Tag: tmc

tmc

  • South 24 Parganas: জয়নগর হত্যাকাণ্ডে ধৃত দুষ্কৃতীর দাবি, ‘গুলি করেছিল সাহাবুদ্দিন’

    South 24 Parganas: জয়নগর হত্যাকাণ্ডে ধৃত দুষ্কৃতীর দাবি, ‘গুলি করেছিল সাহাবুদ্দিন’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়নগরের (South 24 Parganas) তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করের খুনে ধৃত শাহরুল শেখ বারুইপুর আদলাত থেকে বেরিয়ে দাবি করল, ‘গুলি আমি চালাইনি। খুনের নির্দেশ দিয়েছিল নাসির। গুলি করেছিল সাহাবুদ্দিন।’ অভিযুক্তের বক্তব্যে ঘটনার মোড় এখন কোন দিকে নেয় তাই দেখার। কিন্তু নতুন নাম উঠে আসা নাসির কে? যদিও পুলিশের কাছে বিষয়টা স্পষ্ট নয়।

    ধৃত শাহরুল কী বলল?

    কালীপুজোর রাতে সইফুদ্দিন খুন হওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত জয়নগরের বামনগাছি। তৃণমূল নেতার হত্যার ঘটনায় গোটা গ্রামকে আগুনে পোড়ানোর তাণ্ডব লীলা চালানো হয়েছিল। মানুষ গ্রাম ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। অপরে খুনের অভিযোগে ঘটনার সময় পালানোর সময় শাহরুল ধরা পড়েছিল। অপর দিকে সাহাবুদ্দিন নামক আরও একব্যক্তি গণপিটুনিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল। এই মৃত সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী জানিয়েছেন, স্বামীও তৃণমূল কর্মী ছিল। এরপর পুলিশ তদন্ত করে জিজ্ঞসাবাদ শুরু করে শাহরুলকে। তাকে মঙ্গলবার আদালতে তুললে সে বলে, “নাসির খুন করার নির্দেশ দিয়েছিল।” কিন্তু এই নাসির কে? উত্তরে শাহরুল শুধু ‘বড় ভাই বড় ভাই’ উচ্চারণ করে। সেই সঙ্গে শাহরুল আরও স্পষ্ট করে বলে, “গুলি আমি চালাইনি, গুলি করেছিল সাহাবুদ্দিন”

    শাহরুল ১০ দিনের জেল হেফাজত

    তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সইফুদ্দিন লস্করের খুনে ধৃত শাহরুল শেখকে আজ পুলিশ বারুইপুর আদালতে তোলা হয়েছিল। বিচারকের কাছে পুলিশ, ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে রাখার জন্য আবেদন করে। কিন্তু বিচারক, শাহরুলকে ১০ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২৪ নভেম্বর তাকে আবার আদালতে পেশ করা হবে। অভিযুক্তের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে তাকে যেন শারীরিক অত্যাচার না করা হয়।

    জেরায় কী জানা গিয়েছে?

    ধৃত শাহরুলকে জেরা করে খুনের ঘটনা বিষয়ে জানতে পরেছে পুলিশ। তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিনের সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখতো সে। পাশের একটি বাড়িতেই থাকত শাহরুল। তার বাড়ি ডায়মন্ড হারবারের নেতাড় এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে আগে সে চুরির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। দর্জির কাজ করলেও মাত্র কয়েকদিন আগেই চুরির কাজ পায়। এরপর বামনগাছিতে চলে আসে। তৃণমূল নেতাকে খুনের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল সে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী খুনের ছক করা হয়। ফলে খুনে যে তার ভূমিকা ছিল তাও পরিষ্কার হয় পুলিশের কাছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: লাখ টাকায় ভাড়াটে শার্প শ্যুটার দিয়ে খুন! জয়নগরকাণ্ডে তিনটি মামলা রুজু

    South 24 Parganas: লাখ টাকায় ভাড়াটে শার্প শ্যুটার দিয়ে খুন! জয়নগরকাণ্ডে তিনটি মামলা রুজু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়নগরের (South 24 Parganas) তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করার পিছনে রয়েছে ভাড়াটে শার্প শ্যুটার। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা প্রথমে এমনটাই আন্দাজ করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের জন্য এক লাখ টাকা সুপারি দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূল নেতাকে খুনের আগে রীতিমতো রেইকি করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় আতঙ্ক এলাকায়।

