Tag: tmc

tmc

  • TMC: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে কুলপির বিরোধী তিন প্রার্থীকে অপহরণ! অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে কুলপির বিরোধী তিন প্রার্থীকে অপহরণ! অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়তে আইএসএফের জয়ী দুই প্রার্থী এবং কংগ্রেসের এক প্রার্থীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি বিধানসভার গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। কংগ্রেস ও আইএসএফের জয়ী প্রার্থীজোট এই পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। তাই বিরোধীদের তিনজনকে নিয়ে তৃণমূল (TMC) সেই পঞ্চায়েত দখল করতেই এমন আচরণ করছে বলে অভিযোগ।

    কেন বিরোধীদের তিন সদস্যকে তুলে নিয়ে গেল তৃণমূল (TMC)?

    জানা যায়, কুলপি বিধানসভার গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ১৫টি। নির্বাচনে ৬ টি আসনে কংগ্রেস প্রার্থীরা জয়ী হন। তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস পেয়েছে ৫ টি, আইএসএফ ২টি, বিজেপি ১টি, সিপিআইএম ১টি আসন পেয়েছে। পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে দরকার ৮ জন সদস্য। কিন্তু, তৃণমূল কংগ্রেস মোট পাঁচটি আসনে জয় লাভ করায় তাদের পক্ষে বোর্ড গঠন করা সম্ভব নয়। তাই আইএসএফের দুই জয়ী প্রার্থী এবং কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী মোজাফফর মোল্লাকে তুলে নিয়ে গিয়েছে শাসক দলের গাজিপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম মোল্লা। এমনটাই অভিযোগ দুই রাজনৈতিক দলের কর্মকর্তাদের।

    কী বললেন আইএসএফ নেতৃত্ব?

    আইএসএফের ব্লক নেতৃত্বের অভিযোগ, গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে শাসক দল (TMC) বোর্ড গঠন করতে না পেরে আইএসএফ  ও কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীদের বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তা নেওয়া হয়নি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিরুদ্ধে ওঠা  অভিযোগ অস্বীকার করেন গাজিপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম মোল্লা। তিনি বলেন, কাউকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়নি। তাঁরা স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। নিখোঁজ জয়ী প্রার্থীদের খোঁজ না মিললেও জয়ী প্রার্থীরা ভিডিও বার্তার মাধ্যমে জানান, তাঁরা নিরাপদ জায়গায় রয়েছেন এবং নিজেদের ইচ্ছায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন। অবশ্য জয়ী বিরোধী দলের ৩ পঞ্চায়েত সদস্য কোথায় রয়েছেন, তার হদিশ নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: মারধর করে বিজেপি কর্মীর চোখ নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    South 24 Parganas: মারধর করে বিজেপি কর্মীর চোখ নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট মিটলেও সন্ত্রাস কমেনি বিন্দুমাত্র। জেলায় জেলায় (South 24 Parganas) বিরোধীদের ওপর হামলা চলছেই। এখনও ঘরছাড়া বহু বিজেপি কর্মী। সাত-আটমাসের শিশুদের নিয়েও বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের জেলা অফিসে আশ্রয় নিতে দেখা গিয়েছে। ফের একবার বিজেপির বুথ সভাপতিকে মারধর করে চোখ নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে। রায়দিঘির খাঁড়ি শাসন (South 24 Parganas) এলাকায় এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, একই ঘটনা ঘটেছিল ঠিক পঞ্চায়েত ভোটের আগে। আহত বিজেপির বুথ সভাপতির নাম গোপাল অধিকারী বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    আহত বিজেপির বুথ সভাপতির অভিযোগ, রবিবার রাতে রায়দিঘির খাঁড়ি শাসন পাড়ায় (South 24 Parganas) হঠাৎই তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা দলবল নিয়ে গোপাল অধিকারীর উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে গোপাল অধিকারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সোমবার রায়দিঘি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপির বুথ সভাপতি। অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুন: ‘উত্তরবঙ্গের প্রতি ফোকাসটা কম, পিছিয়ে পড়া মনে হয়’, একী বললেন তৃণমূলের মেয়র গৌতম দেব

    কী বলছেন আক্রান্ত?

