Tag: tmc

tmc

  • Paschim Medinipur: দাঁতনে ভোটপরবর্তী হিংসা অব্যাহত, বিজেপি এজেন্টকে মারধর করল তৃণমূল

    Paschim Medinipur: দাঁতনে ভোটপরবর্তী হিংসা অব্যাহত, বিজেপি এজেন্টকে মারধর করল তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় (Paschim Medinipur)। দাঁতনের তররুই গ্রামে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির ইলেকশন এজেন্টকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মীকে ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

    কী ঘটেছিল (Paschim Medinipur)?

    আক্রান্ত বিজেপি নেতার নাম পূর্ণ চন্দ্র নন্দী। এলাকার সক্রিয় বিজেপি নেতা বলেই পরিচিত। এই বিজেপি নেতাকে বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ করে পরিবার। উল্লেখ্য, দাঁতনের এই এলাকা বছরের অন্যান্য সময়ও শাসকবিরোধী সংঘর্ষে উত্তপ্ত থাকে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই এই এলাকায় ছিল চাপা উত্তেজনা। জেলার অন্যান্য জায়গার মতোই এখানেও নির্বাচনে ভালো ফল করেছে শাসক দল তৃণমূল। আর তাই ফলাফলের পর এই বিজেপি নেতাকে (Paschim Medinipur) মারধর করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল।

    আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর পরিবারের বক্তব্য

    আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর বলেন, আমরা বিজেপি করি বলে আমাদের উপর আক্রমণ করে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা। প্রায় ১০-১২ জন তৃণমূলের দুষ্কৃতীর দলকে নেতৃত্ব দেয় এলাকার তৃণমূল নেতা বিমল ভদ্র। তিনি আরও বলেন, প্রথমে হুমকি দিয়ে বলে যায় বাড়িতে (Paschim Medinipur) যে তাঁর স্বামী যেন এলাকার তৃণমূলের পার্টি অফিসে দেখা করেন। ভোটে কেন বিজেপির এজেন্ট হয়ে ছিলেন! আর এটাই বিজেপি কর্মীর প্রধান অপরাধ।

    বিজেপির বক্তব্য

    এলাকার (Paschim Medinipur) এক বিজেপি নেতা বলেন, পূর্ণ চন্দ্র নন্দী হলেন বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী। বাড়িতে ১০৬ বছরের বৃদ্ধ বাবা এবং তাঁর মা ক্যান্সার আক্রান্ত। অত্যন্ত সহজ সরল মানুষ। ভোটের দিন বুথে বিজেপির এজেন্ট হয়েছিলেন। গতকাল রাত ৯ টায় তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা প্রচুর মারধর করে। বর্তমানে উনি গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনি আরও বলেন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সন্ত্রাস চালাচ্ছে এবং সেই সঙ্গে প্রশাসন নিষ্ক্রিয়।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    পশ্চিম মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা (Paschim Medinipur) তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, এই জেলায় কোথাও কোনও ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেনি। বিজেপি মিথ্যা কথা বলছে। আর এই নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বিজেপি করার জন্য মিড ডে মিলের রাঁধুনিকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি তৃণমূলের

