Tag: tmc

tmc

  • TMC: লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পেতে তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী করার আর্জি, দেওয়াল লিখন ঘিরে বিতর্ক

    TMC: লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পেতে তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী করার আর্জি, দেওয়াল লিখন ঘিরে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক অজ্ঞতা নাকি সোজাসুজি টাকার টোপ? পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রার্থীর দেওয়াল লিখন ঘিরে চাঞ্চল্য। সোজাসুজি একেবারে পাঁচশো বা হাজার টাকার টোপ। টোপ দিয়ে ভোট টানার চেষ্টা। দেওয়াল লিখন ঘিরে বিতর্ক ভাতারে। এই নিয়ে সরব বিরোধী পক্ষ থেকে গ্রামের সচেতন মানুষ। 

    দেওয়াল লিখনে কী লেখা রয়েছে?

    পূর্ব বর্ধমানের ভাতার ব্লকের আমারুন-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২৩ নম্বর আসনে ৭ নম্বর সংসদে তৃণমূল প্রার্থী পলসোনা গ্রামের বাসিন্দা নাফিজা বেগম। ইতিমধ্যেই দেওয়াল লিখন ও প্রচার অভিযানে ঝাঁপিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। গোটা গ্রামে ভরে উঠেছে এমন দেওয়াল লিখনে। ভাতারের পলশোনা গ্রামে একাধিক দেওয়ালে লেখা আছে, লক্ষ্মীর ভান্ডারে টাকা পেতে হলে নাফিজা বেগমকে জয়ী করুন। লক্ষ্মীর ভান্ডারে টাকা পেতে চান? নাফিজা বেগমকে জয়ী করুন। তৃণমূল (TMC) প্রার্থীর দেওয়াল লিখন ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। নাফিজা বেগম যদি ভোটে না জয়ী হন তা হলে কি লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাওয়া যাবে না? গ্রামে এই নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে টোপ দিয়ে কি ভোট প্রচার করতে পারেন একজন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী? উঠছে প্রশ্ন।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী?

    এ বিষয়ে তৃণমূল প্রার্থীর স্বামী জাহাঙ্গীর মোল্লা বলেন, কর্মীরা দেওয়াল লিখছে। তবে এই  বিষয়টি আমার জানা নেই। ভুল থাকলে  সংশোধন করে নেওয়া হবে।

    গ্রামবাসীদের কী বক্তব্য?

    গ্রামবাসী শেখ ইব্রাহিম বলে, এই ধরনের দেওয়াল লেখা অন্যায়। একে কেউ সমর্থন করছে না। শেখ লালন নামে এক বাসিন্দা বলেন, এটা লেখা ঠিক হয়নি। আর এক গ্রামবাসী শেখ আব্দুল হালিম বলেন, এই নিয়ে আলোড়ন পড়েছে গ্রামে। টাকাটা কি রাজ্য সরকার দেবে, না প্রার্থী দেবেন?

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলা নেতা সুধীরঞ্জন সাউ বলেন, এই ট্রেন্ড মুখ্যমন্ত্রী শুরু করেছেন। তাই এখন প্রার্থী দেওয়াল লিখে ভোটারদের টোপ দিচ্ছেন। এই নিয়ে আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দরকারে আদালতে যাব।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতা দেবু টুডু বলেন, হয়তো একটু বাক্যগঠনে ভুল হয়েছে। কিন্তু সবাই জানেন , প্রার্থীর জেতা বা হারার সঙ্গে সরকারি প্রকল্পের কোনও যোগ নেই। জিতলেও পাবেন। হারলেও লক্ষ্মীর ভান্ডার পাবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: চোরমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে অনুব্রতর গড়ে জোর কদমে প্রচারে নামল বিজেপি

    BJP: চোরমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে অনুব্রতর গড়ে জোর কদমে প্রচারে নামল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোরমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে ভোট প্রচার শুরু হল বীরভূমে। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই ৮ জুলাই রাজ্য জুড়ে হতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বীরভূম জেলা পরিষদের ২৭ নম্বর জেডপি আসনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী কৃষ্ণকান্ত সাহাকে নিয়ে প্রচার শুরু করেছে বিজেপি নেতৃত্ব (BJP)। বীরভূমের মোহাম্মদ বাজার ১৮ এবং ১৯ নম্বর বুথে এদিন জোর কদমে প্রচার চালায় গেরুয়া শিবির। এই দুটি বুথ আদিবাসী অধ্যুষিত। এদিন প্রত্যেকটি পাড়ায় মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে জনসংযোগ করেন বিজেপি নেতারা। 

    কীভাবে ক্ষোভের কথা জানাল মানুষ?

