Tag: tmc

tmc

  • Alipurduar: মমতা আসার আগে এ কী দশা তৃণমূলের! প্রস্তুতি বৈঠকে গরহাজির একাধিক নেতা

    Alipurduar: মমতা আসার আগে এ কী দশা তৃণমূলের! প্রস্তুতি বৈঠকে গরহাজির একাধিক নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের আগে আলিপুরদুয়ারে প্রস্তুতি সভায় তৃণমূলের একাধিক জেলা নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরা গরহাজির কেন? এসজেডিএর চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী এমনই প্রশ্ন তোলায় চরম অস্বস্তিতে শাসকদলের জেলা নেতৃত্বও।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    আগামী ১০ ডিসেম্বর আলিপুরদুয়ারে সরকারি অনুষ্ঠানে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার রবীন্দ্র মঞ্চে তারই প্রস্তুতি বৈঠক ডেকেছিল জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। ওই বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সৌরভ দলের নেতাদের ও জনপ্রতিনিধিদের গরহাজিরা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।  যদি ও দলের চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন,  ৯০ শতাংশ নেতা জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কোনও সভায় ১০০ শতাংশ উপস্থিতি হয় না। প্রস্তুতি বৈঠকে যে নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যেও সামনের সারিতে বসা নিয়ে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর নেতাদের মধ্যে  শুরুতেই একটা বিশৃঙ্খলা পরিবেশ তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে দলের দুই জেলা নেতাকে তৎপর হতে দেখা যায়। যদিও এ নিয়ে জেলার নেতৃত্ব মুখে কুলুপ এঁটেছেন।

    প্রস্তুতি বৈঠকে কোন কোন তৃণমূল নেতা যাননি?

    প্রস্তুতি বৈঠকে গরহাজির ছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি মনোরঞ্জন দে, টাউন ব্লক সভাপতি দীপ্ত চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল সহ বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও অঞ্চল সভাপতিরা। তৃণমূলের ওই প্রস্তুতি সভা থেকেই সৌরভ বলেন, দলের নেতা, জনপ্রতিনিধিরা পঞ্চায়েত ভোটের আগে যতটা সক্রিয়, গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে সেই সক্রিয়তার অভাব দেখা গিয়েছিল। তাই আমরা গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে জিততে পারিনি। দলের কেউ কেউ যদি ভাবেন পঞ্চায়েত ভোটে দিতে গিয়ে নিজের পলিটিক্যাল ক্যারিয়ার করবেন, তারপর নিষ্ক্রিয় থাকবেন, সেটা কখনোই কাম্য হতে পারে না। দল সকলের উপর নজর রাখছে।

    জেলা তৃণমূলের সভাপতির কী বত্তব্য?

    তৃণমূল কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar)  জেলা সভাপতি তথা রাজ্যসভার সংসদ প্রকাশ চিক বড়াইক বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সভায় প্রায় এক লক্ষ মানুষের জমায়েত করা হবে। যদিও সবাইস্থল এখনও ঠিক হয়নি।  বিজেপির সমালোচনা করে বলেন, গত পাঁচ বছরে বিজেপির সাংসদকে এলাকার মানুষ খুঁজে পাননি। তাই সামনের লোকসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী এখানে জয়ী হবেন।’ লোকসভা ভোটের মুখেও আলিপুরদুয়ারে শাসক শিবিরের দুই গোষ্ঠীর বিরোধ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে জেলা নেতৃত্বকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gram Panchayat: দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব! দলীয় নেতার উপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    Gram Panchayat: দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব! দলীয় নেতার উপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের অঞ্চল সহ- সভাপতির ওপর হামলার অভিযোগ উঠল দলেরই অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। হামলায় মাথা ফাটল সহ- সভাপতির। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসি-১ নং ব্লকের মানকর গ্রাম পঞ্চায়েত (Gram Panchayat) এলাকায়। গুরুতর জখম তৃণমূল নেতা স্বরূপ মণ্ডল মানকর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কেন হামলা? (Gram Panchayat)