    আক্রান্ত গোপাল অধিকারীর ডান চোখে ব্যাপক আঘাত লেগেছে। রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে চোখের আশেপাশে। হাসপাতালে বসে থেকে গোপাল বলেন, ‘‘আনোয়ার হোসেনের লোকজন দল বেঁধে হামলা চালায় আমার ওপর। পঞ্চায়েত ভোট থেকেই আমাকে টার্গেট করেছে ওরা। সেসময় এলাকায় বোমাবাজি করে চলে যায় ওরা। তবে ভোটের পরে দেখে নেওয়ার হুমকি তারা দিচ্ছিল। এদিন তারা আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে চোখে ঘুষি চালাতে থাকে। আমি বারবার বলার চেষ্টা করেছিলাম, আমি তো তোমাদের কোনও ক্ষতি করিনি, কিন্তু তাও ওরা মারতে থাকে আমাকে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: রানিনগরে কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, বাড়িতে বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: রানিনগরে কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, বাড়িতে বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে ওই কংগ্রেস কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার রানিনগর থানার ডেপুটিপাড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, জখম কংগ্রেস কর্মীর নাম রেন্টু শেখ। তাঁকে রানিনগর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    কেন হামলা?

    রানিনগর এলাকায় ডেপুটিপাড়া এলাকায় এবার কংগ্রেস তথা জোট প্রার্থীর কাছে তৃণমূল হেরে যায়। এরপর থেকেই তৃণমূলের (TMC) লোকজন এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে। কংগ্রেস কর্মীদের বাড়ির সামনে তৃণমূলের লোকজন জমায়েত করত বলে অভিযোগ। সেখান থেকে মাঝে মধ্যে হুমকিও দেওয়া হত। রবিবার রাতে রেন্টু শেখ নামে কংগ্রেস কর্মীর বাড়়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয়। পরে, কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে প্রথমে রানিনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে, অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে  মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেছে। গুলি ও বোমায় তাঁর একটি পা ও হাত গুরুতরভাবে জখম হয়েছে।

    কী বললেন জখম কংগ্রসে কর্মীর পরিবারের লোকজন?

    জখম কংগ্রেস কর্মী রেন্টু শেখের স্ত্রী বলেন, ভোটে এই গ্রামে জোট প্রার্থীর জয় হওয়ার পর থেকেই বাড়ির সামনে তৃণমূলের (TMC)  লোকেরা জমায়েত করত। রবিবার রাতে হঠাৎ আমাদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি ও গুলি করা হয়। তাতেই আমার স্বামী জখম হয়েছে। ওই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতাদের বক্তব্য, কংগ্রেস কর্মীরাও তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করেছে। তাতে আতর আলি শেখ নামে তৃণমূল এক কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    ফরাক্কায় বোমা উদ্ধার

    ফের মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় বিপুল পরিমাণে বোমা উদ্ধার। বাজেয়াপ্ত করা হল বোমা তৈরির মশলাও। সোমবার সকালে ফরাক্কা থানার মহেশপুর পঞ্চায়েতের শিবতলা এলাকা থেকে বোমা ও মশলা উদ্ধার করে সিআরপিএফ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: সুতিতে তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধানকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুনের চেষ্টা, এলাকায় শোরগোল

