Tag: TMC Violence

TMC Violence

  • PM Modi in Bengal: ২ দিনের বঙ্গ-সফরে মোদি, সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস সহ রয়েছে জোড়া সভা

    PM Modi in Bengal: ২ দিনের বঙ্গ-সফরে মোদি, সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস সহ রয়েছে জোড়া সভা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারই দু’দিনের বঙ্গ সফরে রাজ্যে পা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Bengal)। দুপুরে হুগলির আরামবাগের সরকারি মঞ্চ থেকে ২২ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন মোদি। এর পাশাপাশি রঘুনাথপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী৷ রেল, সড়ক, হলদিয়া-বারাউনি তেলের পাইপ লাইন-সহ বাংলার জন্য একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি।

    মোদির বঙ্গ সফরেই বাজতে চলেছে লোকসভা ভোটের দামামা, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। রাজ্য জুড়ে দুর্নীতি-সন্ত্রাস ইস্যুতে বেশ ব্যাকফুটে রয়েছে শাসক দল। এই আবহে প্রধানমন্ত্রীর সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ইতিমধ্যেই বাংলায় ৪২ টি আসনের মধ্যে ৩৫ টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন অমিত শাহ। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরামবাগে বিজেপির জনসভা মঞ্চ থেকে কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। 

    প্রধানমন্ত্রীর ২ দিনের কর্মসূচি

    কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচিও প্রকাশ করেছে। সূচি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী ১মার্চ আরামবাগে ও ২ মার্চ কৃষ্ণনগরে সভা করবেন। রাত্রিবাস করবেন রাজভবনে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত সফরসূচি অনুযায়ী, ১ মার্চ সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে বিশেষ বিমানে দিল্লি থেকে দুর্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হবেন মোদি (PM Modi in Bengal)। বেলা ১০টা ১০ মিনিটে দুর্গাপুর বিমানবন্দরে নামবেন তিনি। সকাল সওয়া ১০টায় হেলিকপ্টারে চেপে রওনা দেবেন ঝাড়খণ্ডের উদ্দেশে। সেখানে কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। কর্মসূচি সেরে বেলা পৌনে ২টোয় ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ হেলিপ্যাড থেকে কপ্টারে চেপে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর ২টো ৫০ মিনিটে তাঁর পৌঁছানোর কথা আরামবাগ হেলিপ্যাডে। দুপুর ২টো ৫৫ মিনিটে আরামবাগ হেলিপ্যাড থেকে সড়কপথে যাবে তাঁর কনভয়। ৩টের সময় পৌঁছবেন আরামবাগের সরকারি অনুষ্ঠানস্থলে। জানা গিয়েছে, সেখানে আধঘণ্টার সেই অনুষ্ঠানে বেশ কিছু প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ৩টে ৩৫ মিনিটে জনসভার জন্য সড়কপথে রওনা দেবেন মোদি। ৩টে ৪০ মিনিটে তাঁর পৌঁছানোর কথা জনসভার মঞ্চে। সেখানে পৌনে ৪টে থেকে সাড়ে ৪টে পর্যন্ত সভা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi in Bengal)। বিকেল পৌনে ৫টায় কপ্টারে চড়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি। সাড়ে ৫টায় তাঁর পৌঁছানোর কথা রাজভবনে। এদিন সেখানেই রাত্রিবাস করবেন তিনি। শনিবার ২ মার্চ সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে রাজভবন থেকে বের হবেন প্রধানমন্ত্রী। কৃষ্ণনগরের পৌঁছবেন ১০টা ২০ মিনিটে। এরপর আধঘণ্টার অনুষ্ঠানে বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন তিনি। তাঁর জনসভা রয়েছে ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত। এরপর কপ্টারে চড়ে যাবেন পানাগড়ে। ১টা নাগাদ পানাগড় বিমানবন্দর থেকেই বিহারের গয়ার উদ্দেশে উড়ানে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী।

