Tag: tmc

tmc

  • BJP: মোদি-শাহ সম্পর্কে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য! ৬০ তৃণমূল বিধায়কের নামে এফআইআর রাজ্য বিজেপির

    BJP: মোদি-শাহ সম্পর্কে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য! ৬০ তৃণমূল বিধায়কের নামে এফআইআর রাজ্য বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের বিরুদ্ধে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য! এই অভিযোগেই ৬০ তৃণমূল বিধায়কের নামে এফআইআর দায়ের করল বিজেপি। এর আগে বিজেপির (BJP) বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ এনেছিল তৃণমূল, লালবাজারের তলব করা হয়েছিল বিজেপি বিধায়কদের। যদিও হাইকোর্ট এই মর্মে নির্দেশ দেয় যে এই মামলায় বিজেপি বিধায়কদের কোনওভাবেই গ্রেফতার করা যাবে না। তৃণমূলের করা মামালায় অতিসক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। এবার বিজেপির মামলায় পুলিশের ভূমিকা কী থাকে, সেটাই দেখার।

    হেয়ার স্ট্রিট থানায় দায়ের মামলা

    জানা গিয়েছে, হেয়ার স্ট্রিট থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেছেন রাজ্য বিজেপির দুই বিধায়ক। তাঁরা হলেন, তুফানগঞ্জের বিজেপি (BJP) বিধায়ক মালতি রাভা রায় এবং দেবগ্রাম ফুলবাড়ী কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই এফআইআর-এ নাম রয়েছে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, বাবুল সুপ্রিয়, শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায় সমেত প্রত্যেক প্রথম সারির নেতার।

    বিজেপির অভিযোগ

    বিজেপির (BJP) ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৩০ নভেম্বর বিকাল তিনটে নাগাদ বিধানসভায় অম্বেডকর মূর্তির পাদদেশে মোদি ও শাহের নামে কুরুচিকর স্লোগান দেন তৃণমূলের বিধায়করা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে করা এই এফআইআর নিয়ে ট্যুইটও করতে দেখা গিয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।

    বিজেপির (BJP) দাবি, দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এরকম কুরুচিপূর্ণ স্লোগান গুরুতর অপরাধ। দুই শীর্ষস্থানীয় পদমর্যাদার ব্যক্তিকে অপমানই নয়, দেশের অসংখ্য মানুষের ভাবাবেগেও আঘাত দিয়েছে এই স্লোগান। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘ভোটের ফল দেখে ‘ইন্ডি’ জোটের পিন্ডি চটকে গিয়েছে’, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘ভোটের ফল দেখে ‘ইন্ডি’ জোটের পিন্ডি চটকে গিয়েছে’, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীকে ‘জাতীয়তা বিরোধী’ বলে মন্তব্য করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার হাওড়ায় দলীয় কর্মসূচিতে এসে মমতা সরকারের ‘রাজ্য সংগীত’ চালু করার প্রসঙ্গে একথা বলেন তিনি। দলীয় সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৩৫ কোটি দেশবাসীর জন্য জাতীয় সংগীত লিখে গিয়েছেন, যা আমরা গেয়ে থাকি। আর তিনি পাকিস্তানে ভারত এয়ার স্ট্রাইক করলে তার প্রমাণ চান। রাজ্যে সেনাবাহিনী মহড়া করলে নবান্নে বসে বলেন আমার রাজ্য দখল করে নিচ্ছে। ওনার কাজে এটা প্রমাণিত উনি ‘জাতীয়তা বিরোধী’।

