Tag: tmc

tmc

  • Asansol: ইসিএলের জমিতে বাড়ি তৈরি করতেও টাকা নিচ্ছেন তৃণমূল কাউন্সিলার! সরব বিধায়ক

    Asansol: ইসিএলের জমিতে বাড়ি তৈরি করতেও টাকা নিচ্ছেন তৃণমূল কাউন্সিলার! সরব বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোল (Asansol) পুর নিগমের জামুরিয়া এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলার বৈশাখী বাউড়ি-র বিরুদ্ধে বাড়ি তৈরির অনুমতি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ। এলাকার মানুষ ওই কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিংয়ের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Asansol)

    আসানসোল (Asansol) পৌর নিগমের জামুরিয়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার বৈশাখী বাউড়ির বিরুদ্ধে স্থানীয়রা অভিযোগ আনেন, এলাকায় ইসিএল এর জমিতে বাড়ি তৈরির জন্য অনুমতি দেওয়ার নাম করে টাকা দাবি করছেন স্থানীয় কাউন্সিলার। দলীয় একটি কর্মসূচিতে এলাকার তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিংকে সামনে পেয়ে এই অভিযোগ জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। বিধায়ক হরেরাম সিং স্থানীয়দের কাছে এই অভিযোগ শোনার পরে স্থানীয়দেরকে লিখিত অভিযোগ করার নিদান দেন বিধায়ক হরেরাম সিং। এই ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হতে দেখা গেছে ( ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। তাতে বিধায়ক হরেরাম সিং বলেন,  ইসিএলের জমিতে বাড়ি তৈরি করতে কাউকে কোনও টাকা দিতে হবে না। কাউন্সিলার আপনাদের ভোটে জয়ী হয়েছেন। এখন এলাকায় গুন্ডাগিরি করে টাকা চাইছেন, কোনও টাকা দেবেন না। যারা কাউন্সিলারকে টাকা দিয়েছেন, তারা অভিযোগ জানান, আমি থানায় এফআইআর করব।

    অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলার কী সাফাই দিলেন?

    অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলার বৈশাখী বাউড়ি বলেন, আসানসোল (Asansol) পৌরসভা থেকে নির্দেশ রয়েছে যদি এলাকায় কোন অবৈধভাবে বাড়ি নির্মাণ হয় তার খবর পৌরসভায় পৌঁছে দিতে হবে। আমরা কাউন্সিলার হিসাবে সেই কাজ করেছি। কোনও টাকা পয়সা চাইনি। ওরা আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলা সভাপতি বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল দলটি কাটমানি আর গোষ্ঠী কোন্দলে ভরে গিয়েছে। মানুষ ওদের ভোট দিয়ে এখন বুঝতে পারছে। মানুষের ক্ষোভ সামাল দিতে তৃণমূলের নেতারা এখন নাটক করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ‘দলের ব্লক সভাপতি লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতি করেছে’, অভিযোগ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির

    Murshidabad: ‘দলের ব্লক সভাপতি লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতি করেছে’, অভিযোগ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত অফিসের সামনে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির নেতৃত্বে গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকজন সদস্য এবং তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন। পঞ্চায়েত অফিসের স্থান পরিবর্তন করা নিয়ে এবার প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। পঞ্চায়েত অফিসের সামনে প্রধানের বিরুদ্ধে তুমুল বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার ভরতপুরের তালগ্রাম পঞ্চায়েতে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুর ব্লকের দেচাপড়া গ্রাম থেকে তালগ্রাম পঞ্চায়েত অফিস সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ওই গ্রাম থেকে ৫ কিলোমিটার দূরের গয়সাবাদ গ্রামে। মূলত অভিযোগ, পঞ্চায়েতের নতুন ভবন তৈরির জন্য কোনও টাকা বরাদ্দ করা হয়নি সরকারিভাবে। সরকারি কাজের জন্য বরাদ্দ টাকা ব্যয় করে নতুন ভবন করা হচ্ছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধেই ওই পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির নেতৃত্বে কিছু পঞ্চায়েত সদস্য এবং তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতৃত্ব। যদিও পরে ভরতপুর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তালগ্রামের প্রধান। পঞ্চায়েত অফিসের স্থান পরিবর্তন নিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের মুর্শিদাবাদে ঘাসফুল শিবিরের কোন্দল প্রকাশ্যে।

    তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কী বললেন?

    তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, ১৯৭৫ সাল থেকে পঞ্চায়েতটি দেচাপড়া গ্রামে রয়েছে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি এই পঞ্চায়েতে নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতি করেছেন। এখন পঞ্চায়েতটি নিজের বাড়ির কাছে নিয়ে গিয়ে আরও বেশি করে দুর্নীতি করতে চাইছেন। আমরা এসব করতে দেব না। তাই, এদিন বিক্ষোভ দেখিয়েছি। দলীয় নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

    তালগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কী বললেন?

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) তালগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মমতাজ বিবি বলেন, আমাদের ২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছে। এরমধ্যে ১৯ জন সদস্য পঞ্চায়েত ভবন সরানোর পক্ষে রায় দিয়েছেন। কারণ, গয়সাবাদটি এই পঞ্চায়েত এলাকার মাঝে অবস্থিত। আর দেচাপড়া এককোণের একটি জায়গা। তাই, সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের মত নিয়ে আমরা ভবন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, পঞ্চায়েতটি গয়সাবাদে হলে ১৩টি গ্রামের ২০ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন। অধিকাংশ জনপ্রতিনিধির মত নিয়ে করা হচ্ছে। আর আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: বিজেপির ধর্নাকেও ভয়! বিধায়ককে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেল পুলিশ, কেন জানেন?

    Siliguri: বিজেপির ধর্নাকেও ভয়! বিধায়ককে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেল পুলিশ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ির বিধায়ক বিজেপির শঙ্কর ঘোষকে টেনে হিঁচড়ে থানায় নিয়ে গেল পুলিশ। এই ঘটনায় এদিন সন্ধ্যায় শিলিগুড়িতে (Siliguri) রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিধায়কের নিশর্ত মুক্তির দাবিতে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব ও কার্যকর্তারা শিলিগুড়ি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান।

    কেন পুলিশের এই পদক্ষেপ? (Siliguri)  

    ১২ডিসেম্বর, মঙ্গলবার কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক আগেই ঘোষণা হয়েছে। এজন্য গত ৪ ডিসেম্বর থেকে কাঞ্চনজঙ্গা স্টেডিয়ামে শিলিগুড়ি (Siliguri) ফুটবল লিগ স্থগিত রাখা হয়েছে। মাঠ খুড়ে তৈরি হয়েছে সভামঞ্চ। খেলা বন্ধ করে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক করার  প্রথম থেকেই প্রতিবাদে সরব হন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তার প্রতিবাদে প্রশাসনের তরফে কোনও সাড়া না মেলায় তিনি সিদ্ধান্ত নেন সোমবার বিকেল চারটা থেকে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার শেষ পর্যন্ত তিনি হাশমি চক এলাকায় ধর্নায় বসেন। সেই মতো বিজেপি বিধায়ক ও তাঁর সমর্থকরা প্লাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের উঠিয়ে দেন। পরে, বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ধর্নাস্থল গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন, সেই সময় বিধায়ক ও তাঁর সমর্থকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে পুলিশের। এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে বিজেপি বিধায়কের অনুগামীদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তার প্রতিবাদে শঙ্কর ঘোষ রাস্তায় বসে পড়লে পুলিশ তাঁকে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যায়।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি বিধায়ক?

    বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম খেলার মাঠ। সেখানে খেলা হবে।  কিন্তু খেলা বন্ধ করে দিয়ে সেখানে বার বার রাজনৈতিক সভা ও বাণিজ্যিক জলসা করা হচ্ছে। প্রতিবাদ করেও কাজ হয়নি। তাই এদিন শিলিগুড়ির (Siliguri) প্রাণ কেন্দ্র হাসমি চকে বিক্ষোভ অবস্থানে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী গণতন্ত্রকে হত্যা করে পুলিশকে দলদাসে পরিণত করেছে। এবার খেলাকে ধ্বংস করতে নেমেছেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: আবাস যোজনায় বাড়ি পিছু তৃণমূল নেতাদের দাবি ১০ হাজার টাকা! অভিযোগ শুনল কেন্দ্রীয় টিম

    Birbhum: আবাস যোজনায় বাড়ি পিছু তৃণমূল নেতাদের দাবি ১০ হাজার টাকা! অভিযোগ শুনল কেন্দ্রীয় টিম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাস যোজনার দুর্নীতির তদন্ত করতে রাজ্যের একাধিক জেলায় পরিদর্শনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বীরভূম জেলায় গত কয়েকদিন ধরেই রয়েছে এই টিম। রবিবার বীরভূমের (Birbhum) বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের সিয়ান মুলুক গ্রাম পঞ্চায়েতের ডিহিপাড়া এলাকা পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় টিমের সদস্যরা। পরিদর্শনে গিয়ে আবাস যোজনার বাড়ি করা নিয়ে নানা অভিযোগ শুনলেন তাঁরা।

    দিতে হয়েছে তৃণমূল নেতাদের টাকা (Birbhum)

    শনিবার বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি থেকে কেন্দ্রীয় দলটি বোলপুরে ফিরে আসে। এরপর দুই সদস্যের দল ডিহিপাড়ায় যায়। ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ ও ২০২১-২২-এই তিন অর্থবর্ষে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তৈরি হওয়া বাড়িগুলি কাদের নামে এসেছিল, প্রাপকেরা সেই বাড়ি পেয়েছেন কি না, গ্রামবাসীরা বাড়ি তৈরির সম্পূর্ণ অর্থ পেয়েছেন কি না, বাড়িতে শৌচালায় আছে কি না, তা করে দিতে কোনও টাকা দিতে হয়েছে কি না-এমন নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে থাকেন কেন্দ্রীয় টিমের সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের বিডিও সত্যজিৎ বিশ্বাস, বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নোডাল অফিসার তন্ময় পালিত-সহ বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকেরা। এখানেই গ্রামবাসীদের একাংশ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের কাছে আবাস যোজনার বাড়ি না-পাওয়ার অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে জানান, আবাস যোজনার বাড়ি করার সময়ে এলাকায় তৃণমূল নেতাদের টাকা দিতে হয়েছে। টাকার পরিমাণও তাঁরা বলে দেন। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, আবাস যোজনা বাড়ি পাওয়ার জন্য প্রায় তাঁদের বাড়ি পিছু ১০,০০০ টাকা করে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দিতে হয়েছে। এক উপভোক্তা বলেন, টাকা না দিলে বাড়ি হবে না বলেছিল। তাই বাধ্য হয়ে তখন আমরা বাড়ির জন্য টাকা দিয়েছি। এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে আমরা জানিয়েছি। জানা গিয়েছে, এর পর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলটি বাহিরি পাঁচশোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট শিমুলিয়া গ্রামটিও পরিদর্শন করেন।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    সিয়ান মুলুক এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শেখ আনউয়ারুল ইসলাম বলেন, আমি কিছু দিন আগে অঞ্চল সভাপতি দায়িত্বে এসেছি। আগে কী হয়েছে বলতে পারব না। তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমা জানা নেই। তবে সত্যিই যদি এমন অভিযোগ থেকে থাকে তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, গ্রামবাসীরা বাস্তবটাই তুলে ধরেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের কাছে। কারণ, তৃণমূল টাকা ছাড়া কোনও কাজই করে না। এটাই তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: চক্ষুশূল বিজেপির ‘বিকশিত ভারত’ রথযাত্রাও, হামলা চালিয়ে লন্ডভন্ড করে দিল তৃণমূল!

