Tag: TMC MP

TMC MP

  • Saket Gokhale: আমলা দম্পতির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য, তৃণমূল সাংসদের জরিমানা ৫০ লাখ

    Saket Gokhale: আমলা দম্পতির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য, তৃণমূল সাংসদের জরিমানা ৫০ লাখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫০ লাখ টাকা জরিমানা তৃণমূল সাংসদের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী ও তাঁর স্ত্রী তথা প্রাক্তন কূটনীতিক লক্ষ্মী পুরীর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের সাকেত গোখেলের (Saket Gokhale) বিরুদ্ধে। সেই কারণেই তাঁকে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)।

    সাকেতকে আদালতের নির্দেশ (Saket Gokhale)

    সোমবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি অনুপ জয়রাম ব্রহ্মাণীর বেঞ্চের নির্দেশ, লক্ষ্মীর কাছে ক্ষমা চেয়ে সাকেতকে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করতে হবে। আদালতের নির্দেশ, অন্তত ছমাস সাকেতের (Saket Gokhale) ওই পোস্ট থাকতে হবে এক্স হ্যান্ডেলে। এর পাশাপাশি একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকে লক্ষ্মীর কাছে ক্ষমা চেয়ে বার্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ব্রহ্মাণীর বেঞ্চ। ঘটনার সূত্রপাত ২০২১ সালের জুন মাসে। লক্ষ্মী ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ তুলে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন সাকেত। পোস্টে তৃণমূলের এই সাংসদ লিখেছিলেন, লক্ষ্মী পুরী সুইৎজারল্যান্ডে সম্পত্তি কিনেছেন। লক্ষ্মী ও তাঁর মন্ত্রী স্বামীর আয়ের উৎস নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিকবার পোস্ট করেছিলেন তৃণমূলের এই সাংসদ।

    মানহানির মামলা দায়ের

    এর পরেই সাকেতের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন লক্ষ্মী। দাবি করেন পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণও। তাঁর ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যে, অসত্য ট্যুইট ডিলিট করার নির্দেশ সাকেতকে দিতে আদালতে আবেদন জানান লক্ষ্মী। ওই বছরেরই ১৩ জুলাই লক্ষ্মীর বিরুদ্ধে করা সমস্ত পোস্ট চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ডিলিট করার নির্দেশ সাকেতকে দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। লক্ষ্মীর বিরুদ্ধে আর কোনও মানহানিকর পোস্ট করা থেকেও সাকেতকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।

    আর পড়ুন: ইভিএম নিয়ে ভুয়ো খবর, মিড ডে-র রিপোর্টার সহ একাধিক ব্যক্তির নামে এফআইআর

    লক্ষ্মীর মতো প্রাক্তন আমলা তাঁর স্বামী হরদীপও। তিনি ১৯৭৪ ব্যাচের আইএফএস। ব্রাজিল, জাপান, ব্রিটেন-সহ বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন। চাকরিজীবন শেষে ২০১৩ সালে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। বর্তমানে হরদীপের কাঁধে রয়েছে পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের দায়িত্ব। এহেন এক আমলা দম্পতির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার খেসারত দিতে হবে (Delhi High Court) তৃণমূলের সাংসদকে (Saket Gokhale)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Yusuf Pathan: ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ, নোটিস পেলেন তৃণমূল সাংসদ

    Yusuf Pathan: ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ, নোটিস পেলেন তৃণমূল সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC MP) বহরমপুরের সাংসদ ইউসুফ পাঠানের (Yusuf Pathan) বিপক্ষে। গুজরাটের ভাদোদরা পুরসভার তরফে প্রাক্তন ক্রিকেটারকে জমি দখলের অভিযোগে গত ৬ জুন নোটিস পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য ভোটের ফল প্রকাশ পায় ৪জুন। তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বিপাকে পড়েন তৃণমূল সাংসদ।

