Tag: tmc

tmc

  • Dakshin Dinajpur: ঘর পেতে ৫০ হাজার টাকা দাবি, তৃণমূল যুব নেতার অডিও ঘিরে শোরগোল

    Dakshin Dinajpur: ঘর পেতে ৫০ হাজার টাকা দাবি, তৃণমূল যুব নেতার অডিও ঘিরে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাস যোজনায় ঘর পেতে তৃণমূল যুব নেতার বিরুদ্ধে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগের অডিও ক্লিপ ফাঁস। সোশ্যাল মিডিয়ায় অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বালুরঘাটের রাজনৈতিক মহলে। অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ মাধ্যম। বিজেপির শহর মণ্ডল সোমবার বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) মহকুমা শাসককে ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়ে ডেপুটেশন দিয়েছে বলে জানা গেছে।

    কে সেই তৃণমূল যুব নেতা (Dakshin Dinajpur)?

    টাকা চাওয়ার অভিযোগ যে তৃণমূল যুবনেতার বিরুদ্ধে, সেই কল্লোল সরকার হলেন বালুরঘাট যুব তৃণমূল টাউন কমিটির সদস্য। সেই সঙ্গে বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) পৌরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পরিমল সরকারের পুত্রও তিনি। কল্লোল সরকারের সাথে তাঁদের দলের এক কর্মীর কথাবার্তার অডিও শোনা যায়। এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ৩ লক্ষ টাকা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রথমে পঞ্চাশ হাজার, পরে কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা দিতেই হবে বলে দাবি করতে শোনা গেছে অডিওতে। এই তৃণমূল নেতার যুক্তি, মিউনিসিপ্যালিটিতে দুজন আছেন, যাঁরা এই টাকার ভাগ নেবেন। আর বাকি টাকা দিতে হবে জেলা ট্রেজারি দফতরে। কারণ টাকাটা ওখান থেকেই অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট হয়। অর্থাৎ ৩০ হাজার টাকার ভাগ বাঁটোয়ারা কেমন হবে, সেটাও বলতে শোনা গেছে অভিযুক্ত কল্লোল সরকারের কণ্ঠে। আর এই নিয়েই বিজেপি অভিযোগ দায়ের করেছে বালুরঘাট মহকুমা শাসকের কাছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির বালুঘাট (Dakshin Dinajpur)  শহর মণ্ডল প্রাক্তন সভাপতি সুমন বর্মন বলেন, আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার পরিবর্তে কল্লোল সরকারের ৫০০০০ টাকা চাওয়ার একটি অডিও ক্লিপ পাওয়া গিয়েছে। তাতে শোনা গিয়েছে পঞ্চাশ হাজার টাকা চেয়ে ৩০ হাজার টাকার রফা হয়েছে। অডিও ক্লিপেই পরিষ্কার, কাটমানি ছাড়া গরিব মানুষের কোনও কাজ করে না তৃণমূল।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অপর দিকে বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) পৌরসভা ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পরিমল সরকার বলেন, আমার দুর্নাম ছড়াতেই চক্রান্ত করে এই অডিও ক্লিপ করা হয়েছে। এই ঘটনার পেছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলেও তিনি ইঙ্গিত দেন। বালুরঘাট টাউন তৃণমূল কমিটির সভাপতি মহেশ পারেখ বলেন, অডিও ক্লিপ পরীক্ষা করে সত্যতা পাওয়া গেলে দলীয় স্তরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ওই যুব তৃণমূল সদস্যের বিরুদ্ধে।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    এই বিষয়ে মহকুমা (Dakshin Dinajpur) শাসক সুমন দাসগুপ্ত বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। বালুরঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র জানান, এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে প্রশাসনিক স্তরে এবং দলীয় স্তরে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: তৃণমূলকে শিখণ্ডী করে হকারে হকারে ছেয়ে যাচ্ছে হাওড়া বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন চত্বর!

