল সিবিআই

    CBI: আরজি করকাণ্ডে দুর্নীতি! ফের সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে দীর্ঘ তল্লাশি চালাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তৃণমূল কংগ্রেসের চিকিৎসক-বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই (CBI) হানা। কখনও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, কখনও সিবিআই, যাতায়াত লেগেই আছে তৃণমূলের এই চিকিৎসক নেতার বাড়ি, নার্সিংহোম, বাংলোয়। জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ নাগাদ সিঁথিতে সুদীপ্ত রায়ের (Sudipta Roy) বাড়িতে হাজির হয় তদন্তকারীদের একটি দল। রাত ১১টা নাগাদ বেরিয়ে যায় তারা।

    ঠিক কী অভিযোগ? (CBI)

    সিবিআই-ইডি ও স্টেট ভিজিল্যান্স কমিটিতে লিখিত অভিযোগও জমা পড়ে সুদীপ্ত রায়ের নামে। সেন্ট্রাল ল্যাব, কার্ডিওলজির মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, নার্স নিয়োগে সুদীপ্ত রায় প্রভাব খাটাতেন বলে অভিযোগ করা হয়। সুদীপ্তর সিঁথির নার্সিংহোম তদন্তকারীদের স্ক্যানারে। সিবিআই-ইডি ও স্টেট ভিজিল্যান্স কমিটিতে জমা হওয়া অভিযোগ অনুযায়ী, জমা পড়ে, চিকিৎসক সুদীপ্ত রায় অত্যন্ত প্রভাবশালী। শাসকদলের বিধায়ক হওয়ার কারণে তিনি নিজের প্রভাব খাটিয়ে নিজের নার্সিংহোমে সরকারি নানা সরঞ্জাম নিয়ে যেতেন। তথ্যপ্রমাণও রয়েছে বলে অভিযোগপত্রে জানানো হয়। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির পর সুদীপ্ত রায়কে বারবারই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সিবিআই (CBI) তদন্ত শেষে সুদীপ্ত দাবি করেছিলেন, তিনি তদন্তকারী আধিকারিকদের সবরকম ভাবে সহযোগিতা করেছেন এবং ভবিষ্যতেও সহযোগিতা জারি রাখবেন। এদিকে উত্তরবঙ্গ লবির দুই নেতা অভীক ও বিরূপাক্ষ সম্পর্কে কিছু বলতে অস্বীকার করেছিলেন। গত ৯ অগাস্ট সকালে ফোনে কথা সন্দীপের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল বলে মেনে নিয়েছেন সুদীপ্ত রায়।

    আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

    এর আগে ইডিও হানা দিয়েছিল

    সম্প্রতি আরজি কর দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে ৬ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। সেবার আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির সদ্য প্রাক্তন সভাপতি সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। এছাড়া উত্তর কলকাতায় তাঁর নার্সিংহোমেও তল্লাশি চলে। পাশাপাশি হুগলির দাদপুরের দাঁড়পুর গ্রামে সুদীপ্ত রায়ের বাংলোতেও ইডি অভিযান চালায়। এছাড়াও বালিগঞ্জে এক ওষুধ ব্যবসায়ীর বাড়িতে পৌঁছায় ইডি। সেই ব্যবসায়ীর নাম সন্দীপ জৈন।  সেদিন প্রায় ২০ ঘণ্টা তাঁর বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাঁকে সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সেও ডাকা হয়। ১২ সেপ্টেম্বর সিবিআই (CBI) হানা দিয়েছিল তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে। জানা গিয়েছে, আরজি করে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েই সুদীপ্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তাঁর মেয়েকেও জেরা করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, আখতার আলির অভিযোগের ভিত্তিতে আরজি কর দুর্নীতি নিয়ে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। তবে, আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ইডিও তদন্তে নামে। সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতারের পরই একাধিক প্রভাবশালীর নাম হাতে আসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC MLA:  ‘তৃণমূল বিধায়ক দিতেন কুপ্রস্তাব’, মহিলা পুরকর্মীর বিস্ফোরক অভিযোগ

    TMC MLA: ‘তৃণমূল বিধায়ক দিতেন কুপ্রস্তাব’, মহিলা পুরকর্মীর বিস্ফোরক অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে চলছে আন্দোলন। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এই আবহে চুঁচুড়া পুরসভার এক মহিলা কর্মীকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে হুগলির চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) অসিত মজুমদারের বিরুদ্ধে। মহিলার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। একইসঙ্গে  তাঁর নামে শহরজুড়ে পোস্টার পড়েছে। সাদা কাগজের ওপর কালো কালিতে লেখা দু’টি লাইন-‘বিধায়ক তুমি দূর হটো, চুঁচুড়ার নারীদের সম্মান বাঁচাও’। বুধবার সকাল থেকেই হুগলির চুঁচুড়ার বিভিন্ন জায়গায় নজরে পড়েছে এই পোস্টার। কে বা কারা রাতের অন্ধকারে এই পোস্টার সাঁটিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পোস্টারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে জেলাজুড়ে।

