Tag: tmc

tmc

  • South 24 Parganas: ভাঙড়ে বোমা ফেটে আহত দুই শিশু, আতঙ্কিত সাধারণ ভোটার

    South 24 Parganas: ভাঙড়ে বোমা ফেটে আহত দুই শিশু, আতঙ্কিত সাধারণ ভোটার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Parganas) ভাঙর এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ছিল। তৃণমূল এবং আইএসএফ কর্মীদের সংঘর্ষ, বোমাবাজি এবং বন্দুকের গুলিতে মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়েছিল। পরিস্থিতি এতাটাই খারপ ছিল যে রাজ্যপাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন পর্যন্ত করেছিলেন। আজ পঞ্চায়েত ভোটের দিনে ফের উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে ভাঙড় দু নম্বর ব্লকের কাশীপুর এলাকা। এলাকায় বোমা ফেটে দুই শিশু আহত হয়েছে। আইএসএফ প্রার্থীদের ভোট কেন্দ্রে ভোট দানে বাধা দিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। প্রতিবাদ করে এলাকার মানুষ রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভ করেন। সেই সঙ্গে চলে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীদের মারামারি

    বোমা ফেটে আহত দুই শিশু (South 24 Parganas)

    নির্বাচনের দিনে ভাঙড়ের (South 24 Parganas) ছয়ানিতে বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা ফেটে আহত দুই শিশু। আহত ৭ বছর ও ৪ বছরের দুই শিশুকে জিরানগাছা হসপিটালে নিয়ে আসা হয়েছে। দুজেই খুব গুরুতর আহত বলে জানা গেছে।

    ভোট দানে বাধা অভিযুক্ত তৃণমূল

    আইএসএফ প্রার্থীদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ কাশীপুরে (South 24 Parganas)। সেই অভিযোগ তুলে দক্ষিণ কাশীপুরে রাস্তা অবরোধ করল আইএসএফ কর্মী সমর্থকরা। মূলত তাদেরকে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা, এমনটাই অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করে স্থানীয় গ্রামবাসীরা। যখন আইএসএফ কর্মীরা অবরোধ করছিল সেই সময় এক তৃণমূল কর্মী সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। আর তাকে ধরে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পরে ঘটনাস্থলে কাশীপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।

    তিন কোম্পানি বাহিনী পৌঁছাল ভাঙড়ে

    ভাঙড় দু নম্বর ব্লকের কাশীপুর থানা (South 24 Parganas) এলাকায় মোট ১৬১টি বুথ রয়েছে। সেই বুথের নিরাপত্তার জন্য দু কোম্পানি বিএসএফ জওয়ান এসেছে বলে জানা গেছে। এর আগে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল। আর আজ সকালে দু কোম্পানি মোট তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢুকল।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: বনগাঁয় ছিনিয়ে নেওয়া হল ব্যালট পেপার, সুতিতে ব্যালট চুরি

    Panchayat Election 2023: বনগাঁয় ছিনিয়ে নেওয়া হল ব্যালট পেপার, সুতিতে ব্যালট চুরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার রাতে বনগাঁ ব্লকের ভাটবাওর গ্রামে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছ থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে তা পুকুরের জলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা এই কাজ করেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, ব্যালট পেপারের (Panchayat Election 2023) হিসাব দিতে পারেননি প্রিসাইডিং অফিসার। ৮৩ নম্বর ও ৮৪ নম্বর বুথের একটিতে ৮৪৪টি ভোট রয়েছে, অন্যটিতে রয়েছে প্রায় সাড়ে নয়’শ ভোটার। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, বিকেলে ভোট কর্মীরা অটোতে চেপে আসেন। তার পর ভোট কেন্দ্রে চারটি স্করপিও গাড়ি ঢুকতে দেখা যায়। গ্রামবাসীরা নাকি এর পর দেখতে পান, পেপারে সই করছে। এরপর ব্যালট পেপারের হিসাব চাইলে তা দিতে অস্বীকার করা হয়। তাই বাকি ব্যালট ছিনিয়ে গ্রামবাসীরা পুকুরে ফেলে দিয়েছে। গ্রামবাসীদের একাংশ অভিযোগ করছেন, গত পঞ্চায়েত ভোটে এই দুই বুথে ব্যাপক ছাপ্পা হয়েছিল। এবার তাঁরা নিজেদের ভোট (Panchayat Election 2023) নিজেরা দিতে চাইছেন। পুলিশ সূত্রে বলা হচ্ছে, কে বা কারা প্রিসাইডিং অফিসারের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। তা চালু ছিল কিনা বা তার থেকে কোনও ফুটেজ পাওয়া যায় কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে। বনগাঁর এই বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারেও রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।