    জব কার্ড সহ ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনা, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা সহ নানা প্রকল্প নিয়ে ক্ষোভ রয়ে গিয়েছে মানুষের মনে। বিজেপিকে (BJP) সমর্থন করার কারণে অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। স্কুলগুলিতে নাকি ভালো পড়াশোনা হয় না। ভাতা নয়, বরং ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে যাতে শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নত করা হয়, তারই দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালে গিয়ে পরিষেবা না পাওয়া নিয়েও অভিযোগ উঠে আসে।

    কী আবেদন জানাল গেরুয়া শিবির?

    বীরভূম জেলা পরিষদের ২৭ নম্বরের তিনটি পঞ্চায়েতের মানুষের কাছে তাই গেরুয়া শিবিরের আবেদন, পদ্মফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে মানুষ যেন মোদিজির আত্মনির্ভর ভারত এবং চোর মুক্ত বীরভূম জেলা গড়তে সহায়তা করেন। এমনটাই জানান বীরভূম জেলা পরিষদের২৭ নম্বর জেডপি আসনে বিজেপি (BJP) মনোনীত প্রার্থী কৃষ্ণকান্ত সাহা। ক্ষমতায় এলে আগামী দিনে স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা এই দুটি ব্যবস্থাকে সাজিয়ে তোলার আশ্বাস দিলেন তিনি।

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ বোলপুর এলাকায়

    অন্যদিকে, আগামী ৮ ই জুলাই রাজ্যে এক দফায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করানোর কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর অনুমোদন দিয়েছে আদালত। উল্লেখ্য, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (BJP) ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তুলছিলেন। আদালতও সেই দাবিতেই সিলমোহর দেয়। যার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার চিঠি লেখেন। রাজ্যের পাশাপাশি বীরভূমের পঞ্চায়েত নির্বাচনও সুষ্ঠুভাবে করতে শুরু হল তৎপরতা। শনিবার বোলপুরের এসডিপিও নিখিল আগরওয়াল ও বোলপুর থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাসের নেতৃত্বে বোলপুরের রায়পুর-সুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনী রুট মার্চ করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: দাঁতনে বিজেপির মহিলা প্রার্থী ও তাঁর ছেলেকে বাঁশ-পেটা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: দাঁতনে বিজেপির মহিলা প্রার্থী ও তাঁর ছেলেকে বাঁশ-পেটা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রক্তাক্ত হল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন। বিজেপির (BJP) মহিলা প্রার্থী কাকলি পাত্র ও তাঁর ছেলেকে বাঁশপেটা করার অভিযোগ উঠল শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল দাঁতন থানার কেশরম্ভা এলাকায়। ইতিমধ্যেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    জানা গিয়েছে, দাঁতনের কেশরম্ভা ৪ নম্বর বুথের বিজেপি (BJP) প্রার্থী হন কাকলি পাত্র। এদিন দুপুরে বাঁশ নিয়ে কয়েকজন তৃণমূল কর্মী বিজেপি প্রার্থী ও তাঁর স্বামীকে হুমকি দেন। মূলত প্রার্থী পদ প্রত্যাহার না করার জন্যই তাঁরা হুমকি দেন। প্রার্থীর ছেলে প্রতিবাদ করলে দুপক্ষই বচসায় জড়িয়ে পড়ে। আচমকাই বাঁশ দিয়ে বিজেপি প্রার্থী কাকলি পাত্র ও তাঁর ছেলেকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বাঁশ দিয়ে পেটানোর ছবি রীতিমতো নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ইতিমধ্যেই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ওই বিজেপি কর্মী ও তাঁর মাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দাঁতন গ্রামীণ হাসপাতালে। আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থীর ছেলে বলেন, মা বিজেপির প্রার্থী হয়েছে, এটাই অপরাধ। আর সেই কারণে বাঁশ নিয়ে কয়েক তৃণমূল কর্মী এসে মা আর বাবাকে হুমকি দিতে থাকে। আমি প্রতিবাদ করলে ওরা আমাদের উপর চড়াও হয়। রাস্তায় ফেলে আমাদের পেটায়।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি শংকর গুছাইত বলেন, তৃণমূল সন্ত্রাস করে বহু আসনে আমাদের মনোনয়ন জমা করতে দেয়নি। এখন যারা প্রার্থী হয়েছে, তাদেরকে হুমকি দিচ্ছে। প্রতিবাদ করলে বাঁশ দিয়ে লাঠি পেটা করছে। মানুষ এসব মেনে নেবে না। এবার ভোটে তৃণমূলকে মানুষ যোগ্য জবাব দেবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, পাড়াগত বিবাদ। সেটাকে বিজেপি (BJP) রাজনীতির রং লাগাচ্ছে। আসলে পুরানো গণ্ডগোল নিয়ে বাজারে একটি ঝামেলা হয়েছিল। এরসঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। ওরা এখন সব কিছুতেই তৃণমূলকে জড়িয়ে দিয়ে রাজনৈতিক ফয়দা পাওয়ার চেষ্টা করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ‘বিধায়ক আগুন নিয়ে খেলছেন’, হুমায়ুনকে কেন একথা বললেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী?