    TMC: বিজেপি করার জন্য মিড ডে মিলের রাঁধুনিকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে তৃণমূলকে সমর্থন না করা। অন্যদিকে বিজেপিকে সমর্থন করা। এই দুই ধরনের ঘটনাতেই শাসক দলের রক্তচক্ষুর মুখে পড়ছেন অনেকেই। রোজই এই ধরনের ঘটনা রাজ্যে আকছার ঘটছে। তবে এক্ষেত্রে তৃণমূলের কাছে মানবিকতার যে কোনও স্থান নেই, তা ফের প্রমাণ হয়ে গেল একটি ঘটনায়। বিজেপি করার জন্য এবার স্কুলের মিড ডে মিলের রাঁধুনিকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিল তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। এই ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিক ভাবেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। যথেষ্ট ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। প্রতিবাদে স্কুলের সামনে তাঁরা বিক্ষোভও দেখালেন।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নামখানা ব্লকের অন্তর্গত নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গানগর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখানে ২০০৩ সাল থেকে প্রায় কুড়ি বছর ধরে মিড ডে মিলের রাঁধুনির দায়িত্বে রয়েছেন দুর্গানগরের বাসিন্দা রীতা পন্ডা। রীতা পন্ডার অভিযোগ, গত বুধবার স্কুল চলাকালীন দুর্গানগর এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব তথা নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান চন্দ্রমোহন পাইক স্কুলে গিয়ে তাঁকে হুমকি দেয়। পাশাপাশি ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে হুমকি দিয়ে তৃণমূল (TMC) নেতা চন্দ্রমোহন পাইক বলেন, পরের দিন থেকে স্কুলে রাঁধুনি রীতা পন্ডা যদি আসে, তাহলে মিথ্যা ধর্ষণের মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে। এই ঘটনার প্রতিবাদেই আজ দুর্গানগর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবিকারা।

    কী বলছেন অভিযোগকারীরা?

    স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই স্কুলের রাঁধুনি রীতা পন্ডার করা সমস্ত অভিযোগই সত্যি। পাশাপাশি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও রীতা পন্ডা আরও বলেন, অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামী শনিবার এ বিষয়ে বিদ্যালয়ে একটি আলোচনাসভারও আয়োজন করা হয়েছে।

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব (TMC)?

    তবে তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, ওই প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে ওই রাঁধুনির সম্পর্ক রয়েছে। তৃণমূল (TMC) নেতা বলেন, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সর্বদাই মদ্যপ অবস্থায় থাকেন। আর ওনারা যে বলছেন বিজেপি করেন, তা তো আজকে করেন না। সর্বদাই বিজেপি করেন। কই আগে তো কিছু বলা হয়নি। এখন এসব কথা উঠছে কেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: জেতার পরও মেলেনি সার্টিফিকেট, আলিপুরদুয়ারে সরব একাধিক বিজেপি প্রার্থী

    Panchayat Election 2023: জেতার পরও মেলেনি সার্টিফিকেট, আলিপুরদুয়ারে সরব একাধিক বিজেপি প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭৩৯ ভোটে জেতার পরও দেওয়া হয়নি উইনিং সার্টিফিকেট। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনে সরব হয়েছেন আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের এক প্রার্থী। বাধ্য হয়ে উচ্চ আদালত ও রাজ্যপালের দ্বারস্থ হচ্ছেন আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামের জেলা পরিষদের (Panchayat Election 2023) ওই প্রার্থী অমিতা মাহাত (চক্রবর্তী)। বিজেপির জেলা পরিষদের ওই প্রার্থীর অভিযোগ, প্রশাসনের লোকই ভোট গণনার পর আমাকে জয়ের কথা জানিয়ে দেয়। আমি উইনিং সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করি। আমাকে সেখানে তৃণমূলের লোকরা রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলতে থাকে, আমি যদি উইনিং সার্টিফিকেট নিই, আমাকে মার্ডার করে দেওয়া হবে। এরপরও বিডিও সাহেবের কাছে আমি বার বার বলেছি, আমাকে উইনিং সার্টিফিকেট দিন। কিন্তু আমাকে এখনও পর্যন্ত তা দেওয়া হয়নি। বিজেপির ওই প্রার্থীর অভিযোগ, সেদিন গণনা কেন্দ্রের ভিতরে আমার কাউন্টিং এজেন্টদের অনেককেই বের করে দেওয়া হয়। অথচ তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী সেখানে অবাধে বিচরণ করে। আমি কয়েকজন মাত্র এজেন্টকে নিয়ে সেখানে ভোট গণনার খোঁজখবর নিয়ে নিতে থাকি। তাতে প্রত্যেকটা অঞ্চলে আমার লিড ছিল। সেখানে প্রশাসনের আধিকারিকরাই অনেকে জানিয়ে দেন আপনি জয়ী হয়েছেন। অথচ সার্টিফিকেট দেওয়া হল না।

    একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন আরও প্রার্থীরা (Panchayat Election 2023) 

    কুমারগ্রামের ওই ভোট গণনার দিন ভয়াবহ এক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন বলে বিজেপির আরেক প্রার্থী (Panchayat Election 2023) কল্পনা নাগও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন। ২০১৮ সালে কল্পনা নাগ কুমারগ্রাম থেকেই আলিপুরদুয়ারে একমাত্র জেলা পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে শাসক দলের ভোট লুট থেকে অরাজকতার বিরুদ্ধে লড়েও সেবার জয়ী হয়েছিলাম। কিন্তু এবার যে ধরনের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে ভোট গণনা হল, সেটা বর্ণনা করার ভাষা আমার কাছে নেই। আমার কাউন্টিং এজেন্টদের গণনা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের গুন্ডারা বের করে দিয়েছে। ওই ঘটনার প্রতিবাদ করলে আমাকে একটা ঘরে আটকে দিয়ে তারা হুমকি দিয়ে বলছিল, আপনি এখান থেকে উইনিং সার্টিফিকেট নিয়ে বেরোলে আপনার যে কী পরিণতি হবে, সেটা ভাবতে পারছেন না। সাংবাদিক বৈঠকে জেলা পরিষদের কুমারগ্রামের বিজেপির আরেক প্রার্থী মেনকা ভক্তও একই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।

    কী বললেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক মিঠু দাস বলেন, আলিপুরদুয়ারের মানুষ বিজেপির প্রার্থীদের দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেছিলেন। কিন্তু প্রশাসন ও শাসক দল মিলেমিশে একাকার হয়ে জনগণের সেই রায়কে খারিজ করে দিয়ে জোর করে নিজেদের জয়ী (Panchayat Election 2023) ঘোষণা করেছে। মানুষ যথা সময়ে এর জবাব দেবেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ব্যুমেরাং! তৃণমূলে যোগ দিয়ে তবেই বাড়ি ফেরার ছাড়পত্র জয়ী সিপিএম প্রার্থীর

    TMC: ব্যুমেরাং! তৃণমূলে যোগ দিয়ে তবেই বাড়ি ফেরার ছাড়পত্র জয়ী সিপিএম প্রার্থীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন ঠিক ‘ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি’। ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারের অত্যাচার যেন ফিরে এসেছে তৃণমূলের নামে। সিপিএম না তৃণমূল (TMC) কার সন্ত্রাস বেশি? এনিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে দিকে দিকে। কেউ সিপিএমকে এগিয়ে রাখছেন তো কেউ তৃণমূলকে। এই আবহে তৃণমূলের অত্যাচারে বাড়ি থাকতে পারছেন না বলে অভিযোগ সিপিএমের জয়ী প্রার্থীর। অবশেষে তৃণমূলে যোগদান করার পর বাড়ি ফেরার আশ্বাস মিলেছে। ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর থানার গয়েশপুর টেংরিডাঙ্গা এলাকার।

    ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ

    জানা গিয়েছে, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই এলাকা থেকে সিপিএমের প্রার্থী ছিলেন আব্দুল শেখ। সেখানে তিনি জয়লাভও করেন। উল্লেখ্য গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ২১ টি রয়েছে। তার মধ্যে বিজেপি পেয়েছে দশটি আসন। আর তৃণমূল (TMC) পেয়েছে নয়টি আসন। পাশাপাশি সিপিএমের আসন সংখ্যা ছিল একটি এবং অন্যান্য একটি। অভিযোগ ওঠে সিপিএম প্রার্থীর জয় লাভের পরেই প্রাক্তন তৃণমূল প্রধানঁ তার দলবল নিয়ে সিপিএম প্রার্থীর বাড়ির উপর চড়াও হয়। বাড়ি ভাঙচুর সহ প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে লাগাতার। অবশেষে বাধ্য হয়ে তিনি সেদিন শান্তিপুর বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীর হাত ধরে তৃণমূলে (TMC) যোগদান করলেন। তৃণমূলে যোগদান করার পরেই তিনি সরাসরি শান্তিপুর থানায় চলে আসেন। প্রশাসনের তরফ থেকে তাঁকে নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়।

    কী বলছেন সিপিএম প্রার্থী?