    জানা গিয়েছে, মানকর পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat) ১৯টি আসনের মধ্যে – ১৮টি আসনে রয়েছে তৃণমূল ও একটি আসন রয়েছে বিজেপির। বোর্ড গঠনের দিন থেকে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। দলের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে ভোটাভুটি হয় বোর্ড গঠনে। তাতে পঞ্চায়েত উপপ্রধান হন দলের অঞ্চল সভাপতি তন্ময় ঘোষ। তারপর পঞ্চায়েতের কাজ ও সুযোগ-সুবিধা প্রদানে দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব আরও প্রকাশ্যে চলে আসে। গত অক্টোবর মাসে অঞ্চল সহ- সভাপতি ও তাঁর স্ত্রী তথা পঞ্চায়েত সদস্য মিলু মালিক মণ্ডল দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হন। এমনকী, বিষয়টি তিনি স্থানীয় গলসি-১ নং বিডিওর কাছে জানান। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চাপা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এরপরই দোকান খোলার সময় অঞ্চল সভাপতি স্বরূপ মণ্ডলের ওপর হামলা করেন বলে অভিযোগ। আক্রান্ত তৃণমূল নেতা স্বরূপ মণ্ডল বলেন,’পঞ্চায়েতে তৃণমূলের ১৮ সদস্য থাকলেও ৭ জন সদস্যকে কোনওরকম গুরুত্ব দেওয়া হয় না। পঞ্চায়েতের কোনও কাজকর্মে, ছাগল বিলি, ত্রিপল বিলি-সহ সুবিধা প্রদানে কোনওরকম জানানো হয় না। বৈমাতৃসুলভ আচরণ করা হয়। তাই বিষয়টি বিডিওর কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। এবং সকলকে সঙ্গে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে পঞ্চায়েত কাজ করার কথা বলা হয়েছিল। এসব না করে আমার উপর হামলা করা হল।’

    হামলা নিয়ে অভিযুক্ত উপ প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূলের মানকর অঞ্চল সভাপতি তথা গ্রাম পঞ্চায়েতের (Gram Panchayat) উপপ্রধান তন্ময় ঘোষ। তিনি বলেন, সুযোগ-সুবিধা সমস্ত গ্রাম সংসদে সমানভাবে দেওয়া হয়। তার বাড়তি যদি কেউ চায়, সেটা সম্ভব নয়। পঞ্চায়েতে কোনওরকম দুর্নীতি নেই। প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিবাদের জেরে হামলার শিকার হয়েছে।

    হামলা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘড়ুই বলেন, ‘গোটা বিষয়টি সন্দেহজনক। এখন বখরা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারপিট শুরু করেছে। আর তার মাশুল সাধারণ মানুষকে পরিষেবায় ভুগতে হয়।’ অন্যদিকে, গলসি-১ নং ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘পুলিশে অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি দেখছে। দলের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মতুয়ারা তৃণমূলকে ভোট দেবেন না, কেন বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: মতুয়ারা তৃণমূলকে ভোট দেবেন না, কেন বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পুলিশকে লেঠেল বাহিনীতে পরিণত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপো অভিষেক। পুলিশের কাজ শুধু দড়ি দিয়ে মমতা এবং অভিষেককে পাহাড়া দেওয়া আর টাকা তোলা। শুক্রবার কল্যাণীতে আত্রান্ত বিজেপি কর্মীকে দেখতে এসে এই ভাষাতেই রাজ্য পুলিশ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    বিজেপি কর্মীর উপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে মিহির বিশ্বাস নামে এক বিজেপির সক্রিয় কর্মীকে কল্যাণী থানার উত্তর চাঁদমারি এলাকার একটি সেলুনের দোকানে ঢুকে আচমকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে ওই এলাকারই অভিযুক্ত দুই ভাই আরমান শেখ এবং আরবাজ শেখ। জানা যায়, আরমান এবং আরবাজ ওই এলাকার তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্বে রয়েছেন। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বিজেপি কর্মীকে কল্যাণী জহরলাল নেহেরু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখনও চিকিৎসা চলছে তার। এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন দেশের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এরপরই শুক্রবার রাতে ঘটনার কথা জানতে পেরে হাসপাতালে আক্রান্ত ওই বিজেপি কর্মীকে দেখতে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকার এবং পুলিশকে আক্রমণ করেন তিনি। তিনি বলেন, পুলিশকে কাজ না করতে দিলে যে ঘটনা ঘটার কথা সেটাই হয়েছে। পুলিশ এখন শুধুমাত্র দড়ি ধরে মমতা এবং অভিষেককে নিরাপত্তা দিতেই ব্যস্ত। গ্রাম পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ স্তরের নির্বাচন হলে ভোট লুট করে কীভাবে তৃণমূলকে জেতানো যাবে সেই কাজ করানো হয় পুলিশকে দিয়ে।

