Tag: TMC MLA

TMC MLA

  • Sukanta Majundar: ‘‘সন্ধেবেলায় বললে সিরিয়াসলি নেবেন না’’! মদনকে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর, কিন্তু কেন?

    Sukanta Majundar: ‘‘সন্ধেবেলায় বললে সিরিয়াসলি নেবেন না’’! মদনকে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর, কিন্তু কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য নির্বাচন কমিশনে আগের দিন দায়িত্ব পেয়েই পরের দিন পঞ্চায়েত ভোটের ঘোষণা, আর ঠিক তার পরের দিন থেকেই নমিনেশন। অন্যদিকে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গিয়ে রাজনৈতিক দলের কর্মীরা পাচ্ছেন না ফর্ম। বিডিও বলছেন, আমরা এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত হতে পারেনি। তাই যদি হয়, তাহলে কেন এতো তাড়াতাড়ি ভোট ঘোষণা? প্রশ্ন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।

    কোথায় বলেন বিজেপি (BJP) নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    হুগলির পুরশুড়ার চিলাডিঙ্গি এলাকায় একটি জনসভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি যোগ দিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং তৃণমূল নেতাদের তীব্র সমালোচনা করেন। সেই সঙ্গে কিছু প্রশ্নও তোলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি নাম না করে বলেন – শুধু মাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) বাঁচানোর জন্য বিশেষ কৌশল! নাকি বিজেপির সভা বন্ধ করার জন্য এতো তাড়াতাড়ি করে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা? সভা থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দলদাস বলে কটাক্ষ করেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    সাংবাদিকদের প্রশ্ন উত্তরে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    এইদিন হুগলির খানাকুলেও আরও একটি জনসভা করেন বিজেপির (BJP) এই নেতা। খানাকুলে বিজেপির এই জনসভায় সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি সরাসরি কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন, যা রাজনৈতিক মহলে বেশ সরগরম করে দিয়েছে। প্রশ্ন-উত্তর গুলি হল,

    প্রশ্ন – মনোনয়নের পয়লা দিনেই বিরোধীশূন্য করার হুশিয়ারি মদন মিত্রের (Madan Mitra)।

    উত্তর – মদন দার বয়স হয়ে গেছে এখন, সন্ধ্যেবেলা বলেছেন না সকালে বলেছেন, সেটা আগে জানতে হবে, তার উপর নির্ভর করবে; সন্ধ্যাবেলা বললে সিরিয়াসলি নেবেন না।

    প্রশ্ন – মাঠে বিরোধী কোনও খেলোয়াড় নেই, তাই তিনি খেলতে পারবেন না, সেই কারণে মনমরা হয়ে যাচ্ছে, বলছেন মদন মিত্র।

    উত্তর – বাঁকুড়া সহ বিভিন্ন জেলাতে ডিসিয়ার তোলার জন্য সব থেকে ভীড় বিজেপি কর্মীদেরই ছিল।

    প্রশ্ন – টুকটাক অশান্তি না হলে হয়, আগে সিপিএমের আমলে বোমা ছিলো আর এখন আমাদের আমলেও আছে।

    উত্তর – আমরা তো সেটাই বলছি সিপিএম আর তৃণমূলের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।

