Tag: tmc

tmc

  • TMC: ২১ জুলাইয়ের শক্তি প্রদর্শন? ঐতিহ্যবাহী হাওড়া ব্রিজের মুখ ঢাকল তৃণমূলের পোস্টারে

    TMC: ২১ জুলাইয়ের শক্তি প্রদর্শন? ঐতিহ্যবাহী হাওড়া ব্রিজের মুখ ঢাকল তৃণমূলের পোস্টারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ঐতিহ্য হাওড়া ব্রিজ। এবার সেই হেরিটেজ সম্পত্তি হাওড়া ব্রিজকেও রাজনীতির রঙে মুড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিরুদ্ধে। একুশে জুলাইয়ের শহিদ দিবস উপলক্ষে রাজ্য জুড়ে নানা সাইজের কাট আউটে ঢেকে দেওয়া হয়েছে বড় বড় ভবন। একই ভাবে ঢেকে দেওয়া হল হাওড়া ব্রিজকেও। দুদিন আগে থেকেই হাওড়া স্টেশনে বিভিন্ন জেলা থেকে দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে আসতে শুরু করেছেন হাজার হাজার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক। এঁদের অধিকাংশেরই বৈধ কোনও টিকিট নেই বলে অভিযোগ। তাঁদের কাছে হাওড়া জেলা তৃণমূলের শক্তি প্রদর্শন করতেই এবার দেশের ঐতিহ্যবাহী হাওড়া ব্রিজের থামে এই বড় বড় কাট আউট লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা জানান, তাঁরা বিষয়টি জানেন না। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

    কী অভিযোগ করছে হাওড়া বিজেপি?

    হাওড়া স্টেশন বা বাসস্ট্যান্ড থেকে হাওড়া ব্রিজে ওঠার মুখে বড় বড় থাম এবং বাসস্ট্যান্ডের গায়ে ব্রিজের বড় বড় থাম জুড়ে লাগানো হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (TMC) ছবি দেওয়া একুশে জুলাই-এর সমর্থনে এই সব কাট আউট ও পোস্টার। যা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিজেপির উত্তর হাওড়ার নেতা উমেশ রায়ের অভিযোগ, হেরিটেজ প্রপার্টিতে এ ধরনের রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন লাগানো যায় না। দলের উচিত দেশের ঐতিহ্য রক্ষা করতে এই কাট আউট বা পোস্টার খুলে ফেলা। অন্যদিকে হাওড়া জেলা বিজেপির মুখপাত্র ওমপ্রকাশ সিং বলেন, হাওড়া ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণে বন্দর কর্তৃপক্ষ থাকলেও নিরাপত্তা দেখার দায়িত্ব হাওড়া ও কলকাতা পুলিশের। কিন্তু এই পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলদাস। তাই বিষয়টি চোখে পড়ছে না পুলিশের।

    কী জবাব দিল হাওড়া তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)?

    যদিও, হাওড়া জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের (TMC) সভাপতি কৈলাস মিশ্র জানিয়েছেন, মানুষ আবেগে রয়েছে। আর আবেগের কারণেই হাওড়া ব্রিজে পোস্টার লাগিয়েছে। তবে কে কোথায় লাগিয়েছে তা জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নেবেন বলে জানান তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ২১ জুলাই শহিদ দিবসে কেন যাবেন না তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী?

    TMC: ২১ জুলাই শহিদ দিবসে কেন যাবেন না তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১শে জুলাই শহিদ দিবসে অংশ নিচ্ছেন না ইসলামপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তিনি ইসলামপুর ছেড়ে গেলে তাঁর অনুগামীদের উপর নতুন করে হামলা হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। অনুগামীদের রক্ষা করতেই তিনি ২১শে জুলাই শহিদ দিবসে অংশ নেবেন না বলে জানিয়ে দিলেন আব্দুল করিম চৌধুরী। মমতা ব্যানার্জী ২১শে জুলাই শহিদ দিবস যতবার পালন করেছেন ততবার তিনি সেই সভায় হাজির ছিলেন। এই প্রথমবার তিনি শহিদ দিবসের সভায় অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

    কেন শহিদ দিবসে যাবেন না করিমসাহেব?