    ভাইরাল ভিডিওতে কী রয়েছে (TMC MLA)

    মঙ্গলবার চুঁচুড়া পুরসভার এক মহিলা কর্মীর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে মহিলা কর্মী বলেন, “মহিলাদের উনি (বিধায়ক) সম্মান করেন না। ওঁর মুখের ভাষা খুবই খারাপ। মহিলাদের কুকথা বলেন। ভিডিও কল এবং মেসেজ করেন মহিলাদের। এখন ধিক্কার মিছিল করছেন শহরে। কিন্তু উনিই তো মহিলাদের সম্মান দিতে জানেন না। কেন এত দিন অভিযোগ করা হয়নি?

    মহিলার দাবি, “মহিলারা ভয়ে অভিযোগ করেন না। আমরা ভয় পাই না। তাই অভিযোগ করি। আমার কাছে অনেক প্রমাণ আছে। সময় মতো সেগুলো সামনে আনব। ২০১৬ সাল থেকে আমি ‘বিধায়কের (TMC MLA) বাড়িতে’ কাজ করছি। পুরসভার কর্মী হওয়ার পরেও আমাকে বিধায়কের বাড়িতে কাজ করতে হত। শুধু আমি একা নই, স্বামীও বিধায়কের টুকটাক লেখালিখির কাজ করে দিতেন। মাস ছয় আগে বিধায়কের বাড়ির কাজ ছেড়ে দিয়েছি। আমি যত দিন নিজের সম্মান পেয়েছিলাম, তত দিন ওঁর সঙ্গে ছিলাম। যখন সম্মানহানি হল, তখন বেরিয়ে এসেছি। যখন আমি ওঁর কুপ্রস্তাবে রাজি হইনি, তখনই আমায় চোর বদনাম দিয়ে তাড়িয়ে দিলেন।” শুধু তিনি একা নন, অনেক মহিলাকেই কুপ্রস্তাব দিতেন ওই বিধায়ক, এমন অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগকারিণীর দাবি, “আমার কাছে ভিডিও কলের চ্যাট আছে।” তবে তিনি আশাবাদী দল ব্যবস্থা নেবে বিধায়কের বিরুদ্ধে। তাঁর কথায়, “আমি দলকে জানিয়েছি।”

    ভিডিও পোস্ট লকেটের

    প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিজেপি নেতা সজল ঘোষেরা সেই ভিডিও সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে সুর চড়াচ্ছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। লকেটের কথায়, “এমন আর কত মহিলার সঙ্গে আপনি সেফ সাইড করতেন বিধায়কবাবু (TMC MLA)! আপনি আবার নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে। হাস্যকর! রক্ষক যে নিজেই ধর্ষক, এটাই তৃণমূলের মেরুদণ্ড।” সজলের সমাজমাধ্যমেও একই পোস্ট ঘুরছে।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এই অভিযোগ সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে চাননি চুঁচুড়ার বিধায়ক (TMC MLA)। হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের চেয়ারপার্সন অসীমা পাত্র ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন,“ আমি নিজেই জানি না বিষয়টা। প্রমাণ ছাড়া কিছু বলতে পারি না। যাঁরা অভিযোগ করছেন, তাঁদের সঙ্গে আমরা কথা বলব। কী অভিযোগ আছে সব শুনব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC MLA: ‘‘এমএলএ বলে যা খুশি করবেন’’! ট্রেনের যাত্রীদের ক্ষোভের মুখে তৃণমূল বিধায়ক

    TMC MLA: ‘‘এমএলএ বলে যা খুশি করবেন’’! ট্রেনের যাত্রীদের ক্ষোভের মুখে তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। শাসক দলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সাধারণ মানুষ। এই আবহের মধ্যে এক্সপ্রেস ট্রেনে টিকিট বিতর্কে জড়়ালেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) কানাইচন্দ্র মণ্ডল। ট্রেনের কামরার মধ্যে টিকিট পরীক্ষকের পাশাপাশি সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে তিনি বচসায় জড়িয়ে পড়েন। আর সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে কী রয়েছে? (TMC MLA)

    হাওড়ার উদ্দেশে যাত্রা করার জন্য মঙ্গলবার খাগড়াঘাট স্টেশন থেকে ডাউন মালদা টাউন-হাওড়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের সংরক্ষিত এসি কামরায় ওঠেন নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) কানাইচন্দ্র মণ্ডল। ট্রেনে টিকিট পরীক্ষক এসে বিধায়ক কানাই চন্দ্র মণ্ডলের কাছ থেকে তাঁর পাশের সিটে বসা ভদ্রমহিলার টিকিট চান। বিধায়ক জানান যে, তাঁর স্ত্রীর টিকিট ছিল। কিন্তু, অসুস্থতার জন্য তিনি আসতে পারেননি। তাঁর পরিবর্তে ওই মহিলা যাচ্ছেন। এরপরই টিকিট পরীক্ষক এবং বিধায়ক বচসায় জড়িয়ে পড়েন।

    ‘‘আপনি এমএলএ বলে যা খুশি করবেন?’’

    ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ট্রেনের অন্দরে টিকিট পরীক্ষকের প্রশ্নের মুখে পড়েছেন নবগ্রামের বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল। ভিডিওতে শোনা যাচ্ছে, এক পুরুষ কণ্ঠ বলছেন, ‘‘আপনি এমএলএ বলে যা খুশি করবেন?’’ একইসঙ্গে মহিলা কণ্ঠও সরব হতে থাকে। এক মহিলা বলছেন, ‘‘ট্রেনে এমন একটা হ্যাজার্ড.. একটা ক্যাওস সৃষ্টি করছেন! অন্যের টিকিটে চলে আসবেন?’’ এরপরই এই বক্তব্যের জবাব দিতে উদ্যত হন তৃণমূলের বিধায়ক। ফের ওই মহিলা যাত্রীর কণ্ঠে শোনা যায়, ‘‘আপনি টিটিইকে টিকিট দেখান।’’ এই পরিস্থিতিতে গলা চড়াতে দেখা যায় বিধায়ককে। পাল্টা সহযাত্রীরাও সরব হতে থাকেন।

    ‘‘জেনারেলের টিকিট নিয়ে আপনি এখানে বসে’’!

    এই পরিস্থিতিতে কয়েকজনকে দেখা যায়, ঘটনার ভিডিও করতে। তখন দেখা যায়, আরও একজন বক্তব্য রাখছেন বিধায়কের হয়ে। আবারও সহযাত্রীরা আরও সরব হয়ে বলেন, ‘‘জেনারেলের টিকিট নিয়ে আপনি এখানে বসে..।’’ ভিডিও শেষের দিকে দেখা যায় সেই মহিলা কণ্ঠ বলছেন, ‘‘কী অবস্থা.. হয় না এসব। আপনারা যা খুশি করছেন…।’’ বারবার বক্তব্য ওঠে, ‘‘ওনার নামে তো টিকিট নেই।’’ এরপরই বিধায়ককে বলতে শোনা যায়, ‘‘আপনি কোর্টে যান..।’’ পাল্টা পুরুষ কণ্ঠকে বলতে শোনা যায়, ‘‘কেন যাব কোর্টে?’’ তখন ওই মহিলা কণ্ঠকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আপনারা পারবেন না.. এই তো চলছে দেশে।’’ এরপর তৃণমূল বিধায়ক বলেন, আপনার যা করণীয় করুন।

    আরও পড়ুন: সন্দীপ একা নন, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার তাঁর নিরাপত্তারক্ষী, ২ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীও

    সরব অগ্নিমিত্রা পল

    এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল টুইটারে পোস্ট করে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘‘নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) কানাইচন্দ্র মণ্ডলের সঙ্গে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে সফর করছিলেন ২ জন, যাঁদের মধ্যে এক জনের কাছে যে টিকিট ছিল, তা তাঁর নিজের নয়। তা নিয়ে ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক প্রশ্ন করতেই পাল্টা সরব হন বিধায়ক। এরপরই ট্রেনে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। কয়েকজন নেতা যে নিজেদের আইনের ঊর্ধ্বে ভাবেন, এই ঘটনা ফের একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।’’

    <

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jiban Krishna Saha: জামিনের পরেই বিপাকে তৃণমূল বিধায়ক! সিবিআইয়ের পরে এবার ইডির জালে জীবনকৃষ্ণ?

    Jiban Krishna Saha: জামিনের পরেই বিপাকে তৃণমূল বিধায়ক! সিবিআইয়ের পরে এবার ইডির জালে জীবনকৃষ্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও সংবাদ শিরোনামে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা (Recruitment Case)। সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত বড়ঞাঁর তৃণমূল বিধায়ক  জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। কিন্তু সিবিআই হেফাজত থেকে বেরতে না বেরতেই ফের কি ইডির জালে ফাঁসলেন তিনি? বর্তমানে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে। কারণ, জানা গিয়েছে, এ বার ‘বেআইনি আর্থিক লেনদেনে’র অভিযোগে ইডির ‘নিশানা’ হতে চলেছেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর স্ত্রীকে তলব করে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে একটি সূত্রের দাবি। তার পরেই দানা বেঁধেছে এই জল্পনা।

    ঠিক কী জানা গিয়েছে? (Jiban Krishna Saha)