    ‘ইন্ডি’ জোট নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    ‘ইন্ডি’ জোট প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘তিন রাজ্যের ভোটের ইন্ডি জোটের পিন্ডি চটকে গিয়েছে। আমি ওই জোটের নেতাদের বলব গয়াতে গিয়ে পিন্ডি দেওয়ার কাজটা শেষ করে আসুন। আমরা বলছি মমতা চোর। রাজ্যে ও কেন্দ্রে মন্ত্রিসভার গঠন কাদের নিয়ে হবে সেটা সেই রাজ্যের বা কেন্দ্রের সাংবিধানিক প্রধান ঠিক করেন। এখানে রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। রাজ্যে যে চুরি ও দুর্নীতি হয়েছে তার দায় মুখ্যমন্ত্রীকেও নিতে হবে। মমতার মন্ত্রিসভা বলে ক্ষীর খাব, আর তাঁর মন্ত্রীদের অধীনে থাকা দফতরে দুর্নীতি হলে তার দায় নেব না! এক যাত্রায় পথক ফল হয় না।’

    এনসিআরবি রিপোর্ট নিয়ে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা

    সোমবার রাজ্যের মন্ত্রী এনসিআরবি রিপোর্ট অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ অপেক্ষাকৃত কম অপরাধপ্রবণ রাজ্য বলে দাবি করেন। এদিন সেই বক্তব্য কার্যত উড়িয়ে দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) পালটা বলেন, ‘আমি থিয়োরিতে বিশ্বাসী নয়, বিশ্বাস করি বাস্তবকে। ২০২১-এর নির্বাচন হওয়ার পর এক লক্ষ হিন্দুকে কেন ঘর ছাড়া হতে হয়েছিল, কেন মানস সাহা-সহ ৫৭ জন বিজেপি কর্মীর হত্যা হয়েছিল? পঞ্চায়েত নির্বাচনে  ৫৫জনের মৃত্যু হয়েছে কেন? যেখানে দেশে পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন হলেও কারও মাথাও ফাটেনি, সেখানে এই রাজ্যে নির্বাচনে এত হিংসা কেন জানতে চাই।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: মা ও মেয়ের দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্যকর তথ্য, অপহরণ ও খুনের হুমকি দিতেন তৃণমূল নেতা!

    Siliguri: মা ও মেয়ের দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্যকর তথ্য, অপহরণ ও খুনের হুমকি দিতেন তৃণমূল নেতা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়িতে (Siliguri) মা এবং মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় নাম জড়াল স্থানীয় তৃণমূল নেতার। মৃতদেহ উদ্ধার হওয়া ঘর থেকেই সুইসাইড নোট মেলে। তাতেই তৃণমূল নেতার নাম পাওয়া গিয়েছে। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

    সুইসাইড নোটে কী রয়েছে? (Siliguri)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩ ডিসেম্বর শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিলিগুড়ি (Siliguri) শান্তিনগর এলাকায় একই বাড়ি থেকে জোড়া দেহ উদ্ধার হয়। শোওয়ার ঘরের বিছানার উপর এক তরুণীর দেহ মেলে। মায়ের দেহ উদ্ধার হয় ঝুলন্ত অবস্থায়। ঘটনার তদন্তে নেমে সুইসাইড নোট পায় পুলিশ। সেখানে আত্মহত্যার কারণ হিসাবে রয়েছে জমি সংক্রান্ত সমস্যার কথা। সেখানে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা কমিটির অন্যতম সম্পাদক প্রসেনজিৎ রায়ের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি তৃণমূল কর্মী সুনীল দাস, সুজিতকুমার ঘোষ, সুভাষ দাস, প্রদীপকুমার চৌধুরীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ওই চিঠির উপর ভিত্তি করে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।