    TMC: ‘বিধায়ক আগুন নিয়ে খেলছেন’, হুমায়ুনকে কেন একথা বললেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরতপুরে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে শাসক দলের ছন্নছাড়়া অবস্থা। দলের নির্দেশকে অমান্য করেই তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ভরতপুর বিধানসভার অধিকাংশ পঞ্চায়েতে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন। কয়েকদিন আগেই সালারে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিধায়ক প্রকাশ্যে নির্দল প্রার্থীদের হয়ে লড়াই করার কথা বলেছিলেন। নির্দল প্রার্থীদের জয়ী করার তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এবার দলের এই বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব হলেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

    তৃণমূল (TMC) বিধায়ককে নিয়ে কী বললেন মন্ত্রী?

    শুক্রবার ভরতপুর বিধানসভার একাধিক পঞ্চায়েত এলাকায় সভা করেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। দলীয় এই কর্মসূচিতে কোথাও বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন না। এই প্রসঙ্গে সালারের সোনারুন্দিতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দল বিরোধী কাজ করতে করতে বিধায়ক খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। বিধায়ক আগুন নিয়ে খেলছেন। জনগণকে দলবিরোধী কাজ করতে বাধ্য করবেন না। যদি শক্তি থাকে তৃণমূলের (TMC) পতাকা ছেড়ে, নৌকো বা বাস নিয়ে চলুন। কেউ ফুটো নৌকা পেয়েছে, কেউ পেয়েছে ভাঙা সাইকেল কেউ আবার চিহ্ন পেয়েছে ভাঙা বাস। কেউ পেয়েছে মোমবাতি, কেউ পেয়েছে টর্চ, দেখবেন আগামীদিনে ওরা কেউ থাকবে না। ভাঙা বাস যেমন রাস্তায় চলে না, ছোট নৌকাও তেমনি নদীতে চলে না। তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশ মেনে চলুন। যাঁরা নির্দল দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কোনও বিতর্ক নয়, দেখবেন জনসমর্থন আপনাদেরই থাকবে।’

    দলীয় কর্মীদের কী বার্তা দিলেন  মন্ত্রী?

    মুর্শিদাবাদের ভরতপুর-২ নম্বর ব্লকের শালু গ্রাম পঞ্চায়েতে এক কর্মী সভায় যোগদান করে তৃণমূলের (TMC) কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘কোনও রাজনৈতিক ভেদাভেদে যাবেন না। একজন মুসলমান আর একজন মুসলমানকে পেটাবেন না। মাথায় হাত বুলিয়ে পায়ে হাত দিয়ে গ্রামের লোককে বুঝিয়ে ভোট ভিক্ষা করে তৃণমূল নেত্রীর হাত শক্ত করুন। পরে, আমি কলকাতায় গিয়ে ৯০ ডিগ্রির ব্যবস্থা থেকে শুরু করে তাবিজ কবজ সবকিছুই করে দেব।’ এদিনের সভায় মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভরতপুর- ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সুমন সহ বহু তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে, কোথাও বিধায়কের দেখা মেলেনি। হুমায়ুন কবীরকে বার বার ফোন করার পরও তিনি ফোন না ধরায় তাঁর প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের সভায় সায়ন্তিকার সামনে কালিয়াগঞ্জকাণ্ড নিয়ে কী বললেন রাজবংশী বধূ?

