Tag: tmc

tmc

  • North 24 Parganas: তৃণমূলের বিজয় মিছিলে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, চটুল গান ও নাচ, ভাইরাল ভিডিও

    North 24 Parganas: তৃণমূলের বিজয় মিছিলে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, চটুল গান ও নাচ, ভাইরাল ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হিংসার মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত ৫০ জন মানুষের প্রাণ গেছে। জেলায় জেলায় শাসক দলের আশ্রিত গুন্ডারা বোমাবাজি করে এলাকাছাড়া, ঘরছাড়া করেছে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের। আর এই হিংসার আবহের মধ্যে বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থীর বিজয় মিছিলে চলছে চটুল গানের সঙ্গে নাচ। উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Parganas) বিজয় মিছিলে ভাড়া করা বৃহন্নলাদের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি এবং চটুল গানের নাচে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। বিজয় মিছিলের ভিডিও সমাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এই নিয়ে বিরোধীরা তীব্র কটাক্ষ করেছে।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (North 24 Parganas)?

    এই বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আমডাঙা এলাকার শশিপুর গ্রামে। ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর জয়ী তৃণমূল প্রার্থীদের নিয়ে সাউন্ড সিস্টেম লাগিয়ে উচ্চ স্বরে হিন্দি গানে চটুল নাচের ভিডিও সামজিক গণমাধ্যমে ভাইরাল হতে দেখা গেছে। আজ রবিবার সকাল থেকেই এই চটুল নাচ, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, গালিগালাজ এবং বিকৃত নাচের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। কয়েকজন বৃহন্নলা নর্তকীদের সঙ্গে করে ছোট চোট বাচ্চাদের সামনে তৃণমূল কর্মীদের সবুজ আবির মেখে চটুল গানে বিকৃত যৌন অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যায় ভিডিওতে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতি, রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের কথা বলেন। কিন্তু তবুও তৃণমূলের কর্মীদের দ্বারা প্রকাশ্য দিনের বেলায় ছোট ছোট বাচ্চা ছেলে-মেয়ে, মহিলা, বৃদ্ধের সামনে বিজয় মিছিলের নামে এই অপসংস্কৃতি এবং বিকৃত যৌন অঙ্গভঙ্গির দৃশ্য ভিডিওতে লক্ষ্য করা গেল। সামজিক গণ মাধ্যমে এই ভিডিও নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে বলে জানা গেছে।    

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই এলাকায় চণ্ডীগড় (North 24 Parganas) পঞ্চায়েতের ৭৫৭ নম্বর বুথের তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী হয়েছেন আজমিরা খাতুন। তিনি বলেন, ভোটের ফলাফলের পর এলাকার মানুষ একটু বিনোদন চেয়েছিল, আর তাই একটু আনন্দ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এলাকায় আমরা ১৯৯ ভোটে জয়ী হয়েছি। তাই দলের কর্মীদের আবেদন রাখতে এই মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। একজন জনপ্রতিনিধি কীভাবে এইরকম একটি অশ্লীল বিজয় মিছিলের আয়োজন করলেন, সেটাই এখন প্রশ্নের মুখে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: রাতের অন্ধকারে পরকীয়া! তৃণমূল নেতাকে গাছে বেঁধে মার, মাথায় ঢালা হল ঘোল

    Paschim Medinipur: রাতের অন্ধকারে পরকীয়া! তৃণমূল নেতাকে গাছে বেঁধে মার, মাথায় ঢালা হল ঘোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরকীয়া করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) এক তৃণমূল নেতা। গভীর রাতে, গ্রামের মানুষজন এই তৃণমূল নেতা এবং গৃহবধূ যুগলকে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার মাথায় ঘোল ঢালা হয়েছে বলে জানা যায়। দীর্ঘক্ষণ পর খবর পেয়ে দাসপুর থানার পুলিশ এসে উদ্ধার করে নিয়ে যায় ওই যুগলকে।

    কোথায় ঘটেছে ঘটনা (Paschim Medinipur)?

    ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার (Paschim Medinipur) দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের নিজনাড়াজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের চন্ডীপুর এলাকায়। জানা যায়, চন্ডীরপুর এলাকার তৃণমূল নেতা অনন্ত দোলই, গ্রামের এক বছর ২৬ এর গৃহবধুর সাথে পরকীয়া করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দু’জনই পরিবার থাকা সত্ত্বেও এই পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে!। এরপর সেই পরকীয়ার জন্য গ্রামে এক গাছের সঙ্গে বেঁধে প্রথমে উত্তম-মধ্যম দেওয়া হয় এবং এরপর তৃণমূল নেতার মাথায় ঘোল ঢেলে দেয় গ্রামের মানুষজন। আর সেই দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করে অনেকেই ছবি সহ ভিডিও সামজিক মাধ্যমে আপলোড করে দেয়। মুহূর্তেই সেই ভিডিও ভাইরাল হতে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়াতে। শাসক দলের নেতার এই আচরণে এলাকায় তীব্র শোরগোল পড়ে গেছে।

    ভিডিওতে কী রয়েছে?

    ভিডিওটি ৪৮ সেকেন্ডের। গোটা ভিডিওটি রাতের অন্ধকারে করা। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে গাছের এক দিকে তৃণমূলের ওই নেতাকে দড়ি দিয়ে বাঁধা রয়েছে এবং ঠিক গাছের উল্টো দিকে আরেকটি দড়ি দিয়ে বিবাহিত ওই মহিলাকে বাঁধা রয়েছে। মহিলা নিজের মুখ চুল দিয়ে ঢেকে রেখেছে এবং তৃণমূল নেতার মাথায়, শরীরে ঘোলের অবশেষ লেগে রয়েছে। পাশ থেকে এক গ্রামবাসীকে বলতে শোনা যায়, কেন অন্যের বৌকে নিয়ে পরকীয়া করছো! উত্তরে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার (Paschim Medinipur) কোনও বক্তব্য শোনা যায়নি। এলাকায় এই নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: অভিষেকের কাছে নালিশের জন্য দলীয় কর্মীকে বেধড়ক মার, গ্রেফতার অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    TMC: অভিষেকের কাছে নালিশের জন্য দলীয় কর্মীকে বেধড়ক মার, গ্রেফতার অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) কর্মী ও তাঁর স্বামীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের সাধারণ সম্পাদক আশিস দে ও তাঁর অনুগামী আর এক তৃণমূল নেতা দোলন প্রামাণিকের বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার ওন্দা থানা এলাকার রামসাগরের ঘটনা। আক্রান্ত কর্মীরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূল নেতা আশিস দে সহ  দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শনিবার আদালতে তোলা হলে বিচারক দুজনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    তৃণমূল (TMC) নেতার হামলা চালানোর কারণ কী?

    প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী নামে আক্রান্ত তৃণমূল (TMC) কর্মী ওন্দা ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আশিস দে-কে করোনা মহামারির সময় ‘কাজ দেওয়ার নাম করে প্রায় ৯৫ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। তারপর সেখানে তিনি প্রতারিত হন। এবিষয়ে তিনি পুলিশেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনা তিনি বৃদ্ধার ছদ্মবেশে ওন্দায় গত ১২ এপ্রিল মাসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আশিস দে কে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার এবং শাস্তির দাবি জানিয়েছিলেন। সেই নালিশের বদল নিতেই পরে গত ১২ জুলাই ওন্দার রামসাগর বাজারে তাঁর স্বামী সুব্রত গোস্বামী ও বন্ধুরা মিলে পিকনিক করছিলেন। সেই সময় তৃণমূল নেতা আশিস দে, দোলন প্রামাণিক সহ অন্যান্যরা তাদের উপর হামলা চালায়। পরে তিনি নিজে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

    কী বললেন আক্রান্ত তৃণমূল (TMC) কর্মী?