    TMC: সুতিতে তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধানকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুনের চেষ্টা, এলাকায় শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধানকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সুতি থানার  উমরাপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, জখম তৃণমূল নেতার নাম মুজিবর রহমান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যেই জখম তৃণমূল নেতার পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    মজিবরসাহেব ২০১৩ সালে তৃণমূলের উমরাপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। পরে, তিনি পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। এবারও তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী ছিলেন। তবে, তিনি পরাজিত হন। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জমি সংক্রান্ত বিবাদ নিয়ে এলাকায় গণ্ডগোল হয়েছিল। তৃণমূল নেতা হিসেবে তিনি গণ্ডগোলের মীমাংসা করতে যান। সেখানে দুপক্ষকে নিয়ে সমস্যার সমাধানও করেন। পরে, তিনি বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীরা তাঁর পথ আটকায়। এরপরই ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালেই তিনি এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) সুতি -২ ব্লকের সভাপতি লতিফুর রহমান বলেন, বাড়ি ফেরার পথেই দলীয় নেতার উপর হামলা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে তাঁকে খুন করার জন্যই কংগ্রেস এই হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনার পিছনে দলের কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই। এই ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা করছি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    হামলার ঘটনায নিয়ে কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই তৃণমূল চারিদিকে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। আর দলের কোন্দল তো রয়েছে। বিরোধীরা হামলা চালাবে তা হতে পারে না। আসলে এই হামলার পিছনে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে। আমরা চাই, অবিলম্বে হামলাকারীদের পুলিশ গ্রেফতার করুক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Murder: ইসলামপুরে বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ হাইজ্যাকের অভিযোগ পুলিশ ও ব্যবসায়ী সমিতির বিরুদ্ধে

    BJP Murder: ইসলামপুরে বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ হাইজ্যাকের অভিযোগ পুলিশ ও ব্যবসায়ী সমিতির বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বস্ত্র ব্যবসায়ী তথা বিজেপি কর্মী অসীম সাহা হত্যার (BJP Murder) ঘটনায় উত্তপ্ত ইসলামপুর। রবিবার বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ হাইজ্যাকের অভিযোগ উঠল পুলিশ ও ব্যবসায়ী সমিতির বিরুদ্ধে। খুনের ঘটনা সামনে আসতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি নেতৃত্ব। শনিবার ইসলামপুরে ৩১ নং জাতীয় সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। শনিবার রাতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রবিবার ১২ ঘণ্টা ইসলামপুর বনধের ডাক দেয় বিজেপি নেতৃত্ব। এদিকে রবিবার সকাল থেকেই কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সে কারণে গোটা ইসলামপুর জুড়ে মোতায়েন ছিল বিরাট পুলিশ বাহিনী। বিজেপির জেলা সহ সভাপতি সুরজিৎ সেন জানান, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা, দিনে-দুপুরে এভাবে অসীমের খুনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ১২ ঘণ্টা বনধ ডাকা হয়েছে। এই বনধে কোনওরকম পিকেটিং করা হয়নি।

    অপরদিকে, তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘অসীমের মৃত্যুর (BJP Murder) ঘটনা আকাঙ্ক্ষিত নয়। তবে এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও যোগ নেই। কারণ অসীম কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। যদি যুক্ত থাকত তাহলে কোনও না কোনও রাজনৈতিক মঞ্চে তাকে দেখা যেত। আর যে এই ঘটনায় অভিযুক্ত, তার সঙ্গেও কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই। বিজেপি মিথ্যা অভিযোগে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে বলে দাবি করেন তিনি।