    মোদি ম্যাজিকের অপেক্ষায় বঙ্গ বিজেপি

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “প্রধানমন্ত্রী (PM Modi in Bengal) আসছেন। উনি রাত্রিবাসও করবেন। ১ এবং ২ তারিখ এখানে সভা তাঁর। ১ তারিখ আরামবাগে সভা করবেন। দুপুর ৩টে থেকে সেই সভার সময় দেওয়া আছে। পরদিন সকালে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে সভা আছে প্রধানমন্ত্রীর। আমার কাছে যা খবর উনি আবার ৫ তারিখে আসবেন। কলকাতায় রাত্রিবাস করতে পারেন। ৬ তারিখ বারাসতে সভা।” গত লোকসভা নির্বাচনে আরামবাগ আসনটিতে তৃণমূল প্রার্থীর কাছে সামান্য কিছু ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন বিজেপি প্রার্থী। ৩৫টি আসনের যে টার্গেটকে সামনে রেখে এগোচ্ছে বঙ্গ বিজেপি, তার মধ্যে আরামবাগ আসনটিও রয়েছে। এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে সুকান্ত বলেন, “আগের বার অল্পের জন্য আরামবাগ ফস্কে গিয়েছে। এবার লক্ষাধিক ভোটে জিতে এই কেন্দ্র উপহার দেব নরেন্দ্র মোদিকে। শুক্রবার আপনারা দেখবেন ম্যাজিক কাকে বলে। এর নাম মোদি ম্যাজিক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘সিরিয়াতে যা হচ্ছে বাংলাতেও তাই হচ্ছে’’, দিল্লিতে জেএনইউ-র সেমিনারে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘সিরিয়াতে যা হচ্ছে বাংলাতেও তাই হচ্ছে’’, দিল্লিতে জেএনইউ-র সেমিনারে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার বর্তমান পরিস্থিতিকে সিরিয়া’র সঙ্গে তুলনা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার দিল্লিতে জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সেমিনারে যোগ দেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর সঙ্গে হাজির ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘সিরিয়াতে যা হচ্ছে বাংলাতেও তাই হচ্ছে।’’ এর পাশাপাশি তৃণমূলের সংগঠনকে হামাস জঙ্গিদের সঙ্গেও তুলনা করেন তিনি এবং বলেন, ‘‘হামাস যা করছে বাংলাতে তাই হচ্ছে।’’ মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ও দিদি নয়। দিদির নামের সঙ্গে এক মমতা জড়িয়ে, ওটা একটা মানবিক ব্যাপার। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুধু নিষ্ঠুরতা। আমি নন্দীগ্রামে ওনাকে হারিয়েছিলাম। তারপরে আমার বিরুদ্ধে তিনি ৪২টা কেস করেছেন। এতটাই নিষ্ঠুর মহিলা।’’

    ভোট পরবর্তী হিংসা

    বাংলার ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসাও এদিন জহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে তুলে ধরেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘১৫ রাজ্যে ভোট হয়েছে। কিন্তু, একটা রাজ্যেও ভোট পরবর্তী হিংসার কথা বলতে পারেন? শুধু বাংলায় হয়েছে। ভোট গণনাকেন্দ্র লুঠ করা হয়েছে। ৫৭ বিজেপি কর্মীকে রেজাল্ট বের হওয়ার পর নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। ১ লক্ষ হিন্দু, বিশেষ করে তফসিলি জাতি উপজাতির লোকেদের ঘর ছাড়তে হয়েছে। অসমে সর্বানন্দ সোনওয়াল তখন মুখ্যমন্ত্রী। উনি আশ্রয় শিবির দিয়েছিলেন। বিহার, ওড়িশায় পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়েছিল।’’

    একযোগে আক্রমণ সিপিএম-তৃণমূলকে

    জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্রদের কার্যকলাপ বরাবরই বিতর্ক টেনেছে। উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগও। হিন্দু সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছেন বামপন্থী ছাত্র নেতারা। জেএনইউ-তে দাঁড়িয়ে সিপিএম-তৃণমূলকে একযোগে আক্রমণ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এবং বলেন, ‘‘সিপিএম-তৃণমূলের সেটিং রয়েছে। ডিওয়াইএফআই-এসএফআই মমতাকে চোর বলতে বলে, আর ওদের কাকা-জ্যাঠা সীতারাম-ইয়েচুরি বেঙ্গালুরুতে, পাটনা, দিল্লিতে মমতা-অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক করে, খাওয়া-দাওয়া করে। সেটিং করে।’’

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?