    মতুয়ারা তৃণমূলকে ভোট দেবেন না, তোপ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    মতুয়া প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, বাংলাদেশ থেকে জামাতদের কারণে মতুয়ারা অত্যাচারিত হয়ে এদেশে এসে এসেছিলেন। আজ তাদেরই নিরাপত্তা দিতে ব্যস্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়াদের সম্পর্কে যে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন, তাতে করে কোনও মতুয়া তৃণমূলকে ভোট দেবেন না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপির প্রতীকে পঞ্চায়েতে জেতার মাশুল! তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য রোজ রাতে ‘বিশেষ অনুরোধ’

    BJP: বিজেপির প্রতীকে পঞ্চায়েতে জেতার মাশুল! তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য রোজ রাতে ‘বিশেষ অনুরোধ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি ছাড়ার জন্য প্রতি রাতেই তৃণমূলের লোকজন বাড়িতে গিয়ে ‘বিশেষ অনুরোধ’ করছে। এর সুরাহার দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন বিজেপির (BJP) পঞ্চায়েত সদস্যা। অভিযোগ, রাত হলেই ভয়ে থাকতে হচ্ছে বিজেপির প্রতীকে পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী মহিলা সদস্যা বন্দনা টুডু ও তাঁর স্বামী মোহনলাল টুডুকে। এ নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের বিজেপি নেতৃত্ব এবং তাঁদের ওই পঞ্চায়েত সদস্যা প্রশাসনের কাছে অভিযোগে যা জানিয়েছেন, সেটাও যথেষ্ট চমকে দেওয়ারই মতো। বিজেপি সদস্যা ও তাঁর স্বামীকে তৃণমূলে যোগদান করানোর জন্য ’ভীতি প্রদর্শন’ করতে রাত হলেই নাকি পাড়াতল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতর উপ-প্রধান সহ শাসকদলের লোকজন তাঁদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে। আর এই ঘটনা নিয়েই এখন আলোচনায় জামালপুরের পাড়াতল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। যদিও এই অভিযোগ মানতে চাননি শাসকদলের নেতৃত্ব।

    অভিযোগে কী জানিয়েছেন বিজেপি সদস্যা? (BJP)

    এবারের পঞ্চায়েত ভোটে পাড়াতল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পর্বতপুর গ্রামের ১২৮ নম্বর বুথে বিজেপি (BJP) প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বন্দনা টুডু। তিনি লিখিতভাবে প্রশাসনকে জানিয়েছেন, ভোট দিয়ে এলাকাবাসী তাঁকে জয়ী করে পঞ্চায়েতে পাঠান। যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিচারে তৃণমূল পাড়াতল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে। কিন্তু তার পরেও একেবারে বিরোধীমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এলাকার শাসক দলের লোকজন এবং পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান উত্তম হাজারী। তাঁর কথায়, ‘বেশ কিছুদিন ধরে রাত হলেই উত্তম হাজারী তাঁর দলবল নিয়ে আমার বাড়িতে চলে আসছে। তৃণমূল কংগ্রেস দলে আমি যাতে যোগদান করি, তার জন্য তারা আমাকে ও আমার স্বামী মোহনলাল টুডুকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। এমনকি ব্লক তৃণমূলের পার্টি অফিসে আমাদের নিয়ে গিয়ে তৃণমূলে যোগদান করানোর জন্য প্রায় প্রতিদিনই চাপ সৃষ্টি করছে।’ প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার বিহিত চেয়েছেন পাড়াতল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যা বন্দনা টুডু।