    রবিবারের ঘটনাক্রম…

    পরবর্তী সময়ে, কোচবিহার থেকে মৃত অসীম সাহার (BJP Murder) বাবা তপনকুমার সাহা তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে ইসলামপুরে আসেন। তিনি মহঃ তফিক ও মহঃ সাহিল সহ তাদের সহযোগীদের নামে ইসলামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ছেলেকে যারা খুন করেছে তাদের শাস্তি হোক। তবে ছেলে কোনও দলের সাথে যুক্ত  কিনা, তা তিনি জানেন না।
    যদিও বিজেপির সহ সভাপতি সুরজিত সেন সহ কর্মীরা তাদের সঙ্গে নিয়ে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁদের দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। অপরদিকে, নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর অসীম সাহার মৃতদেহ (BJP Murder) নিয়ে শিলিগুড়ি থেকে ইসলামপুর অভিমুখে রওনা দেন তাঁর মামা রতন সাহা ও বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর বন্দোবস্ত করা হয়। যদিও ইসলামপুর আসার সময় শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকায় পুলিশ এবং ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা গাড়ি আটকে মৃতদেহ সরাসরি বাড়িতে নিয়ে যায়। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, মৃত অসীম সাহাকে শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য প্রথমে ইসলামপুরে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও, মৃত অসীমের মামাকে ভয় দেখিয়ে তৃণমূলের মদতপুষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠনের কিছু সদস্য এবং ইসলামপুর থানার পুলিশ কার্যত ‘হাইজ্যাক’ করে মৃতদেহ (BJP Murder) নিয়ে যায়। মৃতদেহ তাঁর মামাবাড়িতে নিয়ে আসা হলে শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা এলাকায়। অসীমের মা-বাবা এবং বোনকে দলীয় কার্যালয় থেকে তার মামা বাড়িতে নিয়ে আসে বিজেপি নেতৃত্ব।  অপরদিকে, ঘটনাস্থলে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালও পৌঁছান।

    কী বলছে তৃণমূল-বিজেপি?

    বিজেপির শহর সভাপতি জ্যোতির্ময় শেঠ বলেন, ‘‘নিহত অসীম সাহা আমাদের কর্মী ছিলেন। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল জেলা কার্যালয়ে। সেখানে তাঁর মা-বাবা-বোনও ছিল। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন এবং তৃণমূলের মদতপুষ্ট ব্যবসায়ী সমিতির কিছু সদস্য তার মামাকে ভয় দেখিয়ে সেখানে যেতে দেয়নি। আমরা খবর পেয়ে তার মা-বাবা ও বোনকে মামাবাড়িতে নিয়ে এসেছি। পুলিশ প্রশাসন এত কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে আমাদের কর্মীর মৃতদেহ সৎকারের জন্য, এমনটা যদি পঞ্চায়েত নির্বাচনে করত তাহলে অনেক ভাল হত।’’ অপরদিকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘শেষ শ্রদ্ধা (BJP Murder) জানাতে এসেছি। এটা কোনও রাজনৈতিক মঞ্চ নয়। তাই এ বিষয়ে এখন কোনও মন্তব্য করবো না।’’ এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক টানাপোড়েনে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা ইসলামপুর জুড়ে। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনায় অভিযুক্ত মহঃ সাহিলকে ইতিমধ্যেই ইসলামপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে এবং তাকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দলেরই প্রাক্তন সদস্যাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মার, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: দলেরই প্রাক্তন সদস্যাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মার, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন সদস্যাকে বিবস্ত্র করে পেটানোর অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর করা হয়েছে বাড়ি। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বড়ঞায়। তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্যা এবার টিকিট না পেয়ে নির্দলকে সমর্থন করেছিলেন। শনিবার তারা কংগ্রেসে যোগ দেন। আর তারপরই এদিন তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    আক্রান্ত মহিলা ২০১৮ সালে এই এলাকায় তৃণমূলের (TMC)  পঞ্চায়েত সদস্যা ছিলেন। এবার দলের পক্ষ থেকে তিনি টিকিট পাননি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী দাঁড়ায়। শাসক দলের প্রাক্তন সদস্যা সহ বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা শাসক দলের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্দল প্রার্থীকে তাঁরা সমর্থন করেন। ভোটের পর নির্দল অনুগামীরা সকলেই কংগ্রেসে যোগ দেন। তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্যাও কংগ্রেসে যোগদান করেন। আর এতেই এলাকার তৃণমূল কর্মীদের সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে ওই প্রাক্তন সদস্যার উপর। এদিন দুপুরে তারা এলাকায় বসেছিলেন। আচমকা তৃণমূলের লোকজন দল বেঁধে এসে হামলা চালায়। তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্যাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক পেটানো হয়। চোখের সামনে হামলা চালাতে দেখে দুজন কংগ্রেস কর্মী বাঁচাতে যান। তৃণমূলের হামলায় তাঁরাও গুরুতর জখম হন। আক্রান্ত কংগ্রেস কর্মীর নাম মহম্মদ বজরুল কেরিম এবং গোলাম সেখ। ঘটনায় ওই মহিলা সহ তিনজন কংগ্রেস কর্মীকে গুরুতর জখম অবস্থায় প্রথমে বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে, চিকিৎসকেরা তাঁদের কান্দি মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।

    কী বললেন আক্রান্ত তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্যা?