    এদিন জেএনইউ-এর সেমিনারে বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার সন্দেশখালিকে দেশের মধ্যে অন্য দেশ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘‘অনেক আগে থেকেই সন্দেশখালিতে আসলে একটা দেশের মধ্যে অন্য একটা দেশ হয়ে গিয়েছিল। যেন দেশের মধ্যে অন্য একটা রাষ্ট্র।’’ সুকান্ত মজুমদারের আরও সংযোজন, ‘‘আমাদের দেশে গণতন্ত্র আছে। জেএনইউ সর্বদা গণতন্ত্রের কথা বলা হয়। জোর গলায় এখানে গণতন্ত্রের পক্ষে সওয়াল করা হয়। কিন্তু এই গণতন্ত্র কীরকম? এখানে কিছু পড়ুয়া আছে যাঁরা নিজেরাই নিজেদের লেফট-লিবারেল বলে দাবি করে। কিন্তু, চোদ্দো সালের আগে লেফট-লিবারেলদের কতটা গণতন্ত্র এখানে ছিল তা সবাই জানাই। কত ছাত্রদের কত সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। এরকমই একটা পরিবেশ সন্দেশখালিতে তৈরি করে রাখা হয়েছিল।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC Violence: মোষ তাড়ানোর মতো বিজেপি কর্মীদের লাঠিপেটা করার হুমকি, বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক

    TMC Violence: মোষ তাড়ানোর মতো বিজেপি কর্মীদের লাঠিপেটা করার হুমকি, বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের সন্ত্রাস চলছেই। কখনও বোমা-বারুদের দিয়ে কখনও বা ভাষা সন্ত্রাসের মাধ্যমে (TMC Violence)। এবার বিজেপি কর্মীদের মোষ তাড়ানোর মতো লাঠিপেটা করার নিদান দিতে শোনা গেল মালদা তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সীর গলায়। শুক্রবার বিকালে মালদা শহরে তৃণমূলের তরফে একটি বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কালো পোশাক পরে তাতে যোগ দেন তৃণমূল কর্মীরা। সেখানেই বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, “রেডি আছি আমরা। যেভাবে কোনও ধানের জমিতে মোষ ঢুকে গেলে, সেই মোষকে লাঠি (TMC Violence) দিয়ে তাড়াতে হয়, সেভাবে লাঠিপেটা করে এখান থেকে বিশ্বাসঘাতক বঙ্গ বিজেপিকে তাড়াব আমরা।”

    আক্রমণ প্রধানমন্ত্রীকেও!

    তবে এখানেই শেষ নয় সাংবিধানিকভাবে দেশের প্রধান, প্রধানমন্ত্রীকেও অত্যন্ত কুরুচিকর (TMC Violence) ভাষায় এদিন আক্রমণ করেন মালদা তৃণমূলের জেলা সভাপতি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিগত লোকসভা ভোট থেকেই মালদা জেলার পায়ের তলায় জমি হারিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই তাদের নেতারা বাজার গরম করা কথা বলে এবং কুরুচিকর মন্তব্য করে কর্মীদের উজ্জীবিত করতে চাইছেন। তবে এটাই নতুন বা প্রথম নয়, এর আগেও আব্দুর রহিম বক্সী তাঁর হুমকির কারণে বারবার থেকেছেন বিতর্কের কেন্দ্রে। একাধিকবার তাঁর গলায় হুঁশিয়ারি এবং হুমকি শোনা গিয়েছে বিরোধীদের উদ্দেশে। সম্প্রতি মালদা দক্ষিণের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর উদ্দেশ্যে তিনি জিভ টেনে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।