    প্রিয়ঙ্কা গোস্বামী বলেন, আশিস দে অত্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ। এই ধরনের মানুষ দলে থাকলে মানুষ আমাদের দল করবে না। অভিষেকের কাছেই সেটা নালিশ জানিয়েছিলাম। তাই, ওরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে।

    কী বললেন ধৃত তৃণমূল (TMC) নেতা?

    ধৃত ওন্দা ব্লক তৃণমূলের (TMC) সাধারণ সম্পাদক আশিস দে’ বলেন, প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী ও তাঁর স্বামী সুব্রত গোস্বামী আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন। ওই ঘটনার সঙ্গে আমি কোনভাবেই যুক্ত নই। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক ?

    প্রসঙ্গত, এই আশিস দে এবার ওন্দা পঞ্চায়েত সমিতির  রামসাগরের ৩৫ নম্বর আসনে ভোটে তৃণমূল (TMC) প্রার্থী হিসেবে লড়াই করে বিজেপি অঞ্জন নাগ চৌধুরির কাছে ৭৮৯ ভোটে হেরেছেন। এই দুর্নীতিবাজ নেতার ওপর মানুষের আস্থা নেই তা প্রমাণ হতেই আশিস দে কে গ্রেফতারের পথে হাঁটল বলে এলাকার রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা চলছে। এদিকে ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা বলেন এই আশিস দে- কে আগেই গ্রেফতার করা উচিত ছিল। এতদিন পর প্রশাসনের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বাড়ি কিনে তোলাবাজির মুখে শিক্ষক, ৫ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় বাড়িতে তাণ্ডব, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলার

    TMC: বাড়ি কিনে তোলাবাজির মুখে শিক্ষক, ৫ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় বাড়িতে তাণ্ডব, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বাড়ি কিনেছেন। আর কাউন্সিলারের কাছে নজরানা পাঠাননি। এটাই পানিহাটি পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোমনাথ সর্দারের অপরাধ। পেশায় শিক্ষক সোমনাথবাবু এত সব নিয়ম জানতেন না। তাই, বাড়ি কেনার পর পরই স্থানীয় তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলারের কাছে থেকে তাঁর কাছে ৫ লক্ষ টাকা তোলা চেয়ে ফোন আসে বলে অভিযোগ। সেই টাকা না দিলে তার বাড়িতে তাণ্ডব চালায় হয় বলে অভিযোগ।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  সোমনাথ সর্দারের বাবা অসুস্থ। বাড়িতে সদ্যোজাত সন্তান রয়েছে। পরিবারের আরও অনেক সদস্যদের সামনে তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলারের অনুগামীরা চড়াও হন। এর আগে ১০ জুলাই কাউন্সিলারের ছেলেরা চড়াও হয়েছিলেন। এবার চড়াও হয়ে বাড়ির লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। ৫ লক্ষ টাকা অবিলম্বে কাউন্সিলারে কাছে পৌঁছে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। পরে, সোমনাথবাবু থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    কী বললেন অভিযোগকারী শিক্ষক?

    সোমনাথবাবু বলেন, নতুন বাড়ি কেনা কী আমার অপরাধ? আমার কাছে থেকে ৫ লক্ষ কাউন্সিলারের লোকজন দাবি করছে। তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার নিজে ফোন করে দেখা করতে বলছে। আর দাবি মতো ৫ লক্ষ টাকা দিতে রাজি হয়নি বলে ওরা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। বাড়ির ভিতরে তাণ্ডব চালায়। আমার ভাইকে মারধর করেছে। আমার অসুস্থ বাবাকে শারীরীকভাবে হেনস্থা করা হয়। এই ঘটনার পর চরম আতঙ্কে রয়েছি।

    অভিযুক্ত তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলারের কী বক্তব্য?