    বাড়িতে লোক পাঠিয়ে হুমকি দিতেন তৃণমূল নেতা, সরব মৃতের স্বামী

    মৃতের স্বামী সাধন সরকারের অভিযোগ, বছরখানেক আগে প্রসেনজিতের কাছ থেকে একটি জমি কিনেছিলাম। সেই জমি প্রসেনজিৎ নিজেই ডিসপুট ল্যান্ড তৈরি করে আরও টাকা চান আমার কাছে। এ নিয়ে সমস্যা চলছিল। অনেক দিন ধরে প্রসেনজিৎ তাঁর দলবলকে ওই বাড়িতে পাঠাতেন। ওই লোকজনের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র থাকত। বার বার টাকার চাপ দেওয়া হয়। দেওয়া হয় প্রাণে মারার হুমকিও। বাড়িতে বিবাহযোগ্য মেয়ে ছিল। এ নিয়ে আমার স্ত্রী বেশ কয়ে কয়েক মাস ধরেই চিন্তিত ছিল। মাঝে আমাকে আমার স্ত্রীকে অপহরণ বা তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হবে বলে হুমকি দেওয়া হত। এগুলো সহ্য করতে না পেরে ওরা নিজেদের শেষ করে দিয়েছে। আর প্রসেনজিতের মতো বড় নেতার সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষমতা আমার নেই। থানায় জানিয়েছি ঠিকই। কিন্তু, আদৌ কোনও লাভ হবে কি না জানা নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sovandeb Chaterjee: মিছিলে মেজাজ হারালেন শোভনদেব! ধাক্কা দিলেন দলীয় নেতাকে, কেন জানেন?

    Sovandeb Chaterjee: মিছিলে মেজাজ হারালেন শোভনদেব! ধাক্কা দিলেন দলীয় নেতাকে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের মিছিলে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের (Sovandeb Chaterjee) মেজাজ হারানো দেখে হকচকিয়ে যান তৃণমূল কর্মীরা। চোখের সামনে এই কর্মীদের উদ্দেশে নানা কটুক্তি করেন তিনি। তৃণমূলের প্রবীণ নেতা রাগে ধাক্কা মেরে বসলেন দলেরই এক নেতার বুকে। প্রথমে হকচকিয়ে গেলেন সেই নেতা। পরে, নিজেকে সামলে নিয়ে মিছিলে উপস্থিত কর্মীদের জোরে স্লোগান দিতে বললেন। মন্ত্রীর ধমকানিতে কর্মীরাও থ হয়ে যায়। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠার সময় থেকে দলের সঙ্গে তিনি। তৃণমূলের প্রথম বিধায়ক শোভনদেব এক সময় বক্সিং করতেন। তবে, মন্ত্রীর এই ধরনের আচরণ কর্মীরা কোনওদিন দেখেননি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?(Sovandeb Chaterjee)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুর ঘোলা বিলকান্দা এলাকায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূল। তাঁর নেতৃত্বে ছিলেন খড়দার বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chaterjee)। তিনি কর্মীদের সামনে মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে স্লোগান দিচ্ছিলেন, ‘ আমাদের টাকা দিতেই হবে।’ পাশে দাঁড়ানো তৃণমূলের ব্যারাকপুর-২ সমিতির সভাপতি প্রবীর রাজবংশীও মন্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গে হাঁটছিলেন। কিন্তু, মিছিল থেকে জোরে আওয়াজ না পেয়ে খাপ্পা হয়ে যান শোভনদেব। পাশে দাঁড়ানো প্রবীরের বুকে ধাক্কা মারেন অতীতের শোভনদেব। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘এই- সব ডেডবডি।’ মন্ত্রীর ধাক্কা খেয়ে প্রবীরবাবু কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘কেউ স্লোগান দিচ্ছিস না কেন?’ এরপর মন্ত্রী আরও রেগে গিয়ে বলেন, ‘এখানে কেউ জ্যান্ত মানুষ নেই।’ শোভনদেবের ধমক খেয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন সবাই।

    মন্ত্রী কী সাফাই দিলেন?

    মন্ত্রী শোভনদেব (Sovandeb Chaterjee) বলেন, কেউ স্লোগান দিলে সবাই স্লোগান দেবে। আমাদের আরও ছেলে আসার কথা। যত লোক হয়েছে, তার চার ডাবল লোক আসার কথা। কয়েক জন ইতস্তত করছিল। এখন দেখুন কত বড় মিছিল হয়ে গিয়েছে। আর আমি স্লোগান চিরকালই দিয়ে এসেছি। এখনও দিচ্ছি। এ কথা বলেই তিনি ফের হাত তুলে স্লোগান দিতে থাকেন। আর কর্মীরাও তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়ে স্লোগান দেন। তবে, মেজাজ হারানো নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: মেলা কমিটি থেকে বাদ সাংসদ দেব, বৈঠকে তৃণমূলের দুপক্ষের মধ্যে তুমুল হাতাহাতি