    গণতন্ত্র নেই রাজ্যে

    এধরনের ভাষা সন্ত্রাসই (TMC Violence) বলে দিচ্ছে রাজ্যের গণতন্ত্রের প্রকৃত চেহারা, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তৃণমূলের জেলা সভাপতির এহেন হুমকির পরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির মালদা জেলা সহ-সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “রাজনীতির ময়দান হোক বা অন্যক্ষেত্রে, সব জায়গাতেই তৃণমূলের অপসংস্কৃতি মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। কে কাকে তাড়াবে, সেটা সামনের ভোটেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। কুকথা বলা ও দুর্নীতি সবেতেই শিরোপা পেয়েছে তৃণমূল, এটা মানুষের কাছে ক্রমশ পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ! মালদায় ৪৪ শতাংশ আসনে নেই বিজেপি প্রার্থী

    Panchayat Vote: লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ! মালদায় ৪৪ শতাংশ আসনে নেই বিজেপি প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote) ঘোষণার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে হিংসা ছড়িয়েছে। ঝরেছে বেশ কয়েকটি তরতাজা প্রাণ। প্রতি ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় শাসক দল। শুক্রবারই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, ক্যানিং-১ ব্লকে কেন একজনও বিরোধী প্রার্থী পাওয়া গেল না? এনিয়ে হলফনামা জমা দিতেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একই চিত্র মালদা জেলাতে দেখা যাচ্ছে। সেখানকার জেলা পরিষদের ৪৩টি আসনেই প্রার্থী দিলেও গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় ৪৪ শতাংশ এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রায় ২৮ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারল না ভারতীয় জনতা পার্টি। এর জন্য অবশ্য শাসক দলের সন্ত্রাসকেই দায়ী করছেন উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু।

    কী বলছেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ?

    এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘‘সন্ত্রাসের কারণেই ৪৪ শতাংশ আসনে প্রার্থী দেওয়া যায়নি। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হতে চেয়ে অনেকেই আবেদন করেছিলেন আমাদের কাছে। তরুণ প্রজন্ম সব থেকে বেশি উৎসাহী ছিল। ভিড় লক্ষ্য করা গেছে মহিলাদেরও।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘বেশ কিছু জায়গায় সন্ত্রাস চালিয়ে ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছে তৃণমূল। তাই মালদা জেলা ভারতীয় জনতা পার্টি গ্রাম পঞ্চায়েত (Panchayat Vote) এবং পঞ্চায়েত সমিতির বহু জায়গায় প্রার্থী দিতে পারেনি।’’ প্রসঙ্গত, শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, কমিশনকে জানাতে হবে কেন ২০ হাজারেরও বেশি মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হল? মঙ্গলবার ২৭ জুন হাইকোর্টে এবিষয়ে  হলফনামাও জমা দিতে হবে কমিশনকে। বিরোধীদের তোলা অভিযোগে এভাবেই সিলমোহর দিতে দেখা গেল মহামান্য হাইকোর্টকে।

    মালদার চিত্র

    মালদা জেলা পরিষদের ৪৩ আসনের ৬ জন সংখ্যালঘু প্রার্থী সহ সব আসনেই ভারতীয় জনতা পার্টি প্রার্থী দিয়েছে। তবে গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩,২১৬ আসনের মধ্যে ১,৮১০ আসনে প্রার্থী দিলেও ১,৪০৬ আসন অর্থাৎ প্রায় ৪৪ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতির ৪৩৯ আসনের মধ্যে ৩১৭ আসনে প্রার্থী দিতে পারলেও ১২২ টি আসন অর্থাৎ প্রায় ২৮ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি মালদা জেলা ভারতীয় জনতা পার্টি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: বিজেপির দেওয়াল লিখন মোছার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    Panchayat Vote: বিজেপির দেওয়াল লিখন মোছার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বিজেপির দেওয়াল লিখন মুছে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার রায়দিঘিতে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব এনিয়ে আন্দোলন শুরু করেছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) ঘোষণা থেকেই চলছে বিতর্ক। বিজেপির অভিযোগ, শাসকদলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে কোনওরকম সর্বদলীয় বৈঠক না করেই রাজীব সিনহা ভোট ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে পঞ্চায়েতের মনোনয়ন ঘিরে অশান্তি ছড়ায় সারা রাজ্য জুড়ে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ আনে বিরোধীরা। ভাঙড়, ক্যানিং সহ একাধিক জায়গা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। এখনও পর্যন্ত সন্ত্রাসের বলি ৯ জন।

    ঠিক কী ঘটনা?