    Cooch Behar: চক্ষুশূল বিজেপির ‘বিকশিত ভারত’ রথযাত্রাও, হামলা চালিয়ে লন্ডভন্ড করে দিল তৃণমূল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের বার্তা দিতে বিজেপি-র উদ্যোগে তৈরি “বিকশিত ভারত” নামে একটি সুসজ্জিত রথ আটকে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার (Cooch Behar) এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Cooch Behar)

    কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের বার্তা দিতে সোমবার থেকে কোচবিহার (Cooch Behar) জেলা জুড়ে এই রথ ঘুরবে বলে ঠিক ছিল। কিন্তু, সেই সুসজ্জিত রথ যখন কোচবিহারের নিউ কোচবিহার রেলওয়ে স্টেশনের সামনে আসে। ঠিক সেই মুহূর্তে তৃণমূল নেতৃত্ব সেই রথ আটকে দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। শুধু আন্দোলনই নয় তারা সেই গাড়ির ফেস্টুন ছিড়ে দেয় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ফেষ্টুনে কালি পর্যন্ত ছিটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। গাড়ি আটতে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    রথযাত্রা করতে দেব না, হঁশিয়ারি তৃণমূল নেতৃত্বের

    এই বিষয়ে হামলাকারী তৃণমূলের জেলা সভাপতি অরুপ দে ভৌমিক বলেন, কেন্দ্র সরকার যখন ভারতের আবাস যোজনার টাকা, ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে না, সাধারণ মানুষ তাদের প্রাপ্য টাকা না পেয়ে দিনের পর দিন কষ্টের সম্মুখীন হচ্ছেন। অথচ আগামী ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে সাধারণ মানুষের কাছে তারা নতুন করে ভুল বোঝাতে এই রথ যাত্রার শুভ সূচনা করতে চাইছেন। মানুষ তা মেনে নেবে না। এই জেলায় এই ধরনের কর্মসূচি করা চলবে না। আমরা রাস্তায় নেমে আন্দেলন করছি। আগামীদিনেও করব।

     তৃণমূলীদের বাধা আমরা মানব না, সরব বিজেপির জেলা সভাপতি

    বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, মোদি সরকার যে উন্নয়ন সেটা মানুষ জানলে তৃণমূলকে আর কেউ ভোট দেবেনা। তৃণমূলের দুর্নীতি এখন মানুষের মুখে মুখে। এরপর তিনি বলেন, আমরা জানি সারা ভারতবর্ষ জুড়ে কেন্দ্র সরকার উন্নয়নের যে প্রচার চলছে তার যে পারমিশন রয়েছে, সেই পারমিশনই চলবে। কিন্তু লোকাল থানা থেকে বলছে তাদেরও পারমিশন নিতে হবে। আমরা এই রথ যাত্রা করব, তৃণমূলীদের বাধা আমরা মানব না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: কষ্টের পয়সায় বাড়ি করবেন, তাতেও লাগবে তৃণমূলের অনুমতি! না হলে খুনের হুমকি?

    Asansol: কষ্টের পয়সায় বাড়ি করবেন, তাতেও লাগবে তৃণমূলের অনুমতি! না হলে খুনের হুমকি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকা খরচ করে নিজের বাড়ি তৈরি করবেন। আর তার জন্য তৃণমূলের অনুমতি নিতে হবে। আসানসোলের (Asansol) ফতেপুরের এলাকাবাসীর একাংশের এমনই অভিযোগ। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    এলাকাবাসীর উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা! (Asansol)

    আসানসোলের (Asansol) ফতেপুর এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে জমি মাফিয়ারা। অতিষ্ঠ হয়ে তৃণমূলের নেতার কাছে এলাকাবাসী দরবার করেন। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে, দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন এলাকাবাসী। ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা সভাটির আয়োজন করেন। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তৃণমূলের স্থনীয় পুরপ্রতিনিধি সমিত মাজিকেও। সকাল ১১টা নাগাদ সমিত সভামঞ্চে আসেন। অভিযোগ, সভা শুরুর কিছুক্ষণ পরেই কয়েকজন সেই সভা বন্ধ করার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সেই সভা ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা হয়। তবে, আয়োজকেরা সভার কাজ চালিয়ে যাওয়ার দাবিতে অনড় থাকেন। সভার জন্য পুলিশের থেকে আগাম অনুমতি নেওয়া ছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই কমিশনারেটের এসিপি (সেন্ট্রাল) দেবরাজ দাসের নেতৃত্বে র‍্যাফের একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। তার পরে, পুলিশের উপস্থিতিতেই সভার কাজ শেষ হয়।

    প্রতিবাদ সভার আয়োজকদের কী বক্তব্য?