    খুন করেছে ভাড়াটে খুনি (South 24 Parganas)

    পুলিশের আন্দাজ সম্ভাব্য ভাড়া করে বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ে আসা হয়েছিল। গত কয়েকদিন ধরেই সুইফুদ্দিন ভোর বেলায় নামা পড়তে যাচ্ছিলেন। দুষ্কৃতীরা তাঁর গতিবিধির উপর বিশেষ নজর রেখেছিল। এরপর তাঁকে কালীপুজোর দিন ভোর বেলায় একদম কাছ থেকে ঘাড়ে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। খুনের নমুনা সংগ্রহ করে ঘটনায় বহিরাগত দুষ্কৃতীদের হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। জয়নগরের (South 24 Parganas) এই ঘটনায় পুলিশ মোট তিনটি মামাল রুজু করেছে। যার একটি মামলা হল সইফুদ্দিনের খুনের মামলা, দ্বিতীয়টি হল সাহাবুদ্দিন শেখের পিটিয়ে মারার মামলা এবং তৃতীয় হল গ্রামের একের পর এক বাড়ি পড়ানোর মামলা। পুলিশের দাবি ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।

    ঘটনা কীভাবে ঘটেছিল?

    এ যেন একেবারে বগটুইয়ের ছায়া। তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুন হওয়ার পর গোটা গ্রামকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ঘরের মধ্যে আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন বেশ কয়েজন শিশু, মাহিলা এবং পুরুষ। ঠিক একই ভাবে জয়নগরের (South 24 Parganas) দোলুয়াখাঁকির নস্কর পাড়া এলাকায় তৃণমূল নেতা খুনকে কেন্দ্র করে প্রচুর ঘরবাড়িতে চেলেছে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ড এবং তাণ্ডবলীলা। গোটা গ্রাম জুড়ে এতটাই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল যে, অনেকেই ঘর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। বামনগাছি অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সইফুদ্দিন লস্কর হত্যা হলে শুরু হয়ে যায় তৃণমূল দুষ্কৃতীদের আক্রমণ। সইফুদ্দিনকে দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে গুলি করেছিল। শব্দ শুনে আশেপাশের মানুষ ছুটে আসেন। এরপর তাঁকে নিকটবর্তী পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে জানা যায়। অপর দিকে প্রথমে হামলাকারীরা সিপিএম সমর্থক জানা গেলেও, সিফুদদ্দিনকে গুলি করে পালানোর সময় দুইজন হাতনাতে ধরা পড়লে পিটুনিতে মারা যান সাহাবুদ্দিন নামক এক ব্যক্তি। পরে অবশ্য মৃত সাহাবুদ্দদিনের স্ত্রী বলেন, তাঁর স্বামী তৃণমূল কর্মী ছিলেন। ফলে হামলা, হত্যা এবং গ্রামে আগুন দেওয়ার ঘটনা কার্যত শাসক তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ফল নয় তো? এটাই এখন আলোচনার কেন্দ্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: লালকেল্লায় পতাকা তুলছেন ‘প্রধানমন্ত্রী মমতা’! পুজোতেও ভরপুর রাজনীতি তৃণমূলের

    Kali Puja 2023: লালকেল্লায় পতাকা তুলছেন ‘প্রধানমন্ত্রী মমতা’! পুজোতেও ভরপুর রাজনীতি তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর থিমেও ভরপুর রাজনীতির ছোঁয়া। বর্ধমানে সেই রকম একটি কালীপুজোর (Kali Puja 2023) থিম নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের সূত্রপাত দেখা দিয়েছে। কালীপুজোর প্যান্ডেলে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রীর সাজে। তিনি স্বয়ং লালাকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করছেন। সেই সঙ্গে পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতাকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দিল তৃণমূল কীভাবে? আর এই থিমের বিষয় নিয়েই ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিজেপি বলেছেন, এই থিম সনাতনী বিরোধী।

    থিমে রাজনীতি (Kali Puja 2023)