    কবে, কেন পাঠানো হল নোটিস

    এবারের লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে জিতেছেন ইউসুফ (Yusuf Pathan)। পাঁচ বারের সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে হারিয়ে নজির গড়েছেন তিনি। কিন্তু ভোট মিটতেই বিপাকে পাঠান। ভাদোদরায় পুরসভার একটি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, গত ৬ জুন এই বিষয়ে নোটিস পাঠানো হয় পাঠানকে। সম্প্রতিই প্রাক্তন বিজেপি কর্পোরেটর বিজয় পওয়ার বিষয়টি সামনে আনতেই বৃহস্পতিবার ভাদোদরা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (ভিএমসি)-র স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান শীতল মিস্ত্রি নোটিস পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে নেন।  তিনি বলেন, ‘‘সম্প্রতি আমরা খবর পেয়েছি, একটি সরকারি জমিতে দেওয়াল তুলছেন ইউসুফ। তাই ৬ তারিখে আমরা ওঁকে একটি নোটিস পাঠাই। দেওয়াল সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। আমরা দু’সপ্তাহ অপেক্ষা করব। তার পর পরবর্তী পদক্ষেপের কথা ভাবব। এই জমি পুরসভার, আমরা এটা ফেরত নেব।’’

    আরও পড়ুন: বাতিল অনুশীলন, রোহিতদের হোটেলও জলমগ্ন! ফ্লোরিডায় বন্যা, ম্যাচ সরানোর আর্জি

    পাঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    বরোদার এক বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় পাওয়ার জানিয়েছেন, ২০১২ সালে এই জমি কিনে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ইউসুফ (Yusuf Pathan)। প্রতি বর্গমিটারে ৫৭ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন তিনি। পুরসভার বোর্ডের বৈঠকে সেই প্রস্তাব পাশ হয়। সে সময়ে পুরসভার অনুমতি পেয়েও গিয়েছিলেন। কিন্তু গুজরাটের তৎকালীন সরকার পুরসভার প্রস্তাবে ‘না’ করে দেয়। ওই জমি তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) ইউসুফের বাড়ির লাগোয়া বলেও জানিয়েছেন পাওয়ার। সরকার জমি কেনার অনুমতি না দিলেও, জোরপূর্বক জমি দখল করে নেন পাঠান। পুরসভার ওই জমিতে পাঁচিলও তুলে দিয়েছেন তিনি। তাই পুরসভার তরফে এক প্রকার বাধ্য হয়ে ইউসুফকে নোটিস পাঠানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Malda: মেলেনি টিকিট, হতাশ হয়ে ঘরবন্দি তৃণমূল নেত্রী মৌসম! জেলাজুড়ে শোরগোল

    Malda: মেলেনি টিকিট, হতাশ হয়ে ঘরবন্দি তৃণমূল নেত্রী মৌসম! জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের পক্ষ থেকে চরম অসহযোগিতা চোখে পড়েছিল উত্তর মালদার (Malda) তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে। তৃণমূলের লোকসভার প্রার্থী ঘোষণার পর মালদায় প্রচারে বেরিয়ে প্রাক্তন আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোনও দলের বড় নেতার দেখা মেলেনি। এমনকী জেলার একাধিক জায়গায় দলীয় বৈঠকেও দেখে মেলেনি তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের বড় মুখদের। সব থেকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম বেনজির নূর। প্রার্থী ঘোষণার পর বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও এখনও তাঁকে মাঠে ময়দানে দেখা যায়নি। তা নিয়ে জেলাজু়ড়ে চর্চা চলছে।

    চার দেওয়ালে আটকে রেখেছেন তৃণমূল নেত্রী মৌসম (Malda)

    তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিন ব্রিগেডের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন মৌসম। আশা ছিল, তালিকায় নাম থাকবে। কিন্তু, তাঁর নাম ঘোষণা হয়নি। এরপরই জনসভা শেষ হওয়ার পর কয়েকদিন জেলার বাইরে ছিলেন তিনি। পরে, জেলায় ফিরলেও কার্যত হতাশ মৌসম। প্রত্যাশিত টিকিট না পেয়ে চার দেওয়ালে আটকে রেখেছেন তৃণমূল নেত্রী মৌসম নূর। শুধু হতাশ নন, কার্যত নিঃসঙ্গ। একলা। মালদার (Malda) কোতোয়ালির বাড়িতে কেমন যেন নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন, সঙ্গে নেই অনুগামীরাও। ভোটের দামামা যেখানে বেজে গিয়েছে, তৃণমূল নেতা কর্মীরা ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ব্যস্ত। তৃণমূল প্রার্থী নিজের কেন্দ্রে চষে বে়ড়াচ্ছেন। সেখানে এখনও ঘরেই গুটিয়ে রয়েছেন মৌসম। জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের নির্বাচনে মালদা উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন মৌসম। তবে, বিজেপি-র খগেন মুর্মুর কাছে হারতে হয় তাঁকে। এই বছর দল আর প্রার্থী করেননি। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে তারপর থেকেই নিজেকে গুটিয়েছেন তিনি। যদিও জেলা জুড়ে এটা গুঞ্জন কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গিয়েছিলেন। চেয়েছিলেন কংগ্রেসের উত্তর মালদার প্রার্থী হতে। কিন্তু, মৌসমকে ফিরিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। এরপরেই আরও হতাশ হয়ে ফিরে আসেন মালদায়।

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে টাকা বিলি! নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক

    কী বললেন তৃণমূল নেত্রী মৌসম?