    TMC: তৃণমূলের সভায় সায়ন্তিকার সামনে কালিয়াগঞ্জকাণ্ড নিয়ে কী বললেন রাজবংশী বধূ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার ঝাঁটিপাহাড়িতে পঞ্চায়েতের তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের  নির্বাচনী সভায় লাগল কালিয়াগঞ্জের রাজবংশী কিশোরী ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার আঁচ। প্রকাশ্য জনসভায় সকলের সামনে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পাশাপাশি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এক গৃহবধূ। যা দেখে সভায় উপস্থিত হওয়া কর্মী, সমর্থকরা হতবাক হয়ে যান। পরে, স্থানীয় নেতৃত্ব পরিস্থিতি সামাল দেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    শুক্রবার বাঁকুড়ার ঝাঁটিপাহাড়িতে নির্বাচনী প্রচার সভায় বক্তব্য রাখছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) রাজ্য সম্পাদিকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় আচমকা  সংঘমিত্রা অধিকারী নামে এক গৃহবধূ সন্তান কোলে নিয়ে জনসভায় হাজির হবন। তিনি নিজেকে রাজবংশী হিসেবে পরিচয় দিয়ে কালিয়াগঞ্জ কাণ্ডের বিচার চেয়ে সায়ন্তিকার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছোঁড়েন, তিনি বলেন, দোষীরা যেন শাস্তি পায়। সেই বার্তা মুখ্যমন্ত্রীকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সায়ন্তিকার কাছে তিনি আর্জিও জানান। সায়ন্তিকা নির্বাচনী বক্তব্য থামিয়ে ওই গৃহবধূকে এই ঘটনায় সুবিচারের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। রাজবংশী ওই গৃহবধূ তবুও থামেননি।আরও জোর গলায় ছেড়ে তিনি তাঁর দাবিতে সরব হন। এই সময় ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন তৃণমূল কংগ্রেসের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার মহিলা সভানেত্রী তথা ছাতনার জেলা পরিষদ প্রার্থী বিশ্বরূপা সেনগুপ্ত। তিনি সেই গৃহবধূর কাছে গিয়ে এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন। তাঁকে অনেক বুঝিয়ে তিনি তাঁকে শান্ত করেন।

    কী বললেন রাজবংশী ওই বধূ?

    সভা শেষ হওয়ার পর পরই সংবাদ মাধ্যমের সামনে রাজবংশী ওই গৃহবধূ বলেন, আমার বাড়ি কোচবিহার। আমি এখন এখানে থাকি। কালিয়াগঞ্জের ঘটনা আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছে। ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনা। মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে পুলিশের পোশাকে খুন করার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এখানকার চুনোপুঁটি তৃণমূল (TMC) নেতাদের বলে কিছু হবে না। তাই, সায়ন্তিকাকে সামনে অভিযোগ জানিয়েছি। আমার বিশ্বাস আমার এই দাবি দিদির কাছে পৌঁছে দেবেন সায়ন্তিকা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: আদ্রায় তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন, গুলিবিদ্ধ দেহরক্ষী, রাস্তা অবরোধ