    কালীপুজোর (Kali Puja 2023) থিম নিয়ে জেলায় জেলায় তীব্র উন্মাদনা দেখা দিয়েছে। সকল ক্লাব, বারয়ারি, এবং ব্যবসায়ী সমিতির কালীপুজোগুলি অমাবস্যার রাতে বর্ণাঢ্য আলোকসজ্জায় সজ্জিত হয়েছে। কোথাও কেদারনাথ, কোথাও দক্ষিণ ভারতের মন্দির আবার কোথাও ধরা পড়েছে ভুটানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের চিত্র। কিন্তু একমাত্র ব্যতিক্রমী বর্ধমানের (Kali Puja 2023) এক কালীপুজোর থিম। এই দিন দেখা গেল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর মডেল রূপে সাজানো হয়েছে। বিতর্ক এখানেই যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী লালকেল্লায় ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করছেন। যদিও এই কালীপুজোর মণ্ডপের থিম লালাকেল্লা, তার একজায়গায় লেখা রয়েছে ইন্ডিয়া ১৫ অগাস্ট, ২০২৪।

    কালীপুজোর কমিটির বক্তব্য

    বর্ধমান তৃণমূল কংগ্রেসের আইএনটিটিইউসির প্রাক্তন সভাপতি ইফতিকার আহমেদ ওরফে পাপ্পু বলেন, “বিজেপির ধর্মীয় বাতাবরণে দেশে বিভেদের রাজনীতি চলছে। সেই জায়গা থেকে বাংলার এই থিম (Kali Puja 2023) মানুষকে মুক্তির বার্তা দিচ্ছে। সাধারণ মানুষের মনের ইচ্ছাকে এই থিমের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। সকলেই চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হবেন।”

    বিজেপির বক্তব্য

    জেলার বিজেপির পক্ষ থেকে স্থানীয় বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র এই থিমের (Kali Puja 2023) বিরোধিতা করে বলেছেন, “সনাতনধর্মের মানুষদের একটা প্রধান পুজো হল কালীপুজো। কালীপুজোর মধ্যে রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। এই ধরনের থিমের আমদানীতে সনাতনী সমাজের মনে ব্যাপক আঘাত লেগেছে। ২০২৪ সালের লোকসভার ভোটে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন কোনও দিনই পূরণ হবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের, এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হল অনুব্রতকে, বাড়ছে কাজল গোষ্ঠীর দাপট?

    Anubrata Mondal: জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হল অনুব্রতকে, বাড়ছে কাজল গোষ্ঠীর দাপট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলায় জেলায় তৃণমূলের সাংগঠনিক পরিবর্তন হল আজকে। একাধিক সংগঠনিক জেলায় দলের জেলা সভাপতি পদে বদল আনা হয়েছে। বীরভূমের ক্ষেত্রেও সরানো হল অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। তবে জেলা সভাপতি পদে ওই জেলায় অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। সভাপতি পদের জায়গায় লেখা রয়েছে ‘কোর কমিটি টু কমিটি’। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১২ অগাস্ট গ্রেফতার করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত এই নেতা বর্তমানে বন্দি রয়েছেন দিল্লির তিহাড় জেলে। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মন্ডলের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলেরও। সুকন্যাও বর্তমানে বাবার (Anubrata Mondal) সঙ্গেই তিহাড় জেলে রয়েছেন। বীরভূম জেলায় দলের চেয়ারম্যান করা হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী আশীস বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

    বীরভূমে বাড়ছে কাজল গোষ্ঠীর প্রভাব!

    আগামী বছরে রয়েছে লোকসভার ভোট। তার আগে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কমিটির রদ-বদলে কেষ্টর নাম না থাকা রাজনৈতিকভাবে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে। একটি অংশ মনে করছে গরু পাচার মামলার কেষ্ট লম্বা কারাবাস হতে চলেছে এটা ধরে নিয়েই তাঁকে সরানো হল। অন্যদিকে, আরেকটি অংশের মতে, কেষ্টর (Anubrata Mondal) হাত থেকে ক্ষমতার ভরকেন্দ্র সরে যাওয়ার ইঙ্গিত গত পঞ্চায়েত ভোটেই দেখা গিয়েছে। যখন তাঁর বিরোধী নেতা কাজল শেখকে দায়িত্ব আনা হয়। তাই বীরভূম জেলা সভাপতি পদ থেকে কেষ্টর (Anubrata Mondal) সরে যাওয়াতে অনেকে কাজল শেখেরও হাত দেখছেন।