     তৃণমূল নেত্রী মৌসম বলেন, “আমি উত্তর মালদার দুবারের সাংসদ। অবশ্যই আমার প্রত্যাশা ছিল। যেহেতু একই পরিবার থেকে দু’জন দাঁড়িয়েছিলাম সেই কারণে ভোট ভাগাভাগি হয়ে যায়। আমি ভেবেছিলাম এবার টিকিট পেলে জিতব। বিজেপিকে হারাব ভেবেছিলাম। তবে প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দাঁড় করিয়েছে ভাল কথা। দলের একজন সৈনিক হিসাবে সেই সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে হবে। আর আমার জ্বর হয়েছিল। সেই কারণেই বাড়িতে ছিলাম। অন্য কোনও বিষয় নয়।” কংগ্রেসের কাছে প্রার্থীর জন্য দরবার প্রসঙ্গে মৌসম বলেন, “এসবই ভিত্তিহীন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘শুধু সময়ের অপেক্ষা’, দেব-কে নিয়ে কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ‘শুধু সময়ের অপেক্ষা’, দেব-কে নিয়ে কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘাটালের সাংসদ দেব-কে নিয়ে তৃণমূল নেতার অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। অডিওতে তৃণমূল নেতা বলেছেন, কাজের জন্য ৩০ শতাংশ কমিশন চাওয়া হয়েছে। দেবকে নিয়ে এই জল্পনার মাঝেই মুখ খুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অডিও প্রসঙ্গে টেনে দেবকে তিনি আক্রমণও করলেন।

    দেব-কে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “দেব যে এজেন্ট দিয়ে কমিশন তোলে তা ঘাটালের সকলেই জানেন। তবে, ৩০ শতাংশ কি না সেটা জানি না। তবে, এমপি ল্যাডের কাজের জন্য কাটমানি দিতে হয়। তবে, এটা শুধু দেবের নয়, সব তৃণমূল সাংসদকে কাজের জন্য কাটমানি দিতে হয়। দেব প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এনামুলের টাকায় দেব সিনেমা করেছেন, এটা প্রমাণিত সত্য। পাঁচ কোটি টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিয়েছেন। সেই টাকায় সিনেমা করেছেন। তিনি একবার ইডি অফিসে একবার লুকিয়ে লুকিয়ে গিয়েছেন। ইডি চাইলেই ব্যবস্থা নিতেই পারে। অডিও ক্লিপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই বিষয়ে তিনি (দেব) কী পদক্ষেপ তা তিনি জানেন। তবে, আমার কাছে খবর আছে, তাঁর সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।”