    Panchayat Election: আদ্রায় তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন, গুলিবিদ্ধ দেহরক্ষী, রাস্তা অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) আগে ফের শুটআউট। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম, নবগ্রামের পর এবার পুরুলিয়া। দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলিতে প্রাণ হারালেন এক তৃণমূল নেতা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়  ঘটনাটি ঘটে আদ্রা থানার রামমন্দির সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে। নিহত তৃণমূল নেতার নাম ধনঞ্জয় চৌবে। তিনি আদ্রা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর শরীরে তিনটি গুলি লাগে। দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হন তাঁর দেহরক্ষী শেখর দাস। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বৃহস্পতিবার দলীয় কার্যালয়ের সামনে ধনঞ্জয় তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে  পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠক করছিলেন। আচমকা দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই তৃণমূল নেতা। তখন তৃণমূল নেতার দেহরক্ষী শেখর দাস দুষ্কৃতীদের পালটা গুলি চালাতে গেলে তাঁকে লক্ষ্য করেও গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এর পরই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তৃণমূল নেতা ও তাঁর দেহরক্ষীকে রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা ওই তৃণমূল নেতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গুরুতর জখম দেহরক্ষীকে চিকিৎসার জন্য বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা সেখানে পৌঁছন। ছুটে যান তৃণমূল তদন্ত শুরু করেছে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ।

    শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা

    বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেতা খুন হওয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে আদ্রা শহর জুড়ে অঘোষিত বনধ পালিত হল। অধিকাংশ দোকানব এদিন বন্ধ ছিল। তৃণমূল কর্মীরা রাস্তায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, অবিলম্বে তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, তিনি শহর তৃণমূলের সভাপতির পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) রঘুনাথপুর এলাকার দায়িত্বে ছিলেন। স্বাভাবিকভাবে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ‘ম্যানেজ’ করে দিঘায় রাত কাটানোর প্রস্তাব গৃহবধূকে, তৃণমূল নেতার অডিও ভাইরাল

    TMC: ‘ম্যানেজ’ করে দিঘায় রাত কাটানোর প্রস্তাব গৃহবধূকে, তৃণমূল নেতার অডিও ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক গৃহবধূকে দিঘায় বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছেন তৃণমূলের (TMC) উপপ্রধান। সকাল থেকেই এই সংক্রান্ত কল রেকর্ডিং ভাইরাল সামাজিক মাধ্যমে। বিরোধীদের নিশানায় শাসক শিবির। অডিও-র সত্যতা প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি জেলা তৃণমূলের সভাপতির।

    ঘটনা কী হয়েছে?

    সকাল থেকেই বিভিন্ন সামাজিক গণ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি অডিও রেকর্ড। ফোনের এক প্রান্তে রয়েছেন এক মহিলা, অপর প্রান্ত থেকে শোনা যাচ্ছে এক পুরুষ (TMC) কণ্ঠস্বর। দাবি করা হয়েছে, পুরুষ কন্ঠস্বরটি দাসপুর দু’নম্বর ব্লকের গৌরা ১১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী তৃণমূলের উপ প্রধান সুশান্ত রায়ের।

    ফোনের অডিওতে কী কথা রয়েছে?

    অডিও কলে শোনা যাচ্ছে, ফোনের অপর প্রান্তে থাকা মহিলাকে দিঘায় ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন তৃণমূল নেতা সুশান্ত রায় (TMC)। ‘ম্যানেজ’ করে রাত কাটানোর প্রস্তাবও দিচ্ছেন তিনি। যদিও মহিলা কন্ঠের দাবি, তিনি মেয়ের সমতুল্য, তাই এই প্রস্তাব অত্যন্ত অসম্মানজনক। প্রায় ছয় মিনিটের কল রেকর্ড রীতিমতো ভাইরাল সামজিক গণমাধ্যমে। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। 

    বিজেপির বক্তব্য

    কল রেকর্ড ভাইরাল হওয়ার পর রীতিমতো সুর চড়িয়েছে বিজেপিও। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপির সম্পাদক প্রশান্ত বেরা বলেন, এভাবেই তৃণমূল (TMC) নেতারা গ্রামের মেয়েদের সাথে প্রতারণা করে। নানারকম প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েদের সাথে এই ধরনের আচরণ করছে ওরা। সবেমাত্র একটা রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে। একটু খুঁজলে এই ধরনের আরও অনেক কল রেকর্ড পাওয়া যাবে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    দলের নেতার নাম জড়ানোয় রীতিমতো অস্বস্তিতে শাসক শিবির তৃণমূল। জেলা (Paschim Medinipur) তৃণমূলের সভাপতি আশিষ হুদাইত (TMC) বলেন, এখনও পর্যন্ত এই অডিওর সত্যতা প্রমাণিত হয়নি। তবে এই অডিওর সত্যতা প্রমাণ হলে কড়া পদক্ষেপ করবে দল। এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে দাসপুরের তৃণমূল নেতা সুশান্ত রায়ের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনও ভাবেই তা সম্ভব হয়নি। তবে আর যাই হোক, ভাইরাল হওয়া এই অডিও রীতিমতো মুখরোচক আলোচনায় পরিণত হয়েছে দাসপুরের অলিতে গলিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Bardhaman: রানিগঞ্জে তৃণমূল ছেড়ে নির্দল হতেই আচমকা মনোনয়ন বাতিল! বিক্ষোভ