    একাধিক জেলায় বদল সভাপতি পদে

    অন্যান্য বেশ কিছু জেলাতেও রদবদল সামনে এসেছে। যেমন বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পদে সরানো হয়েছে আবু তাহের খানকে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পেয়েছেন অপূর্ব সরকার। বাঁকুড়া সংগঠনেও বড়সড় রদ বদল এনেছে তৃণমূল। সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্রকে, তাঁর বদলে এসেছেন অরূপ চক্রবর্তী। বিষ্ণুপুর সংগঠনিক জেলা সভাপতি পদে আনা হয়েছে বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। দার্জিলিং (পাহাড়) সাংগঠনিক জেলায় শান্তার ছেত্রীকে সভাপতি করেছে তৃণমূল। বসিরহাট সাংগঠনিক জেলায় চেয়ারপার্সন থেকে হাজি নুরুল ইসলামকে সভাপতি করা হয়েছে। সভাপতি থাকা সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেয়ারপার্সন করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: “রাজ্য পুরোপুরি অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে, মুক্ত করুন” কালীপুজোতে প্রার্থনা শিশিরের

    Purba Medinipur: “রাজ্য পুরোপুরি অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে, মুক্ত করুন” কালীপুজোতে প্রার্থনা শিশিরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের নিউ দিঘার (Purba Medinipur) এক কালীপুজোর উদ্বোধন করতে এসে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ব্যবসায়ি কমিটির শ্রী শ্রী শ্যামপুজোর শুভ সূচনা করেন তিনি। দীপান্বিতা কালী পুজোর অনুষ্ঠানে শ্যামা মায়ের কাছে প্রার্থনা করে বলেন, “রাজ্য পুরোপুরি অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে। বাংলাকে অন্ধকার থেকে মুক্ত করুন।” পাশাপাশি সেনা কর্মীদের হাতে মানপত্র তুলে দিয়ে বিশেষ সম্মান প্রদান করেন এই দীপাবলির অনুষ্ঠানে।

    কী বললেন শিশির অধিকারী (Purba Medinipur)

    নিউ দিঘায় (Purba Medinipur) কালীপুজোর শুভ সূচনা করে সাংসদ শিশির অধিকারী বলেন, “মা আমাদের অন্ধকার থেকে মুক্ত করুন, আমাদের খারাপ অবস্থা থেকে উদ্ধার করুন। বাংলা এখন পুরোপুরি ডুবে গিয়েছে। যেদিকে দেখি সে দিকেই শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার। চোখ খুললেই শুধু চুরি আর চুরি। চাল চুরি, আটা চুরি, গম চুরি, ডাল চুরি রাজ্যে লাখ লাখ টাকা চুরির কথা উঠে আসছে। রেশন কার্ডেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। এমন দিনের কথা আমরা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। বাংলা ও বাঙালিরা এই চুরি এবং দুর্নীতি থেকে মুক্তি পাক। সকলের মঙ্গল কামনা করি। মা কালী সকলকে এই কু-প্রভাব অন্ধকার সময় থেকে মুক্ত করুন। সর্বত্র আলোর বর্ষণ হোক। এই দিঘায় ব্যবসায়ীরা আরও বাণিজ্য লাভ করুক। সকলের সমৃদ্ধি কামনা করি।”

    তৃণমূলের সাংসদ হয়েও দুর্নীতিতে সরব

    খাতায় কলমে কাঁথির (Purba Medinipur) সাংসদ হলেন শিশির অধিকারী। যদিও তিনি বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। কিন্তু তবুও রাজ্য রাজনীতিতে শাসক দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আগেও। তিনি শাসক দলের দ্বারা গণতন্ত্রহরণ, সন্ত্রাস, বোমাবাজি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর উত্তপ্ত হলে বারবার শাসক দলের খারাপ কাজকে সমর্থন করেননি। সম্প্রতি বোর্ড গঠনে অংশ নিলে তাঁর গাড়িতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামালা করে বলে অভিযোগ উঠেছিল। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দুর্নীতিগ্রস্থ দলের হয়ে ভোট প্রদান করেননি বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের সামালোচনা করার জন্য দলের সঙ্গে দূরত্ব বৃদ্ধি হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও একটি কারণ হল রাজ্য বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা তিনি। আর এই পরিচয়টাও তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রীর কাছে প্রধান মাথা ব্যথা।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    সাংসদ শিশির অধিকারীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি (Purba Medinipur) বলেন, “শিশির বাবুর অনেক বয়স হয়েছে। তাঁর জীবন এখন অন্ধকারে নিমজ্জিত। মাথা ঠিক নেই তাঁর। আর তাই সরকারের বিরুদ্ধে এই সব কিছু বলছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের গাছ চুরি হাতেনাতে পাকড়াও! ক্ষোভ প্রকাশ সুকান্তর