    দিঘায় গণধর্ষণ নিয়ে সরব বিরোধী দলনেতা

    দিঘায় যুবতীকে ঘর দেওয়ার কথা বলে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করার ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামল বিজেপি। বুধবার বিকেলে ওল্ড দিঘার বিধানচন্দ্র মূর্তির পাদদেশ থেকে নিউ সায়েন্স সিটি পর্যন্ত পদযাত্রা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নির্যাতিতার পরিবারকে আইনি সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এদিন পদযাত্রায় একাধিক বিধায়ক ছাড়াও কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক পা মেলান। মিছিলে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁরা কালো ব্যাজ পরে ও ঝাঁটা হাতে মিছিল করেন। পরে, সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে – শুভেন্দু বলেন, ‘গোটা রাজ্যে মহিলা নির্যাতনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। মালদা জেলার কালিয়াচকের সংখ্যালঘু পরিবারের ছাত্রীকে খুন করা হয়েছে। দেহ অন্য জায়গায়,মুন্ডু অন্য জায়গায় পাওয়া গিয়েছে। পর্যটকের ওপরে এমন শারীরিক ও পাশবিক অত্যাচার আমরা আগে দেখিনি। দিঘায় পুলিশের কোনও উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায় না। যে দু’জন ধর্ষণকারী গ্রেফতার হয়েছে, তাদের নামে চার্জশিট দিয়ে ৯০ দিনের মধ্যে কঠিনতম সাজা দিতে হবে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dev: ‘দেব কাজের কমিশন চাইছে’, তৃণমূল নেতার অডিও ভাইরাল, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Dev: ‘দেব কাজের কমিশন চাইছে’, তৃণমূল নেতার অডিও ভাইরাল, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনটি সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ঘাটালের সাংসদ দেব (Dev)। বকেয়া টাকা না পেয়ে করোনার সময় হাসপাতালে কাজ করা মহিলারা বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন। কারণ, ঘাটাল হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন দেব। তিনি বকেয়া টাকা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। তিনি পদ থেকে ইস্তফা দিতেই মহিলারা টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েছিলেন সাংসদের কাছে। যা নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়। এই আবহের মধ্যে একটি অডিও ক্লিপ সামনে এসেছে। যাতে সাংসদ দেবের নামে বিস্ফোরক অভিযোগ করা হয়েছে। সেই অডিও ভাইরাল হয়েছে। ফলে, নতুন করে আবার চর্চায় উঠে এসেছেন অভিনেতা দেব।

    কী রয়েছে অডিও ক্লিপে?

    জেলারই দাপুটে তৃণমূল নেতার কথোপকথন রয়েছে অডিও ক্লিপে।  যদিও অডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। গলার স্বর শুনে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বই অনুমান করছেন, অডিওটি যাঁর, তিনি ঘাটালের তৃণমূল নেতা শঙ্কর দোলই। শঙ্কর ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক। তিনি বর্তমানে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি। সেই অডিয়োতে শোনা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন। তিনি সেখানে বলছেন, “আমি দিদিকে বলেছি, দেব (Dev) আমার কাছ থেকে কাজের কমিশন চাইছে। আমি তো দিদিকে বিষয়টি বলেছি। দিদি জানে তারপরেও ওকে এমপি করেছেন।” কথা প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, “কেন ওকে আমাদের রাজনীতিতে প্রয়োজন, এখানে সততা বলে কিছু নেই।” সাংসদ প্রতিনিধি রাম পদ মান্না বলেন, অডিওটি শঙ্কর দোলইয়ের।  এই বিষয়টি দেবের নজরেও আনা হয়েছে।

    এটা একটা চক্রান্ত!

    এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল নেতা শঙ্কর দোলইয়ের বিরুদ্ধে আহুল উঠছে। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, “এই ভাইরাল অডিও নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কোথাও কোনও একটা চক্রান্ত রয়েছে। এটা মিথ্যা না সত্য, তা যাচাই না করে কিছু বলব না। আমার সঙ্গে দেবের কোনও ঝগড়া নেই।”

    অডিও নিয়ে মুখ খুললেন দেব (Dev)

    ভাইরাল অডিও নিয়ে সাংসদ দেব (Dev) বলেন, “আমার ওপর কিছু নির্ভর করে নেই। আমার যা করার, যা বলার, তা আমি দলকে বলে দিয়েছি। যে অডিও ক্লিপটি বেরিয়েছে, সেই মতো দেখলে, দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) আর ওর মধ্যে কিছু কথা হয়েছে। দিদিই উত্তরটা দেবেন। আমার কিছু বলার নেই।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dev: ভোটে কি দাঁড়াবেন না দেব! তিন সরকারি পদ থেকে ইস্তফা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Dev: ভোটে কি দাঁড়াবেন না দেব! তিন সরকারি পদ থেকে ইস্তফা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, এবারের লোকসভা ভোটে ঘাটাল থেকে টলিউডের হিরো দেবকেই (Dev) (দীপক অধিকারী) প্রার্থী করতে চান তিনি। দলনেত্রীর নির্দেশ থাকলে তিনিও যে ভোটে লড়তে প্রস্তুত, অভিনেতা-সাংসদ সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু, ওই ইঙ্গিত দেওয়ার মাসখানেকের মধ্যেই তিনটি সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় এবার লোকসভা ভোটে কি তিনি দাঁড়াবেন না তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    তিনটি সরকারি পদ থেকে ইস্তফা (Dev)

    লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন দেব (Dev)। শুধু তা-ই নয়, ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি ও বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। এতেই জল্পনা তৈরি হয়েছে, তিনটি সরকারি কমিটি থেকে পদত্যাগের মধ্য দিয়ে কি লোকসভা ভোটে লড়তে না চাওয়ারই বার্তা দিলেন সাংসদ? যদিও এই বিষয়ে সাংসদ দেব এর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।  মমতার নির্দেশ আসার আগে দেব বলেছিলেন, ‘যদি সম্ভব হয়, ২০২৪- এর লোকসভা ভোটে আর দাঁড়াতে চাই না।’ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় দলের একাংশের বক্তব্য ছিল, ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দলুইয়ের সঙ্গে ‘বিবাদে’র জেরেই রাজনীতি সম্পর্কে ‘বীতশ্রদ্ধ’ হয়ে পড়েছেন দেব। যদিও সাংসদ সে কথা কখনওই নিজের মুখে স্বীকার করেননি। দলেরও কেউ এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। তবে, ইস্তফাপত্র দেওয়ার পিছনে তৃণমূলের কোন্দল রয়েছে কি না তা নিয়ে চর্চা চলছে।

    বিজেপির ভয়ে পদত্যাগ!

    তিনটি সরকারি কমিটি থেকে দেবের ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজেপি  বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, ‘এটা তো হওয়ারই ছিল। কারণ এতগুলো পদ নিয়ে বসে আছেন, চালাতে পারছেন না। এটা একটা কারণ হতে পারে। অন্য একটি কারণ, দীর্ঘদিন পর হয়তো বুঝতে পেরেছেন, তৃণমূল মানে চোর, আর চোর মানেই তৃণমূল। সেই অনুভূতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে চাইছেন। হতে পারে, লোকসভা নির্বাচনে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। বর্তমানে তিনি তৃণমূলকে হয়তো ঘৃণা করতে শুরু করেছেন। আর শেষ সময় বুঝতে পারছেন, বিজেপি আসছে, কৈফিয়ত দিতে হবে। বিজেপির ভয়ে পদত্যাগ করলেন।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Flood In Bengal: খাবার নেই, নেই পানীয় জল! তৃণমূল সাংসদ যেতেই ক্ষোভ উগরে দিলেন বানভাসিরা

    Flood In Bengal: খাবার নেই, নেই পানীয় জল! তৃণমূল সাংসদ যেতেই ক্ষোভ উগরে দিলেন বানভাসিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিম্নচাপের জেরে একটানা বৃষ্টিতে ডিভিসির ছাড়া জলে ভাসছে হুগলির আরামবাগ মহকুমার খানাকুল। মুণ্ডেশ্বরী, দামোদর, দ্বারকেশ্বর ও রূপনারায়ণের জল ঢুকে খানাকুলের ১ ও ২ ব্লকের ২৪টির মধ্যে ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। বহু মাটির বাড়ি জল ঢুকে পড়ে গেছে (Flood In Bengal)। বহু পাকা বাড়িতেও জল ঢুকে পড়েছে। এলাকায় পানীয় জলের কলগুলি বন্যার জলে ডুবে গিয়ে চরম সমস্যা দেখা দিয়েছে। হাজার হাজার একর চাষের জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। বহু মানুষ নিচু এলাকা ছেড়ে অন্যত্র উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন, কেউ রয়েছেন বাড়ির ছাদে, কেউ আবার ত্রাণ শিবিরে। এখনও জল যেভাবে বাড়ছে, বড়সড় বন্যার আশঙ্কা করছেন খানাকুলের বন্যাদুর্গত মানুষ।

    ত্রাণ মিলছে না (Flood In Bengal)

    মানুষের অভিযোগ, গত তিনদিন ধরে তাঁরা জলযন্ত্রণায় ভুগছেন। অথচ প্রশাসনের দেখা নেই। এমনকি জনপ্রতিনিধিদেরও সেভাবে দেখা পাওয়া যায়নি। অনেকেই জলবন্দি হয়ে পড়েছেন বাড়ির মধ্যে। তাঁদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত ত্রাণ পাচ্ছেন না। ফলে পানীয় জল ও বাচ্চাদের খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে। এমনকি রাস্তাঘাট ডুবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় তাঁদের নৌকাই একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে এলাকায় কোনও নৌকাও এসে পৌঁছায়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। প্রশাসনকে বললেও কোনও কাজ হচ্ছে না। তাঁদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি। অসহায় ভাবে দিন কাটাচ্ছেন খানাকুলের বিভিন্ন এলাকার মানুষজন। জলযন্ত্রণায় (Flood In Bengal) ভুগছেন বানভাসি সাধারণ মানুষ।