    Paschim Bardhaman: রানিগঞ্জে তৃণমূল ছেড়ে নির্দল হতেই আচমকা মনোনয়ন বাতিল! বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০ শে জুন মনোনয়নের প্রত্যাহার পর্ব মিটে যাওয়ার পর ২১ তারিখ প্রতীক চিহ্ন নিতে গিয়ে অবাক প্রার্থী। দেখলেন, তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এরপর বিডিও অফিসের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখালেন চিন্তা কুমারী নামের ওই নির্দল প্রার্থী।

    কোথায় ঘটেছে?

    ঘটনাটি ঘটেছে রানিগঞ্জ (Paschim Bardhaman) বিডিও অফিসে। নির্দল পদপ্রার্থী চিন্তা কুমারীর অভিযোগ, তিনি গতকাল পর্যন্ত তাঁর নমিনেশন জমা পড়েছে বলে তালিকায় নাম দেখে গেছেন। আজ প্রতীক চিহ্ন আনতে এলে তালিকায় তাঁর নাম নেই বলে জানতে পারেন। তিনি রানিগঞ্জের টিরাট পঞ্চায়েত থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা করেছিলেন। স্থানীয় এক যুবক বিট্টু বিশ্বকর্মা নিজেকে সমাজসেবী পরিচয় দিয়ে বলেন, কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, আমরা বিডিও সাহেবের কাছে তা জানতে চাই। আর যদি সন্তোষজনক জবাব না পাই, তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাব। পরে বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনারের দফতরে জানানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

    প্রার্থীর বক্তব্য

    নির্বাচনে প্রার্থী চিন্তাদেবী (Paschim Bardhaman) বলেন, আমি মূলত তৃণমূল দল করি। কিন্তু নির্বাচনে দল টিকিট না দিলে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা করি। বিডিও সাহেব আমাকে বলেন, আমি নাকি অফিসে এসে আমার মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছিলাম। বিডিও সাহেব আরও বলেন, আমি নাকি বিশেষ কাগজে সই করে আমার নাম প্রত্যাহার করেছি! পাল্টা আমার স্বাক্ষর দেখতে চাইলে উনি আমায় কোনও কাগজ দেখাতে পারেননি বলে দাবি করেন চিন্তাদেবী। তিনি আরও বলেন, একজন তফশিলি সমাজের মহিলা প্রার্থী হিসাবে বিডিও আমার সঙ্গে অন্যায় করছেন। এই ঘটনা নির্বাচনের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি লড়াই করব। তিনি আরও বলেন, তাঁর প্রতি অন্যায় হয়েছে বলে বিডিও অফিসের সামনে সমর্থকদের নিয়ে বেশ কিছু সময় ধরে ধর্নায়ও বসেছিলেন। এরপর চিন্তাদেবীর সমর্থনে তাঁর কর্মী-সমর্থকরা বিডিও অফিসের সামনে প্রতিবাদ মিছিল করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur মন্ত্রীর খাসতালুকেই গোঁজের কাঁটা নিয়ে ভোটের ময়দানে শাসকদল

    Dakshin Dinajpur মন্ত্রীর খাসতালুকেই গোঁজের কাঁটা নিয়ে ভোটের ময়দানে শাসকদল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিটি জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলই প্রার্থী দিয়েছে। ভোটের মুখে মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের খাসতালুক হরিরামপুর ও তৃণমূল জেলা চেয়ারম্যান নিখিল সিংহরায়ের ব্লক কুমারগঞ্জে (Dakshin Dinajpur) শাসকদলের মধ্যেই বেলাগাম গোষ্ঠীকোন্দল সামনে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের থেকে নিজেদের দলের গোঁজ প্রার্থীরাই ভয় ধরাচ্ছে শাসক শিবিরে।