    বিজেপির অভিযোগে কী জবাব তৃণমূলের?

    এই নিয়ে বিজেপির (BJP) মণ্ডল সভাপতি প্রধানচন্দ্র পাল বলেন ,“তৃণমূল কংগ্রেস দলে যোগদান করানোর জন্য আমাদের দলের পঞ্চায়েত সদস্যা ও তার স্বামীকে ভীতি প্রদর্শন করছে শাসক দলের উপ-প্রধান ও তার দলবল । এই বিষয়টি লিখিতভাবে ব্লকের বিডিও ও থানায় জানিয়েছি। প্রশাসন যদি এসব বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে বিজেপি বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে“। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান; ‘মানুষ বিজেপি ,সিপিএম দুই দলকেই প্রত্যাখ্যান করেছে। ব্লকের কোনও পঞ্চায়েতেই বিরোধীরা বোর্ড গঠন করতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটের আগে ’মাইলেজ’ পেতে বিজেপি নেতারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তৃণমূলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। অন্য দল থেকে লোক টেনে আনার মতো অবস্থা তৃণমূল কংগ্রেসের হয়নি।’
     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: আইনশৃঙ্খলার ভয়াবহ অবনতি! অবৈধ সম্পর্কের জেরে গুলি চালিয়ে দিলেন তৃণমূল কর্মী

    South 24 Parganas: আইনশৃঙ্খলার ভয়াবহ অবনতি! অবৈধ সম্পর্কের জেরে গুলি চালিয়ে দিলেন তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গভীর রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ক্যানিংয়ে চলল গুলি! বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এক মহিলাকে গুলি চালানোর অভিযোগ এলাকারই এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। ওই তৃণমূল কর্মীর নাম ভোলা প্রসাদ। ইতিমধ্যেই তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (South 24 Parganas)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এই মহিলার সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিল ওই তৃণমূল কর্মীর। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাদের মধ্যে কোনও এক বিষয় নিয়ে বচসা হয়। আর তারপর সেই বচসা জেরেই ওই তৃণমূল কর্মী নিজের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মহিলাকে গুলি করে বলে অভিযোগ ওঠে। গুলিতে আহত হয় ওই মহিলা। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে নিয়ে আসা হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা রেফার করেন কলকাতা মেডিক্যাল হাসপাতালে। সূত্রে জানা গিয়েছে, তার পেটে গুলি লেগেছে। ইতিমধ্যে এই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় (South 24 Parganas) এক তৃণমূল নেতা গুলি চালানোর ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “ঠিক কোন জায়গায় এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে সেই কথা আমি জানি না। তবে একজন মহিলার সঙ্গে ভোলার একটা সম্পর্ক ছিল। শুনেছি মহিলার টাকাপয়সার চাহিদা ছিল প্রচুর পরিমাণে। অনেক জায়গায় ঘুরতে যেতে চাইত, হোটেলে যেতে চাইত। হয়তো আরও বেশি বেশি টাকার দাবি করেছিল। তবে ভোলা প্রসাদের সঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। পাড়ার ছেলে হিসাবে তৃণমূল করত ভোলা। কিন্তু এর থেকে বেশি আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক নেই।”