    অপরূপাকে ঘিরে ক্ষোভ (Flood In Bengal)

    বৃহস্পতিবার সেই বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। অভিযোগ, সেখানে গিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় সাংসদকে। দুপুরে খানাকুলের সুলুট গ্রামে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই এলাকাবাসী তাঁদের বিভিন্ন দাবিদাওয়াকে সামনে রেখে ক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। যদিও বানভাসি মানুষদের ক্ষোভের মুখে পড়ে অপরূপা দাবি করেন, বাড়ির টাকা আনতেই দিল্লিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। বিজেপি নেতারা দিল্লি গিয়ে বলে আসছে টাকা দিতে হবে না, দাবি সাংসদের। আর এই বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও অপরূপা বলেন, বিজেপি নেতারা ডিভিসিকে বলে জল ছাড়ছে। সে কারণেই খানাকুল ডুবছে (Flood In Bengal)। বিক্ষোভের দাবি উড়িয়ে অপরূপা পোদ্দার বলেন, “কোনও বিক্ষোভই নেই। বিজেপির বিধায়করা তো ভোটের সময় আসেন, মানুষের বিপদে তো আসেন না। আমরা সবসময় মানুষের পাশেই থাকি।

    সাংসদ তো আসেনই না, তোপ বিজেপির

    খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, “আরামবাগের সাংসদ তো এলাকায় আসেনই না। খানাকুলের কী পরিস্থিতি উনি তো জানেনই না। উনি আসতেই মানুষ তাঁদের বহুদিনের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। ঠাকুরানিচক, ঘোষপুর, কিশোরপুর-১, কিশোরপুর-২ প্রভৃতি এলাকায় মানুষ ত্রাণ (Flood In Bengal) পাচ্ছেন না। পঞ্চায়েত প্রধানরা ফিরিয়ে দিচ্ছেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SandeshKhali Incident: সন্দেশখালিতে ‘১৭৪ ধারা’! স্থানীয় অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরতের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়

    SandeshKhali Incident: সন্দেশখালিতে ‘১৭৪ ধারা’! স্থানীয় অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরতের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক মাস ধরে জ্বলছে সন্দেশখালি (SandeshKhali Incident)। শাসকদলের নেতাদের অত্যাচারে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে। বাধ্য হয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মানুষগুলো প্রতিবাদ করতে শুরু করেছে। সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। কলকাতা ছাড়িয়ে সন্দশখালির আঁচ পৌঁছেছে দিল্লিতেও। তবু এতদিন সন্দেশখালি নিয়ে এক কথায় নিশ্চুপ ছিলেন সেখানকার সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহান (Actress MP Nusrat Jahan)। অবশেষে তিনি মুখ খুললেন। কিন্তু কী বললেন তিনি! মঙ্গলবার সন্দেশখালি নিয়ে একটি সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে নুসরতের মন্তব্য— সন্দেশখালিতে ‘১৭৪ ধারা’ জারি আছে!  ইতিমধ্যে নুসরতের ওই মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তৈরি হয়েছে মিম!

    নুসরতের মন্তব্য

    বসিরহাটের সাংসদ নুসরতের (Actress MP Nusrat Jahan) সংসদ এলাকার মধ্যেই পড়ে সন্দেশখালি (SandeshKhali Incident)। ইতিমধ্য়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে কেন্দ্রের মহিলা ও শিশু সুরক্ষা কমিশন, এমনকী রাজ্যপালও ঘুরে গিয়েছেন। এলাকার সাংসদ হিসেবে নুসরত অবশ্য তপ্ত এলাকায় এখনও যাননি। কেন? মঙ্গলবার সাংসদের কাছে এই প্রশ্নটি করে একটি সংবাদমাধ্যম। সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়েই নুসরত বলেন, “আমি বুঝতে পারছি না আমার এলাকায় না যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে কেন। আমি সব সময় দলের নির্দেশ মেনে চলি। রাজ্য সরকার প্রতিদিন সাহায্য পাঠাচ্ছে সন্দেশখালির স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে। যা যা দরকার তাই করা হচ্ছে। এলাকায় শান্তি ফেরাতে রাজ্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে। সেখানে ১৭৪ ধারা জারি আছে। আমি গেলে সঙ্গে আরও অনেকে যাবে, সেটা আইনশৃঙ্খলা বিরোধী হবে। তাই আমাদের সকলের উচিত প্রশাসনের উপর আস্থা রাখা। আমি এমন কিছু করব না যা আইন শৃঙ্খলার বিরোধী হয়। মনে রাখবেন আমরা আইন শৃঙ্খলার ওপরে নই।”