    Dakshin Dinajpur: রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের গাছ চুরি হাতেনাতে পাকড়াও! ক্ষোভ প্রকাশ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে চোখে ধুলো দিয়ে বহু প্রাচীন সরকারি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে। হাতেনাতে পাকড়াও করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় বালুরঘাটের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কালাইবাড়ি এলাকায়। ঘটনার পরেই উদ্ধার হওয়া প্রায় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের গাছের গুড়িগুলি পঞ্চায়েত অফিসের সামনে এনে, বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) থানার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এই গাছের পাচার নিয়ে শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    গাছ চুরির অভিযোগ (Dakshin Dinajpur)

    দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কালাইবাড়ি এলাকায় রাতে দুটি গাছ বোঝাই ভুটভুটিকে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরতে দেখে স্থানীয়রা। যা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ হতেই গাছের গুড়ি বোঝাই ভুটভুটি দুটিকে আটক করে স্থানীয়রা। এরপর চলে ভুটভুটি চালকদের ঘেরাও করে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভও। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছে ভুটভুটি বোঝাই গাছের গুড়িগুলিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে বালুরঘাট থানার পুলিশ। বিক্ষোভকারী গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কালাইবাড়ি সংসদের স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী সঞ্জয় দাস গোপনে সরকারি ওই গাছগুলি হিলির তিওড়ের এক গাছ বিক্রেতার কাছে ৩২ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করেছে। এদিন হাতেনাতে ধরা পড়তেই ওই পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই সঙ্গে দাবি তোলা হয় গ্রেফতারিরও। যদিও এই ঘটনার কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা জ্যোৎস্না দাস।

    গ্রামবাসীর বক্তব্য

    স্থানীয় (Dakshin Dinajpur) ভুটভুটি চালক বলেন, “পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী সঞ্জয় দাস ৩২ হাজার টাকার বিনিময়ে গাছগুলি বিক্রি করেছেন। যেগুলি কাঠ মালিকের নির্দেশে তিওড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।” আবার গাছ পাচার বিষয়ে গ্রামবাসীরা বলেন, সরকারি গাছগুলি কার্যত পঞ্চায়েতকে অন্ধকারে রেখে পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী গোপনে বিক্রি করে দিয়েছে। যেগুলি তারা হাতেনাতে ধরে ফেলেছেন। যার বাজার মূল্য প্রায় একলক্ষ টাকার কাছাকাছি।”

    কী বললেন সুকান্ত?

    তৃণমূলের গাছ পাচার বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ (Dakshin Dinajpur) সুকান্ত মজুমদার তৃণমূলকে আক্রমণ করে বললেন, “তৃণমূলের পুরো দলটাই চোর। তৃণমূলের এক সদস্যার বর গাছ চুরি করে বিক্রি করতে চেয়েছিল। আমাদের কর্মীরা জানতে পেরে সেই গাছের গুড়িটিকে আটকায়। সেই সঙ্গে পুলিশ-বনদপ্তরকে খবর দিলে তাঁরা গাছের গুড়িটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কিন্তু তৃণমূল সদ্যসার বর আমাদের এক কর্মীকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমরা এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবো।”

    একই ভাবে ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির উপপ্রধান শিবু সরকার বলেন, “গাছগুলো সরকারি গাছ। পুলিশ তদন্ত করে চোরদের গ্রেফতার করুক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁয়াড় উডবার্ন ওয়ার্ডে যেতে চাইছেন বালু” কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁয়াড় উডবার্ন ওয়ার্ডে যেতে চাইছেন বালু” কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খেজুরির বাঁশগোড়া বাজার কমিটি আয়োজিত “শ্রীশ্রী কালীপুজো ও দীপাবলি” উৎসবের শুভ সূচনা করে সকলের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বালুর শরীর খারাপ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁয়াড় এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে যেতে চাইছেন।” পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, “সনাতনকে রক্ষা করতে পারলেই আমাদের উদ্বাস্তু হতে হবে না।”

    বালুকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আজ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “আমি মারা যাবো, অবস্থা খুব খারাপ।” এরপর বালুর শরীর খারাপ প্রসঙ্গে  শুভেন্দু বলেন, “এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ড হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁয়াড়। সেখানেই যেতে চাইছেন। ওখানে গেলে আদর-যত্ন ভালো পাবেন। আর এই জন্যই এমন করছেন। ওসব নাটক ছাড়া কিছুই নয়। ওঁর কিচ্ছু হয়নি।”

    খেজুরি নিয়ে কী বলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    খেজুরিতে কালীপুজোর শুভ সূচনা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “২০১০ সালে তৎকালীন সিপিএমের হার্মাদরা মানুষের গণতন্ত্রকে লুট করে গোটা খেজুরিতে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করে দিয়েছিল। সেই দিন আমি এলাকার রাস্তায় নেমে পদযাত্রা করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের চোর-গুন্ডারা সনাতন ধর্মের উপর আক্রমণ করলে মানুষের পাশে দাঁড়াবো। পুজো উদ্যোগতাদের বলব বাজারের খুচরো ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্সের টাকা যেন বৃদ্ধি না করা হয়। রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী ২ কোটি বেকার তৈরি করেছেন। এই রাজ্যের প্রায় ৫০ লাখ মানুষ অন্য রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিক হয়েছেন।”

    সনাতন ধর্ম নিয়ে কী বলেন শুভেন্দু?

    কালীপুজোর উদ্বোধন করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সনাতন ধর্মকে বারবার অপমান করেছেন। দুর্গাপুজোয় দেবী পক্ষের আগেই উদ্বোধন করে হিন্দু ধর্মের সম্মানহানি করেছেন তিনি। মন্ত্রের পাঠ এবং উচ্চারণ ভুল করে বিকৃত করছেন। তথাকথিত সেকুলারদের সনাতন ধর্মের উপর আক্রমণ করার সুযোগ করে দেন মাননীয়া। তাই বঙ্গে ভারতীয় সনাতনী মূল্যবোধ গীতা, উপনিষদ, বেদ, রামায়ণ, মহাভারতকে রক্ষা করতে হবে। ধর্মকে রক্ষা না করলে, ধর্মও মানুষকে রক্ষা করবে না।

    সনাতন ধর্ম রক্ষা এবং উদ্বাস্তু নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আফগানিস্তানে তালিবান শাসন চলছে। যাঁরা ধর্ম সংরক্ষণ করেছেন তাঁদের অনেককেই ভারতে পুনর্বসতি দেওয়া হয়েছে। আর যাঁরা ধর্ম ত্যাগ করেছেন তাঁদেরকে ধর্মও ত্যাগ করেছে। তাই এই কার্তিক মাসে আমাদের হিন্দু সনাতনী ভাবনার মূল্যবোধকে রক্ষা করতে হবে। দামোদর মাস, হরিনাম, বৈষ্ণব ভোজন, পূজা-পার্বণ করতে হবে। সেই সঙ্গে সনাতনীদের উপর আক্রমণ হলে সকলকে একত্রিত হতে হবে। এই কাজ করতে পারলেই ভারত কখনও ইউক্রেন, প্যালেস্টাইন বা লেবাবান হবে না। তাই আমরা সনাতনকে রক্ষা করলেই আর উদ্বাস্তু হবো না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের ,  এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বিজয়া সম্মেলনে তৃণমূলের গোষ্ঠদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! বিস্ফোরক হুমায়ুন কবীর

    Murshidabad: বিজয়া সম্মেলনে তৃণমূলের গোষ্ঠদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! বিস্ফোরক হুমায়ুন কবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরে তৃণমূল জেলা সভাপতির বিজয়া সম্মেলনে গরহাজির ছিলেন একাধিক দলের বিধায়ক। অসুস্থতার কথা বলে অনুপস্থিত ছিলেন জেলার সাংসদ। অবশ্য জেলার তৃণমূলের একাংশের নেতা-কর্মীদের বক্তব্য এই অনুপস্থিতি এক প্রকার অজুহাত ছিল। তবে এই প্রসঙ্গে বিস্ফোরক হলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তিনি তৃণমূলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বলেন, “ওঁকে জেলা সভাপতি বলে মনেই করিনা।” এই ঘটনায় মুর্শিদাবাদে ফের একবার গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এলো।