    পুলিশের বক্তব্য

    ক্যানিং পুলিশ (South 24 Parganas) সূত্রে খবর, রাত ১২ টার সময় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। গুলি করছে ভোলা প্রসাদ নামক ৪৩ বছরের এক ব্যক্তি। সেই সঙ্গে গুলিতে আক্রান্ত হয়েছে ২৩ বছরের মাহিলা। তবে তাদের মধ্যে কী সম্পর্ক, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করছে পুলিশ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে একটাই গুলি লেগেছে ময়নার পেটে, অবস্থা বেশ আশঙ্কা জনক। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ভোলা প্রসাদ সম্পর্কে আগেও অপরাধের অভিযোগ জমা পড়েছিল থানায়। ফলে এই বিষয় নিয়ে এখন আরও বিস্তৃত তদন্ত চলছে। ভোলা এখন পুলিশের হেফাজতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: জলে আর্সেনিক, ট্যাপে জল আসে না, তৃণমূলের রাজত্বে নিষ্ক্রিয় প্রশাসন

    Purba Bardhaman: জলে আর্সেনিক, ট্যাপে জল আসে না, তৃণমূলের রাজত্বে নিষ্ক্রিয় প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের শাসনে পানীয় জলে আর্সেনিকের সমস্যায় কঠিন অবস্থার মধ্যে রয়েছে এলাকার মানুষ। পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) পূর্বস্থলীর মাদ্রাস গ্রামে টাকা খরচ করে পাম্প বসিয়েও সেই জল খেতে পারছেনা এলাকার মানুষ। বাধ্য হয়েই গত কয়েক বছর ধরে ভরসা কেনা জল। আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় অভাবী পরিবার দূর থেকে পানীয় জল এনে কাজ চালাচ্ছে বাসিন্দারা। আর্সেনিক প্রবণ গ্রামে এই ভাবেই পানীয় জলের সমস্যায় বছরের পর বছর কাটাচ্ছে কয়েকশো গ্রামবাসী।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য (Purba Bardhaman)

    পানীয় জলের সমস্যার কথা জানিয়ে স্থানীয় (Purba Bardhaman)  বাসিন্দা আনন্দ রায় বলেন, “মাটির নিচের পাইপ থেকে জল সংগ্রহ করে সেই জল পান করতাম আমরা। এরপর বাড়ির সকলেই আর্সেনিক আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। আর্সেনিকের বিষের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন আমার পরিবারের 8 জন। গত পাঁচ বছর ধরে আমাদের কলে জল পড়ে না। এলাকার মানুষের জলের সমস্যা নিয়ে প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না।”

    ২০০৩ সালে ট্যাপ দিলেও জল পড়ে না

    পূর্বস্থলীর (Purba Bardhaman) দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের আর্সেনিক প্রবণ মাদ্রাগ্রামে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও পিএইচই দপ্তর থেকে বাড়ি বাড়ি আর্সেনিক মুক্ত পরিশ্রুত জলের ট্যাপ কল দেওয়া হয়েছিল ২০০৩ সালে। এলাকার মানুষের অভিযোগ, পাঁচ বছর আগে থেকেই সেই ট্যাপ কলে জল পড়ছে না। পঞ্চায়েত ও প্রশাসনকে বহুবার জানানো হলেও মিলেছে কোনও রকম সমাধান সূত্র। শুধু প্রতিশ্রুতিই সার। সমস্যার সমাধানে প্রশাসন একেবারেই নিষ্ক্রিয়।। তাই দিন দিন পানীয় জলের দাবিতে ক্ষোভ বাড়ছে আর্সেনিক প্রবণ এই মাদ্রা গ্রামের গ্রামবাসীদের।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যদিও এলাকার (Purba Bardhaman) পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পানীয় জল সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, “জলের পয়েন্ট বেড়ে যাওয়ায় বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছাচ্ছে না। তবে দ্রুত সমস্যার কথা সমাধান করার চেষ্টা করবো।”