     করিম সাহেব বলেন, ২১শে জুলাই শহিদ দিবসের সভায় আমি যেতে পারি এই আশঙ্কা করে আমার কাছে অনুগামীরা বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করছেন। কারণ, আমি ইসলামপুরে না থাকলে তাদের উপর আরও অত্যাচার নেমে আসবে। ভোট পরবর্তী হিংসায় তার অনুগামীদের উপর তৃণমূলের (TMC) চরম অত্যাচার নেমে আসছে। কারও যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। কাউকে মারধর করে বাড়ি ঘরের জিনিসপত্র নষ্ট করে দিয়েছে। অনুগামীদের পরিস্থিতির কথা বিচার করেই আমি শহিদ দিবসের সভায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে একী বললেন করিমসাহেব?

    করিম চৌধুরী আরও বলেন, “আমি এখন তৃণমূলের (TMC) অজানা লোক। মমতা ব্যানার্জি কথা দিয়েছিল যে করিম দা আপনি ইসলামপুরের, আর ইসলামপুরটা আপনারই। এখন মমতা ব্যানার্জি দলটাকে অন্য কাউকে দিয়ে চালাচ্ছে। তাই দলে আমার কদর এবং ওজন কিছুই নেই।  এক সময় মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন, করিম দা আপনি সম্মানীয় ব্যক্তি। আপনি দলে এলে দলের সম্মান বাড়বে, ওজন বাড়বে।  আজ এমন অবস্থা করে দিয়েছে যে করিম চৌধুরীর নিজেরই কোন ওজন নেই।”

    অন্য দলে যাওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন করিমসাহেব?

    অন্য দলে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন,” আমি তৃণমূলের (TMC)  বিদ্রোহী এমএলএ। এরপরে ওরা আমাকে বহিষ্কৃত করবে। আমি বহিষ্কৃত এমএলএ থাকব অন্য দলে যাব না। কারণ, এই তৃণমূল দলটা তৈরির সময় মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে আমিও ছিলাম। উত্তরবঙ্গের আমি প্রথম এমএলএ হই তৃণমূলের। আজকের না, ফ্রম লাস্ট ৫৫ বছরের আগে আমার দাদা ২০ বছর, তার আগে আমার বাবা ৪০ বছর এবং তারও আগে আমার দাদু ৫৬ বছর। সবমিলিয়ে ১৮০ বছর ধরে আমাদের পরিবার ইসলামপুর কে টেনে চলেছে। ছেড়ে দেব? তাও এই সমস্ত ব্যক্তির জন্য? কখনওই না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: তৃণমূল জেলা সভাপতির কুশপুতুল পুড়িয়ে ফের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তাল চোপড়া

    Uttar Dinajpur: তৃণমূল জেলা সভাপতির কুশপুতুল পুড়িয়ে ফের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তাল চোপড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরে (Uttar Dinajpur) তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল আরও প্রকাশ্যে। এবার তৃণমূল জেলা সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে কুশপুতুল জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করলেন তৃণমূলেরই একাংশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেন পিছু ছাড়ছে না তৃণমূলের। জেলায় তীব্র উত্তেজনা এই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণে।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Uttar Dinajpur)?

    উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনার দিন চোপড়ার (Uttar Dinajpur) বিধায়ক হামিদুল রহমানকে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দ্বারা মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন চোপড়া ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনার পরদিন থেকেই জেলা সভাপতি ও ঘটনায় যুক্ত পুলিশ অফিসারদের শাস্তির দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন চোপড়া ব্লক তৃণমূল কর্মীরা। জেলা সভাপতির ডাকা সমস্ত কর্মসূচি বয়কটের সিদ্ধান্তও গ্রহণ করেন এই হামিদুল গোষ্ঠী। আর তারই অঙ্গ হিসাবে বুধবার বিকেলে চোপড়া অঞ্চল তৃণমূল কমিটির পক্ষ থেকে ২১ শে জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে ‘ধর্মতলা চলো’ কর্মসূচিকে সফল করতে একটি মিছিল বের করা হয়। সেই মিছিল থেকে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের পদত্যাগের দাবি তোলা হয়। সেই সঙ্গে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কুশপুতুল দাহ করা হয়। শুধু জেলা সভাপতিই নয়, মন্ত্রী গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধেও সোচ্চার হন বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের এই নেতাকর্মীরা।