    Howrah: তৃণমূলকে শিখণ্ডী করে হকারে হকারে ছেয়ে যাচ্ছে হাওড়া বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন চত্বর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে, ততই বেড়ে চলেছে হকারের সংখ্যা। এর ফলে ক্রমশ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছে হাওড়া (Howrah) স্টেশনে যাওয়ার প্রধান রাস্তা। হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন বাস স্ট্যান্ড থেকে হকারের দৌরাত্ম্য কমাতে হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যেই অভিযান চালানো হয়। কিন্তু সেই অভিযানের সময় কয়েক দিন হকার বসা বন্ধ হয়ে গেলেও তারপর দু-চার দিন যেতে না যেতেই ফের জিনিসপত্রের পসরা নিয়ে হাজির হয় হকাররা। ফলে সাধারণ রেলযাত্রীদের কাছে হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ড এবং স্টেশনে ঢোকার সাবওয়ে রীতিমতো যন্ত্রণার যাত্রাপথ হয়ে উঠেছে। হাওড়া বাসস্ট্যান্ড চত্বর এবং সাবওয়ের ভিতরে রাস্তা দখল করে সারি সারি বাজার এবং হকার বসছে বছরের পর বছর ধরে। কখনও দু-একজন যাত্রীর অভিযোগ পেয়ে পুলিশ এই হকারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। কিন্তু কখনই পাকাপাকিভাবে হকার সরে না এই জায়গা থেকে।

    পুলিশকে মাসোহারা দিয়েই ব্যবসা, বলছেন হকাররা (Howrah) 

    হাওড়া স্টেশনে ঢোকার পথে হকার ঠেলে ঢোকা এক রকম অভ্যাস হয়ে গেছে যাত্রীদের। কিন্তু বিগত কয়েক মাস ধরে দেখা যাচ্ছে স্টেশন (Howrah) সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডে যেসব জায়গায় হকার বসত, তার বাইরেও যেটুকু ফাঁকা অংশ আছে, সেখানেও নতুন নতুন হকারের আমদানি ঘটছে। হকারদের দাবি, তারা পুলিশকে মাসোহারা দিয়েই এখানে ব্যবসা করে। আবার পুলিশ জানিয়েছে, রাজনৈতিক নেতাদের মদতে হকারদের পুরোপুরি তোলা যায় না। একটা সময় সিপিআইএম নেতা লগনদেও সিংয়ের একচেটিয়া আধিপত্য ছিল হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ড, গঙ্গার ধার, মাছ বাজার এলাকায়। এখন তিনি তৃণমূলে। কিন্তু বাসস্ট্যান্ড চত্বরে তৈরি হয়ে গেছে বেশ কিছু তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস। হাওড়া বাসস্ট্যান্ডে শরৎচন্দ্রের মূর্তির সামনে বড় তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস তৈরি হয়েছে। হকারদের একাংশ জানিয়েছে, রাজনৈতিক দাদাদের সন্তুষ্ট করে তারা এখানে হকারি করে এবং সামনে পার্টি অফিস থাকায় তাদের উচ্ছেদের ভয় করতে হয় না। মাঝে মধ্যে পুলিশ অভিযান চালালেও তারা দুদিন পরে আবার বসে পড়ে।

    কী বলছেন রেলযাত্রীরা (Howrah)?

    রেলযাত্রী তুহিন মজুমদার বলেন, অফিস যাওয়ার পথে এবং অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তা চলতে খুবই অসুবিধায় পড়তে হয়। ইদানীং দেখা যাচ্ছে কলকাতা থেকে হাওড়াগামী বাসগুলি হাওড়া ব্রিজ থেকে নেমে যাত্রী নামানোর পর সেই যাত্রী গঙ্গার ঘাটের দিকে ট্যাক্সিস্ট্যান্ডের পাশ দিয়ে মূলত হাওড়া স্টেশনে ঢোকেন। কিন্তু স্টেশনে যাওয়ার রাস্তার মাঝখানেই বেশ কিছু ডিম, পাউরুটি, ফল এবং চায়ের দোকান বসে পড়েছে। ফলে সেইসব হকার ঠেলে তাদের হাওড়া (Howrah) স্টেশনে ঢুকতে খুবই অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। আরেক যাত্রী গার্গী সাহা জানান, অফিস টাইমে তো পা গলানোর জায়গা পাওয়া যায় না। রাস্তার দু’ধারে হকার বসায় সাধারণ মানুষ অফিস ফেরার সময় সেখান থেকেই কেনাকাটা করে। ফলে ট্রেনের সময় হয়ে গেলেও তাঁরা দ্রুত হাওড়া স্টেশনে পৌঁছাতে পারেন না ক্রেতাদের ঠেলায়। তাই সরকারের উচিত অন্তত স্টেশনে ঢোকার রাস্তায় যাতে হকার না বসে, সেদিকে খেয়াল রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া। হাওড়া সিটি পুলিশের দুটি বুথ রয়েছে হাওড়া স্টেশনের সামনে এবং ট্যাক্সিস্ট্যান্ড সংলগ্ন অনুসন্ধান কেন্দ্রের সামনে। কিন্তু তারা মূলত  ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত থাকার ফলে হকারদের দিকে তাদের নজর নেই বলে যাত্রীদের অভিযোগ।

    কী বলছে পুলিশ ও পুরসভা (Howrah)?