    আক্রান্ত তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন সদস্যা বলেন, ২০১৮ সালে আমি তৃণমূলের সদস্যা ছিলাম। এখন আমরা নির্দলকে সমর্থন করেছিলাম। পরে, কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি। এটাই আমাদের অপরাধ। তারজন্য তৃণমূলের লোকজন আমাকে বিবস্ত্র করে সকলের সামনে পিটিয়েছে। বাড়ি ভাঙচুর করেছে। আমাকে বাঁচাতে এসে দুজন আক্রান্ত হয়ছেন। তৃণমূল সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতা মাহে আলম বলেন, পারিবারিক গণ্ডগোল। এরসঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। ওরা আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: ভোট বিজেপিতে, তাই হচ্ছে না রাস্তা! প্রতিবাদে অবরোধ করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

    Purba Bardhaman: ভোট বিজেপিতে, তাই হচ্ছে না রাস্তা! প্রতিবাদে অবরোধ করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি প্রভাবিত গ্রাম। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও শাসক বিরোধী ভোট পড়েছে বিজেপিতে। ঠিক এই অভিযোগে রাস্তা সারাইয়ে দ্বিচারিতা রাজ্যের তৃণমূল সরকারের। আর তাই বেহাল রাস্তা সারানোর দাবিতে অবরোধ করলেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। রবিবার ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) বুদবুদের চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতের বনগ্রাম ও গোমহল এলাকায়।

    মূল সমস্যা কী (Purba Bardhaman)?

    বুদবুদের চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতের (Purba Bardhaman) ডিভিসি ক্যানালের লকগেট থেকে পান্ডুদহ সেতু পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তা। সেচ ক্যানালের পাড়ে এই রাস্তার ওপর রয়েছে বনগ্রাম, গোমহল সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। এছাড়াও ওই রাস্তার ওপর নির্ভর করে রয়েছে কয়েকশো হেক্টর চাষজমিও। লাল মোরামের ওই রাস্তাটি একদশকের বেশি সময় ধরে বেহাল দশায়। খানাখন্দে ভর্তি। কোথাও আবার এক হাঁটু গর্ত। বৃষ্টিতে আরও বেহাল হয়ে পড়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীদের। বেহাল রাস্তায় সমস্যায় পড়তে হয় স্কুল পড়ুয়া থেকে রোগীদের। জানা গেছে, গত অর্থ বছরে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ থেকে ১ কিলোমিটার রাস্তা পিচ করার অনুমোদন দেয়। বাকি প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় আরও বেহাল হয়ে পড়েছে। এছাড়াও অভিযোগ, ওই রাস্তার ওপর দিয়ে অবৈধ বালি বোঝাই ট্রাক্টরের অবাধ আনাগোনা। দামোদর নদের শাঁকুড়ি, শালডাঙা ঘাট থেকে দিন-রাত চলে অবৈধ বালিবোঝাই ট্রাক্টর। তার জেরে মোরামের ওই রাস্তা ভেঙে পড়েছে। বছর দুয়েক আগেও গ্রামবাসীরা রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে সরব হয়েছিল। গোটা রাজ্য যখন রাস্তাশ্রী, পথশ্রীতে মাতোয়ারা, সেখানে এই চিত্র প্রতিহিংসার ছবি ছাড়া আর কিছুই না।