    বিতর্কের ঝড়

    নুসরতের এই মন্তব্য মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াই ভাইরাল হয়ে যায়। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ঠাট্টা-তামাসা। নিজেদের এক্স হ্যান্ডলে শাসক দলের সাংসদের এই মন্তব্য পোস্ট করতে দেরি করেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও। সাংসদ হয়েও রাজ্য রাজনীতি নিয়ে কেন এত উদাসীন নুসরত? প্রশ্ন আদতে সন্দেশখালিতে কী চলছে তা কি তিনি জানেন? নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নুসরতকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা লেখেন, ‘‘এত পড়াশোনা করলাম, পিএইচডি করলাম, কিন্তু ‘১৭৪ ধারা’ টা আজও আমার কাছে অজানাই রয়ে গেল!’’ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ফ্ল্যাট কেলেঙ্কারি মামলায় এবার ইডির তলব নুসরতকে, আরও বিপাকে তৃণমূল

    ED: ফ্ল্যাট কেলেঙ্কারি মামলায় এবার ইডির তলব নুসরতকে, আরও বিপাকে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বসিরহাটের সাংসদ তৃণমূলের (TMC) নুসরত জাহানকে তলব করল ইডি (ED)। ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার মামলায় তৃণমূলের এই নেত্রীকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আগামী মঙ্গলবার হাজির হতে বলা হয়েছে তাঁকে। নুসরতের সঙ্গে সঙ্গে তলব করা হয়েছে সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচারের আর এক ডিরেক্টর রাকেশ সিংহকেও। তাঁকেও হাজিরা দিতে হবে মঙ্গলবার।

    প্রতারণার অভিযোগ

    প্রবীণ নাগরিকদের ফ্ল্যাট বিক্রি করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচারের বিরুদ্ধে। ২০১৪-’১৫ সালে ৪০০-রও বেশি প্রবীণ নাগরিক ওই সংস্থায় সাড়ে ৫ লক্ষ করে টাকা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তাঁদের প্রত্যেককে এক হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট দেওয়া হবে। অভিযোগ, তাঁরা ফ্ল্যাট পাননি, ফেরত পাননি টাকাও। ইডি সূত্রে খবর, সংস্থার বিরুদ্ধে যখন প্রতারণার অভিযোগ ওঠে, তখন অন্যতম ডিরেক্টর পদে ছিলেন তৃণমূল নেত্রী নুসরত। সেই কারণেই নুসরতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। ইডির তরফে এ নিয়ে পৃথক একটি ইসিআইআর (ECIR) দায়ের করা হতে পারে।

    আত্মবিশ্বাসী ছিলেন নুসরত

    নুসরতের বিরুদ্ধে আদালতে দায়ের হয়েছিল মামলা। বিজেপির অভিযোগ, শমন পেয়েও হাজিরা দেননি তৃণমূলের তারকা নেত্রী। প্রতারণার টাকায় নুসরত পাম অ্যাভেনিউয়ে ফ্ল্যাট কেনেন বলেও অভিযোগ। ফ্ল্যাট বিক্রি নিয়ে প্রতারণার এই মামলায় ইডি (ED) তাঁকে ডাকবে না বলেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন নুসরত। এক পার্টিতে অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের পাশে দাঁড়িয়ে সে কথা জোর দিয়ে জানিয়েওছিলেন তৃণমূল নেত্রী। নিয়োগ কেলেঙ্কারির একটি মামলার সূত্রে এর আগে যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে কিছু দিন আগে তলব করেছিল ইডি। এবার ডাক পড়ল তৃণমূলের আরও এক নেত্রীর। যার জেরে যথেষ্ট বিব্রত রাজ্যের শাসক দল।

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীর ‘এক দেশ এক নির্বাচন’-এর সুরে গলা মেলালেন পিকেও, এ কীসের ইঙ্গিত?