    প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (Murshidabad)

    তৃণমূল দলের কেন্দ্রীয় স্তর থেকে স্পষ্ট নির্দেশ ছিল দলের প্রত্যেক ব্লক স্তর পর্যন্ত দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিজায় সম্মেলন করতে হবে। বিধায়ক, ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি, টাউন সভাপতি, ওয়ার্ডের সভাপতি এবং অঞ্চলের নেতাদের এই বিজায়র সম্মলনে যোগদান করতে হবে। এখনও পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ জেলায় মোট ২৭ টি বিজয়া সম্মেলনের অনুষ্ঠান হয়। গতকাল শনিবার ছিল বহরমপুরে বিজায় সম্মেলন কিন্তু এই অনুষ্ঠানে তৃণমূল জেলা সভাপতি শাওনি রায়, রাজ্য সহ-সভাপতি মইনুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু বিজয়া সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না নওদার (Murshidabad) বিধায়ক শাহিনা মমতাজ এবং ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ফলে জেলায় ফের একবার হুমায়ুন কবীর বনাম শাওনি রায়ের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে।

    কী বললেন হুমায়ুন?

    বিজায় সম্মলনে উপস্থিত না থাকার কারণ হিসাবে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন, জেলার (Murshidabad) সভাপতি শাওনি রায়ের বিরুদ্ধে বলেন, “জেলা সভাপতির সঙ্গে আমার সম্পর্ক একদম ভালো নয়। তাই আমি যাইনি। জেলা সভাপতিকে পরিবর্তন করার বিষয়ে দলকে জানিয়েছি। দল নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে। তবে ওঁকে আমি জেলার সভাপতি বলে মানেই করিনা”

    জেলা সভাপতির বক্তব্য

    অপর দিকে মুর্শিদাবাদের তৃণমূল জেলা সভাপতি দলের কোন্দলকে অস্বীকার করে শাওনি রায় বলেন, “গত নির্বাচনগুলি আমরা একসঙ্গে নির্বাচনে লড়াই করছি। দলের সাফল্যের মূলে অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক বেশ ভালো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের ,  এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: নেতা-মন্ত্রীদের ভিড়ে আটকে পড়ল মুমূর্ষু রোগীর অ্যাম্বুল্যান্স! ক্লোজ পুলিশ আধিকারিক

    Jalpaiguri: নেতা-মন্ত্রীদের ভিড়ে আটকে পড়ল মুমূর্ষু রোগীর অ্যাম্বুল্যান্স! ক্লোজ পুলিশ আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মা মাটি সরকারের শাসক দল তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের ভিড়ে আটকে থাকলো মুমূর্ষু রোগীর অ্যাম্বুল্যান্স। তৃণমূল মানবিক! বার বার শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের ভাষণে শোনা যায়। কিন্তু কালীপুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ আটকে পড়ল সারি সারি গাড়ি। আর এই গাড়ির ভিড়ের মধ্যে আটকে গেল মুমূর্ষু রোগীর অ্যাম্বুল্যান্স। ঘটনায় ক্লোজ করা হল এক পুলিশ আধিয়ারিককে। ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়িতে।  

    কিন্তু প্রশ্ন হল শাসক দলের নেতাদের ভূমিকা নিয়ে। নাগরিক সমাজের প্রতি যদি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক নেতারা দায়িত্বশীল থাকেন, তাহলে এমন ঘটনার জন্য নেতা-মন্ত্রীদের কি কোনও শাস্তির বিধান রয়েছে? নাকি সব দায় আমলাদের? এই প্রশ্নই উঠছে ধূপগুড়িতে (Jalpaiguri) কালীপুজোর উদ্বোধন করতে আসা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহের ভূমিকা নিয়ে।

    নেতা-মন্ত্রীর ভিড়ে আটকে যায় অ্যাম্বুল্যান্স (Jalpaiguri)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহ কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন ধূপগুড়িতে। সঙ্গে ছিলেন জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপার। গাড়ির ভিড়ে রাস্তা জ্যাম হয়ে যায়। এই অবস্থায় রাস্তায় আটকে পরে এক অসুস্থ মুমূর্ষু রোগীর অ্যাম্বুল্যান্স। সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগী হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। আধ ঘণ্টার সময়ের বেশি সময় ধরে আটকে ছিলেন রাস্তায়। এরপর রোগীর পরিবারের লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ঘটনাস্থলে এলাকায় শতাধিক মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এরপরই ঘটনায় অভিযোগ জমা পড়লে ঘটনায় ক্লোজ হন এক পুলিশ আধিয়ারিক।