    এ বিষয়ে সিপিএম প্রার্থী আব্দুল শেখ বলেন, ‘‘আমি জয়লাভ করার পর থেকেই ওই এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান হেরে যাওয়ার কারণে আমার বাড়ির উপরে অত্যাচার চালাচ্ছিল। আমি বাড়িতে ঠিকমত থাকতে পারছিলাম না। অবশেষে বাধ্য হয়ে তৃণমূলে (TMC) যোগদান করি।’’ শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী বলেন, ‘‘তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের উন্নয়ন দেখে অনেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এবং তারা তৃণমূলে যোগদান করছেন। ঠিক সেই রকম গয়েশপুরের এই সিপিএম প্রার্থী উন্নয়নের সামিল হতে তৃণমূলে (TMC) যোগদান করলেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC:”‘রাজ্যসভায় ভোট দেব না,” কেন এই হুমকি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী?

    TMC:”‘রাজ্যসভায় ভোট দেব না,” কেন এই হুমকি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ব্লকে রাজনৈতিক সংঘর্ষ বন্ধ না হলে রাজ্যসভার ভোটে অংশ নেব না। সাফ জানিয়ে দিলেন ইসলামপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক আব্দুল করিম চোধুরী। এমনকী তিনি বিধানসভার কোনও বিলকে সমর্থন করবেন না বলে জানিয়ে দেন। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তৃণমূল বিধায়কের এই বিস্ফোরক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। যদিও তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব এই বিষয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কী বললেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে অধিকাংশ পঞ্চায়েতে তাঁর মনোনীত প্রার্থীদের দল অনুমোদন করেনি। বাধ্য হয়ে তাঁর নির্দেশে সকলেই নির্দল হিসেবে ভোটে লড়াই করেন। নির্বাচনের দিন অধিকাংশ বুথে তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে করিম সাহেবের দেওয়া নির্দল প্রার্থীদের লড়াই হয়। এদিন করিমসাহেব বলেন, তৃণমূল ভোট করতে দিল না। সকালের দিকে দুঘণ্টার মধ্যে ২৮টি বুথে ভোট হয়ে গেল। এটা কি সম্ভব? আমরা প্রশাসনের কাছে ভোট বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি।

    ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কী বললেন করিমসাহেব?

    ইসলামপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে ইসলামপুরে একাধিক জায়গায় রাজনৈতিক হিংসা হয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটছে। পুলিশ প্রশাসনকে জানানো সত্বেও পুলিশ আমার কথায় গুরুত্ব দেয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল এবং ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত হলেও দল তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

    নির্দলদের জমি দখল নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    করিমসাহেব বলেন, সিপিএমের আমলে দেখতাম বিরোধীদের  জমিতে পতাকা টাঙিয়ে তা দখল করে নিত। ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারত না। প্রশাসনও কিছু করত না। এখন যারা নির্দলের প্রার্থী হয়েছিলেন। নির্দলদের সমর্থন করেছিলেন, তৃণমূলের (TMC) লোকজন তাঁদের জমিতে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দিয়ে জোর করে জমি দখল করে নিচ্ছে। ফসল কেটে নিচ্ছে। প্রশাসনকে জানিয়ে কোনও কাজ হচ্ছে না।

    মৃতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে কী বললেন করিমসাহেব?