    প্রশ্ন – ১০০ শতাংশ ভোট না মেরে দিলে হয়? ইঙ্গিতে ছাপ্পা ভোটের কথাই বলা হচ্ছে।

    উত্তর – ওনার দল কী করতে পারে, উনি সেটা ভালো জানেন, যখন তাঁকে সামান্য মুখ খুলার পর বলতে হয়, যা করার আমার সাথেই করুক আমার পরিবারের প্রতি প্রতিহিংসা মূলক কাজ করবেন না। এর থেকেই প্রমাণ তৃণমূল প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে কী কী করতে পারে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বাংলায় মস্তানিরাজ খতম করব আমরা”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “বাংলায় মস্তানিরাজ খতম করব আমরা”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলায় মস্তানিরাজ খতম করব আমরা।” রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে এক প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোনারপুর উত্তর ও দক্ষিণ বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম ও লাভলী মৈত্র সহ একাধিক তৃণমূল নেতানেত্রীর নাম করে তিনি বলেন, “সব দলই ঝান্ডা তুলবে, মানুষ যাকে গ্রহণ করবে সে ক্ষমতায় থাকবে। আপনারা কত বড় মস্তান? আপনাদের থেকে অনেক বড় মস্তান কেষ্ট এখন তিহার জেলে রয়েছে। আপনারা থাকবেন, অন্য কেউ থাকবে না, তা চলতে পারে না। অন্যায়, দুর্নীতি, চুরির প্রতিবাদ হবে না, এটা হতে পারে না। এ জিনিস চলতে দেওয়া যাবে না, জেনে রাখুন মমতা। বাংলায় মস্তানিরাজ খতম করব আমরা।”

    সোনারপুর উত্তর কেন্দ্রের বিধায়কের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    রাজ্য সরকারের দুর্নীতি ও অপশাসন নিয়ে সোনারপুরে একটি প্রতিবাদ মিছিল করেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। পরে, প্রতিবাদ সভা থেকে তিনি বলেন, “২০০৯ সালে সোনারপুর উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ২২ হাজার ৫৫৮ টাকা। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের হলফনামায় তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৭১ লক্ষ ১৮ হাজার ৮০০ টাকা। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ফিরদৌসী বেগমের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে হয় ১ কোটি ৪৯ লক্ষ ৭৬০ টাকা। ২০২১ সালে সেই সম্পত্তির পরিমাণ এক ধাক্কায় বেড়ে দাঁড়ায় ৬ কোটি ৬৬ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা। রকেটের থেকেও বেশি গতিতে বেড়েই চলেছে বিধায়কের সম্পত্তির পরিমাণ। এর থেকেই প্রমাণিত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি দুর্নীতি করে হয়েছে। এই চোরেদের উৎখাত করতে হবে।”

    শাসক দলের সঙ্গে কংগ্রেস, সিপিএমের যোগ নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের অন্য দুই দল কংগ্রেস ও সিপিএমের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “শাসক দলের সঙ্গে সেটিং রয়েছে দুই দলের। ২০১১ সালে বিরোধী দলনেতা ছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। তখনও বিরোধিতার কোনও ছবি ধরা পড়েনি। ২০১৬ সালে বিরোধী দলনেতা হন আব্দুল মান্নান। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তাঁরাও কোনও আন্দোলন করেননি। বর্তমানে বিরোধী দল বিজেপি। দুর্নীতি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি বার বার সোচ্চার হয়েছে। তাই আগামী দিনে এই পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করতে বিজেপিকে ক্ষমতায় আসতে হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tapas Saha: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে এবার তাপসকে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    Tapas Saha: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে এবার তাপসকে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (Recruitment Scam) সিবিআইয়ের (CBI) আতস কাচের তলায় ছিলেন নদিয়ার তেহট্টের বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) তাপস সাহা (Tapas Saha)। দিন কয়েক আগে তাঁর বাড়ি ও কার্যালয়ে টানা তল্লাশি চালিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রে খবর, তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। তার জেরেই বুধবার তাপসকে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে তলব করা হয়েছে। কেবল সিবিআই নয়, তাপসের দিকে নজর রয়েছে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিরও। সিবিআইয়ের এফআইআরের সূত্র ধরেই তাপসের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করতে পারে ইডিও। যদিও সিবিআই তল্লাশির পর এই তৃণমূল নেতা জানিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে তল্লাশিতে কিছুই পায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    তৃণমূল নেতা তাপস সাহার (Tapas Saha) দাবি…