    মুর্শিদাবাদেও ব্যালট পেপার চুরি (Panchayat Election 2023) 

    সুতির অরঙ্গাবাদ দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪০ নম্বর বুথে ব্যালট পেপার চুরি। পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা পৌঁছায় ঘটনার খবর পেয়ে। ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসার জানান, মাঝরাতে লোডশেডিং-এর পর কিছু লোক এসে গ্রাম সংসদ ও পঞ্চায়েত সমিতি দুই স্তরের ব্যালট পেপার (Panchayat Election 2023) চুরি করে নিয়ে যায়। সকাল থেকে ভোট বন্ধ হয়ে যায় বুথে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া ভোট চালু হবে না জানিয়ে দিয়েছেন অফিসার। সামশেরগঞ্জের ২৩৪ নং বুথ থেকে ভোট চলাকালীন ১০০ টি ব্যালট পেপার চুরি। ব্যালট পেপার চুরি হতেই বিক্ষোভ বিরোধী প্রার্থীদের।  উত্তেজনা বুথের ভিতরে। ঘটনাস্থলে আসে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়াররা। তালা মেরে দেওয়া হয় মেন গেটে।  সব মিলিয়ে উত্তেজনা রয়েছে সামশেরগঞ্জের বিভিন্ন বুথে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • TMC: করিমের খাসতালুকেই গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী, পুড়ল ব্যালট পেপার, ভোট লুট

    TMC: করিমের খাসতালুকেই গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী, পুড়ল ব্যালট পেপার, ভোট লুট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিনও উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর। আর লড়াই হল তৃণমূলের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের। যারা সকলেই তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ। এই বিধানসভা এলাকায় নির্দল প্রার্থীদের হয়ে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা মূলত ভোট করাচ্ছেন। আর শনিবার সকালে সেই নির্দলের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। তাতে একজন তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। এদিন সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের আগডিমটিখুন্তি অঞ্চলের ঝাড়বাড়ি এলাকার ২৮ নম্বর বুথে। পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর নাম মোজাফ্ফর হোসেন। পাশাপাশি একাধিক বুথে ব্যালট লুট করা হয় বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গিয়ে এক প্রিসাইডিং অফিসারকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এই ঘটনার জেরে বুথে ভোট গ্রহণ বন্ধ রয়েছে। এই বিধানসভা এলাকায় ব্যালট পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    তৃণমূল (TMC) বিধায়ক করিম চৌধুরী আগেই বলেছিলেন দলীয় কর্মীরা টিকিট না পেলে নির্দলে দাঁড়াবেন। তিনি সেই কথা রেখেছেন। তাঁর অনুগামীরা এখন ইসলামপুরে নির্দল হিসেবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। এদিন সকালে ইসলামপুরের আগডিমটিখুন্তি অঞ্চলের ঝাড়বাড়ি এলাকার ২৮ নম্বর বুথে গণ্ডগোল বাধে। মূলত বুথে জমায়েতকে কেন্দ্র করে নির্দল এবং তৃণমূল কর্মীদের ঝামেলা বাধে।  পরে, দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। বুথের কাছে চলে গুলি। আর তাতে এক তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে, ইসলামপুরের জগতাগাও হাইস্কুল ১০৮ নম্বর বুথেও এদিন গণ্ডগোল হয়। ব্যালট পেপার সহ অন্যান্য সামগ্রী পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বন্ধ হয়ে যায় ভোট প্রক্রিয়া। ভোট লুটের পাশাপাশি  ব্যালট বাক্সে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ভেঙে ফেলা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরাও। স্কুলে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি রাস্তায় ব্যালট পেপার ছেঁড়া অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অভিযোগ তৃণমূল ও নির্দল সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর ১ ব্লকের চোপরাবাখারি এলাকার ১৪৫ নং বুথে ব্যালট লুটে বাধা দেওয়ায় মারধর করা হয় প্রিসাইডিং অফিসার সহ অন্যান্য ভোট কর্মীদের। জখম অবস্থায় তাঁদের  উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় ভোট প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। ইসলামপুরের আগডিমটিখুন্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭৮ নং বুথে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ। সকাল ৮ টার মধ্যেই ব্যলট বক্স সিল করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।  অভিযোগ শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুথে কোন কেন্দ্রীয় বাহিনী কিংবা রাজ্য পুলিশের দেখা মেলেনি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    বিরোধীরা সন্ত্রাসের অভিযোগ তুললেও, শাসক দল তা মানতে নারাজ।  ইসলামপুরের তৃণমূল (TMC) ব্লক সভাপতি জাকির হুসেইন বলেন, “নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই হচ্ছে। কোথাও কোনও অশান্তির খবর নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: নির্দল কর্মীকে কুপিয়ে খুন, প্রতিবাদে রণক্ষেত্র কদম্বগাছি, খড়গ্রামে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর

    TMC: নির্দল কর্মীকে কুপিয়ে খুন, প্রতিবাদে রণক্ষেত্র কদম্বগাছি, খড়গ্রামে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের দিন শনিবার সাত সকালেই হিংসার বলি এক নির্দল প্রার্থীর সমর্থক। ঘটনাটি বারাসত-১ নম্বর ব্লকের কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের পীরগাছা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম আব্দুল্লাহ (৪১)। এই ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বসিন্দারা। কদম্বগাছি রোড অবরোধ করে মৃতের পরিবারের লোকজন বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ক্ষোভ জানাতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাতে কয়েকজন পুলিশ কর্মী জখম হন। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে তৃণমূল (TMC) কর্মী খুন হন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সদরউদ্দিন সেখ।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় এক ব্যক্তি তৃণমূল (TMC) প্রার্থী হিসেবে টিকিট পাওয়ার পর এলাকায় বিক্ষোভ তৈরি হয়। কারণ, এলাকার বড় অংশের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল ছিল না। তৃণমূল প্রার্থী কোটি টাকার মালিক। টাকার বিনিময়ে তিনি টিকিট পেয়েছেন। তিনি টিকিট পাওয়ার পরই বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা ৪১ ও ৪২ নম্বর বুথে নিজেদের মতো করে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করান। তাঁদের সমর্থনেই আব্দুল্লাহ ভোট প্রচার করছিলেন। অভিযোগ, লাগাতার তাঁর উপর হুমকি আসছিল। শুক্রবার রাতে আবদুল্লাহ সহ বেশ কয়েকজন নির্দল প্রার্থী সমর্থিত কর্মী সমর্থক দলীয় কার্যালয়ে বসেছিলেন। সেখানেই তাঁদের ওপর তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা চড়াও হয়। দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করার পাশাপাশি আবদুল্লাহ সহ বেশ কয়েকজন বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। গভীর রাতেই তাঁকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এদিন সকালেই তাঁর মৃত্যু হয়।  অন্যদিকে, শুক্রবারই মুর্শিদাবাদ জেলা সফরে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তিনি খড়গ্রামেও যান। রাজ্যপাল ঘুরে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই এক তৃণমূল কর্মী খুন হন। এদিন সকালে জমি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃণমূলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ডোমকলে তৃণমূল প্রার্থীকে লক্ষ্য করে বোমা, হাঁসুয়ার কোপ, অভিযুক্ত সিপিএম