    নির্বাচনে অশান্তির জেরে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ও পরিবার প্রতি একজনের চাকরি দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মমতার এই প্রলোভনের জন্য আগামীতে মানুষ মরনঝাঁপ দেবে। এগুলো না করে মমতা নির্বাচন পিছিয়ে দিতে পারতেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: প্রার্থীকে ভোটে জেতাতে বিডিওর উপর চড়াও তৃণমূল, সুকান্তর ট্যুইটে তোলপাড়

    Dakshin Dinajpur: প্রার্থীকে ভোটে জেতাতে বিডিওর উপর চড়াও তৃণমূল, সুকান্তর ট্যুইটে তোলপাড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী স্নেহলতা হেমব্রমকে রিকাউন্টিং করে জিতিয়ে দিতে হবে। এরকমই দাবি তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বিডিও অফিসে চড়াও হয়। বিডিও অনুজ সিকদার প্রশাসনের পঞ্চায়েত ইলেকশন হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে এমনই একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগপত্র ও কিছু সিসি টিভির ভিডিও নিয়ে সুকান্ত মজুমদার ট্যুইট করেছেন। আর তাই নিয়ে তোলপাড় জেলায়।  

    কোথায় ঘটল (Dakshin Dinajpur)?

    সুকান্ত মজুমদারের ট্যুইটে  জানা যায়, বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল প্রার্থী স্নেহলতা হেমব্রম হেরে যাওয়ায়, পরদিন বিডিওকে রিকাউন্টিং করার চাপ দেয় তৃণমূল কর্মীরা। বিষয়টি প্রশাসনিক স্তরের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে বিডিও নিজে প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, গণনার দিনেই এই বিডিওর বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগে সুকান্ত মজুমদার দীর্ঘ সময় গণনা কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। এবার সেই বিডিওকেই চাপ দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্ব এবং বিডিও নিজে আতঙ্কিত হয়েছেন বলে জানা গেছে। যদিও এই বিষয়ে বিডিওকে সংবাদমাধ্যম ফোন করলে তিনি ফোন ধরেননি।

    সুকান্ত মজুমদার কী বললেন?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমাদের প্রার্থী জেতার পর থেকেই তাঁকে সার্টিফিকেট না দিয়ে নানান রকম চক্রান্ত চলছিল। সেই চক্রান্ত ভোটের ফলাফল হবার পরও শেষ হয়নি। তৃণমূলের গুন্ডারা বিডিওকে গিয়ে ফোন করে ধমকাচ্ছে। এই বিডিও জোর করে আমাদের বিজেপি প্রার্থীদের পঞ্চায়েত ভোটে হারিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। সেই বিডিও তাঁর অফিসিয়াল গ্রূপে লিখতে বাধ্য হয়েছেন, তৃণমূলের কিছু গুন্ডা তাঁকে ধমকাচ্ছে চমকাচ্ছে, যাতে তিনি স্নেহলতা হেমব্রমকে সার্টিফিকেট দেন। ফলে বোঝাই যাচ্ছে নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে এবং বিডিও এই প্রহসনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। অনেক জায়গায় বিজেপি প্রার্থীদের হারিয়ে তৃণমূলে সার্টিফিকেট দিয়ে দেন।

    তৃণমূল প্রার্থী কী বললেন?

    এই বিষয় স্নেহলতা হেমব্রম বলেন, আমি ওখানে গিয়েছিলাম রিকাউন্টিং-এর আবেদন করাতে এবং গিয়ে দেখি বিডিও সাহেব অফিসে নেই। তিনি অসুস্থ থাকার কারণে বাড়িতে ছিলেন। আমি সঙ্গে কয়েকজন কর্মী-সমর্থককে নিয়ে গিয়েছিলাম তাঁর বাড়িতে। কোনও রকম চাপ দেওয়া হয়নি, বিডিও এটা সত্য বলছেন না। উনি তো আমাদেরই লোক। এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা (Dakshin Dinajpur) সহ-সভাপতি সুভাষ চাকী জানান, সুকান্ত মজুমদার সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন।

    জেলাশাসক কী বললেন

    জেলাশাসক (Dakshin Dinajpur) বিজিন কৃষ্ণা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এই বিষয়ে এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখবো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: ভোটের হিংসায় ফের খুন কোচবিহারের এক বিজেপি কর্মী