    গ্রামবাসীদের বক্তব্য

    ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা (Purba Bardhaman) জানান, “গ্রামে ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজে, হাসপাতাল ও বাজারে যাওয়ার একমাত্র অবলম্বন এই রাস্তা। বর্ষায় এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। সাইকেল মোটরবাইক নিয়ে চলাচল দূর অস্ত, পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টকর হয়ে উঠেছে।” বাসিন্দারা আরও জানান,”বনগ্রাম, গোমহল থেকে পূর্ব ও পশ্চিম দুদিকে কমপক্ষে আড়াই কিলোমিটার কর্দমাক্ত, খানাখন্দে ভরা রাস্তায় হেঁটে যেতে হয়। তারপর একটু ভালো রাস্তা পাওয়া যায়। বহুবার প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। কাজের কাজ হয়নি। চরম দুর্ভোগে গ্রামবাসীরা।”

    বিজেপির বক্তব্য

    স্থানীয় (Purba Bardhaman) বিজেপি কর্মী, বর্ণালী মাজি জানান, “রাজ্যে পরিবর্তনের সরকার ক্ষমতায় আসার পর গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ওই রাস্তাটি পাকা হবে। ১২ বছরে এখনও পাকা হয়নি। গ্রামবাসীরা বেহাল রাস্তা নিয়ে ‘দিদিকে বলো’তে অভিযোগ করেছিল, ছবি তুলেও পাঠিয়েছিল। তারপরও রাস্তাটি সারানো হয়নি।” আরেক বিজেপি নেতা প্রদ্যুত মণ্ডল বলেন,”সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোটেও ১১ টি গ্রাম সংসদে বিজেপির ভোট বেশি থাকায় রাজ্যের তৃণমূল সরকার রাস্তাটি সংস্কারে উদ্যোগ নেয়নি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূল পরিচালিত চাকতেঁতুল (Purba Bardhaman) পঞ্চায়েতের প্রাধান অশোক ভট্টাচার্য্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,”রাস্তাটি নতুন করে তৈরির জন্য জেলায় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। পর্যায়ক্রমে পিচ রাস্তা তৈরির উদ্যোগ জেলা পরিষদ নিয়েছে। ১ কিলোমিটার পিচ হয়েছে। বাকি রাস্তা খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচি! মমতা-অভিষেকের বিরুদ্ধে এফআইআর শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচি! মমতা-অভিষেকের বিরুদ্ধে এফআইআর শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ থেকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও-এর নিদান দিয়েছিলেন মমতা-অভিষেক। এবার এই ঘটনায় হেয়ার স্ট্রিট থানায় শনিবার এফআইআর করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অভিযোগপত্রে বিরোধী দলনেতার দাবি, তৃণমূলের ওই কর্মসূচিতে বিজেপি নেতাদের প্রাণহানি হতে পারে। এমনকি, তাঁরও। অভিযোগপত্রে তিনি মমতা এবং অভিষেকের বক্তৃতার অংশও তুলে ধরেছেন। তাঁর মতে, এই ধরনের বক্তব্য ‘ঘৃণাভাষণ’।

    হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতি সামনে আসায় তাতে অনুদান বন্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ইস্যুতে আগামী ২ অক্টোবর দিল্লি অভিযানের কর্মসূচি ঘোষণা করেন অভিষেক। পাশাপাশি তিনি, আগামী ৫ অগাস্ট বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও-এর কথাও বলেন। তিনি বলেন, ‘‘সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করে রাখবেন! একদম গণঘেরাও! বাড়ির কেউ বয়স্ক থাকলে তাঁকে ছেড়ে দেবেন। আর কাউকে ঢুকতেও দেবেন না, বেরোতেও দেবেন না।’’ এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ওই কর্মসূচিতে সামান্য বদল করেন। তিনি বলেন, বুথে নয়, প্রতি ব্লকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও হবে। তৃণমূলের এহেন কর্মসূচিকে ‘উস্কানিমূলক’ বলে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ওয়াকিবহাল মহলও বলছে, এতে নিশ্চিতভাবে হিংসা ছড়াবে। তৈরি হবে অশান্তির বাতাবরণ।