    জানা গিয়েছে, রায়দিঘি বিধানসভার খাঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বামুনের চক ১২৭ নং বুথের বিজেপি প্রার্থী বিভাস কাঞ্জির সমর্থনে দেওয়াল লেখেন দলের কর্মীরা। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে সেই দেওয়াল লিখন মুছে দেয় শাসক দল। এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা।

    আরও পড়ুন: শাসকদলের সন্ত্রাসে এক মাসের বাচ্চাকে কোলে নিয়ে ঘরছাড়া বিজেপি দম্পতি

    কী বলছেন বিজেপি প্রার্থী বিভাস কাঞ্জি?

    এই ঘটনায় বিভাস কাঞ্জি বলেন, ‘‘আমাদের দেওয়াল লিখনে কাদা লেপে দিয়ে যায় তৃণমূল। আমরা প্রশাসনকে পুরো বিষয়টা জানিয়েছি। ওই দেওয়ালে আমরা তৃণমূলের একাধিক দুর্নীতির কথা তুলে ধরেছিলাম। স্বাভাবিকভাবেই তা পছন্দ হয়নি শাসক দলের। তাই রাতের অন্ধকারে ওরা মুছে দেয় ওই দেওয়াল। শাসকদল এখানে সন্ত্রাস করে আমাদের দাবিয়ে রাখতে চাইছে। ’’    

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব?

    অভিযোগ অস্বীকার করে শাসকদলের বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেসের উন্নয়নের জেরে কোনও ইস্যু পাচ্ছে না। বিরোধীরা তাই নিজেরাই দেওয়ালে কাদা লাগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর দোষ চাপাতে চাইছে।

    আরও পড়ুন: বিজেপি প্রার্থীকে বাড়ি বয়ে হুমকি! সুকান্তর তাড়ায় চম্পট দিল শাসক দল

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: জলপাইগুড়িতে বিরোধীদের মনোনয়ন ছেঁড়ার অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে

    Panchayat Election: জলপাইগুড়িতে বিরোধীদের মনোনয়ন ছেঁড়ার অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) মনোনয়ন কেন্দ্রগুলিতে শাসক দলের সন্ত্রাস চলছেই। উত্তর থেকে দক্ষিণ চিত্রটা একই। এবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে অশান্তি দেখা গেল জলপাইগুড়িতে। শেষ দিনের মনোনয়ন ঘিরে সারাদিন চলল তৃণমূলের তাণ্ডব। কোথাও বিরোধীদের ঢুকতে দেওয়া হল না, তো কোথাও ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হল। কেউ কেউ আবার মনোনয়ন জমা দিতে বিডিও অফিসে ঢুকেছিলেন। কিন্তু অফিসের ভিতরেই মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