    কুমারগঞ্জে (Dakshin Dinajpur) কারা গোঁজ প্রার্থী

    তৃণমূল জেলা চেয়ারম্যানের বাড়ি কুমারগঞ্জ (Dakshin Dinajpur) ব্লকে। প্রার্থী ঘোষণার পর এই ব্লকেই তৃণমূলে বেলাগাম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। দলের টিকিট না পেয়ে কুমারগঞ্জে তিনটি, হিলিতে দুটি সহ কুশমণ্ডি, হরিরামপুর সর্বত্রই তৃণমূলের গোঁজ প্রার্থী ছিল। বালুরঘাট মহকুমায় অবশ্য গোঁজ প্রার্থী মফিজউদ্দিন মিয়াঁ, সুধীরচন্দ্র রায়, সুপর্ণা রায়, সৈফুল আলম মণ্ডল ও বিদ্যুৎ মালি নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। তবে কুমারগঞ্জের গোঁজ প্রার্থী ধেনা টুডুকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করাতে পারেনি তৃণমূল। ওই আসনে ধেনা টুডুর বিরুদ্ধে তৃণমূলের দলীয় প্রার্থী দলের শিক্ষক নেতা শুকলাল হাঁসদা। তাই গোঁজের কাঁটা নিয়েই সেখানে শাসকদলকে ভোটের ময়দানে নামতে হবে।

    দলের প্রতীক না পেয়ে কুমারগঞ্জ ব্লকের দিওর অঞ্চলে ১৭টি আসনের মধ্যে ১২টিতেই নির্দল হিসাবে লড়াই করবেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। প্রধানের স্বামী বাবুন টিগ্গাও দাঁড়িয়েছেন নির্দল হয়ে। প্রধান অঞ্জলি টিগ্গা আবার পঞ্চায়েত সমিতির আসনে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন। ওই অঞ্চলের উপ প্রধান জান্নাতুন বিবি মণ্ডল সহ পুরোনো তৃণমূলের সদস্যরাও এবার নির্দল প্রার্থী। অন্যদিকে, ভোঁওড় অঞ্চলের ১৪টি আসনের সাতটিতেও নির্দল প্রার্থী রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে ছ’জন নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াই করছেন। হরিরামপুর ও কুশমণ্ডিতে নির্দলের সংখ্যা অনেক।

    হরিরামপুরে কারা গোঁজ প্রার্থী

    মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের খাসতালুক হরিরামপুরে (Dakshin Dinajpur) এবার পঞ্চায়েত সমিতির প্রায় ৭০ শতাংশ আসনে নির্দল কাঁটা রয়েছে তৃণমূলের। এই ব্লকের শিরশি, পুগুরি, গোকর্ণ, সৈয়দপুর সহ সর্বত্র তৃণমূলের গোঁজ প্রার্থীদের ছড়াছড়ি। এমনকী বেশ কয়েকটি আসনে তৃণমূলের চারজন প্রার্থী হয়েছেন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের পরও দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকটি আসনে বিরোধীদের প্রার্থী না থাকলেও তৃণমূলের সঙ্গে দলের নির্দল প্রার্থীদেরই লড়াই হতে চলেছে। কুশমণ্ডি ব্লকের উদয়পুর, মালিগাঁও সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতেও নির্দল কাঁটা ভাবাচ্ছে তৃণমূল শিবিরকে।

    জেলা তৃণমূলের বক্তব্য

    জেলা (Dakshin Dinajpur) তৃণমূলের চেয়ারম্যান নিখিল সিংহরায় বলেন, “বেশ কয়েকটি জায়গায় সমস্যা রয়েছে। নির্দল প্রার্থীদের বুঝিয়ে তাঁদের দিয়ে লিফলেট বিলি করিয়ে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নামানোর কথা চলছে।” এদিকে দলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকারের বক্তব্য, “যারা নির্দলের হয়ে লড়াই করছে, তাদের কোনও লাভ হবে না। মানুষ তৃণমূলের প্রতীক দেখেই ভোট দেবে। তবে যেসব নির্দল প্রার্থীর জন্য দলের ক্ষতি হবে, তাদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। প্রয়োজনে দলের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: একই পরিবারে ৩ প্রার্থী, নেই রাজনৈতিক হিংসা! অন্য নজির পূর্ব মেদিনীপুরে