    Paschim Medinipur: মেলা কমিটি থেকে বাদ সাংসদ দেব, বৈঠকে তৃণমূলের দুপক্ষের মধ্যে তুমুল হাতাহাতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ঘাটালে ছন্নছাড়া অবস্থা তৃণমূলের। তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যানের অনুগামীদের সঙ্গে সাংসদ তথা অভিনেতা দীপক অধিকারী (দেব)-র অনুগামীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা প্রকাশ্যে চলে আসে। দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়। গন্ডগোলের জেরে মিটিং কার্যত ভেস্তে যায়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে।

    ঠিক কী নিয়ে গন্ডগোল? (Paschim Medinipur)

    পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ঘাটালে প্রতিবারের মতো এবারও শিশুমেলার আয়োজন করা হয়েছে। ঘাটালের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ কমিটি গঠনের জন্য এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেই বৈঠকের শুরুতেই উপস্থিত ছিলেন ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, ঘাটাল মহকুমার পুলিশ আধিকারিক অগ্নিশ্বর চৌধুরী। পরে তাঁরা মিটিং থেকে বেরিয়ে যান। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঘাটাল ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ মাজি, ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দলুই, ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি বিকাশ কর সহ একাধিক পদাধিকারী ও তাঁদের অনুগামীরা। জানা গিয়েছে, ঘাটাল উৎসব ও শিশু মেলার সভাপতি পদটি মহকুমা শাসক সামলান। কমিটিতে সম্পাদক হিসেবে থাকেন দেব। মিটিং শুরু হওয়ার পর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শঙ্কর দলুই, নতুন কমিটির তালিকা প্রকাশ করেন। তাতে নেই দীপক অধিকারীর নাম। এদিনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন সাংসদের প্রতিনিধি রামপদ মান্নাও। সাংসদের নাম বাদ যাওয়ায় বাড়ে উত্তেজনা। দীপক অধিকারীর নাম কেন বাদ গেল তা জানতে চান বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন। শঙ্কর দলুই ব্যাখ্যা দিতে গেলে শুরু হয় বাদানুবাদ। শাসকদলের তাবড় তাবড় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতেই চলে তাঁদের অনুগামীদের মধ্যে হাতাহাতি।

    সাংসদ অনুগামীর কী বক্তব্য?

    সাংসদ দেব-এর অনুগামী রামপদ মান্না বলেন, দেবকে বাদ দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘাটালের মানুষ তার প্রতিবাদ করেছে। ঘাটালের মানুষ চোরকে মেনে নেবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: ‘বিজেপি বেশি বাড়াবাড়ি করলে হাত-পা ভেঙে দেব’, নিদান দিলেন গৌতম দেব

    Siliguri: ‘বিজেপি বেশি বাড়াবাড়ি করলে হাত-পা ভেঙে দেব’, নিদান দিলেন গৌতম দেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি বেশি বাড়াবাড়ি করলে হাত-পা ভেঙে দেব। নিদান দিলেন শিলিগুড়ি মেয়র গৌতম দেবের। শিলিগুড়ির (Siliguri) কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা করা নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিজেপি। সেইসঙ্গে শিলিগুড়িতে সিন্থেটিক ট্র্যাক সহ আধুনিক নতুন স্টেডিয়াম তৈরির দাবি জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। রবিবার বিজেপির এই প্রতিবাদ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শিলিগুড়ির মেয়র তৃণমূল নেতা গৌতম দেব বলেন, বিজেপি বিক্ষোভ দেখাতে পারে। আমরাও চুড়ি পড়ে বসে নেই। বেশি বাড়াবাড়ি করলে বিজেপির হাত পা ভেঙে দেব।

    ফুটবল লিগের খেলা বন্ধ করে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর সভা!