    পুলিশ ছিল নিষ্ক্রিয়, অভিযোগ বিরোধীদের

    বিরোধীদের অভিযোগ, এই সব কিছুই হয়েছে পুলিশের উপস্থিতিতে। কিন্তু পুলিশের ভূমিকা সদর্থক ছিল না। এই ধরনের ঘটনা আগে জলপাইগুড়িতে কখনও দেখা যায়নি বলে জানান মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসা প্রার্থীরা। পাহাড়পুর থেকে একজন মহিলা নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসেছিলেন। কিন্তু বিডিও অফিসের ১ কিলোমিটার আগেই তাঁকে আটকে তাঁর হাত থেকে নমিনেশন পেপার ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। একই ঘটনা ঘটে অপর এক মহিলা প্রার্থীর ক্ষেত্রেও। কোনও রকমে পালিয়ে বাঁচেন তিনি। অন্যদিকে মালকানির একজন বিজেপি প্রার্থী জলপাইগুড়ির বিডিও অফিসের ভিতরে মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময় হঠাৎই কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে তাঁর হাত থেকে মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নিয়ে তা ছিঁড়ে দেয় বলে অভিযোগ। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, যেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা আছে, সেখানে কীভাবে দুষ্কৃতীরা অফিস চত্বরে ঢুকে তাণ্ডব চালাতে পারে? একই ঘটনা ঘটেছে আরও বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার মনোনয়নের শেষ দিনে চার প্রার্থীর নমিনেশন পেপার ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দুই সিপিএম প্রার্থী, এক বিজেপি প্রার্থী ও এক নির্দল প্রার্থীর নমিনেশন ফর্ম ঘরে ঢুকে ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। এই সব অভিযোগই শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

    কী বলছেন শাসক দলের নেতা?

    যদিও শাসক দলের পক্ষ থেকে এ সমস্ত ঘটনার কথাই অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা তপন ব্যানার্জি বলেন, এমন ঘটনা ঘটলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এমন প্রতিশ্রুতি যে ফাঁকা আওয়াজ ছাড়া কিছু নয়, তা জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে শাসক দলের সন্ত্রাসই বলে দিচ্ছে। অন্যদিকে রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করেন আক্রান্ত সমস্ত প্রার্থীরাই। এর পরেই পুলিশ সেই প্রার্থীদের ফের বিডিও অফিসে ঢুকিয়ে পুনরায় নমিনেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Vote: রাজ্য পুলিশের কথায় যেন বিশ্বাস না করা হয়, কমিশনের কাছে দাবি বিজেপির

    Loksabha Vote: রাজ্য পুলিশের কথায় যেন বিশ্বাস না করা হয়, কমিশনের কাছে দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশের কথায় যেন বিশ্বাস না করে কমিশন, সোমবার এমনই দাবি জানাল রাজ্য বিজেপি। কমিশনের ফুল বেঞ্চের সামনে এই দাবি জানান বিজেপির প্রতিনিধিরা (Loksabha Vote)। আগেই ঠিক ছিল ৪ মার্চ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা বৈঠক করবেন রাজনৈতিক দলগুলি সঙ্গে। সেইমতো এদিন সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। বিজেপির তরফ থেকে বৈঠকে হাজির ছিলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্যজুড়ে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, ভোট পরবর্তী হিংসা এবং ভোটের দিন সন্ত্রাস- এই সমস্ত কিছুকেই তুলে ধরা হয়েছে কমিশনের সামনে।

    কী বললেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়?

    বিজেপির প্রতিনিধি জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, “সাধারণ মানুষ যাতে নির্ভয়ে ভোট (Loksabha Vote) দিতে পারে, আমরা তাই বলেছি।” জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির প্রসঙ্গও তোলা হয়েছে ফুল বেঞ্চের সামনে। জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, “২০২১, পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা দেখেছে সাধারণ মানুষ। শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারের ঘটনা প্রমাণ করেছে পুলিশ ক্রিমিনালদের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করাতে এসে যেন পর্যবেক্ষকরা নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করে।রাজ্য পুলিশের কথায় যেন তারা বিশ্বাস না করেন। তারা যেন বিরোধী দলের ইনপুট, নিজেদের ইনপুট -এর উপর ভরসা করে।”