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল গোষ্ঠীর বক্তব্য

    তৃণমূলের হামিদুল গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে চোপড়ার (Uttar Dinajpur) তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল কমিটির কনভেনার অসীম মুখার্জি বলেন, অবিলম্বে জেলা সভাপতিকে অপসারণ করা হোক। তা না হলে শহিদ দিবসের পর কলকাতা থেকে ফিরে এসে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব আমরা। অবিলম্বে শাস্তি না দিলে, ২০ হাজার চা বাগানের শ্রমিকদের নিয়ে ইসলামপুর পুলিশ সুপারের দফতর এবং জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বাড়ি ঘেরাও করব। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবি না মানলে আগামী দিনে আমরা তৃণমূলের সব কার্যক্রম বয়কট করব। চোপড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির আরেক সদস্য মহঃ আনিফ বলেন, উত্তর দিনাজপুর জুড়ে যেভাবে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে, তাকে থামানোর যোগ্যতা নেই জেলা সভাপতি কানাইলালবাবুর। তাই তাঁর পদত্যাগ চাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • Howrah: ‘আমাদের ভোটটাও দিতে দিলেন না? ছিঃ!’ পোস্টারে শোরগোল হাওড়ায়

    Howrah: ‘আমাদের ভোটটাও দিতে দিলেন না? ছিঃ!’ পোস্টারে শোরগোল হাওড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট দিতে না পারায় কোথাও নিরবে, কোথাও সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার কোথাও রাতের অন্ধকারে পোস্টার মেরে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। হাওড়ার (Howrah) ডোমজুড় এবং জগৎবল্লভপুর এলাকায় এমনই প্রতিবাদের চিত্র ধরা পড়ল। এলাকায় কোথাও দেওয়ালে আবার কোথাও ইলেকট্রিক পোস্টে মারা হয়েছে পোস্টার। তাতে লেখা হয়েছে, ‘আমাদের ভোটটাও দিতে দিলেন না? ছিঃ’ যদিও এই পোস্টার বা কারা লাগিয়েছে তা জানা যায়নি।

    কেন পোস্টার দেওয়া হয়েছে (Howrah)?

    রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন জায়গায় এই পোস্টার মারা হয়েছে। পোস্টারের নিচে লেখা জগদীশপুর অঞ্চল গ্রামবাসীবৃন্দ। রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত ভোটের নামে প্রহসন কেমন ছিল সাধারণ তা মানুষ দেখেছেন। বহু বুথেই মানুষ ভোট দিতে গেলেও ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। আবার কোথাও মানুষ ভোট দিলেও ব্যালট ছিনতাই সহ নানা কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যজুড়ে জেলায় জেলায় রীতিমতো শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ। এমনকি প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করলে ঘটতে পারে আরও বড় বিপদ। তাই মানুষের ভুরি ভুরি অভিযোগ ও ক্ষোভ থাকলেও অনেকেই প্রকাশ্যে সেই ক্ষোভ উগরে দিতে ভয় পাচ্ছেন। তাই হাওড়ায় (Howrah) পোস্টার দিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানালেন সাধারণ মানুষ।

    হাওড়ার কোথায় পোস্টার দেওয়া হল

    জগদীশপুর (Howrah) পঞ্চায়েতের একটি অংশ চামরাইল লাগোয়া রামকৃষ্ণপাড়া, মাঝেরহাটে প্রচুর পোস্টার দেওয়া হয়েছে। ভোটের ক’দিন কাটতে না কাটতেই সেই এলাকার একাধিক বাড়ির দেওয়াল, লাইটপোস্ট, দোকানের শাটারে লাগানো হয়েছে সাদা কাগজে ছাপা সেই পোস্টারগুলি। গ্রামবাসীবৃন্দের নামে সেই পোস্টারগুলি রাতের বেলা লাগানো হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।