    জেলা শাসকের বক্তব্য

    জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার জেলা শাসক উমেশ খান্ডবাহালে বলেন, “বিকল্প রাস্তা খোলা ছিল। ওই রাস্তা দিয়ে অনেক গাড়ি চালাচল করছিল। প্রাথমিক ভাবে একজন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনায় কোনও চক্রান্ত হয়েছে কী না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের ,  এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: ‘৯০ শতাংশ তৃণমূল কার্যালয় খোলে না’, দলীয় সভায় আক্ষেপ করলেন অর্জুন

    Arjun Singh: ‘৯০ শতাংশ তৃণমূল কার্যালয় খোলে না’, দলীয় সভায় আক্ষেপ করলেন অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনীতে কর্মীদের রাজনীতির পাঠ শেখালেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। শুক্রবার শ্যামনগরের সুব্রত পল্লিতে তৃণমূলের তরফে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ অর্জুন।  তাঁর কথায়, আগামিদিনে নির্বাচন আছে। শত্রুকে কোনও দিন কমজোরি ভাববেন না। শত্রু কখনও কমজোরি হয় না। আর আবেগ দিয়ে রাজনীতি হয় না। যদি বুথে কর্মী সঠিক না থাকেন, ভোটার লিস্ট যদি আপনাদের মুখস্থ না থাকে, কে বিরোধী রাজনীতি করেন, তা যদি বুঝতে না পারেন, তা হলেই সমস্যা। মানুষের সঙ্গে ব্যবহার ঠিক রাখতে হবে।

    বিজেপি থেকে অনেক কিছু শিখেছি, স্বীকার অর্জুনের (Arjun Singh)

    অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, রাজনীতিতে সব সময় শিখতে হয়। আমি ভোট করতে শিখেছি। কংগ্রেস থেকে শিখে এসেছি। এমনকী, ভোটের রাজনীতি করতে গেলে বিজেপির কাছেও অনেক শিখতে হয়েছে। আমি শিখেছি। জ্ঞান নিতে গিলে মাস্টারমশাইয়ের জামার কলার ধরলে হবে না। মাস্টারমশাইকে প্রণাম করতে হবে। হাতজোড় করে জ্ঞান নিতে হবে।

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হানা নিয়ে কী বললেন অর্জুন

    অর্জুন (Arjun Singh) বলেন, এজেন্সির সঙ্গে লড়তে গেলে নিজেদেরও ঠিক থাকতে হবে। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সেই অনুযায়ী চলতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে পদক্ষেপ করবেন, সেই অনুযায়ী আমাদের সবাইকে চলতে হবে।“দলের কিছু সদস্যের জন্য যদি সবাই অসুবিধার মধ্যে পড়েন, আমি মনে করি, সেই লোককে দলে না রাখাটাই ভাল। যে লোকটা দু’দিন আগে মানুষকে ভয় দেখিয়েছে, সেই মানুষ যদি বুথে বসে থাকে, মানুষ অন্য কাউকে ভোট দেবেন। তাই আমাদের নজর রাখতে হবে। কোনও নাককাটা, গালকাটা বা কানকাটাকে বুথে বসতে দেওয়া যাবে না। সভ্য, ভদ্র মা-দিদি কাউন্সিলর যাঁরা ছিলেন, তাঁদের বুথে ফিরিয়ে আনুন।

     তৃণমূলের ৯০ শতাংশ পার্টি অফিস খোলেই না, আক্ষেপ অর্জুনের

    অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, এখন তো আমরা পানের দোকান, চায়ের দোকানে বসতেই ভুলে গিয়েছি। পাড়ায় আড্ডা মারছি না। ভেবে নিয়েছি, সবাই আমাদের ভোট দিয়ে দেবেন। আমাদের এই অঞ্চলে ৯০ শতাংশ পার্টি অফিস খোলেই না। কিন্তু অফিসে বসুন। সময় দিন। আমি কিন্তু এলাকায় থাকলে অফিসে বসি। মানুষের সমস্যা শুনতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share