    TMC: ডোমকলে তৃণমূল প্রার্থীকে লক্ষ্য করে বোমা, হাঁসুয়ার কোপ, অভিযুক্ত সিপিএম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের দুদিন আগেও উত্তপ্ত রাজ্য। বৃহস্পতিবার রাতে দিনহাটায় ৩ জন বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতেই তৃণমূল (TMC) প্রার্থীর উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। প্রথমে প্রার্থীকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়। পরে, ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম প্রার্থীর নাম সাইফুল ইসলাম বিশ্বাস। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় মুর্শিদাবাদের ডোমকলের গড়াইমারি পঞ্চায়েতের শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    তৃণমূল (TMC) প্রার্থীর নাম সাইফুল ইসলাম বিশ্বাস দুবারের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। এবারও তিনি প্রার্থী। বৃহস্পতিবার রাতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে এলাকায় ভোটের প্রচার করছিলেন। আচমকাই দুষ্কৃতীরা দল বেঁধে এসে তৃণমূল প্রার্থীকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে। পরে, তাঁকে হাঁসুয়া দিয়ে এলোপাথারি কোপানো হয়। তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে থাকা এক তৃণমূল কর্মী বলেন, প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার পথেই হামলা চালানো হয়। হঠাৎ আমাদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তারপরে আমরা ছুটে পালিয়ে গিয়ে পাটের জমিতে আশ্রয় নিই। দলীয় প্রার্থীকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে। তারপর হামলাকারীরা পালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রার্থীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ডোমকল সুপার ষ্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতি হাজিকুল ইসলাম বলেন, সাইফুলসাহেব এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। তিনি দুবার জয়ী হয়েছেন। এবারও তিনি জিতবেন। এটা এই এলাকার সিপিএম তথা জোটের কর্মীরা মেনে নিতে পারছে না। তাই, পরিকল্পিতভাবে তারা এই হামলা চালিয়েছে।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, বোমা, গুলির কারবার তৃণমূলরাই (TMC) শুধু করছে। গোটা রাজ্যে তারা বিরোধীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সিপিএম কোনওভাবেই জড়িত নয়। এটা ওদের নিজেদের গণ্ডগোল। এরসঙ্গে আমাদের কোনও যোগ নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: ‘‘তৃণমূলকে ভোট না দিলে বঞ্চিত থাকবে এলাকাবাসী’’, হুঁশিয়ারি রাজ্যের মন্ত্রীর

    Panchayat Vote: ‘‘তৃণমূলকে ভোট না দিলে বঞ্চিত থাকবে এলাকাবাসী’’, হুঁশিয়ারি রাজ্যের মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের (Panchayat Vote) প্রচারে গিয়ে আবারও বিতর্কে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা উত্তরদিনাজপুরের হেমতাবাদের বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মন। ‘‘আমার প্রার্থী না জিতলে আগামী পাঁচ বছর এই এলাকায় না হবে রাস্তা, না হবে লাইট, না হবে জলের ব্যবস্থা।’’ এমনই হুঁশিয়ারী দিতে শোনা গেল সত্যজিৎ বর্মনকে। যা রীতিমত ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।

    হুঁশিয়ারি মন্ত্রীর… 

    নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে। ততই বাড়ছে উত্তেজনার পারদ। নিয়ম মতো বৃহস্পতিবারই ভোট প্রচারের শেষ দিন। আর এদিনই রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের প্রচারের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে স্যোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওটিতে রাজ্যের মন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে, তৃণমূল প্রার্থীদের ভোট না দিলে তিনি এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ আটকে দেবেন। এলাকার রাস্তা, জল, আলো সব বন্ধ করে দেবেন।

    স্ত্রীর হারের আশঙ্কায় কী এমন হুঁশিয়ারি? প্রশ্ন বিরোধীদের

    উল্লেখ্য, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের স্ত্রী এবারে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের ১৬ নম্বর আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। নিজের স্ত্রীকে জেতাতে কার্যত এলাকায় এলাকায় হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মন, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। দিন কয়েক আগেও সরকারি পাইলট ও লালবাতির গাড়ি  ব্যবহার করে এলাকায় এলাকায় প্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছিল সত্যজিৎ বর্মনের বিরুদ্ধে। বিরোধীদের অভিযোগ জানাতে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ সেদিন দিয়েছিলেন সত্যজিৎ বর্মন। 

    কী বলছে বিজেপি?

    ভোটারদের (Panchayat Vote) হুমকি এবং প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর ভাইরাল ভিডিও ক্লিপ জমা করে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন বাসুদেব সরকার। তিনি বলেন, ‘‘হেমতাবাদের এমএলএ বিদ্যুৎ চোর। এখনও মামলা চলছে তাঁর নামে। পুরো খানদানি চোরকে তৃণমূল শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী বানিয়েছে।’’

    কী বলছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব? 