    পুলিশের ওপর ভরসা না করতে আবেদন কমিশনকে 

    সোমবার সকাল সাড়ে ন’টা থেকে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে একের পর এক বৈঠক সারতে থাকে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা। নির্বাচন কমিশনের সামনে এক দফায় পশ্চিমবঙ্গে ভোট (Loksabha Vote) করানোর প্রস্তাব রাখে তৃণমূল কংগ্রেস। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। সারা দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি বাহিনী মোতায়েন করেছে কমিশন পশ্চিমবঙ্গে। এখানকার আইন-শৃঙ্খলার অবনতির কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। সেখানে সারা রাজ্যে এক দফায় ভোট করানোর দাবি একেবারেই অযৌক্তিক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এরিয়া ডমিনেশনের কাজে যেন লোকাল আইসিদের কথায় ভরসা না করে কমিশন, এমন আবেদনও করেছে বিজেপি। পাশাপাশি অবজারভারদের সঙ্গে আধা সেনার সমন্বয়ের কথাও বলা হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে ভুয়ো ভোটারদের কথাও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • RBI Kolkata: ২ হাজার টাকার নোট বদল ঘিরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে কংগ্রেস-তৃণমূল হাতাহাতি

    RBI Kolkata: ২ হাজার টাকার নোট বদল ঘিরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে কংগ্রেস-তৃণমূল হাতাহাতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সকালবেলায় কলকাতায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে লাইন দেওয়াকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে (RBI Kolkata)। হাতাহাতিতে পৌঁছয় পরিস্থিতি। ঘটনায় তৃণমূল এবং কংগ্রেসে উভয় পক্ষেরই একাধিক কর্মী আহত হয়েছেন এবং বেশ কিছু জনকে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় গোটা এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার লোকজন। ২ হাজার টাকার নোট বদলের লাইনে এমন সংঘর্ষ নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস ও শাসক দল। 

    শাসক দল তৃণমূলের অভিযোগ যে, কংগ্রেস কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠকের অনুগামীরাই প্রথমে হামলা চালিয়েছে এবং মেরে লাইন থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে তাদের। কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে ২০০ টাকা করে তোলাবাজি নেওয়ারও অভিযোগ তুলছে তৃণমূল। এই ঘটনার জেরে রাস্তা অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা। পরে অবশ্য পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন জেলা থেকে বহু মহিলা রিজার্ভ ব্যাঙ্কে এদিন আসেন ২ হাজার টাকার নোট বদল করতে। অনেকে তো আবার রাত থেকেও লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

    অভিযোগ অস্বীকার কংগ্রেসের

    অন্যদিকে, পাল্টা কংগ্রেসের দাবি, তৃণমূলের দলবল তাদের ওপর চড়াও হয়। কংগ্রেস কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক বলেন, ‘‘কারা টাকা চাইছে, কারা বদমায়েশি করছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই বোঝা যাবে। আজ সকালে দেড়-দু’শো মহিলা আমার বাড়িতে গিয়ে জানালেন, তাঁদের উপর ক্ষুর চালানো হয়েছে। আমি দেখলাম, দু’জনের শরীরে (RBI Kolkata) ক্ষত রয়েছে। আমি ওঁদের হাসপাতালে পাঠাই।’’ সংঘর্ষের পরেই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশের একটি দল। তৃণমূল কর্মীরা সন্তোষ পাঠকের অনুগামীদের বিরুদ্ধে তাদের ব্যাপক মারধরেরও অভিযোগ এনেছে।

    ব্যাহত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্বাভাবিক কাজকর্ম

    কংগ্রেস-তৃণমূলের এই সংঘর্ষে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাজকর্ম বিঘ্নিত হয়। এবং মূল দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কাউকে (RBI Kolkata) ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে গার্ড রেল, বাঁশ ইত্যাদির দ্বারা ব্যারিকেডও তৈরি করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত রয়েছে। দুই পক্ষই থানায় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC Violence: ‘‘ভারতবর্ষ গণতন্ত্রের পীঠস্থান, পশ্চিমবঙ্গকে বধ্যভূমি করেছেন মমতা’’, মত জেপি নাড্ডার