    চলতি সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরে আসছেন। শিলিগুড়িতে (Siliguri) তাঁর একটি প্রশাসনিক সভা রাখা হয়েছে। সেই সভা করার জন্য কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ফুটবল লিগ বন্ধ করে তার প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে সোমবার থেকে। খেলা বন্ধ করে এ ধরনের অনুষ্ঠানকে মেনে নিতে পারছেন না বিজেপির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এর আগেও কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে গর্ত করে মুখ্যমন্ত্রীর সভা করার জন্য মঞ্চ তৈরি হয়েছিল। তাতে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। তারপর ফের খেলা বন্ধ করে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে এ ধরনের অনুষ্ঠান মেনে নিতে পারছে না শিলিগুড়ির ক্রীড়া মহল। বিজোপি বিধায়ক এনিয়ে এদিন প্রতিবাদ মিছিল করেন। তার প্রেক্ষিতেই ওই হুমকি দেন গৌতম দেব।

     মুখ্যমন্ত্রীর সভা করা নিয়ে মেয়র কী সাফাই দিলেন?

    গৌতম দেব বলেন, আমরাও খেলাধূলো ভালোবাসি। মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান তাই বিকল্প কোথাও খেলাধূলার আয়োজন করার প্রস্তাব যদি শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ দেয় আমরা সহযোগিতা করব। কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী সভার জন্য তাদের ছেড়ে দিতেই হবে। আর স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ আমরা শুরু করেছি। কয়েকদিন পরে হলেও খেলোয়াড়দের মাঠ ছাড়তে হবে সেই কাজের জন্য।

    কী বললে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ?

    শিলিগুড়ি (Siliguri) কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামেকে এভাবে প্রশাসনিক বৈঠকের নামে রাজনৈতিক কর্মসূচির  জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মনে করেন বিজেপি বিধায়ত শঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন, বারবার এটা হচ্ছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম খেলার জন্য। খেলা বন্ধ করে মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠান কখনই কাম্য নয়। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Birbhum: বৈঠকই সার! মঞ্চ থেকেই নামিয়ে দেওয়া হল তৃণমূল নেত্রীকে, কেষ্ট গড়ে ফের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    Birbhum: বৈঠকই সার! মঞ্চ থেকেই নামিয়ে দেওয়া হল তৃণমূল নেত্রীকে, কেষ্ট গড়ে ফের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচারকাণ্ডে জেলে রয়েছে। যত দিন যাচ্ছে বীরভূম জেলায় তৃণমূলের দ্বন্দ্ব বেড়েই চলেছে। কোন্দল থামাতে কয়েকদিন আগে ঘটা করে জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে বীরভূমের (Birbhum) খয়রাশোলে বৈঠক করা হয়েছিল। জেলা নেতৃত্বের আশা ছিল, বৈঠকে সমস্যার সমাধান হয়েছে। জোটবদ্ধভাবে সকলকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা নেতৃত্বের নির্দেশে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। আর তাতেই তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল।

    তৃণমূলের রাজ্য নেত্রীকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়া হল (Birbhum)

    জেলা নেতৃত্বের নির্দেশে বীরভূমের (Birbhum) খয়রাশোলে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। মঞ্চে শতাব্দী রায়, বিকাশ রায়চৌধুরী, চন্দ্রনাথ সিনহা, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, কাজল শেখ সহ একাধিক জেলা নেতৃত্ব ছিলেন। সেই মঞ্চে ঠাঁই না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন রাজ্য মহিলা সেলের সাধারণ সম্পাদক অসীমা ধীবর। মঞ্চ থেকে তাঁকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। জানা গিয়েছে, ব্লকের তৃণমূল নেতা উজ্জ্বল কাদেরি, খয়রাশোলের ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারীর উদ্যোগেই এদিন জেলা তৃণমূলের এই বিজয়া সম্মিলনী হয় বলে জানা গিয়েছে। সেখানেই জেলার শীর্ষনেতৃত্ব ছিল। তৃণমূল সুপ্রিমো নিজে নির্দেশ দিয়েছে, এসব কোন্দল দলে বরদাস্ত করা হবে না। সেই নির্দেশই সার। কোনও কিছুই কাজেই এল না। জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে রাজ্য সেলের মহিলা সাধারণ সম্পাদক অসীমা ধীবর মঞ্চে বসেন।  মঞ্চে বসার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নামিয়ে দেওয়া হয়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন বিক্ষুব্ধ রাজ্য নেত্রী?