    বিজেপির বক্তব্য

    হাওড়া (Howrah) সদর বিজেপির সহ-সভাপতি গোবিন্দ হাজরা বলেন, গ্রামের মানুষ পঞ্চায়েতে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারায় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন পোস্টারের মাধ্যমে। তিনি আরও বলেন, ভোটের দিন যেভাবে শাসকদলের দুর্বৃত্তরা গ্রামবাসীদের মারধর করে সন্ত্রাস চালিয়েছে, দুষ্কৃতীরা ভোট না দিতে দিয়ে ভোট লুঠ করেছে, সেই ক্ষোভেরই প্রকাশ এই পোস্টারের মাধ্যমে হয়েছে। ভোটে কী হয়েছে মানুষ সবই দেখেছেন।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে, ডোমজুড় (Howrah) অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তাপস মাইতি বলেন, এই অঞ্চলে ভোট নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণ ভাবেই হয়েছে। স্থানীয় কোনও মাদকাসক্ত যুবকরা নেশা করে টাকা নিয়ে রাতের অন্ধকারে এই কাজ করেছে। বিভ্র্রান্তি তৈরি করতে পোস্টারে গ্রামবাসীদের নাম দিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • TMC: অবাক কাণ্ড! পঞ্চায়েতে একই আসনে জয়ী দুই প্রার্থী, নন্দীগ্রামের ঘটনায় শোরগোল

    TMC: অবাক কাণ্ড! পঞ্চায়েতে একই আসনে জয়ী দুই প্রার্থী, নন্দীগ্রামের ঘটনায় শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামের একই আসনে জয়ী দুই প্রার্থী। একজন তৃণমূল (TMC) প্রার্থী, অন্য জন শাসকদলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে দাঁড়ানো প্রার্থী। দুজনের কাছেই রয়েছে এপিআরও স্বাক্ষর করা জয়ের শংসাপত্র। কেন্দামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১৭ নম্বর আসনের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন জয়ী হওয়ার শংসাপত্র পাওয়া নির্দল প্রার্থী?

    নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের কেন্দামারি জালপাই পঞ্চায়েতের ২২ টি আসনে মূলত তৃণমূল ও নির্দল প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তনরা টিকিট না পেয়ে নন্দীগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন পর্ষদের ব্যানারে দলের বিরুদ্ধেই প্রার্থী হন। জালপাই পঞ্চায়েতের ২১৭ নম্বর আসনে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন তাপসী দোলই। আবার নন্দীগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন পর্ষদের সর্মথন নিয়ে নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়ান রীতা বল্লভ। নির্দল প্রার্থী রীতা বল্লভের বক্তব্য, ১১ জুলাই ভোট গণনার দিন, আমাকে ১৮১ ভোটে জয়ী ঘোষণা করে এপিআরও-র সই ও স্ট্যাম্প-সহ শংসাপত্র দেওয়া হয়। ফলে, সবার আগে আমি জয়ের শংসাপত্র পেয়েছি। আর তার ঠিক সাতদিন পর সোমবার, আমাকে ফোন করে জানানো হয়, ওই শংসাপত্রে ভুল রয়েছে। বিডিও অফিসে আমাকে দেখা করতে বলা হয়। সেদিনই, তৃণমূলের প্রার্থীকে ১৮১ ভোটে জয়ী ঘোষণা করে শংসাপত্র দিয়ে দেওয়া হয়। তাতেও এপিআরও-র সই ও স্ট্যাম্প রয়েছে। ফলে, এটা শাসকদলের কথা শুনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা অন্যায় এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হব।

    কী বললেন জয়ী হওয়া তৃণমূল (TMC) প্রার্থী?

    তৃণমূল (TMC) প্রার্থীর তাপসী দোলইয়ের বক্তব্য, ভোটের ফল বের হওয়ার কয়েকদিন পর আমাকে ফোন করে জানানো হয়েছে আমি জয়ী হয়েছি। এরপরই প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাকে শংসাপত্র দেওয়া হয়। ফলে, প্রশাসনের নির্দেশ মেনেই আমি জয়ী হয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: ইয়েচুরি-মমতা বৈঠককে ঘৃণা করি, জানিয়ে দিল নিহত সিপিএম কর্মীর পরিবার

    Uttar Dinajpur: ইয়েচুরি-মমতা বৈঠককে ঘৃণা করি, জানিয়ে দিল নিহত সিপিএম কর্মীর পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল চোপড়ার (Uttar Dinajpur) সিপিআইএম কর্মী মনসুর আলমের। মনসুরের পরিবারের সেই ক্ষত আজও দগদগে। এরই মধ্যে বেঙ্গালুরুতে এক টেবিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সিপিআইএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে দেখে মর্মাহত মনসুরের পরিবার।

    কেন মর্মাহত (Uttar Dinajpur)?