    TMC Violence: ‘‘ভারতবর্ষ গণতন্ত্রের পীঠস্থান, পশ্চিমবঙ্গকে বধ্যভূমি করেছেন মমতা’’, মত জেপি নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ঘটে চলা রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। শুক্রবার দিল্লিতে একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গে বেড়ে চলা নারী নির্যাতন এবং রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ওপর লেখা বই ‘ডেমোক্রেসি ইন কোমা’-এর উদ্বোধন করতে গিয়ে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘গণতন্ত্রের পীঠস্থান ভারতবর্ষে, পশ্চিমবঙ্গকে বধ্যভূমি করেছেন মমতা।’’ তাঁর ভাষণে উঠে আসে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ প্রসঙ্গও। ‘‘সন্ত্রাসের মুখোশ খুলেছে যে সিনেমা, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোন স্বার্থে বন্ধ করলেন?’’ সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। তাঁর মতে, বাংলার এই অবস্থার বদল একমাত্র বিজেপিই করতে পারে।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশ দ্বারও হল পশ্চিমবঙ্গ। তৃণমূল সরকারের আমলে প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে যেভাবে গরু পাচার, জাল নোটের কারবার সমেত দেশবিরোধী শক্তির গতিবিধি বাড়ছে, তাতে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন দিল্লি। বিজেপি সভাপতির আজকের বক্তব্য তারই প্রতিফলন বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। রাজনৈতিক সন্ত্রাসের (TMC Violence) পাশাপাশি দুর্নীতি ইস্যুতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দলকে বিঁধতে থাকেন তিনি। একশো দিনের কাজে তৃণমূলের চুরির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে।  এদিনের বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অমিত মালব্য, জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এম.এম কুমার সমেত অন্যান্যরা।   

    কী বললেন জেপি নাড্ডা?

    বিজেপির সভাপতি হওয়ার পরে দু’বার তাঁর ওপর হামলা হয়েছে এই পশ্চিমবঙ্গে। তৃণমূলে গুন্ডারা (TMC Violence) ভাঙচুর করে তাঁর গাড়িও। গোটা ঘটনার জন্য, মমতা এবং তাঁর ভাইপো অভিষেককে দায়ী করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি এদিন বলেন, ‘‘আমার কনভয়ে প্রথমে সেদিন বাস ঢুকিয়ে দেওয়া হল। স্বাভাবিকভাবেই এতে গোটা কনভয় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূলের গুন্ডারা এসে ভাঙচুর করতে থাকল গাড়িগুলি। কীভাবে পরিকল্পনা মাফিক হামলা চালাল। নিরাপত্তা পাওয়া একজন ব্যক্তির ওপর এমন হামলা হলে, সাধারণ মানুষের কী নিদারুণ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গে!’’

    নিজের ১৫ মিনিটের বক্তব্যে এদিন তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি তুলে ধরেন পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলিকে। তিনি বলেন, ‘‘ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে ১২৩টি ঘটনা ঘটেছে মহিলা নির্যাতনের। যার মধ্যে রয়েছে ১১টি ধর্ষণ। এমন ঘটনাও ঘটেছে যেখানে ধর্ষিতাকে তৃণমূলের গুন্ডারা (TMC Violence) হুমকি দিয়েছে যে অভিযোগ জানালে প্রাণ চলে যাবে।’’  তিনি দাবি করেন, রেকর্ড অনুযায়ী ৮০ হাজারের বেশি লোক ঘরছাড়া হয়েছিলেন, যারমধ্যে এখনও অনেকে ফিরতে পারেননি। ৫৭টি তরতাজা প্রাণ ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে তৃণমূল কেড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন জেপি নাড্ডা।

    তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়েও সরব নাড্ডা

    ‘‘১০০ দিনের কাজ সমেত প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাতে তৃণমূল দুর্নীতি করে, অথচ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে টাকা আটকানোর।’’ শুক্রবার দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে এভাবেই বিঁধলেন জেপি নাড্ডা। তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘গরীব, প্রান্তিক, খেটে খাওয়া মানুষদের কথা ভেবে মোদিজী চালু করেছিলেন আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প। অথচ পশ্চিমবঙ্গে তা কার্যকর হতে দিচ্ছেনা তৃণমূল সরকার।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share