    বিরোধীদের তোলা অভিযোগকে আমল দিতে নারাজ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর প্রচারে হুমকি দেওয়া বক্তব্য ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘সত্যজিৎ বাবুর দুটি সত্ত্বা রয়েছে। প্রশাসনিক সত্ত্বা নয় তিনি যে বক্তব্য রেখেছেন সেটি তার রাজনৈতিক সত্ত্বা। আর এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন কথা বহু রাজনৈতিক নেতানেত্রী বলে থাকেন। বিরোধীরা গোটা বিষয়টি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পঞ্চায়েত ভোটের আগে দল ছাড়লেন বীরভূম তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক

    TMC: পঞ্চায়েত ভোটের আগে দল ছাড়লেন বীরভূম তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী প্রচার শেষ হতে না হতেই দলত্যাগ করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায়। বুধবার এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নিজের সিদ্ধান্তের কথাই জানালেন তিনি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ দল ছাড়ার হিড়িক দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে। সেই তালিকায় নব সংযোজন অতনু।

    আরও পড়ুন: “নন্দীগ্রামে আর একটা ১৪ মার্চ ঘটাতে চায় মমতা ব্যানার্জি”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    কী বললেন অতনু?

    অতনু জানিয়েছেন, যতদিন পর্যন্ত বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ছিলেন ততদিন পর্যন্ত দলে সম্মান ছিল। কিন্তু তিনি যেহেতু জেলে রয়েছেন তার পর থেকে দলের বাকি সদস্যদের আর সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এমনকি সম্মানও দেওয়া হয় না। তাছাড়া দলে থেকে কাজ করতে পারছেন না বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন অতনু চট্টোপাধ্যায়। অতনুর আরও দাবি, তৃণমূলে যোগদান করার সময় তিনি জানিয়েছিলেন যে দলে থেকে তিনি কাজ করতে চান। অথচ দলের উচ্চ নেতৃত্ব আশ্বাস দিলেও সেই সুযোগ তিনি পাননি বলে বুধবার অভিযোগ করেন। রাজনৈতিক জীবন থেকে সরে আসার কোন ইচ্ছেই ছিল না। কিন্তু নেহাত বাধ্য হয়ে দল ছাড়তে হচ্ছে বলে জানান অতনু চট্টোপাধ্যায়। বুধবার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে দল ছাড়া কথা ঘোষণা করলেও গত ২৫ মে ২০২৩ তারিখে দল ছাড়ার কথা উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। বেশ কয়েকদিন ধরেই দলীয় কর্মসূচিগুলোতে গরহাজির থাকছিলেন অতনু।

    আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল সমাজবিরোধীদের ভোটে দাঁড় করাচ্ছে’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    কী বললেন বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা?

    এবিষয়ে বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘‘তৃণমূল (TMC) দল এবার আসতে আসতে সবাই ত্যাগ করবে। যেভাবে নিয়োগ দুর্নীতি, গরু চুরিতে নাম জড়াচ্ছে একের পর এক নেতার তাতে দলে আর কেউ থাকতে চাইছেন না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bjp: নিশীথ প্রামাণিক চলে যেতেই বিজেপির অস্থায়ী পার্টি অফিসে হামলা

    Bjp: নিশীথ প্রামাণিক চলে যেতেই বিজেপির অস্থায়ী পার্টি অফিসে হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক কোচবিহার জেলার টাকাগাছ রাজারহাট অঞ্চলের  শুনশুনি বাজার এলাকায় এসেছিলেন ভোটের প্রচারে। সেখানে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৩/২১০ নম্বর বুথে পায়ে হেঁটে সাধারণ মানুষের কাছে ভোট দেওয়ার আর্জি জানিয়ে গেছেন। কিন্তু আজ, বৃহস্পতিবার ভোরে সেই জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা তাদের (Bjp) দলীয় পতাকা জলে ফেলে দিয়েছে এবং অস্থায়ী পার্টি অফিসের কাপড় ছিড়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ তুলল স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। ভোটের ঠিক মুখে এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। 

    কীভাবে আক্রমণ চালাল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা?