    এ প্রসঙ্গে ইডির একটি সূত্র জানিয়েছে, জীবনকৃষ্ণের স্ত্রী টগরির সম্পত্তি নিয়ে ‘খোঁজখবরের’ সূত্রেই তাঁকে জি়জ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। ওই সূত্রের দাবি, এরপর জীবনকৃষ্ণকেও সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে। জীবনকৃষ্ণের ‘পুকুরে ছুড়ে ফেলা মোবাইল’ থেকে যে তথ্য পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল বলে দাবি, তাতে ‘টাকা ফেরতের’ প্রসঙ্গ রয়েছে বলে জানিয়েছিল সিবিআই। সে ক্ষেত্রে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Case) টাকা লেনদেনের বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারে ইডি।

    আরও পড়ুন: চেয়েছিলেন পুত্রসন্তান, হল যমজ কন্যাসন্তান, দু’জনকেই খুন করে গ্রেফতার ‘কীর্তিমান’ পিতা

    এর আগে কী ঘটেছিল? (Recruitment Case)

    নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তদন্তে নেমে গত বছরের ১৪ এপ্রিল জীবনকৃষ্ণের (Jiban Krishna Saha) কান্দির বাড়িতে টানা তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। এরপর ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সেই থেকেই প্রায় ১৩ মাস জেলে কেটেছে তাঁর। অভিযোগ, গ্রেফতারের সময় নিজের দুটি মোবাইল বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। এরপর বহু কষ্টে জল ছেঁচে সেই ফোন উদ্ধার করেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। 
    মোবাইল দু’টি থেকে বিভিন্ন তথ্য পুনরুদ্ধার করা হয় বলে পরে জানায় সিবিআই। যদিও জীবনকৃষ্ণ (Jiban Krishna Saha) মোবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ স্বীকার করেননি। এবার সেই মোবাইল থেকে উদ্ধার হওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ফের ইডির নজরে পড়লেন জীবনকৃষ্ণ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Conflict: “নিজেকে মোড়ল ভাবছেন”, হুমায়ুনকে তোপ তৃণমূল নেতার, কোন্দল তুঙ্গে

    TMC Conflict: “নিজেকে মোড়ল ভাবছেন”, হুমায়ুনকে তোপ তৃণমূল নেতার, কোন্দল তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলারই এক তৃণমূল নেতার রোষের মুখে পড়লেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম মুস্তাক আহমেদ। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল বিধায়ককে তুলোধনা করেছেন। এরপরই মুস্তাকের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূল বিধায়ক। তৃণমূল নেতা ও বিধায়কের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে শাসক দলের কোন্দল (TMC Conflict) একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    প্রত্যেকটি বিধানসভায় নিজেকে মোড়ল ভাবছেন (TMC Conflict)

    অভিযুক্ত মুস্তাক আহমেদ বলেন, ভরতপুরের বিধায়কের নিজের বিধানসভায় কোনও কাজ নেই। তাই, তিনি গোটা জেলা নিয়ে ভাবছেন, প্রত্যেকটি বিধানসভায় নিজেকে মোড়ল হিসেবে ভাবছেন। তিনি কোথায় কী করছেন তা আমার দেখার কর্তব্য নয়। আমি তৃণমূল দলটা ওঁর অনেক আগে থেকে করি। এই দলটাকে আমি ভালোবাসি। এর আগে তো  হুমায়ুন কবীর  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটু কথা বলেছে ন। রেজিনগর এবং বেলডাঙা বিধানসভায় যে টিম আপনি তৈরি করেছেন। সেই টিমে কংগ্রেসের ছেলেরা তৃণমূলের জার্সি পড়ে রয়েছে। এসব করে কোনও লাভ নেই। এটুকু বলতে পারি, তৃণমূল বিধায়ক নিজের তৈরি টিম নিয়ে আমাকে একটু টাচ করে দেখিয়ে দিন। আপনি যদি আমাকে টাচ করতে পারেন তাহলে জানব আপনার ক্ষমতা আছে, আর যদি না পারেন তাহলে আগামীদিনে আপনার বুথে দাঁড়ানোর ক্ষমতা থাকবে না, আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি।

    আরও পড়ুন: রানিগঞ্জে শিল্পপতির বাড়িতে ভোর থেকেই শুরু ইডির হানা, শোরগোল

    তৃণমূল বিধায়ক কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল বিধায়ক (Trinamool Congress) হুমায়ুন কবীর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর সদরে সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন, এখনই দলীয় নেতৃত্বকে কিছু বলিনি। আপাতত, বিচারের জন্য অভিযোগ জানিয়েছি, প্রশাসনের ওপর আমার যথেষ্ট ভরসা আছে। প্রশাসন এই বিষয়টি খতিয়ে দেখুক। অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতা জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি আতিবুর রহমানের আত্মীয়। কারও মদতে এসব করছে।  প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেটার দিকে আমরা তাকিয়ে রয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share