    Panchayat Election: একই পরিবারে ৩ প্রার্থী, নেই রাজনৈতিক হিংসা! অন্য নজির পূর্ব মেদিনীপুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি। প্রতিটি রাজনৈতিক দল রীতিমতো কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে ভোটপ্রচারে। তবে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট ব্লকের কোলা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের আশুরালী গ্রামে ভোটপ্রচার (Panchayat Election) একটু অন্য রকম। এই গ্রামে প্রার্থীদের মধ্যে নেই ভোট নিয়ে হিংসা, বিবাদ কিংবা প্রার্থীদের মধ্যে ভোটপ্রচার নিয়ে টক্কর। এই আসনটি ওবিসিদের জন্য সংরক্ষিত হওয়ায় গ্রামের একটি পরিবারেরই তিনজন প্রার্থী নির্বাচনের ময়দানে নামতে বাধ্য হন। তৃণমূল, বিজেপি এবং সিপিআইএম প্রার্থী নির্বাচিত হয় আশুরালী গ্রামের পাল পরিবার থেকেই। এক কথায়, পরিবারের কাকা ও দুই ভাইপো লড়ছেন আশুরালী গ্রাম থেকে। কাকা সন্ন্যাসী পাল লড়ছেন সিপিআইএম থেকে, ভাইপো শান্তনু পাল তৃণমূল কংগ্রেস থেকে এবং অপর ভাইপো উত্তম পাল লড়ছেন বিজেপি থেকে।

    তিনজনেরই রাজনীতিতে (Panchayat Election) হাতেখড়ি

    পেশায় তিনজনেরই ছোটখাট ব্যবসা। কাকা সন্ন্যাসী পালের দোকান রয়েছে কোলাঘাটে খড়িচক মোড়ে, তৃণমূল প্রার্থী (Panchayat Election) শান্তনু পালের ফুলের ব্যবসা এবং বিজেপি প্রার্থী উত্তম পালের বাড়ির সামনে ছোটখাট একটি দোকান। তিনজনই রাজনীতিতে সক্রিয় নন। বলা যেতে পারে, রাজনীতিতে হাতেখড়ি। ভোট যেহেতু সামনে, তাই প্রাথমিক ভোটপ্রচার হিসেবে তিনপক্ষই দেওয়াল লিখন শুরু করেছে। গত নির্বাচনে এই বুথটি বামেদের দখলে ছিল। তাই এবারেও জেতার ব্যপারে আশাবাদী পরিবারের কাকু অর্থাৎ সিপিআইএম প্রার্থী সন্ন্যাসী পাল। পাশাপাশি তৃণমূল প্রার্থী শান্তনু পালের দাবি, দিদির উন্নয়নের জোয়ারে জয় মিলবে তাঁর। অন্যদিকে অপর ভাইপো বিজেপি প্রার্থী উত্তম পালের দাবি, রাজ্য সরকারের দুর্নীতি, বেকারত্বই তাঁদের জয় এনে দেবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে।

    সবাই চান শান্তিতে নির্বাচন (Panchayat Election) সম্পন্ন হোক

    তিন প্রার্থীই বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করেছেন ব্যবসার ফাঁকে। তবে তিন প্রার্থীই একই বাড়িতে বসবাস। নেই রাজনৈতিক বিদ্বেষ বা হিংসা। তিন প্রার্থীরই একটাই বক্তব্য, শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হোক পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। রাজনীতির ময়দানে যেই জিতুক, কোনওভাবেই হিংসার রেশ পরিবার বা গ্রামের মানুষের মধ্যে যাতে না পড়ে, সেই আবেদনই করছেন তিন দলেরই প্রার্থী। তবে ভোটের পর ফলাফলের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে এলাকার মানুষ। কে শেষ হাসি হাসবে, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকটা দিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share