    যদিও পুলিশ জানিয়েছে, তারা মাঝে মধ্যেই হকার উচ্ছেদ সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই হকাররা ফের বসে পড়ে। হাওড়া পুরসভার বক্তব্য, হাওড়া বাসস্ট্যান্ড চত্বর মূলত কেএমডিএ-র আওতাধীন। ফলে সেখানে পুরসভা সরাসরি কিছু করতে পারে না। এদিকে হাওড়া (Howrah) স্টেশনের বাইরের নিরাপত্তা দেখা বা যাত্রী নিয়ন্ত্রণ যেহেতু হাওড়া সিটি পুলিশের আওতায়, তাই রেল পুলিশও সেখানে কোনও হস্তক্ষেপ করতে পারে না। ফলে সমস্যার কোনও সমাধান তো হয় না, উল্টে সমস্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: ব্যালট বাক্সে জল ঢালার পরও গণনা কীভাবে হল! প্রশাসনকে প্রশ্ন বিজেপির

    Purba Bardhaman: ব্যালট বাক্সে জল ঢালার পরও গণনা কীভাবে হল! প্রশাসনকে প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাটোয়ার (Purba Bardhaman) মণ্ডলহাটের রাজমহিষী স্কুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ করে সরব হয়েছিল বিজেপি। শুধু তাই নয়, ব্যাপক ছাপ্পা এবং রিগিং আটকাতে প্রশাসনকে বলেও কোনও কাজ না হলে অবশেষে ভোট বন্ধ করতে ১৫, ১৬, ১৭ নম্বর বুথে বিজেপি প্রার্থীরা জল ঢেলে দিয়েছিল ব্যালট বক্সে। গণনার সময় সেই জল ঢালা বাক্স থেকে ব্যালট গণনা করে প্রশাসন। তাই বিজেপি প্রশ্ন তুলেছে, জল ঢালা ব্যালট বাক্স থেকে কী করে গণনা হল! কাটোয়া ১ নম্বর ব্লক অফিসে বিডিওর কাছে এই অভিযোগ জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন ১৩১ জন বিজেপি প্রার্থী।

    অভিযোগ কী (Purba Bardhaman)?

    ৮ই জুলাই রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের দিন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ করে বিজেপি। অভিযোগ কাটোয়ার (Purba Bardhaman) রাজমহিষী স্কুলের বুথে নির্বাচনকে নিয়ে। তৃণমূলের সন্ত্রাস নিয়ে রাজমহিষী স্কুলের ১৫, ১৬, ১৭ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী ও এলাকার বিজেপি কর্মীরা একত্রিত হয়ে কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিলেন। সেখানে পরিষ্কার তাঁরা উল্লেখ করেছেন, তৃণমূল দুষ্কৃতীরা ব্যাপক রিগিং, সন্ত্রাস ও ছাপ্পা ভোট করেছে নির্বাচনের দিনে। বুথের ভেতর ছাপ্পা চলায় ভোটের পর বিজেপি জেলা পরিষদের প্রার্থী জল ঢেলে দেন ব্যালট বাক্সে। বিজেপি প্রার্থীর জল ঢালার পর এলাকাবাসীরাও ব্যালট বাক্সে জল ঢেলে দেন অন্য দুটি বুথে। বাক্সে জল ঢালার পর গণনা কীভাবে হয়েছে, এটাই প্রধান অভিযোগ।