    তিনি এও দাবি করেছিলেন, তৃণমূলেরই একাংশ বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি কোনও টাকা নেননি বলেও দাবি করেছিলেন তেহট্টের বিধায়ক। তাঁর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালানোর পর দলীয় কর্মীরা যাতে তাঁর পাশ থেকে সরে না যান সেজন্য তদন্তকারীরা চলে যাওয়ার পরেই বাড়িতে দলীয় কর্মীদের মহাভোজ দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা তাপস। দলের নেতা-কর্মীদের ডেকে খাইয়েছিলেন মাংসভাত। এহেন তৃণমূল নেতাকেই এবার দফতরে হাজিরা দেওয়ার নোটিশ পাঠাল সিবিআই।

    আরও পড়ুুন: ‘‘রাজ্যের ৯০ শতাংশ মুসলিম বাংলা-ভাষী, তাও কেন হিন্দিতে ভাষণ’’, মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় তাপসেরও (Tapas Saha)। তাঁর বিরুদ্ধেও চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোটি কোটি টাকা তোলার অভিযোগ ওঠে। এ ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরে তাপসের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। টানা প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি। সেই সময় তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ জেরাও করেছিলেন তদন্তকারীরা। পরে তেহট্টের বিধায়কের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। বাজেয়াপ্ত করা হয় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও। বেঙ্গালুরুতে ফ্ল্যাট রয়েছে তাপসের ছেলের। সেই ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। তাপসের বাড়িতে তল্লাশির পর তাঁর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়াল ও তাপসের ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল নেত্রীর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের তিন বিধায়ক। এঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। বর্তমানে তিনজনেই রয়েছেন গরাদ-বন্দি। এবার তাপসকে (Tapas Saha) ডাকল সিবিআই। তাহলে কি তাঁরও পরিণতি হবে দলীয় তিন বিধায়কের মতোই? উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: বাড়িতে মিলল দুবস্তা অ্যাডমিট কার্ড! পুকুরে তৃণমূল বিধায়কের মোবাইল খুঁজছে সিবিআই, কেন?

    Recruitment Scam: বাড়িতে মিলল দুবস্তা অ্যাডমিট কার্ড! পুকুরে তৃণমূল বিধায়কের মোবাইল খুঁজছে সিবিআই, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) থেকে বাঁচতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার কর্মকাণ্ড দেখে সিবিআই (CBI) কর্তারা হতবাক। গত ২৪ ঘণ্টা ধরে চলছে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি। আর সময় যত গড়াচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam)  সংক্রান্ত নতুন নতুন নথি সিবিআইয়ের হাতে আসছে। সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধায়কের বাড়ি থেকে প্রায় দুবস্তা নথি উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি এবং নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার একাধিক চাকরি প্রার্থীর অ্যামডিট কার্ড রয়েছে। এছাড়া একটি ডায়েরি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সিবিআই (CBI) কর্তাদের আশঙ্কা, এই ডায়েরির মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) লেনদেনের হিসেব থাকতে পারে। শনিবার তৃণমূল বিধায়কের দুই আত্মীয়ের বাড়িতে নতুন করে সিবিআই (CBI)  তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।

    সিবিআই তল্লাশির সময় বাড়ির পাশে পুকুরে মোবাইল ফেলে দেন বিধায়ক!