    রবীন্দ্র সরোবর থানাতেও অভিযোগ দায়ের অভিষেকের বিরুদ্ধে

    এই ইস্য়ুতে রবীন্দ্র সরোবর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি নেতা রাজর্ষি লাহিড়ীও। রাজর্ষির অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের শহিদ দিবসের সভা চলাকালীন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ৫ অগাস্ট সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত বাংলার বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের কথা বলেন। এই বক্তব্য শুধুমাত্র গণতন্ত্র বিরোধী নয়, আইনেরও লঙ্ঘন। ভারতের পবিত্র সংবিধানে দেশের প্রতিটি নাগরিককে স্বাধীনভাবে চলাফেরার করার মৌলিক অধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই ধরনের বক্তব্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে স্বীকৃত।’’ ঘটনাক্রমে অভিষেকের ঘোষণার পরেই রাজু হালদার নামে যুবমোর্চার এক কর্মীকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রাজর্ষি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Violence Against Women: মমতা জমানায় নগ্ন করে নারী নির্যাতন! রইল অমানবিক ১০টি ঘটনা

    Violence Against Women: মমতা জমানায় নগ্ন করে নারী নির্যাতন! রইল অমানবিক ১০টি ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  নারী নির্যাতনে (Violence Against Women) পশ্চিমবঙ্গ দেশের প্রথম সারিতে রয়েছে, বিরোধীদের এই দাবিকে ইতিমধ্যে সিলমোহর দিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। অন্যদিকে নারীদের ওপর ঘটে চলা অত্যাচারও বলছে, মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে ভাল নেই বাংলার মেয়েরা। মণিপুরের জন্য কেঁদে ভাসাচ্ছেন যে তৃণমূল নেত্রী, তাঁর শাসনে কেমন রয়েছেন বাংলার নারীরা? রাজনৈতিক অরাজনৈতিক মিলিয়ে মহিলা নির্যাতন যেন রুটিন কর্মসূচি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নাম উঠে আসছে শাসকদলের মদতপুষ্ট সমাজ বিরোধীদের। ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নারী নির্যাতনের গুরুতর অপরাধগুলিকে নিয়ে বঙ্গ বিজেপির ট্য়ুইট সামনে এসেছে। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, কন্যাশ্রী ও রূপশ্রীর মুখোশের আড়ালে এ কোন বাংলা? যা নারীদের বধ্যভূমি হয়ে গিয়েছে।

    বিগত ৭ বছরে মহিলাদের ওপর হওয়া অপরাধ

    ২১ জুলাই ২০২৩, মালদা

    মালদার মানিকচকে প্রকাশ্যে নগ্ন (Violence Against Women) করে দুই মহিলাকে মারধরের মধ্যযুগীয় বর্বরতা সামনে আসে। সব থেকে আর্শ্চয্যজনক তথ্য হল, মমতার পুলিশের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

    ৮ জুলাই ২০২৩, হাওড়া

    পঞ্চায়েত ভোটের দিন বিজেপির এক মহিলা প্রার্থীকে নগ্ন করে অত্যাচার চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    ২৬ অক্টোবর ২০২২, মুর্শিদাবাদ

    মধ্যযুগীয় বর্বরতার আরও চিত্র দেখা যায় মুর্শিদাবাদে। দুইজন সমকামী মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানো হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে।

    ২৪ জুলাই ২০২২, দক্ষিণ দিনাজপুর

    একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের ভিড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার একটি স্কুলে চড়াও হয় এবং মহিলা শিক্ষিকাকে প্রায় নগ্ন করে। ওই শিক্ষিকার অপরাধ, তিনি শৃঙ্খলা শিখিয়েছিলেন ছাত্রীদের।

    ১৫ মে ২০২২, মালদা

    বাড়িতে একা পেয়ে তিন যুবক এক মহিলাকে ধর্ষণের (Violence Against Women) চেষ্টা করে। ওই মহিলা বাধা দিলে তাঁকে বিবস্ত্র করা হয় এবং নানা ভাবে মানসিক নির্যাতনও চলে সঙ্গে। এই ঘটনার পরেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীরব থাকেন।