    সাধারণ নিচু তলার রাজনৈতিক কর্মীরা বোঝেন না জাতীয় রাজনীতি। তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতেই খুন হয়েছেন সিপিআইএম কর্মী মনসুর আলম। তাই এই মৃত্যুতে নিহত মনসুরের (Uttar Dinajpur) দাদু মহঃ গিয়াসুদ্দিন বলেন, সিপিআইএম-তৃণমূলের জোটকে কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছি না। সর্বভারতীয় স্তরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কোনও মুখকে তুলে না ধরে, মানুষকে ভাঁওতা দেবার জন্য বৈঠক করছেন। তিনি আরও বলেন, এই বৈঠককে নিচু তলার সিপিআইএম কর্মীরা মেনে নিতে পারছেন না। তৃণমূলের সঙ্গে সিপিআইএমের এই বৈঠক আমাদের কাছে লজ্জার। যেভাবে তৃণমূল ভোট দিতে দিল না, রাজ্যে সন্ত্রাস চালাল, ভোট লুট করল, গুলি করল, বোমা মারল, মানুষ খুন করে মায়ের কোল খালি করল, তা আমরা কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। সিপিআইএম-তৃণমূলের এক টেবিলে বৈঠক! একসঙ্গে চা পান! এটাকে অত্যন্ত ঘৃণা করি।

    প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন পরিবারের

    অপর দিকে বেঙ্গালুরুতে বিরোধী ২৭টি দলের জোটের বৈঠককে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের হামলায় সিপিএম এবং কংগ্রেসের কর্মীরা মারা যাচ্ছেন। আর এই তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর সঙ্গে সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের নেতারা বৈঠক করছেন। মোদির এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন নিহত মনসুরের (Uttar Dinajpur) দাদু মহঃ গিয়াসুদ্দিন।

    কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল ভোটে

    উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় চোপড়া (Uttar Dinajpur) ব্লকের কাঠালবাড়ি গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুস্কৃতীদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিল মনসুর আলম নামে এক সিপিআইএম কর্মী। এরপর আহত মনসুরকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে গত ২২ জুন শিলিগুড়িতে মৃত্যু হয়। শাসক দলের নেতারা এই ঘটনায় যুক্ত থাকায় পুলিশ ঘটনার তদন্তে অনিহা দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করে পরিবার। পরিবার ছেলেকে হত্যার ঘটনায় বিচার থেকে বঞ্চিত। ঘটনার একমাস কাটতে না কাটতে সর্বভারতীয় নেতারা ঘাতক তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের নিয়ে বৈঠককে ভাল ভাবে নিতে পারছে না এই মৃতের পরিবার। সিপিএমের নিহত কর্মীর পরিবার জাতীয় নেতৃত্বের জোটের বিরুদ্ধে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: “মোদিজিকে দেখে মমতাদির শেখা উচিত”, আমতা ঘুরে মন্তব্য বিজেপির মহিলা সাংসদদের

    Howrah: “মোদিজিকে দেখে মমতাদির শেখা উচিত”, আমতা ঘুরে মন্তব্য বিজেপির মহিলা সাংসদদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে মহিলাদের উপর হিংসার তথ্য নিতে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার পর এবার হাওড়ার আমতা (Howrah)। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এখানে ভোটের পর ব্যাপক সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ উঠেছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ঘরবাড়ি। রেহাই পাননি মহিলারাও। এদিন ওই গ্রামে পৌঁছে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বললেন বিজেপির মহিলা তথ্যানুসন্ধান দলের পাঁচ সাংসদ। উল্লেখ্য, শুধু আমতা নয়, পঞ্চায়েত ভোটের পরে গোটা হাওড়া জেলা জুড়েই বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। এমনকী বিজেপি কর্মীদের বাড়িঘর পুড়িয়ে তাদের এলাকা ছাড়া করারও অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে।

    কী বললেন দলের প্রতিনিধিরা (Howrah)?