    শুক্রবার সকাল থেকে রাজ্যের ৬টি জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থার বেশ কয়েকটি টিম। বড়ঞার এই তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয় সকাল থেকে। তল্লাশি চলে তাঁর শ্বশুরবাড়িতেও। তল্লাশির পাশাপাশি বিধায়ককে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিবিআই (CBI) সূত্রের খবর, সিঁদুরের কৌটোর মধ্যে মোবাইলের মেমরি কার্ড লুকিয়ে রেখেছিলেন বিধায়ক। সেই মেমরি কার্ডে রয়েছে নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক তথ্য। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে অসুস্থতার কথা বলে শৌচালয়ে যাওয়ার নাম করে বাড়ির পাশের পুকুরে নিজের দুটি মোবাইল ফেলে দেন বিধায়ক। সঙ্গে দুটি পেন ড্রাইভ, একটি হার্ডডিস্কও ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অনুমান।  প্রায় চার-পাঁচ বছর ধরে সেই মোবাইলটি বিধায়ক ব্যবহার করছিলেন বলে সূত্রের খবর। ফলে, তাতে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই তথ্য লোপাট করতেই পুকুরে মোবাইল ফেলা হল কি না তা সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন। ইতিমধ্যেই পুকুরে পাম্প নামিয়ে জল বের করে মোবাইল খোঁজার চেষ্টা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এমনিতেই শুক্রবার থেকে সিবিআইয়ের (CBI)  একটি টিম ঘটনাস্থলে রয়েছেন। কিন্তু, বিধায়কের বাড়ি থেকে তথ্যের ভাণ্ডার উদ্ধার হওয়ায় শনিবার ভোরে ৬ জনের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছান।  তাঁরাও তল্লাশি শুরু করেছেন। মনে করা হচ্ছে, পুকুর থেকে মোবাইল দুটি পেলে তদন্তকারীদের হাতে আসতে পারে অনেক তথ্য। জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) লিঙ্কম্যান হিসেবে মুর্শিদাবাদ থেকে  কৌশিক নামে এক ব্যক্তি গ্রেফতার হন। তাঁকে জেরা করেই উঠে আসে এই জীবনকৃষ্ণ সাহার নাম। পরে, কিছু ব্যাঙ্কের চেকের সূত্র ধরে সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা নিশ্চিত হয়। এরপরই শুরু হয় তল্লাশি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে গিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক! কোথায় জানেন?

    TMC: দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে গিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ২০১১ সালে রাজ্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল (TMC)। কিন্তু, এখনও পানীয় জলের সংকটে ভুগছেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দারা। কাগজকলমে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হলেও আদতে তৃণমূল সরকার যে কিছু করেনি তা পশ্চিম বর্ধমান জেলার উখরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উগরা এলাকার বাসিন্দারা হারে হারে টের পাচ্ছেন। গরম পড়তেই পানীয় জলের হাহাকার চলছে এলাকায়। পানীয় জলের জন্য বাড়ির মহিলাদের দৌড়াদৌড়ি করতে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) উপরে সমস্ত ক্ষোভ তাঁদের। সোমবার দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে যোগ দিতে উখরা গ্রামে রানীগঞ্জ বিধানসভার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় যান। আর তৃণমূল বিধায়ককে সামনে পেয়ে এই গরমে পানীয় জল না পাওয়ার জ্বালা মিটিয়ে নেন মহিলারা। জনসংযোগ করার জন্য বিধায়ককে কথা বলতে না দিয়ে এলাকার সমস্ত মহিলারা তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

    কী বললেন এলাকার মহিলারা? TMC

    সোমবার “দিদির সুরক্ষা কবজ” কর্মসূচি ছিল উখড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন এলাকার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। আনন্দমোড় শ্মশান কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে এদিন কর্মসূচির সূচনা হয়। তারপর বড়পাড়া হয়ে ময়রা পাড়ায় জনসংযোগ কর্মসূচিতে যান বিধায়ক সহ অন্যরা। সেখানে স্থানীয় মহিলাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিধায়ক। মহিলাদের অভিযোগ, এলাকায় কল থাকলেও কলে জল পড়ে না। ময়রাপাড়া, ধীবর পাড়া ও অস্তল পাড়ার একাংশের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জল সংকটে ভুগছেন। ফলে, আমাদের মতো এই এলাকায় সব বাসিন্দারা চরম নাকাল হয়। তাঁরা বিধায়কের কাছে অবিলম্বে পানীয় জলের পরিষেবা উন্নত করার দাবি জানান।

    বিক্ষোভ নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক? TMC

    এলাকাবাসীদের বিক্ষোভ দেখানোর কথা অস্বীকার করলেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কেউ কোনও বিক্ষোভ দেখায়নি। আসলে যারা কাজ করে, তাদের কাছেই তো অভাব অভিযোগ জানাবে। স্থানীয় মহিলারা এলাকায় পানীয় জলের সমস্যার কথা জানিয়েছেন মাত্র। সমস্যার কথা জানার জন্যই এই কর্মসূচি। সেখানে মহিলারা আমাকে সমস্যার কথা বলেছেন। আসলে এই এলাকায় বহুদিন ধরেই পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। বিষয়টি জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের আধিকারিকদের জানানো হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি, ফ্যাক্টরিতে আয়কর  হানা, কেন জানেন?