    রাজ্য সেলের মহিলা সাধারণ সম্পাদক অসীমা ধীবর বলেন, কয়েকদিন আগে বৈঠক করে কোন্দল মেটানোর জন্য বলা হল। আমরা ভাবলাম, সব মিটে গিয়েছে। কিন্তু, আমার মতো রাজ্য নেত্রীকে প্রকাশ্যে মঞ্চ থেকে নামিয়ে অপমান করা হল। আমাকে অপমান করার অর্থ দলকে অপমান করা। এই ব্লকের যারা দায়িত্বে রয়েছে, তারা এসব করল। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

    তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের বীরভূমের (Birbhum) জেলা নেতা বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, মন্ত্র একটাই তৃণমূল কংগ্রেস, নাম একটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে মতান্তর বা কোন্দলের কোনও জায়গাই নেই। এটা নিয়ে ভাবার কিছু নেই। অসীমা আমাদের পুরানো কর্মী, এখানকার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। কোনও কারণে হয়ত ভুল বুঝেছে, দেখে নেওয়া হচ্ছে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, কাটমানি আর কোন্দল নিয়ে তৃণমূল দল গঠিত। তাই, বিজয়া সম্মিলনীতে অসীমা ধীবরকেই মঞ্চে উঠতে দিল না। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে তৃণমূল যে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছিল, সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও প্রকট হল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: সরকারি মঞ্চে অভিষেকের ছবি! প্রশাসনের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন

    Abhishek Banerjee: সরকারি মঞ্চে অভিষেকের ছবি! প্রশাসনের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার উলুবেড়িয়ার একটি পঞ্চায়েত সমিতি অফিসে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মণ্ডহারবারের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ছবি রাখা নিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বিরোধীরা এই বিষয়ে সরব হতেই রাতারাতি সেই ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার সরকারি অনুষ্ঠানেও লাগল রাজনীতির রং! এমনিই অভিযোগ করলো বিরোধীরা। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান শহরে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Abhishek Banerjee)

    রবিবার বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে দুর্গাপুজোর মা কার্নিভালের সম্মান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া পুজো কমিটি বা ক্লাবগুলির মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও ইন্দ্রনীল সেন ও বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল। ছিলেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি সহ জেলা প্রশাসনের  আধিকারিকরা। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও গোল বাঁধে অন্য জায়গায়। অনুষ্ঠানে ব্যানারে দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মণ্ডহারবারের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ছবি। ব্যানারের বাঁদিকে উপরে রাজ্যের মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। ঠিক তার নীচে তাঁর ছবি রয়েছে। তবে, এই বিষয়ে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বা জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি কিছু বলতে অস্বীকার করেন।

    অভিষেক সাংসদ, ছবি থাকতেই পারে সাফাই তৃণমূলের

    রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের সাফাই, বিজেপির অভিযোগ করা অভ্যাস। তাই তারা এসব অভিযোগ করছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) লোকসভার সাংসদ। তাই, তাঁর ছবি থাকতেই পারে। তৃণমূল কখনও সরকারি মঞ্চ ব্যবহার করে না।