    এইসব জিনিস খতিয়ে দেখতে আজ বুধবার সকালে আমতায় (Howrah) যান রমা দেবী, কবিতা পাতিদার, অপরাজিতা ষড়ঙ্গী, সন্ধ্যা রায় এবং সরোজ পাণ্ডে। উপদ্রুত এলাকা ঘুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন কমিটির সদস্যারা। তাঁরা জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজিকে দেখে মমতাদির শেখা উচিত, কীভাবে গ্রামীণ গরিব মানুষদের উন্নয়ন করেছেন তিনি। কীভাবে তাঁদের রুজি রোজগারের উপায় করেছেন। কীভাবে বাড়িঘর, পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর এখানে গরিব মানুষদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মহিলারাও আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না। তাঁদের  অভিযোগ, বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটের নামে কেবল হিংসা হয়েছে। বিরোধী রাজনীতি করলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপর ধেয়ে আসছে আক্রমণ। শুধু ওই ব্যক্তিই নয়, তাঁর পরিবারের উপরও হিংসার আঁচ এসে পড়ছে। তাঁদের বাড়িতে আগুন ধরানো হচ্ছে। মহিলাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে এক জন মহিলা, সেখানে এমন ঘটনা একেবারেই অনভিপ্রেত বলে কটাক্ষ করেছে এই তথ্যানুসন্ধান দল। এদিন প্রতিনিধিদলের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতা মহিলারা।

    রিপোর্ট দেবেন নাড্ডাকে

    তাঁরা বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেঙ্গালুরু গিয়ে ইন্ডিয়ার কথা বলছেন। অথচ তাঁর প্রদেশে (Howrah) কী ঘটছে, তা তিনি চোখে পটি বেঁধে আছেন না দেখার জন্য। দলের সদস্যেরা জানিয়েছেন, দিল্লি ফিরে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে এ নিয়ে রিপোর্ট দেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: এবার তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমাবাজি, আতঙ্কে মহিলারা, কাঠগড়ায় সিপিএম

    Murshidabad: এবার তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমাবাজি, আতঙ্কে মহিলারা, কাঠগড়ায় সিপিএম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের ধুলাউড়ি (Murshidabad) অঞ্চলের যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে তুলসীপুর গ্রামে ধুলাউড়ি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি আঞ্জারুলের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয় বলে জানা গেছে। পরপর তিনটি বোমা বিস্ফোরণ হয়। বাড়ির লোকজন ঘটনায় ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

    কীভাবে বোমা বিস্ফোরণ হল (Murshidabad)?

    তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক হওয়ায়, তাঁর বাড়ি (Murshidabad) লক্ষ্য করে বোমা মারে দুষ্কৃতীরা। এরপর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আঞ্জারুল, সিপিএমের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ সরজমিনে গিয়ে তদন্ত শুরু করে দেখে, কে বা কারা এই বোমা বিস্ফোরণের পিছনে রয়েছে। যদিও ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিপিএম নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, ভোটের দিন থেকেই  তৃণমূল কংগ্রেসের অত্যাচারে সিপিএম কর্মীরা এলাকাছাড়া রয়েছেন। সিপিএম কর্মীদের নামে মিথ্যে অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে।

    আক্রান্ত পরিবারের বক্তব্য

    তৃণমূল নেতা আঞ্জারুলের মা মঞ্জুরা বিবি বলেন, ভোটের দিন থেকেই আমাদের উপর অত্যাচার চলছে। গতকাল রাতে পরপর তিনটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে সিপিএমের দুষ্কৃতীরা। আমার ছেলে আঞ্জারুল, রানা প্রত্যেকেই ঘরছাড়া সিপিএমের দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে। ভোটের দিনেই বাড়িতে ঢুকে মারামারি করে ছেলেদের সঙ্গে। প্রাণের ভয়ে ছেলেরা বাড়িতে ঢুকতে পারছে না। গতকাল রাতে ১০ টার পর আমি এবং আমার বৌমা বাড়িতে (Murshidabad) ছিলাম। রাতের খাবার খেয়ে নমাজ পড়ার পর হঠাৎ দেখি ঘর ধোঁয়ায় ভরে গেছে। এরপর বাইরে বেরিয়ে দেখি বোমা বিস্ফোরণ করেছে দুষ্কৃতীরা। যারা করেছে তাদের চিনি না। তবে সকলেই সিপিএম করে। আমরা দুই মহিলা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। পুলিশে খবর দিলে পুলিশ আসে এবং এসে উল্টে আমদের বিরুদ্ধেই বোমা মারার অভিযোগ করে। অত্যন্ত অসহায় বোধ করছি!