    Cooch Behar: ভোটের হিংসায় ফের খুন কোচবিহারের এক বিজেপি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগের দিন তুফানগঞ্জের (Cooch Behar) নয়ারহাটে শালবাড়ি-২ এর বিজেপি কর্মী জয়ন্ত বর্মনকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধারালো দা দিয়ে আক্রমণ করা হয়। গুরুতর আহত হন তিনি। এরপর ঘটনাস্থলেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। আর তার পরেই তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে তুফানগঞ্জ হাসপাতালে এবং তার পর কোচবিহারের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। পুরো ঘটনাটি তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রার্থী ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। ৭ই জুলাই আক্রান্ত হন এবং আজ ১৩ ই জুলাই মৃত্যু হয় তাঁর। ফলে ভোটের হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৮।

    পরিবারে বক্তব্য (Cooch Behar)

    মৃত বিজেপি কর্মী জয়ন্ত বর্মনের ভাই অনন্ত বর্মন বলেন, আমাদের বাড়ি শালবাড়ির বজরাগ্রামে। গত ৭ই জুলাই ভোটের আগের দিন রাত ১২ টার সময় আমার দাদাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এরপর দাদাকে ধরালো দা দিয়ে কোপানো হয়। এই আঘাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যায় দাদা। এতদিন হাসপাতালে (Cooch Behar) ভর্তি ছিলেন। আজ দুপুরের পরে মৃত্যু হয়। দাদার মৃত্যুর পর ভাই অনন্ত বলেন, যারা দাদাকে খুন করছে, তাদের কঠিন শাস্তি চাই। আরও বলেন, আমার দাদার দুই মেয়ে, একজনের বয়স ১৮ অপর একজনের বয়স ১২। এই অবস্থায় পরিবার কীভাবে চলবে! তাই সরকারি সাহায্য চাই।

    অপর দিকে একই দিনে ভোট পরবর্তী হিংসার চিত্র ধরা পড়ল মুর্শিদাবাদে। নির্দলের বাড়ির কাছেই কান্দিতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল।

    মুর্শিদাবাদে বোমা বিস্ফোরণ

    এক দিকে কোচবিহারে (Cooch Behar) যেমন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু, ঠিক তেমনি অপর দিকে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি থানার অন্তর্গত মুনিগ্রামের পশ্চিমপাড়ায় আজ বৃহস্পতিবারেই দুপুরে হঠাৎই মজুত করে রাখা বোমায় বিস্ফোরণ ঘটে। যার ফলে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয় পশ্চিমপাড়া এলাকায়। নির্দলের প্রার্থী মতিহার বিবি বলেন, আমি রান্না করছিলাম। হঠাৎ তীব্র শব্দ হয়। এরপর দেখি বিস্ফোরণ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, খুব আতঙ্কে রয়েছি আমরা। নির্দলের উপর তৃণমূলের আক্রমণ চলছে। অন্যদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কান্দি থানার আইসি সুভাষচন্দ্র ঘোষের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এরপর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানা গেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: হিংসার শিকার একাদশ শ্রেণির ছাত্র! গলা টিপে ধরার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    Paschim Medinipur: হিংসার শিকার একাদশ শ্রেণির ছাত্র! গলা টিপে ধরার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের হিংসার শিকার একাদশ শ্রেণির ছাত্র, শাসক দলের নেতার মারে গুরুতর আহতও সে। মামা বিজেপি করে, তাই স্কুলছাত্র ভাগ্নেকে ব্যাপক মারধর করা হয়। প্রতিবাদ করায় টিউশনের শিক্ষকদেরও হুমকি দেয় তৃণমূলের কর্মী। পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতেই তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয় বলে খবর। আর এই খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Paschim Medinipur)?

    ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলা চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের বাঁকা এলাকায়। বাঁকা এলাকার বাসিন্দা শিবনাথ ঘোষ একজন বিজেপির কর্মী। শিবনাথবাবুর অভিযোগ, তাঁর ভাগ্নে বিপ্লব খাঁড়া বুধবার সকালে টিউশন পড়তে যায়। টিউশন পড়তে গেলে তাঁর ভাগ্নেকে তৃণমূলের কর্মী অনুপ পাল ও তোতন কারক ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। মামা ঘটনাস্থলে এলে মামাকেও মারধর করা হয়। বিজেপি নেতা এবং ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় সরব হয়েছেন শিক্ষক ও সহপাঠীরা। পরে এই ঘটনার কথা ক্যামেরার সামনে স্বীকার করেছেন সকলেই।

    আক্রান্ত ছাত্রের বক্তব্য

    শিবনাথবাবুর ভাগ্নে বিপ্লব খাঁড়া বলে, আমি ছোটবেলা থেকে মামাবাড়িতে (Paschim Medinipur) থেকে পড়াশুনা করি। মামা বিজেপি পার্টি করেন। আমি টিউশন পড়তে গেলে সেখানে কয়েকজন এসে আমার মামাকে ডাকতে বলে। এরপর আমাকে চড় থাপ্পড় এবং চুলের মুঠি ধরে টানাটানি করে। আমার বই নিয়ে যাওয়ার ব্যাগটাও ছিঁড়ে দেয়, এমনকি হুমকি দেয় পড়াশুনা বন্ধ করে দেওয়ার। শেষে আমার গলা টিপে ধরে ওই লোকগুলি। বিপ্লব আরও বলে, এইভাবেই আমাকে মেরে আহত করে দেয়। মারের কারণ হিসাবে বিপ্লব জানায়, মামা কেন বিজেপি করে! এটাই মূল বিষয়। সে আরও বলে, যারা মারধর করে প্রত্যকেই তৃণমূল করে এলাকায়।

    বিজেপির বক্তব্য

    ঘটনায় বিজেপি নেতা শিবনাথ ঘোষ বলেন, এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিলেও, রাজনৈতিক কারণ দেখিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে গেছে। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় বুধবার রাতে বিজেপি ও তৃণমূল কর্মী, দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চন্দ্রকোনার (Paschim Medinipur) ক্ষীরপাই ফাঁড়ির পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। যদিও একজন ছাত্রকে এইভাবে মারধরের ঘটনায় ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গেছে এলাকায়।

    অপর দিকে অভিযুক্ত তৃণমূলের কর্মী অনুপ পাল বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা, আমি কেন বাচ্চা ছেলেদের মারধর করব! আমাকে বদনাম করার চেষ্টা করছে, বিজেপির লোকজন মিথ্যা কথা বলছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ভোটের ফল ঘোষণার পরই ইটাহারে তৃণমূল-নির্দল সংঘর্ষ, জখম ১০

    TMC: ভোটের ফল ঘোষণার পরই ইটাহারে তৃণমূল-নির্দল সংঘর্ষ, জখম ১০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত উত্তর দিনাজপুর জেলায়। নির্বাচনে জেতার পরই নির্দল সমর্থকদের মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। এরপরই নির্দলরাও পাল্টা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তৃণমূল এবং নির্দল সমর্থকদের এই সংঘর্ষে জখম হয়েছেন উভয়পক্ষের প্রায় ১০ জন। তাঁদের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের সুরুন-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ডামডোলিয়া গ্রামে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্বাচনের দিন থেকেই এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিল। বুধবার তৃণমূল ডামডোলিয়া এলাকায় একটি বিজয় মিছিল করে। রাতে হঠাৎই নির্দল সমর্থকদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের (TMC) টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিল। তাঁকে বহু তৃণমূল কর্মী সমর্থন করেছিলেন। ভোটে জেতার পর নির্দলকে সমর্থন করায় স্থানীয় এক হাতুড়ে ডাক্তার মহম্মদ আলিমুদ্দিন আহমেদকে বাড়িতে ঢুকে লোহার রড, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। বাবাকে বাঁচাতে আসলে মেয়ে নাসিমা খাতুনকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

    কী বললেন আক্রান্ত নির্দল সমর্থক?