    নির্লজ্জ প্রশাসন, সরব বিজেপি

    এই অনুষ্ঠান নিয়ে বিষোদগার করেন বিজেপি জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা। তিনি বলেন,আসলে প্রশাসনের আধিকারিকরা এখন দু’কান কাটা হয়ে গেছে। সরকারি অনুষ্ঠানে এখানকার সাংসদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অথচ অনুষ্ঠানের ব্যানারে ছবি আছে ডায়মণ্ডহারবারের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। কোনটা সরকারি আর কোনটা তৃণমূলের অনুষ্ঠান তা এখন বোঝা যায় না। নির্লজ্জ প্রশাসন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: “চোরেরা কী করে তাড়াতাড়ি জেলে যায় সেই কাজেই আমরা ব্যস্ত” হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Purba Medinipur: “চোরেরা কী করে তাড়াতাড়ি জেলে যায় সেই কাজেই আমরা ব্যস্ত” হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে অবশেষে খেজুরিতে (Purba Medinipur) নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী সভা করলেন। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীকে একাধিক বিষয়ে তীব্র আক্রমণ করলেন। তিনি বলেন, “খেজুরির মানুষ নানা ভাবে অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। যেহেতু তৃণমূলের ক্ষমতা কমে গিয়েছে তাই তারা এলাকায় অত্যাচার করছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই এলাককে উত্তপ্ত করে তোলা হয়েছিল। তাই চোরেরা কী করে তাড়াতাড়ি জেলে যায় এবং বঞ্চিতরা কীভাবে তাঁদের অধিকার ফিরে পায় সেই কাজে আমরা ব্যস্ত।”

    কী বলেন শুভেন্দু (Purba Medinipur)?

    রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী খেজুরিতে (Purba Medinipur) রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আজকের এই সভা কোনও রাজনৈতিক সভা নয়, ভোট চাওয়া বা দেওয়ার কথা বলতে আসিনি। এখানকার মানুষ বার বার অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। মানুষের মন জয় না করতে পেরে পুলিশকে দিয়ে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করানো হচ্ছে। মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে আমাদের কর্মীদের। সিপিএমের শাসনেও আমি নিজে এলাকায় মানুষের পাশে থেকেছি। এইরকম ঘটনা আগে হয়নি। যত মিথ্যা মামলা হয়েছে আমরা সব সাটিফায়েড কপি তুলে পুলিশের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবো। বোগা, চরকাপীঠ, কসবাতে সভা করেছি। বাটুল, গোপাল, রবীনদের মিথ্যা মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। থানায় গিয়ে কর্মীদের ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছি। আমি সকলের পাশে বন্ধু হিসাবে থেকেছি।”

    আর কী বললেন?

    খেজুরিতে (Purba Medinipur) এদিন সভায় শুভেন্দু আরও বলেন, “তৃণমূলের চোর, ডাকাত যাঁদের দেখেছেন তাঁরা সবাই ২০১০ সালে হিমাংশু দাসের নেতৃত্বে হওয়া আন্দলেনের ফলে গর্তে লুকিয়ে ছিল। তৃণমূলের চোরদের একদম ভয় পাবেন না। এলাকার বিরাট নেতা নৌসদ, জালালদের মদের বতলে ছবি প্রকাশিত হয়। আমাকে দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন থরথর করে কাঁপে, ঠিক সেই সময় সিপিএমের লোকেরা কেঁপেছিল। সে দিন আমি ছিলাম বলেই আজ তোলা মূলেরা টিকে আছে। সিপিএমের প্রবীণ নেতাদেরকে বিজেপির পক্ষে আগামী লোকসভার ভোটে নামামো। একেবারে চৌকিদারের মতো পাহাড়া দেবো আমি আপনাদের। আপানাদের পাশে থেকে আমি সব রকম সহযোগিতা করব।”

    হাইকোর্টের অনুমতিতে সভা হয়েছিল

    খেজুরির (Purba Medinipur) বিজেপির মণ্ডল সম্পাদক রবীন মান্নারকে পুলিশ মিথ্যা মামলায় কেস দিয়ে গ্রেফতার করলে প্রতিবাদে ২ ডিসেম্বর সভা করার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু প্রশাসনের কাছে জানিয়েও আবেদন মেলেনি। এরপর মামলা যায় হাইকোর্টে। শক্রুবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চ, খেজুরিতে শনিবার ২ টো থেকে ৫ টা পর্যন্ত সভা করার অনুমতি দিয়েছিলেন।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: দুষ্কৃতীর মাথায় তৃণমূল মন্ত্রীর হাত! ভাইরাল ছবিতে ব্যাপক শোরগোল  