    সিপিএমের বক্তব্য

    সিপিএমের ডোমকল (Murshidabad) লোকাল কমিটির সম্পাদক মস্তাফিজুর রহমান বলেন, সিপিএমের কর্মীরা এলাকায় তৃণমূলের অত্যাচারে ঘর ছাড়া। তৃণমূলের এই অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের কর্মীরা নিজেরাই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে মিথ্যা কেস দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: ফের উত্তপ্ত ভাঙড়! পঞ্চায়েত প্রার্থীর কান ছুঁয়ে বেরিয়ে গেল গুলি

    Panchayat Vote: ফের উত্তপ্ত ভাঙড়! পঞ্চায়েত প্রার্থীর কান ছুঁয়ে বেরিয়ে গেল গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙড়ে অশান্তি যেন কিছুতেই থামছে না। জুন মাসে মনোনয়ন পর্ব (Panchayat Vote) শুরু হতেই মুড়ি মুড়কির মতো বোমা পড়তে থাকে। ঝরে বেশ কতগুলি তাজা প্রাণ। ভোটের দিনও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ভাঙড়ের পরিস্থিতি। আবার ভোট গণনার দিনও বদলায়নি চিত্র। সপ্তাহখানেক আগে ভোটের ফলাফলের দিন বোমা-গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই আবারও গুলি চলল ভাঙড়ে। ব্যাপক বোমাবাজিতে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ।

    উত্তপ্ত ভাঙড়

    মঙ্গলবার রাত দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বিজয়গঞ্জ বাজার সংলগ্ন পানাপুকুর গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, চালতাবেড়িয়া গ্রামসভার পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী হাতেম মোল্লাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। পানাপুকুরের বাসিন্দা হাতেম যখন বাড়ি ফিরছিলেন তখন তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চলে। হাতেমের ডান কান ছুঁয়ে গুলি বেরিয়ে যায়। কোনও রকমে প্রাণে বাঁচেন হাতেম। একইসঙ্গে ওই এলাকার পঞ্চায়েত সমিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী এক তৃণমূল প্রার্থীর (Panchayat Vote)র বাড়ি লক্ষ্য করেও ব্যাপক বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। দুটি ঘটনাতেই নাম জড়িয়েছে আইএসএফ-এর। হাতেমকে উদ্ধার করে জিরেনগাছা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। ঘটনার খবর পেয়েই কাশীপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। যদিও এই ঘটনার দায় অস্বীকার করেছেন আইএসএফ নেতারা। রাজ্যে লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে উঠলেও ভাঙড়ে আবার উলট পুরাণ! এখানে খোদ শাসকদল অভিযোগ করছে আইএসএফ-এর বিরুদ্ধে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা জহিরুল মোল্লা বলেন, ‘‘হাতেমের কান ছুঁয়ে গুলি বেরিয়ে গিয়েছে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’’ আইএসএফ-এর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগও তোলেন জহিরুল।

    ভাঙড় নিয়ে কী বলছেন নওশাদ?