    অন্যদিকে, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার হিমাংশু দেব। তিনি উল্টে অভিযোগ করেন, সোমনাথবাবু তাঁর শ্বশুর ও শালির কাছ থেকে ১৭ লক্ষ টাকা নিয়ে না দেয়নি। শুধু তাই নয় একজন বিধবা মহিলার কাছ থেকে স্থানীয় ক্লাবের নাম করে ৫ লাখ টাকা তিনি নিয়েছেন। সকলেই আমার কাছে জানিয়েছে। অখন তিনি নিজে এসব ঘটনা জড়িয়ে রয়েছেন বলে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির  উত্তর কলকাতা শহরতলির জেলার সহ-সভাপতি কৌশিক চট্টোপাধ্যায়  বলেন, এই ঘটনা নতুন নয়। গোটা রাজ্যজুড়েই এমন চলছে। মানুষকে  ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে। সাধারণ মানুষ যেন ভয় না পেয়ে প্রতিবাদ করে, রাস্তায় বেড়িয়ে এসে সকলকে একসঙ্গে নিয়ে প্রতিবাদ জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ক্যানিংয়ে শাসক দলের কর্মীকে কুপিয়ে খুন, বাসন্তীতে চলল গুলি, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    TMC: ক্যানিংয়ে শাসক দলের কর্মীকে কুপিয়ে খুন, বাসন্তীতে চলল গুলি, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার গভীর রাতে তৃণমূল কর্মীকে (TMC) ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিন ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার সাতমুখী গাজিপাড়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম নান্টি গাজি। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে। যদিও আইএসএফের পক্ষ থেকে হামলা চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। অন্যদিকে, বাসন্তীতে এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়েছে। 

    ঠিক কী ঘটেছে?

    ক্যানিং থানার সাতমুখী গাজিপাড়া এলাকায় ভোটের ফল ঘোষণায় তৃণমূল জয়ী হয়। অনেক আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় তৃণমূল (TMC)  জয়লাভ করে। ভোটে জেতার আনন্দে শুক্রবার এলাকায় বিজয় উৎসব চলে। সেই ঘটনার পর রাতে এলাকায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। আইএসএফের বিরুদ্ধে এই বোমাবাজি করার অভিযোগ ওঠে।  কয়েকজন তৃণমূল কর্মী এলাকায় বোমাবাজি করার প্রতিবাদ করতে যান। তারপরই আইএসএফ কর্মীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁদের  লক্ষ্য করে তেড়ে যায় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে  তৃণমূল কর্মীরা ছুটে পালানোর চেষ্টা করেন। ছুটতে গিয়ে নান্টু গাজি নামে ওই তৃণমূল কর্মী রাস্তায় পড়ে যান। ওই অবস্থায় তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় বলে অভিযোগ। পরে, হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। রাতেই ঘটনাস্থলে যায় ক্যানিং থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। জখম তৃণমূল কর্মীকে প্রথমে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে চিকিৎসকরা কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তিরিত করা হয়।   সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূল (TMC) নেতাদের বক্তব্য, ভোট তৃণমূল অধিকাংশ আসনে জিতে গিয়েছে তা আইএসএফ কর্মীরা মেনে নিতে পারেননি। বিজয় মিছিল হওয়ার পর ওরা সন্ত্রাস করতে এলাকায় বোমাবাজি করা হয়েছিল। সেটার প্রতিবাদ করার দলীয় কর্মীকে এভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে।

    বাসন্তীতে চলল গুলি

    বাসন্তীতে ফের চলল গুলি। গুলিতে জখম হয়েছেন এক তৃণমূল (TMC)  কর্মী। জখম তৃণমূল কর্মীর নাম শামিম সর্দার। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে কলকাতার এস এস কে এম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ভরতগড় এলাকায়। ঘটনায় অভিযোগের তির আর এস পির দিকে। রাতে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তৃণমূল বিধয়াক পরেশরাম দাস বলেন, ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকেই সন্ত্রাস চলছে। আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি। আরএসপি নেতাদের বক্তব্য, তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে এই ঘটনা ঘটছে। এরসঙ্গে আরএসপির কোনও সম্পর্ক নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bjp: জয়ী প্রার্থীদের লাগাতার হুমকি, থানার সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বিজেপি সাংসদ