    ১৫ জুন ২০২১, আলিপুরদুয়ার

    ৩৫ বছর বয়সী এক মহিলাকে নগ্ন করে গোটা গ্রামে ঘোরানো হয়। রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী চুপ থাকেন এই ঘটনার পরেও।

    ১৯ অক্টোবর ২০১৯, বীরভূম

    বীরভূমে এক মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়। যারা ওই মহিলাকে উদ্ধার করতে যায়, তাদের ওপরেও চড়াও হয় সমাজবিরোধীরা। এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে নারীর সম্মান।

    ১৭ মে ২০১৮, কলকাতা

    কলকাতার সেন্ট পল ক্য়াথিড্রাল কলেজে এক ছাত্রীকে জোর পূর্বক বিবস্ত্র করানো হয়। এবং পুরো ঘটনা ক্য়ামেরাবন্দী করে সোস্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল করা হয়।

    ১৮ মার্চ ২০১৭, কলকাতা

    কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি এবং বিবস্ত্রের অভিযোগ ওঠে। এক রাজনৈতিক কর্মীকে চেক করার নামে এই কাজ করে পুলিশ। যদিও কোনও বিবৃতি শোনা যায়নি পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের তরফ থেকে।

    ২৫ জুলাই ২০১৬, মালদা
     
    মালদায় এক বয়স্কা মহিলাকে বিবস্ত্র করে বাঁ হাতের দুটো আঙুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়লেও চুপ ছিলেন রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ‘পঞ্চায়েতে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে টিকিট বিক্রি করেছেন জেলা সভাপতি’, বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    TMC: ‘পঞ্চায়েতে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে টিকিট বিক্রি করেছেন জেলা সভাপতি’, বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশি হামলার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেই বিস্ফোরক চোপড়ার তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বিধায়ক হামিদুল রহমান।  চোপড়ার বাড়িতে বসে হামিদুল বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে টিকিট বিক্রি করেছেন জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদ সর্বস্তরেই টাকার বিনিময়ে টিকিট বিক্রি করেছেন জেলা সভাপতি। সেই টাকা দিয়ে জেলা সভাপতি পুলিশ প্রশাসনকে কিনে নিয়ে ভোট লুট করেছেন। পুলিশ সুপার, জেলা শাসক এবং ইসলামপুর মহকুমা শাসকের কাছে একাধিকবার তিনি অভিযোগ করেও তার কোনও ফল পান নি।

     ভোট গণনার দিন ঠিক কী ঘটেছিল?

    পঞ্চায়েতে ভোট লুট নিয়ে বিরোধীরা যে অভিযোগ করে আসছিলেন, একই অভিযোগ করলেন চোপড়ার তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বিধায়ক হামিদুল রহমান। ইসলামপুর তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী একই অভিযোগ করলেও রাজ্য নেতৃত্ব কেউ আমল দেন নি। চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের এই অভিযোগ সামনে আসায় তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বেশ খানিকটা চাপে পড়ল বলে রাজনৈতির মহল মনে করছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে চোপড়া ব্লকে বিরোধীদের মনোনোয়নপত্র দাখিল করতেই দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদ সব কয়টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতা জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের ৪ নম্বর আসনে জয়ী হয়েছিলেন।এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে করিম অনুগামী হয়ে নির্দল প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন। অভিযোগ, ভোট গণনা কেন্দ্রে হামিদুলসাহেবের মেয়ের সঙ্গে গণনা কর্মীদের বচসা বাধে। ভোট গণনা নিয়ে গণ্ডগোল হয়। বিষয়টি জানতে পেরে বিধায়কহ হামিদুল রহমান ইসলামপুর গণনা কেন্দ্রে গিয়ে প্রতিবাদ জানাতে গেলে পুলিশ তাঁর উপর লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। পুলিশের লাঠির আঘাতে জখম হয়েছিলেন তিনি। ইসলামপুর হাসপাতাল এবং শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ হন হামিদুলসাহেব। যদিও চোপড়ার বিধায়ক প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share