    সভার অন্যতম আয়োজক তথা বড়তোড়িয়ার বাসিন্দা দীনবন্ধু মণ্ডল বলেন, কয়েক মাস আগে নিজের জমিতে আমি বাড়ি করতে গিয়েছিলাম। জমি মাফিয়ারা বাধা দেয়। দেওয়া হয় খুনের হুমকিও। তাদের অনুমতি নেওয়ার কথা বলা হয়। নির্মাণ সামগ্রীও তাদের থেকে নেওয়ার কথা বলা হয়। এমনকী বাড়ি করার আগে তৃণমূলের স্থানীয় কার্যালয় থেকে অনুমতি নেওয়ার কথাও বলা হয়। ফতেপুরের স্বরূপকুমার মাজির আবার অভিযোগ, নিজের জমি বিক্রি করতে গেলেও, এক দল লোক এসে জমি বিক্রিতে বাধা দিচ্ছে। পাশাপাশি, এলাকার পরিকাঠামোগত সমস্যা নিয়েও সরব হয়েছেন বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, বরাচকের হনুমান মন্দির থেকে বরাচক স্টেশন পর্যন্ত রাস্তাটি বেহাল। পথবাতি নেই। নিকাশি পরিস্থিতি বেহাল। বিষয়টি পুরপ্রতিনিধিকে জানানো হলেও লাভ হয়নি।

    পুর প্রতিনিধির কী বক্তব্য?

    পুরপ্রতিনিধি সমিত মাজি বলেন, কারও নাম উল্লেখ না করে জমি মাফিয়াদের বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। বিস্তারিত খোঁজখবর করব। বাসিন্দাদের নিজেদের জমি কেনাবেচার আগে বা বাড়ি তৈরি করার আগে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় না। কে বা কারা এই কাজ করছেন, তা-ও দেখা হবে। পাশাপাশি, পরিকাঠামোগত উন্নয়নের বিষয়েও উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপি আসানসোল (Asansol) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ওই এলাকায় জমি মাফিয়াদের বখরাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অন্দরে দু’টি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। তা নিয়েই গোলমাল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • East Medinipur: সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়ে দলীয় বক্তব্য! বিতর্কে মন্ত্রী অখিল গিরি

    East Medinipur: সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়ে দলীয় বক্তব্য! বিতর্কে মন্ত্রী অখিল গিরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের গড়বাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বার্ষিক সাধারণ সভাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক! গ্রাম পঞ্চায়েতের বার্ষিক সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের প্রতীকে জেতা পঞ্চায়েত সদস্য, প্রধান থেকে বিজেপির প্রতীকে জেতা পঞ্চায়েত সদস্য ও পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা। সরকারি অনুষ্ঠানে সেখানেই দলীয় বক্তব্য রাখেন কারামন্ত্রী অখিল গিরি। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভের জেরে কিছু সময়ের জন্য সভা বন্ধ হয়ে যায়। পঞ্চায়েত প্রধান জনগণের সামনে ভুল স্বীকার করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

    ঠিক কী বলেছেন মন্ত্রী? (East Medinipur)

    পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের গড়বাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে মন্ত্রী অখিল গিরি মহুয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘যদি কোনও ব্যক্তিকে ফাঁসি দেওয়া হয়, তাহলেও তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় আপনি কী চান? নির্লজ্জভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে আমাদের সাংসদ মহুয়া মৈত্রর সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। দু’মাস-ছ’মাস পর ভোট হবে, কৃষ্ণনগর থেকে আবার জিতে আসবে মহুয়া মৈত্র।’ পাশাপাশি তিনি হুমকির সুরে বলেন, ‘বিজেপি কেমন ভাবে জিতবে সেটা আমরা দেখব। এই বক্তব্যের পরেই উপস্থিত সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এই বক্তব্য থেকে বিতর্কের সূত্রপাত। বৈঠকে উপস্থিত বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। সরকারি অনুষ্ঠানে এই ধরনের বক্তব্য কেন তা নিয়ে বিক্ষোভকারীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। পরে নিজের বক্তব্যে অনড় থাকেন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি। তাঁর দাবি, বিরোধীরা তাঁদের মতো বলবেন, আমরা আমাদের মতো বলব। মন্ত্রী মঞ্চ ছাড়তেই পুনরায় কার্যত জনগণের বিক্ষোভ শুরু হয়। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এর পরেই কোনও রকমে পরিস্থিতি সামাল দেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান স্বপন দাস ও প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর। এদিনের সভায় উপস্থিত জনগণের সামনে ক্ষমা চান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান স্বপনকুমার দাস।

    তৃণমূল নেতার কী বক্তব্য?

    ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা জ্যোতির্ময় কর বলেন, ‘এই মঞ্চে আমাদের পক্ষ থেকে দলীয় প্রচার করার কোনও ইচ্ছা নেই। গ্রাম পঞ্চায়েতের দল-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই থাকবেন এই বার্ষিক সভায়।’

    বিজেপি নেতা কী বললেন?

    গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা অনুপম জানা বলেন, ‘গ্রাম সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সভায় একাধিক মন্ত্রী উপস্থিত রয়েছেন। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। এলাকার উন্নয়নের জন্য বিরোধী দল হিসেবেও সহযোগিতা করব। এই সরকারি অনুষ্ঠানটি অন্যরকম হয়ে গেল মন্ত্রী অখিল গিরির বক্তব্যে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: সোমনাথ-অর্জুন দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! একে অপরের বিরুদ্ধে কী বললেন জানেন?

    Arjun Singh: সোমনাথ-অর্জুন দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! একে অপরের বিরুদ্ধে কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের সঙ্গে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) লড়াই একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। এতদিন দাপুটে দুই নেতার মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছিল। এখন তা সামনে চলে এল। রবিবার সন্ধ্যায় অর্জুন সিং ভাটপাড়ায় দলীয়  সভায় যোগ দিতে গিয়ে সোমনাথ শ্যামের নাম না করে পোলট্রি মোরগ বলে কটাক্ষ করেন।

    তৃণমূল কর্মী খুনে জড়িত সাংসদ বা তাঁর পরিবারের কেউ, সরব বিধায়ক

    এর আগে ভাটপাড়ায় তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় সাংসদ অর্জুন সিংকে নিশানা করেছিলেন জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক। পাশাপাশি, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। যা নিয়ে ফের চর্চায় এসেছে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টি। ফলে অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলের অন্দরে। গত ২১ নভেম্বর ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে পুরানি তালাও সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবকে বাড়ির সামনে গুলি করে খুন করা হয়। তিন দিনের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। যদিও ভিন রাজ্যের ভাড়াটে খুনিরা এখনও অধরা। তাদের ধরতে ইতিমধ্যেই ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবকে খুনের ঘটনায় দেখা গিয়েছে, মেঘনা জুটমিলের পুরাতন লাইন থেকে বেরিয়ে খুনিরা খুন করে আবার সেখানে ঢুকে যায়। এই কারণেই আমি বলেছি, কোথাও না কোথাও সাংসদ বা তাঁর পরিবারের কেউ জড়িত। পরিবারের সেই যুক্ত লোকের নাম পাপ্পু সিং। কেউ প্রভাব খাটাচ্ছে। তাই হয়তো পুলিশ পিছিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমার মনে হয়, পুলিশ এ বার পিছোবে না, কারণ পুলিশের কাছে গ্রেফতার করার জন্য যথেষ্ট তথ্য আছে। যে খুন করেছে, তাঁকে জেল খাটতেই হবে।

    সোমনাথকে নিয়ে কী বললেন অর্জুন? (Arjun Singh)