    বিজেপির বক্তব্য

    জল ঢালার পর বাইরে থেকে অন্য ব্যালট এনে তাতে ছাপ মেরে, পুনরায় ব্যালট বক্সে ফেলে দিয়েছিল তৃণমূল কর্মীরা। তাই বিডিওর (Purba Bardhaman) কাছে বিজেপি জানতে চেয়েছে, কী করে জল ঢালা ব্যালট বক্সের ভোট গণনা করা হল! উত্তর মেলেনি। পরে জল ঢালা ব্যালট বাক্স গণনার পর দেখা যায়, তৃণমূল প্রার্থীরা কোথাও ৬০০ ভোট, কোথাও ৪০০ ভোটে জয়লাভ করেছে। পুরোটাই শাসক দল কারচুপি করছে প্রশাসনের মদতে, এমনটাই অভিযোগ।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের জেলা (Purba Bardhaman) সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ভোটের পরে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ থাকলে তখন কোনও অভিযোগ জানায়নি। এরপর আরও তিনি বলেন, যদি ছাপ্পা ভোট হয়, তাহলে তো ওই এলাকার মানুষ ভোট দিতে পারত না। কিন্তু ওই এলাকার মানুষও তো কোনও অভিযোগ করেনি। পাশাপাশি ওই তিনটি বুথে রাত আটটা পর্যন্ত ভোট হয়েছে। ফলে বিজেপির অভিযোগ সব মিথ্যা।

    অপর দিকে আজ ভারতীয় জনতা পার্টির মুর্শিদাবাদ দক্ষিণের উদ্যোগে পঞ্চায়েতে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের উপর তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীর অত্যাচারের প্রতিবাদে বহরমপুর থানার সামনে বিজেপির বিক্ষোভ সমাবেশ ও ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়। তৃণমূল আশ্রিত হার্মাদ বাহিনী, পুলিশ, বিডিও এবং ডিএমের অত্যাচার চলছে জেলায়। মানুষ তাঁর গণতন্ত্রের অধিকার প্রয়োগ করে যে সকল প্রার্থীদের জয় লাভ করিয়েছেন, সেই সব প্রার্থীদের যদি প্রশাসন এবং হার্মাদ বাহিনী পঞ্চায়েত গঠনে বাধা দেয়, তাহলে কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না, বললেন বহরমপুর জেলা বিজেপি সভাপতি শাখারাভ সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: জয়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূলে যোগ দিয়েও বিজেপির প্রার্থী ফিরলেন দলেই

    Hooghly: জয়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূলে যোগ দিয়েও বিজেপির প্রার্থী ফিরলেন দলেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের ইটের জবাব বিজেপি দিল পাটকেলে। ঘটনা হুগলির (Hooghly) আরামবাগের গোঘাটের। নাটকীয় ভাবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে জয়ী বিজেপি প্রার্থী আবার নিজের ঘরেই ফিরে এসেছেন। এই নিয়ে জেলা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য।

    কীভাবে ঘটল

    দুদিন আগে বিজেপির টিকিটে গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে জয়ী হয়েছিলেন গোঘাটের (Hooghly) ভাদুর গ্রামে ২০৬ নম্বর বুথের সঞ্জয় সাঁতরা। তিনি প্রথমে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে শামিল হয়েছিলেন। জয়লাভের দুদিন পরেই তাঁকে দেখা যায় ব্লক সভাপতির হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিতে। তৃণমূলে যোগদান করেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলে কর্মকাণ্ডের ঢালাও প্রশংসা করেছিলেন। কিন্তু তার ঠিক ৪৮ ঘণ্টা না কাটতে না কাটতেই ভোলবদল হল। সোমবার ফের বিজেপিতে ফিরলেন সঞ্জয়। বিজেপির রাজ্য সম্পাদকের হাত ধরে আরামবাগে (Hooghly) যোগ দেন সঞ্জয় সাঁতরা। আর এই যোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বোর্ড গঠনের আগেই চলছে জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে টানাটানি। একজন প্রার্থী কখনও যোগ দিচ্ছে তৃণমূলে, আবার কখনও বিজেপিতে। আর তাঁকে ঘিরেই শুরু রাজনৈতিক তরজা। 

    বিজয়ী প্রার্থীর বক্তব্য

    জয়ী সঞ্জয় সাঁতরা পুনরায় বিজেপিতে যোগদান করে বলেন, তৃণমূল তাঁকে ভয় দেখিয়েছিল। সেই জন্য তিনি বিজেপিকে ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিনের বিজেপি কর্মী আমি, বিগত লোকসভা (Hooghly) নির্বাচন থেকে আমি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। আগামী দিনেও আমি বিজেপিতেই থাকব।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির বক্তব্য, তৃণমূল কোথাও ভয় দেখিয়ে আবার কোথাও টাকার লোভ দেখিয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের (Hooghly) তৃণমূলে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তথা পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি তৃণমূল একটা বিজেপি প্রার্থীকে কেনার চেষ্টা করে, তাহলে বিজেপিও দশটা কেনার ক্ষমতা রাখে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে তৃণমূলের এই এলাকার ব্লক (Hooghly) সভাপতি ভয় দেখানোর অভিযোগকে অস্বীকার করেন। তিনি আরও বলেন, এটা ব্যক্তি স্বাধীনতা, যার যা ইচ্ছে সে করতে পারে। গোঘাটের ভাদুর পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৮ টি। তার মধ্যে সংখ্যা গরিষ্ঠতায় একাই ১৫ টি আসন তৃণমূল দখল নেওয়ার পরেও এই সঞ্জয় সাঁতরাকে ঘিরে চলছে রাজনৈতিক তরজা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: ভোট পরবর্তী হিংসা, বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা আশ্রয় নিলেন অসমে