    অভিযোগ ওঠার পরে পরেই সাংবাদিক সম্মেলনে নুসরত বলেছিলেন, “আমি দুর্নীতির সঙ্গে কোনওভাবেই জড়িত নই। বলা হচ্ছে, আমি দুর্নীতির টাকা নিয়ে নিজের বাড়ি কিনেছি, এই অভিযোগ মিথ্যে। আমি ওই সংস্থা থেকে একটি ঋণ নিয়েছিলাম। সুদ সমেত সেই ঋণ শোধ করে দিয়েছি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • West Bengal Health: “এভাবে চলতে পারে না”! হাসপাতাল নিয়ে মদনের মতোই বেজায় চটেছেন শতাব্দী রায়

    West Bengal Health: “এভাবে চলতে পারে না”! হাসপাতাল নিয়ে মদনের মতোই বেজায় চটেছেন শতাব্দী রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মদন মিত্রের সুরে এবার হাসপাতালে (West Bengal Health) দালাল চক্রের অভিযোগ তুললেন দলেরই দুই সাংসদ এবং বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার। এনিয়ে সতর্ক করা হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককেও। সিসিটিভি দেখে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা। মাস দুয়েকের মধ্যে এনিয়ে ফের পর্যালোচনা বৈঠকে জবাব দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কী বললেন শতাব্দী রায়? কেনই বা বললেন? 

    প্রসঙ্গত, ধীরে ধীরে নতুন পালক লেগেছে রামপুরহাট হাসপাতালের (West Bengal Health) মাথায়। এক সময়ের রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতাল সুপার স্পেশালিটি থেকে স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতাল হয়ে এখন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু পরিষেবা সেই তলানিতে। আজও রোগীদের বদলি করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কিংবা স্থানীয় কোনও নার্সিং হোমে। অভিযোগ, এক শ্রেণির দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন রোগীর আত্মীয়রা। এনিয়ে একাধিক অভিযোগ পেয়েছেন সাংসদ থেকে বিধায়ক। সেই সমস্ত পাহাড় প্রমাণ অভিযোগ নিয়ে রবিবার রামপুরহাটের নিশ্চিন্তপুরে তারাবিতান গেস্ট হাউসের সভাকক্ষে বৈঠকে বসেন বীরভূম এবং বোলপুরের সাংসদ শতাব্দী রায়, অসিত মাল, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা শাসক বিধান রায় সহ স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। সেখানেই দালাল রাজ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। শতাব্দী রায় অভিযোগ করেন, একজন রোগীর জন্য তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার ফোন করেছিলেন। কিন্তু কোনও সদুত্তর পাননি। বাধ্য হয়ে রোগীকে নার্সিং হোমে ভর্তি করতে হয়। তিনি বলেন, “আমরা জনপ্রতিনিধি হয়ে যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কীভাবে পরিষেবা পাবে। এভাবে চলতে পারে না। আরও কিছু অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে আলোচনা হয়েছে।”

    কী বললেন তৃণমূলের আর এক সাংসদ অসিত মাল?

    সাংসদ অসিত মাল বলেন, “হাসপাতালের কিছু চিকিৎসকের সঙ্গে অসাধু কর্মী এবং দালাল চক্র রোগীদের নার্সিংহোমে যেতে বাধ্য করে। হাসপাতালে (West Bengal Health) উন্নত পরিষেবা থাকা সত্ত্বেও বাইরে থেকে এক্স রে, ইউএসজি সহ বিভিন্ন পরীক্ষা করতে বাধ্য করছে দালাল চক্র। এছাড়া রোগীদের সঙ্গে নার্সিং স্টাফদের দুর্ব্যবহার বন্ধ হওয়া দরকার। দুপুরে ভর্তি হওয়া রোগীকে একদিন পর কেন চিকিৎসক দেখবেন?” এছাড়াও জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র দ্রুত দেওয়ার দাবি জানান অসিতবাবু। এতদিন হাসপাতালের সামনে জল জমা নিয়ে সরব হয়েছিলেন রোগীর আত্মীয়রা। এবার এনিয়ে অভিযোগ তুললেন খোদ সাংসদ অসিত মাল। তিনি বলেন, “অবিলম্বে হাসপাতালের সামনে জল জমা বন্ধ করতে হবে”।

    নজর দেওয়ার চেষ্টা হবে, মিলল শুধু আশ্বাস

    দালাল চক্রের কথা মেনে নেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী অনেক উন্নয়ন করেছেন। কিছু ত্রুটি রয়েছে। তা সংশোধনের চেষ্টা চলছে”। জেলা শাসক বিধান রায় বলেন, “কিছু অভিযোগ (West Bengal Health) উঠেছে। সেগুলি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। আগামী দিনে যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে, সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বলা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share