    সোমনাথ শ্যামের সেই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)। তিনি বলেন, আমার ভাইপো আমার সঙ্গে রয়েছে, তারজন্য সে খুনি। আর আমার ভাইপো তাঁর সঙ্গে রয়েছে সে ভাল। আর ভিকি যাদবকে খুন করার পর খুনিরা মেঘনা জুটমিলে ঢুকছিল সেটা তিনি দেখেছেন। তিনি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মুখ্যমন্ত্রীতে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, এক সময় আমরা হাতে গোনা কয়েকজন দল করতাম। দুদিন আগে দল করে আমার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করছে। আমার সামনে দাঁড়ানোর কোনও যোগ্যতা তাঁর নেই। দলীয় ঝান্ডা ছেড়ে বেরিয়ে এসে একটা কথা বলে দেখুক জনগন এমন হাল করবে যে তিনি তখন বুঝতে পারবেন।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপি রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলেছি রাজ্যের পুলিশ নিষ্ক্রিয়, তৃণমূল নিজেরাই নিজেদের খুন করেছে। আমাদের এই কথাটাই তৃণমূল বিধায়ক বলে দিলেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri News: খেলা বন্ধ করে মুখ্যমন্ত্রীর সভা! কর্মসূচির দিন মাঠের অদূরে ধর্নায় বসছেন বিজেপি বিধায়ক

    Siliguri News: খেলা বন্ধ করে মুখ্যমন্ত্রীর সভা! কর্মসূচির দিন মাঠের অদূরে ধর্নায় বসছেন বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হচ্ছে উত্তরবঙ্গের মাঠ! এই অভিযোগে ফের একবার সরব হলেন শিলিগুড়ির (Siliguri News) বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এর প্রতিবাদে মাঠের অদূরে ধর্নায় বসার কর্মসূচিও ঘোষণা করলেন বিধায়ক। বর্তমানে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ির (Siliguri News) কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে প্রশাসন। আসলে নামেই প্রশাসনিক সভা, আদতে তা তৃণমূলের দলীয় সভাই হয়ে ওঠে শেষ পর্যন্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কর্মসূচির জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে শিলিগুড়ির ‘সুপার ডিভিশন লিগ’ও। মাঠ তো খেলার জন্য। যে কোনও সরকারি বা রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের কারণে সেই খেলা বন্ধ হওয়া মোটেও বাঞ্ছনীয় নয়, এমনটাই মত রয়েছে শিলিগুড়ির নাগরিক মহলের একাংশের।

    কী বলছেন শঙ্কর ঘোষ?

    শুক্রবার শিলিগুড়ির (Siliguri News) কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন শঙ্করবাবু। এই সময়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘মাঠে তো ঢুকতেই পারলাম না। দুর্গ তৈরি করে তার ভিতর সাজসজ্জা চলছে। মাঠের অন্তর্জলি যাত্রা হচ্ছে, সেটাই দেখলাম। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আগামী ১১ তারিখ বিকেল ৪টে থেকে ১২ তারিখ সকাল পর্যন্ত খেলোয়াড় এবং ক্রীড়াপ্রেমীদের নিয়ে ধর্নায় বসব।’’ উত্তরবঙ্গের এই বিজেপি বিধায়কের আরও অভিযোগ, ‘‘খেলার জন্য স্টেডিয়াম। সেটা বন্ধ করে রাজনৈতিক কর্মসূচির সিদ্ধান্ত গা-জোয়ারি সিদ্ধান্ত। এটা হল, আমি যা ইচ্ছা তা করব ব্যাপার।’’

    দীর্ঘ এক দশক ধরে উত্তরবঙ্গের খেলাধুলোর পরিকাঠামো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে

    বিধায়কের আরও সংযোজন, ‘‘এই স্টেডিয়ামে (Siliguri News) সর্বশেষ যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছিল, সেটা স্বনামধন্য সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিংহের। ব্যক্তিগত ভাবে সে দিন প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। ব্যক্তিগত ভাবে অরিজিৎ সিংহের ফ্যান হওয়ার সত্ত্বেও এবং আয়োজকদের আমন্ত্রণ পেয়েও প্রতিবাদ জানিয়ে ওই সভায় যাইনি। এখন আবার মুখ্যমন্ত্রী আসছেন বলে শিলিগুড়ির সুপার ডিভিশন লিগের টুর্নামেন্ট বন্ধ করা হল!’’ শঙ্করবাবুর মতে, দীর্ঘ এক দশক ধরে উত্তরবঙ্গের খেলাধুলোর পরিকাঠামো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামকে শ্মশান করার চেষ্টা চলছে। আমি জনপ্রতিনিধি হিসাবে প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীর সভার সময় ধর্নায় বসব।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jhalda: ঝালদার পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়ল পুরভবনে, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Jhalda: ঝালদার পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়ল পুরভবনে, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ মেনে ৮ ডিসেম্বর পুরুলিয়ার ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় আস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল। জেলা শাসকের উপস্থিতিতে এই ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। সেই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছিলেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এবার সেই ঝালদার পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়ল পুরভবনে।

    কারা অনাস্থা প্রস্তাব আনল? (Jhalda)

    তৃণমূলে যোগ দেওয়া ঝালদার (Jhalda) পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এবার অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন সাত পুরপ্রতিনিধি। সাত পুরপ্রতিনিধির সই করা অনাস্থা প্রস্তাবের চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে ঝালদার মহকুমাশাসক এবং পুরুলিয়ার জেলাশাসকের দফতরেও। সাতজনের মধ্যে শাসকদলের পাঁচ পুরপ্রতিনিধি। আর কংগ্রেসের দুই পুর প্রতিনিধি রয়েছেন। তপন কান্দু খুনে শাসক দলের একাংশ জড়িত রয়েছে বলে তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু অভিযোগ করেছিলেন। সেই পূর্ণিমাও এবার অনাস্থা প্রস্তাবে তৃণমূলের পুর প্রতিনিধিদের সঙ্গে হাত মেলানোয় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি পূর্ণিমা। তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য, যা বলার তা দলীয় নেতৃত্বই বলবেন। কংগ্রেসের পুরপ্রতিনিধি বিপ্লব কয়ালের বক্তব্য, সংখ্যালঘু হয়ে পড়ার পরে নৈতিকতার খাতিরে পুরপ্রধানের পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত ছিল। তিনি তা করেননি। হাই কোর্ট জানায়, আস্থা না থাকলে যা করণীয় সেটা পুরআইন অনুযায়ী করতে হবে। আমরাও সেটাই করেছি। অনাস্থাকারীদের অন্যতম ঝালদার প্রাক্তন তৃণমূল পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল বলেন, আলোচনা করেই পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে।

    পুরপ্রধান কী বললেন?

    অনাস্থা প্রসঙ্গে ঝালদা (Jhalda) পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায় বলেন, সাত জনের সই করা অনাস্থার একটি চিঠি পুরসভার অফিসে জমা পড়েছে বলে শুনেছি। এর বেশি কিছু আমি জানি না।

    পুর প্রধানকে সরাতে মামলা হয় আদালতে

    কংগ্রেস ও নির্দল জোটের সমর্থনে ঝালদা পুরসভায় শীলা পুরপ্রধান হলেও তাতে সিলমোহর দেয়নি রাজ্য সরকার। এনিয়ে আদালতে মামলা হয়। হাই কোর্ট জানিয়েছিল, ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত শীলার পুরপ্রধান পদে থাকতে সমস্যা নেই। ইতিমধ্যে শীলা ও চার কংগ্রেস পুরপ্রতিনিধি তৃণমূলে যেতেই সমীকরণ বদলায়। তৃণমূলের আদি পাঁচ পুরপ্রতিনিধি শীলাকে পুরপ্রধান হিসেবে মানতে নারাজ। শীলা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছেন দাবি করে তৃণমূলের ওই পাঁচ পুরপ্রতিনিধি ও কংগ্রেসের দুই পুরপ্রতিনিধি তাঁকে পুরপ্রধান পদ থেকে সরাতে দু’টি পৃথক মামলা করেছিলেন। সেখানে সিঙ্গেল বেঞ্চের একটি রায়ের প্রেক্ষিতে ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার জানায়, পুরপ্রধানের প্রতি আস্থা না থাকলে পুরআইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share