    এই বিষয়ে স্থানীয় সংখ্যালঘু নেতা (Bjp) আব্দুল কাদের এন্টনি বলেন, গতকাল দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক আমাদের এলাকায় পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করে যান। এরপর স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অঙ্গুলি হেলনে দুষ্কৃতীরা গভীর রাতে আমাদের পার্টি অফিসে কাপড়গুলোকে ছিড়ে দেয়। সেই সাথে আমাদের পতাকাগুলো নিয়ে জলে ফেলে দেয়। তারা বুঝতে পেরেছে তাদের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। তাই তারা এমন নোংরা রাজনীতি করছে। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, এভাবে অত্যাচার করে বিরোধীদের দমিয়ে রাখা যাবে না। ভোটেই এর যোগ্য জবাব তারা পাবে।

    অন্যত্রও একই ধরনের হামলা (Bjp)

    অন্যদিকে ঢাংঢিংগুঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মরা নদীকুঠিরের দেবিরহাট এলাকার ৩/১৩৯ এবং ১৪০ নম্বর বুথের বিজেপির অস্থায়ী পার্টি অফিস তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর করে এবং সেই সাথে দলীয় (Bjp) পতাকাগুলি নিয়ে তারা জলে ফেলে দেয়। স্থানীয় বিজেপির অঞ্চল কমিটির সদস্য অভিজিৎ দাস বলেন, পুরো এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস বুঝতে পেরেছে তাদের ফল ভালো হবে না। তাই তারা গতকাল গভীর রাতে ঢাংঢিংগুঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মরা নদীকুঠির দেবিরহাট এলাকার ৩/১৩৯,১৪০ নম্বর বুথের বিজেপির অস্থায়ী পার্টি অফিস ভেঙে বিজেপির দলীয় পতাকা সব জলে ফেলে দেয়। বিজেপির বক্তব্য, ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই এই ধরনের হামলা এবং আক্রমণের ঘটনা বাড়ছে। আর সবই চলছে প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদতে। ফলে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: নির্দল প্রার্থীদের বাড়িতে ভাঙচুর, আতঙ্কে ঘরছাড়া পরিবার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: নির্দল প্রার্থীদের বাড়িতে ভাঙচুর, আতঙ্কে ঘরছাড়া পরিবার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার একাধিক জায়গায় তৃণমূলেরই (TMC) বিক্ষুব্ধরা টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছে। আর এই নির্দলরা এখন মন্তবড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই, ভোটের দুদিন আগেই এলাকায় চলছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব। ঘর ছাড়া নির্দল প্রার্থী সহ বেশ কয়েকটি পরিবার। এমনটাই অভিযোগ নির্দল প্রার্থী বিশু শেখের পরিবার। বুধবার রাতে নদিয়ার শান্তিপুর হরিপুর পঞ্চায়েতের চাঁদকুড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূলীদের হামলায় ভাঙচুর করা হয় নির্দল প্রার্থীর বাড়ি। আতঙ্কে ঘরছাড়া নির্দল প্রার্থীর পরিবারের লোকজন।

    কী বললেন নির্দল প্রার্থীদের পরিবারের লোকজন?

    বান্টি খাতুন বিবি আগে তৃণমূলের সদস্য ছিলেন। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট পাননি তিনি। তাই, তাঁর দেওর বিশু শেখ এবার ভোটে দাঁড়িয়েছেন। আর তারপর থেকে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। নির্দল প্রার্থী বিশু শেখের বউদি বান্টি খাতুন বিবি বলেন, আমার দেওর বিশু শেখ নির্দলে দাঁড়ানোর পর থেকেই তৃণমূলরা প্রতিনিয়ত আমাদের উপর ভয় দেখাচ্ছে। এদিন সকালেও তৃণমূলীরা গ্রামে ঢুকে একাধিক নির্দল কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করে লুটপাট চালাই তৃণমূলের কর্মীরা। তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে গ্রামে ঢুকতে পারছি না। অনেক পরিবার ঘরছাড়া রয়েছে। এই ঘটনায় শান্তিপুর থানায় আমরা লিখিত অভিযোগ করেছি।