    Alipurduar: ভোট পরবর্তী হিংসা, বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা আশ্রয় নিলেন অসমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি শাসিত অসম রাজ্যেই অবশেষে আশ্রয় নিতে হল সদ্য বিজেপির টিকিটে জেতা পঞ্চায়েত জনপ্রতিনিধিদের। মূল অভিযোগ, শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হুমকি-ধমকের জেরে তাঁরা গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) বিজেপির জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে নয় জন, এবং সেই সঙ্গে আরও চারজন নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির জেলা কার্যালয়ে এসে শুক্রবার রাতে আশ্রয় নেন। ওই নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যাদের সঙ্গে শিশু-কিশোরও রয়েছে। এরপর তাঁরা সেখানেও নিরপদ নন বলে অসমে গিয়ে আশ্রয় নিলেন। পীড়িত এই বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে কথা বললেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা।

    কেন যেতে হল অসমে?

    গত শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা (Alipurduar) ঘরছাড়া ওই পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের উপর নানা অত্যাচারের কথা শোনেন। দলীয় কার্যালয়েও নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলেন ওই পঞ্চায়েত সদস্যরা। দলের জেলা নেতৃত্ব তাঁদেরকে নিরাপদ জায়গায় হিসেবে বিজেপি শাসিত রাজ্য অসমে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়। এরপর বিজেপি জেলা কার্যালয় থেকে শনিবার রাতেই তাঁদেরকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির জেলা (Alipurduar) মিডিয়া সেলের মুখপাত্র শংকর সিনহা বলেন, শাসকদলের অত্যাচারে নিজেদের বাড়িতেই বিজেপির নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যরা থাকতে পারছেন না। তাঁদেরকে শাসক দলের যোগ দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এছাড়াও নানা ধরনের হুমকি চলছেই। তাই ওই নব নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যদের আমরা নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা করেছি অসমে।

    কীভাবে ভোট হয়েছে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)?

    এবারের পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদলের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে শাসক দল বিজেপির কাছে ধরাশায়ী হয়েছিল তৃণমূল। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বিভিন্ন সমীক্ষায় উঠে আসে আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদ বিজেপির দখলেই যেতে চলেছে। তা সত্ত্বেও এখানে বিজেপি জেলা পরিষদে একটি আসনেও জয়ী হতে পারেননি। তবে বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির আসনে বিজেপির প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। জেলার তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। ওই সকল গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শাসক দলে টানতে নানা  ভাবে হুমকি, এমনকি প্রলোভনও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের বাড়িতে থাকতে তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করায়, সদ্য নির্বাচিত ওই পঞ্চায়েত সদস্যরা প্রথমে জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। এরপর জনপ্রতিনিধিদের নিরাপদ এবং সুরক্ষিত করতে প্রতিবেশী বিজেপি শাসিত অসমে পাঠানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: গণনার দিন থেকে বুদবুদে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য

    TMC: গণনার দিন থেকে বুদবুদে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় এক সপ্তাহ নিখোঁজ থাকার পর এক তৃণমূল (TMC) কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার হল। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম চাঁদ বাউড়ি। তাঁর বাড়ি পশ্চিম বর্ধমান জেলার বুদবুদ থানার পোতনা গ্রামে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়়িয়ে পড়়েছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    কোথা থেকে উদ্ধার হল দেহ?