    বিজেপির বক্তব্য

    পূর্ব বর্ধমান জেলার (Purba Bardhaman) বিজেপি সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলকের কাজ হল পাম্প বসিয়ে টাকা খরচের হিসাব দেখিয়ে কাটমানি খাওয়া। এবার নলে জল আসুক আর না আসুক দেখতে যায় না তৃণমূল। রাজ্যে চোরেদের শাসন চলছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: বন্ধ হোটেলে বহাল তবিয়তে চলছিল নামী কোম্পানির ভুয়ো লটারির টিকিট ছাপানো

    Asansol: বন্ধ হোটেলে বহাল তবিয়তে চলছিল নামী কোম্পানির ভুয়ো লটারির টিকিট ছাপানো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের রাজত্বে সবই সম্ভব, জাল হচ্ছে লটারির টিকিট। আসানসোলের (Asansol) কুলটি থানার অন্তর্গত জামতারার পুলিশ রূপনারায়ণপুরের মিহিজাম যাওয়ার প্রধান রোডের কাছে একটি বন্ধ হোটেলে অভিযান চালায়। যেখানে ভুয়ো অবৈধ ডিয়ার লটারির টিকিট ছাপানোর কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর প্রচুর অবৈধ টিকিট সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে সাতজনকে গ্রেফতারও করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে লটারি আইনে মামলা করা হয়েছে।

    পুলিশের বক্তব্য (Asansol)

    জামতারা (Asansol) পুলিশ সুপার অনিমেশ নাইথানি বুধবার মিহিজাম থানায় একটি সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, “আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে কুলটি পুলিশের মাধ্যমে তথ্য পাওয়া গেছে মিহিজাম থানার অন্তর্গত আমোই রেলওয়ে আন্ডারপাসের কাছে বন্ধ হোটেলে নকল লটারি ছাপানো এবং বিক্রি করা হচ্ছে। টিকিট বিক্রেতারা রাজ্য সরকারকে ফাঁকি দিয়ে কোটি কোটি টাকা মুনাফার চক্র চালাচ্ছে। সেখানে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়।”

    গোপন সূত্রে অভিযান

    জামতারার (Asansol) পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এসডিপিও আনন্দ জ্যোতি মিঞ্জ ও থানার ইনচার্জ ভাস্কর ঝা-এর নেতৃত্বে একটি দল গঠন করে অভিযান চালিয়েছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে বহু নকল লটারির টিকিট, লটারি তৈরিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, আটটি ল্যাপটপ, ১২টি ডিজিটাল প্রিন্টার, বিভিন্ন সাইজের তেরশো লটারির টিকিট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    আর কী কী উদ্ধার হয়েছে?

    হোটেলে ওই বন্ধ কারখানা থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু লটারির বান্ডিল, প্রিন্ট করা লটারির টিকিট সমেত সাতটি ব্যাগ, একটি ভারী কাগজের কাটিং মেশিন। তাছাড়া তিনটি ব্যবহৃত কার্তুজ, পাঁচটি বাইক ও দুটি প্রিন্টিং মেশিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযানে ওই বন্ধ হোটেল থেকে মোট সাতজনকে আটক করা হয়। ধৃতরা হল জামতারা নারায়ণপুর (Asansol) ভ্যালি সিমলার কুণাল মণ্ডল, বিশাল মণ্ডল, গোবিন্দপুর বেলাতন্ডের শিবু গোপ, হেমু মল্লিক, আদিত্য মল্লিক, অন্নত মল্লিক, আস্তিক অধিকারী। তবে এই হোটেলের মালিক চন্দন ঠাকুরকেও খোঁজ করেছে পুলিশ। এই ঘটনায়, পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা নং ৭৪/২৩, ৪ লটারি আইন ১৯৯৮ এবং ৭ (৩) লটারি নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯৮ এর অধীনে সাতজন এবং অন্যান্য আরও অজ্ঞাত কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paddy Procurement: সরকারি কেন্দ্রে ধান বেচতে গিয়েও দিতে হচ্ছে তৃণমূলের কাটমানি? প্রতিবাদে বিক্ষোভ চাষিদের