    হবিবপুরেও নির্দল প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর

    নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন নির্দল প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হবিবপুর পঞ্চায়েতের এলাকায়। এই প্রসঙ্গে নির্দল প্রার্থী গোপাল ঘোষের বাবা সুশান্ত ঘোষ বলেন, আমার ছেলে এই পঞ্চায়েতের দীর্ঘ কুড়ি বছরের তৃণমূল সদস্য ছিল। কিন্তু, এবার পঞ্চায়েত ভোটে দলের থেকে টিকিট না দেওয়ার কারণে সেই নির্দল প্রার্থী হয়ে নির্বাচনি লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। এদিন নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন ছেলে ছাড়াও কয়েকজনকে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। এমনকী আমাকেও তাঁরা মেরেছে। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে আমরা দল করি। আমি নিজে তৃণমূল পরিচালিত হবিবপুর পঞ্চায়েতের কুড়ি বছরের সভাপতি পদে নিযুক্ত ছিলাম। কিন্তু, আমাকেও ওরা মারধর করতে ছাড়েনি। এই ঘটনার পর থেকে বাড়িছাড়া গোটা পরিবার। বর্তমানে আতঙ্কের মধ্যে দিয়েই দিন কাটছে নির্দল প্রার্থীর পরিবারের। খোঁজ নেই নির্দল প্রার্থীর। পরিবারের অভিযোগ তৃণমূল নির্দল প্রার্থীকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতার দাবি করছেন নির্দল প্রার্থীর পরিবার।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) জেলা নেতা সনৎ চক্রবর্তী বলেন, নির্দলদের কোথাও হামলা চালানো হয়নি। বরং,ওরা অশান্তি পাকাচ্ছে। শান্তিপুরে আমাদের কর্মীদের উপর ওরা হামলা চালিয়েছে। ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ওরা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bjp: গোপন করেছেন খুনের মামলা? তৃণমূল নেতার মনোনয়ন বাতিলের দাবি

    Bjp: গোপন করেছেন খুনের মামলা? তৃণমূল নেতার মনোনয়ন বাতিলের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি মৃণাল সরকারের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে রাজ্যপাল এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠাল বিজেপি (Bjp)। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের ৪ (চার) নং জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থী হয়েছেন। ওই আসনের বিজেপি প্রার্থী প্রদীপ সরকার। মৃণাল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় তাঁর বিরুদ্ধে থাকা একটি খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি হলফনামায় উল্লেখ করেননি তিনি। এই অভিযোগ তুলেই তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। যদিও ভোটের মাত্র দুদিন আগে এই অভিযোগের পরিণতি কী হবে, সে ব্যাপারে বিজেপি সন্দিহান। 

    বিজেপির (Bjp) অভিযোগ ঠিক কী?

    প্রদীপ সরকারের অভিযোগ, সাতটি ক্রিমিন্যাল কেসের আসামি মৃণাল সরকার কী করে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজের নামে মনোনয়ন জমা করতে পারেন। ক্রিমিন্যাল কোনও কেসের আসামি হলে নির্বাচন কমিশনের  নিয়ম অনুযায়ী তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না। বিজেপির (Bjp) অভিযোগ, মৃণাল সরকার তথ্য গোপন করেছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিক প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন। ভোটের ঠিক দুই দিন আগে এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়েছে গঙ্গারামপুরে।

    কী জবাব দিলেন তৃণমূল প্রার্থী?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা জেডপি ৪ নম্বর আসনের প্রার্থী মৃণাল সরকারের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ বিজেপি (Bjp) আনছে, তা মিথ্যা। যে মামলা তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে, সে সবই তিনি উল্লেখ করেছেন। এগুলো সবই মিথ্যা মামলায় তাঁকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। অনেকগুলিতে তিনি জামিন পেয়েছেন। যে অভিযোগ বিজেপি করছে তা রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য। কারণ রাজনৈতিকভাবে লড়াই করার ক্ষমতা বিজেপির নেই। সেই কারণেই পুরনো বিভিন্ন কেসকে হাতিয়ার করে তারা তাঁর বদনাম করার চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share