    আক্রান্ত নির্দল সমর্থক মহম্মদ আলিমুদ্দিন আহমেদ বলেন, নির্দলকে ভোট দেওয়ার অপরাধে ওরা হামলা চালিয়েছে। আমাদের বেধড়ক পেটায়। আমার মেয়েকে বেধড়ক মেরেছে। অপর এক নির্দল সমর্থক রেফাজুদ্দিন আহমেদ বলেন, ভোটে জিতেই নির্দল সমর্থকদের ওপরে আক্রমণ চালায় তৃণমূলের লোকেরা। তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী মুজাহিদ আলমের নেতৃত্বেই এই ঘটনা ঘটেছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) কর্মী?

    এই সংঘর্ষে জখম তৃণমূল (TMC) কর্মী কাজিমুল হক বলেন, ভোটে হেরে যাওয়ার কারণে নির্দল সমর্থকরাই আমাদের উপরে হামলা চালায়। বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারধর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ইটাহার থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিজয় মিছিলে হামলা! আতঙ্কিত এলাকাবাসী

    Howrah: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিজয় মিছিলে হামলা! আতঙ্কিত এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফলাফলের পরেই রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের আবহ। তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয় মিছিলে হামলাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ার (Howrah) ডোমজুড়ের কলোড়া দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের লস্কর পাড়ায়। তৃণমূলের বিজয়ী প্রার্থীর স্বামীর বক্তব্য, মিছিলে ইট-বোতল যারা ছুড়ে হামলা করেছে, তারাও তৃণমূল। এলাকায় তীব্র উত্তেজনা।

    কী ঘটেছে ডোমজুড়ে (Howrah)?

    বুধবার সন্ধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা স্থানীয় সদ্য বিজয়ী পঞ্চায়েত সদস্যের নেতৃত্বে বিজয় মিছিল বের করেন। পাড়ার (Howrah) মধ্যে দিয়ে যখন মিছিল এগোতে থাকে, সেই সময় বেশ কিছু দুষ্কৃতী মিছিলকে লক্ষ্য করে বড় বড় ইট এবং বোতল ছোড়ে বলে অভিযোগ। এমনকী রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্স এবং একটি বাইকেও ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ডোমজুড় থানার পুলিশ।

    তৃণমূলের প্রাক্তন উপপ্রধানের বক্তব্য

    স্থানীয় (Howrah) তৃণমূল পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান অভিযোগ করেন, সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভোটের আগে থেকেই গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছিল। গতকাল বিজয় মিছিলে যেমন হামলা হয়, তেমনি মিছিলের পর সন্ধ্যায় তৃণমূল কর্মীরা যখন রাস্তার ধারে বসে চা খাচ্ছিলেন, সেই সময় সিপিএম কর্মীরা পরিকল্পনামাফিক গন্ডগোল সংগঠিত করে। এরপর ইট দিয়ে আঘাত করে বেশ কয়েক জনকে। এরপরে বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী আহত হন। তিনি আরও বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তার জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হবে তৃণমূল।

    বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থীর স্বামীর বক্তব্য

    স্থানীয় (Howrah) তৃণমূল পঞ্চায়েতের বিজয়ী সদস্যের স্বামী অবশ্য স্বীকার করেছেন, মিছিলে হামলা করে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরাই। এর পিছনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কাজ করছে। ঘটনাস্থলে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। চাপা উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়।

    সিপিএমের বক্তব্য

    এদিকে সিপিএমের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী (Howrah) তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি জিতলেও জোর করে তৃণমূল হারিয়ে দেওয়া দিয়েছে। চোরেরা ভোট চুরি করেছে। তিনি আরও বলেন, সিপিএম কেন হামলা করবে! এই ঘটনার পেছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share