    Murshidabad: জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি, ফ্যাক্টরিতে আয়কর হানা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিপুরের (Jangipur) তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জাকির হোসেনের (Jakir Hossain) বাড়ি ও কারখানায় আয়কর হানা। বুধবার সকাল থেকেই এ নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় মুর্শিদাবাদে। এদিন দুপুরে সামশেরগঞ্জের আনন্দ বিড়ি ফ্যাক্টরি, ধুলিয়ান পুরসভার খরবোনা এলাকাতে বিজলি বিড়ি ফ্যাক্টরি এবং সুতির বিধায়ক জাকিরের শিব বিড়ি ফ্যাক্টরিতে হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।

    কোথায় কোথায় আয়কর হানা

    স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ সামশেরগঞ্জের গোবিন্দপুরের আনন্দ ফ্যাক্টরি এবং সুতিতে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক জাকিরের বাড়ি সংলগ্ন বিড়ি ফ্যাক্টরিতে হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। প্রথমে বিএসএফ জওয়ানদের দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় কারখানার চারদিক। বিড়ি কারখানাগুলিতে থাকা বিভিন্ন নথিপত্র এবং সামগ্রী পরীক্ষা করে দেখেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,আনন্দ বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিক জনৈক ওলিউল ইসলাম এবং বিজলি বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিক জনৈক লায়েক আলি, এঁদের বিরুদ্ধেও আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে জানে গেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী তিনটি জায়গাই ঘিরে রেখেছে। 

    আরও পড়ুন: কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারকে তলব সিবিআইয়ের

    এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, আয়কর দফতরের আধিকারিকরা যখন জাকির হোসেনের বাড়িতে হানা দেন, সেই সময় তিনি বাড়িতেই ছিলেন। বাড়িতে ঢুকে আধিকারিকরা তৃণমূল বিধায়ক এবং তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের ফোনগুলো নিয়ে নেন বলে প্রাথমিকভাবে খবর।  কয়েকজন আধিকারিক এরপর পৌঁছে যান জাকির হোসেনের অন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোতে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানেও তল্লাশি চলছে। কাউকে সেই জায়গায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। জেলার অন্যতম বড় ব্যবসায়ী জাকির হোসেনের বিড়ি তৈরির ব্যবসা ছাড়াও চাল, ডাল, তেল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ একাধিক ব্যবসা রয়েছে।। সূত্রের খবর একাধিক ব্যবসা থেকে জাকির হোসেন ঠিকমত আয়কর প্রদান করেননি বলেই আয়কর দফতরের আধিকারিকদের কাছে তথ্য পৌঁছেছিল। 