    গত ১১ জুলাই গণনার দিন চাঁদবাবু নামে ওই তৃণমূল (TMC) কর্মী বাজার করতে বুদবুদে গিয়েছিলেন। বাজারে পুলিশ জমায়েত দেখে লাঠিচার্জ করেছিল। তবে, বাজার করার পর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন চারদিকে খোঁজ করার পর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। কিন্তু, এতদিন তাঁর কোনও হদিশ মেলেনি। রবিবার গভীর রাতে বুদবুদ জাতীয় সড়কের বাইপাসে জঙ্গল থেকে তাঁর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। সোমবার সকালে মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। পরে, পুলিশ সিদ্ধান্ত নেয় দেহটি আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্ত করা হবে। পরে, দেহটি আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    মৃতের ভাই ফাগন বাউড়ি বলেন, ভোট গণনার দিন দাদা বাজারে এসেছিলেন। তারপর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। আমরা বহু জায়গায় খোঁজ করেছি। বুদবুদ বাজারে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছিল বলে শুনেছি। সেই লাঠির আঘাতে দাদা জখম হয়েছিল কি না জানি না। দাদার কোনও শত্রু ছিল না। কেন যে দাদাকে এভাবে খুন হতে হল বুঝতে পারছি না। তবে, পুলিশ একটু উদ্যোগী হলে আমার দাদাকে খুঁজে পাওয়া যেত। পুলিশ কোনও সাহায্য করেনি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) গলসি-১ নম্বর ব্লকের সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় বলেন,  ওই তৃণমূল কর্মীর কীভাবে মৃত্যু হল তা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ভোট মিটে গেলেও স্কুলের পাশে কয়েকশো ব্যালট পেপার উদ্ধার, শোরগোল নদিয়াতে

    Nadia: ভোট মিটে গেলেও স্কুলের পাশে কয়েকশো ব্যালট পেপার উদ্ধার, শোরগোল নদিয়াতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) জঙ্গলে পড়ে রয়েছে কয়েকশো ব্যালট পেপার, যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। বিজেপির অভিযোগ, ওই ব্যালট পেপারগুলিতে বিজেপিতে ভোট পড়েছিল। ভোট মিটে গেলেও কেন বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রের পাশের জঙ্গলে এইভাবে পড়ে রয়েছে ব্যালট পেপার! প্রশাসনের দিকে অভিযোগের তীর ছুড়েছে বিজেপি।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Nadia)?

    ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট দু নম্বর ব্লকের ধানতলা থানার নারায়ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে। ওই বিদ্যালয়ের বুথ নম্বর ৫৬/১। আজ সোমবার, সকালে বিজেপির বেশ কয়েকজন কর্মী দেখতে পান, পাশের জঙ্গলে পড়ে রয়েছে বিজেপির সিম্বল দেওয়া একাধিক ব্যালট পেপার। চোখ ঘোরাতেই তাঁদের নজরে পড়ে, কয়েকশো ব্যালট পেপার, যা ছেঁড়া ও পোড়া অবস্থায় পড়ে রয়েছে। খবর দেওয়া হয় ধানতলা থানার পুলিশকে। ঘটনাস্থলে তদন্তে আসে ধানতলা থানার পুলিশ এবং এরপরে শুরু হয় রাজনৈতিক চাঞ্চল্য। এলাকার এক সাধারণ ভোটার আনন্দ রায় বলেন, সবগুলিতে বিজেপিই ভোট পেয়েছে। কিন্তু ভোটের পর কেন এই ভাবে ব্যালট পড়ে থাকবে! অবিলম্বে সিবিআই তদন্ত চাই।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির এই বুথের (Nadia) প্রার্থী অখিলচন্দ্র রাহা অভিযোগ করে বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন যেভাবে তৃণমূল ছাপ্পা মেরেছে এবং লুটপাট করেছে ব্যালট বক্সগুলিকে, এর দায় পুলিশকেই নিতে হবে। কেননা পুলিশের মদতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। ফলে এর দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে। ব্যালট যত্রতত্র পড়ে থাকার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেন বিজেপির এই প্রার্থী।

    তৃণমূলের অভিযোগ

    অন্যদিকে তৃণমূল স্থানীয় ১৭০ নম্বর বুথের জয়ী প্রার্থী (Nadia) অসিত পাণ্ডে বলেন, ঘটনা জানতে পেরে এসে দেখি, সই করা অবস্থায় ব্যালট পেপারগুলি পড়ে রয়েছে যেখানে সেখানে। তবে আদৌ কি ওই ভোটকেন্দ্রের ব্যালট পেপার! নাকি অন্য কোনও জায়গা থেকে ব্যালট পেপারগুলি এখানে নিয়ে আসা হয়েছে! এই নিয়ে প্রশাসনকে হস্তক্ষেপ করে তদন্ত করতে বলব। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, প্রশাসন তদন্ত করে দেখুক এই ঘটনার পিছনে কী চক্রান্ত রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ভোটের দিন বুথে তৃণমূলের সন্ত্রাস, হরিহরপাড়ায় ফের খুন হলেন সিপিএম কর্মী