    Paddy Procurement: সরকারি কেন্দ্রে ধান বেচতে গিয়েও দিতে হচ্ছে তৃণমূলের কাটমানি? প্রতিবাদে বিক্ষোভ চাষিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দূর-দূরান্ত থেকে ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি (Paddy Procurement) করতে এসে চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হলেন চাষিরা। প্রথমত, সার্ভার সমস্যায় হল না ধানের বিক্রি। কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, ধান বিক্রি করতে প্রতি কুইন্টালে দিতে হচ্ছে ৫ কেজি ‘ধলতা’। অর্থাৎ এক কুইন্টাল ধান বিক্রির জন্য দিতে হচ্ছে ৫ কেজি অতিরিক্ত ধান। চাষিদের অভিযোগ, এটা সম্পূর্ণ নিয়মের বাইরে নেওয়া হচ্ছে। এটা দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন চাষিরা। প্রতিবাদে ধান রাস্তায় ফেলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। কারণ, তৃণমূলকে কাটমানি দেওয়ার জন্যই ৫ কেজি অতিরিক্ত ধান নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি চাষিদের। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ধান চাষ করেন চাষিরা। সেই ধান বিক্রির উপর নির্ভর করেই চলে তাঁদের সারাটা বছর। এবার সেই ধান সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হলেন তাঁরা। মেশিন এবং সার্ভারের সমস্যা জনিত কারণে সারাদিন বসে থেকেও বিক্রি হল না ধান। প্রশ্নের মুখে মিলারদের (রাইস মিল) ভূমিকাও।

    চূড়ান্ত ভোগান্তির সম্মুখীন (Paddy Procurement)

    মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাটল এলাকায় সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রের সামনে ওই বিক্ষোভ হয়। চাষিদের অভিযোগ, তাঁরা দূর-দূরান্ত থেকে এসেছিলেন ধান বিক্রির জন্য। ধান নিয়ে আসার জন্য যথেষ্ট খরচও হয়েছে। এই ধান বিক্রির (Paddy Procurement) অর্থের ওপর নির্ভর করে তাঁরা পরবর্তী চাষের খরচ জোগাবেন। কিন্তু সকাল থেকে বসে থেকেও তাঁরা বিক্রি করতে পারছেন না ধান। কারণ ওই ধান ক্রয় কেন্দ্রের ম্যানেজার জানাচ্ছেন, মেশিন এবং সার্ভারের সমস্যা রয়েছে। যার ফলে চূড়ান্ত ভোগান্তির সম্মুখীন হন চাষিরা। যদিও জানা গেছে পরবর্তীতে স্লিপ দিয়ে ধান নেওয়া হয়েছে। চাষিদের আরও অভিযোগ, ধান বিক্রি করতে গেলে প্রতি কুইন্টালে যে ৫ কেজি করে ধলতা দিতে হচ্ছে মিলারদের। অর্থাৎ ওই সরকারি কেন্দ্রে ধান ক্রয় করছেন যে রাইস মিল মালিকরা, তাঁরাই এই ধলতা নিচ্ছেন। কিন্তু প্রতি কুইন্টালে এই অতিরিক্ত পাঁচ কেজি ধান দেওয়ার কোনও নিয়ম নেই। এতে আধিকারিকদেরও যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ। এই নিয়েই রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন চাষিরা।

    তৃণমূল নেতাদের কাটমানি দেওয়ার জন্য?