    Bjp: জয়ী প্রার্থীদের লাগাতার হুমকি, থানার সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বিজেপি সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের রাতের অন্ধকারে লাগাতার হুমকি দিচ্ছে পুলিশ। এমনই অভিযোগ ঘিরে শুক্রবার ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হল শান্তিপুর থানার সামনে। এদিন একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে থানার সামনে প্রবল বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা-কর্মীরা। দলীয় কর্মীদের নিয়ে অবশেষে থানার সামনে বসে পড়েন বিজেপির (Bjp) সাংসদ। দীর্ঘক্ষণ ধরে থানার গেট আটকে চলে অবস্থান-বিক্ষোভ। যদিও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নিরাপত্তার খাতিরে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।

    থানার ওসিকে তীব্র আক্রমণ

    ভোট পরবর্তী হিংসার পর থেকেই বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা এবং বিজেপির (Bjp) জয়ী প্রার্থীদের পুলিশ দিয়ে হয়রানির অভিযোগে থানা ঘেরাও কর্মসূচি বিজেপির। এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার, রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় সহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বিজেপির এই অবস্থান বিক্ষোভের মধ্যে দিয়ে শান্তিপুর থানার ওসিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। স্লোগান ওঠে ‘তৃণমূলের দালাল ওসি দূর হটো’। ‘পুলিশ তুমি উর্দি ছাড়ো, তৃণমূলের ঝান্ডা ধরো’। ‘তৃণমূলের দালাল ওসি সুব্রত মালাকার দূর হটো’।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    তাঁর দাবি, ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপি কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তারপরে রাতের অন্ধকারে বিজেপির (Bjp) জয়ী প্রার্থীদের বাড়িতে গিয়ে রীতিমতো হুমকি দেওয়া হচ্ছে, যার মদত দিচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ সম্পূর্ণভাবে তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। আমরা এর তীব্র ধিক্কার জানাই। আমরা দাবি করছি, অবিলম্বে তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীদের উপর যদি কড়া ব্যবস্থা পুলিশ প্রশাসন না নেয়, তাহলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তম আন্দোলনের পথে নামবে বিজেপি। শান্তিপুর থানার গেটের সামনে বসে দলীয় কর্মীদের সাথে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান-বিক্ষোভ করেন বিজেপি (Bjp) সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসায় এবার বিষ্ণুপুরে এক বিজেপি প্রার্থীর মৃত্যু

    South 24 Parganas: পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসায় এবার বিষ্ণুপুরে এক বিজেপি প্রার্থীর মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসার বলি আরও এক বিজেপি প্রার্থী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বিষ্ণুপুর-১ ব্লকের কেওড়াডাঙা পঞ্চায়েতের ঘটনা। গণনার দিন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ব্যাপক মারধর করে। তারপর আতঙ্কে ঘরছাড়া ছিলেন। অবশেষে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুরে মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম ভোলানাথ মণ্ডল (৫৩)। রাজ্য জুড়ে ভোটের সন্ত্রাসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫০।

    কীভাবে মৃত্যু হয়েছে (South 24 Parganas)?