    TMC: ভোটের দিন বুথে তৃণমূলের সন্ত্রাস, হরিহরপাড়ায় ফের খুন হলেন সিপিএম কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন তৃণমূলের (TMC) সন্ত্রাসের জেরে মুর্শিদাবাদের আরও একজন রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যু হল। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রিন্টু শেখ। তাঁর বাড়ি হরিহরপাড়া ব্লকের নিয়ামতপুর গ্রামে। তিনি সিপিএমের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    পঞ্চায়েত ভোটের দিন তৃণমূলের (TMC) দুষ্কৃতীরা বুথে ঢুকে  ভোট লুটের চেষ্টা করে। তাতে এই সিপিএম কর্মী বাধা দেন। এরপরই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে এতদিন ভর্তি ছিলেন। এদিন দুপুরে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় পরিবারের শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) হামলায় দলীয় কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় রবিবার সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, ভোটে তৃণমূল লুট করেছিল। সেটা বাধা দিতে গিয়ে আমাদের আরও এক কর্মীকে প্রাণ হারাতে হল।

    দৌলতাবাদে ও বড়ঞায় উদ্ধার হল বোমা

    দৌলতাবাদ থানার গৌরীপুর এলাকায় পাটের জমিতে তিনটি সকেট বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। জমিতে পাট কাটতে গিয়ে স্থানীয় লোকজন বোমাগুলি দেখতে পান। তারপর দৌলতাবাদ থানায় খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে বোমা তিনটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এদিন  বড়ঞায় দুই জার ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, নিমা গ্ৰামের মাঠ থেকে এদিন সকালেই এলাকার বাসিন্দারা একটি জার দেখতে পেয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন, পরে পুলিশ গেলে সেটি বোমা বলে জানানো হয়। অন্যদিকে এই ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যেই বড়ঞার সুন্দরপুর সংলগ্ন  হাতিশালা গ্রামের মাঠেও উদ্ধার হয়েছে আরও একটি জার ভর্তি তাজা বোমা। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভোটের জন্য বোমা মজুত করেছিল। তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের সন্ত্রাসে পুরুষশূন্য গ্রাম, আক্রান্ত নির্দলদের পাশে আব্দুল করিম চৌধুরী

    TMC: তৃণমূলের সন্ত্রাসে পুরুষশূন্য গ্রাম, আক্রান্ত নির্দলদের পাশে আব্দুল করিম চৌধুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত ইসলামপুরে। তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের সন্ত্রাসের জেরে এলাকা পুরুষশূন্য রয়েছে। আক্রান্তরা সকলেই নির্দল প্রার্থী এবং তাঁর অনুগামী হিসেবে পরিচিত। তাদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। লুটপাট চালানো হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ব্লকের আগডিমটিখুন্তি অঞ্চলের বুধাগছ, দিঘিরপাড় সহ অন্যান্য গ্রামের সন্ত্রাস বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখলেন ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী।

    কী বললেন আক্রান্ত নির্দল কর্মীরা?

    উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর সঙ্গে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বিরোধ ‘ওপেন সিক্রেট’। দুজনের মধ্যে বিরোধিতা আরও বাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে। জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বিধায়ক করিম অনুগামীদের প্রার্থী করেননি বলে অভিযোগ। তার জন্য পঞ্চায়েত ভোটে করিম চৌধুরীর অনুগামীরা নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা করিম অনুগামীদের বাড়ি ভাঙচুর, মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। তৃণমূলের সন্ত্রাসের ভয়ে মহিলারা আতঙ্কিত। এদিকে বিধায়ক করিম চৌধুরী ভুজাগছ গ্রামে পার্শ্ববর্তী গ্রামে যেতে চাইলে জাকির হোসেনের অনুগামীরা বাধা দিলে বিধায়ক সেখান থেকে ফিরে আসেন।  বিধায়ক অনুগামী নির্দল কর্মী সালমা খাতুন, ফরিদা বানুদের বক্তব্য, আমরা সকলেই তৃণমূল কর্মী ছিলাম। এবার টিকিট না পাওয়ার কারণে নির্দল প্রার্থীদের সমর্থন করেছিলাম। আর তার জন্যই ভোট হওয়ার পর থেকেই লাগাতার বাড়িতে এসে তৃণমূলের লোকজন হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক?

    বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীকে বারবার বলা সত্বেও তিনি কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। এই অত্যাচার বন্ধ না হলে তিনি সরকারের কাজকর্মের বিরোধিতা চালিয়ে যাবেন। ভোটের দিন থেকেই সন্ত্রাসবাদী জাকির হোসেনের লোকেরা আমার অনুগামীদের মারধর, বাড়িঘর ভাঙচুর এবং ফসল কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এই অত্যাচার বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তিনি সন্ত্রাস বিধ্বস্ত এলাকার মানুষদের সঙ্গে দেখা করবেন।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতি?

    তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, যারা বাড়িঘর ছেড়ে বাইরে আছে ভোটের দিন তারা এলাকায় গুলি চালিয়ে ভোট বন্ধ করে দিয়েছিল। সেই অভিযোগে পুলিশ তাদের খুঁজছে। গ্রেফতার এড়াতেই তারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। বিধায়ক না জেনে এলাকায় অশান্তি তৈরি করতেই মিথ্যা অভিযোগ করছেন। শান্ত এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছেন বিধায়ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘‘পাঁচ-ছ’মাসের মধ্যে তৃণমূল সরকার পড়ে যাওয়া অসম্ভব নয়’’, মত সুকান্তর

    BJP: ‘‘পাঁচ-ছ’মাসের মধ্যে তৃণমূল সরকার পড়ে যাওয়া অসম্ভব নয়’’, মত সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ-ছ’মাসের মধ্যে তৃণমূল সরকার পড়ে যাওয়া অসম্ভব নয়, এমনই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রসঙ্গত, শনিবারই কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী তথা মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুরও তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছিলেন, ‘‘আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, পাঁচ মাসের মধ্যে এই রাজ্যের সরকার পড়ে যাবে।’’ রাজ্য জুড়ে লাগামছাড়া হিংসা ছড়িয়েছে পঞ্চায়েত ভোটকে ঘিরে। প্রতিটি অভিযোগই উঠে এসেছে শাসক দলের বিপক্ষে। ভোট ঘোষণার দিন থেকে এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৫৭ ছাড়িয়েছে। এরই মাঝে বারবার জোরালো দাবি উঠেছে ৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের। রবিবার সুকান্ত মজুমদারের সাংবাদিক সম্মেলন সেই দাবিকেই ইন্ধন দিল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    সুকান্তর সাংবাদিক সম্মেলন 

    রবিবার সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে বিজেপির (BJP) দফতরে ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। দলীয় অফিসের সামনে সংবাদ মাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, ‘‘সরকার পাঁচ মাস, ছ’মাস যখন খুশি পড়ে যেতে পারে। অসুবিধার তো কিছু নেই। সরকার কী ভাবে চলে? বিধায়কদের সমর্থনে। বিধায়কেরা হঠাৎ মনে করল, আমরা সমর্থন করব না। আমরা অন্য কাউকে সমর্থন করব। বিধায়কদের তো মনে হতেই পারে। না হওয়ার তো কিছু নেই।’’ সুকান্তর আরও সংযোজন, ‘‘আবার ধরুন, এমন গণ আন্দোলন শুরু হল, যে বিধায়কেরা বলল, ‘আমরা আজ থেকে আর বিধায়ক পদে থাকব না।’ হাত জোড় করে সবাই বিধায়ক পদ ছেড়ে দিল। এরকমও গণ আন্দোলন হতে পারে। সব সম্ভাবনাই আছে। রাজনীতিতে কোনও সম্ভাবনা অস্বীকার করা যায় না।’’

    শনিবারই একই দাবি করেন শান্তনু ঠাকুর

    শনিবারই তৃণমূলকে একহাত নেন শান্তনু ঠাকুর। শনিবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটা ফুলশড়া পাঁচপোতায় এলাকায় হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী। পঞ্চায়েতে বিজেপির (BJP) জয়ী প্রার্থীদের সংবর্ধনার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এসেছিলেন তিনি। শান্তুনু নিজের বক্তব্য বলেন, ‘‘তৃণমূল ভেবে নিয়েছে এরা চিরস্থায়ী। কখনই এরা চিরস্থায়ী নয়। আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে এদের সরকার পড়ে যাবে। আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলে যাচ্ছি।’’ তাঁর সঙ্গে এদিন হাজির ছিলেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি রামপদ দাস সহ বিজেপি (BJP) নেতারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share