    কলকাতায় তৃণমূল মেয়র পারিষদের বাড়িতে আয়কর আধিকারিকরা

    তৃণমূল মেয়র পারিষদ, কলকাতার ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমির উদ্দিন ববির হোটেলে হানা দিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে কলকাতার মৌলালির ওই হোটেলে বেশ কিছু ক্ষণ ছিলেন তাঁরা। রিপন স্ট্রিটের হোটেলের নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয় বলে খবর। জানা গিয়েছে, হোটেলের বিদ্যুতের বিল রয়েছে আমিরের নামে। কলকাতার মৌলালি অঞ্চলে তৃণমূল কাউন্সিলারের বিলাসবহুল হোটেল। আর সেখানেই বুধবার পৌঁছে যান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা (IT Raid)। হোটেলের সমস্ত তথ্য তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখেন বলে খবর। এমনকি কাগজ-পত্রও খতিয়ে দেখেন আয়কর আধিকারিকরা। এমনটাই খবর। তবে কী কারণে তৃণমূল কাউন্সিলারের হোটেলে হানা দিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা তা স্পষ্ট নয়। প্রায় ঘন্টাখানেকেরও বেশি সময় ধরে চলে এই তল্লাশি। যদিও দীর্ঘ এই তল্লাশি চলাকালীন কাউন্সিলারের হোটেল সম্পূর্ণ ভাবে ঘিরে ফেলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকরা। ওই সময়ে কাউকে হোটেলে ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হয়নি বলেও জানা যাচ্ছে। তৃণমূল কাউন্সিলারের হোটেলে হঠাত তল্লাশি ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mamata Banerjee: ‘‘আমি না জিতলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নবান্নে বসতে পারবেন না’’! বেফাঁস হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক

    Mamata Banerjee: ‘‘আমি না জিতলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নবান্নে বসতে পারবেন না’’! বেফাঁস হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি যদি পাঁচলায় জিততে না পারি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) নবান্নে বসতে পারবেন না !” দলীয় সভায় এমনই বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন হাওড়ার পাঁচলার বিধায়ক গুলশন মল্লিক৷ শাসক দলের বিধায়কের এহেন মন্তব্যের পরই শুরু হয়েছে জল্পনা। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, পাঁচলার বিধায়কের জনপ্রিয়তা কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকেও বেশি? নইলে কেন এমন দাবি করছেন তিনি? শাসক দলের উত্তর, এর থেকে বিধায়কের আত্মবিশ্বাসের পরিচয় পাওয়া যায়।

    ঠিক কী বলেছেন বিধায়ক? 

    বুধবার পাঁচলায় একটি কর্মসূচির আয়োজন করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস৷ সেখানেই বক্তব্য রাখেন গুলশন মল্লিক৷ সেই কর্মসূচিতে মঞ্চে দাঁড়িয়ে গুলশন বলেন, “বিধানসভা ভোটের আগে একমাস পুলিশের সঙ্গে কথা বলিনি৷ তবু, ৩০ হাজার ভোটে জিতেছি! কেন্দ্রীয় বাহিনী আমাদের কর্মীদের মেরে পিঠের ছাল তুলে দিয়েছে৷ তারপরও আমি জিতেছি৷ আমি যদি পাঁচতলার ক্ষমতায় না থাকি, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) নবান্নে বসতে পারবেন না!”

    এবার দ্বিতীয় প্রশ্ন উঠছে, ভোটে জেতার (Mamata Banerjee) সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে কথা না বলার কী সম্পর্ক? সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল৷ 

    বিধায়কের মন্তব্যের জেরে তৃণমূলকে একহাত নিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই এ প্রসঙ্গে বলেন, “হাওড়া জেলার সবথেকে বিশৃঙ্খল এলাকা হল পাঁচলা৷ আর এই বিশৃঙ্খলার জন্য তৃণমূল (Mamata Banerjee) বিধায়ক গুলশন মল্লিকই দায়ী৷ ধুলাগড়ে যে অশান্তি হয়েছিল, তার জন্যও তিনিই দায়ী ছিলেন৷ সম্প্রতি এনআরসি নিয়ে জাতীয় সড়কের উপর যে হাঙ্গামা হয়েছিল, তারও মাথা ছিলেন গুলশন৷ কতটা ক্ষমতা থাকলে গুলশন মল্লিকের মতো নেতারা প্রকাশ্যে এই ধরনের মন্তব্য করেন!”

    আরও পড়ুন: কোর্টের অর্ডারে রয়েছে গ্রেফতারির পরোয়ানা, তবুও কেন জেলের বাইরে মানিকের স্ত্রী-পুত্র? বিতর্ক

    গুলশনের মন্তব্যের ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে স্থানীয় তৃণমূল। হাওড়া গ্রামীণের তৃণমূল সভাপতি অরুণাভ সেন বলেন, “তিনি (গুলশন) তাঁর নিজের এলাকা ভালোভাবে চেনেন বলেই এমন কথা বলেছেন৷ এটা তো তাঁর আত্মবিশ্বাসেরই প্রতিফলন! তিনি আসলে বলতে চেয়েছেন, তিনি যদি পাঁচলায় না যেতেন, তাহলে সারা পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল (Mamata Banerjee) জিতবে না!” 

    রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী তথা হাওড়া অরূপ রায় গুলশনের মন্তব্যের বিরোধীতা করে বলেন, “বিধায়ক গুলশন যে মন্তব্য করেছেন তা আমি  সমর্থন করি না। এ ব্যাপারে গুলশনের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি দলীয় স্তরে আলোচনাও করা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যে উন্নয়নের কাজ করেছেন তাতে তিনি যত দিন চাইবেন বা যত দিন মনে করবেন তত দিনই জিতবেন। ক্ষমতাতেও থাকবেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • TMC: ‘সরকারি মদ খান’, নিদান দিয়ে বিতর্কে তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    TMC: ‘সরকারি মদ খান’, নিদান দিয়ে বিতর্কে তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি যে মদ রয়েছে, সেই মদ তো খেতেই পারে, কিনে খেতেই পারে। এই কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি কোনও সাধারণ মানুষ নন, পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। একজন বিধায়ক হয়ে কীভাবে রাজ্যবাসীকে মদ্যপানে উৎসাহিত করছেন, তা ভাবতেও পারছেন না এ রাজ্যের সিংহভাগ বিধায়ক (MLA)। স্থানীয় বাসিন্দারাও বুঝতে পারছেন না হুমায়ুন ঠিক কী বললেন!

    ‘চলো গ্রামে যাই’…

    রবিবার ছুটির দিনে নিজের বিধানসভা এলাকার হৈপথ গ্রামে সাইকেলে চড়ে ‘চলো গ্রামে যাই’ কর্মসূচি পালন করতে গিয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক হুমায়ুন। পথে এক জায়গায় তাঁকে ঘিরে ধরেন স্থানীয় মহিলারা। বিধায়ককে হাতের নাগালে পেয়ে উগরে দেন ক্ষোভ। এলাকায় মদের রমরমা কারবার বলেও অভিযোগ জানান তাঁরা। মদ কারবারিদের বাড়বাড়ন্তের জেরে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাঁরা, কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার অর্থনীতি, তাও জানান ওই মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ থেকে আবগারি দফতর কেউ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এর জেরেই মাস কয়েক আগে প্রাণ গিয়েছে বছর চৌত্রিশের এক যুবকের।

    আরও পড়ুন: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    এর পরেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তৃণমূলের (TMC) হুমায়ুন বলেন, প্রতিদিন মদ খাওয়ার ফলে এলাকায় বছর চৌত্রিশের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। অনেকে খালি পেটে মদ খায় এবং সেই কারণে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আর তার জেরে অসুস্থ হয়ে অনেকেরই মৃত্যু হয়। এখানে বেআইনি মদের ঠেক বন্ধ করার জন্য আমি থানার বড়বাবুকে বলেছি। যাতে বেআইনি মদ বিক্রি এখানে বন্ধ করা হয়। তিনি বলেন, দেশি মদ যেটা বিক্রি হয়, সেটা দোকান থেকে এনে খাচ্ছে কিনা, তা দেখতে হবে। বেআইনি মদ থাকলে ওটা আবগারি দফতরের গাফিলতি। সরকারি মদ যেটা আছে, ওটা কিনে এনে খেতেই পারে। ডেবরার বিধায়ক বলেন, এদের সচেতন হতে হবে। মদ খেলেও একটা পরিমাণ মতো খেতে হবে। তিনি বলেন, কেউ যদি প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে মদ খায়, তাহলে তো লিভারের সমস্যা হবেই। সপ্তাহখানেক আগেই বিডিও, এসডিওর চেয়ারের গদি কেড়ে নেওয়ার দাবি করেছিলেন হুমায়ুন। এবার রাজ্যবাসীকে করলেন মদ খাওয়ায় উৎসাহিত। রাজ্যের একজন প্রাক্তন মন্ত্রী কীভাবে একথা বললেন, তা ভাবতে পারছেন না এ রাজ্যের শিক্ষিত সমাজও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • TMC MLA on Bangladeshis: ‘‘তৃণমূলকে সমর্থন করা বাংলাদেশিদের নামই ভোটার লিস্টে রাখুন’’, বিতর্কে বিধায়ক