    অন্যদিকে, মঙ্গলবার বারুইপুর সংশোধনাগার থেকে জামিনে মুক্ত ১২ জন আইএসএফ সমর্থককে স্বাগত জানাতে যান নওশাদ সিদ্দিকি। সেখানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, ‘‘১৪৪-এর অজুহাতে আমাকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমাকে আটকে রাখতে পারবে না। আমি ইতিমধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আদালতের মাধ্যমে আমি সেখানে ছাড়পত্র পাব।’’ নওশাদের কথায়, ‘‘আমায় ১৪৪ ধারার কথা বলে যে ভাবে আটকাচ্ছে (পুলিশ), তাতে আমি রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, স্পিকার স্যার (বিধানসভার স্পিকার)—সমস্ত দফতরকে জানিয়েছি। এর পর যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনে আমি কেন্দ্রের দ্বারস্থ হব। আমার লক্ষ্য, ভাঙড়ে শান্তিপ্রতিষ্ঠা করা।’’ ভাঙড়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে নওশাদ বলেন,‘‘ভাঙড়ের মানুষকে যে ভাবে অশান্তির মধ্যে রাখার চেষ্টা হচ্ছে সেটাকে প্রতিহত করে, সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন যাতে ভাঙড়বাসী করতে পারেন সেটা ব্যবস্থা করব আমি। যারা শান্ত ভাঙড়বাসীকে অশান্তির মধ্যে রেখেছিল, আতঙ্কের মধ্যে রেখেছিল, যারা ভাঙড়কে রাজনৈতিক উত্তাপের (Panchayat Vote) শিরোনামে নিয়ে গেল, সেই সমস্ত রাজনীতির কারবারীদের আমি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ঘুমোতে দেব না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: “এই হিংসা পশ্চিমবঙ্গের লজ্জা”! দেগঙ্গা ঘুরে মন্তব্য বিজেপির মহিলা সাংসদদের

    North 24 Parganas: “এই হিংসা পশ্চিমবঙ্গের লজ্জা”! দেগঙ্গা ঘুরে মন্তব্য বিজেপির মহিলা সাংসদদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের পর দিনই দিল্লি যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন। ভোট গণনার দিন সকালেই রাজ্যে ফিরে আসেন রাজ্যপাল। ভোট-হিংসার বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে একের পর এক সন্ত্রাসের ঘটনার পর এবার রাজ্যে এল বিজেপির ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’ বা তথ্য অনুসন্ধানকারী দলের ৫ মহিলা সাংসদ। মঙ্গলবার আক্রান্ত উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas) জেলা পরিদর্শন করলেন টিমের সদস্যরা।

    ৫ মহিলা সাংসদের টিম

    ভোটে বেলাগাম সন্ত্রাস দেখতে মঙ্গলবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন বিজেপির ৫ মহিলা সাংসদ। বিজেপির মহিলা কর্মীদের উপর অত্যাচারের ‘তদন্তে’ এবার তাঁরা। বাংলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ৫ মহিলা সাংসদ রিপোর্ট দেবেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডাকে। ভোটে বিজেপি কর্মীদের উপরে অত্যাচারের চিত্র আজ দেগঙ্গায় (North 24 Parganas) খতিয়ে দেখল এই মহিলা টিম।

    তথ্য অনুসন্ধানকারী মহিলা টিমের বক্তব্য

    ৫ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম দেগঙ্গার (North 24 Parganas) গিলাবাড়ি, দাসপাড়া, হাদিপুর কলোনি এবং কালীতলা অঞ্চলের আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের গ্রাম পরিদর্শন করেন। সেখানে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন আক্রান্তদের সঙ্গে। এই পাঁচ সদস্যের টিমকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন বিজেপির আক্রান্ত পরিবারের লোকজন। দীর্ঘক্ষণ পরিবারের সাথে কথা বলার পর টিমের সদস্যরা বলেন, বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে এই রাজ্যের মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে। এই টিমের পক্ষ থেকে বলা হয়, পঞ্চায়েতে মানুষের ভোটে তৃণমূল ক্ষমতায় আসেনি, ভয় দেখিয়ে ভোট লুট করে ক্ষমতায় এসেছে। গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছি আমরা। এই বিষয়ে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে রিপোর্ট পেশ করব। বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখালে পার্টি বরদাস্ত করবে না। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে টিম জানায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামের সঙ্গে কাজের কোনও মিল নেই। পশ্চিমবঙ্গের এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি রয়েছে তা গোটা দেশে নেই। পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। প্রত্যেকটি বিজেপি কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে সন্ত্রাস চালানো হয়েছে। বাদ যায়নি বাড়ির মহিলারা পর্যন্ত। এই হিংসা পশ্চিমবঙ্গের লজ্জা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share