    এদিকে ৫ কেজি ধান তৃণমূল নেতাদের কাটমানি দেওয়ার জন্য, খাদ্য-দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা বিজেপির। পাল্টা সাফাই তৃণমূলের। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সমগ্র ঘটনা নিয়ে বিজেপির দাবি, তৃণমূল নেতারা এখান থেকেও কাটমানি নেয়। তাই ৫ কেজি করে অতিরিক্ত ধান দিতে হচ্ছে। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারি প্রসঙ্গেও খোঁচা। যদিও পাল্টা তৃণমূলের দাবি, চাষিদের কথা মমতা ব্যানার্জির সরকার ভাবে। তাই ন্যায্য মূল্যের ধান ক্রয় কেন্দ্র (Paddy Procurement) করা হয়েছে। সমস্যা হলে সেটা তাঁরা মিল মালিকদের বলবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bhatpara: বোর্ড মিটিংয়ে তুমুল অশান্তি, উঠল চেয়ারপার্সনের পদত্যাগের দাবি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Bhatpara: বোর্ড মিটিংয়ে তুমুল অশান্তি, উঠল চেয়ারপার্সনের পদত্যাগের দাবি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কাউন্সিলাররা। বোর্ড মিটিংয়ের মধ্যেই পুরসভার চেয়ারপার্সন রেবা রাহার পদত্যাগ দাবি করেছেন দলেরই কাউন্সিলার সত্যেন রায়। পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক কাউন্সিলার এবং সিআইসি। সবমিলিয়ে এদিন বোর্ড মিটিংকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে  প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কাউন্সিলাররা দুটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত  (Bhatpara)

    ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভায় মোট আসন সংখ্যা ৩৩ টি। সবকটি আসনে তৃণমূল জয়লাভ করেছে। এই পুরসভায় বিরোধী কাউন্সিলার বলে কেউ নেই। স্বাভাবিকভাবেই পুরসভায় উন্নয়নমূলক কাজের গতি পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু, বাস্তবেই হয়েছে উল্টোটা। কাউন্সিলাররা দুটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অনুগামী রয়েছেন বেশ কিছু কাউন্সিলার। জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের রয়েছে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলার। পুরসভার বোর্ড গঠনের পর থেকেই দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব চলছেই। বেশ কয়েক মাস আগে তৃণমূল কাউন্সিলার সত্যেন রায়কে পুরসভার মধ্যে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে দলেরই অন্যগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। যা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় হয়েছিল ভাটপাড়ার রাজনীতি। পুরসভার বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ এবং কাউন্সিলরদের গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন সত্যেনবাবু। সেই ধারাবাহিকতা এখনও বজায় রয়েছে পুরসভায়।

    বৈঠকে কী নিয়ে অশান্তি?

    বুধবারই পুরসভায় ছিল সিআইসি বৈঠক। সেই বৈঠকে সিআইসি সদস্যরা চেয়ারপার্সনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে তাঁরা বিস্তর অভিযোগ জানান। সিআইসি সদস্যদের না জানিয়েই কাজকর্ম হচ্ছে পুরসভায়। বৈঠকে সিআইসি সদস্যরা সরব হন। বৈঠক চলাকালীন সিআইসি সদস্যরা মিটিং বয়কট করেই  বেরিয়ে যান। ফলে, মাঝ পথে মিটিং ভেস্তে যায়। বৃহস্পতিবার ছিল বোর্ড মিটিং। সেই মিটিংয়ে দুই কাউন্সিলার হাজির ছিলেন। বৈঠক চলাকালীনই সত্যেন রায় পুরসভার চেয়ারপার্সনের পদত্যাগ দাবি করেন, তাঁকে চেয়ারপার্সনের অনুগামীরা থামাতে গেলে বাকবিতণ্ডা বাধে। এরই মাঝে সিআইসি পূর্ত অরুণ ব্রহ্ম বলেন, আমার দফতরের কাজ পুরসভা এলাকায় হচ্ছে। অথচ পুরসভার সিআইসি সদস্য হিসেবে আমি সেই কাজ কি হচ্ছে তা জানতে পারছি না। কাজ হয়ে যাবার পর আমাকে দিয়ে ফাইলে সই করানো হচ্ছে। এটা চলতে পারে না।

    তৃণমূল বিধায়ক কী বললেন?

    জগদ্দল তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভায় যা উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে তা আগে কখনও হয়নি। কিছু মানুষ পুরসভার কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share