    কেওড়াডাঙা (South 24 Parganas) পঞ্চায়েতের ২০৯ নম্বর বুথের ঘটনা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ জুন রাতে তৃণমূলের বাহিনীর দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রথম বার। সেই সময় মাথায় গুরুতর চোট পান তিনি। ভোটে মনোনয়নের পর থেকেই ভোলানাথ মণ্ডলকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এরপর গত ১১ জুলাই গণনার দিন বিষ্ণুপুরে ভোটের গণনায় হেরে যান। আর তার পরেই গণনা কেন্দ্র থেকে বেরনোর সময় বিকেলে তাঁকে ঘিরে ধরে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। তাঁকে বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে ওই দুষ্কৃতীরা। এবারও মাথায় আবার আঘাত পান তিনি। এরপর তৃণমূল দুষ্কৃতীদের আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে শ্বশুর বাড়ি শিরাকোলে গিয়ে উঠেছিলেন ভোলানাথ। কিন্তু আজ ভোরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আজ বেলা বারোটা নাগাদ হাসপাতালে মৃত্যু হয় ভোলানাথ মণ্ডলের। মৃত্যুর পর পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।

    বিজেপির বক্তব্য

    ডায়মন্ডহারবার (South 24 Parganas) সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ-সভাপতি দীপক হালদার বলেন, তৃণমূলের সন্ত্রাসে সারা রাজ্য উত্তাল। কেবল মাত্র বিজেপি করা এবং নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য খুন করা হয় ভোলানাথ মণ্ডলকে। মনোনয়নের পর থেকেই তাঁকে দুষ্কৃতীরা হুমকি দিচ্ছিল। অবশেষে খুন হতে হল তাঁকে। এই মৃত্যুর দায় রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। অপর দিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হত্যার দায় পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে এবার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ছাপ মারা ব্যালট!

    Panchayat Election 2023: দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে এবার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ছাপ মারা ব্যালট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার ব্যালট উদ্ধার কুমারগঞ্জে। শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুর ব্লকের কুমারগঞ্জের ধাদলপাড়ায় বেশ কিছু ব্যালট (Panchayat Election 2023) দেখতে পাওয়া গেলে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এদিন কুমারগঞ্জের বর্জ্য নিষ্কাশন কেন্দ্রে (ডাম্পিং গ্রাউন্ড) এই ব্যালটগুলি দেখতে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ ব্যালটগুলি উদ্ধার করে।

    বিজেপির ছাপ মারা ব্যালটই (Panchayat Election 2023) বেশি

    উল্লেখ্য, কুমারগঞ্জ ব্লকের পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা হয়েছিল কুমারগঞ্জ হাই স্কুলে। গতকাল সেই গণনা কেন্দ্রের ২০০ মিটার দূরে আত্রেয়ী নদীর ধারে প্রায় ৪০টি ব্যালট পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপরেই শুরু হয় চাঞ্চল্য। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় বিজেপির নেতৃত্বরা। গতকালের ব্যালট উদ্ধারকে নিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। এমনকি বিক্ষোভে চলে পুলিশের লাঠিচার্জ। আহত হন বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী। সেই বিক্ষোভের রেশ কাটতে না কাটতেই আবার ব্যালট (Panchayat Election 2023) উদ্ধার। যার ফলে ফের চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে কুমারগঞ্জে। স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যালটগুলিতে ছাপ মারা রয়েছে। যার বেশিরভাগ বিজেপির দলীয় চিহ্নে, কিছু বামেদের এবং সামান্য কিছু তৃণমূলের দলীয় চিহ্নে ছাপ রয়েছে। যার মধ্যে বিজেপি ও সিপিএমের দলীয় চিহ্নে বেশি ছাপ রয়েছে। গণনার পরপরই একের পর এক ব্যালট উদ্ধারের ঘটনায় গোটা রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    একে স্থানীয় বাসিন্দা জানান,আমরা গতকাল দেখেছিলাম কুমারগঞ্জের আত্রেয়ী নদীর ধারে ব্যালট (Panchayat Election 2023) উদ্ধার হওয়া । আজ আবার কুমারগঞ্জে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে প্রায় ৫০ টি ব্যালট উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যে বিজেপির দলীয় চিহ্নে, কিছু বামেদের এবং সামান্য কিছু তৃণমূলের দলীয় চিহ্নে ছাপ রয়েছে। আমরা পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ ব্যালটগুলি উদ্ধার করে।