    Bankura: দুষ্কৃতীর মাথায় তৃণমূল মন্ত্রীর হাত! ভাইরাল ছবিতে ব্যাপক শোরগোল  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুষ্কৃতীর মাথায় তৃণমূল মন্ত্রীর হাত! সামজিক মাধ্যমে এই ছবি ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক তর্জা শুরু হয়েছে। শাসক দলের মন্ত্রীরা যদি দুষ্কৃতীদের প্রত্যক্ষ মদত দেন তাহলে অসামাজিক কাজের শ্রীবৃদ্ধি তো ঘটবেই। ঠিক এইভাবে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা ক্ষোভ ব্যক্ত করছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) খাতড়ায়। অভিযুক্ত দুষ্কৃতীর নাম প্রসূন পণ্ডা। হাত রেখে ছিলেন রাজ্যের তৃণমূল মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (Bankura)?

    খাতড়া (Bankura) সিনেমা রোডের দোকানের এক কর্মীর মাথা ফাটিয়ে ব্যবসায়ীকে ব্যাপক মারধর করেছিল তৃণমূল দুষ্কৃতী প্রসূন পণ্ডা। এর প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টার অবরোধ ডাকা হয়েছিল ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে। আবার শুক্রবার এলাকায় অভিযুক্তের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী মহল সরব হলে এখনও পর্যন্ত পুলিশ এই দুষ্কৃতীকে ধরতে পারেনি। কিন্তু এর মধ্যেই দুষ্কৃতীর এবং রাজ্যের তৃণমূল মন্ত্রীর ছবি সামজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে দেখা যায়, তৃণমূল মন্ত্রী, দুষ্কৃতীকে ভাই ফোঁটা দিচ্ছেন। ফলে অভিযোগ তোলা হয় মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ দুষ্কৃতী, তাই তাকে পুলিশ গ্রেফতার করছেনা।

    অভিযোগকারীর বক্তব্য

    বাঁকুড়ার (Bankura) পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, “হামলার অভিযোগে ইনজুরি রিপোর্ট দেখানো হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।” অপর দিকে দোকানে মহীতোষ ঘোষ বলেন তাঁর প্রেসক্রিপশেনে আঘাতের কথা লেখা হয়নি। হাসপাতাল থেকে ছাড়ার আগে সিটি স্ক্যান করার কথা বললেও তা উল্লেখ করেনি কাগজে। পাশপাশি খাতড়া ব্লক যাদব সভার সভাপতি সব্যসাচী মণ্ডল বলেন, “মামলাকে লঘু করতে হাসপাতালকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” তবে যাকে মারধর করা হয়েছে তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় এলাকায় বিজেপির হয়ে কাজ করছেন বলে জানা গিয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপি (Bankura) বাঁকুড়া জেলার সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডল বলেন, “ওই ছবি প্রমাণ করে মন্ত্রী কত কাছের লোক। অসামাজিক কাজের শ্রীবৃদ্ধি ঘটছে। প্রভাবশালী বলেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না। ছবিই প্রমাণ করে দুষ্কৃতীদের মাথায় কাদের হাত।”

    তৃণমূলমন্ত্রীর বক্তব্য

    সকল অভিযোগের কথা অস্বীকার করে তৃণমূল মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি (Bankura) বলেন, “ভাই ফোঁটার দিন অনেকে পার্টি অফিসে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ওকেও ফোঁটা দিয়েছি। এর সঙ্গে দলের বা আমার কোনও যোগসূত্র নেই। বিজেপি কী বলছে তাতে আমার কিছু যায় আসে না।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share