    TMC MLA on Bangladeshis: ‘‘তৃণমূলকে সমর্থন করা বাংলাদেশিদের নামই ভোটার লিস্টে রাখুন’’, বিতর্কে বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার লিস্টে কেবল তৃণমূল (TMC) সমর্থকদেরই নাম তুলুন! বিজেপির (BJP) লোকদের তুলবেন না! এই নিদান দিয়েছেন এ রাজ্যের এক এমএলএ (MLA)। বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA on Bangladeshis) খোকন দাসের এহেন মন্তব্যের জেরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটার লিস্টকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। বুধবার পূর্ব বর্ধমানের টাউন হলে তৃণমূলের তরফে আয়োজন করা হয়েছিল ভোটার তালিকা সংশোধন সংক্রান্ত বুথ ভিত্তিক এক আলোচনা সভার। এই সভায় যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের নির্বাচনী এজেন্টরা। এই সভায়ই বক্তৃতা দিতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন খোকন। একজন বিধায়ক (TMC MLA on Bangladeshis) হয়ে একথা বলতে পারেন কিনা, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

    ঠিক কী বলেছেন বিধায়ক?

    এদিনের এই সভায় বিধায়ক (TMC MLA on Bangladeshis) বলেন, অনেক নতুন ভোটার। প্রতিদিন নতুন লোক তো আসছেই। নতুন লোক মানে বুঝতে পারছেন? সব বাংলাদেশের লোক আসছেন। তাঁদের ভোট বেশি তোলা মানে তো আরও ক্ষতি। তাঁরা তো সব ভোট বিজেপিকেই দিয়ে দেন। তাই ভোটার লিস্টে নাম যে তুলবেন, দেখবেন নতুন লোক এলেও, তাঁরা আমাদের দলের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন কিনা। যাঁরা সেটা করবেন, তাঁদেরই নাম ভোটার তালিকায় তোলার চেষ্টা করবেন। বিধায়ক বলেন, এখন সবাই আমাদের দলের সঙ্গে ভিড়ে গিয়েছেন। দু দিন পর আবার ২০১৯, ২০২১ সালের মতো হয়ে না যায়! নিজেদের জায়গা নিজেদের ছেলেদের করতে হবে। আমরাও দলকে বলেছি, যাঁরা উনিশ ও একুশের ভোটে বুক চিতিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, তাঁদেরই বিভিন্ন পদ দেওয়া হবে। অন্য কোনও লোককে আমরা কোনও পদ দেব না। তিনি বলেন, যাঁরা দলের দুঃসময়ে পাশে ছিলেন, তাঁদেরই জায়গা দেব।

    আরও পড়ুন: অভিষেকই ‘কয়লা ভাইপো’? মেনে নিচ্ছে তৃণমূল?

    অথচ দিন কয়েক আগে উল্টো সুর শোনা গিয়েছিল বিধায়কের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। ১০ নভেম্বর এক প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সবাই যাঁরা ভোটার লিস্টের কাজে আছেন, আমি রিকোয়েস্ট করব সবার নামটা তুলবেন। ১৮ বছর বয়স যাদের হচ্ছে বা হতে যাচ্ছে, তাদের নামগুলো তুলবেন ইলেকশন কমিশনের নিয়ম মেনে। কারও নাম দয়া করে অন্য ধর্মের লোক বলে বাদ দেবেন না।

    তৃণমূলের কোনটা মুখ আর কোনটা মুখোশ? উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share