    কী বলছেন বিজেপি ও তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী জানান, ভোটের (Panchayat Election 2023) নামে প্রহসন হয়েছে। গতকাল নদীর ধার থেকে ব্যালট উদ্ধারের পর এদিন আবার ডাম্পিং গাউন্ড থেকে ব্যালট উদ্ধার হয়েছে। এভাবেই বিজেপি প্রার্থীদের হারানো হয়েছে। ব্যালট বাইরে থাকার কথা নয়, এর জবাব প্রশাসকে দিতে হবে। এই ঘটনায় তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকী জানান, ব্যালটের নমুনা প্রিন্ট করে, এটা বিজেপি চক্রান্ত করে করছে। কেউ চুরি করলে কি রাস্তায় ফেলে দেবে? বিজেপি একটা নাটক তৈরি করার চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Violence: লাঠি, বাঁশ নিয়ে অতর্কিত হামলা, সংঘর্ষ, মারধর, উত্তপ্ত গোঘাট, গলসি, খেজুরি

    Panchayat Violence: লাঠি, বাঁশ নিয়ে অতর্কিত হামলা, সংঘর্ষ, মারধর, উত্তপ্ত গোঘাট, গলসি, খেজুরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট শেষ, গণনাও শেষ। বুথ জ্যাম, ছাপ্পা ভোট, সন্ত্রাস চালিয়ে তৃণমূল রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করেছে। কিন্তু শাসক দলের রক্তচক্ষু শান্ত হয়নি। বিরোধীদের উপর একের পর এক হামলা হয়েই চলেছে। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে বিজেপি সমর্থকদের বাড়িছাড়া করার ঘটনাও (Panchayat Violence) ঘটেছে হাওড়া জেলার আমতায়। শুক্রবার ফের একাধিক জায়গায় হামলা এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল।

    ফের ভোট পরবর্তী হিংসা (Panchayat Violence) হুগলির গোঘাটে

    বিজেপি ও তৃণমুল সংঘর্ষে উত্তেজনা গোঘাটের সন্তা এলাকায়। ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই চাপা উত্তেজনা তৈরি হয় গোঘাটের সন্তা এলাকায়। বিজেপির অভিযোগ, গতকাল রাতে হঠাৎ করে তৃণমুলের দলবল লাঠি, বাঁশ নিয়ে গ্রামে ঢুকে অতর্কিত হামলা (Panchayat Violence) চালায়। গ্রামের মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ঘটনায় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। তাদের মধ্যে দু’জনকে রাতেই গোঘাট প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় গোঘাট থানার পুলিশ। আটক করা হয় ৮ জনকে। রাতের পর শুক্রবার সকালেও চাপা উত্তেজনা রয়েছে ওই এলাকায়। যদিও এলাকায় চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল ও মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, গোঘাটের বিজেপি বিধায়কের উস্কানিতে তৃণমূলের উপর চড়াও হয় বিজেপির লোকজন।

    ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত (Panchayat Violence) গলসি

    এদিন বেলা ১১ টা নাগাদ আচমকা শাসক দলের লোকেরা সিপিএম ও কংগ্রেস সমর্থকদের উপরে চড়াও (Panchayat Violence) হয় বলে অভিযোগ। এরপরই এক মহিলা সহ চার সিপিএম সমর্থকের উপর হামলা চালানো হয়। পাশাপাশি ঘটনায় তৃণমূলের পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য জাহাঙ্গীর সেখকে ছুরি চালানোর অভিযোগ উঠেছে সিপিআইএম সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গলসি ১ নম্বর ব্লকের পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েতের করকডাল গ্রামে।  ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসে। সেখানে চারজনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের বর্ধমানে স্থানান্তর করা হয়।

    খেজুরিতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, বাড়ি ভাঙচুর (Panchayat Violence) 

    ভোটের ফল ঘোষণার পরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে (Panchayat Violence) উত্তপ্ত খেজুরি। আহত দুপক্ষের বেশ কয়েক জন। খেজুরি দুই ব্লকের বীরবন্দর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দেখালি গ্রামের ১৬১ নম্বর মহামায়া বুথের ঘটনা। তৃণমূলের অভিযোগ, এই বুথে তৃণমূল জয় লাভ করায় তাদের কর্মীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর চালিয়েছে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ, এই বুথে তৃণমূল কংগ্রেস জেতার ফলে তাদের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তিও রয়েছে। এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। পরিস্থিতি থমথমে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশি টহলও চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: মাথা ন্যাড়া করে তৃণমূলের পঞ্চায়েতকে পাপমুক্ত করলেন বিজেপির বিজয়ীরা

    Nadia: মাথা ন্যাড়া করে তৃণমূলের পঞ্চায়েতকে পাপমুক্ত করলেন বিজেপির বিজয়ীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস হেরে যাওয়ায় পঞ্চায়েত দখল করার আনন্দে মাথা ন্যাড়া করে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠলেন বিজেপি কর্মীরা। নদিয়া (Nadia) জেলা জুড়ে এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Nadia)?

    নদিয়ার (Nadia) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক। আর এই ব্লকের অন্তর্গত ১৮ টি আসন বিশিষ্ট ভাজনঘাট টুঙ্গী গ্রাম পঞ্চায়েত দীর্ঘ ১৫ বছর নিজেদের দখলে রেখেছিল শাসক দল তৃণমূল। সদ্য সমাপ্ত ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৮ টি আসনের মধ্যে ১২ টিতে জয়লাভ করেছে বিজেপি। টিএমসি পেয়েছে বাকি ৬টি আসন। ১৫ বছরের ঘাসফুল দুর্গে ধস নামিয়ে বিপুল সংখ্যক ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করার পর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করেই নিজেদের ঘর গোছাতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের হাত থেকে পঞ্চায়েত মুক্ত হওয়ার আনন্দে ভাজনঘাট টুঙ্গী গ্রাম পঞ্চায়েত ভবনের সামনে মাথা ন্যাড়া করে আনন্দ উৎসবে মাতলেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।

    বিজেপির বক্তব্য

    এলাকার (Nadia) বিজেপির নেতা অক্ষয় ঘোষ বলেন, দীর্ঘ এতগুলো বছর ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও এলাকার সাধারণ মানুষের স্বার্থে কোনও প্রকার কাজ করেনি তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত। আর এই কারণেই এত বছর পর শাসকদলের পরাজয়ের মধ্যে দিয়ে বিজেপির উত্থান ঘটিয়ে কার্যত পাপমুক্ত করা হল পঞ্চায়েতকে। মূলত ১৫ বছরের দুঃসময় কাটিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করার লক্ষ্যে মাথা ন্যাড়া করে পঞ্চায়েত ভবনের সামনে আনন্দ উৎসবে মাতলেন বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা। এই প্রসঙ্গে বিজেপির জয়ী প্রার্থী নারায়ণ মল্লিক বলেন, তৃণমূলের পাপ মুক্ত হওয়ার জন্য মাথা ন্যাড়া করলাম।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার (Nadia) ১২৮ নম্বর বুথের জয়ী প্রার্থী তৃণমূল নেতা আজাদ মণ্ডল বলেন, এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস অনেক কাজ করেছে। কিন্তু আমাদের দলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল থাকার কারণেই তৃণমূলের বিপর্যয় ঘটেছে। ফলে দলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে আমাকে সাধারণ মানুষ দুই হাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন। তিনি আরও বলেন, যাঁরা ন্যাড়া করেছেন তাঁরাও কোনও না কোনও ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share